Madani Hajj Travels

Madani Hajj Travels Thi

Objective :Prime objective of this venture is to make a organization or institution who will guide the potential Hajjis for performing the Hajj in accordance with the rules & regulation of Islam.

জাবালে নূর - হেরা গুহা মক্কা মক্কা শরিফ থেকে ছয় কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত একটি পাহাড়ের নাম জাবালে নূর। এই পাহাড়...
05/10/2022

জাবালে নূর - হেরা গুহা মক্কা

মক্কা শরিফ থেকে ছয় কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত একটি পাহাড়ের নাম জাবালে নূর। এই পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত গুহাকে বলা হয় ‘গারে হেরা’ বা ‘হেরা গুহা’।
সর্বপ্রথম কোরআন অবতীর্ণ হওয়ার স্থান হিসেবেও প্রসিদ্ধ এই ‘হেরা গুহা’।

এই গুহায় হজরত জিবরাইল (আ.) সর্বপ্রথম প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এর কাছে কোরআনের বাণী নিয়ে এসেছিলেন। আর এখানেই বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) ধ্যানে মগ্ন থাকতেন। এ পাহাড়ে ওঠা একদমই সহজ ছিল না তখন। এর উচ্চতা প্রায় ১ হাজার ফুট।

জাবালে নূর খ্যাত হেরা পাহাড়ের রয়েছে অজানা ও আকর্ষণীয় কিছু তথ্য। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেসব তথ্যগুলো-

> জাবালে নূর:

জাবালে নূর পবিত্র কাবা শরীফ থেকে মাত্র দুই মাইল দূরে অবস্থিত। এর নাম হেরা গুহা হলেও বিশ্বব্যাপী জাবালে নূর বা জাবালে হেরা নামেই বেশি পরিচিত।

জাবালে নূর অর্থ হলো নূর বা আলোর পাহাড়। কেননা এ পাহাড়েই আল্লাহর পক্ষ থেকে হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এর ওপর সর্বপ্রথম বরকতময় আলোকিত কোরআন মজিদ নাজিল হয়। যা শুধু মুসলিম উম্মাহ নয় বরং বিশ্ব মানবতার জন্য নূর বা আলো। সে কারণেই এ পাহাড় বিশ্বব্যাপী জাবালে নূর নামেই পরিচিত।

> গুহার অবস্থান ও পরিধি:

হেরা গুহা খুবই ছোট এর মধ্যকার জায়গা এত কম যে, প্রথম দেখাতেই বিস্ময়কর মনে হবে। এ স্থানেই হজরত মুহাম্মাদ (সা.) ধ্যান মগ্ন থাকতেন। যা লম্বায় ৪ মিটার আর পাশে ১.৫ তথা দেড় মিটার। উচ্চতায় ভালোভাবে সোজা হয়ে দাঁড়ানোও কষ্টকর। যদিও সমতল থেকে পুরো পাহাড়টির উচ্চতা প্রায় হাজার ফুট।

> প্রথম কোরআন নাজিল:

এ পাহাড়ের প্রায় চূড়া সংলগ্ন হেরা গুহায় ৬১০ খ্রিস্টাব্দে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনুল কারিম নাজিল করেন। যদিও এর আগে প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) অনেক সত্য স্বপ্ন দেখতেন যা ওহির সমতুল্য।

> হজরত জিবরাইল (আ:) এর প্রথম সাক্ষাৎ:

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেরা গুহায় ধন্যমগ্ন থাকা অবস্থায় সর্ব প্রথম হজরত জিবরাইল (আ.) কোরআনের ওহি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন।

প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) বর্ণনা করেন- ‘এক রাতে তাহাজ্জুদের সময় মানুষের আকৃতিতে একজন ফেরেশতা প্রিয় নবীর কাছে আসেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলেন, পড়ুন। উত্তরে রাসূল (সা.) বলেন, আমি পড়তে জানি না। তারপরও ফেরেশতা তাকে আরো দুইবার পড়ার অনুরোধ করেন, সে দুইবারও প্রিয় নবী জা

পবিত্র হজ্জ পালনের সময় সকল প্রকার ছবি, সেলফি তোলা শিরকঃ আল মাসউদি সৌদি মুফতিবেশ কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে যে, পবিত্র হজ্...
25/09/2022

পবিত্র হজ্জ পালনের সময় সকল প্রকার ছবি, সেলফি তোলা শিরকঃ আল মাসউদি সৌদি মুফতি
বেশ কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে যে, পবিত্র হজ্জের সময় বিভিন্ন ইবাদতি আনুষ্ঠানিকতার সময় অনেকেই সেলফি তোলায় ব্যস্ত থাকেন। বিষয়টি নিয়ে গত বছর সৌদি আরব থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমে প্রচুর আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। ওইসব লেখায় বলা হয়েছিল, পবিত্র হজ্জ পালন করতে আসা কিছু মানুষের আচরণ দেখলে মনে হয় তারা আনন্দ ভ্রমণে এসেছেন নাউযুবিল্লাহ। পবিত্র হজ্জের সফরেও তারা খ্যাতনামা বিভিন্ন ব্যক্তিদের দেখে তাদের সঙ্গে ছবি তোলার প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেন। এমনকি পবিত্র কাবাঘরের সামনে পর্যন্ত সেলফি তোলা খুবই পরিচিত ও সাধারণ একটি দৃশ্যে পরিণত হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!!!
বিষয়টি আবারও সামনে এলো একটি ফতোয়াকে কেন্দ্র করে। ফতোয়াটি প্রদান করেছেন মসজিদুল হারামের দারুল ইফতার সদস্য ও ইসলামি আইনশাস্ত্রের অধ্যাপক মুহম্মদ আল মাসউদি। ওই ফতোয়ায় তিনি বলেছেন, পবিত্র কাবা ঘরে সেলফি তোলা শিরক।
তিনি বিবৃতিতে বলেন, পবিত্র হজ্জব্রত অবস্থায় যদি কেউ ছবি তুলে প্রকাশ করে তাহলে সেটা হবে রিয়া (লোক দেখানো ইবাদত)। আর রিয়া শিরকের সমতুল্য।

অধ্যাপক মাসউদির মতে, যে সব ব্যক্তি পবিত্র হজ্জ পালন করতে এসে পবিত্র মক্কা নগরীর বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান, হজ্জের আনুষ্ঠানিকতা পালনের স্থানসমূহে এসে নিজেদের হজ্জের ছবি তুলেন ও বিভিন্ন গণযোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন। সত্যিকার অর্থে তাদের এ কাজ রিয়াতে পরিণত হয়।

মসজিদুল হারামের দারুল ইফতার সদস্য আরও বলেন, সে সব ব্যক্তি পবিত্র হজ্জ পালন করতে এসে নিজের ছবি তোলা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, তারা পবিত্র হজ্জের পাশাপাশি অন্য আরেকটি কাজে নিয়োজিত হন। এর ফলে তারা স্বাধীনভাবে, একাগ্রচিত্তে ইবাদত করতে পারেন না। আর এ ছবি যখন সামাজিক নেটওয়ার্কে প্রকাশ করেন, তখন সেটা রিয়াতে পরিণত হয়। আর রিয়া সর্বাবস্থায় হারাম। আর পবিত্র হজ্জের সময় সকল প্রকার হারাম কাজ নিষিদ্ধ, কারন মহান আল্লাহ পাক বলেনঃ

[الْحَجُّ أَشْهُرٌ مَّعْلُومَاتٌ فَمَن فَرَضَ فِيهِنَّ الْحَجَّ فَلاَ رَفَثَ وَلاَ فُسُوقَ وَلاَ جِدَالَ فِي الْحَجِّ وَمَا تَفْعَلُواْ مِنْ خَيْرٍ يَعْلَمْهُ اللّهُ وَتَزَوَّدُواْ فَإِنَّ خَيْرَ الزَّادِ التَّقْوَى وَاتَّقُونِ يَا أُوْلِي الأَلْبَابِ]

অর্থাৎ: পবিত্র হজ্জ্বের জন্য নির্ধারিত কয়েকটি মাস আছে। এসব মাসে যে লোক পবিত্

নিজের হজ্জ ও বদলী হজ্জ আদায়ের সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি এবং হজ্জের প্রকারভেদপ্রশ্ন: আমি এ বছর আমার প্রয়াত পিতার পক্ষ থেকে হজ্জ আ...
24/09/2022

নিজের হজ্জ ও বদলী হজ্জ আদায়ের সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি এবং হজ্জের প্রকারভেদ
প্রশ্ন: আমি এ বছর আমার প্রয়াত পিতার পক্ষ থেকে হজ্জ আদায় করতে চাই। উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর পূর্বে আমি আমার নিজের হজ্জ আদায় করেছি। আমি আশা করব, সুন্নত অনুসারে হজ্জ আদায় করার উত্তম পদ্ধতি উল্লেখ করবেন। হজ্জের প্রকারগুলোর মধ্যে পার্থক্য কি কি? কোন প্রকারের হজ্জ আদায় করা উত্তম?

উত্তর: আলহামদুলিল্লাহ।
সহিহ সুন্নাহ অনুযায়ী সংক্ষেপে হাজীসাহেবের কার্যাবলী নিম্নরূপ:

১. যিলহজ্জ মাসের ৮ তারিখে হাজীসাহেব মক্কা থেকে কিংবা হারামের নিকটবর্তী কোন স্থান থেকে ইহরাম বাঁধবেন। উমরার ইহরামের সময় যা যা করেন যেমন- গোসল করা, সুগন্ধি লাগানো, নামায পড়া ইত্যাদি হজ্জের ইহরামের সময়েও তা তা করবেন। এরপর হজ্জের ইহরামের নিয়্যত করবেন এবং তালবিয়া পড়বেন। হজ্জের তালবিয়া উমরার তালবিয়ার মতই। শুধু হজ্জের ক্ষেত্রে ইহরামকারী বলবেন: ‘লাব্বাইকা হাজ্জান’; পক্ষান্তরে, উমরার ক্ষেত্রে বলেন: ‘লাব্বাইকা উমরাতান’। যদি তিনি হজ্জ সমাপন করতে না পারার কোন আশংকা করেন সে ক্ষেত্রে শর্ত করে নিয়ে বলবেন: ‘ওয়া ইন হাবাসানি হাবিস ফা মাহিল্লি হাউছু হাবাসতানি’ (অর্থ- যদি কোন প্রতিবন্ধকতা আমাকে আটকে দেয়, তাহলে আমি যে স্থানে প্রতিবন্ধকতার শিকার হব সেখানে হালাল হয়ে যাব)। আর যদি এরকম কোন আশংকা না থাকে তাহলে শর্ত করবে না।

২. অতঃপর মীনাতে যাবে এবং সেখানে রাত্রি যাপন করবে। মীনাতে যোহর, আসর, মাগরিব, এশা ও ফজর পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করবে।

৩. ৯ ই যিলহজ্জ সূর্যোদয় হলে ‘আরাফা’ এর উদ্দেশ্য রওয়ানা হবে। সেখানে যোহর-আসর দুই ওয়াক্তের নামায যোহরের ওয়াক্তে ক্বসর করে আদায় করে নিবে। অতঃপর সূর্য ডোবা পর্যন্ত সময় দোয়া, যিকির ও ইস্তিগফারের মাধ্যমে কাটাবে।

৪. সূর্য ডুবার পর ‘মুযদালিফা’ এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে। মুযদালিফাতে পৌঁছামাত্রই মাগরিব-এশার নামায একত্রে আদায় করবে। এরপর সেখানে ফজরের নামায পড়া পর্যন্ত রাত্রি যাপন করবে। অতঃপর সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত দোয়া করতে থাকবে।

৫. এরপর জমরা আকাবাতে কংকর মারার জন্য মীনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে যাবে। মীনাতে গিয়ে জমরা আকাবাতে একের পর এক ৭টি কংকর নিক্ষেপ করবে। জমরা আকাবা হচ্ছে সর্বশেষ জমরা; যে জমরার পরে মক্কা শুরু। প্রতিটি কংকর হবে খেজুর বিচির সমান। প্রতিটি কংকর নিক্ষেপের সময় তাকবীর বলবে।

৬. অতঃপর হাদির পশু যবেহ ক

হজরে আসওয়াদ এর কাছে আসলে দো‘আ                                                                                           ...
20/09/2022

হজরে আসওয়াদ এর কাছে আসলে দো‘আ

اللهُ أَكْبَرُ

(আল্লাহু আকবার)
অর্থাৎ, আল্লাহ সবচেয়ে বড়।

[বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ৩/৪৭৬, নং ১৬১৩]

মসজিদে হারাম থেকে বের হওয়ার দো‘আবাম পা দিয়ে শুরু করবেন এবং বলবেন,بِسْمِ اللَّهِ وَالصّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلَى رَسُولِ ا...
20/09/2022

মসজিদে হারাম থেকে বের হওয়ার দো‘আ
বাম পা দিয়ে শুরু করবেন এবং বলবেন,
بِسْمِ اللَّهِ وَالصّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِك، اللَّهُمَّ اعْصِمْنِي مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
(বিস্‌মিল্লা-হি ওয়াস্‌সালা-তু ওয়াস্‌সালা-মু ‘আলা রাসূলিল্লাহ, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা মিন ফাদ্বলিকা, আল্লা-হুম্মা আ‘সিমনি মিনাশ শাইত্বানির রাজীম।)
“আল্লাহর নামে (বের হচ্ছি)। আল্লাহর রাসুলের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। হে আল্লাহ! আপনি আমার গুনাসমূহ মাফ করে দিন এবং আমার জন্য আপনার দয়ার দরজাগুলো খুলে দিন। হে আল্লাহ, আমাকে বিতাড়িত শয়তান থেকে হিফাযত করুন”। [মসজিদে হারামে প্রবেশের দো‘আর তাখরীজ দেখুন। আর “হে আল্লাহ, আমাকে বিতাড়িত শয়তান থেকে হিফাযত করুন” এ বাড়তি অংশের তাখরীজ দেখুন, ইবন মাজাহ (১/১২৯)।]

মসজিদে হারামে প্রবেশের সময়ে ডান পা দিয়ে ঢুকবেন এবং মসজিদে প্রবেশের দো‘আ পড়বেন, তা হলো,«بِسْمِ اللهِ وَالصَّلَاةُ وَالسَّ...
20/09/2022

মসজিদে হারামে প্রবেশের সময়ে ডান পা দিয়ে ঢুকবেন এবং মসজিদে প্রবেশের দো‘আ পড়বেন, তা হলো,

«بِسْمِ اللهِ وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلى رَسُوْلِ اللهِ، أَعُوذُ بِاللَّهِ الْعَظِيمِ وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيمِ وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيمِ مِنْ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ، اللَّهُمَّ افْتَحْ لِيْ أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ»

(বিসমিল্লাহ ওয়াস্‌সালাতু ওয়াস্‌সালামু ‘আলা রাসূলিল্লাহ, আউযুবিল্লাহিল আযীম ওয়া বিওয়াজহিহিল কারীম ওয়া সুলতানিহিল কাদীম মিনাশ শায়তানির রাজীম। আল্লাহুম্মাফতাহ্ লি আবওয়াবা রাহমাতিক।)

অর্থ: আল্লাহর নামে, আর তার রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর ওপর দুরূদ পাঠ করছি, আমি বিতাড়িত শয়তান হতে মহান আল্লাহর কাছে তাঁর সম্মানিত চেহারার এবং তাঁর অনাদি ক্ষমতার অসীলায় আশ্রয় প্রার্থনা করছি, হে আল্লাহ! আপনি আমার জন্য আপনার রহমতের দ্বারসমূহ উন্মুক্ত করে দিন।

যে ব্যক্তি ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ এমন একটি বিষয়ে লিপ্ত হয়েছে তবে সে জানত না যে, এর ফলে কী আরোপ হতে যাচ্ছে?প্রশ্ন: যে ব্যক...
11/09/2022

যে ব্যক্তি ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ এমন একটি বিষয়ে লিপ্ত হয়েছে তবে সে জানত না যে, এর ফলে কী আরোপ হতে যাচ্ছে?
প্রশ্ন: যে ব্যক্তি ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ এমন একটি কর্মে লিপ্ত হয়েছে; তবে সে জানত না যে, এই নিষিদ্ধ কর্ম করার কারণে তার উপরে কী ধরণের কাফ্‌ফারা ওয়াজিব হবে?

উত্তর : আলহামদু লিল্লাহ। এখানে আমরা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই যে, অনেক হজ্জ ও উমরা পালনেচ্ছু ব্যক্তি এ ইবাদতের বিধি-বিধান জানেন না। এর ফলে তারা ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ বিষয়াবলীতে লিপ্ত হন কিংবা ইবাদতটি অনাকাঙ্ক্ষিত পদ্ধতিতে আদায় করেন। আপনি দেখবেন যে, তাদের কেউ একজন অনেক অর্থ খরচ করেছে; বিশেষতঃ সে যদি দূরবর্তী কোন দেশ থেকে এসে থাকে; এরপর সে তার সওয়াবটা নষ্ট করে দেয় কিংবা সওয়াবে ঘাটতি করে; তার উপর অপরিহার্য বিধিবিধান না জানার কারণে।

তাই এ যে ব্যক্তি হজ্জ-উমরা আদায় করতে চায় তার উপর ওয়াজিব হল আমলটা শুরু করার আগেই এর বিধিবিধান শিখে নেয়া। আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “প্রত্যেক মুসলিমের উপর ইলম অর্জন করা ফরয”।[সুনানে ইবনে মাজাহ ও অন্যান্য; আলবানী তার ‘তাখরিজু মুশকিলাতুল ফাকর’ গ্রন্থে হাদিসটিকে সহিহ আখ্যায়িত করেছেন] ইমাম আহমাদ বলেন: হাদিসের মর্ম হল— যে ইলম তার প্রয়োজন; যেমন ওযু, নামায, যাকাত (যদি সে সম্পদশালী হয়), হজ্জ ইত্যাদি; সে ইলম অর্জন করা তার জন্য আবশ্যকীয়।[ইবনে আব্দুল বার রচিত ‘জামেউ বায়ানিল ইলম’ (১/৫২)]

হাসান বিন শাক্বিক বলেন: আমি আব্দুল্লাহ্‌ ইবনুল মুবারককে জিজ্ঞেস করেছি: মানুষের ওপর কোন ইলম শিক্ষা করা ওয়াজিব? তিনি বলেন: কোন ব্যক্তি ইলম ছাড়া কোন আমল পালন করার প্রতি অগ্রসর হবে না। জিজ্ঞেস করে শিখে নিবে। এতটুকু ইলম শেখা মানুষের উপর ওয়াজিব।[বাগদাদীর রচিত ‘আল-ফাক্বীহ ওয়াল মুতাকাফ্‌কিহ’ (পৃষ্ঠা-৪৫)]

হজ্জ ও উমরা পালনকারী কখন ইহরাম থেকে হালাল হবেন?প্রশ্ন : ইহরামের কাপড় খুলে ফেলার নির্ধারিত সময় কখন? যদি শুধু হজ্জের নিয...
11/09/2022

হজ্জ ও উমরা পালনকারী কখন ইহরাম থেকে হালাল হবেন?
প্রশ্ন : ইহরামের কাপড় খুলে ফেলার নির্ধারিত সময় কখন? যদি শুধু হজ্জের নিয়ত করে অর্থাৎ ইফরাদ-হজ্জের নিয়ত করে সেক্ষেত্রে হজ্জের পর, তাওয়াফে ইফাযা, সাঈ ও চুল কাটার পর (পরিপূর্ণ হালাল) বড় হালাল হবে; নাকি তাশরিকের তিনদিন গত হওয়া ও জমরাতগুলোতে কংকর নিক্ষেপের আগে হালাল হবে না।

উত্তর : আলহামদু লিল্লাহ। পুরুষ কিংবা নারী হজ্জের ইহরাম থেকে হালাল হবেন জমরায়ে আকাবাতে কংকর মারা, পুরুষের মাথা মুণ্ডন করা কিংবা চুল কাটার মাধ্যমে; আর নারীর ক্ষেত্রে কেবল চুল কাটার মাধ্যমে। তখন নর-নারীর জন্য ইহরাম করার মাধ্যমে যা কিছু হারাম হয়েছিল সে সবকিছু হালাল হয়ে যাবে; কেবল স্ত্রী সহবাস ব্যতীত। আর বড় হালাল হওয়া অর্জিত হবে তাওয়াফে ইফাযা (ফরয তাওয়াফ) শেষ করা এবং তার উপরে সাঈ থাকলে সাঈ পালন করার মাধ্যমে। তখন তাদের জন্য ইহরাম অবস্থায় যা কিছু হারাম ছিল সবকিছু; এমনকি স্ত্রী সহবাসও হালাল হয়ে যাবে।

৭০ জন নবী সালাত আদায় করেছেন যে মসজিদে!মক্কা থেকে মিনার দূরত্ব প্রায় ৮ কিলোমিটার। মিনায় হাজিদের জন্য স্থাপিত বিশেষ তাঁব...
11/09/2022

৭০ জন নবী সালাত আদায় করেছেন যে মসজিদে!
মক্কা থেকে মিনার দূরত্ব প্রায় ৮ কিলোমিটার। মিনায় হাজিদের জন্য স্থাপিত বিশেষ তাঁবুতে অবস্থান করে হজের বেশকিছু আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হয়। হজের আনুষ্ঠানিকতার অন্যতম অংশ হলো- শয়তানের প্রতীকী স্তম্ভে কঙ্কর নিক্ষেপ করা। এই কঙ্কর নিক্ষেপের স্থানের খুব কাছে ঐতিহাসিক ‘মসজিদে খায়েফ’ অবস্থিত। এই মসজিদে ৭০ জন নবী সালাত আদায় করেছেন।

সওর পাহাড়ের বিপরীত দিকের পাহাড়ের অদূরে প্রতিষ্ঠিত এই মসজিদের আলোচনা বেশ গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পেয়েছে। বিশাল মসজিদটি কঙ্কর নিক্ষেপ করতে আসা হাজিদের মনে করিয়ে দেয় ইতিহাসের অনেক ঘটনাকে। বৃহদাকার মসজিদের উচুঁ মিনারগুলো বেশ দূর থেকে পাহাড়ের চূড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বর্ণিত আছে, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এই মসজিদে সালাত আদায় করছেন এবং বলেছেন, এখানে সত্তরজন নবী সমাহিত হয়েছেন

নবী করিম (সা.) বিদায় হজে মসজিদে খায়েফে সালাত পড়েছেন। এই মসজিদের অনেক ফজিলত হাদিস ও ইতিহাসের গ্রন্থসমূহে উল্লেখ আছে। পাহাড়ের চেয়ে নিচু এবং সমূদ্রপৃষ্ঠ থেকে উঁচু স্থানকে আরবি পরিভাষায় খায়েফ বলা হয়।

আজ ১ লা মুহাররম। শুরু হলো বিশ্বনবীর হিজরতের স্মৃতি বিজড়িত সন হিজরী সালের নতুন বছর ১৪৪৪। 'তিনি মক্কা থেকে হিজরত করেছেন .....
31/07/2022

আজ ১ লা মুহাররম। শুরু হলো বিশ্বনবীর হিজরতের স্মৃতি বিজড়িত সন হিজরী সালের নতুন বছর ১৪৪৪।

'তিনি মক্কা থেকে হিজরত করেছেন ... কিন্তু প্রতিষ্ঠা করেছেন একটি জাতি, যাদের নিয়ে ফিরে এসেছেন মক্কায়।

তিনি হিজরত করেছেন ...তখন সঙ্গে ছিল শুধু একজন মুসলিম আর যখন ফিরেছেন তাঁর সঙ্গী মুসলিম ছিলো দশ হাজার।

তিনি হিজরত করেছেন ...আমাদেরকে শেখাতে যে, লক্ষ্য অটুট রাখতে হয় পরিস্থিতি যত কঠিন হোক না কেন।

তিনি হিজরত করেছেন ...আমাদেরকে শেখাতে যে, আমাদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য মাতৃভূমি জরুরি নয়।

তিনি হিজরত করেছেন ...আমাদেরকে শেখাতে যে, হিজরত আসলে সমাপ্তি নয়, বরং প্রতিটি জিনিসের সূচনা।

সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।'

(আরবী থেকে অনুবাদ করেছেন আলি হাসান তৈয়ব)

আহা কি চমৎকার মৃত্যু -  ৫ জন হাজী এহরাম অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন।আল্লাহ সুবহানু ওয়া তা'আলা তাদেরকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান...
12/07/2022

আহা কি চমৎকার মৃত্যু - ৫ জন হাজী এহরাম অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন।

আল্লাহ সুবহানু ওয়া তা'আলা তাদেরকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।

ছবিতে দেখানো মৃত ব্যক্তিদের মুখ ঢেকে রাখা হয়নি মসজিদুল হারামে জানাযার সময়..
কারণ কি??
কেননা সে ইহরাম অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে এবং যে ব্যক্তি ইহরাম অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে, সে হাজী হোক বা ওমরা পালনকারী হোক, তাকে তার পোশাকে কাফন দিতে হবে, তার মুখমণ্ডল ও মাথা অনাবৃত থাকবে।
কারন
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম...যখন একজন ব্যক্তি ইহরাম অবস্থায় মারা যান, তিনি বলেন:
(তাকে তার কাপড়ে কাফন দাও, এবং তার মাথা বা মুখমণ্ডল ঢেকে রাখবে না, কেননা আল্লাহ তা‘আলা তাকে কিয়ামতের ময়দানে তালবিয়া (লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ) পাঠরত অবস্থায় উঠাবেন )।
বুখারী

হে আল্লাহ আমরা যেন ঈমান নিয়ে মৃত্যুবরণ করতে পারি ।
আল্লাহুম্মা আমীন

09/07/2022

মিনার তাবুতে রাত্রিযাপন

"৯ জিলহজ্জ রাতে মুযদালিফায় অবস্থান " মাদানী হজ্ব ট্রাভেলস্ এর ২০২২ গ্রুপ/কাফেলা আপনার হজ্জ কি ফরজ হয়েছে, আপনি কি হজ্জে য...
09/07/2022

"৯ জিলহজ্জ রাতে মুযদালিফায় অবস্থান " মাদানী হজ্ব ট্রাভেলস্ এর ২০২২ গ্রুপ/কাফেলা

আপনার হজ্জ কি ফরজ হয়েছে, আপনি কি হজ্জে যাওয়ার প্লান করছেন?
আপনি জানেন কি বাংলাদেশ থেকে হজ্জ করার প্লান করলে আপনাকে ২ বছর পূর্বে প্রস্তুতি নিতে হবে।

ইতিমধ্যে ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনার কারণে বাংলাদেশ থেকে গত ২ বছর হজ্জ হয়নি।

এখন যারা ২০২২ সালের জন্য প্রি-রেজিস্ট্রেশন করেছেন তারা কোটা হিসাবে সুযোগ পাবেন ২০২৪ সালে ।

অর্থাৎ ২০২২ ও ২০২৩ এর হজ্জের নির্ধারিত কোটা শেষ হয়ে যাওয়ার পর প্রি-রেজিস্ট্রেশন করলে আপনার ২০২৪ সালের কোটায় হজ্জ করার সুযোগ পাবেন।

হজ্জের প্রি-রেজিস্ট্রেশন এখন চলছে, যারা ২০২৪ সালে হজ্জে যেতে চান তারা চাইলে প্রি-রেজিস্ট্রেশন এখনি করতে পারেন।

"হজ্জ ২০২২ ও ২০২৩ " শরীয়া কন্সালটেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন -

" আলহাজ্ব মুফতী আব্দুল কাইউম মাদানী সাহেব(২০২২ ও ২০২৩ ) "ইনশাহআল্লাহ।

হজ্জ প্যাকেজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের ফেসবুক পেজ ভিজিট করুন।
www.facebook.com/madani.hajj.travels

স্পেশাল নোট হজ্জ ২০২২ : অনেকে আমাদের আগামী বছর হজ্জ করার জন্য আমাদেরকে অনুরোধ করেছেন, তাদেরকে জন্য আমরা হজ্জের সিরিয়াল অনুযায়ী পারমিশনের বিষয়টা বিস্তারিত তুলে ধরেছি।
২০২২ সালের হাজ্জে কেউ নতুন করে কাউকে নেওয়ার সুযোগ নাই। কারণ ২০১৯ + ২০২০ সালের প্রাক নিবদ্ধন করেছেন ২,৬০,০০০ হজ যাত্রী + ২০২০ সালে ফাইনাল নিবদ্ধন করেছেন ৬১,০০০ হজ যাত্রী।
যদি ২০২০ সালে হজ্ব হতো এ ৬১,০০০ হজ যাত্রী সবার আগে করতে পারতো। যেহেতু প্রাক নিবদ্ধন + নিবদ্ধন ২ টা সুম্পন্ন করে আছে। যেহেতু হজ হয়নি তারা যেতে পারেন নি।
সেইম ২০২১ সালে এ ৬১,০০০ হজ যাত্রী রেড়ী ছিল যাওয়ার জন্য, কোভীড এর জন্য তারা যেতে পারেন নাই । তাই এখানে বড একটা জট লেগে গেছে।

কোভীড পূর্বে প্রত্যেক বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লক্ষ ৩৭ হাজার বাংলাদেশী হজে যেতে পারত ।

২০২০ + ২০২১ সালে হজ হয়নি ( ১ লক্ষ ৩৭ হাজার + ১ লক্ষ ৩৭ হাজার) =২ লক্ষ ৭৪ হাজার হজ্জে যেতে পারে নি, যাদের মধ্য প্রাক নিবদ্ধন করেছেন ২ লক্ষ ৭৪ হাজার আর প্রাক নিবদ্ধন + ফাইনাল নিবদ্ধন করেছেন ৬১,০০০ হজ যাত্রী।

তাহলে ২০২২ সালে যদি হজ্জ হয় সবার আগে সুযোগ পাবেন এ ৬১,০০০ হজ যাত্রী, ফাইনালি সূযোগ পেয়েছেন ৫৭,০০০ + ।
তারপর ২ লক্ষ ৭৪ হাজার – ৬০,০০০ (২ লক্ষ ১৪ হাজার প্রাক নিবদ্ধন যাত্রীরা )।

ইতিমধ্য ২০২৩ + ২০২৪ সালের জন্য অলরেডী আরো প্রায় ২ লক্ষের বেশী প্রাক নিবদ্ধন করেছেন।

এখন কেউ যদি প্রাক নিবদ্ধন করেন উনি ২০২৪ যাওয়ার সুযোগ পাবেন, ইনশাহআল্লাহ্।

এখানে ইম্পরট্যান্ট একটা বিষয় আছে
কোভীড পূর্বে প্রত্যেক বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লক্ষ ৩৭ হাজার বাংলাদেশী হজে যেতে পারত ।

সৌদি সরকার কোভিড পরিস্থিতির কারণে ২০২২ সালে ১ লক্ষ ৩৭ হাজার পারমিশন না দিতে পারেন।

যেমন - কোভীড পূর্বে মোট হজ করতে পারতেন ৩০ লক্ষ মানুষ , ২০২১ সালে টোটাল হজ্জ করার পারমিশন পেয়েছেন – ১০ লক্ষ বাংলাদেশ থেকে শুধুমাত্র ৫৭,০০০ ।

তাহলে এখন যদি কেউ ২০২২ যেতে চান এখন প্রাক নিবদ্ধন করে এটা কোন ভাবে সম্ভব না।

অর্থাৎ ২০২২ ও ২০২৩ এর হজ্জের নির্ধারিত কোটা শেষ হয়ে যাওয়ার পর প্রি-রেজিস্ট্রেশন করলে আপনার ২০২৪ সালের কোটায় হজ্জ করার সুযোগ পাবেন।

এখন পরামর্শ হলো ওনাকে দ্রুত ২০২৪ সালের জন্য প্রাক নিবদ্ধন করে ২০২৪ সালের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।

প্রি-রেজিস্ট্রেশনের জন্য যা যা দরকার:
জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা অনূর্ধ্ব ১৮ বছরের জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদ
মোবাইল নম্বর
প্রি-রেজিস্ট্রেশনের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি ৩০,৭৫২/- টাকা
প্রি-রেজিস্ট্রেশনের বিস্তারিত জানতে কল করুন +8801719988587, +8801855907821, (whatsapp & IMO Available 24 Hours)
Email : [email protected]

09/07/2022

সরাসরি "জামারায় ১ম দিনের পাথর নিক্ষেপ " মাদানী হজ্ব ট্রাভেলস্ এর হজ্ব ২০২২ গ্রুপ

09/07/2022

'An Arab has no superiority over an non-Arab nor a non-Arab has any superiority over an Arab; also a white has no superiority over black nor a black has any superiority over white except by piety and good action'.

আরাফা"র ময়দান "টা" যেমন,তেমন ময়দান নয়, এই ময়দানে পা রাখতে দেরি কিন্ত পিছনের গুনাহ মাফ হতে দেরি নাই, বিশ্ব নবী বললেনযদি,ক...
08/07/2022

আরাফা"র ময়দান "টা" যেমন,তেমন ময়দান নয়, এই ময়দানে পা রাখতে দেরি কিন্ত পিছনের গুনাহ মাফ হতে দেরি নাই,

বিশ্ব নবী বললেন
যদি,কেও হজ্জের নিয়ম কানুন নাও মানতে পারে. হজ্জের কোন নিয়ম কানুনের ভিতরে কেও,,অসুস্থ থাকে হজ্জের কাজের সময় কেও শারীরিক ভাবে অসুস্থ থাকে অই বান্দা যদি আরাফার ময়দানে উপস্থিত হয় তার হজ্ব টা অই দিন কবুল হয়ে যাবে।

08/07/2022

সরাসরি - "আরাফার ময়দান থেকে সূর্য অস্ত যাওয়ার পর মুজদালিফার পথে " মাদানী হজ্ব ট্রাভেলসস্ হজ্ব ২০২২ গ্রুপ কাফেলা

৯ যিলহজ (‘আরাফা দিবস): 1) ৯ যিলহজ সূর্যোদয়ের পর ‘আরাফায় রওয়ানা হওয়া। সেখানে যোহরের আউয়াল ওয়াক্তে যোহর ও আসর দুই ওয়াক্তের...
08/07/2022

৯ যিলহজ (‘আরাফা দিবস):

1) ৯ যিলহজ সূর্যোদয়ের পর ‘আরাফায় রওয়ানা হওয়া। সেখানে যোহরের আউয়াল ওয়াক্তে যোহর ও আসর দুই ওয়াক্তের সালাত এক আযান ও দুই ইকামতে দু’রাকাত করে একসাথে আদায় করা। সালাত আদায়ের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দো‘আ ও যিকিরে মশগুল থাকা। সাধ্যমত উভয় হাত তুলে দো‘আ করা।
2) সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পর ধীরে-সুস্থে শান্তভাবে মুযদালিফায় রওয়ানা হওয়া।
3) মুযদালিফায় পৌঁছে ইশার ওয়াক্তে এক আযান ও দুই ইকামতে, মাগরিব ও ইশার সালাত একসাথে আদায় করা। ইশার সালাত কসর করে দু’রাকাত পড়া এবং সাথে সাথে বিতরের সালাতও আদায় করে নেয়া।
4) মুযদালিফায় রাতযাপন। ফজর হওয়ার পর আউয়াল ওয়াক্তে ফজরের সালাত আদায় করা। আকাশ ফর্সা হওয়া পর্যন্ত দো‘আ মোনাজাতে মশগুল থাকা।
5) মুযদালিফা থেকে কঙ্কর সংগ্রহ করা যেতে পারে, তবে তা জরুরী নয়। ৫৯ বা ৭০টি কঙ্কর সংগ্রহ করা। মিনা থেকেও কঙ্কর সংগ্রহ করা যেতে পারে। পানি দিয়ে কঙ্কর ধৌত করার কোনো বিধান নেই।
6) সূর্যোদয়ের পূর্বে মিনায় রওয়ানা হওয়া। তবে দুর্বলদের ক্ষেত্রে মধ্য রাতের পর মিনার উদ্দেশে রওনা হয়ে যাওয়া জায়েয।

"আরাফার ময়দান থেকে সূর্য অস্ত যাওয়ার পর মুজদালিফার পথে " মাদানী হজ্ব ট্রাভেলস্ হজ ২০২২ গ্রুপ কাফেলা।
08/07/2022

"আরাফার ময়দান থেকে সূর্য অস্ত যাওয়ার পর মুজদালিফার পথে " মাদানী হজ্ব ট্রাভেলস্ হজ ২০২২ গ্রুপ কাফেলা।

‘আরাফা দিবসের বিশেষ দো‘আ : «لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ ع...
08/07/2022

‘আরাফা দিবসের বিশেষ দো‘আ :

«لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ»

(লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহূ লা শারীকালাহূ লাহুল মুলক, ওয়ালাহুল হামদ, ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর)

“আল্লাহ ছাড়া সত্য কোনো মা‘বুদ নেই। তিনি এক তাঁর কোনো শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই এবং প্রশংসা মাত্রই তাঁর। তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।”

The Mataaf right now, as all Hujjaj depart to Arafat
08/07/2022

The Mataaf right now, as all Hujjaj depart to Arafat

08/07/2022

Beautiful scenes as hundreds of thousands of pilgrims continue with their rites, using umbrellas to shade themselves from the sun.

08/07/2022

"আরাফার ময়দান" থেকে হজ ২০২২ সরাসরি

08/07/2022

"আরাফার ময়দান" ও জাবালে" রহমত থেকে হজ্ব ২০২২ সরাসরি!

08/07/2022

"আরাফার ময়দান ও তাবুতে " মাদানী হজ্ব ট্রাভেলস্ হজ ২০২২ গ্রুপের হাজিগণ।

08/07/2022
আরাফার দিনের ফযিলতপ্রশ্ন: আরাফার দিনের ফযিলতগুলো কি কি?উত্তর:আলহামদু লিল্লাহ।.আরাফার দিনের ফযিলতের মধ্যে রয়েছে:১. দ্বীন ...
08/07/2022

আরাফার দিনের ফযিলত

প্রশ্ন: আরাফার দিনের ফযিলতগুলো কি কি?

উত্তর:
আলহামদু লিল্লাহ।.

আরাফার দিনের ফযিলতের মধ্যে রয়েছে:

১. দ্বীন ও আল্লাহর নেয়ামত পরিপূর্ণ হওয়ার দিন:

সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিমে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক ইহুদী লোক তাঁকে বলল: হে আমীরুল মুমিনীন! আপনাদের কিতাবে এমন একটি আয়াত রয়েছে যদি আমরা ইহুদীদের উপর এ আয়াতটি নাযিল হত তাহলে আমরা সে দিনটিকে ঈদ হিসেবে গ্রহণ করতাম। তিনি বললেন: কোন আয়াতটি? সে বলল: الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا [المائدة: 3] (অর্থ- আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করলাম এবং তোমাদের উপর আমার নেয়ামত সম্পূর্ণ করলাম।)[সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ৩] উমর (রাঃ) বলেন: যে দিন ও যে স্থানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর এ আয়াতটি নাযিল হয়েছে সেই দিন ও সেই স্থানটি আমরা জানি: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমাবার আরাফার ময়দানে দণ্ডায়মান অবস্থায় ছিলেন।

২. আরাফার মাঠে অবস্থানকারীদের জন্য এটি ঈদের দিন:

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “আরাফার দিন, কোরবানীর দিন ও তাশরিকের দিনগুলো আমরা মুসলমানদের জন্য ঈদ বা উৎসবের দিন। এ দিনগুলো পানাহারের দিন।”[হাদিসটি সুনান গ্রন্থসমূহে বর্ণিত হয়েছে] উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন: الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ শীর্ষক আয়াতটি নাযিল হয়েছে জুমার দিন, আরাফার দিন। আলহামদু লিল্লাহ উভয় দিন আমাদেরর জন্য ঈদ।

৩. এটি এমন একটি দিন যেই দিনকে দিয়ে আল্লাহ তাআলা কসম করেছেন:

মহান সত্তা মহানকে দিয়ে কসম করে থাকেন। এটি এমন দিন আল্লাহর বাণী: “আর প্রতিশ্রুতি দ্রষ্টা ও দৃষ্টের”[সূরা বুরুজ, আয়াত: ৩] এর মধ্যে যেদিনকে বলা হয়েছে- দৃষ্ট। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “প্রতিশ্রুত দিন হচ্ছে- কিয়ামতের দিন। আর দৃষ্ট দিন হচ্ছে- আরাফার দিন। আর দ্রষ্টা হচ্ছে- জুমার দিন।”[সুনানে তিরমিযি; আলবানী হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলেছেন]

এটি হচ্ছে সে বেজোড় যা দিয়ে আল্লাহ তাআলা কসম করেছেন তাঁর বাণী: “শপথ জোড় ও বেজোড়ের” [সূরা আল-ফজর; আয়াত: ৩] আয়াতের মধ্যে। ইবনে আব্বাস বলেন: “জোড় হচ্ছে- ঈদুল আযহার দিন। আর বেজোড় হচ্ছে আরাফার দিন।” ইকরিমা ও দাহ্‌হাকও এ কথা বলেন।

৪. এই দিন রোযা রাখলে দুই বছরের পাপ মোচন হয়:

আবু কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আরাফার দিন রোযা রাখার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন: “এটি বিগত এক বছর ও আগত এক বছরের পাপ মোচন করে।”[সহিহ মুসলিম]

যারা হাজী নন তাদের জন্য এ রোযা রাখা সুন্নত। যারা হাজী তাদের জন্য আরাফার দিন রোযা থাকা সুন্নত নয়। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরাফার দিন রোযা রাখেননি। তাঁর থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি আরাফার ময়দানে আরাফার দিন রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন।

৫. এটি এমন দিন যেদিন আল্লাহ তাআলা বনী আদম থেকে প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেছেন:

ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে, “নিশ্চয় আল্লাহ নামানে -অর্থাৎ আরাফার ময়দানে- আদমের পৃষ্ঠদেশ থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়েছেন। তিনি আদমের মেরুদণ্ডে তাঁর যত বংশধরদের রেখেছেন তাদের সবাইকে বের করে এনে অণুর মত তাঁর সামনে ছড়িয়ে দেন। এরপর সরাসরি তাদের সাথে কথা বলেন। তিনি বলেন: আমি কি তোমাদের প্রভু নই? তারা সকলে বলে: হ্যাঁ অবশ্যই; আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি। এটা এ জন্যে যে, তোমরা যেন কিয়ামতের দিন না বল, ‘আমরা তো এ বিষয়ে গাফেল ছিলাম। কিংবা তোমরা যেন না বল, আমাদের পিতৃপুরুষরাও তো আমাদের আগে শির্ক করেছে, আর আমরা তো তাদের পরবর্তী বংশধর; তবে কি (শির্কের মাধ্যমে) যারা তাদের আমলকে বাতিল করেছে তাদের কৃতকর্মের জন্য আপনি আমাদেরকে ধ্বংস করবেন।”[সূরা আরাফ, আয়াত: ১৭২-১৭৩] হাদিসটি মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত হয়েছে, আলবানী হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন। অতএব, কতই না মহান সেই দিন এবং কতইনা মহান সে প্রতিশ্রুতি।

৬. এটি গুনাহ মাফের দিন, জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তির দিন, আরাফাবাসীদের নিয়ে গৌরব করার দিন:

সহিহ মুসলিমে আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, “আরাফার দিনের চেয়ে উত্তম এমন কোন দিন নেই যেই দিন আল্লাহ সবচেয়ে বেশি বান্দাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দেন; নিশ্চয় তিনি নিকটবর্তী হন; অতঃপর তাদেরকে নিয়ে ফেরেশতাদের কাছে গৌরব করে বলেন: এরা কি চায়?”

ইবনে উমর (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন তিনি বলেন: নিশ্চয় আল্লাহ আরাফাবাসীদের নিয়ে ফেরেশতাদের কাছে গৌরব করে বলেন: আমার বান্দাদের দিকে তাকাও; তারা এলোমেলো চুল ও ধুলোমলিন হয়ে আমার কাছে এসেছে।”[মুসনাদে আহমাদ; আলবানী হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন]

আল্লাহই ভাল জানেন

সূত্র: শাইখ মুহাম্মদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ
https://islamqa.info/bn/answers/7284
-------------------------------------
মুহাম্মদ নূরুল্লাহ্‌ তারীফ কর্তৃক অনুদিত

৯ যিলহজ (‘আরাফা দিবস): 1) ৯ যিলহজ সূর্যোদয়ের পর ‘আরাফায় রওয়ানা হওয়া। সেখানে যোহরের আউয়াল ওয়াক্তে যোহর ও আসর দুই ওয়াক্তের...
07/07/2022

৯ যিলহজ (‘আরাফা দিবস):

1) ৯ যিলহজ সূর্যোদয়ের পর ‘আরাফায় রওয়ানা হওয়া। সেখানে যোহরের আউয়াল ওয়াক্তে যোহর ও আসর দুই ওয়াক্তের সালাত এক আযান ও দুই ইকামতে দু’রাকাত করে একসাথে আদায় করা। সালাত আদায়ের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দো‘আ ও যিকিরে মশগুল থাকা। সাধ্যমত উভয় হাত তুলে দো‘আ করা।
2) সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পর ধীরে-সুস্থে শান্তভাবে মুযদালিফায় রওয়ানা হওয়া।
3) মুযদালিফায় পৌঁছে ইশার ওয়াক্তে এক আযান ও দুই ইকামতে, মাগরিব ও ইশার সালাত একসাথে আদায় করা। ইশার সালাত কসর করে দু’রাকাত পড়া এবং সাথে সাথে বিতরের সালাতও আদায় করে নেয়া।
4) মুযদালিফায় রাতযাপন। ফজর হওয়ার পর আউয়াল ওয়াক্তে ফজরের সালাত আদায় করা। আকাশ ফর্সা হওয়া পর্যন্ত দো‘আ মোনাজাতে মশগুল থাকা।
5) মুযদালিফা থেকে কঙ্কর সংগ্রহ করা যেতে পারে, তবে তা জরুরী নয়। ৫৯ বা ৭০টি কঙ্কর সংগ্রহ করা। মিনা থেকেও কঙ্কর সংগ্রহ করা যেতে পারে। পানি দিয়ে কঙ্কর ধৌত করার কোনো বিধান নেই।
6) সূর্যোদয়ের পূর্বে মিনায় রওয়ানা হওয়া। তবে দুর্বলদের ক্ষেত্রে মধ্য রাতের পর মিনার উদ্দেশে রওনা হয়ে যাওয়া জায়েয।

‘আরাফা দিবসের বিশেষ দো‘আ :

«لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ»
(লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহূ লা শারীকালাহূ লাহুল মুলক, ওয়ালাহুল হামদ, ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর)
“আল্লাহ ছাড়া সত্য কোনো মা‘বুদ নেই। তিনি এক তাঁর কোনো শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই এবং প্রশংসা মাত্রই তাঁর। তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।”

হজের সফর শুরু করার সময় দো‘আ : «اللهُ أَكْبَرُ، اللهُ أَكْبَرُ، اللهُ أَكْبَرُ، سُبْحانَ الذِيْ سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا...
06/07/2022

হজের সফর শুরু করার সময় দো‘আ :
«اللهُ أَكْبَرُ، اللهُ أَكْبَرُ، اللهُ أَكْبَرُ، سُبْحانَ الذِيْ سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينْ، وإِنَّا إِلَى ربِّنَا لَمُنْقَلِبُون، الَّلهُمَّ إِنَّا نَسْألُكَ فِيْ سَفَرِِنا هَذَا البِرَّ والتَّقْوى، ومِنَ الْعَمَلِ ما تَرْضَى، الَّلهُمَّ هوِّن عَلَيْنا سَفَرَنا هَذَا واطْوِعنَّا بُعدَه، الَّلهُمَّ أنْتَ الصَّاحِبُ في السَّفَرِ، وَالْخَلِيْفَةُ فِي الأَهْلِ، الَّلهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ وَكَآبَةِ الْمَنْظَر، وَسُوءِ المُنْقَلَبِ فِيْ الْمَالِ والأَهْلِ».
(আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার। সুবহানাল্লাযী সাখ্খারা লানা হাযা ওয়ামা কুন্না লাহূ মুকরিনীন; ওয়া ইন্না ইলা রব্বিনা লামুনকালিবূন। আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকা ফি সাফারিনা হাযাল-বির্রা ওয়াত-তাকওয়া, ওয়া মিনাল আমালি মা-তারদা। আল্লাহুম্মা হাওয়িন ‘আলাইনা সাফারানা হাযা ওয়াতবি ‘আন্না বু‘দাহু। আল্লাহুম্মা আনতাস-সাহেবু ফিস-সাফারি, ওয়াল খালীফাতু ফিল আহলি। আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিন ওয়া‘ছাইস সাফারি ওয়া কাআবাতিল মানযারি ওয়া সূইল-মুনকালাবি ফিল মালি ওয়াল আহলি।)
“আল্লাহ মহান। আল্লাহ মহান। আল্লাহ মহান। পবিত্র সেই মহান সত্তা, যিনি আমাদের জন্য একে বশীভূত করেছেন, যদিও আমরা একে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না। আর আমরা অবশ্যই ফিরে যাব আমাদের রবের নিকট। হে আল্লাহ, আমাদের এ সফরে আমরা আপনার নিকট প্রার্থনা করি সৎকাজ ও তাকওয়ার এবং এমন আমলের যাতে আপনি সন্তুষ্ট হন। হে আল্লাহ, আমাদের জন্য এ সফর সহজ করুন এবং এর দূরত্ব কমিয়ে দিন। হে আল্লাহ, এ সফরে আপনিই আমাদের সাথী এবং পরিবার-পরিজনের আপনিই তত্ত্বাবধানকারী। হে আল্লাহ, আমরা আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি সফরের কষ্ট ও অবাঞ্ছিত দৃশ্য থেকে এবং সম্পদ ও পরিজনের মধ্যে মন্দ প্রত্যাবর্তন থেকে।” [মুসলিম: ১৩৪২]

কাবা ঘরের  গিলাফ তৈরির অজানা তথ্যকালো গিলাফ। পবিত্র কাবা শরিফের কালো গিলাফ। যাকে কিসওয়া বলা হয়। কালো গিলাফে আবৃত কাবা শর...
05/07/2022

কাবা ঘরের গিলাফ তৈরির অজানা তথ্য

কালো গিলাফ। পবিত্র কাবা শরিফের কালো গিলাফ। যাকে কিসওয়া বলা হয়। কালো গিলাফে আবৃত কাবা শরিফ মুসলিম উম্মাহর আবেগ-অনুভূতির সর্বোচ্চ স্থান।

এ কালো গিলাফ যেন পবিত্র কাবা শরিফকে অপার্থিব গভীর ভালোবাসায় জড়িয়ে আছে। পবিত্র কাবা শরিফকে ঘিরে রাখা এ গিলাফের আর্ট ও সোনার সুতায় বোনা ক্যালিওগ্রাফি মুমিন মুসলমানের হৃদয়ে তৈরি হয় ভালোলাগা, ভালোবাসা ও অনুভূত হয় অন্যরকম এক মায়াবি আকর্ষণ।

কবে থেকে কাবা শরিফে গিলাফ ব্যবহৃত হয় তার সুস্পষ্ট ইতিহাস জানা না গেলেও একসময় কাবা শরিফের বাইরের মতো ভেতরেও গিলাফে আবৃত করা হতো কাবার দেয়াল, যা এখন করা হয় না।

সৌদি আরবের বিখ্যাত উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. নাসের বিন আলি আল-হারেসির তথ্য থেকে জানা যায়-

‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সময়েও পবিত্র কাবা শরিফে গিলাফ ব্যবহৃত হতো না। কাবাঘরে গিলাফ ব্যবহারে সঠিক তারিখ জানা না গেলেও পবিত্র নগরী মক্কা ও তায়েফে প্রাপ্ত শিলালিপিতে খচিত আরবি ক্যালিওগ্রাফি সূত্রে জানা যায় যে, ৪০ হিজরি সনের দিকে আরবি ক্যালিওগ্রাফি উন্নত স্টাইল তখন অধিক প্রচলিত ছিল।’

বর্তমান সময়ে যে স্টাইলের আদলেই পবিত্র কাবা শরিফের গিলাফে সোনার সুতায় আরবি ক্যালিওগ্রাফি খচিত হচ্ছে। কাবাঘরের গিলাফে আরবি নান্দনিক ক্যালিওগ্রাফি উপস্থাপনের বিষয়ে ড. মুহাম্মদ বিন হুসাইন আল-মাওজানের গবেষণায় যে তথ্যে উঠে এসেছে, তাহলো-

মিসরের মামলুক সালতানাতের আমলে কাবার ভেতর ও বাইরে আলাদাভাবে গিলাফে আবৃত করা হতো এবং তাতে আরবি ক্যালিওগ্রাফি দিয়ে অলঙ্কৃত করা হতো। ৭৬১ হিজরিতে মামলুক আমলের সুলতান নাসের হাসান বিন মুহাম্মদ বিন কালাউনের সময় কাবার ভেতরের ক্যালিওগ্রাফি খচিত গিলাফের একখণ্ড এখনও সংরক্ষিত আছে।

তবে কাবার গিলাফের ভেতর-বাইরে উভয় অংশে শৈল্পিক এবং নয়নাভিরাম ক্যালিওগ্রাফির অলঙ্করণ শুরু করেন তুর্কি উসমানিয় সুলতানরা। তাদের সময়ে ক্যালিওগ্রাফির সবচেয়ে নান্দনিকশৈলী সুলুস ও জালি সুলুসের ব্যবহার শুরু হয়।

মামলুক সুলতানদের সময়ে রায়হানি ও মুহাক্কাকশৈলীর কায়রো ধারায় ক্যালিওগ্রাফি ব্যবহৃত হতো। তবে কাবার চারপাশে মসজিদে হারামে কুফি কাইরোয়ানি, জাহরি-নাবতি লিপির অলঙ্করণ ছিল।

১৩৪৬ হিজরিতে কাবা শরিফের গিলাফ তৈরিতে বিশেষ কারখানা তৈরির বিষয়টি সামনে আসে এবং তৎকালীন সৌদির বাদশাহ আব্দুল আজিজ আল-সৌদের নির্দেশ ক্রমে গিলাফ বা কিসওয়া তৈরির কারখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়।

১৩৪৬ সালে ওই কারখানা নির্মিত অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর ক্যালিওগ্রাফিতে সজ্জিত কালো গিলাফ দ্বারা আবৃত করা হয় পবিত্র কাবা শরিফ। বিশ্ববিখ্যাত ক্যালিওগ্রাফারদের এক সম্মেলন আহ্বান করা হয়। সেখানে সুলুসলিপিতে গিলাফ অলঙ্কৃত করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

বর্তমান সময়ের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিখ্যাত ক্যালিওগ্রাফার মুখতার শোকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তার তথ্য থেকে আরও জানা যায়, ‘কাবা শরিফের গিলাফের বাইরের কালো কাপড়ে স্বর্ণমন্ডিত রেশমি সুতা দিয়ে দক্ষ কারিগর দিয়ে ক্যালিওগ্রাফি করা হয়।’

তারপর ঝারনিখ কালি দিয়ে প্রথমে কাপড়ে ক্যালিওগ্রাফির আউটলাইন দেয়া হয়, তারপর কারিগররা হরফের ভেতর রেশমি সুতার মোটা লাইন বসিয়ে স্বর্ণের সুতা দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে হরফ ফুটিয়ে তোলেন। গিলাফের কালো জমিনে স্বর্ণের সুতার ঢেউ খেলানো বুননের ক্যালিওগ্রাফির সোনালি আভা এক জান্নাতি আবেশ ছড়িয়ে দেয়।

বাদশাহ ফাহাদ বিন আব্দুল আজিজ আল-সৌদের সময় থেকে কাবা শরিফের গিলাফের প্রধান ক্যালিওগ্রাফারের দায়িত্ব পালনকারী সৌদি বংশোদ্ভূত আব্দুর রহিম আমিন বোখারি দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

বাদশাহ ফাহদ বিন আবদুল আজিজের সময় থেকে গিলাফের প্রধান ক্যালিগ্রাফার হিসেবে সৌদি বংশোদ্ভূত আবদুর রহিম আমিন বোখারি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ক্যালিওগ্রাফি হিসেবে কোরআনের আয়াত, আল্লাহতায়ালার গুণবাচক নাম বিশেষ নকশা আকারে উপস্থাপন করা হয়।

হজরে আসওয়াদের ওপর অংশে আল্লাহু আকবর ক্যালিওগ্রাফিসহ বর্তমানে গিলাফের অধিকাংশ ক্যালিওগ্রাফি মুখতার শোকদারের হস্তলিখিত।

প্রতি বছর কাবা শরিফে গিলাফ পবিত্র হজের দিন সকাল তথা ৯ জিলহজ পরিবর্তন করা হয়। বর্তমানে কাবা শরিফে গিলাফ নির্মাণে যেসব জিনিসপত্র প্রয়োজন হয় তাহলো-

পবিত্র নগরী মক্কার উম্মুল জুদ এলাকায় গিলাফ তৈরির বিশেষ কারখানা অবস্থিত। এ কারখানায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার হলেন মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ। তার দেয়া তথ্যে কাবা শরিফের গিলাফের হিসাব-

- নতুন গিলাফ তৈরি করতে ১২০ কেজি সোনার সুতা, ৭০০ কেজি রেশম সুতা ও ২৫ কেজি রুপার সুতা লাগে।- গিলাফটির দৈর্ঘ্য ১৪ মিটার এবং প্রস্থ ৪৪ মিটার।- গিলাফের সেলাই কাজে অংশগ্রহণ করে দেড় শতাধিক অভিজ্ঞ দর্জি।- গিলাফ তৈরিতে ব্যবহার করা হয় বিশেষ মেশিন।

উল্লেখ্য, সোনা ও রুপা নির্মিত সুতা দ্বারা কালো সিল্কের কাপড়ের ওপর কুরআনুল কারিমের আয়াত অঙ্কনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। কাবা শরিফের গিলাফ তৈরির পর তা বিশেষ বৈদ্যুতিক প্রক্রিয়ায় তাপ দেয়া হয়। যাতে তা প্রচণ্ড রোদ ও তাপের কারণে অবিকৃত থাকে। পবিত্র কাবা শরিফের গিলাফ তৈরিতে খরচ হয় প্রায় ২০ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল।

হজরে আসওয়াদ এর কাছে আসলে দো‘আاللهُ أَكْبَرُ(আল্লাহু আকবার)অর্থাৎ, আল্লাহ সবচেয়ে বড়। [বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ৩/৪৭৬, নং ১...
03/07/2022

হজরে আসওয়াদ এর কাছে আসলে দো‘আ
اللهُ أَكْبَرُ
(আল্লাহু আকবার)
অর্থাৎ, আল্লাহ সবচেয়ে বড়। [বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ৩/৪৭৬, নং ১৬১৩]

03/07/2022

কাবা তাওয়াফ করার নিয়মাবলী ও নিয়মাবলী সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর

মক্কায় প্রবেশের পর প্রথম কাজ উমরা করা, কিন্তু উমরা কিভাবে করতে হয়?
মসজিদুল হারামে ঢুকে প্রথমে ৭ বার কাবাঘর তাওয়াফ করবেন। এরপর দু’রাকআত নামায শেষে ‘সাফা’ ও ‘মারওয়া’ পাহাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে সাঈ করবেন ৭ বার। সবশেষে চুল কেটে হালাল হয়ে যাবেন, অর্থাৎ ইহরামের কাপড় বদলিয়ে স্বাভাবিক পোষাক পরিধান করবেন। তাওয়াফ, সাঈ ও চুল কাটার বিস্তারিত নিয়ম পরবর্তী অধ্যায়গুলোতে দেখুন।
মক্কায় প্রবেশের আদব হিসেবে তাওয়াফের পূর্বে কি কি কাজ আমাদের করণীয় আছে?

কাজগুলো নিম্নরূপ :

মক্কায় পৌঁছে সুবিধাজনক কোন স্থানে একটু বিশ্রাম করা যাতে ক্লান্তি দূর হয় এবং শক্তি অর্জিত হয়। তাছাড়া তাওয়াফের পূর্বে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র হওয়া জরুরী। (বুখারী)

সম্ভব হলে গোসল করে নেয়া মুস্তাহাব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমনটি করতেন। (বুখারী) সুযোগ না পেলে না-করলেও চলবে। তবে নাপাকী থেকে অবশ্যই পবিত্র হতে হবে।

সহজসাধ্য হলে উঁচুভূমি এলাকা দিয়ে মক্কায় প্রবেশ করাও মুস্তাহাব। (বুখারী) “বাবুস্‌ সালাম” গেট দিয়ে ঢুকা উত্তম। তা সম্ভব না হলে যে কোন দরজা দিয়ে ঢুকতে পারেন।

হারাম শরীফে প্রবেশকালে উত্তম হলো ডান পা আগে দিয়ে ঢুকা এবং নীচের দোয়াটি পড়াঃ
أَعُوذُ بِاللهِ الْعَظِيمِ وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيمِ وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيمِ مِنْ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ بِسْمِ اللهِ وَالصَّلاَةُ وَالسَّلاَمُ عَلٰى رَسُوْلِ اللهِ – اَللَّهُمَّ افْتَحْ لِيْ أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ
এবং মসজিদে হারাম থেকে বের হওয়ার সময় পড়াঃ
بِسْمِ اللهِ وَالصَّلاَةُ وَالسَّلاَمُ عَلٰى رَسُوْلِ اللهِ اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ
এ দোয়াগুলো দুনিয়ার অন্যসব মসজিদেও পড়া সুন্নত।
“মসজিদে হারাম”এর তাহিয়াহ হল তাওয়াফ করা। আর তাওয়াফের নিয়ত না থাকলে দু’রাকআত সালাত আদায় না করে মসজিদে কখনো বসবেন না। তবে, জামাআত দাঁড়িয়ে গেলে সরাসরি জামাআতে শরীক হয়ে যাবেন।
অসুস্থ ও মাযুর ব্যক্তিদের জন্য খাটিয়ায় চড়ে তাওয়াফ বা সাঈ করা জায়েয আছে। (বুখারী)

প্রথম তাওয়াফকে ‘তাওয়াফুল কুদুম’
(طواف القدوم) বা ‘তাওয়াফুল উমরা’ বলে।

তাওয়াফের শর্ত কয়টি ও কী কী?
আমাদের হানাফী মাযহাব মতে তাওয়াফের শর্ত ৩টি, যথা :
তাওয়াফের নিয়ত করা,
তাওয়াফের ৭ চক্র পূর্ণ করা,

মসজিদে হারামের ভিতরে থেকে কাবার চারপাশে তাওয়াফ করা।
তাওয়াফের ওয়াজিব কয়টি ও কী কী?
উঃ- ৫টি, সেগুলো হলো :
অযূ করা।
সতর ঢাকা।

হাজ্‌রে আসওয়াদকে বামপাশে রেখে তাওয়াফ করা।
তাওয়াফের পর দু’রাকআত সালাত আদায় করা।
তাওয়াফ কী? এটা কিভাবে করতে হয়?
তাওয়াফ হল কাবা ঘরের চারপাশে ৭ বার প্রদক্ষিণ করা। এ তাওয়াফ করার নিয়মাবলী নীচে উল্লেখ করা হলঃ
তাওয়াফ শুরু করার পূর্বেই তালবিয়াহ পাঠ বন্ধ করে দেয়া। এরপর মনে মনে তাওয়াফের নিয়ত করা। নিয়ত না করলে তাওয়াফ শুদ্ধ হবে না। নিয়ম হল প্রথমে ‘হাজারে আসওয়াদ (কাল পাথরের) কাছে যাওয়া, “বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার” বলে এ পাথরকে চুমু দিয়ে তাওয়াফ কার্য শুরু করা। কিন্তু রমাযান ও হজ্জের মৌসুমে প্রচণ্ড ভীড় থাকে। বয়স্ক, বৃদ্ধ ও মহিলাদের জন্য পাথর চুম্বনের কাজটি প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। এ ধরনের ভীড় দেখলে ধাক্কাধাক্কি করে নিজেকে ও অন্য হাজীকে কষ্ট না দিয়ে পাথর চুমু দেয়া ছাড়াই “হাজ্‌রে আসওয়াদ” থেকে তাওয়াফ শুরু করে দিবেন। কাবাঘরের “হাজারে আসওয়াদ” কোণ থেকে মসজিদে হারামের দেয়াল ঘেষে সবুজ বাতি দেয়া আছে। এ রেখা বরাবর থেকে তাওয়াফ শুরু করে আবার এখানে আসলে তাওয়াফের এক চক্র শেষ হবে। এভাবে ৭ চক্র পূর্ণ করতে হবে। ভীড়ের পরিমাণ যদি আরো বেশী দেখতে পান এবং গ্রাউন্ড ফ্লোরে তাওয়াফ করা কঠিন মনে করেন তাহলে দু’তলা বা ছাদের উপর দিয়েও তাওয়াফ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে সময় একটু বেশী লাগলেও ভীড়ের চাপ থেকে রেহাই পাবেন। ছাদের উপর তাওয়াফ করলে দিনের প্রখর রৌদ্রতাপ ও প্রচণ্ড গরমে না গিয়ে রাতের বেলায় করবেন। বেশী ভীড়ের মধ্যে ঢুকে মানুষকে কষ্ট দেবেন না। দিলে ইবাদত ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
কাবাঘরকে বামপাশে রেখে তাওয়াফ করতে হয়। তাওয়াফের প্রথম চক্রে “বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার” বলে নীচের দোয়াটি পড়তে পারলে ভাল হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমনটি করতেন। দোয়াটি হল :
اَللَّهُمَّ إِيْمَانًا بِكَ وَتَصْدِيْقًا بِكِتَابِكَ وَوَفَاءً بِعَهْدِكَ وَاتِّبَاعًا لِسُنَّةِ نَبِيِّكَ مَحَمَّدٍ -صلى الله عليه وسلم-
অর্থ : হে আল্লাহ! তোমার প্রতি ঈমান এনে, তোমার কিতাবের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, তোমার সাথে কৃত অঙ্গীকার পূরণের জন্য তোমার নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাতের অনুসরণ করে এ তাওয়াফ কার্যটি করছি।

প্রথম তিন চক্রে পুরুষগণ ছোট ছোট পদক্ষেপে দৌড়ের ভঙ্গিতে সামান্য একটু দ্রুত গতিতে চলতে চেষ্টা করবেন। আরবীতে এটাকে ‘রম্‌ল’ বলা হয়। বাকী চার চক্র সাধারণ হাঁটার গতিতে চলবেন। মক্কায় প্রবেশ করে প্রথম যে তাওয়াফটি করতে হয় শুধু এটাতেই প্রথম তিন চক্রের রম্‌লের এ বিধান। এরপর যতবার তাওয়াফ করবেন সেগুলোতে আর “রম্‌ল” করতে হবে না। মহিলাদের রম্‌ল করতে হয় না।

পুরুষেরা ইহরামের গায়ের কাপড়টির একমাথা ডান বগলের নীচ দিয়ে এমনভাবে পেঁচিয়ে দেবেন যাতে ডান কাঁধ, বাহু ও হাত খোলা থাকে। কাপড়ের বাকী অংশ ও উভয় মাথা দিয়ে বাম কাঁধ ও বাহু ঢেকে ফেলবেন। এ নিয়মটাকে আরবীতেও اضطباع (ইয্‌তিবা) বলা হয়। এটা শুধুমাত্র প্রথম তাওয়াফে করতে হয়। পরবর্তী তাওয়াফগুলোতে এ নিয়ম নেই, অর্থাৎ ডান কাঁধ ও বাহু খোলা রাখতে হয় না।
কাবাঘরের চারটি কোণের মধ্যে একটি কোণের নাম হল “রুক্‌নে ইয়ামানী”। হাজ্‌রে আসওয়াদ-এর কোণটিকে প্রথম কোণ ধরে তাওয়াফ শুরু করে আসলে “রুক্‌নে ইয়ামানী” হবে চতুর্থ কোণ। এ “রুক্‌নে ইয়ামানী”র পাশে এসে পৌঁছলে ভীড় না হলে এ কোণকে ডান হাত দিয়ে ছুইতে চেষ্টা করবেন। কিন্তু সাবধান, এ রুক্‌নে ইয়ামেনীকে চুমু দেবেন না, এর পাশে এসে হাত উঠিয়ে ইশারাও করবেন না এবং সেখানে ‘আল্লাহু আকবার’ও বলবেন না। ‘আল্লাহু আকবার’ বলবেন হাজ্‌রে আসওয়াদে পৌঁছে। তাওয়াফ শুরু করবেন “হাজ্‌রে আওয়াদ” থেকে এবং শেষও করবেন সেখানে গিয়েই।

রুক্‌নে ইয়ামেনী ও হাজ্‌রে আসওয়াদের মধ্যবর্তী স্থানে নিম্নের এ দোয়াটি পড়া মুস্তাহাব :
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَّقِنَا عَذَابَ النَّارِ
অর্থ : হে আমাদের রব! আমাদেরকে তুমি দুনিয়ায় সুখ দাও, আখেরাতেও আমাদেরকে সুখী কর এবং আগুনের আযাব থেকে আমাদেরকে বাঁচাও।[৪]
তাওয়াফের প্রত্যেক চক্রেই হাজ্‌রে আসওয়াদ ছুঁয়া ও চুমু দেয়া উত্তম। কিন্তু প্রচণ্ড ভীড়ের কারণে এটি খুবই দূরূহ কাজ। সেক্ষেত্রে প্রতি চক্রেই হাজ্‌রে আসওয়াদের পাশে এসে এর দিকে মুখ করে ডান হাত উঠিয়ে ইশারা করবেন। ইশারাকৃত এ হাত চুম্বন করবেন না। ইশারা করার সময় একবার বলবেন بسم الله الله أكبر ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’।
তাওয়াফরত অবস্থায় খুব বেশী বেশী যিক্‌র, দোয়া ও তাওবা করতে থাকবেন। কুরআন তিলাওয়াতও করা যায়। কিছু কিছু বইতে আছে প্রথম চক্রের দোয়া, ২য় চক্রের দোয়া ইত্যাদি। কুরআন হাদীসে এ ধরনের চক্রভিত্তিক দোয়ার কোন ভিত্তি নেই। যত পারেন একের পর এক দোয়া আপনি করতে থাকবেন। এ বইয়ের ২১ ও ২২ নং অধ্যায়ে কিছু দোয়া দেয়া আছে। এ দোয়াগুলো করতে পারেন। তাছাড়া আপনার নিজ ভাষায় আপনার মনের কথাগুলো আল্লাহ্‌র কাছে বলতে থাকবেন, মিনতি সহকারে চাইতে থাকবেন। দলবেঁধে সমস্বরে জোরে জোরে দোয়া করে অন্যদের দোয়ার মনোযোগ নষ্ট করবেন না। আরবীতে দোয়া করলে এগুলোর অর্থ জেনে নেয়ার চেষ্টা করবেন যাতে আল্লাহর সাথে আপনি কি বলছেন তা যেন হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে পারেন।
তাওয়াফের ৭ চক্র শেষ হলে দু’কাঁধ এবং বাহু ইহরামের কাপড় দিয়ে আবার ঢেকে ফেলবেন এবং “মাকামে ইব্‌রাহীমের” কাছে গিয়ে পড়বেন :
وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلّىً
অর্থ : ইব্‌রাহীম (পয়গাম্বর)-এর দণ্ডায়মানস্থলকে সালাত আদায়ের স্থান হিসেবে গ্রহণ করো।[৫]
অতঃপর তাওয়াফ শেষে এ মাকামে ইব্‌রাহীমের পেছনে এসে দু’রাকআত সালাত আদায় করবেন। ভীড়ের কারণে এখানে জায়গা না পেলে মসজিদে হারামের যে কোন অংশে এ সালাত আদায় করা জায়েয আছে। মানুষকে কষ্ট দেবেন না, যে পথে মুসল্লীরা চলাফেরা করে সেখানে সালাতে দাঁড়াবেন না। সুন্নত হলো এ সালাতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর প্রথম রাকআতে সূরা কাফিরূন এবং দ্বিতীয় রাকআতে সূরা ইখলাস পড়া।
এরপর যমযমের পানি পান করতে যাওয়া মুস্তাহাব। পান শেষে যমযমের কিছু পানি মাথার উপর ঢেলে দেয়া সুন্নাত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমনটি করতেন। (আহমাদ)
মুস্তাহাব হলো পুনরায় হাজ্‌রে আসওয়াদের কাছে গিয়ে এটা স্পর্শ করা ও চুম্বন করা। সম্ভব হলে এটা করবেন। আর ভীড় বেশী থাকলে এ কাজটা করতে যাবেন না।

বেগানা পুরুষের সামনে মহিলারা হাজারে আসওয়াদ চুম্বনের সময় মুখ খোলা রাখবেন না। কাবার গা ঘেঁষে পুরুষদের মধ্যে না ঢুকে মেয়েদের একটু দূর দিয়ে তাওয়াফ করা উত্তম।
তাওয়াফ করার সময় যদি জামা’আতের ইকামত দিয়ে দেয় তখন সঙ্গে সঙ্গে তাওয়াফ বন্ধ করে দিয়ে নামাযের জামা’আতে শরীক হবেন এবং ডান কাঁধ ও বাহু চাদর দিয়ে ঢেকে ফেলবেন। নামায রত অবস্থায় কাঁধ ও বাহু খোলা রাখা জায়েয না। সালাত শেষে তাওয়াফের বাকী অংশ পূর্ণ করবেন।

প্রচণ্ড ভীড়ের কারণে কোন পর মহিলার গা স্পর্শ হলে এতে তাওয়াফের কোন ক্ষতি হবে কি?
না, অযুও ছুটবে না। তবে সতর্ক থাকতে হবে।
তাওয়াফরত অবস্থায় শরীরের কোন স্থান ক্ষত হয়ে গেলে বা ক্ষতস্থান থেকে রক্ত পড়লে এতে তাওয়াফের কোন ক্ষতি হবে কি?
উঃ- না।

বিশেষ করে মসজিদে হারামে মুসল্লীর সামনে দিয়ে কেউ হাঁটলে তার গোনাহ হবে কি?

না। (আবূ দাঊদ, নাসায়ী, ইবনে মাজাহ), তবে মুহাদ্দিস আলবানী (রহ.)-এর মতে হাঁটা জায়েয নয়। সেজন্য সতর্ক থাকা বাঞ্ছনীয়।

তাওয়াফ শেষে দু’রাক’আত সালাত দিন ও রাতের যে কোন সময় এমনকি নিষিদ্ধ ও মাকরূহ ওয়াক্তেও আদায় করা যাবে কি?

হ্যাঁ। তবে নিষিদ্ধ ৩টি সময়ে নামায না পড়া উত্তম।

তাওয়াফের দু’রাক’আত সালাত শেষে হাত তুলে দোয়া করার কোন বিধান শরীয়তে পাওয়া যায় কি?
না, বরং এটা সুন্নাতের খেলাফ।

তাওয়াফ শেষে কী কী কাজ সুন্নত?

এখানে সুন্নাত হল যমযম পান করতে চলে যাওয়া, কিছু পানি মাথায় ঢেলে দেয়া, অতঃপর সম্ভব হলে পুনরায় হাজারে আসওয়াদ স্পর্শ করা। এরপর সাফা-মারওয়ায় সাঈ করতে চলে যাওয়া। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবেই করেছেন।

রুকনে ইয়ামানী কি চুম্বন করা যাবে?

না, এটা কখনো চুম্বন করবেন না। তবে “রুক্‌নে ইয়ামানী” স্পর্শ করা মুস্তাহাব।

তাওয়াফের ৭ চক্রের মধ্যে এক চক্র কম হলে তাওয়াফ কি শুদ্ধ হবে?

না।
পরবর্তী দু’রাক’আত সালাত কি তাওয়াফের অংশ?

না। এটা পৃথক ইবাদত।
বহিরাগত লোকদের জন্য হারামে কোনটিতে সাওয়াব বেশী? নফল নামায নাকি নফল তাওয়াফ?

তাওয়াফ। কারণ তাওয়াফের সুযোগ এখানে ছাড়া দুনিয়ায় আর কোথাও নেই।

নামাযীদের সামনে দিয়ে তাওয়াফরত পুরুষ-মহিলারা হাঁটলে কি তাতে মাকরূহ হবে?

না। এ বিধান মক্কার জন্য খাস।
যে তিন ওয়াক্তে সালাত আদায় নিষিদ্ধ সে সময়ে তাওয়াফ করা কি জায়েয?।

হাঁ। জায়েয।
হায়েয বা নেফাসওয়ালী মহিলারা পবিত্র হওয়ার আগে তাওয়াফ করতে পারবে কি?

না।
যদি তাওয়াফ শেষ করার পর সাঈ শুরু করার পূর্বে কোন মহিলার হায়েয শুরু হয়ে যায় তাহলে কী করবে?

সাঈ করে ফেলবে। কারণ সাঈতে পবিত্রতা অর্জন শর্ত নয়, বরং মুস্তাহাব।

তাওয়াফুল কুদুম বা উমরার তাওয়াফ ছাড়া বাকী সব তাওয়াফ কী পোষাকে করব?

স্বাভাবিক পোষাক পরিধান করেই করবেন।
“হাজারে আসওয়াদ” ও ‘রুক্‌নে ইয়ামেনী” স্পর্শ করার ফযীলত জানতে চাই?

এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
“হাজ্‌রে আসওয়াদ” ও “রুক্‌নে ইয়ামেনী”র স্পর্শ গুনাহগুলোকে সম্পূর্ণরূপে মুছে ফেলে দেয়। (তিরমিযী)

নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা “হাজ্‌রে আসওয়াদ”কে কিয়ামতের দিন উত্থিত করবেন। তার দু’টি চক্ষু থাকবে যা দ্বারা সে দেখতে পাবে, একটি জিহ্বা থাকবে যা দ্বারা সে কথা বলবে এবং যারা তাকে স্পর্শ করেছে সত্যিকারভাবে এ পাথর তাদের পক্ষে সাক্ষ্য প্রদান করবে। (তিরমিযী)
তাওয়াফে হাজীদের সাধারণত কী কী ভুলত্রুটি লক্ষ্য করা যায়?
হাজারে আসওয়াদের কাছে এসে দু’হাতে ইশারা দেয়। এটা ভুল। শুদ্ধ হলো এক হাতে দেয়া।

রুক্‌নে ইয়ামানী হাত দিয়ে ইশারা করে। এটা করা ঠিক নয়।
কিছু লোক তাওয়াফের সময় কাবার চার কোণই স্পর্শ করে। এরূপ করতে যাওয়া ঠিক না।

তাওয়াফের সময় কেউ কেউ কাবাঘর বা এর গেলাফ মুছে। এ মুছার মধ্যে কোন ফযীলত নেই।

কিছু লোক তাওয়াফের সময় দল বেঁধে যিক্‌র ও দোয়া করে। এটা করবেন না।

এক শ্রেণীর লোক বেরিকেড দিয়ে দল বেঁধে তাওয়াফ করে। অন্যদেরকে কষ্ট দিয়ে এভাবে তাওয়াফ করা উচিত না।

কেউ কেউ মাকামে ইব্‌রাহীম চুমু দেয় এবং এটাতে হাত দিয়ে মুছে। এসব ভুল কাজ।

Address

আকমল, শপিংমল, (৩য় তলা) রুম নং ৩০১
Demra
1361

Telephone

+8801719988587

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Madani Hajj Travels posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Madani Hajj Travels:

Videos

Share

Category