সফর-Sofor

সফর-Sofor Observer

12/01/2025

Confusion is the cause of fearness!

বিজয়ের শুভেচ্ছা
16/12/2024

বিজয়ের শুভেচ্ছা

29/10/2024

আধুনিক সভ্যতার আ-নাধুনিক চিন্তা (১)

শুধু মিডিয়ায় প্রচারের জোরে এই আশ্চর্য দর্শন মানুষের মন-মস্তিষ্কে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে যে, মহিলারা যদি নিজেদের ঘরে স্বামী-সন্তান, পিতা-মাতা ও ভাইবোনের জন্য গৃহস্থালী কাজকর্মে নিযুক্ত থাকেন তাহলে তা অবরোধ ও অবমাননা, কিন্তু যদি একই কাজ পর পুরুষের জন্য করা হয় যেমন, খাবার তৈরী করা (শেফ/ কুক), ঘরদোর পরিষ্কার করা, হোটেল ও উড়োজাহাজে তাদের আপ্যায়ন করা (এয়ারহোস্টেস) দোকানপাটে মিষ্টি হাসির দ্বারা গ্রাহকের চিত্ত আকর্ষণ করা (রিসেপশনিস্ট) এবং অফিস-আদালতে বসদের মনোরঞ্জন করা ( পি,এস) তবে তার নাম সম্মান ও স্বাধীনতা। ইন্নালিল্লাহি …

এর সঙ্গে এই মর্মান্তিক কৌতুকও যুক্ত হয়েছে যে,জাতীয় উন্নতি ও অগ্রগতির যুগে আমরা আমাদের অর্ধেক জনশক্তিকে কর্মহীন করে রাখতে পারি না।’ এই যুক্তি এমনভাবে আওড়ানো হয়, যেন দেশের সকল পুরুষের পূর্ণ কর্মসংস্থান হয়ে গিয়েছে!
অথচ বাস্তবতা এই যে, এমন এক দেশে এইসব যুক্তি আওড়ানো হয়, যেখানে চাকুরির খোঁজে অসংখ্য উচ্চশিক্ষিত বেকারের জুতার সুখতলা অনবরত ক্ষয়ে যাচ্ছে। কোথাও একটি ক্লিনার বা ড্রাইভারের পদ খালি হলে হাজার হাজার মাস্টার্স ডিগ্রিধারী বেকার যুবকের (হৃদয়ের আকুতি) দরখাস্ত জমা হয়ে যায়।

কিন্তু আজ পাশ্চাত্যের জীবন-ব্যবস্থার ফলাফল সরূপ, সন্তান পিতা-মাতার স্নেহ-মমতা ও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। মায়ের কোলই শিশুর প্রথম বিদ্যালয়, এখান থেকেই সে উত্তম আচার-আচরণের শিক্ষা ও তালীম তারবিয়াহ গ্রহণ করবে, জীবন-যাপনের উত্তম পদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করবে ৷ অথচ……? চলবে ২য় পর্ব

- আব্দুল্লাহ আল মাসুদ ভাই।

21/10/2024

শূন্যতা থেকেই হয়তো অদেখা পূর্ণতার রূপ অপরূপ মনে হয়! সত্যি কি তাই? পূর্ণতা কেমন? কতটা পূর্ণ?

আলহামদুলিল্লাহ, আজ সারাদিন বৃষ্টি হয়েছিলো।বিকেলেও ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। এ আপাত প্রতিকূল আবহাওয়াকে উপেক্ষা করেই মেহমানরা এসেছে...
15/09/2024

আলহামদুলিল্লাহ, আজ সারাদিন বৃষ্টি হয়েছিলো।বিকেলেও ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। এ আপাত প্রতিকূল আবহাওয়াকে উপেক্ষা করেই মেহমানরা এসেছেন,অন্য হল থেকেও কিছু ভাইয়েরা এসেছেন সেটা সত্যিই দ্বীনের প্রতি মোহাব্বত আর ইলমের প্রতি আগ্রহ থেকেই। আল্লাহ সবার কষ্ট,সময়,মেহনতকে কবুল করুন, উত্তম বদলা দান করুন।

আলোচনার বিষয়টা সবার জানা এবং আগ্রহেরও।"ইসলামী বিবাহ: কি কেন কিভাবে?"।দেড় ঘন্টার এ বিস্তারিত আলোচনায় অনেক বিষয় উঠে এসেছে।অনেক অজানা বিষয় খোলাসাও হয়েছে।আলহামদুলিল্লাহ। আলোচনার কিছু কিছু বিষয় যা এই মুহুর্তে স্মরণে আসছে তা শেয়ার করছি।ক্যাটাগরি নিজের মতো করে ভাগ করে নিচ্ছি।হুবহু উল্লেখ করা কঠিন আমি যেভাবে বুঝেছি সেভাবে লিখার চেষ্টা করছি।

★বিবাহ নিয়ে পশ্চিমা প্রোপাগান্ডা:

পশ্চিমারা আমাদের বিবাহকে কঠিন করে ফেলেছে।পড়াশোনা করে চাকরি করা, চাকরি করার পর বিয়ে করা এটা তাদের এক ধরনের এজেন্ডা।পুজিপাতিরা চাইবে না তাদের ক্লায়েন্ট কমে যাক।যেকারণে দীর্ঘ সময় পড়াশোনায় লাগায় যাতে আমরা পরে তাদের কামলা খাটি। চাকুরি ছাড়া ভালো বিয়ে হয় না,পড়াশোনাকালীন বিয়ে করা যায় না এ ট্যাবু দিয়ে তারা তাদের ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করে...

★ইসলামে বিয়ে সহজ:

আমাদের সময়ে বিয়েকে কঠিন করে ফেলেছে।একে তো চাকরি, প্রতিষ্ঠিত হওয়া লাগে। তার উপরে আবার কত কৃষ্টি কালচার আর খরচাপাতি। রাসূলের যুগে এমন ছিলো না। এক সাহাবী বিবাহ করে এসেছিলেন।রাসূল তার ভাবসাব দেখে বুঝেছিলেন সে বিয়ে করেছে।অর্থাৎ বিয়ের প্রয়োজন করে ফেলেছেন। তাদের মাঝে এটা কাজ করেনি যে,হায় আল্লাহ, রাসূল বা অন্যান্য সাহাবীদের দাওয়াত না দিয়ে কেমনে করি।রাসূল রাগান্বিত হয় না।অথচ আমাদের সমাজ!
আবার সব ঠিক করে আয়োজন করলেও ভুল ধরে।গল্প শোনালেন,উনার দোস্তের বিয়ে কমিউনিটি সেন্টারে।হঠাৎ এক মেহমান লোক চিল্লা পাল্লা করে বাবুর্জি ম্যানাজারকে ঢাকলেন এই কারণে যে পুরান আলু দিয়ে কেন রান্না করলো!!

★বিয়ে কেন করবো:

নাফসের চাহিদা পূরণ।দ্বীনের উপর সহজে টিকে থাকা তো আছেই সাথে তিনটা বিষয় নিয়্যাত করে নিই:
১.গুনাহ থেকে বাঁচা
২.সুন্নাত পালন
৩.উম্মাতের সংখ্যা বৃদ্ধি। যাতে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিয়ে গর্ব করতে পারেন।

বাসায় গেলে যেন তাকে দেখে আমার চক্ষুশীতল হয়।আমার যাবতীয় ক্লান্তি দূর হয়।

★দ্বীনদার সাথী পেতে হলে:

নিজেকে দ্বীন মানতে হবে।হারাম দেখা,খাওয়া থেকে বেঁচে থাকতে হবে। এক ভাইয়ের কারগুজারি শোনালো যে,উনি এসে বলছেন আমার ঘর যেন এক জান্নাত!
কিভাবে?
আমি ১৪ বছর বয়স থেকে দু'রাকাত নামাজ পড়ে দ্বীনদার, চক্ষুশীতলকারিনী চাওয়ার দু'আ করতাম। হারাম থেকে বেঁচে থাকতাম।আল্লাহ আমাকে চাওয়ার চেয়েও উত্তম দান করেছেন।

★হারাম রিলেশান থেকে বের হলে বদদু'আ!:
অনেকে মনে করে হারাম রিলেশান থেকে থেকে বের হয়ে আসলে না জানি মেয়ের বদদু'আয় আমার জীবন ধ্বংস হয়ে যায়।শয়তানের ধোকা!আপনি আল্লাহর জন্য এ হারাম থেকে বের হলে মেয়ে বাকি জীবন তাহাজ্জুদ পড়ে দু'আ করলেও ক্ষতি হবে না!

★জীবনসঙ্গী বাছাই:

রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চারটি বিষয় বলে দিয়েছেন দেখতে আমরা সবাই জানি।প্রথমটা হচ্ছে দ্বীনদারিতা।এক্ষেত্রে আমাদের বাঙালিদের ভুল ধারণা আছে।যাকে পায়জামা, পাঞ্জাবি,দাড়ি, টুপি পড়তে দেখে,কপালে কালো দাগ দেখে তাকে দেখে টাসকি খায়।আরেব্বাস! পাক্কা দ্বীনদার।মেয়েদের ক্ষেত্রে বোরকা দেখলেই পাগল হয়ে যায়!
কিন্তু দ্বীনদারীতার আসল পরিচয় তার "আখলাক"। পরিবার, প্রতিবেশী,সমাজের লোকজনের সাথে তার ব্যবহার কেমন তা যাচাই করে নিতে হবে।তআর লেনদেন কেমন জানতে হবে...
মেয়েদের ক্ষেত্রে আখলাক জেনে নিতে হবে।স্পেশালি তার মায়ের ব্যবহার, দ্বীনদারিতা দেখে মেয়েরটা আন্দাজ করা যায়।

মেট্রিমণি সাইটের চেয়ে মা খালাদের পরিচিত মেয়েদের বিবাহ করা বেশি ভালো।

★বিবাহের আয়োজন :

বিয়ের আয়োজন হবে সাদামাটা।কম খরচ,ছেলেরা করবে।মসজিদে করা সুন্নাহ।

★বিয়ের পর:

একটা খুব ভুল ধারণা ও কাজ হলো, বিয়ের পর নিজের অতীত পাপকে প্রকাশ করে দেয়া।বাসর রাতে বলে,আসো আমরা নিজেদের করা ভুলগুলো শেয়ার করি এবং আল্লাহর কাছে তাওবা করি।এটা বড় ধোকা।এর মাধ্যমে শয়তান দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি করে।আল্লাহ যা গোপন রেখেছে তা প্রকাশ না করা।স্বামী স্ত্রীর তো আরও না।বিয়ের আগে সবদিক বিবেচনায় বিয়ে হয়ে গেলে বিয়ের পর উচিত হবে না অতীত পাপকে শেয়ার করা।

★অনেকের বিয়ের পর ভাল্লাগেনা:

এটা হয় হয়তো ফ্যান্টাসির কারণে অথবা কোনো ভুল দৃষ্টিগোচর হলে।স্পেশালি মেয়েরা স্বামীর থেকে একবার সম্মান উঠে গেলে তা সহজে ফিরে না।আবার বিয়ের পর গুনাহ করলে আল্লাহ বিবাহের বরকত, সুখ উঠিয়ে নেন।সবসময় সংযম করতে হবে।
বিয়ের মাধ্যমে সব সমাধান হয় না।বিয়েটা কেবল হারাম থেকে বেঁচে থেকে হালালভাবে সম্পর্ক করার মাধ্যম।এরপরেও যদি পাপ জারি থাকে তো সুখ আসবে না।

★অন্দরমহল:

শ্বশুর শ্বাশুড়িরা ভুল করে এই ভেবে যে সে নতুন বউকে তার মতো ম্যাচিউরড আশা করে।এটা ভুল।নতুন বউকে তার সময় দেয়া উচিত, বুঝানো উচিত। খাপখাওয়ানোর সময় দেয়া উচিত।

নতুন বউয়েরও উচিত শ্বাশুড়ির ইচ্ছাকে বুঝার চেষ্টা করা।সে যেন এটা মনে না করে তার ছেলেকে এই মেয়ে হাত করবে,দূরে সরাবে। নিজের মায়ের মতো ভক্তি করা,মেনে চলা,মন জোগানোর চেষ্টা করা...

★কিছু বইয়ের নাম:

ফুলের সংসার
বিয়ে ও ডিভোর্স (কালান্তর)
তালাক (তানজিল আরেফিন হাফি.)
অন্দরমহল
রাসূলের যেকোনো ভালো সীরাত।এটা হলো মহৌষধ!


শেষে দু'আ।

-সংগৃহীত।

30/08/2024

"তিনি যা নির্ধারণ(ইচ্ছা) করেছেন সেটা গোপন রেখেছেন আর যা হুকুম করেছেন সেগুলো বিস্তারিত বিধি-নিষেধ প্রকাশ করেছেন।"

©

01/07/2024

"যুগ-যুগান্তের উদীয়মান জাতির বৈশিষ্ট্য হল, সকাল সন্ধ্যা প্রতিনিয়ত তাদের তাকদীর পরিবর্তিত হয়।

তাদের জীবন সততা ও মনুষ্যত্বে কানায় কানায় পরিপূর্ণ, ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করা তাদের স্বভাবে পরিণত হয়।

স্বীয় সম্পর্কে সচেতন ব্যক্তি সৌন্দর্য ও মহিমায় আত্মবিশ্বাসী, এটাই হল (মূল) কিতাব, বাকী সবই তাফসীর মাত্র।

জ্ঞানী ব্যক্তি আমার কথার রহস্য উদ্ধারে ব্যস্ত;

উম্মাদদের চিকিৎসা হল জ্ঞানের সম্প্রসারণ।"

- ইকবাল

(১)গতকাল মাসজিদ আন নববীতে এক বয়স্ক চাচার সাথে পরিচয় হলো৷ রাজশাহি বাড়ি। আমার পাশে বসে সারাক্ষণ গুনগুন করে কুরআন তিলাওয়াত ...
28/06/2024

(১)

গতকাল মাসজিদ আন নববীতে এক বয়স্ক চাচার সাথে পরিচয় হলো৷ রাজশাহি বাড়ি। আমার পাশে বসে সারাক্ষণ গুনগুন করে কুরআন তিলাওয়াত করেছেন। মাঝখানে একবার মাথা উঠিয়ে জিগ্যেস করলেন, ‘বাবা, আপনি থাকেন কোথায়?’

আমি বললাম, ‘চাচা, আমি ঢাকায় থাকি’।

—‘ও আচ্ছা। কী করা হয় দেশে?’

—‘কিছু ব্যবসাপাতি আছে আলহামদুলিল্লাহ’।

ক্ষণিকের আলাপ, তারপর চাচা কী মনে করে আমাকে বলতে লাগলেন, ‘বাবা, এই যে দেখেন আমরা কতো পবিত্র জায়গায় বসে আছি। আমাদের কতো কাছে শুয়ে আছেন আমাদের রাসূল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

এইটুকু বলা শেষ হতে না হতেই চাচা ঝর ঝর করে কেঁদে ফেললেন। এতো নিবিড়ভাবে নিকট অতীতে তেমন কাউকে কাঁদতে দেখিনি। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে সে এক গভীর আবেগের কান্না। কথার মাঝখানে চাচাকে এভাবে কাঁদতে দেখে আমি নিজেও খানিকটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়লাম।

কিছুটা শান্ত হয়ে এলে তিনি আমার চোখে চোখ রেখে বলতে লাগলেন, ‘বাবা, আমার রাসূলের গোটা জীবন কেটেছে মানুষকে দ্বীনের কথা বলতে বলতে। মানুষকে আল্লাহর দ্বীনে ফেরানোর জন্য সারাটা জীবন তিনি সংগ্রাম করেছেন। আমাদের জীবনটাও তাঁর মতো বানানো উচিত। যতোবেশি মানুষের কাছে আমরা দ্বীনের কথা পৌঁছাতে পারবো, ততোবেশি আমরা রাসূলের সেই সুন্নাহকে পালন করতে পারবো। মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকার মতো পবিত্র কাজ আর কিছু হয় না’।

ইফতারের আগে আগে মাসজিদ আন নববীতে মুসল্লিদের ইফতারি দেওয়া হয়। বিশেষ করে সোম আর বৃহস্পতিবার। আমরা ইফতার সামনে নিয়ে আযানের অপেক্ষা করছি আর আপনমনে দোয়া করছি। আমাদের পাশেই একজন পাকিস্তানি বৃদ্ধ চাচা ইফতারি খুলে খেঁজুর খেতে চাইলে রাজশাহির সেই চাচা ইশারায় বললেন আযান হলেই খেতে।

তারপর দুজনের মধ্যে আলাপচারিতা শুরু হলো৷ পাকিস্তানি চাচা বলতে লাগলেন, ‘দেখো, আজ কতো সুস্বাদু, উপাদেয় খাবার এই নববীতে আমরা পাচ্ছি আর খাচ্ছি। আর আমাদের নবী কতো কতো দিন অভুক্ত থেকেছেন। কতো দিন রাত তাঁর চুলোয় আগুন জ্বলেনি। ঘরে খাবার না থাকায় কতো দিন যে আল্লাহর হাবীব রোজা রেখে দিয়েছিলেন।’

কথাগুলো বলার মাঝে দুজনেই দেখলাম একসাথে কাঁদতে শুরু করেছেন। ভীষণ অনুরাগ ছেঁয়ে থাকা হৃদয় থেকে ভেসে আসছে এক বাঁধভাঙা কান্নার জোয়ার। এতো সুন্দর আর পবিত্র সেই কান্না!

তাদের সম্মিলিত কান্না আমাকেও তাড়িত করে গেলো ভীষণভাবে। আহা, কতো কাছাকাছি আছি আমাদের রাসূল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের! এই দ্বীনের জন্য কতো ত্যাগ, কতো কষ্টই না তিনি সহ্য করেছেন। সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

প্রথমদিকে বাইতুল্লাহর পাশে লুকিয়ে লুকিয়ে সালাত আদায় করতেন। এমনও হয়েছে—তিনি সিজদায় গিয়েছেন আর মুশরিকেরা এসে তাঁর গায়ের ওপর উটের নাঁড়িভুড়ি তুলে দিয়েছে। মুশরিকদের অত্যাচার, নির্যাতন এড়াতে একসময় একটা বড়সড় পাথর জোগাড় করে, সেই পাথরের আড়ালে লুকিয়ে লুকিয়ে সালাত আদায় করতেন আমার রাসূল।

মসজিদ থেকে ফযর সালাত পড়ে এসে আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহার কাছে জানতে চাইলেন, ‘খাওয়ার মতো কী আছে ঘরে?’
আম্মাজান আয়িশা বললেন, ‘খাওয়ার মতো কিছুই নেই আজ’।

আমার রাসূল স্মিত হেসে বললেন, ‘আচ্ছা। তাহলে আজ রোজা রেখে দিলাম’।

ইচ্ছা করলে পারস্য আর কিসরার সম্রাটদের যাবতীয় ঐশ্বর্য এসে তাঁর পায়ে লুটোপুটি খেতো, ইচ্ছে করলে তিনি থাকতে পারতেন হীরের পাথর লাগানো বিছানায়৷ কিন্তু তিনি সেসবের কিছুই চাইলেন না। শুধু চেয়েছিলেন আল্লাহর দ্বীন যেন ছড়িয়ে পড়ে দিকে দিকে, প্রান্তে প্রান্তে, ঘরে ঘরে আর হৃদয়ে হৃদয়ে। তাঁর বিছানা ছিলো খেঁজুর পাতার তৈরি। শুকনো খেঁজুর ছিলো তাঁর নিত্যকার আহার। আহা, আমার প্রিয়তম রাসূল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম!

(২)

হজ্ব উমরায় আসলে দেখা যায়—তাওয়াফ আর সাঈ করার সময় ফোন হাতে মানুষের সে কী ব্যস্ততা! ছবি তোলা, সেলফি তোলা, ভিডিও করা, তাওয়াফরত অবস্থায় আপনজনদের তা ভিডিওকলে দেখানো—ইত্যাদি যেন অত্যন্ত পরিচিত দৃশ্যপট বাইতুল্লাহজুড়ে।

সাতটা চক্কর শেষ করাই কি তাওয়াফের মর্ম? এইগুলো কি ফোন হাতে সবিশেষ ব্যস্ত হয়ে পড়ার মতোন জায়গা? পিতা ইবরাহিম আর ইসমাইল আলাইহিস সালামের স্মৃতি বিজড়িত এই বাইতুল্লাহ, আমার রাসূল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পদধূলি মাখানো এই মাতাফের মুহূর্তগুলো কি এতোটাই কমদামি যে সেলফি আর ভিডিওতে বন্দী করতে গিয়ে সেগুলোকে অনায়াসে খরচা করে ফেলি?

আমাদের হৃদয়ে কি অতীত এসে হানা দেয় না? আমাদের নিয়ে যায় না সাড়ে ছয় হাজার বছর পেছনে যখন আল্লাহর নবি ইবরাহিম আর ইসমাইল আলাইহিমুস সালাম মিলে একত্রে বানাচ্ছিলেন আল্লাহর এই পবিত্র ঘর৷ একটা পাথরের ওপর আরেকটা পাথর, একটা স্তম্ভের ওপরে আরেকটা স্তম্ভ। তারপর যখন এই বাইতুল্লাহ তৈরি হয়ে গেলো, পিতা আর পুত্র মিলে দুহাত তুলে আল্লাহকে বললেন যেন তিনি এই কাজটাকে কবুল করে নেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা কবুল করলেন তো করলেন, সেই নির্জন, নিস্তব্ধ নগরীর পবিত্র গৃহটা, একদিন যেটাকে তাওয়াফ করার মতো তারা পিতা পুত্র ব্যতীত আর কেউই ছিলো না, সেই গৃহখানা এখন প্রতিদিন দশ লক্ষ বিশ্বাসী মুসলমান তাওয়াফ করে! সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি!

অথবা, আমাদের হৃদয়ে কি ঝেঁকে বসবে না সেই অতীতের স্মৃতি, যখন মাতা হাজরা আলাইহাস সালাম শিশুপুত্র ইসমাইলের তৃষ্ণা নিবারণের জন্য পাগলপারা হয়ে ছুটেছিলেন সাফা থেকে মারওয়ায়, মারওয়া থেকে সাফায়? তারপর আল্লাহ একটা কূপের সন্ধান দিয়ে দিলেন, বাঁচলো ইসমাইলের প্রাণ আর পবিত্র মক্কা পেলো প্রাণ ধারণের উপকরণ। সেই বারাকাহপূর্ণ আবে যমযম!

তাওয়াফ আর সাঈতে আমাদের হাতে থাকা ফোনগুলোর উপর্যুপরি ব্যবহার দেখলে মনে হয়—বাইতুল্লাহ যেনো ইট পাথরের তৈরি একটা উঁচু স্তম্ভই শুধু। সাফা আর মারওয়া যেন শুধু যেকোনো পাহাড়!!

লক্ষ লক্ষ হাজীদের মাঝে, রাজশাহী আর পাকিস্তানের সেই চাচার মতো মানুষ অত্যন্ত বিরল যারা আপনমনে সেইসব সোনালি অতীত হাতড়ে বেড়াবে আর ভাবতে ভাবতে কেঁদে ফেলবে অঝোর ধারায়। রাসূলে আরাবির কথা স্মরণ করে চোখের পানিতে বুক ভেসে যাবে—এমন নরমদিলের মানুষ কেনো আমরা হতে পারি না?

-আরিফ আজাদ।

24/06/2024

আমাকে
খোঁজো না তুমি বহুদিন-কতদিন আমিও তোমাকে
খুঁজি নাকো;- এক নক্ষত্রের নিচে তবু -
একই আলো পৃথিবীর পারে
আমরা দুজনে আছি; পৃথিবীর পুরনো পথের
রেখা হয়ে যায় ক্ষয়,

-জীবনানন্দ

06/06/2024
গত দুই দিন আমরা কয়েকজন ছাদে ঘুমাচ্ছি, রুমের ফ্লোর ছাদের ইমিডিয়েট হওয়ায় সবকিছু গরম হয়ে থাকে। সেজন্য আমরা আর এক ফ্লোর উপর ...
23/04/2024

গত দুই দিন আমরা কয়েকজন ছাদে ঘুমাচ্ছি, রুমের ফ্লোর ছাদের ইমিডিয়েট হওয়ায় সবকিছু গরম হয়ে থাকে। সেজন্য আমরা আর এক ফ্লোর উপর উঠে গেছি। এক ঘুমে রাত কাভার।

ছাদে বাতাস এবং মোটামুটি ঠান্ডা পরিবেশ। একইসাথে চাঁদের আলো। চাঁদের আলো খায় কোনো এক প্রাণী! পড়ছিলাম গল্প বা উপন্যাসে হয়তো! খোলা আকাশ, মেঘপুঞ্জ স্পষ্ট, মাঝে মাঝে চাঁদ হারিয়ে যাচ্ছে, আবার বেরিয়ে পড়ছে, চোখ দুটি জড়িয়ে আসে! আল্লাহর সৃষ্টি রাতের অন্ধকারও অসাধারণ সুন্দর।।

রাত ২/৩ টায় ঘুম ভাঙলে মনে হয় যেন ফজরের ওয়াক্ত শেষ। ঘড়ি দেখলে বাস্তবে ফেরা হয়। ২টা পর্যন্ত ছাদটারে গনরুম মনে হয়, অনেকেই বসে থাকে। যারা ঘুমাবে শেষে তারাই থাকে।

-হল বাসীর বিলাসী জীবন।

26/03/2024

একটি বিজ্ঞাপনে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা হয় এম্বাসেডরের পিছনে, আপনিও যদি সে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেন তাহলে কি সেই এম্বাসেডর আপনারও বিজ্ঞাপন করবে?

উত্তর হইলো: না। করবে না। রিলেশনশিপ ম্যাটার করে।

Promotion, a Marketer's tool.

08/03/2024

রমজানের ইফতার সাহরি তৈরিতে কষ্ট!

এই যে এত কষ্ট! আমাদের হলের মসজিদে ৩০/৪০ জনের ইফতার ম্যানেজমেন্ট কয়েকজন ভাই মিলেই করে ফেলে। মাঝেমধ্যে বাকিরা একটু আধটু হেল্প করে;

এখন কথা হলো, এরা সবাই সিনিয়র জুনিয়র, অন্য কোনো পারিবারিক সম্পর্ক নেই, কোনোদিন হয়তো হবেও না। তাহলে একজন সিনিয়র কোন লাভে বিনে পয়সায় জুনিয়র কে শরবত করে খাওয়াবে?

লাভ আছে, যেটা সাধারণ মানুষের চোখে কামলা খাটা, সেটা ইসলাম মহিমান্বিত করে দিয়েছে। যার জন্য হাসিমুখে কষ্টটা মেনে নেয় অনেকে। তারা এটাকে সওয়াবের মনে করে। ইবাদত মনে করে। এবং এসব করা নিয়ে সারাজীবনে কোনোদিন কাউকে বলবেও না এসব এসব করছি। আখিরাত গুছিয়ে নেয়া। দ্বীনকে সামনে রেখে, প্রতিদান আল্লাহর কাছে পাওয়ার আশা রেখে যারা কাজ করবে তারা প্রফুল্ল থাকবে, আনন্দ নিয়ে কাজ করবে। কষ্ট তো হবেই, কিন্তু সেটা আল্লাহর ওয়াদার সামনে কিছুই না। আমি আমার মুসলিম ভাইয়ের জন্য কষ্ট করতেছি এর চাইতে আর কতবড় কারণ থাকতে হবে? আমার মুসলিম ভাই, এই পরিচয় কেয়ামত পর্যন্ত, এবং এর চাইতে বড় পরিচয় দুনিয়াতে নাই।

এখন তাহলে আমাদের পারিবারিক জীবনে যারা এরকম কষ্ট করে এবং যাদের জন্য কষ্ট করে দুইজনের একজনেও যদি দ্বীন সামনে রাখে তাহলে কোনো রাগ, শ্বশুরবাড়ির প্রতি অভিমান, ঘরে ছেলের বউয়ের প্রতি মনোঃকস্ট কিছুই থাকবে না। সমস্যা হলো আমরা আল্লাহর জন্য শরবত বানাই না, অন্য কাজগুলা করিনা। দায়িত্বের তলে পড়ে, সমাজে সম্মান বাঁচাতে, কথা থেকে বাচতে, নিজের গৌরব বাড়াতে কাজ করি। আল্লাহ এজন্য এতে মনের আসল প্রশান্তি দেননা! পেরেশানির মাঝে রেখে দেন! সব কিছু অসহ্য মনে হয়। অথচ রমজান মানুষকে তাকওয়া শেখাতে আসে।

আসছে রমজান আমাদের পরিশুদ্ধ করুক।।

কাঁটা মুকুটটি। সূর্যসেন হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
08/03/2024

কাঁটা মুকুটটি।
সূর্যসেন হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

05/03/2024

সাম্প্রতিক অনেকে মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছে, আরেহ, বাহ! শাব্বাস! এই হলো গিয়ে টাকার তেজ! গেটস, বার্গ, খান সব এক প্লেটে!

এই মুগ্ধতা শেষে পোস্ট হচ্ছে, টাকা থাকলে সব করা যায়! জীবনে প্রচুর টাকা লাগবে! আল্লাহ, দুই বস্তুা টেকা দাও! টাকাই টাকা! ইত্যাদি। ডলার বা টাকার পুজো করাকে গ্লোরিফাই করা! যেভাবেই হোক, চাই আরো টাকা, আরো ডলার!

তার দু দিন আগেই, বান্দা নাখোশ! কেন? কারণ, বেইলি রোডে ৪৬টা লাশ পড়ে গেছে, পুরো ঢাকা শহর মৃত্যুকূপ হয়ে আছে। পৃথিবীর সবথেকে দূষিত বাতাসে শ্বাস নেয় এখানকার মানুষ। পৃথিবীর সবথেকে ব্যায়বহুল শহর এটা। সন্ধ্যায় ধানমন্ডি এরিয়ায় রেস্টুরেন্ট, রেস্তোরাঁর যে ঝলকানি! অসাধারণ!

কিন্তু রাজউকের উপর ব্যাপক ক্ষোভ, সরকারের উপর আরো বেশি ক্ষোভ! সরকারের যারা দায়িত্বে তাঁরা তো প্রচন্ড খারাপ! থানা-পুলিশ, অধিদপ্তর, মন্ত্রণালয় সব শালা হারামজাদা! এদের অনিয়মের কারণেই তো এতসব দুর্ঘটনা। সিলগালা করো, তালা মারো! মহা বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত!

খেয়াল করে দেখবেন, এরাই কিন্তু শুরুতে টাকা আর ডলারের উপাসনা করছিলো। এখন যাদের উপর ক্ষোভ, এরাও সবাই কিন্তু টাকা ওয়ালা। রেস্টুরেন্টের মালিক তো আর আমার মতো গরিব কেউ নয়। সে ওই আগের জিনিস টাকা দিয়েই সরকার, কতৃপক্ষ, মন্ত্রী, আমলা সব পক্ষরে ম্যানেজ করে চুপ করিয়ে দিছিলো এতদিন। এরা সবাই কিন্তু টাকাই কামাচ্ছিলো, টাকা থেকে ডলার হচ্ছিলো! ৪৬ সহ চকবাজার, সবখানে যদি ঘটনার শুরুতে যান, দেখবেন যে কিছু ব্যাংক নোট, নতুবা ডলার।

আবার যার যতবেশি ডলার আছে তারে আমার তত বেশি পছন্দ। তার সাথে দুটা ফটো তুলতে পারলে ১০ বছর সেগুলা দিয়েই কাটিয়ে দিই আমি। একবারও প্রশ্ন করি না, "কোথা থেকে তুমি এলে? কিভাবে এলে?"

প্রশ্ন করতে না পারি, তাকে প্রমোট করা থেকেই নিজেকে নিবৃত্ত রাখতে পারি না। এরপর আবার প্রশ্ন তুলি নিলজ্জের মতো! দেশটা রসাতলে গেলো! হাঁক ডাকি, গেলো গেলো! সব শালা ঘুষখোর, সুদখোর! রাজউক, পুলিশ, মন্ত্রী, কতৃপক্ষ! এদের সবার প্রতি মনে কত কষ্ট, আহা! আবার কেউ সেইম পজিশনে গেলে, শুভকামনা ভাই, যেভাবেই পারেন টাকা কামান। যে ভাই কম কামায়, সে ভাইকে আর শুভকামনা নয়, যার ট্রান্সফার হয়ে যায়, অনুদান কম দেয় তাকে আর ভালো লাগে না। অথচ ১ম টাকাওয়ালারা কিন্তু তত খারাপ নয়, ডাবল স্ট্যান্ড বাজ নয় আমাদের মত। ওরা জাস্ট একটা কাজে মনোনিবেশ করছে; টাকা কামানো।

যেটা আপনি আমি শুরুতে চাচ্ছিলাম, টাকা হলে তিন খানকে নাচাবো। আপনি জানেন? ওই খানরা যে টাকায় নাচছিল সে টাকায় বাংলাদেশের টাকাও ছিল? বিদ্যুৎ প্রকল্পে ওর কত বড় বিজনেস? বাংলার কত কোটি টাকা তার পকেটে ঢুকেছে কোনো আইডিয়া আছে? রক্তচোষা টাকার ঝনঝনানিতে আপনি লাভ রিয়েক্ট দিচ্ছেন। আবার ন্যাকা কান্না করে বলতেছেন, বেইলি রোডে আগুন কেন!

সবকিছুর পেছনে অবৈধভাবে এই টাকা কামানোই দায়ী। সেরকম কাউকে আপনি যেহেতু মন থেকে প্রত্যাখান করতে পারেন না তাই আপনিও সমান অংশীদার। দোষ টাকার নয়, দোষ তরিকার। উসমান (র.), আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (র.)দের টাকা আরো বেশি ছিল, বিলিয়ন ডলারের মালিক ছিলেন, তবে আপনি যেভাবে হতে চাচ্ছেন, সেভাবে নয়।

যেদিন কেউ বিসিএস ক্যাডার হওয়া মাত্রই আমরা তাকে অন্তঃস্থল থেকে সালাম করা শুরু না করে তার স্টাইল দেখা সাপেক্ষে সালাম করার সিদ্ধান্ত নিতে পারবো সেদিনই বেইলি রোড, চকবাজার, রানা প্লাজার জন্য কান্না সাজবে।

২৩শে শাবান, ১৪৪৫।

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সফর-Sofor posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share