মাননীয় উপমন্ত্রী,
আব্দুল্লাহ আল উসলাম জ্যাকব (এমপি)
বন, পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়,
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
আব্দুল্লাহ আল উসলাম জ্যাকব (এমপি) মাননীয় উপমন্ত্রী ১৯৭২ সালের ২১ ডিসেম্বর ভোলা জেলার চরফ্যাসনের জিন্নাগড় ইউনিয়নে (বর্তমানে চরফ্যাসন পৌরসভা) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম অধ্যক্ষ এম এমনজরুল ইসলাম এবং মাতা বেগম রহিমা ইসলাম। তিনি একটি শিক্ষানুরাগী ও রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তাঁর পিতা একাধিকবার নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য এবং চরফ্যাসন মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন। জনাবজ্যাকব রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএসএস ডিগ্রী অর্জন করেন।
জনাব জ্যাকব ২০১৪-এ অনুষ্ঠেয় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১১৮ ভোলা-৪ থেকে ২য় বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১২ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় উপমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেনএবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে তিনি ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং অদ্যাবধি উক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি নবম জাতীয় সংসদেরও সদস্যছিলেন। উক্ত সংসদে তিনি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জনাব জ্যাকব তাঁর নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত। প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ ও প্রশাসনিক সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে তিনি শশীভূষণ ওদক্ষিণ আইচা নামে দুটি নতুন থানা গঠন, জনগণের নিরাপত্তা ও নৌ ডাকাতি রোধে চরফ্যাসনের ঢালচর ও কুকরি মুকরিতে ২টি এবং মনপুরার কলাতলীতে ১টি, মোট ৩টি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপন করেছেন। ৮টি নতুন ইউনিয়নপরিষদ গঠন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিভিশন-২ ভোলা জেলা থেকে চরফ্যাসনে স্থানান্তর, চরফ্যাসন পৌরসভাকে প্রথম শ্রেণীতে উন্নীতকরণ, দেওয়ানী, ফৌজদারী ও যুগ্ম জেলা জজ কোর্ট চরফ্যাসনে স্থানান্তর, শশীভূষণে ৫মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুতের সাব স্টেশন স্থাপন, ৩২২ কি.মি. পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুতের লাইন সম্প্রসারণ। চরফ্যাসন-ঢাকা লঞ্চ রুট পুনরায় চালুকরণ, চরফ্যাসন উপজেলায় আদালত ভবন নির্মাণ, শশীভূষণ ও দক্ষিণ আইচারনতুন থানা ভবন নির্মাণ, চরফ্যাসন-মনপুরায় ৪টি সাব রেজিষ্ট্রার অফিস নির্মাণ, মনপুরায় ফায়ার ব্রিগেড ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, ১০০০ মে.টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন খাদ্য গুদাম, অত্যাধুনিক অডিটরিয়াম ও আধুনিক কোর্ট বিল্ডিংনির্মাণ ইত্যাদি তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান।
যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি সাধনের লক্ষ্যে তিনি মায়া নদীর উপর ৩১ কোটি ও ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি ব্রীজ নির্মাণসহ প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার রাস্তাঘাট, পুল, কালভার্ট নির্মাণ করেছেন। চরফ্যাসন-মনপুরার প্রায় ৯০% রাস্তা তিনিপাকা করেছেন। চরফ্যাসন ও মনপুরা বঙ্গোপসাগরের মোহনায় অবস্থিত একটি দ্বীপাঞ্চল। নদী ভাঙ্গন এখানকার একটি উল্লেখযোগ্য সমস্যা হিসেবে চিহিুত। তিনি চরফ্যাসন-মনপুরা নদী ভাঙ্গন রোধে ২০০ কোটি টাকার প্রকল্পগ্রহণের ব্যবস্থা নিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন।
পর্যটন শিল্পের বিকাশে তাঁর আগ্রহ উল্লেখযোগ্য। তিনি চরফ্যাসন উপজেলা সদরে নির্মাণ করেছেন উপমহাদেশের সর্বোচ্চ টাওয়ার মিনার, যার কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে। নির্মাণ শেষ হলে এর উচ্চতা হবে ২২৩ ফুট। উক্ত টাওয়ারেরসন্নিকটে সুইমিং পুলের আদলে “ফ্যাসন স্কয়ার” নামে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেছেন দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা। এছাড়াও তিনি ইতোমধ্যে মনপুরা ও চর কুকরি মুকরিতে ক্যাবল কার, ইকো পার্ক, গলফ মাঠ, সুইমিংপুলসহ সর্বাধুনিকসুযোগ সুবিধা সম্বলিত পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।
শিক্ষা ও ধর্মীয় উন্নয়নের ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অপরিসীম। নিজ এলাকায় পিতা-মাতার নামে দুইটি দৃষ্টিনন্দন কলেজ নির্মাণ, চরফ্যাসন কলেজে অত্যাধুনিক অনার্স ভবন সহ অনার্স কোর্স চালু ও সরকারিকরণ, ভোলার একমাত্র বিএডকলেজ “অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বিএড কলেজ” স্থাপনসহ বিভিন্ন কলেজ, বিদ্যালয়, মাদ্রাসার একাডেমিক ভবন নির্মাণ এবং দুলারহাট, শশীভূষণ ও দক্ষিণ আইচায় এস.এস.সি, দাখিল ও এইচ.এস.সি পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করে তিনিশিক্ষাক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। বর্তমানে তিনি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম ফাউন্ডেশন, নজরুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট অব টেকনোলজির চেয়ারম্যান; অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম কলেজ, শশীভূষণ বেগম রহিমা ইসলাম কলেজ,অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বিএড কলেজ ও নীলিমা জ্যাকব মহিলা কলেজ এর প্রতিষ্ঠাতা এবং ফাতেমা মতিন মহিলা কলেজ, মনপুরা ডিগ্রী কলেজ, চরফ্যাসন কারামতিয়া কামিল মাদ্রাসা ও নীলিমা জ্যাকব মহিলা কলেজ এর গভর্ণিংবডির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। উপরšুÍ চরফ্যাসনে অত্যাধুনিক ঈদগাহ নির্মাণ, প্রায় ০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কেন্দ্রীয় খাসমহল জামে মসজিদ নির্মাণ ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, কলেজ মসজিদ, ঈদগাহ মসজিদ ও ইদারাহভবন নির্মাণসহ অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা ও মন্দির উন্নয়নে তিনি বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাছাড়া ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে চরকুকরি মুকরীতে নির্মাণ করেছেন আধুনিক রিসোর্ট ও বিনোদন কেন্দ্র।
তিনি সরকারি, বেসরকারি সম্মেলন এবং ব্যক্তিগত সফরে বিভিন্ন সময় যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, রাশিয়া, জাপান, অষ্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জার্মানী, অষ্ট্রিয়া, ইতালী, ফ্রান্স,স্পেন, ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস্, গ্রীস, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, নেপাল, চীন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, কাতার, সৌদি আরব, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, সিংগাপুর, ভুটান, মালদ্বীপ,শ্রীলংকা, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, এস্তোনিয়া, পাকিস্তান, তুরস্ক, মিশর, মেক্সিকো, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন, ব্রুনেই, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে, কেনিয়া, মায়ানমার, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম,লুক্সেমবার্গ, নরওয়ে, চেক রিপাবলিক, হাঙ্গেরী, লাওস, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া, তানজানিয়া, জিম্বাবুয়ে, জাম্বিয়া, বতসোয়ানা, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্থান, কাজাখস্থান, পানামা, চিলি, জর্ডান, ওমান, পর্তুগাল,রুমানিয়া, মোনাকো, সাইপ্রাস, মরক্কো, রিপাবলিক অব কঙ্গো, বুলগেরিয়া, মরিশাস, ইথিওপিয়া, রুয়ান্ডা, নাইজেরিয়া, পেরু, কুয়েত, মাল্টা, আইসল্যান্ড, লাটভিয়া, বেলারুশ, ম্যাকাও, মঙ্গোলিয়া,উগান্ডা এবং আলজেরিয়া ভ্রমণ করেন।
তিনি বিবাহিত, স্ত্রী নীলিমা নিগার সুলতানা। তাঁদের জেনিক ও জেনিল নামে দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। ভ্রমণ, গান শোনা, বৃষ্টির শব্দ শোনা ও নির্জনে পূর্ণিমার চাঁদ দেখা তাঁর শখ।
আব্দুল্লাহ আল উসলাম জ্যাকব (এমপি) মাননীয় উপমন্ত্রী বন, পরবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বায়লাদেশ সরকার । তিনি একজন সৌখিন পর্যটক । দক্ষিণ এশিয়ারসবোংচ্চ ওয়াচ টাওয়ার । যাকে বাংলার আইফেল টাওয়ার বলা হয় । জ্যাকব টাওয়ারের প্রতিষ্ঠাতা তিনি । দ্বীপজেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেরার সদরে ফ্যাসন স্কোয়ারে জ্যাকব টাওয়ার ও বঙ্গবসগেরেরউপকূলে চরকুকরী মুকরীতে পর্যটন হোটেল মহামাণ্য রাস্ট্রপতি আব্দুল হামিদকে দিয়ে উদ্বোধন করে দেশ ও বিদেশে পর্যটনের এক বিশাল আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন । এছাড়া তিনি পৃথিবীর প্রায় ৮০টিরঅধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন । তাই তাকে ট্রাভেলিং বাংরাদেশ ২৪. কম এর প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে । তিনি ভোলা ৪ আসনে জাতীয় সংসদে দুইবারের নির্বাচিত সাংসদ ।