04/02/2020
চট্টগ্রাম কে আখ্যায়িত করা হয় “সাগরিকা” নামে। কারণটি নিশ্চয়ই সবার জানা। বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে অবস্থিত এই অঞ্চলটি সেই শত শত বছর ধরেই সুপরিচিত। এখানেই রয়েছে বাংলাদেশের বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর।দেশের বিভাগসমূহের পরিচিতি নিয়ে চকবোর্ডের নিয়মিত আয়োজনে আজ থাকছে চট্টগ্রাম বিভাগ।
চট্টগ্রাম বিভাগ বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রশাসনিক বিভাগ। এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিভাগ, যা দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই এই বিভাগটি গঠিত হয়। এর উত্তরে ঢাকা ও সিলেট বিভাগ, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর ও মায়ানমারের আরাকান প্রদেশ, পূর্বে ভারতের মিজোরাম, ত্রিপুরা ও মায়ানমারের চীন প্রদেশ এবং পশ্চিমে ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের অবস্থান। চট্টগ্রাম বিভাগ বনজ সম্পদ, মৎস্য সম্পদ, খনিজ সম্পদ ইত্যাদিতে ভরপুর এবং প্রচুর দর্শনীয় স্থান রয়েছে এখানে।
চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ:
চট্টগ্রাম: আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ, আলওয়াল মসজিদ, ওয়ালী খান মসজিদ,কধুরখীল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাচীন মৃৎভবন ও পার্বতী চরণ দীঘি, গুপ্ত জমিদার বাড়ি, চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিং, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর, চাকমা রাজবাড়ি, ডিসি হিল, দুধপুকুরিয়া-ধোপাছড়ি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, পতেঙ্গা, ফতেহপুর শিলালিপি, ফয়েজ লেক,বখশী হামিদ মসজিদ, বদর আউলিয়ার দরগাহ, বাঁশখালী ইকোপার্ক, বাংলাদেশ রেলওয়ে জাদুঘর, বাটালি পাহাড়, বাড়ৈয়াঢালা জাতীয় উদ্যান, বায়েজদ বোস্তামীর মাজার, বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকো-পার্ক-সীতাকুন্ড, ভুজপুর জমিদার বাড়ি, ভৈরব সওদাগরের জমিদার বাড়ি, মঘাদিয়া জমিদার বাড়ি, লালদীঘি, শেখ রাসেল পক্ষিশালা ও ইকোপার্ক, হাজারিখিল বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য।
এছাড়া ও মীরসরাই উপজেলায় রয়েছে- খৈয়াছড়া ঝর্ণা, নাপিত্তাছড়া ঝর্ণা, মহামায়া হ্রদ।
কক্সবাজার: ইনানী সমুদ্র সৈকত, ইলিশিয়া জমিদার বাড়ি, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, ফাসিয়াখালি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য, মেরিন ড্রাইভ কক্সবাজার, রাংকূট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহার, হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান, সেন্টমার্টিন দ্বীপ; ছেঁড়া দ্বীপ, শাহপরীর দ্বীপ, তৈঙ্গা চূড়া, টেকনাফ বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য, সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক, টেকনাফ সমুদ্র সৈকত, মাথিনের কূপ, বাংলাদেশ-মায়ানমার ট্রানজিট জেটিঘাট, শীলখালী চিরহরিৎ গর্জন বাগান, মারিশবনিয়া সৈকত।
কুমিল্লা: শালবন বৌদ্ধ বিহার, ময়নামতি ওয়ার সিমেট্র, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বার্ড), শাহ সুজা মসজিদ, বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন, উটখাড়া মাজার, বায়তুল আজগর জামে মসজিদ, নূর মানিকচর জামে মসজিদ, কবি তীর্থ দৌলতপুর (জাতীয় কবি কাজী নজরুলের স্মৃতি বিজড়িত স্থান, গোমতী নদী, নওয়াব ফয়জুন্নেছার স্বামী গাজী চৌধুরীর বাড়ী সংলগ্ন মসজিদ, ধর্ম সাগর, খৃষ্টান কবরস্থান।
খাগড়াছড়ি: কমলক ঝর্ণা, তৈদুছড়া ঝর্ণা, মং রাজবাড়ি, রিছাং ঝর্ণা।
চাঁদপুর: ছোট হলুদিয়া এক গম্বুজ মসজিদ,অঙ্গীকার স্মৃতিসৌধ, আলমগীরী মসজিদ, ওনুয়া স্মৃতি ভাস্কর্য, কড়ৈতলী জমিদার বাড়ি, গজরা জমিদার বাড়ি, চৌধুরী বাড়ি, তুলাতুলী মঠ, পর্তুগীজ দুর্গ, সাহেবগঞ্জ, বখতিয়ার খান মসজিদ, বড়কুল জমিদার বাড়ি, বলাখাল জমিদার বাড়ি, মনসা মুড়া, মিনি কক্সবাজার, চাঁদপুর, রক্তধারা স্মৃতিসৌধ, রূপসা জমিদার বাড়ি, লোহাগড় জমিদার বাড়ি, লোহাগড় মঠ, শহীদ রাজু ভাস্কর্য (চাঁদপুর), শাহাবুদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ, শোল্লা জমিদার বাড়ি, সত্যরাম মজুমদারের মঠ, সাহাপুর রাজবাড়ি
এছাড়া ও হাজীগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে- ঐতিহাসিক হাজীগঞ্জ বড় মসজিদ।
নোয়াখালী: কল্যান্দি জমিদার বাড়ি, নিঝুম দ্বীপ,নোয়াখালী জেলা জামে মসজিদ, বজরা শাহী মসজিদ, ভাসানচর, মাইজদী কোর্ট বিল্ডিং দীঘি, রমজান মিয়া জামে মসজিদ, পৈার পার্ক।
ফেনী: সোনাগাজী মুহুরী সেচ প্রকল্প, শিলুয়ার শীল, শুভপুর ব্রীজ, চাঁদগাজী ভূঁঞা মসজিদ।
লক্ষীপুর: কামানখোলা জমিদার বাড়ি, শ্রীরামপুর রাজবাড়ী।
বান্দরবান: বুদ্ধ ধাতু জাদি, নাফাখুম জলপ্রপাত, ঋজুক জলপ্রপাত, আলীর সুরঙ্গ, রূপমোহরী ঝর্ণা, স্বর্ন মন্দির, নীলাচল, ঋজুক ঝর্ণা, তিন্দু, তিনাফ সাইতার, দেবতাপুকুর লেক, শৈল প্রপাত, মেঘলা, নীলাচল, রাজবিহার, উজানিপাড়া বিহার, চিম্বুক পাহাড়, উপজাতীয় গ্রাম, নীলগিরি, থানচি, বগালেক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: বাড়িউড়া প্রাচীন পুল, রূপসদী জমিদার বাড়ি, হরষপুর জমিদার বাড়ি, হরিপুর বড়বাড়ি।
রাঙ্গামাটি: কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান, কাপ্তাই হ্রদ, ধুপপানি ঝর্ণা, মুপ্পোছড়া ঝর্ণা, শুভলং ঝর্ণা, সাজেক, হাজাছড়া ঝর্ণা।
আগামীকাল থাকছে 'রাজশাহী' বিভাগ। থাকুন উল্লাস এর সাথেই।