01/09/2019
..:: ভারত ভ্রমণে ভিসা পেতে যা করতে হবে ::..
================================
কথিত আছে, এক ভারত পুরোটা ঘুরে দেখলেই নাকি পৃথিবীর সব মহাদেশ ঘোরার আমেজ পাওয়া যায়। ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সম্মিলনসহ দেশটিতে রয়েছে অসংখ্য মোহনীয় পর্যটন স্পট। সাধ ও সাধ্যের মধ্যেই দেখতে পারবেন নদী, সমুদ্র, পাহাড় আর মরুভূমির নজর কাড়া দৃশ্য। সেই সঙ্গে ভারত অধ্যুষিত ভূস্বর্গ কাষ্মিরও। তাই ভারতে যেতে আগ্রহী পর্যটকদের সুবিধার্থে ভারতীয় ভিসা সংক্রন্ত তথ্য উপস্থাপন করা হলো।
ভিসার জন্য ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন, রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ, বরিশাল, যশোর, ঠাকুরগাঁও, সাতক্ষিরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও বগুড়াতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে (আইভিএসি) আবেদন জমা দিতে হবে।
# যে বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে:
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------
১. আবেদনের তারিখে পাসপোর্টের মেয়াদ ছয় মাস বা তার বেশি থাকতে হবে। সঠিক নিয়মে ফর্ম পূরণ করতে হবে। আপনার ফর্ম পূরণের সময় একটি তারিখ জানতে চাইবে আপনি কবে ভিসা ফর্ম জমা দিবেন। আপনার সুবিধা মত তারিখ নির্বাচন করুন।
২. ব্যাংক থেকে ১৫০ ডলার কিংবা তার বেশী পাসপোর্ট এ এন্ডোস করা থাকতে হবে। সাথে সার্টিফিকেট নিতে ভুলবেন না। যদি ডলার এন্ডোস না করেন তবে আপনার গত তিন মাসের ব্যাংক এস্টেটম্যান্ট জমা দিতে হবে। ব্যাংকে কমপক্ষে ২০,০০০/= ( বিশ হাজার টাকা ) সমাপনী ব্যালেন্স রেখে স্টেটমেন্ট জমা দিবে।
৩. নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট বা ন্যশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি নিবেন। যদি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বা অফিসের আইডি থাকে তাও ফটোকপি জমা দিবেন। (একটা মূল কপি নিয়ে যাবেন, যদি লাগে তারা নিবে; কাজ শেষে ফেরত দিবে।)
৪. আপনি কি করেন তা প্রমাণের জন্য যে কোন সার্টিফিকেট নিবেন (ব্যবসা হলে আপনার ট্রেড লাইসন্সের ফটোকপি কিংবা চাকুরী করলে যথাযত পক্ষের থেকে লেটার নিতে হবে। উভয়ক্ষেত্রে ভিজিটিং কার্ড নিবেন)। অফিস থেকে ছুটি মঞ্জুরের অনুমতিপত্র ও জমা দিতে হবে।
৫. কমিশনার বা চেয়ারম্যানের সনদপত্র হলে চলবে। যে বাড়ির ঠিকানা আপনার পাসপোর্টে উল্লেখ করা আছে সেই বাড়ির বিদ্যুৎ, পানি, ফোন, গ্যাস বিলের ফটোকপি জমা দিন। একটা মূল কপি নিয়ে যাবেন যদি লাগে তারা নিবে। কাজ শেষে ফেরত দিবে।
৬. ট্যুরিস্ট ভিসা ৬ মাস থেকে ১ বছরের জন্য প্রদান করা হয়। এটার মেয়াদ কোন ভাবেই বাড়ানো যায় না। তবে সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য আবেদনের প্রেক্ষিতে ৫ বছরের ট্যুরিস্ট ভিসা প্রদান করা হতে পারে।
৭. চিকিৎসা সংক্রান্ত ভিসার জন্য যেতে হলে ডাক্তারের নাম, ভিজিটিং কার্ড, এপয়েন্টম্যান ডেট, রুগীর সকল কাগজপত্র, বাংলাদেশের ডাক্তারের রের্ফাড এর কাগজ জমা দিতে হবে। চিকিৎসা সংক্রান্ত ভিসার মেয়াদ বাড়ানো যায়।
৮. অফিসিয়াল আমন্ত্রণ পেলে সেই আমন্ত্রন পত্রে কপি জমা দিতে হবে।
৯. ট্রানজিট ভিসার ক্ষেত্রে নেপাল বা ভুটানের ভিসা আগে নেয়াটা ভাল। সে ক্ষেত্রে আপনি ৭২ (বাহাত্তর ঘণ্টা) ভারতে অবস্থানের সুযোগ পাবেন।
১০. ভিসা ফি - 8০০/= (আটশত টাকা মাত্র )
১১. ভিসা ফর্ম জমা নেয়ার সময় সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা (সময় পরির্বতন করা হয়)
১২. পার্সপোট ফেরত দেয়ার সময় বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা (সময় পরির্বতন করা হয়)
১৩. ভিসা সেন্টারে ফোন ব্যবহার নিষেধ। ভিসা সেন্টারে বড় কোন ব্যাগ সাথে রাখা যাবে না।
১৪. ছবির মাপ ২ ইঞ্চি বাই ২ ইঞ্চি হতে হবে, বেশী পুরানো হলে চলবে না। বর্তমান চোহারা ফুটে উঠতে হবে!
১৫. কমপক্ষে বিশ দিন আগে ভিসার জন্য আবেদন করা ভাল।
ভিসা প্রসেসিং এর জন্য আজই যোগাযোগ করুন।
+8801715017100 (Call or Whatsapp)
+918016661473 ( Availabe call & whatsapp when stay in India.)