
28/02/2025
***বিদেশে উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি***
আপনাকে বেশ কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে
১. উপযুক্ত দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন
আপনার পছন্দের বিষয়ের উপর ভিত্তি করে কোন দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয় উপযুক্ত তা নির্ধারণ করুন। জনপ্রিয় গন্তব্যগুলোর মধ্যে রয়েছে:
যুক্তরাষ্ট্র (USA) – গবেষণার সুযোগ বেশি
যুক্তরাজ্য (UK) – কম সময়ের ডিগ্রি (ব্যাচেলর ৩ বছর, মাস্টার্স ১ বছর)
কানাডা – পোস্ট-গ্র্যাজুয়েশন ওয়ার্ক পারমিটের সুবিধা
অস্ট্রেলিয়া – স্থায়ী বসবাসের সুযোগ বেশি
জার্মানি – টিউশন ফি কম বা বিনামূল্যে উচ্চশিক্ষা
২. প্রয়োজনীয় পরীক্ষার প্রস্তুতি
বিদেশে পড়াশোনার জন্য বিভিন্ন মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিতে হয়। কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হলো:
IELTS / TOEFL / PTE – ইংরেজি দক্ষতার জন্য
GRE / GMAT – মাস্টার্স বা পিএইচডির জন্য (বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে)
SAT / ACT – ব্যাচেলর প্রোগ্রামের জন্য
৩. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করা
একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ও সার্টিফিকেট
স্টেটমেন্ট অব পারপাস (SOP) – কেন এই কোর্স করতে চান তা ব্যাখ্যা করা
সুপারিশপত্র (LOR) – শিক্ষকদের কাছ থেকে সুপারিশপত্র সংগ্রহ করা
সিভি (CV) – একাডেমিক ও এক্সট্রা-কারিকুলার অভিজ্ঞতা তুলে ধরা
স্কলারশিপের জন্য আলাদা আবেদন (যদি প্রয়োজন হয়)
৪. বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন প্রক্রিয়া
নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে অ্যাপ্লিকেশন ডেডলাইন দেখে আবেদন করুন।
একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করলে সুযোগ বাড়বে।
আবেদন ফি কত এবং কীভাবে দিতে হয় তা দেখে নিন।
৫. স্কলারশিপ ও ফান্ডিং
বিদেশে পড়াশোনার খরচ অনেক বেশি হতে পারে, তাই স্কলারশিপ পাওয়ার চেষ্টা করুন।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্কলারশিপ:
Chevening Scholarship (UK)
Fulbright Scholarship (USA)
Erasmus Mundus Scholarship (EU)
DAAD Scholarship (Germany)
Commonwealth Scholarship
৬. স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত হলে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। ভিসার জন্য প্রয়োজন হতে পারে:
বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার
ব্যাংক স্টেটমেন্ট (ফান্ডের প্রমাণ)
মেডিকেল চেকআপ
ভিসা ইন্টারভিউ
৭. থাকার ব্যবস্থা ও প্রস্তুতি নেওয়া
থাকার ব্যবস্থা (হোস্টেল, রেন্টেড অ্যাপার্টমেন্ট) আগে থেকেই ঠিক করে নিন।
স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিবেশ সম্পর্কে জানুন।
বিমানে টিকিট বুক করুন এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র প্রস্তুত করুন।