ছানার বিশ্ব ভ্রমণ - Sana's world tour

ছানার বিশ্ব ভ্রমণ - Sana's world tour প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাই।
(2)

28/04/2024

চট্টগ্রামের মেজবান চলের। বন্ধু লোকমানের বাড়ীতে, জামতলা, ফকিন্নীর হাট, কর্ণফুলী থানা, আনোয়ারা, চট্টগ্রাম।

ব্রাসেলস, বেলজিয়াম।
07/04/2024

ব্রাসেলস, বেলজিয়াম।

জেনেভা, সুইজারল্যান্ড, ইউরোপ।
07/04/2024

জেনেভা, সুইজারল্যান্ড, ইউরোপ।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে একটি হচ্ছে জাতিসংঘ অফিস চত্বর। জাতিসংঘ অফিসের গেটে...
03/04/2024

সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে একটি হচ্ছে জাতিসংঘ অফিস চত্বর। জাতিসংঘ অফিসের গেটের সামনে টানানো আছে এক বিশাল ভাঙা চেয়ার। এর তিন পা আছে কিন্তু আর এক পা দোমড়ানো-মোচড়ানো মাঝখান থেকে ভাঙা। জাতিসংঘ অফিসের গেটে এমন একটি ভাঙা চেয়ার থাকার কারণ তো অবশ্যই রয়েছে।

ভুমি মাইন ও গুচ্ছ বোমার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের এক প্রতীক স্বরূপ এই ভাঙ্গা চেয়ার। চেয়ারের নিচে ভূমিতে খোদাই করে লেখা আছে সশস্ত্র সহিংসতার বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ। এই ভাঙা চেয়ার হচ্ছে ভঙ্কুরতা ও সামর্থ্য, অনিশ্চয়তা ও স্থিতিশীলতা, নিষ্ঠুরতা ও মর্যাদার প্রতীক।
২১ শতকের সবচেয়ে শিল্প প্রতিকী হিসেবে খ্যাত কাঠের তৈরী এই স্মারক ভাস্কর্যটি তৈরী করেছেন সুইস শিল্পী ডেনিয়েল বারসেট ও মিস্ত্রি লুইস। এই ভাস্কর্যটি তৈরি করতে সাড়ে পাঁচ টন কাঠ লেগেছে। এর উচ্চতা ১২ মিটার।
ভাঙা চেয়ারটি জাতিসংঘে আসা নানা রাজনৈতিক ব্যক্তি ও অন্যদের স্মরণ করিয়ে দেয় এই প্রতিবাদের কথা। এর বার্তা হচ্ছে- ভূমি মাইন ও গুচ্ছ বোমার শিকার বেসামরিক লোকদের স্মরণ করা, ভূমি মাইন নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে নিজ নিজ সরকারকে চাপ দেওয়া। এটি মূলত: জাতিসংঘে আসা বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিদেরকে মনে করিয়ে দিতে চায় যে, ভূমি মাইন ব্যবহার বন্ধ না করলে তারা যে চেয়ারে বসে আছে তার নিচেও একটি ভূমি মাইন থাকতে পারে যা বিস্ফোরণ ঘটে তাদের একটি উড়ে যেতে পারে।
হ্যান্ডিক্যাপ ইন্টারন্যাশনাল ১৯৯৭ সালের ১৮ আগস্ট জেনেভায় জাতিসংঘের প্রবেশ পথের বিপরীতে ভাঙ্গা চেয়ারের ভাস্কর্যটি স্থাপন করে। উদ্দেশ্য হল ভূমি মাইনে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং ভূমি মাইন বিষয়ে ডিসম্বর ১৯৯৭ সালে স্বক্ষরিতব্য অটোয়া চুক্তিতে অধিক সংখ্যক দেশের সম্মতি লাভ করা। ১৯৯৯ সালের ১ মার্চ-এ ৪০টি দেশের অনুমোদনের মাধ্যমে অটোয়া চুক্তি আন্তর্জাতিক আইন হিসেবে কার্যকর হয়। পরে বহু দেশ কর্তৃক এই চুক্তি অনুমোদন না করা এবং অধিক জনসমর্থনের জন্য এই স্বাক্ষরটি ২০০৫ সাল পর্যন্ত প্রদর্শন করা হয়। সাময়িকভাবে এটি সরিয়ে ফেলা হলেও ২০০৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তা পুনঃস্থাপন করা হয়।

১৯৯৭ সালে প্রথম জাতিসমূহকে ভূমি মাইন নিষিদ্ধ করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা এবং পরে ২০০৭ সালে গুচ্ছ বোমা নিষিদ্ধের লক্ষ্য নিয়ে ভাঙা চেয়ার স্থাপন করা হলেও এটি বর্তমানে ভূমি মাইন ও গুচ্ছ বোমায় বেসামরিক লোকজনের হাত-পা নষ্ট হয়ে যাওয়ার বিধি এক প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়।
Viral 24

জাতিসংঘের কার্যালয়ের সামনে। জেনেভা, সুইজারল্যান্ড।
02/04/2024

জাতিসংঘের কার্যালয়ের সামনে। জেনেভা, সুইজারল্যান্ড।

03/11/2023

বাংলাদেশের সবচেয়ে ক্ষরস্রোতা কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত একমাত্র সড়কপথ বঙ্গবন্ধু টানেল ভ্রমণ। আনোয়ারা থেকে পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।

11/10/2023

মজার শীতকাল আসলো বলে।

ঢাকা -চট্টগ্রাম -বান্দরবান -থানচি -শেড়কর পাড়া/ হেডম্যান পাড়া- তাজিংডং -বিজয় চূড়া (বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চূড়া) বিজয়ের শ্বাস...
08/09/2023

ঢাকা -চট্টগ্রাম -বান্দরবান -থানচি -শেড়কর পাড়া/ হেডম্যান পাড়া- তাজিংডং -বিজয় চূড়া (বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চূড়া) বিজয়ের শ্বাস রুদ্ধকর এক ভ্রমণ কাহিনী আসছে।

ভাতিজা ও ভাগনীর সেলফি। রাসমনি ঘাট, কাট্রলী বীচ, চট্টগ্রাম।
27/08/2023

ভাতিজা ও ভাগনীর সেলফি। রাসমনি ঘাট, কাট্রলী বীচ, চট্টগ্রাম।

ধন্যবাদ। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ, বাংলাদেশ রেলওয়ে, চট্টগ্রাম শাখা।
24/08/2023

ধন্যবাদ।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ, বাংলাদেশ রেলওয়ে, চট্টগ্রাম শাখা।

23/08/2023

বাংলাদেশের একমাত্র টানেল। সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত একমাত্র সড়কপথ বঙ্গবন্ধু টানেল।

কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন
22/08/2023

কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন

21/08/2023

সিনিয়র - ৩ বনাম জুনিয়র - ৪

21/08/2023

রাতের ফুটবল।

আমার দুই হাত বরাবর ২টি ঝর্ণা প্রবাহিত হচ্ছে। জাফলং, সিলেট।
20/08/2023

আমার দুই হাত বরাবর ২টি ঝর্ণা প্রবাহিত হচ্ছে।
জাফলং, সিলেট।

20/08/2023

ডিম কর্তন
আমার ডিম কর্তন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তবে আপনার ডিম কর্তন করার সাহস বা ইচ্ছা কোনটাই আমার নাই। কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে আপনার ডিমও কর্তন হতে পারে। ফলে সময় থাকতে সাবধান।
বিকালে নাস্তা খেতে বসে টেবিলে দেখি পিঠা ও নুডুন্স। ভাবির হাতের নুডুল্স সেই ধরনের মজা হয়। তাই নুডুল্স টা নিলাম। কিন্তু আজকে মুখে দিয়ে দেখি তেমন মজা লাগছে না। খেয়াল করে দেখলাম আজ নুডুল্স রান্না হয়েছে ডিম ছাড়া। ডিম কর্তনের নমুনা শুরু।
২. মামা চটপটি - চটপটির অর্ডার দিলাম। মজনু মামা বল্লো প্লেট ৫০ আর ৬০ টাকা। বল্লাম ৫০ টাকার টা দেন। ৫০ টাকার প্লেটে ১টা ডিম ৪ ভাগ করে ১ ভাগ দেওয়া হয়েছে। (আগে প্লেটে অর্ধেক ডিম দিত)। ফলে প্লেটে ডিম খুঁজে পাওয়া সৌভাগ্যের লক্ষ্মণ। চটপটি আর ডিমের গন্ধটাই মনভোলানো।
৩. সকালে নাস্তার টেবিলে রুটি আর ভাজি। তাইনেরে ডিম ভেজে দিতে বললাম। গায়েবি আওয়াজ আসল - আগে যে টাকায় ১ ডজন ডিম পাওয়া যেত সে-টাকায় এখন ৯টা ডিম দিয়েছে। তাই এখন থেকে ডিম ছাড়াই নাস্তা খেতে হবে।
সাধু, ডিম।

রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত ব্রিজ ও পর্যটন কেন্দ্র।
20/08/2023

রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত ব্রিজ ও পর্যটন কেন্দ্র।

19/08/2023
18/08/2023

বঙ্গোপসাগর, দক্ষিণ পতেঙ্গা বীচ, চট্টগ্রাম।

রাংগামাটির সর্বোচ্চ চূড়া ফুরোমন পাহাড়, সাপছড়ি।
15/08/2023

রাংগামাটির সর্বোচ্চ চূড়া ফুরোমন পাহাড়, সাপছড়ি।

৩৬৮. বগালেক ও কেওক্রাডং ভ্রমনবাংলাদেশের সর্বোচ্চ চূড়া বিজয় পাহাড় জয় করার প্রত্যয় নিয়েই বাসা থেকে বের হলাম। ফজরের নামাজ ...
09/08/2023

৩৬৮. বগালেক ও কেওক্রাডং ভ্রমন
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চূড়া বিজয় পাহাড় জয় করার প্রত্যয় নিয়েই বাসা থেকে বের হলাম। ফজরের নামাজ পড়ে চট্রগ্রামের বাসা থেকে বের হয়ে নতুন ব্রিজ থেকে মাইক্রো যোগে কেরানীহাট। বাসে বান্দরবান। নাস্তা করে রুমা বাস কাউন্টার চলে গেলাম। বাসে রুমা বাজার। রুমা বাজারে দুপুরের খাবার খেয়ে গাইড সংগ্রহ করলাম। গাইডের নাম সিয়ামকুল ওরফে রুবেল বাবা। বম উপজাতি ও খৃষ্টান ধর্মাবলম্বী। তার খাবার ও থাকার ব্যবস্থা আমরা করবো তারপর দিতে হবে ২০০০/- টাকা। আর স্থানীয় তৈরি মদ হচ্ছে তার প্রিয় ও প্রধান খাবার। রুমা বাজার থেকে জিপ ৩৫০০/- টাকায় ভাড়া করে উঠে বসলাম। রুমা বাজার থেকেই আমরা বগালেকের রিসোর্ট ঠিক করলাম। রিসোর্ট এর সাথে খাবারের ম্যানুটাও বলে দিতে হয়। কারন বগালেকে কোন কিছু পাওয়া যায় না। সব রুমা বাজার থেকে নিয়ে যেতে হয়। লাব্বাং এর বাংলোতে আমরা থাকবো। বগালেক ও কেওক্রাডং যেতে সেনা ক্যাম্পে নিবন্ধন করতে হয়। আমি ও রুবেল নিবন্ধন করে ছাড়পত্র নিলাম। গাড়ীতে আমাদের সাথে আছে লাব্বাং যার রিসোর্টে আমরা থাকবো। সেও বম উপজাতি ও খৃষ্টান ধর্মাবলম্বী।
গাড়ী এসে থামলো বগালেক নিচের বাজার। সেখান থেকে আমরা প্রায় ৭০০-৮০০ ফুট খাড়া পাহাড় বেয়ে উপরে উঠলাম। বগালেক ও তার সুন্দর্য্য দেখে আমরা হতবাক। স্বচ্ছ শীতল পানি দেখে আর থাকতে পারলাম না। রুমে গিয়ে কাপড় চেঞ্জ করে সরাসরি নেমে পড়লাম বগালেকে। আরো বেশ কিছু পর্যটক আছে এখানে। গোসল শেষ করতে করতে বিকেল গড়িয়ে গেছে। চা খেতে খেতে পরবর্তী প্রোগ্রামটা সাজিয়ে নিলাম।
আজ রাতটা আমরা বগালেক থাকবো। সকাল ভোরে যেতে হবে কেওক্রাডং। দিনে দিনেই আবার ফিরে আসতে হবে। সম্পূর্ন পথ টাই যেতে হবে হেটে। ফিরে যাব বান্দরবান হয়ে চট্রগ্রাম। সেনা ক্যাম্পের মসজিদে গিয়ে মাগরিবের নামাজ পড়ে কিছু তথ্য নিলাম। সেনা সদস্যের কাছে যানতে পারলাম এক সময়ের বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চূড়া ছিল কেওক্রাডং বর্তমানে বিজয় পাহাড়। এই রুটে ৩১৭২ ফুট উচ্চতার কেওক্রাডং যাওয়া যাবে আর বিজয় পাহাড় যেতে হবে থানচি থেকে। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত। সেন্টমার্টিনের পূর্নিমার রাতটাকে খুব মিস করছি। পাহাড় ও গাছের একটা গন্ধ আছে। তবে পানিরও যে একটা গন্ধ থাকে তা বগালেকের পাড়ে বসে অনুভব করছি। এখানের উপজাতিরা বম জনগোষ্টির ও খৃষ্টান ধর্মাবলম্বী। খৃষ্টানদের প্রার্থনার জন্য পেগোড়ায় ঘন্টি বাজছে। আমরা হাটতে বের হলাম। বগালেকের পাড় ঘেষে কিছু উপজাতি বাড়ি ঘর। লেকের উত্তর কোনায় সেনা ক্যাম্প ও পশ্চিম কোনে একটি বাজার আছে। দক্ষিন কোনায় পেগোড়া। আমরা বাজারে গিয়ে চা খেয়ে এলাম। সেই ফাঁকে সিয়ামকুল বাড়ির ভিতরে গিয়ে মদ খেয়ে এলো এবং কালকের জন্য নিয়ে এলো। ফিরার পথে আমরা পেগোড়ায় গেলাম। সকলে প্রার্থনায় মগ্ন।
লাব্বাং এর পরিবারের রান্না করা খাবার। দেশি মুরগী, আলু ভর্তা, ডিম ভাজি, বাঁশ পুরোল ভাজি। পাহাড়ী জুমের উৎপাদিত নিজস্ব মসলার রান্না একটু ঝাল বেশি হলেও বেশ সুস্বাধু।
আমাদের থাকার জায়গাটা বেশ। বাঁশ দিয়ে মাচা তৈরি করা। প্রকৃতিক বাতাসে মনমুগ্ধকর আবহাওয়া। গভীর রাত পর্যন্ত নির্জন পাহাড়ের সান্নিধ্যে বসে ঁিঝ ঁিঝ পোকার শব্দ ও বিভিন্ন পশুর গর্জনে মেঘলা আকাশে তারা খোজার মজাই অন্যরকম।
খুব ভোরে কেওক্রাডং এর উদ্যেশ্যে রওনা দেই। লাব্বাং এর তৈরি নাস্তা ডিম ভাজি ও রুটি। সিয়ামকুল আমাদের আগে প্রস্তুত। পাহাড়ী পথে বন জঙ্গলের ভিতর দিয়ে আমাদের হেটে চলা। মেঘলা আবহাওয়া। রোদের তেজ নেই তবে বৃষ্টিও নেই। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আমরা চিংড়ি ছিড়ি ঝর্ণার পাদদেশে। একটানা প্রায় দেড় ঘন্টার বেশি হাটলাম। ঝর্ণার পানিতে আমি ও রুবেল Gk Rubel দু জনই গোসল করে শরীর টাকে জুড়িয়ে নিলাম। আবার হাটা শুরু। সূর্যের তাপ বাড়ার সাথে সাথে শরীর ঘামতে শুরু করলো। অদূরে ২টি ঝর্ণা দেখা যাচ্ছে। আমরা সাথে থাকা স্যালাইন পানিতে মিশিয়ে বিস্কুট দিয়ে খেয়ে শক্তি সঞ্চয়ের চেষ্টা করলাম। সাথে পাহাড়ী বিচি কলা যেন অমৃত। বেশ কয়েকটা খাড়া পাহাড় বেশি কষ্ট দিয়েছে। প্রায় ১১ টার দিকে আমরা কেওক্রাডং পৌঁছলাম। আমরা মেঘের ভিতরে হাটছি। ক্লান্তি দূর হয়ে প্রসান্তি লাগছে। জাদিপাই গিয়ে নাস্তা চা খেলাম। কিছুক্ষন বিশ্রাম নিয়ে আমরা আবার ফিরার পথে।
আঁকা বাঁকা পথে আমরা হাটতে লাগলাম। নামার পথটা ভিন্ন। সূর্যের তাপটা অনেক বেশি। দ্রুত গতিতে আমরা নামছি। অনেকগুলো বিপদজনক ঢাল বেয়ে নেমে এলাম। থমকে দাড়ালাম বাদুর কুয়া নামক স্থানে। বিশাল এক কুয়া। হাজার হাজার বাদুর এই কুয়ার মধ্যে। সেখানে একটা ছোট ঝর্ণা আছে, আমরা হাত মুখ ধুয়ে নিলাম। আবার নামতে শুরু করেছি। বাঁধ সাধলো প্রাকৃতিক ডাক। সিয়ামকুল এর নির্দেশনায় এক ছড়ায় ডাকে সাড়া দিলাম। প্রায় দুপুর ২.০০ টায় আমরা বগালেক ফিরে এলাম। দম ফালাবার ফুরসত নেই। ডিম দিয়ে খিচুরী খেয়ে তারাহুরা করে চলে এলাম বগালেক নিচের বাজার। ল্যান্ড ক্রুইজার গাড়ীতে করে রুমা বাজার। রুমা বাজার থেকে বান্দরবান। শেষ গাড়ীতে বান্দরবান থেকে চট্রগ্রামের উদ্যেশ্যে রওনা দিলাম। রাত প্রায় ১২.০০ টায় হালিশহরের বাসায় এসে পৌঁছলাম।

রহস্যময় আলুটিলা সুড়ঙ্গ ও রিসাং ঝর্ণা, খাগড়াছড়ি  চট্রগ্রাম, হালিশহরের বাসা থেকে যখন মাইক্রো ছাড়ে তখন সকাল ৬.৩০ মিনিট। আম্...
07/08/2023

রহস্যময় আলুটিলা সুড়ঙ্গ ও রিসাং ঝর্ণা, খাগড়াছড়ি
চট্রগ্রাম, হালিশহরের বাসা থেকে যখন মাইক্রো ছাড়ে তখন সকাল ৬.৩০ মিনিট। আম্মা, সূচি, অতিথি, প্রান্ত, বড় আপা, দুলাভাই, হিমেল, ফাহিম, অনুভা, তাহসিন, হারুন ভাই ও বড়ো ভাবি, আমি, বন্ধু রুবেল, শালা বাবু জাহিদ। বাসা থেকে নেওয়া নাস্তা গাড়ীতে বসেই খেলাম। হাটহাজারীতে সবাই নেমে চা খেলাম। গাড়ি আবার চলতে লাগলো।
সকাল ৯.৩০ মিনিটের দিকে আমরা খাগড়াছড়ি আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের সামনে গিয়ে থামলাম। পর্যটন কেন্দ্রের গেইটে টিকেট কেটে আমরা ভিতরে প্রবেশ করলাম। নামে টিলা হলেও ইহা খাগড়াছড়ি জেলার সবচেয়ে উঁচু পাহাড়। এর সর্বোচ্চ উচ্চতা সমুদ্র পৃষ্ট হতে ৩০০০ ফুট উপরে। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অতুলনীয় হ্রদয়গ্রাহী। আকাশ, পাহাড় আর মেঘের মিতালী প্রায়ই মায়াবী আবহ তৈরি করে।
মেইন গেইটের দুই পাশে দুটি শতবর্ষী বট গাছ আমাদেরকে স্বাগত জানালো। এই কেন্দ্রের আরো একটি আকর্ষন হচ্ছে রহস্যময় সুড়ঙ্গ। আমরা পাহাড়ী সরু পথ বেয়ে হাঁটছি। সূর্যের তাপে সিদ্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। আইসক্রিম খেয়ে গরম কমানোর চেষ্টা। পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নিচে নেমে যাচ্ছে পথটি। হঠাৎ চোখে পড়লো ছোট একটি ঝর্ণা। ঝর্ণার শীতল পানিতে আমরা হাত মুখ ধুয়ে কিছুটা তৃপ্ত হলাম। এই পথটিই নেমে গেছে সুড়ঙ্গের দিকে। পাহাড়ের চূড়া থেকে প্রায় ২৭০ টি সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামলে এই রহস্যময় গুহার অবস্থান। গুহা মুখের ব্যাস প্রায় ১৮-২০ ফুট। আমরা মশাল, ম্যাচ ও লাঠি সংগ্রহ করলাম। বহু প্রতিক্ষিত সেই আলুটিলা গুহার মুখেই আমরা প্রবেশের অপেক্ষায়। সকলে একসাথে প্রবেশ করলাম সুড়ঙ্গের মধ্যে।
গুহাটি খুবই অন্ধকার ও শীতল। ঠান্ডায় শরীর জুড়িয়ে গেল। স্থানীয়রা এই গুহাকে দেবতার গুহাও বলে থাকে। আমাদের হাতের মশালটাই আলোর একমাত্র উৎস। সুড়ঙ্গটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৫০ ফুট। গুহার একপাশ দিয়ে ডুকে অন্যপাশ দিয়ে বের হতে ১৫-২০ মিনিট সময় লাগে। গুহার তলদেশে পিচ্ছিল ও পাথুরে এবরো থেবরো। এর তলদেশে একটা ঝর্ণা প্রবাহমান। তাই সবসময় পানি থাকে। ফলে গুহায় প্রবেশের পূর্বে উপযোগী জুতা পরে নিতে হবে। তা না হলে দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা আছে। গুহার কিছু অংশের উচ্চতা খুব কম তাই এক পর্যায়ে হামাগুড়ি দিয়ে যেতে হয়। ভয়ে অতিথির কান্না আর ২/৩ জন পিছল খেয়ে পড়া ছাড়া আমরা সকলেই স্বাভাবিক ভাবে গুহা জয় করে বের হয়েছি।
গুহা জয়ের পর আমরা সকলে উল্লসিত। গুহার নানা ঘটনার আলোচনাতেই আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র ঘুরা শেষ করে গাড়ীতে উঠলাম পরবর্তী গন্তব্যের আশায়।
আলুটিলা থেকে ৩/৪ কিঃমিঃ দূরেই রিসাং ঝর্না/ রেমাক্রি ঝর্ণা। গাড়ি থামতেই সকলে নেমে পড়লাম। গোসলের প্রস্তুতি নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আম্মা প্রাকৃতিক সবুজের সমারোহে সেখানেই বসে রইলেন। আমরা পাহাড়ের গা ঘেঁষে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে লাগলাম। চূড়া থেকে হাজার ফুট নিচের উপত্যাকার অপূর্ব মুগ্ধতার দৃশ্য সকলকে বিমোহিত করবে। প্রায় ২৪০টি সিড়ির পাশাপাশি মাটি কেঁটে থাক করে রাস্তা করা হয়েছে। কিছু পথ আছে বুনোঝোঁপ এর মধ্যখান দিয়ে ইট বিছানো। পাহাড়ী সবুজ আর উপজাতিদের জীবনধারায় দৃষ্টি আটকে যাচ্ছে। দূরের উঁচু-নীচু সবুজ পাহাড়, বুনোঝোঁপ, নামহীন রঙ্গীন বুনোফুলের নয়নাভিরাম অফুরন্ত সৌন্দর্য্য আমাদেরকে কল্পনার রাজ্যে নিয়ে গেল। আমরা গোসল করতে নামলাম। প্রায় ১০০ ফুট উঁচু পাহাড় থেকে ঝর্নার হিম শীতল জলধারা গড়িয়ে পড়ছে। এখানে পুরো এরিয়াটাই কঠিন শিলা পাথর। ঝর্নার জলধারা নিচে পড়ে আরো প্রায় ১১০ ফুট কঠিন শিলা পাথরের উপর গড়িয়ে নেমে আসে। ফলে সেখানে প্রাকৃতিক ওয়াটার স্লাইডিং এর সৃষ্টি হয়েছে। যা এই ঝর্ণার প্রধান আকর্ষন। হিম শীতল বহমান স্বচ্ছ পানিতে ওয়াটার স্লাইডিং করছি আমরা। তবে পিছলে নামার জন্য মোটা কোন কাপড় (ছালার বস্তার মত) নিয়ে নিলে ভালো হতো। প্রাকৃতিক পাথুরে স্লাইড তাই ব্যাথা পাওয়ার ভয় থাকে। ঝর্ণার পানি যেখানে এসো জমা হচ্ছে সেখানেও ইচ্ছে করলে গোসল ও সাঁতার কাটা যায়।
রিসাং ঝর্না থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে 'অপু ঝর্ণা' নামে আরো একটি ঝর্না আছে। সেই ঝর্ণার পানির শব্দ আমরা শুনতে পাচ্ছি। হিম শীতল পানিতে তৃপ্তিময় গোসলের পর দীর্ঘ পাহাড় বেয়ে উপরে উঠে এলাম।
আলুটিলা ও রিসাং ঝর্না ঘুরে আমরা সকলে ক্ষুদার্থ ও ক্লান্ত। আমরা চলে এলাম মাটিরাঙ্গা দূর সম্পর্কের এক আত্নীয় এর বাসায়। সেখানে তাদের সহযোগিতা নিয়ে বাসা থেকে রান্না করে আনা খিচুড়ি দিয়ে আমরা ভুড়ি ভোজ করলাম। আমাদের সাথে সিদ্দিক মামারাও যোগ দিল। তাদের বাগানে বসেই আমরা খেলাম। এ যেন প্রকৃতির সাথে সখ্যতা। দুপুরের খাবারকে আরো আকর্ষনীয় করেছে মামীর বানানো সুস্বাদু বেগুন ও শুটকী ভর্তা।
এবার ফিরার পালা। গাড়ী চলতে লাগলো চট্রগ্রামের দিকে। আমি আর রুবেল মাটিরাঙ্গা বাজারে নেমে গেলাম। বাকীরা ফিরে গেলো চট্রগ্রামের বাসায়।

04/08/2023

অন্যরকম চট্টগ্রাম শহর।

ওয়াটার লু - লন্ডনের আন্ডারগ্রাউন্ড রেল যোগাযোগ এর একটি বড় ষ্টেশন। মাটির নিচের লন্ডন বলতে এই আন্ডারগ্রাউন্ড রেল যোগাযোগকে...
01/08/2023

ওয়াটার লু - লন্ডনের আন্ডারগ্রাউন্ড রেল যোগাযোগ এর একটি বড় ষ্টেশন। মাটির নিচের লন্ডন বলতে এই আন্ডারগ্রাউন্ড রেল যোগাযোগকেই বুঝানো হয়ে থাকে। এ এক নতুন দুনিয়া, নতুন বিস্ময়। ভুমি হতে অনেক নিচে বিশাল বড় বড় স্থাপনা। স্টেশনের পাশাপাশি বৃহত্তর মার্কেট, রেস্তোরাঁ সবই আছে। আমরা বসে আছি ওয়াটার লু আন্ডারগ্রাউন্ড রেল স্টেশন। ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছি। মানুষ যন্ত্রের মতো দৌঁড়াচ্ছে কেউ আসছে কেউ যাচ্ছে। আমরা যাব ফুটবলের শহর ম্যানচেস্টার সিটি। বসে কফি ও নাস্তা খাচ্ছি। সামান্য দূরে একটি শিশু খেলা করছে। শিশুটির মা বসে বই পড়ছে আর শিশুটির খেয়াল রাখছে। শিশুটি খেলতে খেলতে একফাঁকে বসে গেল। কিছু বুঝার আগেই শিশুটি মল ত্যাগ করল। শিশুর মা দেখার সাথে সাথে দৌঁড়ে এসে শিশুর মল টুকু একটা টিস্যু দিয়ে পেচিয়ে একটা পলিথিনে ভরে তার হাতব্যাগে নিয়ে নিল। এটা দেখে আমি স্তম্ভিত হলাম। তবে এটা শিখলাম আমার কারনে যাতে অন্যের কোন ক্ষতি না হয় সেই দিকটাই সে নিশ্চিত করেছে। এভাবেই হয়তো লন্ডন একটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন নগরীতে পরিনত হয়েছে।

বন্ধুত্ব      ২২শে জানুয়ারী, ২০১২ লন্ডন, হিথ্রো বিমানবন্দরে নেমে বাই রোডে এসে আমরা উঠলাম Aldershot, Hampshire, Premier I...
29/07/2023

বন্ধুত্ব
২২শে জানুয়ারী, ২০১২ লন্ডন, হিথ্রো বিমানবন্দরে নেমে বাই রোডে এসে আমরা উঠলাম Aldershot, Hampshire, Premier Inn hotel. আমাদের সকলকে হতবাক করে প্রায় ৬০০কিঃমিঃ দূর থেকে ছুটে এলো বন্ধু তাহের বেগ Taher Beg. তাহের বেগের সাথে তার স্ত্রী Ta Jahan আছে। বন্ধুর সাথে প্রায় ৮/৯ বছর পরে দেখা। বন্ধুর এই আগমনে আমি যে কি পরিমান আনন্দিত তা ভাষায় প্রকাশ করার নয়। আরো আনন্দের বিষয় হচ্ছে ভাবি আমাদের জন্য গরুর মাংস, ভাত ও মাছ রান্না করে নিয়ে এসেছে। আমরা তৃপ্তি সহকারে উদোর পূর্তি করে ছিলাম। অনেক রাত পর্যন্ত আড্ডা দিয়েছি আমরা। তাহের ইংল্যান্ডে চলাফেরা করতে কিছু কমন সমস্যার বিষয়ে আমাদের অবহিত করলেন। তাহের ও ভাবি বের হয়ে হাটতে হাটতে রেল ষ্টেশন চলে গেল।

লন্ডনের জেমস পার্ক (St. James’s Park) গিয়ে আমরা হারিয়ে যাওয়ার দশা। বিশাল পার্ক, সেখানে অনেকগুলো পার্ক এবং আশেপাশে অনেকগু...
29/07/2023

লন্ডনের জেমস পার্ক (St. James’s Park) গিয়ে আমরা হারিয়ে যাওয়ার দশা। বিশাল পার্ক, সেখানে অনেকগুলো পার্ক এবং আশেপাশে অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান আছে। আমরা দিকহীন ভাবে হাটতে লাগলাম। আমরা ঘুরতে ঘুরতে গ্রিন পার্ক, বেকিংহাম প্যালেস, বেকিংহাম প্যালেস পার্ক, ভিক্টোরিয়া প্যালেস আরো অনেক গুলো স্থানে গিয়েছি। পার্কের মধ্যেই এক জায়গায় বাচ্চা ও নারী সহ ৬/৭ জন। চাদর বিছিয়ে মধ্য বয়সী ১ জন লোক ইমাম ও তার পিছনে ২ সারিতে বাকিরা নামাজ পড়তে দাঁড়িয়েছে। আমরা একটু দূর থেকে খুব কৌতুহল বসত দেখতে লাগলাম। হঠাৎ সেখানে ৩/৪ টা ঘোড়া নিয়ে বেশ কয়েকজন সৈনিক এসে দাঁড়াল। ঘোড়া সমেত সৈনিকগুলো বেশ লম্বা, চওড়া এবং পোষাক, অস্ত্রে বেশ সুসজ্জিত। আমাদের মতো অনেকেই কৌতূহল বসত ঘটনাটা দেখছে। আমি মনে করে ছিলাম সৈনিকরা তাদেরকে ধরে নিয়ে যাবে। কিন্তু আমি আশ্চার্য্যান্বিত ভাবে খেয়াল করলাম সৈনিকরা তাদের কিবলা ঠিক করে দিচ্ছে ও নামাজের সামনে দিয়ে যাতে কেউ না যায় সেদিকে খেয়াল রাখছে এবং একটা নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে। নামাজ শেষ করার পর সৈনিকরা নামাজি পরিবার টাকে সম্মান জানিয়ে কিছু একটা উপহার দিয়ে চলে গেল।

" সোনাদিয়া দ্বীপ "বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রবেশদ্বার। গভীর সমুদ্র বন্দরের জন্য নির্ধারিত স্থান। কক্সবাজার ৬নং ঘাট হতে স্প্রি...
29/07/2023

" সোনাদিয়া দ্বীপ "

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রবেশদ্বার। গভীর সমুদ্র বন্দরের জন্য নির্ধারিত স্থান। কক্সবাজার ৬নং ঘাট হতে স্প্রিটবোর্ড নিয়ে রওনা করি। বাকখালি নদী হয়ে মহেশখালী চ্যানেল দিয়ে আমরা যখন বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ করলাম তখনই অনুভব করলাম পানির ক্ষমতার কিছু অংশ।বড় বড় ঢেউগুলো যখন স্প্রিটবোর্ডের উপর আচড়ে পড়ছিল তখন খুব ভয় পেয়েছিলাম। পরম করুনাময় আল্লাহর অশেষ রহমতে এ যাত্রায় ভয়কে জয় করে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অর্থনীতির প্রধান অঞ্চল দেখে এলাম।

লন্ডন ভ্রমন     ২২শে জানুয়ারী, ২০১২ লন্ডন, হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরন করি। আমরা হিথ্র বিমানবন্দর থেকে বাই রোডে এসে উঠলাম P...
28/07/2023

লন্ডন ভ্রমন
২২শে জানুয়ারী, ২০১২ লন্ডন, হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরন করি। আমরা হিথ্র বিমানবন্দর থেকে বাই রোডে এসে উঠলাম Premier Inn hotel, Aldershot, 7 Wellington Avenue, Aldershot, Hampshire, England, GU11 1SQ. হোটেল রিসিপশনে এক থাই মেয়ে আমাদের সকল কাগজপত্র দেখে রুম বুঝিয়ে দিল। হোটেলের আশেপাশের পরিবেশটা বেশ মনোরম। একপাশে বিশাল এক পার্ক আছে, হাটার জন্য সু-ব্যবস্থা আছে। আঁকা বাঁকা অনেক গুলো রাস্তা পার্কের মধ্যখান দিয়ে চলে গেছে তবে কোন গাড়ী যেতে দেখিনি। আবহাওয়াটা খুবই ঠান্ডা। আমরা কিছুক্ষন বিশ্রাম নিয়ে বের হলাম ঘুরতে। এটা আমার প্রথম ইউরোপ ভ্রমন। তাই যা দেখছি তাই ভালো লাগছে। এই মুহুর্তে আমাদের প্রথম চাহিদা হলো মোবাইলের সিম, বাংলাদেশসহ সকলের সাথে যোগাযোগ করার জন্য। আমরা ঘুরতে ঘুরতে একটা সুপার সপে গেলাম। সেখানে সব কিছু আছে এবং বেশ কিছু আইটেম দামে বাংলাদেশের চাইতে কম। লাইকা নামক মোবাইল অপারেটরের সিম নিলাম। এই সিম একটিভ হওয়ার সাথে সাথে বেশ কিছু এম.বি ইন্টারনেট ফ্রি ছিল। আমরা সন্ধ্যার পর হোটেলে ফিরে এলাম। অনেক রাত পর্যন্ত আড্ডা দিয়েছি আমরা।
Eastern Road এর PowerPac ফ্যাক্টরীতে ২২ থেকে ২৫শে জানুয়ারী ২০১২ আমাদের ট্রেনিং। আমাদের ট্রেনিং টা জেনারেটর ম্যান্টেইনেন্স ও অপারেশনের উপর। ট্রেনিং এর প্রথম পরিচয় পর্বেই প্রশিক্ষক আমাদেরকে তার খুব আপন করে নিলেন।
ট্রেনিং শেষ করে ২৫ তারিখ সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে আমরা মাইক্রো যোগে লন্ডনের উদ্যেশ্যে রওনা দিলাম।
রাত ৯ টার পর আমরা লন্ডন এসে পৌঁছলাম। বিশাল হোটেল। হোটেল এর লবিতে অনেক লোক। লন্ডনের কেন্দ্র বিন্দুতে আমরা। Premier Inn London County Hall hotel. লন্ডনের বিখ্যাত টেম্স নদীর পাড়ে এই হোটেলের পাশেই লন্ডনের অন্যতম পর্যটন স্থাপনা (London Eye) লন্ডন আই। হোটেলে সকালের নাস্তা করেই আমরা ঘুরতে বের হলাম। BIG BUS Tours এর টিকেট কেটে আমরা সারা দিন ঘুরলাম। এই ট্যুর বাসের বৈশিষ্ট্য হলো প্রতিটা সিটের পাশেই হেড ফোনের একটা পয়েন্ট থাকে। হেড ফোন কানে দিলেই শোনা যায় বাস যেখানে যাবে সেখানে কিকি দেখার বিষয় আছে, সেগুলোর ইতিহাস, ঐতিয্য ইত্যাদি। এই বাস গুলো একটি নির্দিষ্ট রুটে চলতে থাকে। যে কোন পর্যটক যে কোন স্থানে বাস থেকে নামতে পারে আবার উঠতে পারে। আমরা (London Eye) লন্ডন আই এর সামনে থেকে ট্যুার বাসে উঠলাম। বাসের ভিতরে ও ছাদে বসার ব্যবস্থা আছে। আমি ও আনোয়ার ছাদে বসলাম। বাতাসে ঠান্ডা লাগার কথা কিন্তু ঠান্ডা লাগছে না বরং মিষ্টি রোদের কারনে আরাম লাগছে। Covent Garden – Opera House, Transport Museum; Aldwych; St Paul’s- London Museum, Millennium Bridge; London Bridge, Tower of London গাড়ী ঘুরার পর চোখে পড়লো আবার লন্ডন আই। বুঝলাম আমরা টেম্স নদীর তীর ধরেই ঘুরে বেরাচ্ছি। গাড়ী এসে থাকলো লন্ডন আই বরাবর নদীর বিপরীত পাশে স্থানের নাম Embankment Pier. Westminster pier, Westminster Bridge, Lambeth Palace, Parliament Square, Westminster Abbey, WhiteHall, Banqueting House, Craig’s Court সবগুলোকেই মনে হলো আমাদের হোটেলের কাছাকাছি নদীর এপার আর ওপার। এইটুকু ঘুরতে কতটা যে গাড়ী পরিবর্তন করেছি ঠিক নাই। টিকেট একটা গাড়ী অনেক। জেমস পার্ক (St. James’s Park) নেমে আমরা হারিয়ে যাওয়ার দশা। বিশাল পার্ক, পরে জানলাম সেখানে অনেকগুলো পার্ক এবং অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান আছে। আমরা দিকহীন ভাবে হাটতে লাগলাম। ঘোড়া সমেত সৈনিকগুলো পোষাক, অস্ত্রে বেশ সুসজ্জিত। আমরা ঘুরতে ঘুরতে গ্রিন পার্ক, বেকিংহাম প্যালেস, বেকিংহাম প্যালেস পার্ক, ভিক্টোরিয়া প্যালেস আরো অনেক গুলো স্থানে গিয়েছি। একটি দোকানে বসে আমরা দুপুরের খাবার গ্রহন করলাম। হায়িদ পার্ক কর্নার (Hyde Park Corner) থেকে আমরা আবার গাড়ীতে উঠলাম। সর্বপ্রথম গাড়ীতে উঠার সময় আমরা জানতে চেয়ে ছিলাম এই গাড়ীতে মাদাম তুশো যাওয়া যায় কি না? আমাদের বহু কাঙ্খিত মাদাম তুশো সামনে। গাড়ী হায়িদ পার্ক এর মধ্যদিয়ে কুইন মাদার গেইট, মার্বেল আর্চ পেরিয়ে মাদাম তুশো গিয়ে থামলো। মাদাম তুশো থেকে বেরিয়ে আমি Westminster Library তে ডুকলাম।
এবার নতুন মিশন আন্ডারগ্রাউন্ড রেল ভ্রমন। আন্ডারগ্রাউন্ড রেল ভ্রমনের জন্য বন্ধু তাহের বেগ Taher Beg একটা কার্ড দিয়ে ছিল সেটা কাউন্টারে প্রেস করলেই টিকেট কাটা হয়ে যায়। যারা প্রথম লন্ডন যাবে তাদের জন্য আন্ডারগ্রাউন্ড রেল ভ্রমন বেশ চমকপ্রদ ও শিক্ষনীয় বটে। এই কদিন আমরা দলগত ভাবে ঘুরলেও এখন আমি একা। আমার টার্গেট ওয়াটার লু ষ্টেশন। তার পাশেই আমাদের হোটেল। এই কয়েকদিন গ্রুপ চলার কারনে হারিয়ে যাওয়ার ভয়টা দূর হয়ে ছিল। তবুও ভয় ভয় লাগছিল। কিন্তু দেখলাম খুব সহজেই ওয়াটার লু ষ্টেশনে এসে পৌছতে পেরেছি।
BIG BUS Tours এর একদিনের টিকেটের সাথে ১ দিন ফ্রী। ফলে এক টিকেটে আমরা পরের দিনও ঘুরলাম।

২৭/০৭/২০২৩খ্রিঃ।মাটি-টা, ভাটিয়ারী ও কুমিরা ঘাট, সীতাকুণ্ড ভ্রমণ।
28/07/2023

২৭/০৭/২০২৩খ্রিঃ।
মাটি-টা, ভাটিয়ারী ও কুমিরা ঘাট, সীতাকুণ্ড ভ্রমণ।

Address

Chittagong
4216

Opening Hours

Monday 09:00 - 17:00
Tuesday 09:00 - 17:00
Wednesday 09:00 - 17:00
Thursday 09:00 - 17:00
Friday 09:00 - 22:00
Saturday 09:00 - 22:00
Sunday 09:00 - 17:00

Telephone

+8801911663697

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ছানার বিশ্ব ভ্রমণ - Sana's world tour posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to ছানার বিশ্ব ভ্রমণ - Sana's world tour:

Videos

Share

Category



You may also like