অদেখা চট্টগ্রাম

অদেখা চট্টগ্রাম Let's Explore The Beauty Of Chittagong
(4)

চট্টগ্রাম ও সমগ্র চট্টগ্রাম বিভাগ ভ্রমন পিয়াসিদের জন্যে একটি আদর্শ জায়গা। যদিও এখানে অনেক ঘুরে বেড়ানোর জায়গা রয়েছে তবে সঠিক তথ্যের অভাবে অনেকে এসব জায়গায় যেতে পারেন না। আমরা নিজেদের উদ্যোগে এসব জায়গা আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। যতটুকু সঠিক তথ্য দেওয়া যায় তার চেষ্টা করবো।
আর আপনারাও নিজেদের তোলা ছবি আমাদেরকে ইনবক্স করতে পারেন। বাছাইকৃত ছবি কার্টেসিসহ পোস্ট করা হবে। আসুন, আমরা শুধু চট্টগ্রামের হয়ে নয়,

একজন বাংলাদেশী হিসেবে আমাদের দেশের এই অঞ্চলের সুন্দর স্পট সমুহ বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরি। এতে ভ্রমন পিয়াসিরা পাবে অনাবিল আনন্দ এবং সমৃদ্ধ হবে অত্র অঞ্চলের পর্যটন খাত।

বিস্তীর্ণ জলরাশি আর তার পাড় ঘেঁষেই ফুলের সাম্রাজ্য। শীতপ্রধান দেশের রানি টিউলিপ ফুল থেকে শুরু করে দেশীয় লাল, নীল, হলুদ ব...
04/02/2024

বিস্তীর্ণ জলরাশি আর তার পাড় ঘেঁষেই ফুলের সাম্রাজ্য। শীতপ্রধান দেশের রানি টিউলিপ ফুল থেকে শুরু করে দেশীয় লাল, নীল, হলুদ বর্ণের ডালিয়া ছাড়াও আছে নানা বর্ণের মেরিগোল্ড, চন্দ্রমল্লিকার মতো রঙ-বেরঙের ফুল। এমন দৃষ্টিনন্দন দৃশ্যের দেখা মিলবে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট থেকে বন্দরের সংযোগ সড়ক "টোল রোড" বা মেরিন ড্রাইভের পাশে।

ফুলের এ সম্ভার নিয়ে ফ্লাওয়ার পার্কটি গড়ে তুলেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। ব্যস্ত নাগরিক জীবনে একটু প্রশান্তি ও স্বস্তির খোঁজে অনেকেই ছুটে আসছেন এখানে। চোখজুড়ানো বর্ণিল এই ফুলের সমারোহ দেখে উচ্ছ্বসিত পর্যটকরা। সেই সাথে লেকে ঘুরে বেড়ানোর জন্যে আছে বোট, লম্বা কাঠের সাঁকো, শিশুদের জন্যে নানা গেমস আর ফুল দিয়ে বানানো নানা প্রতিকৃত। পার্কের এন্ট্রি ফি ৩০ টাকা। এছাড়া ভেতরে বিভিন্ন রাইডের জন্যে আলাদা টিকিট লাগে।

যাতায়াতঃ শহরের কেন্দ্রস্থল ২ নং গেটের শপিং কমপ্লেক্সের সামনে থেকে প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ডিসি পার্কের উদ্দেশ্যে বিআরটিসির বাস ছেড়ে যায়। আধা ঘন্টা পর পর বাস পাওয়া যায়। ভাড়া জনপ্রতি ৩৫ টাকা। ফিরতি পথেও একইভাবে আসা যায়। অথবা ডিসি পার্ক থেকে অটো রিক্সায় বাইপাস (ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে), এরপর সেখান থেকে অন্যান্য লোকাল বাস কিংবা সিএনজিতে শহরে ব্যাক করা যায়। তাই দেরী না করে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরে আসুন চট্টগ্রামের ডিসি ফ্লাওয়ার পার্ক।

দিনাজপুর জেলা- ২য় পর্বগত পর্বে আমরা দিনাজপুর সদরের আশপাশের ভ্রমণ স্পট সম্পর্কে জানিয়েছি। আজকে আমরা শহর থেকে একটু দূরে যা...
01/02/2024

দিনাজপুর জেলা- ২য় পর্ব
গত পর্বে আমরা দিনাজপুর সদরের আশপাশের ভ্রমণ স্পট সম্পর্কে জানিয়েছি। আজকে আমরা শহর থেকে একটু দূরে যাবো, নবাবগঞ্জ উপজেলায়। আজকে দেখবো এখানে কি কি দেখতে পাবেন আপনারা।

প্রথমে বলি 'স্বপ্নপুরী' কে নিয়ে। এটা দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার আফতাবগঞ্জে প্রায় ৫০০ একর ভূমির উপর গড়ে তোলা হয়েছে যা উত্তরবংগের সবচেয়ে বড় এমিউজমেন্ট পার্ক। সড়কপথে দিনাজপুর থেকে স্বপ্নপুরীর দূরত্ব প্রায় ৫২ কিলোমিটার। কৃত্রিম লেক, পাহাড়, উদ্যান, ঝর্ণা, বৈচিত্র্যপূর্ণ গাছগাছালি, ফুলের বাগান, বিভিন্ন প্রতিকৃতি, শিশুপার্ক, চিড়িয়াখানা, ডাকবাংলো কি নেই এখানে। আরো আছে কেবলকার, ঘোড়ারগাড়ী, কৃত্রিম মৎস্য জগত। দর্শনার্থিদের খাবারের জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি মোটামোটি মানের রেষ্টুরেন্ট। আর যারা পিকনিকের জন্য দল বেধে যাবেন তাদের জন্যও সমস্ত ব্যবস্থা সেখানে করা আছে। সাধারন দর্শনার্থিদের প্রবেশের জন্য টিকেট লাগে, মূল্য ১০০ টাকা। তাছাড়া স্বপ্নপুরীর ভিতরে প্রায় প্রতিটি আলাদা আলাদা অংশে যেতে বিভিন্ন মূল্যের আলাদা আলাদা টিকেট কাটতে হয়।

এরপর বলতে হয় নবাবগঞ্জ ন্যাশনাল পার্ক নিয়ে। ২০১০ সালের ২৪ অক্টোবর এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ৫১৭.৬১ হেক্টর বা ১২৭৮.৪৯ একর জমি নিয়ে এই জাতীয় উদ্যানটি গঠিত। নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যানের প্রধান বৃক্ষ শাল ও সেগুন। এছাড়াও আছে গামার, ইউক্যালিপটাস, জাম, আকাশমনি ও নানান শ্রেণির অর্কিড। বন্যপ্রাণীর মধ্যে আছে বনবিড়াল, খেঁকশিয়াল, মেছোবাঘ ও নানান রকম সাপ। নানান জাতের পাখিও আছে এ বনে। এখানের অন্যতম আকর্ষন আশুড়ার বিল। এই বিলের বোয়াল পাবদা বেশ বিখ্যাত। আর সাথে পদ্মফুলের সমারোহে ঘুরে বেড়ানোর জন্যে রয়েছে বোট। সম্প্রতি একটি আঁকাবাঁকা কাঠের সেতুও নির্মাণ করা হয়েছে। এই উদ্যানেই রয়েছে বাল্মিকী মনির থান এবং ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সীতাকোট বিহার।

তো নবাবগঞ্জের এই জায়গা গুলোতে কিভাবে ঘুরতে আসবেন। আমাদের বিগত পোস্টেই ঢাকা হয়ে দিনাজপুর আসার নিয়ম জানিয়ে দিয়েছি। এই স্পট গুলোতে আসতে চাইলে দিনাজপুর যাওয়ার পথে ভাদুরিয়া বাজার নেমে যেতে হবে। আর দিনাজপুর থেকে আসতে চাইলে বগুড়া মেইল বাসে আসতে হবে। ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ১৫০ টাকা। সময় লাগবে ১.৫ ঘন্টা। ভাদুরিয়া বাজার থেকে ৫০ টাকা জনপ্রতি ভাড়ায় অটোতে নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যানের ভেতরে থাকা আশুড়ার বিল, কাঠের ব্রীজ পর্যন্ত যাওয়া যায়। সেখান থেকে ১০ টাকা জনপ্রতি ভাড়ায় সীতাকোট বিহার ও যাওয়া যায়। আর ২০০ টাকায় রিজার্ভ নিলে প্রথমে সীতাকোট বিহার ঘুরে পরে উদ্যানের ভেতর দিয়ে আশুড়ার বিলের গেট পর্যন্ত নামিয়ে দিবে। ফিরতি পথে একইভাবে আসা যায়। আর স্বপ্নপূরী যেতে চাইলে প্রথমে ভাদুরিয়া বাজার থেকে নবাবগঞ্জ বাজার আসবেন অটোতে ৩০ টাকা জনপ্রতি দিয়ে। এরপর সেখান থেকে আবার অটোতে জনপ্রতি ৩০ টাকা দিয়ে স্বপ্নপূরী চলে আসতে পারবেন। এছাড়া দিনাজপুর থেকে আসলে ফুলবাড়ি বাজার নেমে সেখান থেকেও জনপ্রতি ৩০ টাকা কিংবা রিজার্ভ ১৫০ টাকায় অটোতে সোজা চলে আসতে পারবেন স্বপ্নপূরীতে। দিনাজপুর আসলে ১ দিন সময় নিয়ে অবশ্যই এই স্পটগুলো ঘুরে আসবেন।

দিনাজপুর জেলা- ১ম পর্বদিনাজপুর জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি অন্যতম প্রাচীন ও বৃহৎ জেলা। পুনর্ভবা নদীর কোল ঘে...
30/01/2024

দিনাজপুর জেলা- ১ম পর্ব
দিনাজপুর জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি অন্যতম প্রাচীন ও বৃহৎ জেলা। পুনর্ভবা নদীর কোল ঘেষে গড়ে উঠা দিনাজপুর জেলা আয়তনে উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলার মধ্যে বৃহত্তম। এখানে নানা ঐতিহাসিক স্থাপনার পাশাপাশি রয়েছে অসংখ্য দিঘি যেগুলোকে এখানে 'সাগর' নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এসব নিয়েই আজকে আপনাদের একটা ধারণা দিব। বিশেষ করে চট্টগ্রাম থেকে কিভাবে দিনাজপুর জেলা ঘুরে আসবেন সে সম্পর্কে থাকছে বিস্তারিত।

দিনাজপুর আসতে চাইলে আপনাকে প্রথমে চট্টগ্রাম থেকে আসতে হবে ঢাকা। সেটা বাসে, ট্রেনে কিংবা বিমানে যেভাবেই আসুন না কেন। ঢাকার কল্যাণপুর বাস টার্মিনাল থেকে এস আর ট্রাভেলস কিংবা নাবিল পরিবহণের বাসে চড়ে দিনাজপুর আসা যায়। এরা আপনাকে দিনাজপুরের বাস টার্মিনালে নামিয়ে দিবে। ভাড়া পরবে জনপ্রতি ৯০০ টাকা (নন-এসি)/ ১৫০০ টাকা (এসি), সময় লাগবে ৭/৮ ঘন্টা।

দিনাজপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে অটো/টমটমে চড়ে শহরের যেকোন জায়গায় চলে যেতে পারেন। বাস স্ট্যান্ড ছাড়াও লিচু চত্তর, বটতলা, কলেজ মোড় কিংবা ফুলবাড়ি বাস স্ট্যান্ড থেকে শহরের যেকোন জায়গায় যাওয়া যায়। সারা শহরেই আপনি অটো পাবেন। এখানে ডিরেক্ট যাওয়ার চাইতে ভেংগে ভেংগে কোথাও গেলেই খরচ কম পড়ে। মোড় থেকে মোড়ে এসব গাড়ি চলে। আর থাকা খাওয়ার জন্যে বাহাদুর বাজার আসতে পারেন। এখানে মোটামুটি ভালো মানের হোটেল আছে গ্র‍্যান্ড নুর। আর বাহাদুর বাজার থেকে বেড়ার হোটেল কিংবা রুস্তম হোটেলের মত বিখ্যাত রেস্তোরাঁ গুলোতেও যাওয়া যায় খাওয়া দাওয়ার জন্যে। দিনাজপুরের মেইন সেন্টার বড় মাঠ ও এখান থেকে কাছে।
ঘুরাঘুরির জন্যে দিনাজপুরে যা যা পাবেন। দিনাজপুর বাস টার্মিনাল থেকে কাছেই পাবেন বিখ্যাত রাজবাড়ি, সুখ সাগর দিঘি এন্ড ইকো পার্ক এবং মাতা সাগর দিঘি। এদের মধ্যে সবচেয়ে সেরা জায়গাটি হচ্ছে মাতা সাগর। এগুলোর সবই সর্বসাধারণের জন্যে উন্মুক্ত।
আর বাস টার্মিনাল থেকে সোজা দক্ষিণে দিনাজপুর-খানপুর রোড দিয়ে গেলে পাবেন রামসাগর দিঘি। এটা দিনাজপুরের সবচেয়ে বড় দিঘি এন্ড ইকো পার্ক। এখানে ছোট একটা চিড়িয়াখানাও রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি দেখা যাবে হরিণ। ৫০ টাকা জনপ্রতি টিকিট লাগে। ভেতরে বোট রাইডিং এরও ব্যবস্থা আছে। অটোতে শহর থেকে আসতে ৮০ টাকা রিজার্ভ নিবে। সময় লাগবে ৩০ মিনিট।
আবার দিনাজপুর বাস টার্মিনাল থেকে সোজা উত্তরে গেলে কান্তনগরে পাবেন ঐতিহাসিক কান্তজিউ মন্দির। মহারাজা প্রাণনাথ রায় মন্দিরটি নির্মান করেন। নির্মাণ সময়কাল শুরু হয় ১৭০৪ খ্রিস্টাব্দে এবং ১৭৫২ খ্রিস্টাব্দে তাঁর পুত্র রাজা রামনাথ রায়ের রাজত্বকালে শেষ হয়। এ মন্দিরে বাংলাদেশের সর্বোৎকৃষ্ট টেরাকোটা শিল্পের নিদর্শন রয়েছে । পৌরাণিক কাহিনীসমূহ পোড়ামাটির অলঙ্করণে দেয়ালের গায়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মন্দিরে যাওয়ার পথে পুনর্ভবা নদীতেও একটু ঘুরে বেড়াতে পারেন। এখানে শহর থেকে অটোতে আসতে ১০০-১২০ টাকা রিজার্ভ নিবে। সময় লাগবে প্রায় ৫০ মিনিট।

মোটামুটি ২ দিন সময় দিলেই দিনাজপুর জেলা শহরের আনাচে কানাচে ঘুরে ফেলতে পারবেন। আর শীতকালে শীতের ঠান্ডা উপভোগ করতে চাইলেও দিনাজপুর একটা ভালো অপশন হতে পারে। আমাদের পরবর্তী পর্বে দিনাজপুরের আরো কয়েকটি সুন্দর স্পট সম্পর্কে ধারণা দিবো। সে পর্যন্ত বিদায় নিলাম।

বান্দরবন জেলার আলীকদম উপজেলায় অবস্থিত এই 'পালং খিয়াং ট্রেইল' টি টোয়াইন বা তৈন খালের উৎসে অবস্থিত। টোয়াইন আসলে মাতামুহুরি...
24/07/2023

বান্দরবন জেলার আলীকদম উপজেলায় অবস্থিত এই 'পালং খিয়াং ট্রেইল' টি টোয়াইন বা তৈন খালের উৎসে অবস্থিত। টোয়াইন আসলে মাতামুহুরির একটি উপনদী। পালং খিয়াং ট্রেইলে গেলে টোয়াইন খালের বাঁকে বাঁকে দেখবেন উঁচু নিচু পাহাড় আর ঝিরি ঝর্নার অপরুপ মেলবন্ধন। আর হাঁটার পথে পড়বে মুরং, ত্রিপুরা ও মার্মাদের খড়ে ছাওয়া ঘর, শান্ত গ্রাম আর গ্রাম্য পথ। এই ট্রেইলে অনেক ঝরনা রয়েছে। সবকটা নিয়ে এক পোস্টে বলা যাবেনা। আমরা এই ট্রেইলের প্রধান ২ টি ঝর্না নিয়ে আজকের পোস্ট সাজিয়েছি।

যাওয়ার নিয়মঃ প্রথমেই আপনাকে আসতে হবে কক্সবাজার জেলার চকরিয়াতে। চট্টগ্রাম থেকে জনপ্রতি ২০০/২৫০ টাকায় বাসে চড়েই এখানে আসা যায়। আসতে সময় লাগবে ২.৩০ ঘন্টা আর নামিয়ে দিবে চকরিয়া বাস স্ট্যান্ডে। এখান থেকে আলীকদমগামী বাসে জনপ্রতি ১০০ টাকায় একদম আলীকদম বাজার পর্যন্ত চলে যেতে পারবেন। সময় লাগবে ১.৩০ ঘন্টা। আর জিপ রিজার্ভ নিলে ১০০০/১২০০ টাকা মত পড়বে। আলীকদম বাজার থেকে লোকাল টমটমে চলে আসতে হবে আমতলী ঘাটে। ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ৪০ টাকা। আমতলী ঘাটে পেয়ে যাবেন বোট। একটা বোট দুসরি পাড়া পর্যন্ত রিজার্ভ করতে ৪৫০০ টাকা দিতে হবে। এটা একদিনের আপ ডাউন রিজার্ভ। আপনার একদিনের বেশি সময় লাগলে সেটার জন্যে দরদাম করে উঠবেন। এক বোটে ৫/৬ জনের বেশি নেয় না। আমতলী ঘাট থেকে দুসরি বাজার পর্যন্ত যেতে সময় লাগে ২ ঘন্টা। এই পথেই মূলত মাতামুহরির সৌন্দর্য আপনার কাছে ধরা দিবে।

দুসরি বাজার আসার পরেই আপনার মূল ট্রেক শুরু। এখান থেকে আপনি গাইড নিতে পারেন। অথবা আলীকদম থেকেই গাইড নিয়ে আসতে পারেন। গাইড প্রতি দিনের জন্যে ১৫০০ টাকা করে নিবে। তো ট্রেকিং শুরু করার ঘন্টা দেড়েকের মধ্যেই আপনি পেয়ে যাবেন 'থান কোয়াইন ঝরনা' (ছবিতে উপরে)। এই পথে তেমন কোন পাহাড় পড়বেনা। বেশিরভাগই সমতল ভুমি। থান কোয়াইন ঝরনা দেখা শেষ করে এরপর পাশের পাহাড় বেয়ে উঠতে থাকুন। এই একটা পাহাড় আপনাকে মোটামুটি এই ট্রেকিং কে ষোল আনা স্বার্থক করে দিবে। একটানা একটা খাড়া পাহাড় আপনাকে বেয়ে উঠতে হবে। এই ব্যাপারটা খুবই কষ্টকর। এরপর আবার একটানা নামতেও হবে। এটাতে কারও ১.৩০ ঘন্টা লাগে আবার কারও লাগে ৩ ঘন্টা। তো ছড়ায় নামার পর আপনাকে আরও ঘন্টাখানেক হাঁটতে হবে। তাহলে আপনি পেয়ে যাবেন 'পালং খিয়াং ঝরনা' (ছবিতে নিচে)।

দুটো ঝরনাতেই গোসল করতে পারবেন। সাঁতার কাটতে পারবেন। এমনকি থাকার জন্যে কটেজ ও আছে। তবে আমি বলবো, পালং খিয়াং এর আগে একটা ছোট কটেজ আছে। এটা থাইয়া ম'র কটেজ। আসলে এটা কটেজ কাম জুম ঘর। এই জায়গায় খুব কস্ট ইফেক্টিভলি থাকতে পারবেন। আর রান্না বান্নার জন্যে যত সামগ্রী লাগবে তা কিন্তু আলীকদম থেকে আপনাদেরকেই বয়ে আনতে হবে। সেটা আপনি কটেজে থাকেন কিংবা পাড়ায়। এক্ষেত্রে গাইডের সাহায্য নিতে পারেন। থাইয়া ম'র কটেজের পাশেই টোয়াইন খাল বয়ে যাচ্ছে। খালের অপর পাড়ে একটা ছোট ঝরনাও আছে। সেখানে দিনে রাতে গোসল সারতে পারবেন। পূর্নিমায় একটা রাত কাটাতে পারলে আপনার পয়সা শতভাগ উসুল হবে। আর মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক না থাকায় দিন দুনিয়ার ভেজাল থেকে সাময়িক মুক্তি পাবেন। তাই নিজের প্রতিদিনের ব্যস্ততার মাঝে একটু সময় নিয়ে একদিন ঘুরে আসুন 'পালং খিয়াং ট্রেইলে'।

সিলেট স্পেশাল ৩য় পর্বঃআমরা 'অদেখা চট্টগ্রাম' থেকে সিলেটবাসীদের উৎসর্গ করে এর আগে ২ টি সিরিজ পোস্ট দিয়েছিলাম। সেখানে বাংল...
11/06/2023

সিলেট স্পেশাল ৩য় পর্বঃ
আমরা 'অদেখা চট্টগ্রাম' থেকে সিলেটবাসীদের উৎসর্গ করে এর আগে ২ টি সিরিজ পোস্ট দিয়েছিলাম। সেখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সিলেট আসা-যাওয়া, থাকা-খাওয়া এসব নিয়ে বিস্তারিত আছে। যদিও সেই সময়কার তুলনায় বর্তমান খরচ অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে রুটগুলো এখনো আগের মতই আছে। আজ আপনাদের জানাবো জাফলং রুটটির আদ্যপ্রান্ত।

বাংলাদেশের সিলেটের সীমান্তবর্তি উপজেলা গোয়াইনঘাট এলাকায় জাফলং অবস্থিত। এর অপর পাশে ভারতের ডাউকি অঞ্চলের পাহাড় থেকে ডাওকি নদী এই জাফলং দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। মূলত পিয়াইন নদীর অববাহিকায় জাফলং অবস্থিত।এখানে সীমান্তের ওপারে মেঘালয়ের পাহাড় টিলা, ডাউকি পাহাড় থেকে অবিরামধারায় প্রবাহমান জলপ্রপাত, ঝুলন্ত ডাউকি ব্রীজ, পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ হিমেলপানি ও জিরো পয়েন্টের সংগ্রামপুঞ্জি ঝরনা পর্যটকদের দারুণভাবে আকৃষ্ট করে। এছাড়া জাফলং থেকে কিছুটা আগে আছে শ্রিপুর চা বাগান ও ডিবির হাওর বা শাপলার বিল। শ্রিপুর চা বাগান হতে একসাথে ভারতের ৩ টি ঝরনা দূর থেকে দেখা যায়। আর ডিবির হাওরে শীতকালে যেতে পারলে দেখা মিলবে বিশাল শাপলার বিল। তবে এই রুটে সবচেয়ে সেরা জায়গা হচ্ছে লালাখাল। নীল পানির এই নদী বাংলাদেশে একদম ইউনিক। সারিঘাট থেকে ১ ঘন্টার ট্রলার জার্নিতে পৌছে যেতে পারবেন লালাখাল জিরো পয়েন্ট। কখন যে পানি সবুজ থেকে নীলাভ বর্ণ ধারণ করবে আপনি বুঝতেই পারবেন না। লালাখাল জিরো পয়েন্টের পাশে লালাখাল টি-স্টেটের উপরে উঠে আপনি বাংলাদেশ থেকে ভারতের পাহাড়গুলোর অপার সৌন্দর্য দেখতে পাবেন।

যাওয়ার নিয়মঃ সিলেট থেকে জাফলং এর দূরত্ব ৬২ কি.মি.। প্রথমে সিলেটের সোবাহানি ঘাট বাস স্ট্যান্ডে আসতে হবে। এখান থেকে সবগুলো স্পটে যাওয়ার জন্যে সারাদিনের সিএনজি রিজার্ভ ভাড়া নিবে ১৫০০-২০০০ টাকা, ১ সিএনজিতে ৫ জন বসতে পারবেন। আর লেগুনা ভাড়া করলে ভাড়া পড়বে ৩০০০-৩৫০০ টাকা, বসতে পারবে ১২ জন। আর মাইক্রো রিজার্ভ নিবে ৪০০০-৫০০০ টাকা, ৮ জনের জন্যে। শুধু জাফলং যেতে চাইলে সোবাহানি ঘাট বাস স্ট্যান্ডে জাফলং এর বাস পাওয়া যায়, ভাড়া নেয় ৮০ টাকা করে জন প্রতি। বাস ছাড়া অন্য মাধ্যমগুলো সিলেট ট্রেন স্টেশন থেকেও পাওয়া যাবে।
এর বাইরে লালাখাল যাওয়ার জন্যে সারিঘাট বোট স্টেশন গাড়ি থামিয়ে এখান থেকে ১৬৫০ টাকায় ট্রলার রিজার্ভ করে আপনাকে লালাখাল জিরো পয়েন্ট যেতে হবে। সময় পাবেন ৩/৩.৫ ঘন্টা যার মধ্যে যাওয়া আসাই ১.৫ ঘন্টা। এই ট্রলার গুলোতে ১০-১২ জন অনায়াসে চড়তে পারবে। প্রথমে লালাখাল দেখে এরপর জাফলং গেলেই ভালো হয়। জাফলং থেকে ফিরতি পথে কিংবা যাওয়ার সময় শ্রিপুর চা বাগান কিংবা ডিবির হাওর ঘুরে নিতে পারেন। এখানে শুধুমাত্র ডিবির হাওরে আলাদাভাবে নৌকা ভাড়া করে ঘন্টা প্রতি ৪০০ টাকায় ঘুরে দেখতে পারবেন পুরো বিল। উঠতে পারবেন একসাথে ৬ জন। সিলেট থেকে খুব ভোরে রওনা দিলে একদিনেই সবগুলো স্পট ঘুরে ফেলতে পারেন। তারপরেও আপনাদের সময় সুযোগ বুঝে স্পট গুলোতে যাবেন। আর অবশ্যই জাফলং থেকে মণিপুরি কাপড় কিনতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।

বাংলাদেশের ৭ম বৃহত্তম শহর ময়মনসিংহ যা পুরাতন  ব্রম্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত। ময়মনসিংহ শহর শিক্ষা নগরী হিসেবে বিশেষভাবে স...
08/12/2022

বাংলাদেশের ৭ম বৃহত্তম শহর ময়মনসিংহ যা পুরাতন ব্রম্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত। ময়মনসিংহ শহর শিক্ষা নগরী হিসেবে বিশেষভাবে সমাদৃত। এখানে নানা ঐতিহাসিক স্থাপনার পাশাপাশি রয়েছে মন্ডা মিঠাই চেখে দেখার সুযোগ। এসব নিয়েই আজকে আপনাদের একটা ধারণা দিব। বিশেষ করে চট্টগ্রাম থেকে কিভাবে ময়মনসিংহ ঘুরে আসবেন।

ময়মনসিংহ আসতে চাইলে আপনি বাংলাদেশের যেই প্রান্তেই থাকুন না কেন, আপনাকে প্রথমে আসতে হবে ঢাকা। সেটা বাসে, ট্রেনে কিংবা বিমানে যেভাবেই আসুন না কেন। ঢাকার মহাখালী থেকে এনা, সৌখিন, আলম এশিয়ার মত বাস গুলো ময়মনসিংহ এর উদ্দেশ্য প্রতিদিন ছেড়ে যায়। এগুলো আপনাকে ময়মনসিংহ এর মাসকান্দা বাস স্ট্যান্ডে নামিয়ে দিবে। ভাড়া পরবে জনপ্রতি ২০০-২৫০ টাকা, সময় লাগবে ২.৫-৩ ঘন্টা।

মাসকান্দা বাস স্ট্যান্ড থেকে ৪০/৫০ টাকা রিক্সা ভাড়া দিয়েই চলে যেতে পারেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখান থেকে ৭০/৮০ টাকা রিক্সা ভাড়ায় চলে যেতে পারেন নিরিবিলি ও মনোরম বিপিন পার্কে। তবে এই পার্কটি সকাল ১০ টার আগে খোলে না। এখান থেকে উত্তরে কিছুদূর হাঁটলেই পাবেন ময়মনসিংহ জিরো পয়েন্ট। জিরো পয়েন্ট থেকে বামে কিছুদূর হেঁটে বা রিক্সা করে গেলেই দেখবেন শশীলজ। রাজা সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরীর দত্তক পুত্র শশীকান্ত আচার্য চৌধুরীর নামে এই প্রাসাদের নাম রাখা হয় শশী লজ। মাত্র ১৫ টাকা টিকিট কেটে ঘুরে দেখতে পারেন এই অসাধারণ নির্মান শৈলী।

এখান থেকে কিংবা জিরো পয়েন্ট থেকে ২০ টাকা রিক্সা ভাড়ায় চলে আসতে পারেন ময়মনসিংহের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা "জয়নুল আবেদিন পার্ক" এ। এই উদ্যান থেকে ব্রহ্মপুত্রের বুকে আবহমান বাংলার ছবি দেখার পাশাপাশি শিশু-কিশোরসহ নানান বয়সী মানুষের চিত্তবিনোদনের জন্য রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারা, মিনি চিড়িয়াখানা, দোলনা, ট্রেন, ম্যাজিক নৌকাসহ বিভিন্ন রাইড। উদ্যানের বাইরে নাগরদোলা, চরকি, ঘোড়ার গাড়ি ও টমটমে ঘুরে বেড়ানো যায়। আর নদীতে সময় কাটাতে চাইলে সারি সারি নৌকার পাল পেয়ে যাবেন। এছাড়াও এখানে রয়েছে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা।

জয়নুল আবেদিন পার্কের সামনেই "ব্যাট বল চত্তর" নামে একটা মোড় আছে। এই মোড়ের এক পাশে আছে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউস। আরেকপাশে আছে বিখ্যাত আলেকজান্ডার ক্যাসেল। এই প্রাসাদটিতে লোহার ব্যবহার বেশি করা হয়েছিল বলে এলাকাবাসী এটিকে ‘লোহার কুঠি’ নাম দিয়েছিল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভবনটিতে অনেক বরেণ্য ব্যক্তির পদধূলি পড়েছে। ১৯২৬ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ময়মনসিংহ সফরের সময়ে আলেকজান্ডার ক্যাসেলে কিছুদিন ছিলেন। এ ছাড়া এখানে আরো এসেছিলেন লর্ড কার্জন, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ, কামাল পাশা প্রমুখ। আলেকজান্ডার ক্যাসেলটি বর্তমানে শিক্ষক প্রশিক্ষন কেন্দ্রের পাঠাগার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

সব দেখা শেষ করে আপনি শহরেই মন্ডা মিঠাই ট্রাই করতে পারেন। তবে মুক্তাগাছার মন্ডাটা এখানে সবচেয়ে ভালো। সেই সাথে মুক্তাগাছার জমিদার বাড়িটিও দেখে আসতে পারেন। মোটামুটি ২ দিন সময় দিলেই ময়মনসিংহের আনাচে কানাচে সব ঘুরে ফেলতে পারবেন। তাই দেরী না করে চলে আসুন ময়মনসিংহ।

আজকে কথা বলব রাংগামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার আরেক রুপসী ঝর্ণা গাছকাটাছড়া ঝর্ণাকে নিয়ে। এই ঝর্ণা বিলাইছড়ি উপজেলায় ১ নং সদর ইউ...
22/07/2022

আজকে কথা বলব রাংগামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার আরেক রুপসী ঝর্ণা গাছকাটাছড়া ঝর্ণাকে নিয়ে। এই ঝর্ণা বিলাইছড়ি উপজেলায় ১ নং সদর ইউনিয়নে ৩ নং কুতুবদিয়া ওয়ার্ডের গাছকাটাছড়া দুসরি পাড়ায় অবস্থিত। এটি কাপ্তাই হরিনছড়া ও বিলাইছড়ি উপজেলার কুতুবদিয়া মৌজার শেষ সীমানায় অবস্থিত। যেতে হলে কাপ্তাই হতে বিলাইছড়িতে নৌ- পথে আসার সময় সরাসরি যাওয়া যায়। এছাড়া কাপ্তাই হতেও বোটে করে যাওয়া যায়।

কাপ্তাই নতুন বাজার জেটিঘাট হতে সরাসরি গাছকাটার বোট রিজার্ভ করা যায়। আসা-যাওয়া রিজার্ভ নিবে ৩/৩.৫ হাজার টাকা। তবে বর্ষাকাল ছাড়া অন্য সময়ে কাপ্তাই থেকে গাছকাটাছড়ায় সরাসরি বোট যায়না। সেক্ষেত্রে আগে বিলাইছড়ি যেতে হয়। কাপ্তাই হতে সকাল ১০ টার দিকে লোকাল বোট বিলাইছড়ির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। জনপ্রতি ৭০ টাকা করে নেয়। বিলাইছড়িতে যেতে সময় লাগে ২/২.৫ ঘন্টা। বিলাইছড়ি থেকে গাছকাটা ছড়ায় যাওয়ার বোট ভাড়া করা যায়। রিজার্ভ ভাড়া করার সময় এমনভাবে ভাড়া করবেন যাতে ফিরতি পথে আপনাকে উলটা আবার বিলাইছড়ি যেতে না হয়, বোট গাছকাটাছড়া হতে আপনাকে সরাসরি কাপ্তাই জেটিঘাট যাতে নামিয়ে দেয়। এই বোট রিজার্ভ ৩ হাজার টাকা নিবে। এর মাঝে আপনাকে গাছকাটাছড়া আর্মি ক্যাম্পে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এখানে আপনার এন আই ডির ফটোকপি আর কন্ট্যাক্ট নাম্বার লিখে নিবে।

যাই হোক, বোটে গাছকাটাছড়া বোট স্টেশন আসার পর আপনাকে গোলকধন পাড়ায় নেমে যেতে হবে। এখান থেকে গাইড নিতে হবে। কারণ এখান থেকেই হাঁটার রাস্তা শুরু। বোট যেখান থেকেই ভাড়া করুন না কেন, এই পাড়ার পর আর বোট যায়না। গোলকধন পাড়া থেকে ঘন্টাখানেক হাটার পর দুসরি পাড়ায় একটা পয়েন্টে আপনাকে ১০০/১৫০ টাকা দিতে হবে। এই টাকা টা স্থানীয়দের জীবন মান উন্নয়নে ব্যবহৃত হয়। এখানে চাইলে কিছু নাস্তাপানিও করে নিতে পারেন। এভাবে পাক্কা ১.৩০ ঘন্টার হাটার রাস্তা পেরুলে আপনি গাছকাটাছড়া ঝর্ণার ডাউন স্ট্রিমে পৌঁছুবেন। এটা একটা বিশাল ঢাল। বলতে গেলে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ন্যাচারাল স্লাইডার। এখানে স্লাইড দেওয়া শেষ হলে বাম পাশের একটা বিশাল পাহাড় পেরুতে হবে। ২০/৩০ মিনিট ট্রেকিং করলেই আপনি গাছকাটাছড়া ঝর্ণার আপার স্ট্রিমে পৌছুবেন। এটাই মূল গাছকাটা ছড়া ঝর্ণা যা ছবিতে দেখা যাচ্ছে। একবার ঝর্ণায় পৌছালে আপনার সব কষ্ট সার্থক হয়ে যাবে। সেই ঝর্ণায় গা এলিয়ে ভিজবেন আর গাছকাটাছড়ার সৌন্দর্য উপভোগ করবেন। সবাইকে আসার আমন্ত্রণ রইল।

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার কেরানীহাট এবং বান্দরবনের ঠিক মাঝখানে একটা জায়গা সুয়ালক মাঝেরপাড়া। এখানেই একটা ঝর্ণা আছে যা এতদিন ...
14/07/2022

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার কেরানীহাট এবং বান্দরবনের ঠিক মাঝখানে একটা জায়গা সুয়ালক মাঝেরপাড়া। এখানেই একটা ঝর্ণা আছে যা এতদিন লোকচক্ষুর আড়ালে ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এটা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই ঝর্ণার নাম মুরং ঝর্ণা। অপেক্ষাকৃত নিরাপদ ট্রেইল হওয়ায় এর নাম ডাক দ্রুত বেড়ে চলেছে।

যাওয়ার নিয়মঃ ঢাকা/ চট্টগ্রাম হতে বান্দরবনগামী যেসকল বাস রয়েছে সেসবে চড়ে বান্দরবন শহরের আরো আগে মাঝেরপাড়া রাস্তার মাথায় নেমে যাবেন। বান্দরবনগামী বাসে সিট না পেলেও আপনি চট্টগ্রাম হতে কেরানীহাটগামী বাসে চড়ে ৮০ টাকা জনপ্রতি দিয়ে কেরানীহাট নেমে যেতে পারেন। সেখান থেকে ৪০ টাকা জনপ্রতি দিয়ে মাহেন্দ্র তে চড়ে মাঝেরপাড়া রাস্তার মাথায় নামতে হবে। ওখান থেকে লোকাল টমটমে ২০ টাকা জনপ্রতি দিয়ে আপনাকে চলে আসতে হবে হ্যাডম্যানপাড়া। এখানে একটা ঘাট রয়েছে। সেই ঘাট ধরে সোজা ছড়ায় নেমে যাবেন। চাইলে হ্যাডম্যানপাড়া থেকে গাইড নিতে পারেন। আর যদি ছড়ার গতিপথ দেখে ঝর্ণায় যাওয়ার অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে গাইডের দরকার নেই। চাইলে গুগল ম্যাপের ও সাহায্য নিতে পারেন।

যাই হোক, মোটের উপর এক ঘন্টার ট্রেকিং এ এই ঝর্ণায় পৌছাতে পারবেন। তাই শরীরের হালকা কসরত করতে চাইলে এই ঝর্ণা আপনার জন্যে ভালো একটা অপশন। সবাইকে মুরং ঝর্ণা ঘুরে আসার জন্যে দাওয়াত থাকলো। আরেকটা কথা। যাত্রাপথে অনেক ক্ষেত দেখতে পাবেন। তাদের পারমিশন ছাড়া দয়া করে ফসল গুলো খাওয়া বা ছেড়ার কাজ করবেন না। ধন্যবাদ।

Address

Chittagong

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when অদেখা চট্টগ্রাম posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share