27/06/2020
একদিনের ব্যাচেলর ট্যুর:
আমরা যারা ১০টা/৬টার চাকরিজীবী, আমার ধারনা তাদের জন্য স্বল্পমেয়াদী বা একদিনের ট্যুর ব্যাপক জনপ্রিয়। সেক্ষেত্রে প্রথমেই বাঁধ সাঁধে একটি দলে সবাই ভ্রমণ পিপাসু না হওয়ায় দলগতভাবে যাওয়া। পরেরটি হয় স্থান, ঢাকা থেকে একদিনের ট্যুরে যেতে হলে গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভার বা মাওয়াই প্রথমে মাথায় আসে। কিন্তু ময়মনসিংহ হতে পারে আরও একটি বিকল্প।
গত ২৫ অক্টোবর ২০১৯ সেই বিকল্পের পথেই হেঁটেছিলাম আমরা, মহাখালী থেকে ধরেছিলাম ময়মনসিংহের বাস। নাস্তা করে যাইনি কারন, ইচ্ছা ছিল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বার চত্ত্বরে পাগলা/পাগলু (নরম/ভুনা খিচুড়ি, যেটা আগের ট্যুরে খেয়েছিলাম) দিয়ে নাস্তা করবো। কিন্তু সে আশার গুড়ে-বালি, এবার গিয়ে দেখলাম জব্বার চত্ত্বরে যেসব খাবার হোটেল ছিল তারা কেউ পাগলা/পাগলু নামক বস্তুই চেনে না। বাধ্য হয়ে, পরোটা, ভাজি, ভাত, মাছ যার যেটা পছন্দ সেটা দিয়ে নাস্তা সারলাম।
তারপর বাকৃবি দর্শন করে গন্তব্য ধরলাম মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ির। অনেকক্ষণ সময় অতিবাহিত করমাল সে জমিদার বাড়িতে। জমিদার বাড়ির শিল্পশৈলি অসম্ভব সুন্দর কিনা সেটা পরিমাপ করার যোগ্যতা এখনও না হলেও আমাদের ভালই লেগেছিল। সেখান থেকে দুপুরের খাবার খেতে ফেরার পথে বৃষ্টির শুরু হলো, ভেবেছিলাম খেতে খেতে বৃষ্টি শেষ হয়ে যাবে তখন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালায় যাবো। তবে, বৃষ্টি আর থামেনি, সিএনজির ২ পাশ দিয়ে আসা বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে বাস স্ট্যান্ড, চা পান করা, তারপর আবার মহাখালী।
সারাদিনের ভ্রমনক্লান্তি, বৃষ্টিতে ভিজে যতক্ষণে মহাখালীতে পৌছেছি ততক্ষণে সবার শরীরে ক্লান্তি ভর করলেও সবার মন ছিলো ফুরফুরে। আসলে ভ্রমন পিপাসুদের কাছে ভ্রমনটাই শেষ কথা...