02/05/2024
জীবন সবার জন্য সমান না। কেউ যখন এসি রুমের হিমেল আবওয়ায় বসে/শুয়ে হিম শীতল বরফ পানি খাচ্ছে ঠিক সেই সময় প্রচন্ড গরমে ঘেমে গোসল করে রোদে পুড়ে অনেকে ডেলিভারির কাজ করছে। পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও আজ ডেলিভারির কাজে নেমেছে। শখ করে ফুটানী দেখানোর জন্য নারীরা এই কাজ বেছে নেয় নি। এটা কর্পোরেট জব না যে এসির বাতাসে স্টেটাস বাড়ানোর জন্য কাজ করছে। ডেলিভারির কাজটা অনেক কস্টের। সেই কস্টের সাথে রোদ বৃষ্টি ঝড় যোগ হলে কস্টটা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এই গরমে একজন ডেলিভারিম্যান রাস্তায় বেরোলে একেকটা ডেলিভারি করলেই মিনিমাম ৫০০ মিলি পানি খেতে হয়। এখন আর হোটেল রেস্তোরায় ১ টাকা গ্লাসের ফিল্টারের পানি পাওয়া যায় না। ডেলিভারিম্যান বাসা/অফিস থেকে যে পানির বোতল নিয়ে বের হয় সেটা ১ ঘন্টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। এরপরে তাকে পানি কিনেই খেতে হয়। একেকটা লং ডিস্টেন্স ডেলিভারি থেকে ডেলিভারিম্যান গড়ে ৬০ থেকে ১০০ টাকা পায়। এই গরমে একটা ডেলিভারিতে শুধু পানি কিনেই খেতে হয় ২০ থেকে ৩০ টাকার। সাথে স্যালাইন খাওয়াও জরুরি।
আপনাদের কাছে রিকুয়েস্ট, যেকোনো ডেলিভারিম্যান/ওমেন আপনার কাছে প্রোডাক্ট পৌছে দিলে তাকে বাসা থেকে এক বোতল পানি উপহার দিন। আপনার বাসায়/অফিসে অনেক খালি বোতল পড়ে আছে, সেগুলো ফিলাপ করেই দিন। বোতল না থাকলে ডেলিভারিম্যানের কাছে বোতল থাকে, সেই বোতলটা বাসার পানি দিয়ে ফিলাপ করে দিন। আপনার ছোট্ট এই উদ্যোগটা রাস্তায় চলাফেরা শ্রমজীবিদের অনেক উপকার করবে।
হাদীসেও আছে সবচেয়ে বড় সাদাকা হলো পানি পান করানো।
মে দিবসে আজ সকল শ্রমজীবি ভাই/বোনদের প্রতি কৃতজ্ঞতা রইল, যাদের শ্রমের বিনিময়ে আমরা ভালো আছি।
Curtesy: Lalshalu.shop