15/05/2023
🇺🇸 সম্পূর্ণ পোষ্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। প্রয়োজনে আপনার টাইম লাইনে শেয়ার করে রাখুন।
আমেরিকার ৫ (পাচঁ) বছরের মাল্টিপল টুরিস্ট ভিসা।
আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যাদের নানারকম জল্পনা-কল্পনা আছে বা আমেরিকা যেতে আগ্রহী তাদের জন্য এই কথাগুলো। শুরুতেই চিন্তা করুন আপনি যদি আমেরিকার ভিসা করতে চান, তাহলে আমাদের লেখাটা সহজ সরল ভাষায় পড়ে নিন।
সাধারণত আমেরিকার ভিসার কথা আসলেই আমাদের জটিল মনে হয়। আর এটা সবার কাছে স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশ থেকে অন্যান্য দেশের ভিসার তুলনায় আমেরিকান টুরিস্ট ভিসা পাওয়া টা খুবই সহজ। জটিল ভাবা ও এ বিষয় পরিপূর্ণ না জানার কারনে চেষ্টাই করিনা। এই মানসিকতা থেকে বের হয়ে আপনাকে সঠিক উপায়ে চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই স্বপ্নের দেশ আমেরিকান ভিসা পাওয়া আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
আমেরিকান টুরিস্ট ভিসা সাধারণতো ৫ বছরের মাল্টিপল ভিসা। আমেরিকান টুরিস্ট ভিসা পেতে ২(দুই) টা বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। কারন এই ২(দুই) টা বিষয় উপর ভিত্তি করেই আপনার কাঙ্ক্ষিত ভিসাটি হয়ে থাকে।
-------------------------------------------------------------------------
১। DS -160 ফর্ম অর্থাৎ এপ্লিকেশন ফর্ম এর উপর। (আমেরিকান এম্বাসি একটি অনলাইন ফর্ম আছে , এই ফর্ম কে বলা হয় DS-160)।
২। ২ থেকে ১০ মিনিটের একটি ইন্টারভিউ এর উপর। (যা আপনি বাংলা এবং ইংরেজিতে যেভাবে সুবিধা সেই ভাষায় ইন্টারভিউ দিতে পারেন)।
আমেরিকার মাল্টিপল ভিসা সম্পূর্ণ ইন্টারভিউ নির্ভর একটি ভিসা। আপনি যদি ইন্টারভিউতে আমেরিকা যাওয়ার যৌক্তিক কারন ভিসা অফিসারদের বুঝাতে পারেন, যে আপনি আমেরিকা যাবেন এবং ফিরে আসবেন তাহলেই আপনার ভিসা হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা এপ্লাই করতে বেশির ভাগ মানুষের ধারণা থাকে কিছু কান্ট্রি ভিজিট করা থাকতেই হবে, না হয় এপ্লাই করতে পারবো না। এটি আপনাদের ভুল ধারণা। তবে কিছু কিছু কান্ট্রি ভিজিট করা থাকলে সেটা নিঃস্বন্দেহে ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে একটা সহায়ক ভূমিকা পালন করে কিন্তু এর মানে এই নয় যে ভিজিট করা থাকলেই আপনি আমেরিকার ভিসা পেয়ে যাবেন। কারন আমেরিকার ভিসা সাদা পাসপোর্টেও হয়ে থাকে। ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা ব্যাংক সল্ভয়েন্সি এই ভিসার ক্ষেত্রে একদম ই ইম্পরট্যান্ট না। এসব ডকুমেন্ট দেখে আমেরিকার ভিসা হয় না। তাই আপনাদের সঠিক পলিসি টা জানতে হবে।
আমেরিকার ভিসা এপ্লাই করার পর এখন এম্বাসিতে ইন্টারভিউ ডেট অনেক দেরিতে পাওয়া যাচ্ছে। তবে আমাদের সাথে কাজ করলে ডেট রিশিডিউল করে ম্যাক্সিমাম ৬ মাসের মধ্যে এম্বাসি ডেট নিয়ে দেওয়া যাবে।
বেশ সংখ্যক মানুষের ধারণা এই ভিসা করতে অনেক কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় বা অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়, এই ধারণাটিও সঠিক না, অন্যান্য দেশের মতো এটি ডকুমেন্ট বেইসড ভিসা না, এটি সম্পূর্ণ ইন্টারভিউ এর উপর নির্ভর করে ভিসা হয়ে থাকে। প্রশ্ন আসতেই পারে, ডকুমেন্ট না দেখলে উনারা কিভাবে বুঝবে আমি আমেরিকা যাওয়ার যোগ্য বা আমেরিকা গিয়ে আমি ফেরত আসবো? এটা ডিপেন্ড করবে প্রথমতো আপনার এপ্লিকেশন ফর্ম অর্থাৎ DS-160 ফর্ম দেখে, তারপর আপনার সাথে ইন্টারভিউ এর সময় কথা বলে।
আমেরিকান এম্বাসির একটি অনলাইন ফর্ম হচ্ছে DS-160 ফর্ম এই এপ্লিকেশন ফর্মটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই ফর্ম এর উপর আপনার ভিসা অনেকাংশ নির্ভর করে। তাই অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তি দ্বারা ফর্মটি পূরণ করা উচিত। মূলত এই ফর্মটি আপনার ভিসা পাওয়ার পূর্ব শর্ত হিসাবে বিবেচিত হয়। আপনি বলতে পারেন ৭০% চান্স নির্ভর করে এই DS-160 ফর্ম এর উপর, বাকি ৩০% নির্ভর করে একটি আপনার ভালো মানের ইন্টারভিউ এর উপর।
এই দুইটি বিষয় এর সঠিক সফল কম্বিনেশন-ই আপনার ভিসা পাওয়া চান্স প্রায় নিশ্চিত বলা যায়। DS-160 ফর্ম এর তথ্য এবং আপনার ইন্টারভিউ এর তথ্য, এই দুই এর মধ্যে অবশ্যই একটা ভালো মিল থাকতে হবে। অদক্ষ লোক দ্বারা ভিসা ফর্ম পূরণ করলে আপনার ভিসা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
আবার অনেকেই আমেরিকার ভিসা কন্ট্রাক্ট এ করাতে চায়। ভুলেও এই কন্টাক্ট এ যাবেন না, কারণ আমেরিকা এম্বাসির সাথে কারও লিংক বা লবিং থাকার কোন প্রশ্নই আসে না। অনেকেই দাবি করে থাকে আমেরিকা এম্বাসির সাথে লিংক আছে, তাই বুঝতে হবে তিনি আপনাকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে।
নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস তৈরি করুন। আত্মবিশ্বাস আপনাকে কথা বলতে অনেক বেশি সহযোগিতা করবে। আপনি আপনার সিদ্ধান্ত নিজে নিন। সঠিক গাইড লাইন ফলো করুন, সঠিক তথ্য দিয়ে DS -160 ফর্ম ফিলাপ করুন, ইন্টারভিউ এর জন্য প্রস্তুতি নিন ইনশাআল্লাহ আপনার ভিসা কেউ আটকাতে পারবে না।
আমেরিকান টুরিস্ট ভিসা নিয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, যেটা ম্যাক্সিমাম ক্লায়েন্ট করে থাকেন সেটা হলো ভাই আমেরিকা যেতে কতো টাকা লাগে?
আমেরিকার টুরিস্ট ভিসার ফী ১৬০$ ডলার যা বাংলাদেশ এর টাকায় কনভার্ট করলে আসে ১৮,২৪০/- টাকার মতো। এটাই আমেরিকান টুরিস্ট ভিসার মূল খরচ। এই টাকা শুধুমাত্র EBL অর্থাৎ ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড এ জমা দিতে হয়। এই টাকা জমা দিয়ে ইন্টারভিউ এর ডেট নিতে হয়। বাকি চার্জ একেক এজেন্সী একেক রকম নিয়ে থাকেন। যারা এ বিষয়ে যথেষ্ট অভিজ্ঞ, তাঁদের ভিসা হওয়ার পার্সেন্টেজ ও অনেক বেশি। তাই আমাদের পরামর্শ হলো এজেন্সী সিলেক্ট করার আগে খোঁজ খবর নিয়ে, ভালো ভাবে যাচাই বাছাই করে সিদ্ধান্ত নিন।
অনেকেই আমাদের ফোন দিয়ে জিজ্ঞাসা করে থাকেন ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা ব্যাংক সল্ভয়েন্সি লাগবে কি না? এসব ডকুমেন্ট আপনি ইন্টারভিউ এর সময় নিয়ে যেতে পারেন, ইন্টারভিউ অফিসার এসব ডকুমেন্ট দেখতেও পারে নাও দেখতে পারে।
➡️পরিশেষে ৩ টি কথা মাথায় রাখবেন, আপনার ভিসা তখন ই হবে যখন আপনি -
১। DS -160 সঠিক ও চমৎকার ভাবে পূরণ করবেন।
২। ইন্টারভিউ এর সময় আপনার আমেরিকা যাওয়ার যথেষ্ট যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারবেন।
৩। আপনার আমেরিকা থেকে ফেরত আসার যথেষ্ট ভালো কারণ দেখাতে পারবেন।
আমরা আপনাকে যে সকল সেবা দিয়ে থাকবোঃ
১। আপনার DS-160 ফর্ম সঠিক ও চমৎকার ভাবে পূরণ করে দিবো।
২। আপনাকে ইন্টারভিউ এর জন্য ট্রেনিং দিয়ে পুরোপুরি তৈরী করবো।
৩। ইন্টারভিউ এর জন্য যে সকল ডকুমেন্টস প্রয়োজন তা আমরা গুছিয়ে দিবো।
আপনি কি ড্রেস পড়ে যাবেন, কিভাবে যাবেন, কি পেপার নিয়ে যাবেন,
এই ব্যাপারে আপনাকে সঠিক গাইড লাইন দিবো।
এই ৩ টা জিনিস দিলেই আমরা আপনার সাথে কাজ শুরু করতে পারবো।
১। পাসপোর্ট এর রঙিন কপি।
২। দুইটা ফোন নাম্বার।
৩। একটা ইমেইল আইডি।
আমরা আমেরিকার যেসব ভিসা প্রসেসিং করে থাকিঃ-
১। ভিজিট ভিসা (B1/B2)
২। মেডিকেল ভিসা (B2)
৩। বিজনেস ভিসা (B1)
৪। ড্রপ বক্সের মাধ্যমে ভিসা রিনিও
📲 +8801718386302 (WhatsApp)
➡️আমাদের কাছে আরো কিছু জানার প্রয়োজন হলে কল করুন বা অফিসে আসুন। আপনি একটু সময় করে একটু ফোন দিয়ে বিস্তারিত আলাপ করে দেখেন। আশাকরি আপনার সময় নষ্ট হবে না। বিস্তারিত জানার জন্য অবশ্যই কল দিন, যেকোনো বিষয়ে কল দেন। আমরা আপনার প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য থাকিব।
📧 E-mail: [email protected]