
22/01/2025
ক্রোয়েশিয়ার 🇭🇷 মিনিস্ট্রি থেকে পারমিট বা ভিসা ইস্যু বন্ধের কোন প্রকার অফিশিয়াল নোটিশ পাওয়া যায়নি। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে আবেদনকারীদের আবেদন জমা নিচ্ছে না বলে আমাদের ক্রোয়েশিয়ার সম্মানিত ক্লাইন্ড জানিয়েছেন। এখন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আমরা যা দেখতেছি তা হচ্ছে-
১. বাংলাদেশিদের ক্রয়েশিয়াতে আবেদন আপাতত স্তগিত রাখা উচিত। যদি আবেদন করেন তাহলে কাউকে এডভান্স টাকা দেয়া উচিত না। পারমিট বের হলে যাচাই করে টাকা দিতে পারেন।
২. ক্রোয়েশিতে পারমিট বের হতে ২-৩ মাস লাগে। যদি জানুয়ারি ২০২৫ এর আগে পারমিট না বের হয়ে থাকে তাহলে আশা করা যায় বের হবে না। অনেকে বলতে পারেন ২০২৪ এ ৮ মাস পরেও পারমিট বের হয়েছে, আসলে তা ঠিক না। আপনার এজেন্ট ৬ মাস দেরি করে জমা দিয়েছে তাই ৮ মাস পর বের হয়েছে!
৩. মিডেলিস্টে যারা কাজ করতেসেন, আপনারা যারা ক্রয়েশিয়াতে আবেদন করেছেন, ধৈর্য ধারণ করুন, আপনাদের কাজ হলেও হতে পারে।
৪. আমাদের কথা সত্যতা মার্চের মধ্যেই পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।
🇭🇷 ২০২৪ সালে বাংলাদেশী, ইন্ডিয়ান, নেপালি, পাকিস্তানি, ইজিপ্ট, উজবেকিস্তান, এসব দেশ থেকে প্রচুর কর্মী এসেছে। এসব ন্যাশনালিটি লোকজনদের ওপর এখন কড়া বিধি নিষেধ আরোপ হতে যাচ্ছে।
এখন আসুন দেখি কেন শুধুমাত্র বাংলাদেশীদের জন্য এমন হচ্ছে -
১. এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ১০% লোকও এসে কাজ করেনি। পালানোর লিস্টে আমরাই প্রথম। ক্রোয়েশিয়ার পাশেই রয়েছে ইতালি। পালিয়ে সবাই ইতালিতেই গিয়েছে!
২. ক্রোয়েশিয়া এসে কোম্পানিতে দেখা না করেই ভেগে যাওয়ার প্রবনতা।
৩. যারা কোম্পানিতে দেখা করেছে ৫% কর্মীও কাজ জানে না। কারণ ক্রোয়েশিয়াতে প্রচুর ভিসা বাণিজ্য হয়েছে। আন স্কিলড লোকদের গণহারে এজেন্ট এবং দালালরা ক্রোয়েশিয়া পাঠিয়েছে।
৪. টি আর সি করার মাধ্যমে প্রতিটি কোম্পানির মিনিস্ট্রিতে কর্মীর রেকর্ড জমা হয়। শুধুমাত্র বাংলাদেশের কর্মীদের ডাটা জমা দিতে পারেনা কোম্পানি।
🇭🇷 বর্তমানে করনীয় কি-
ক্রোয়েশিয়া 🇭🇷 সহ ইউরোপের প্রতিটি দেশই বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনার দেশ। প্রচুর কর্মী চাহিদা সব দেশেই। আমরা সবাই চাই এই সুযোগ আমাদের জন্য লম্বা সময় থাকুক। আরও নতুন নতুন দেশ ও রাস্তা তৈরি হোক। সে জন্য-
১. দক্ষ হয়ে বিদেশ আসুন।
২. এসে কোম্পানিতে কাজ করুন।
৩. বৈধ ডকুমেন্টস করুন।
৪. পরবর্তী লোকদের কথা মাথায় রাখুন।
৫. নতুন আইডিয়া নিয়ে কোম্পানির কাজে সহযোগী করুন।
৬. ইউরোপের মাটিতে দেশের নাম উজ্জ্বল করুন।
৭. একজন আরেকজনের পাশে থেকে সুযোগ তৈরি করুন।
🇭🇷 ক্রোয়েশিয়ার হাত ধরে অনেক মানুষের ইউরোপের স্বপ্ন পুরন হয়েছে ঠিকই কিন্তু পরবর্তী প্রজন্মের জন্য দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। এখন থেকেই সতর্ক হই। এই শ্রমবাজার ধরে রাখতে সম্মিলিত ভাবে এটাকে সন্মান করি। নিজেদের কিছুটা পরিবর্তন করতে হবে।