ছানার বিশ্ব ভ্রমণ - Sana's world tour

ছানার বিশ্ব ভ্রমণ - Sana's world tour প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাই।

06/11/2024

চট্টগ্রাম সীবিচ থেকে স্প্রিট বোটে করে বঙ্গোপসাগরে ঘুরে আসার মজাই আলাদা।

11/10/2024

CRB.
বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তর হচ্ছে সিআরবি।

07/09/2024

ইন্ডিয়ান রাজাকার ও ভারতের দালালদের পরিচয় ফুটে উঠছে।

05/09/2024

হাসিনা পতনের ১ মাস, কিন্তু নতুন সরকারের ১ মাস হতে আরও ৩ দিন বাকী।

20/06/2024

গ্রাউন্ড প্যালেস, ব্রাসেলস, বেলজিয়াম।

15/06/2024

বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনিদেরকে নিয়ে খুব শীঘ্রই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর কমিটি গঠন করা হবে ইনশাআল্লাহ।
মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম ছাত্র সংসদ (বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ।, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল এর সহযোগী সংগঠন।)

ফুরোমোন পাহাড় ভ্রমন      মোহাম্মদ ছানা উল্যাহ . রাঙ্গামাটি জেলার সর্বোচ্চ চূড়ার নাম ফুরোমোন। ইহা রাঙামাটির মানিকছড়ি থান...
07/06/2024

ফুরোমোন পাহাড় ভ্রমন
মোহাম্মদ ছানা উল্যাহ . রাঙ্গামাটি জেলার সর্বোচ্চ চূড়ার নাম ফুরোমোন। ইহা রাঙামাটির মানিকছড়ি থানার সাপছড়িতে অবস্থিত। পায়ে হেটে সেই চূড়ায় উঠতে আমাদের সময় লেগেছে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘন্টা এবং খাড়া পাহাড়ী পথে নামতে সময় লেগেছে প্রায় আড়াই ঘন্টা। আমার জীবনের কঠিন এই ভ্রমনের বর্ণনা করতে বসলাম। ২০১৪ সালে বান্দরবান, তাজিং ডং বিজয় চূড়ায় উঠে যে আত্মতৃপ্তি অনুভব করেছিলাম, ফুরোমোন উঠে সেই তৃপ্তির জায়গাটা ছিল অন্য রকম। . ০২ আগষ্ট ২০১৭ খ্রিঃ সকাল বেলা রওনা দিলাম কক্সবাজার হতে। সাথে আছে তারেক আহমেদ, সোহেল রানা ও মিলন। আমাদের গন্তব্য নির্ধারিত না থাকলেও বান্দরবান -বাঙালখালী হয়ে রাঙ্গামাটি যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। বান্দরবান চা বিরতী দিয়ে সোজা চলে যাই বাঙ্গালখালী বাজারে। সেখানে গিয়ে সিদ্ধান্ত হলো আমরা রাঙ্গামাটি যাব এবং সেখানে আমরা গত ১৩ই জুন সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি ও পাহাড় ধস দেখে ফিরে আসব। সেই মোতাবেক বাঙ্গালখালীতে নাস্তা খেয়েই আবার রওনা দিলাম। বাঙ্গালখালী থেকে লিচু বাগান ফেরী পার হয়ে কাপ্তাই সড়ক ধরে রওনা দিলাম। চন্দ্রঘোনা পেপার মিলের সামনে দাঁড়ালাম শুধু ছবি তোলার জন্য। বাদসাধল নিরাপত্তাকর্মী। বলল ছবি তোলা নিষেধ। ততক্ষনে তারেক ফোন করে এক বন্ধুর সাথে যোগাযোগ করল যে এই পেপার মিলেই চাকরী করে। পরে তার সুবাদে আমরা প্রবেশ করলাম। ধ্বংশের দাড়প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা স্বর্ণালী ইতিহাসের স্বাক্ষী সেই পেপার মিলে। বিশাল জায়গা জুড়ে কর্নফুলীর তীর ঘেষা ব্রিটিশের স্থাপনা সমূহ দেখলাম। যা শুধু এখন নিঃশেষ হওয়ার অপেক্ষায়। সেখান থেকে বেরিয়ে গাড়ি ছুটল রাঙ্গামাটির দিকে। সবুজ বনানী, পাহাড়, নদী প্রভৃতির সৌন্দর্য মগ্ধতা ক্ষুধাকে দমিয়ে দিল। কাপ্তাই তাপ বিদ্যুতের গেইটে যাওয়ার পর জানলাম গত ১৩ই জুনের ঘুর্নিঝড়ে লেক ঘেষা অবিরাম সৌন্দর্য্যরে আধার সেই রাস্তাটি সম্পূর্ণ ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে গেছে। আবার ফিরে এলাম। বিকল্প সড়ক ধরে পানছড়ি হয়ে ঘাগড়া গিয়ে মিশেছে। গাড়ি আবার প্রধান সড়ক ধরে ঘাগড়া মানিকছড়ি হয়ে রাঙ্গামাটির দিকে ছুটল। সেখানে ভেদভেদী হতে যোগ দিল রূপধন চাকমা(মিঠুন) ও তার আাট বছরের মেয়ে সম্পন্না। আমরা নবরূপা কুটুমবাড়ী রেস্তোরাতে দুপুরের খাবার খেলাম বিকাল ৪:৩০ মিনিটে। আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না- আমরা কি রাঙ্গামাটি থাকব না চলে যাব। খাবার পর আমরা রওনা দিলাম গত ১৩ই জুনে ঘটে যাওয়া ভূমি/ পাহাড় ধ্বংসের চিত্রগুলো দেখার জন্য। এ এক বিভিষিকাময় দৃশ্য। এই ক্ষতি বর্ণনাতীত। স্থানীয় মিঠুন সে দিনের কথা বলতে বলতে চোখে পানি এসে গেল। আমরা একটি উপজাতি পাড়ায় প্রবেশ করলাম। তাদের সাথে কথা বললাম। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পগুলো শুনে মনটা ভরে গেল। ঐ পাড়ায় ৯০% উপজাতিরা, তারা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করা এই মানুষগুলোর হারিয়ে যওয়া আত্মাগুলোর জন্য তাদের ধর্ম মত প্রার্থনা করছে প্রতিনিয়ত। আমরা আসাম বস্তি হয়ে কাপ্তাই যাওয়ার সেই সড়ক ধরে রওনা দিলাম। যে প্রকৃতি শত শত মানুয়ের মৃত্যুর জন্য কাঠগড়া, সেই প্রকৃতিই যে নিমিশে মানুষের মনকে ভাল করে দিতে পারে, এটা তারই প্রমান। এক দিকে কাপ্তাই হ্রদ, নীল জলরাশির মাঝে সবুজ বৃক্ষরাজি তার বুকে দাঁড়িয়ে আছে দানবময় বিশাল বিশাল পাহাড়। পাহাড়ের ধ্বংস যঙ্গ ও প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখতে দেখতে কখন যে সন্ধ্যা হয়ে গেল বুঝতে পারিনি। প্রকুতির সৌন্দর্য মগ্ধতায় সিন্ধান্ত হলো আমরা আজ রাঙ্গামাটি থাকছি। উপজাতি পাড়া পেরিয়ে আমরা মাগরিবের নামায পড়ে চলে এলাম মনোঘর এলাকায়। সেখানেই মিঠুনদের বসবাস। সেখানে গিয়ে তাদের অবস্থা দেখে মনটা খারাপ হয়ে গেল। তাদের ঘরটা পুরো ভেঙ্গে গেছে। তাদের ভিটায় গিয়ে বুকটা হু হু করে কেঁদে উঠল। এত কিছুর পরও তারা দিব্বি স্বাভাবিক আছে। তারা উঠেছে মনোঘর স্কুলের একটি ক্লাস রুমে। সেখানে তার বাবা, মা ও ছোট ভাই থাকে। তার পরিবার সারাদিন সেখানেই থাকে কিন্তু ঘুমাতে যায় কোন একটি ক্লাস রুমের কক্ষে, যেখানে সকালে ক্লাস হয়। এমন বহু পরিবার এখানে আশ্রয় নিয়েছে। প্রবীন (নাম না জানা) এর সাথে কথা হলো, উনার স্ত্রীও মারা গেছে পাহাড় ধ্বংসের মাটি চাপা পড়ে। পুরো গ্রামের সকলের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে, তবুও তাদের আপ্যায়নের কোন কমতি নেই। হৃদয় বিদারক দৃশ্যগুলো দেখে আমরা আসাম বস্তি হয়ে চলে এলাম রিজার্ভ বাজার। এখানে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল রাঙ্গামাটি ব্যবসায়ী সমিতির অর্থ সম্পাদক জনাব আব্দুল্লাহ আল মামুন। হোটেল প্রিন্সে আমাদের বাসস্থান হলো। আমরা কেউ কোন কাপড় চোপড় নেয়নি। ¯েœহ ভাজন মামুন তার বাসা হতে সকলের জন্য লুঙ্গি, গামছা সহ যাবতীয় জিনিসপত্র নিয়ে এল। আমরা একটু বিশ্রাম নিয়েই আবার বেরিয়ে পড়লাম। রাঙ্গামাটি আসলাম আর লেকের পানিতে গোসল করব না তা কি হয়? গোসলের প্রস্তুতি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। রিজার্ভ বাজারের নতুন শহীদ মিনারের পাশে লেকের পাড়ে বিশাল ঘাট। লেকের স্বচ্ছ পানিতে রাতের বেলা সকলে গোসল করে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। এবার খাবারের পালা। গাড়ি নিয়ে ছুটে গেলাম বনরূপা বাজারে। রাতের খাওয়ার শেষে হোটেলে ফিরে এলাম। রাতের সুন্দর ঘুমটা শরীরটাকে সতেজ করে তোলে। সকাল সকাল আমরা বেরিয়ে পড়ি। সকাল ০৭ টায় মামুন এসে হাজির। চলে গেলাম পর্যটনের ঝুলন্ত ব্রীজ দেখতে। ১৩ই জুন সেই করাল আঘাত এখানেও স্পষ্ট। রাস্তাগুলো ভেঙ্গে গেছে। পাহাড়ের ফাটল দেখা যাচ্ছে। লেকের ¯িœগ্ধ বাতাসে গাঁ জুড়িয়ে নিয়ে বেরিয়ে এলাম। এবার যাত্রা রাঙ্গামাটির সর্বোচ্চ পাহাড় চূড়া ফুরোমোন। আমরা নাস্তা করে মামুন ও মামুনের আব্বাকে নিয়ে রিজার্ভ বাজার হতে রওনা দিলাম। মনোঘর স্কুলের সামনে থেকে মিঠুন ও তার মেয়ে সম্পন্নাকে তুলে নিলাম। মিঠুনের পরিবার থেকে বিদায় নিয়ে গাড়ি চলতে লাগল। পথিমধ্যে পাহাড় ধ্বসের সেই ধ্বংস লীলা দেখেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। মামুন বলল, ১৩ই জুন এখানে বালুর বন্যা হয়েছিল। বালুর নীচে চাপা পড়েছে ফসলের ক্ষেত, ঘরবাড়ি সহ সবকিছু। ধ্বংস লীলা দেখতে দেখতে চলে এলাম মানিকছড়ি। সেখান থেকে আমরা সাপছড়ি রোডে প্রবেশ করলাম। সাপছড়ি স্কুলের সামনে গাড়ি রেখে আমরা ফুরোমোন পাহাড়ের চূড়ায় উঠার প্রস্তুতি নিচ্ছি। চূড়ায় উঠার দু’টি রাস্তা- একটি পাহাড়ের গায়ে গায়ে পায়ে হেঁটে একেবারে খাড়া। অপরটি পাহাড়ের ঢাল বেয়ে ইটের সলিং করা আছে। তবে গাড়ি নিয়ে উঠার মতো নয়। তার উপর বৃষ্টি হওয়াতে পথটা খুব পিছলে হয়ে আছে। তার পরও আমরা একটি সিএনজি ঠিক করলাম। কিন্তু একটি সিএনজি দিয়ে আমাদের হবে না- আবার দু’টি সিএনজি পাওয়াও যাচ্ছেনা। ফলে সকলে হেঁটে রওনা দিলাম। মামুনের আব্বা আমাদের সাথে গেলেন না, তিনি একটি দোকানে বসে রইলেন। দুঃসাহসিক এই যাত্রার সাথী হলো তারেক আহমেদ, সোহেল রানা, রূপধন চাকমা(মিঠুন), মিঠুনের আট বছরের কন্যা সম্পন্না, আব্দুল্লা আল মামুন, মিলন ও আমি। ৯:৩০ মিনিটে আমরা পদব্রজে যাত্রা শুরু করলাম। সাথে যৎসামান্য খাবার পানি, ডাবের পানি, স্যালাইন নিয়ে যাত্রা করলাম। যাত্রার পরও বুঝতে বাকি রইল যে, যাত্রা আমাদের জন্য কত কঠিন হবে। সমতল ভূমি হতে আমরা পাহাড়ের উচ্চতার দিকে ধাবিত হচ্ছি। সাথে প্রতিযোগিতা দিয়ে বাড়ছে সূর্যের তাপ। সবুজের মাঝে হাঁটতে ভাল লাগল। রোদের কারণে সবাই ক্লান্ত। হাটি হাটি পা পা করে আমরা গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। উচু নিচু পাহাড় টিলা পেরিয়ে আমরা উপরের দিকেই যাচ্ছি। পথের মধ্যে বেশ কিছু উপজাতি কাঠুরে বসে বিশ্রাম নিচ্ছে। চলতি পথে বললাম আমরা চূড়ায় উঠব। তারা ভেংচি কেটে বলল, চূড়াতে? পারবা? আরও কিছু দুরে উঠে বসলাম গাছের ছায়ায়। তারেক, মামুন তারপর আমি। পরেই আছে মিলন, সোহেল রানা, রূপধন চাকমা ও সম্পন্না। সময় যতই যাচ্ছে সূর্যের তীব্রতা ততোই বাড়ছে। সাথে নেওয়া পানি শেষ হয়ে গেল। আমরা অর্ধেকও উঠতে পারি নাই। সকলে গরমে ক্লান্ত হয়ে গেল, কিন্তু হাঁটা বন্ধ নেই। কখনও বসে, কখনও শুয়ে বিশ্রাম নিয়ে আবার হাঁটা শুরু। আমরা যেখান থেকে পদযাত্রা শুরু করেছিলাম তা ০৩(তিন) কিলোমিটার পূর্ণ হলো। বিশাল এক বন্য গাছের ছায়ায় দম নিয়ে আবার যাত্রা শুরু। এবারের পথটা একেবারেই খাড়া পাহাড়। প্রায় ১১০ ডিগ্রি এঙ্গেলে প্রায় ২০০ ফুট অতিক্রম করতে হবে। পাহাড় যত খাড়া হয়, কষ্ট ততো বেশি। বেশি কষ্ট হচ্ছে রূপধনের, কারণ তার আট বছরের সম্পন্নাও তার কাঁধে চড়ে উঠেছে। তার উপর সূর্য মামাটা ঠিক মাথার উপর। অনেক টুকু উঠে আমি ও তারেক ছায়ায় আশ্রয় নিলাম। মামুন ও মিলনকে দেখা যাচ্ছে। পরবর্তীতে সোহেল রানা আসলেও রূপধনকে দেখা যাচ্ছেনা। আমি ভয় পেয়ে গেলাম।

সম্পন্নাকে নিয়ে নানা ভাবনা ভয় পাইয়ে দিল। না- অবশেষে বাবা মেয়ে এসেছে। রূপধনের চেহারার মধ্যে তার কষ্টের ছাপ পড়েছে। তবে সম্পন্না যখন বলল, তার বমির ভাব হচ্ছে, তখন খুব ভয় পেয়েছিলাম হিট স্টোকের কথা ভেবে। এমনি করে প্রায় সাত কিলোমিটার পথ অতিক্রম করলাম আমরা। নানান ভয়, শংকা, ক্ষুদা ও তৃষ্ণার্ত অবস্থায় আমরা এসে পৌঁছালাম, যেখানে পাহাড় কেটে সমতল করে দু’টি ভবন বানানো হয়েছে। সেখানে ২/৩ জন ভান্তে (বৌদ্ধ ধর্মের গুরু) কে দেখা যাচ্ছে। রূপধন এগিয়ে গিয়ে ধর্মীয় রীতি অনুসরণে প্রনাম করে তাদের সাথে দেখা করে পানি ও খাবারের কথা বল্ল। শ্রদ্ধেয় ভান্তেদ্বয় আমাদেরকে দুই প্যাকেট বিস্কুট, সম্পন্নার জন্য জুস ও এক প্যাকেট টিস্যু দেয়। আর পানি সেখান থেকে আরও ৮০ ফুট নীচে গিয়ে আনতে হলো। মামুন ও রূপধনকে ধন্যবাদ দিয়ে শেষ করা যাবেনা এত ক্লান্ত শরীরে পানি আনার জন্য। এখানে বসে আমরা বিস্কুট ও পানি খেয়ে পেটের কৃমিগুলোকে সান্তনা দিলাম। ছায়াঘেরা এই সবুজ প্রান্তরে শীতল বাতাসে গা জুড়িয়ে নিলাম। তার সামান্য দুরেই ফুরোমোন সাধনাতীর্থ আন্তর্জাতিক বনধ্যান কেন্দ্র। সেখানে একজন ভান্তে ধ্যান মগ্ন ছিল। রূপধন ও সম্পন্না উনার সাথে সাক্ষাত করে আমাদের আগমনের কারণ জানান। ভান্তে মহোদয় আমাদের সাথে কথা বলেন এবং কষ্ট করে আর একটি চূড়া উঠতে বলেন। সেখানে উঠলে রাঙ্গামাটি ও চট্টগ্রাম শহর দেখা যাবে বলে জানান। উনার কথায় অনুপ্রানিত হয়ে আমরা ফুরোমনের সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠা শুরু করলাম। প্রায় ৩০০ টি সিঁড়ি অতিক্রম করে আমরা যখন সর্বোচ্চ চূড়ায়, তখন অনুভব করলাম সৌন্দর্যের এক ভান্ডার আমাদের শত কষ্টকে দুর করে দিল। মেঘ ও বৃষ্টি হচ্ছে আমাদের অনেক নিচে। তার অর্থ হচ্ছে আমরা মেঘেরও উপরে। মোবাইলে লক্ষ্য করলাম তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গৌতম বুদ্ধের একটি মুর্তি ও তাদের উপাসনালয় আছে এখানে। আমি, মামুন ও সোহেল রানা সেখানে যোহরের নামাজ আদায় করলাম। সেখানে কেউ থাকেনা এবং সিঁড়ির অবস্থা দেখে মনে হলো গত ১০/১৫ দিন ধরে সেখানে কেউ উঠেও নি। কিন্তু সেখানে চারদিকে এত সুন্দরভাবে সাজানো গোছানো ও পরিষ্কার যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। পায়ের নীচে বালিমাটি। মাটির উপরে এমন এক ধরনের শ্যাওলা জাতীয় উদ্ভিদ দেখা যাচ্ছে যা কার্পেটের চেয়েও আরামদায়ক, সম্পূর্ণ মেঝেটাকে সবুজ করে তুলেছে। সামান্য বাতাসেই সকলে শীত অনুভব করলাম আর চারপাশে যেভাবে মেঘ উড়ছে মনটা জুড়িয়ে গেলেও ভয় হচ্ছে কখন বৃষ্টি শুরু হয়। আমরা যেই পথে উঠেছি সেই পথে নামবনা। নামব খাড়া পাহাড়ি মেঠো পথে। ফলে বৃষ্টি হলে পথটি অনেক বেশি বিপদ জনক হয়ে যাবে। বৃষ্টির কথা ভেবে তাড়াতাড়ি নামতে চাইলেও মন নামতে চাচ্ছেনা। মেঘ যেখান থেকে সরে যায় সেখান দিয়েই এক অনিন্দ সৌন্দর্য ভেসে ওঠে, সূর্যের আলো হেসে ওঠে। এমন সৌন্দর্য ছেড়ে কার মন যেতে চায় বলেন। তবুও নির্দিষ্ট সময়ে নিরাপদ দুরত্বে যেতে হবে। তাই এবার ফেরার পালা। সকলেই খুবই সাবধানে নামছি। সর্বশেষে যেই ৩০০ সিঁড়ি অতিক্রম করেছিলাম তা খুবই পিচ্ছিল। খুব ধীর গতিতে আমরা নামছি। তার মধ্যে একবার মামুন পিছলে খেয়ে ৩/৪ সিঁড়ি নিচে পড়ে যায়, তবে কোন আঘাত পায়নি। যাই হোক সকলে বিপদ জনক এই পথ পাড়ি দিয়ে নতুন অপরিচিত পাহাড়ি জঙ্গলময় পথে রওনা দিলাম। অচেনা এই পথে সহযোগীতার জন্য মোবাইলে যুক্ত আছেন রুপধনের এক মামা ও সুমিত্রা চাকমা, কাউন্সিলর- সংরক্ষিত মহিলা আসন। তবে আশার কথা এখান দিয়ে লোক চলাচল আছে বলেই মনে হয়। প্রথম দিকে পথটা যতটুকু সহজ মনে হচ্ছিল বাস্তবে তা অনেক কঠিন ও বিপদ জনক। স্থানে স্থানে পাহাড় ধ্বসের কারণে পথটি অত্যাধিক ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রায় ৩০ মিনিট নামার পর আমরা একটি ক্যায়াং (বৌদ্ধ উপাশনালয়) এর কাছে এলাম, যেটা নিচে সাপছড়ি স্কুলের সামনে হতে দেখা যায়। এখানে কঠিন চীবর দানের অনুষ্ঠান করা হয়- বুনা হয় বেইন। সেখান থেকে একটি ঝর্নার পথ ধরে আমরা আবার রওনা দিলাম। সামনেই কলার বাগান। সেই বাগানে বানরের ঝাঁক। দেখে পুলকিত লাগলেও খুবই ভয় পাচ্ছিলাম কখন আবার আক্রমন করে। কিছু দুর নামতেই চোখে পড়ল বিশাল এক পাহাড় ধ্বসে পড়েছে।.

বেলজিয়াম, ব্রাসেলস ভ্রমণ (হাসতে মানা)ব্রাসেলসে বিমানবন্দর থেকে হোটেলে গাড়ি ভাড়া নিল ৫০ ডলার। যা আমাদের কাছে অনেক বেশি মন...
31/05/2024

বেলজিয়াম, ব্রাসেলস ভ্রমণ
(হাসতে মানা)
ব্রাসেলসে বিমানবন্দর থেকে হোটেলে গাড়ি ভাড়া নিল ৫০ ডলার। যা আমাদের কাছে অনেক বেশি মনে হচ্ছিল। তার উপর ড্রাইভারের ব্যবহার টাও ভালো মনে হলো না। বিশ্বের উন্নত শহরের অন্যতম বেলজিয়ামের ব্রাসেলস। আসার সময় হোটেল হতে বিমান বন্দর নিল বিশ ডলার।
আমরা হোটেলে উঠে ফ্রেশ হয়ে আবার বের হলাম রাতের খাবার খাব এবং ঘুরবো।
ব্রাসেলস এর বিখ্যাত স্থান গুলোর একটি হচ্ছে Peeing boy। দেশে থাকতেও অনেকে বলেছে এখানে আসতে। আর এখানে এসে মনে হলো আমার চাইতে বোকা মনে হয় পৃথিবীতে আর কেউ নাই। ইহা একটি মূর্তি/ ভাস্কর্য। যেখানে ১টি শিশু প্রস্রাব করছে। তবে স্বস্তি পেলাম এটা দেখে যে, অনেক লোক এটা দেখার জন্য আসছে এবং ছবি ও সেলফি তুলছে।
তারপর দিন খুব ভোরে উঠে চলে গেলাম ADB Safegate এর ফ্যাক্টরি ও ট্রেনিং সেন্টারে। AGL system এর উপর ট্রেনিং শেষ করে বের হলাম পুরো ব্রাসেলস ঘুরবো। টিকেট কাটা হলো। এক টিকেটে বাস ও ট্রেন যে কোন পরিবহনে ভ্রমণ করা যাবে। আমরা বিশ্ব বিখ্যাত এটম চত্ত্বর (Atomium Brussels) দেখার পর বাসে চেপে বসলাম, ব্রাসেলস শহর ঘুরে দেখবো বলে। বাস চলছে, যাত্রী উঠছে নামছে টিকেট চেক করার কেউ নেই। যাত্রীরাই নিজ উদ্যোগে ড্রাইভারকে টিকেট দেখাচ্ছে বা বাসে উঠতেই একটা পয়েন্ট আছে টিকেট টা সেখানে স্পর্শ করলেই সেন্সরের মাধ্যমে টিকেট কাউন্ট হচ্ছে। আমরা চারপাশে দেখছি। বাস ঘুরতে ঘুরতে এক সময় এসে দাড়িয়ে গেল, বুঝলাম যে বাসের গন্তব্য শেষ। আমরা বাস থেকে নেমে অারেকটি বাসে উঠলাম এই বাসটিও আগের যায়গা ঘুরে এসে একই স্টেশনে দাড়ালো। আমরা বোকা হলেও তা কাওকে বুঝতে দিলাম না। এবার আমরা গিয়ে উঠলাম ট্রেনে। ট্রেন চলতে লাগলো ট্রেনও চলতে চলতে আগের স্টেশনে এসে দাড়ালো। অর্থাৎ আমরা একই যায়গায় তিন বার ঘুরলাম। আমরা বিন্দু মাত্রও বোকা হইনি বরং পূর্ণোদ্দমে আরেকটি ট্রেনে উঠলাম এবং পুরো ব্রাসেলস কে দেখলাম।
HiLights
Following
Everyone Products
Everybody Love

সী-বিচ, পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।
31/05/2024

সী-বিচ, পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।

28/04/2024

চট্টগ্রামের মেজবান চলের। বন্ধু লোকমানের বাড়ীতে, জামতলা, ফকিন্নীর হাট, কর্ণফুলী থানা, আনোয়ারা, চট্টগ্রাম।

ব্রাসেলস, বেলজিয়াম।
07/04/2024

ব্রাসেলস, বেলজিয়াম।

জেনেভা, সুইজারল্যান্ড, ইউরোপ।
07/04/2024

জেনেভা, সুইজারল্যান্ড, ইউরোপ।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে একটি হচ্ছে জাতিসংঘ অফিস চত্বর। জাতিসংঘ অফিসের গেটে...
03/04/2024

সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে একটি হচ্ছে জাতিসংঘ অফিস চত্বর। জাতিসংঘ অফিসের গেটের সামনে টানানো আছে এক বিশাল ভাঙা চেয়ার। এর তিন পা আছে কিন্তু আর এক পা দোমড়ানো-মোচড়ানো মাঝখান থেকে ভাঙা। জাতিসংঘ অফিসের গেটে এমন একটি ভাঙা চেয়ার থাকার কারণ তো অবশ্যই রয়েছে।

ভুমি মাইন ও গুচ্ছ বোমার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের এক প্রতীক স্বরূপ এই ভাঙ্গা চেয়ার। চেয়ারের নিচে ভূমিতে খোদাই করে লেখা আছে সশস্ত্র সহিংসতার বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ। এই ভাঙা চেয়ার হচ্ছে ভঙ্কুরতা ও সামর্থ্য, অনিশ্চয়তা ও স্থিতিশীলতা, নিষ্ঠুরতা ও মর্যাদার প্রতীক।
২১ শতকের সবচেয়ে শিল্প প্রতিকী হিসেবে খ্যাত কাঠের তৈরী এই স্মারক ভাস্কর্যটি তৈরী করেছেন সুইস শিল্পী ডেনিয়েল বারসেট ও মিস্ত্রি লুইস। এই ভাস্কর্যটি তৈরি করতে সাড়ে পাঁচ টন কাঠ লেগেছে। এর উচ্চতা ১২ মিটার।
ভাঙা চেয়ারটি জাতিসংঘে আসা নানা রাজনৈতিক ব্যক্তি ও অন্যদের স্মরণ করিয়ে দেয় এই প্রতিবাদের কথা। এর বার্তা হচ্ছে- ভূমি মাইন ও গুচ্ছ বোমার শিকার বেসামরিক লোকদের স্মরণ করা, ভূমি মাইন নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে নিজ নিজ সরকারকে চাপ দেওয়া। এটি মূলত: জাতিসংঘে আসা বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিদেরকে মনে করিয়ে দিতে চায় যে, ভূমি মাইন ব্যবহার বন্ধ না করলে তারা যে চেয়ারে বসে আছে তার নিচেও একটি ভূমি মাইন থাকতে পারে যা বিস্ফোরণ ঘটে তাদের একটি উড়ে যেতে পারে।
হ্যান্ডিক্যাপ ইন্টারন্যাশনাল ১৯৯৭ সালের ১৮ আগস্ট জেনেভায় জাতিসংঘের প্রবেশ পথের বিপরীতে ভাঙ্গা চেয়ারের ভাস্কর্যটি স্থাপন করে। উদ্দেশ্য হল ভূমি মাইনে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং ভূমি মাইন বিষয়ে ডিসম্বর ১৯৯৭ সালে স্বক্ষরিতব্য অটোয়া চুক্তিতে অধিক সংখ্যক দেশের সম্মতি লাভ করা। ১৯৯৯ সালের ১ মার্চ-এ ৪০টি দেশের অনুমোদনের মাধ্যমে অটোয়া চুক্তি আন্তর্জাতিক আইন হিসেবে কার্যকর হয়। পরে বহু দেশ কর্তৃক এই চুক্তি অনুমোদন না করা এবং অধিক জনসমর্থনের জন্য এই স্বাক্ষরটি ২০০৫ সাল পর্যন্ত প্রদর্শন করা হয়। সাময়িকভাবে এটি সরিয়ে ফেলা হলেও ২০০৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তা পুনঃস্থাপন করা হয়।

১৯৯৭ সালে প্রথম জাতিসমূহকে ভূমি মাইন নিষিদ্ধ করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা এবং পরে ২০০৭ সালে গুচ্ছ বোমা নিষিদ্ধের লক্ষ্য নিয়ে ভাঙা চেয়ার স্থাপন করা হলেও এটি বর্তমানে ভূমি মাইন ও গুচ্ছ বোমায় বেসামরিক লোকজনের হাত-পা নষ্ট হয়ে যাওয়ার বিধি এক প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়।
Viral 24

জাতিসংঘের কার্যালয়ের সামনে। জেনেভা, সুইজারল্যান্ড।
02/04/2024

জাতিসংঘের কার্যালয়ের সামনে। জেনেভা, সুইজারল্যান্ড।

03/11/2023

বাংলাদেশের সবচেয়ে ক্ষরস্রোতা কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত একমাত্র সড়কপথ বঙ্গবন্ধু টানেল ভ্রমণ। আনোয়ারা থেকে পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।

11/10/2023

মজার শীতকাল আসলো বলে।

ঢাকা -চট্টগ্রাম -বান্দরবান -থানচি -শেড়কর পাড়া/ হেডম্যান পাড়া- তাজিংডং -বিজয় চূড়া (বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চূড়া) বিজয়ের শ্বাস...
08/09/2023

ঢাকা -চট্টগ্রাম -বান্দরবান -থানচি -শেড়কর পাড়া/ হেডম্যান পাড়া- তাজিংডং -বিজয় চূড়া (বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চূড়া) বিজয়ের শ্বাস রুদ্ধকর এক ভ্রমণ কাহিনী আসছে।

ভাতিজা ও ভাগনীর সেলফি। রাসমনি ঘাট, কাট্রলী বীচ, চট্টগ্রাম।
27/08/2023

ভাতিজা ও ভাগনীর সেলফি। রাসমনি ঘাট, কাট্রলী বীচ, চট্টগ্রাম।

Address

Chittagong
4216

Opening Hours

Monday 09:00 - 17:00
Tuesday 09:00 - 17:00
Wednesday 09:00 - 17:00
Thursday 09:00 - 17:00
Friday 09:00 - 22:00
Saturday 09:00 - 22:00
Sunday 09:00 - 17:00

Telephone

+8801911663697

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ছানার বিশ্ব ভ্রমণ - Sana's world tour posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to ছানার বিশ্ব ভ্রমণ - Sana's world tour:

Videos

Share

Category