Eamin Eadin travels and tours

Eamin Eadin travels and tours Govt. Approve hajj agency HL- 1508 PROPRIETOR- MUHAMMAD MOSTAFA Mobile No: 01643330245 , 01819480666

12/04/2024

"তোমাদের সহজ ও বিনম্র আচরণ করার জন্য পাঠানো হয়েছে, কঠোর আচরণের জন্য পাঠানো হয়নি।"

(সহীহ বুখারি, ২২০)

11/04/2024

Eid mubarak to all my followers 🕋❤️

09/04/2024
BREAKING NEWS!The Crescent for the month of Shawwal 1445 was not seen today in Kingdom of Saudi Arabia.The month of Rama...
08/04/2024

BREAKING NEWS!
The Crescent for the month of Shawwal 1445 was not seen today in Kingdom of Saudi Arabia.

The month of Ramadan 1445 will complete 30 days. Alhamdulillah 🖤

উবাদাহ ইবনু সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত:আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লায়লাতুল কদর সম্পর্কে জানানোর জন্য বে...
06/04/2024

উবাদাহ ইবনু সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত:
আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লায়লাতুল কদর সম্পর্কে জানানোর জন্য বের হলেন। তখন দু'জন মুসলমান বিবাদ করছিল। তিনি বললেনঃ আমি তোমাদের লাইলাতুল কদর সম্পর্কে জানানোর জন্য বেরিয়েছিলাম; কিন্তু তখন অমুক অমুক বিবাদে লিপ্ত থাকায় তা (লাইলাতুল কদরের নির্দিষ্ট তারিখ সম্পর্কিত জ্ঞান) উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। আর হয়তো বা এটাই তোমাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে। তোমরা তা অনুসন্ধান কর (রমযানের) ২৭, ২৯ ও ২৫ তম রাতে।

_সহিহ বুখারী, হাদিস: ৪৯

Don’t be sad. Allah with us💗
02/04/2024

Don’t be sad. Allah with us💗

অনেক বাবা-মাকেও দেখা যায়, ছেলে নেই তাই শখ করে মেয়েকেই ছেলেদের পোশাক পরায়। আবার এই নতুন জামানায় ছেলেরাও শখ করে নারীদের পো...
31/03/2024

অনেক বাবা-মাকেও দেখা যায়, ছেলে নেই তাই শখ করে মেয়েকেই ছেলেদের পোশাক পরায়। আবার এই নতুন জামানায় ছেলেরাও শখ করে নারীদের পোশাক পরছে। অথচ বিপরীত লিঙ্গের বেশধারীকে আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অভিশাপ করেছেন।

❝রাসূল (সা.) সেসব পুরুষকে অভিসম্পাত করেছেন, যারা নারীদের পোশাক পরে এবং সেসব নারীকে অভিসম্পাত করেছেন যারা পুরুষের পোশাক পরিধান করে।❞ [আবু দাউদ: ৪০৯৮]

লাইলাতুল ক্বদরের বিশেষ দু'আ: হে আল্লাহ, আপনি ক্ষমাশীল (উদার), আপনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন, আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।[রেফারেন্...
31/03/2024

লাইলাতুল ক্বদরের বিশেষ দু'আ:

হে আল্লাহ, আপনি ক্ষমাশীল (উদার), আপনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন, আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।

[রেফারেন্স: তিরমিযী, ৩৫১৩]

প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর 'আয়াতুল কুরসি' পাঠ করেন তো ইন শা আল্লাহ্?
30/03/2024

প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর 'আয়াতুল কুরসি' পাঠ করেন তো ইন শা আল্লাহ্?

যে আমল করা অপরিহার্য করা উচিতঃদাজ্জালের ফিতনা মানবেতিহাসে সবচেয়ে বড় ফিতনা। ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্...
30/03/2024

যে আমল করা অপরিহার্য করা উচিতঃ
দাজ্জালের ফিতনা মানবেতিহাসে সবচেয়ে বড় ফিতনা। ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,
আদম (আঃ) সৃষ্টি থেকে কিয়ামত পর্যন্ত দাজ্জালের ফিতনা থেকে বড় কোন বিষয় সংঘটিত হবে না।
[সহীহ মুসলিম : ২৯৪৬]
এই জন্য রাসূলুল্লাহ সাঃ তাঁর উম্মাহকে প্রত্যেক নামাজান্তে দাজ্জাল থেকে মুক্তির প্রার্থনা শিখিয়েছেন। তিনি নিজেও সর্বদা এই আমল জারি রাখতেন। এমনকি সালাফের একদল আলিম-(ইতিহাসে যাদের 'জাহেরু' নামে চিনে থাকে।
প্রত্যেক নামাজান্তে দাজ্জাল থেকে মুক্তিপ্রার্থনা করাকে ওয়াজিব বলে অভিহিত করেছেন।
জাহান্নামের আযাব,কবরের আযাব,দাজ্জালের ফিতনা, জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ঈমান হারানোর মতো ফিতনা থেকে আমরা সকলেই বাঁচতে চাই। স্বয়ং রসুলুল্লাহ(ﷺ) সালাতের শেষ বৈঠকে এই চারটি ফিতনা থেকে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতেন। সেখানে আমাদের কী করা উচিত তা নিজেরাই ভেবে দেখি। এই দুয়াটি তাশাহহুদ ও দরুদ শরীফ পড়ার পর দুয়া মাছুরা হিসেবে পড়া যায়। আবার দুয়া মাছুরা শেষেও পড়া যায়।
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, "তোমাদের কেউ যখন তাশাহুদ পাঠ কর, তখন সে যেন অবশ্যই চারটি জিনিস থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করে। সে যেন বলে,
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَمِنْ عَذَابِ النَّارِ وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ

‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আজাবিল কাবরি, ওয়া মিন আজাবিন্না-রি, ওয়ামিন ফিতনাতিল মাহইয়া ওয়াল মামা-তি, ওয়ামিন ফিতনাতিল মাসীহিদ্দাজ্জা-ল।’

অর্থ: ❝হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে কবরের শাস্তি, জাহান্নামের শাস্তি, জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা ও দাজ্জালের ফিতনা থেকে আশ্রয় চাই।❞ [সহীহ বুখারি: ১৩৭৭]

পুনশ্চঃ বুখারি মুসলিমসহ বিভিন্ন হাদিসে আগে পরে আছে এই চারটি বিষয়, তা সমস্যা নয়। একভাবে আমল করলেই হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ।
তাছাড়া দাজ্জালের ফেতনা থেকে বাঁচতে পবিত্র কোরআনের সুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থের কথাও হাদিসে এসেছে। হজরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন,
যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের শুরুর ১০ আয়াত মুখস্থ করবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে।
[সহিহ মুসলিম: ৮০৯]

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দাজ্জালের ফিতনা থেকে বেঁচে থাকার জন্য উল্লেখিত দোয়াটি নিয়মিত পাঠ করার এবং সুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থ করার তাওফিক দান করুন, আমিন।

শেষ দশকে যারা ইতেকাফে বসবেন তো, আলহামদুলিল্লাহ্।নতুবা, ইতেকাফ সম্ভব না হলেও ইবাদতের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে।কিন্তু আমাদের...
30/03/2024

শেষ দশকে যারা ইতেকাফে বসবেন তো, আলহামদুলিল্লাহ্।
নতুবা, ইতেকাফ সম্ভব না হলেও ইবাদতের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে।

কিন্তু আমাদের অবস্থা উল্টো।

রমজান শুরু হওয়ার সময় কয়েকদিন দেখবেন মসজিদে গিয়ে জায়গা পাওয়া যায় না, মাশাআল্লাহ।
কিন্তু আস্তে আস্তে মুসুল্লি কমতে থাকে।
শেষ দশকে তো প্রায় সবাই কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকে।

অথচ, রসূল (ﷺ) রমজানের শেষ দশকে এত পরিশ্রম করতেন যা অন্য সময়ে করতেন না।

যা দিন যাওয়ার তা তো গেছে। সামনের দিনগুলার জন্য সকলে মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিন ইনশাআল্লাহ্।

মহান আল্লাহ্ বলেন,“আমি অধিকাংশ মানুষ এবং জ্বীন সৃষ্টি করেছি তাদেরকে জাহান্নামে দেয়ার জন্য। তারা হল- যাদের অন্তকরণ আছে কি...
29/03/2024

মহান আল্লাহ্ বলেন,
“আমি অধিকাংশ মানুষ এবং জ্বীন সৃষ্টি করেছি তাদেরকে জাহান্নামে দেয়ার জন্য। তারা হল- যাদের অন্তকরণ আছে কিন্তু তা দিয়ে বুঝার চেষ্টা করে না, চোখ আছে তা দিয়ে দেখে না এবং কান আছে তা দিয়ে শুনেনা, তারা হল জানোয়ারের মত বরং তার চেয়েও পথভ্রষ্ট, তারাই হল উদাসীন।

📖 [সূরা আ’রাফ, ৭/১৭৯]

"আমি ইচ্ছে করলেই সবাইকে হিদায়ত দান করতে পারতাম। কিন্তু আমার এ কথা অবশ্যই সত্য যে, আমি নিশ্চয়ই জিন ও মানুষ উভয় দ্বারা জাহান্নাম পূর্ণ করবো"!

[সুরা-আস সাজদাহ আয়াত -১৩]

মাসজিদ আল-হারামের ইমাম শাইখ আব্দুর রহমান আল  রমজানের শেষ দশ দিনের জন্য চমৎকার এক আমলের ফর্মুলা দিয়েছেন।১. প্রতিদিন এক দি...
28/03/2024

মাসজিদ আল-হারামের ইমাম শাইখ আব্দুর রহমান আল রমজানের শেষ দশ দিনের জন্য চমৎকার এক আমলের ফর্মুলা দিয়েছেন।

১. প্রতিদিন এক দিরহাম (এক টাকা) দান করুন, যদি দিনটি লাইলাতুল ক্বদরের মাঝে পড়ে, তবে আপনি ৮৪ বছর বা ১০০০ মাস পর্যন্ত প্রতিদিন এক টাকা দান করার সাওয়াব পাবেন।

২. প্রতিদিন দুই রাকা'আত নফল সালাত আদায় করুন, যদি দিনটি লাইলাতুল ক্বদরের মাঝে পড়ে, তবে আপনি ৮৪ বছর পর্যন্ত প্রতিদিন দুই রাকা'আত নফল সালাত আদায় করার সাওয়াব পাবেন।

৩. প্রতিদিন তিনবার সূরা ইখলাস পাঠ করুন, যদি দিনটি লাইলাতুল ক্বদরের মাঝে পড়ে, তবে আপনি ৮৪ বছর পর্যন্ত প্রতিদিন এক খতম ক্বুর'আন পাঠের সাওয়াব পাবেন।

তিনি আরো বলেন, এ কথাগুলো মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিন, যারা আপনার এ কথা শুনে আমল করবে, আপনিও তাদের আমলের সমপরিমাণ সাওয়াব পাবেন ইনশাআল্লাহ্। কারণ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "ভালো কাজের পথপ্রদর্শনকারী আমলকারীর সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে, কিন্তু আমলকারীর সাওয়াবে কোনো ঘাটতি হবে না।" (মুসলিম, ২৬৭৪)

আল্লাহ্ সবাইকে বেশি বেশি আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন।

28/03/2024

আজ ১৭ রমজান।

৩১৩ জন মুজাহিদ নিয়ে এই ১৭ রমজান বদর যুদ্ধে বিজয় লাভ হয়। ❤️

27/03/2024

এক ব্যক্তি রাসূল (সা.)-এর কাছে দারিদ্র্যের অভিযোগ করল, রাসূল (সা.) তাকে বলেন, ❝যখন তুমি ঘরে যাও তখন সালাম দেবে এবং একবার সূরা ইখলাস পড়বে।❞ সাহাবি লাগাতার ক’দিন আমল করেন। ফলে কিছু দিনের মধ্যে তার দারিদ্র্য দূরীভূত হয়ে যায়।
—তাফসীরে করতুবি (২০/১৮৫)

ওজনে কম দিয়ে ধ্বংস হওয়া একটি জাতির গল্প!মাদইয়ান সম্প্রদায়ের কাছে প্রেরিত হয়েছেন হজরত শোয়াইব (আ.)। হজরত শোয়াইব (আ.) ছিলেন...
26/03/2024

ওজনে কম দিয়ে ধ্বংস হওয়া একটি জাতির গল্প!

মাদইয়ান সম্প্রদায়ের কাছে প্রেরিত হয়েছেন হজরত শোয়াইব (আ.)। হজরত শোয়াইব (আ.) ছিলেন হজরত ইবরাহিম (আ.) এর তৃতীয় স্ত্রী কাতুরার ঘরের পুত্র মাদইয়ানের বংশধর। এ জন্য হজরত ইবরাহিম (আ.) এর এই বংশধরকে বনি কাতুরা বলা হয়। কোনো কোনো বর্ণনা মতে, হজরত শোয়াইব (আ.) হজরত সালেহ (আ.) এর বংশোদ্ভূত নবী ছিলেন। যেহেতু তিনি মাদইয়ান সম্প্রদায়ের কাছে প্রেরিত হয়েছেন, তাই পরবর্তী সময়ে তার নামেই তার কওমের নাম হয়ে যায় কওমে শোয়াইব। বর্তমান সিরিয়ার মুয়ান নামক স্থানে সে কওমে শোয়াইবের বসবাস ছিল বলে জানা যায়। কোরআনে কারিমের কোথাও তাদের ‘আসহাবে মাদইয়ান’ ও ‘আহলে মাদইয়ান’ নামে উলেস্নখ করা হয়েছে। আবার কোথাও ‘আসহাবে আইকা’ নামে উলেস্নখ করা হয়েছে। আসহাবে আইকা ও মাদইয়ান একই সম্প্রদায়ের দুই নাম, নাকি তারা পৃথক পৃথক সম্প্রদায়- সে ব্যাপারে যথেষ্ট মতবিরোধ থাকলেও প্রসিদ্ধ মতানুসারে মাদইয়ান ও আসহাবে আইকা একই সম্প্রদায়। যাদের পিতার দিকে সম্বোধন করে মাদইয়ান বলা হতো আর ভৌগোলিক দিক থেকে আসহাবে আইকা বলা হতো। আইকা অর্থ বনজঙ্গল। এ জায়গার মাটি অত্যমত্ম উর্বর হওয়ায় সে স্থানে ফলফলাদিসহ বিভিন্ন ধরনের গাছ-গাছালি বেশি হতো। তাই কোরআনে কারিমে তাকে ‘আইকা’ বলে সম্বোধন করা হয়েছে। মাদইয়ানবাসী পার্থিব লোভ-লালসায় মত্ত হয়ে পাস্পরিক লেনদেনের সময় ওজনে কমবেশি করে মানুষের হক আত্মসাৎ করত। মহান আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে শরিক স্থাপন করত। গাছপালা ও মূর্তি পূজায় তারা লিপ্ত থাকত। লেনদেনের ক্ষত্রে দুর্নীতি, প্রতারণা, ছিনতাই, রাহাজানি ও মজুদদারির মতো জঘন্য অন্যায় তারা করত। এসব পাপে তারা এমনভাবে লিপ্ত ছিল যে, তারা কখনোই উপলব্ধি করত না, তারা অন্যায় করছে বা তারা যা করছে তা গর্হিত কাজ। বরং তারা অবাধ্যতা প্রদর্শন করতে পেরে আনন্দ বোধ করত। এভাবে তারা ভূপৃষ্ঠে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করত। তাদের কাছে পাঠানো হলো হজরত শোয়াইব (আ.)কে। হজরত শোয়াইব (আ.) সর্বপ্রথম তাদের তাওহিদের দাওয়াত দিলেন। বললেন, ‘হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করো, যিনি ছাড়া আর কোনো মাবুদ নেই।’ (সুরা আরাফ : ৮৫)। তাওহিদের দাওয়াত দেয়ার পরপরই হজরত শোয়াইব (আ.) তাদেরকে তাদের কুকর্ম ওজনে কম দেয়ার হীন মানসিকতাকে দূর করার দাওয়াত দিলেন। তিনি বলেন, ‘তোমরা পরিমাপে ও ওজনে কম দিও না। আজ আমি তোমাদের ভালো অবস্থায় দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু আমি তোমাদের ব্যাপারে পরিবেশ নষ্টকারী দ্বীনের আজাবের ভয় পাচ্ছি। হে আমার কওম! ন্যায়-নিষ্ঠার সঙ্গে ওজন পূর্ণরূপে করো। লোকদের জিনিসপত্রে কোনোরূপ ক্ষতি করো না। আর পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করো না।’ (সুরা আরাফ : ৮৪-৮৫)। ‘মানুষের জিনিসপত্রে কোনোরূপ ক্ষতি করো না।’ এ কথা থেকে বোঝা যায়, ওজনে কম দেয়া যেমন হারাম, তেমনি হারাম অপরের অধিকারে হসত্মক্ষপ করা। হজরত শোয়াইব (আ.) তাদের আরও উপদেশ দিলেন, মানুষকে ভীতি প্রদর্শন করে তাদের সম্পদ গ্রহণ করার জন্য রাসত্মাঘাটে ওৎপেতে বসে থেকো না। কোরআনে কারিমে বলা হয়েছে, ‘আর তোমরা পথেঘাটে এই উদ্দেশ্যে বসে থেকো না যে, আল্লাহ তায়ালার বিশ্বাসীদের হুমকি দেবে, আল্লাহ তায়ালার পথে বাধা সৃষ্টি করবে এবং তাতে বক্রতা অনুসন্ধান করবে। স্মরণ করো যখন তোমরা সংখ্যায় ছিলে কম, আল্লাহ তায়ালা তোমাদের অধিক করেছেন এবং লক্ষ্য করো কিরূপ অশুভ পরিণতি হয়েছে ফিতনাকারীদের।’ (সূরা আরাফ, আয়াত নং : ৮৫)। আয়াতের শেষাংশে তাদের ভীতি প্রদর্শন করার জন্য বলা হয়েছে- পূর্ববর্তী ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারী কওমের করুণ পরিণতির দিকে লক্ষ্য করো, কওমে নূহ, আদ, সামুদ ও কওমে লুতের ওপর কী ভীষণ গজব নাজিল হয়েছিল। তাই তোমরা এ ধরনের আজাব আসার আগেই সতর্ক হয়ে যাও। এভাবে হজরত শোয়াইব (আ.) তাদের বিভিন্নভাবে নবীসুলভ সহনশীলতার সঙ্গে বুঝিয়েছেন। কিন্তু বিনিময়ে তিনি শুধু উপহাস-পরিহাসই পেয়েছেন। অবশেষে তারা যখন সীমা লঙ্ঘন করে ফেলল তখন আল্লাহ তায়ালার আজাব এসে গেল। প্রথমে কয়েকদিন তাদের অঞ্চলে ভীষণ গরম পড়ল। গোটা জাতি ছটফট করতে লাগল। অতঃপর কাছের একটি ময়দানের ওপর গাঢ় মেঘমালা দেখা গেল। ময়দানে ছায়া পড়ল। শীতল বাতাস বইতে লাগল। এলাকার সবাই সেই ময়দানে জমায়েত হলো। বলতে লাগল এই মেঘ আমাদের ওপর বৃষ্টি নাজিল করবে। যখন সবাই সেখানে সমবেত হলো, তখন মেঘমালা থেকে অগ্নিবৃষ্টি বর্ষিত হতে শুরু হলো। নিচের দিকে শুরু হলো ভূমিকম্প। ফলে সবাই সেখানে নাসত্মানাবুদ ও ধ্বংস হয়ে গেল। কোরআনে কারিমে বলা হয়েছে, ‘তাদের ভীষণ ভূমিকম্প পাকড়াও করল। ফলে তারা নিজেদের গৃহের অভ্যমত্মরে উপুড় হয়ে পড়ে রইল।’ (সূরা আরাফ : ৯১)। তাফসিরকাররা এ সীদ্ধামেত্ম উপনীত হলেন যে, তাদের ওপর মোট তিন ধরনের আজাব অবতীর্ণ হয়েছিল। এক. মেঘমালা থেকে অগ্নিবৃষ্টি বর্ষিত হয়, দুই. এরপর বিকট শব্দ শোনা যায়, তিন. সর্বশেষ ভূমিকম্প হয়। এ প্রসঙ্গে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রা.) বলেন, হজরত শোয়াইব (আ.) এর সম্প্রদায়ের ওপর প্রথমে এমন আজাব চাপিয়ে দেয়া হয়, যেন জাহান্নামের দরজা তাদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছিল। ফলে তাদের শ্বাস রুদ্ধ হতে থাকে। তখন ছায়া তো দূরের কথা, পানিতেও তাদের শামিত্ম ছিল না। অতঃপর তারা অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ভূগর্ভস্থ কক্ষ প্রবেশ করে দেখল, সেখানে আরও বেশি গরম। তখন তারা অস্থির হয়ে ময়দানের দিকে ধাবিত হলো। সেখানে আল্লাহ তায়ালা একটি ঘন কালো মেঘ পাঠিয়ে দিলেন, যার নিচে শীতল বাতাস বইছিল। তারা সবাই গরমে দিগ্বিদিক জ্ঞানহারা হয়ে মেঘের নিচে এসে ভিড় করল। তখন মেঘমালা থেকে তাদের ওপর অগ্নিবৃষ্টি বর্ষিত হতে শুরু হলো এবং ভূমিকম্পও হলো। অপরদিকে বিকট গর্জনও তাদের পাকড়াও করল। ফলে তারা সবাই ভস্মসত্মূপে পরিণত হলো। (আলবাহরুল মুহিত)। বর্তমানে আমাদের সমাজে এমন লোকের অভাব নেই, যারা হজরত শোয়াইব (আ.) এর কওম যে অপরাধ করেছে সেরকম অপরাধে লিপ্ত। এ ঘটনায় তাদের জন্য রয়েছে সর্তকবাণী। সুতরাং যারা ওজনে কম দেন তাদের এ ঘটনা থেকে শিক্ষা অর্জন করা উচিত।

25/03/2024

“যখন তুমি কোন রাস্তা দিয়ে যাও, তখন আল্লাহ্‌র নামে জিকির করো । কেননা ওই কঠিক হাশরের দিন সেই রাস্তাটি তোমার হয়ে তোমার জন্য নালিশ করবে ।”
— হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ)।

25/03/2024

হে অন্তরের পরিবর্তনকারী!
আমার অন্তরকে আপনার দ্বীনের উপর দৃঢ় রাখুন।
(তিরমিজি: ৩৫২২)

They say there's nowhere on earth quite like Madina 😭
25/03/2024

They say there's nowhere on earth quite like Madina 😭

হযরত হুদ (আঃ) এর জীবনী।হযরত হুদ (আঃ) আদ জাতির নিকট প্রেরিত হল। আদ ছিল হযরত নূহ (আঃ) এর চার অধস্তন পুরুষ। হযরত নূহ (আঃ)-এ...
25/03/2024

হযরত হুদ (আঃ) এর জীবনী।

হযরত হুদ (আঃ) আদ জাতির নিকট প্রেরিত হল। আদ ছিল হযরত নূহ (আঃ) এর চার অধস্তন পুরুষ। হযরত নূহ (আঃ)-এর পুত্র সাম। সামের পুত্র ইরাম। ইরামের পুত্র আউস। আউসের পুত্র আদ। সামের আর এক পুত্র ছিল তার নাম ছিল আবির। আবিরের পুত্রের নাম ছিল ছামুদ। আদ ও ছামুদের বংশাবলী ক্রমশ বিস্তৃতি লাভ করে। পরবর্তী সময় আদ ও ছামুদের নামে তাদের বংশাবলীর নাম করন করা হয়। কওমে আদ ও কওমে ছামুদ। পবিত্র মেরাজে আদ ও ছামুদ সম্প্রদায়ের প্রতি আল্লাহর নির্দেশাবলীর কথা উল্লেখ আছে।

কওমে আদ পারস্য উপসাগরের অববাহিকায় অবস্থিত ওমান থেকে লোহিত সাগরের প্রান্তে হাজরামাউত ও ইয়েমেন পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায় কয়েকশত বছর আধিপত্য বিস্তার করেছিল। তারা চার দেবতার পূজা অর্চনা করত। এক নম্বরের দেবতার নাম ছিল সাকীয়া। যাকে তারা বৃষ্টি দানকারী, ফসল দানকারী ও অর্থ দানকারী দেবতা বলে শ্রদ্ধা করত। দ্বিতীয় হল হাফিজা যাকে বিপদ মুক্তি, রোগ মুক্তি ও অমঙ্গল থেকে মুক্তি দানকারী বলে বিশ্বাস করত। তিন নম্বরে ছিল রাদিকা। এ দেবতাকে তারা অন্নদানকারী, শান্তি দানকারী ও পরকালের মুক্তি দানকারী দেবতা বলে সন্মান করত। চতুর্থ ছালীমা যাকে স্বাস্থ্য দানকারী, শক্তি দানকারী এবং যুদ্ধে বিজয় দানকারী বলে মনে করে তারা এ দেবতার পূজা করত।

আল্লাহ তা’য়ালা হযরত হুদ (আঃ)-কে এ আদ জাতির হেদায়েতের জন্য তাদের নিকট নবী হিসেবে প্রেরন করেন। হযরত হুদ (আঃ) ছিলেন আদ বংশীয় লোক। আল্লাহ তা’য়ালা পবিত্র কোরআনে একথা উল্লেখ করেন। তিনি কওমকে যখন হেদায়েতের দাওয়াত দিলেন তখন তারা নবীর কথা শুনে ঠাট্রা বিদ্রুপ আরম্ভ করে দিল। তারা নবীকে বলল, তুমি আল্লাহর বিশেষ দূত হিসেবে আমাদের হেদায়েত করতে এসেছ তার প্রমান কি? যদি তুমি নবী হও তাহলে উপযুক্ত প্রমান দাও। নবী তাদেরকে বললেন, আল্লাহ তা’য়ালা মানব জাতির মুক্তি ও কল্যাণের নিমিত্তে যুগে যুগে নবী রাসূলদেরকে প্রেরন করে থাকেন। তাঁদের কাজে ও কথায় কোন ব্যক্তিগত স্বার্থ থাকে না। আল্লাহ তা’য়ালার প্রদত্ত দায়িত্ব পালন করাই তাঁদের প্রধান কর্তব্য। যখন কোন কওম নৈতিকতা ও ধর্মের ক্ষেত্রে অমনোযোগী হয়ে পড়ে এবং চরম উশৃংখলতার অনুসারী হয় তখন সে কওম ও জাতির পথের দিশা হিসেবে নবীগণের আবির্ভাব ঘটে।

তখন জাতি তার প্রতি আত্মস্মার্পণ করে দ্বীনে হক কবুল করলে আল্লাহ জাতিকে নাজাত দেন। তাঁদের তারাক্কিদান করেন। আর যদি তারা নবীর নাফরমান হিসেবে জীবন-যাপন শুরু করে তবে তাঁদের প্রতি আল্লাহর প্রকাশ্য গজব অবতীর্ণ হয়। অতএব তোমরা যদি স্বাভাবিক ভাবে আল্লাহর প্রতি ঈমান আন এবং দেবদেবীর পূজা-অর্চনা ছেড়ে দাও তাহলে তোমাদের সর্বত্র মঙ্গল হবে, না হয় তোমাদের উপর কঠিন আজাব আসবে, যাতে তোমরা ধ্বংস হবে। তোমাদের কোন অস্তিত্ব পৃথিবীর বুকে অবশিষ্ট থাকবে না। কওমে আদ নবীর নছিহত শুনে বলত আসুক আজাব, আমরা সে আজাবের ভয় করি না। আমরা শরীরে শক্তি রাখি। আজাবের মোকাবেলা করার শক্তি আমাদের আছে। তবুও আমরা আমাদের পূর্ব পুরুষের ধর্ম পরিত্যাগ করব না। আমরা এসব দেব-দেবীর পূজা অর্চনা করে অনেক উপকার পেয়েছি, ধন সম্পদ ও স্বাস্থ্যের অধিকারী হয়েছি। আমাদের জন্য নতুন ধর্ম গ্রহন করা কোনক্রমে সম্ভব নয়।

আদ জাতির লোকেরা ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী ও দীর্ঘকায়। তাঁদের মধ্যে উর্দ্ধে চারশ গজ পর্যন্ত লম্বা মানুষ ছিল। আর বেঁটেদের উচ্চতা ছিল সত্তর গজ। তারা দুই তিন জনে একত্রিত হয়ে ছোট ছোট পাহাড় উল্টিয়ে ফেলতে পারত। পাহাড়ের উপরে দাঁড়িয়ে যদি পা দিয়ে আঘাত করত তাহলে পাথরের মধ্যে পা গেড়ে যেত। যে কোন গাছপালা উপড়িয়ে ফেলা ছিল অত্যন্ত সহজ কাজ। তারা সেচ দ্বারা কৃষি কাজ করত। এ জন্য পানি রক্ষণের উদ্দেশ্যে তারা নদীর ন্যায় বড় বড় জলাশয় তৈরি করে রাখত। বর্ষা মৌসুমে সেখানে পানি জমা হত। সারা বছর সে পানি সেচ করে কৃষি কাজ করত। তখনকার দিনে আল্লাহ তা’য়ালা অল্প দিনে ক্ষেত খামারে বহুগুণ ফসল দান করতেন। ক্ষেতে গমবীজ বপন করলে পনের দিনের মধ্যে গম পেকে যেত। আঙুর, বেদানা, আনার, আপেল, ইত্যাদি জাতের ফলের গাছ রোপণ করার দুইতিন মাস পরেই পাকা ফল পাওয়া যেত। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল খুবই সচ্ছল। কোন অভাব অভিযোগ তাদের ছিল না। শারীরিক অবস্থা ছিল খুবই ভাল। রোগব্যাধি আদৌ ছিল না বললেই চলে।

কওমে আদ যখন নবীর দাওয়াত অগ্রাহ্য করল তখন নবী তাদের জন্য বদদোয়া করলেন। আল্লাহ তা’য়ালা নবীর বদদোয়া কবুল করে একাধারে তিন বছর যাবত বৃষ্টি বন্ধ করে দিলেন। এতে তাদের তৈরি করা সমস্ত ঝিল, নদী, শুকিয়ে গেল, ফলে ফসল উৎপাদন বন্ধ হল। তখন জাতির উপর নেমে আসল ভীষণ দুর্ভিক্ষ। অনাহারে, অর্ধাহারে মানুষ দিন কাটাতে লাগল। বড় বড় পালোয়ানদের শরীরের শক্তি হ্রাস পেল। রাস্তাঘাটে মানুষের লাশ পড়ে থাকতে দেখা গেল। বৃদ্ধা ও শিশুরা অধিক হারে মৃত্যু বরণ করতে লাগল। সারা দেশময় ভীষণ হাহাকার আরম্ভ হয়ে গেল। মানুষ গাছের পাতা ও অখাদ্য কুখাদ্য খেয়ে জীবন ধারণের চেষ্টা আরম্ভ করল।

আদ জাতির মধ্যে সত্তরটি গোত্র ছিল। এ সত্তরটি গোত্রের মোট লোকসংখ্যা ছিল লক্ষাধিক। তাদের মধ্য থেকে মাত্র সত্তর জন মানুষ নবীর দাওয়াত কবুল করে মেহমান হয়েছিল। এ সত্তর ব্যক্তি একদিন নবীর নিকট আরজ করে বলল, হে আল্লাহর নবী! দেশব্যাপী যেভাবে দুর্ভিক্ষের করাল ছায়া নেমে আসছে তাতে আমরা ও আমাদের আপনজনেরা কেউ রেহাই পাব বলে মনে হয় না। অতএব আপনি দোয়া করুন, আল্লাহ তা’য়ালা যেন এবারের জন্য এ গজব সত্বর উঠিয়ে নেন। আমরা জাতিকে হেদায়েতের পথে আনার জন্য আর একবার আপ্রাণ চেষ্টা করে দেখব। নবী উম্মতের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহর দরবারে দোয়া করলেন। আল্লাহ তা’য়ালা নবীর দোয়া কবুল করে বৃষ্টি দিয়ে পুনরায় ফসল উৎপাদনের ব্যবস্থা করলেন। যাতে করে দেশের সকল মানুষ স্বস্তির নিশ্বাস ত্যাগ করে সুখে স্বাচ্ছন্দে জীবন-যাপন করতে আরম্ভ করে। নবী তাদের নিকট দ্বীনের দাওয়াত পেশ করলে তারা পূর্বের ন্যায় নবীর প্রতি দুর্ব্যবহার করে এবং পরিষ্কার ভাবে বলে দেয় যে, তারা কোন দিনই তার দাওয়াত গ্রহন করবে না।

নবী বার বার তাদের নিকট দাওয়াত পেশ করেন এবং আল্লাহর আজাবের ভীতি প্রদর্শন করেন। কিন্তু তারা কোন ক্রমে নবীর প্রতি ঈমান আনল না। বরং কওমে আদের কতিপয় লোক নবীকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হল। তারা কথাবার্তা ও আলাপ ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের উদ্দেশ্য অনেকটা প্রকাশ করল। নবী তাদের আচার আচারন দেখে আল্লাহর দরবারে আশ্রয় প্রার্থনা করলেন।

আল্লাহ তা’য়ালার তরফ থেকে নবীকে জানিয়ে দেয়া হল, হে নবী! আপনি আপনার সত্তর জন উম্মতকে নিয়ে শহর থেকে বেরিয়ে যান এবং পাহাড়ের এক গুহায় গিয়ে আশ্রয় নিন। আমি অতি শীঘ্রই কওমে আদের উপর ঝড় ও বন্যার আজাব প্রেরণ করছি। নবী কওমের নিকট একবার জানিয়ে দিলেন, কওমের লোকেরা নবীর কথায় আস্থাবান হল না। তারা বলল, হে হুদ (আঃ)! তোমার আল্লাহ ও ঝড় বন্যার আজাব পাঠিয়ে আমাদেরকে দুর্বল করতে পারবে না। আমরা সে কৌশল ঠিক করে রেখেছি। এখন তুমি যদি আমাদের আজাব থেকে রক্ষা পেতে চাও তাহলে নবুয়তীর দাবী ত্যাগ করে নির্বিঘ্নে আমাদের মাঝে বসবাস কর। না হয় অতি সত্তর শহর ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যাও। আগামী দিন যেন তোমাদেরকে আমরা এ শহরে আর না দেখি।

নবী আল্লাহ তা’য়ালার নির্দেশ অনুসারে তার উম্মতগণকে নিয়ে শহর ত্যাগ করলেন। দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে তিনি পার্বত্য এলাকায় গিয়ে পৌঁছেন। সেখানে তিনি চতুর্দিকে দেখাশুনা করে সর্বশেষে এক গুহায় ঢুকে আশ্রয় নিলেন। নবীর উপর অত্যাচার আল্লাহ কখনই সহ্য করেন না। তাই তিনি কওমে আদের কার্যকালাপের জন্য তাদের উপর গজব চাপিয়ে দিলেন। আল্লাহ তা’য়ালা ফেরেস্তাদিগকে হুকুম দিলেন, কিয়ামতের দিন সিঙ্গা ফুঁকে সৃষ্ট ঝড়ের সামান্য নমুনা কওমের উপর ছেড়ে দাও। ফেরেস্তাগন আল্লাহ তা’য়ালার এ হুকুম পেয়ে সেজদায় পড়ে কান্না কাটি আরম্ভ করলেন এবং বিনয়ের সঙ্গে বললেন, হে পরোয়ারদেগার! আপনি যতটুকু বাতাস প্রবাহের আদেশ দিয়েছেন তাতে পৃথিবীতে মুহূর্তের মধ্যে কয়েক লক্ষ বার প্রলয় ঘটে যাবে। কারণ এখন পৃথিবী অত্যন্ত ছোট। কিয়ামতের দিন পৃথিবীকে অনেক বড় করা হবে। তখন সিঙ্গা সুরের প্রবল বাতাস সহ্য করার মত যোগ্যতা প্রদান করা হবে পৃথিবীকে। কিন্তু আজকের পৃথিবী উহার লক্ষ ভাগের এক ভাগ সহ্য করার ক্ষমতা রাখে না। অতএব আপনি দয়া করে এ সংকট আসান করে দিন। ফেরেস্তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তা’য়ালা একটি গরুর নিশ্বাসের বরাবর বাতাস প্রবাহের আদেশ দিলেন। তখন সমস্ত আম্বিয়াদের রুহ একত্রিত হয়ে আল্লাহ তা’য়ালার দরবারে আরজ করে বললেন, হে রহমান রহিম! আপনি যতটুকু বাতাস প্রবাহের আদেশ দিয়েছেন তাতে সমগ্র পৃথিবী একটি জড়পিণ্ডে পরিণত হয়ে যাবে। সেখানে কোন আলো-বাতাস, পাহাড়-পর্বত, নদ নদী কিছুই থাকবে না। সম্পূর্ণ পৃথিবীটা শক্ত একটি পাথরে রুপ নিবে। সেখানে আর কোন দিন কোন প্রাণী বেঁচে থাকতে পারবে না। অতএব আপনি এ আজাবের আদেশ শিথিল করে দিন। আম্বিয়াদের দোয়া কবুল করে আল্লাহ তা’য়ালা আদেশ দিলেন সুচাগ্র পরিমাণ বাতাস প্রবাহ করে দেয়া হোক।

ফেরেস্তাগন আল্লাহ তা’য়ালার শেষোক্ত আদেশ কার্যকারী করার লক্ষ্যে সাতদিন পূর্বে আকাশে লাল, কাল, হলুদ রঙের মেঘের সমাবেশ করলেন। প্রবাহিত নদ-নদীর পানি স্থির করে দিলেন। চলমান সাধারণ বাতাসের গতি রুদ্ধ করলেন। এ অবস্থা দেখে কওমে আদের লোকেরা বিশ্বাস করল যে আল্লাহর আজাব অতি সন্নিকটে। তখন তারা স্ত্রী, পুত্র পরিজন নিয়ে বিভিন্ন পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নিল। যখন আর সময় অতিবাহিত হল তখন তারা সারা পৃথিবী অন্ধকারাচ্ছন্ন দেখতে পেল। কওমে আদ এ অবস্থা দেখে কিছুটা ভীত হল এবং তারা পাহাড়ি এলাকায় গিয়ে নিজ স্ত্রী-পুত্রদেরকে মাঝখানে রেখে চতুর্দিকে যুবকেরা বেরিকেট সৃষ্টি করে দাঁড়াল। তারপর পা দিয়ে পাথরের উপর বার বার আঘাত করে করে হাঁটু পর্যন্ত গেড়ে দাঁড়াল যাতে কোন বাতাসে যেন তাদেরকে স্থানচ্যূত করতে না পারে। নির্দিষ্ট দিনে আল্লাহর আজাব জমিনে পৌঁছল। প্রবল ঝড় আরম্ভ হল। গাছ পালা, ঘর-বাড়ি প্রথমেই নিঃশেষ হয়ে গেল। তার পড়ে উঁচু উঁচু পাহাড় গুলো ভেঙ্গে ভেঙ্গে আকাশে উড়তে আরম্ভ করল। তাতে সমস্ত গুহার আবরন ও ছাদ ধ্বংস হয়ে গেল। ফলে বাতাস মানুষগুলোকে আকাশে উড়িয়ে নিয়ে গেল এবং সেখানে এক জনের সাথে অন্য জনের প্রবল আঘাত দিয়ে ধ্বংস করে দিল। তিন দিন পর্যন্ত মানুষ, গাছ ও পাহাড় শুধু বাতাসের উপর ভেসে ভেসে একে অপরকে প্রচণ্ডভাবে আঘাত করেছিল। তিন দিন পরে ঝড় থেমে গেল। তখন আকাশ থেকে মানুষের লাশ, গাছ ও পাহাড়ের ভগ্নাংশ মাটিতে পতিত হল। মানুষের লাশগুলো দেখতে উপড়ানো শিকড়যুক্ত খেজুর গাছের ন্যায় এলোমেলোভাবে যেখানে সেখানে পড়ে ছিল। পবিত্র কোরআনে দৃশটি এভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বাতাস প্রবাহে নাস্তিক ও ধর্মদ্রোহীদের দল প্রায় সবই ধ্বংস হয়ে গেল। যারা নবীর উপর কিছুটা আস্থাশীল ছিল তারা অধিকাংশই রক্ষা পেল। কথিত আছে একদল ঈমানদার ব্যক্তি ঐ সময় উক্ত এলাকায় এমনভাবে নিরাপদে ছিলেন তারা কিছুই জানতে পারেনি। তাদের কাপড়ের আঁচল পর্যন্ত বাতাসে উড়ে নি। তিন দিন পরে যখন নবী কওমের নিকট ফিরে আসলেন তখন জীবিত উম্মতেরা সারা দেশের পরিস্থিতি ও দৃশ্য দেখে অবাক হল। তারা আর কাল বিলম্ব না করে নবীর নিকট দ্বীনের পরিপূর্ণ ছবক গ্রহন করলেন। এ ছবক যারা গ্রহন করেছিল তারা খাটি ঈমানদার হিসেবে পৃথিবীর বুকে ইসলামী রাষ্ট্র পর্যন্ত কায়েম করতে সক্ষম হয়েছিল।

হযরত হুদ (আঃ)-এর ইন্তেকালের পরে একশত বছর পর্যন্ত এ ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম ছিল। হযরত হুদ (আঃ) চারশত বছর জীবিত থেকে কওমকে হেদায়েত করেছেন। হযরত হুদ (আঃ)-এর ইন্তেকালের পরে কয়েক লক্ষ মানুষ তার জানাজা নামায আদায় করে পরম ভক্তিসহকারে তার দাফন কার্য সম্পন্ন করেন। হযরত হুদ (আঃ) নবুয়তীর দায়িত্ব পালনে যতখানি সফলতা লাভ করেছিলেন তা নজির বিহীন। বিনা যুদ্ধে ও বিনা রক্তপাতে এতখানি সফলতা অর্জন করা অন্য কোন নবীর জীবনে দেখা যায় নি।

24/03/2024

“হে আমাদের রব! যেদিন চুড়ান্ত হিসাব কায়েম হবে সেদিন আমাকে, আমার পিতা মাতাকে এবং সকল মুমিনগনকে ক্ষমা করুন।”

(সুরা: ইব্রাহিম ~৪১)

যেসব কারণে রোজা মাকরুহ হয়—'দ্য রমাদান প্ল্যানিং' বই থেকে।
24/03/2024

যেসব কারণে রোজা মাকরুহ হয়—

'দ্য রমাদান প্ল্যানিং' বই থেকে।

22/03/2024

➡️ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন-যখন সালাত শুরু হয়, তখন দৌড়ে গিয়ে সালাতে যোগদান করবে না, বরং হেঁটে গিয়ে সালাতে যোগদান করবে।

-সহীহ বুখারীঃ ৯০৮ ।

Address

Chunkutia Chowrasta , Keraniganj Dhaka
Dhaka
1310

Telephone

+8801819480666

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Eamin Eadin travels and tours posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Eamin Eadin travels and tours:

Videos

Share

Category