
18/10/2024
হিজরি দশম বছরে চারিদিকে ঘোষণা দেয়া হল, রাসূলুল্লাহ ﷺ এ বছর হজ করবেন। সেই ঘোষনা শুনে, অসংখ্য লোক মদীনায় এসে জমায়েত হল। বাহনে চড়া অথবা পায়ে হাঁটার সামর্থ রাখে এরকম কোন ব্যক্তি অবশিষ্ট রইল না। সকলেই এসেছে রাসূল ﷺ এর সাথে বের হওয়ার জন্য; সকলেরই উদ্দেশ্য হলো রাসূলুল্লাহ ﷺ এর অনুসরণ করে তাঁর মতই হজের আমল সম্পন্ন করা।
জাবের রা. বলেন, আমি আমার দৃষ্টিপথে যতদূর যায় তাকিয়ে দেখলাম, তাঁর সামনে কেবল আরোহী ও পায়ে হেঁটে যাত্রারত মানুষ আর মানুষ। তাঁর ডানে অনুরূপ, তাঁর বামেও অনুরূপ তাঁর পেছনেও অনুরূপ মানুষ আর মানুষ। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে অবস্থান করছিলেন এবং তাঁর ওপর পবিত্র কুরআন নাযিল হয়। তিনিই তো তার ব্যাখ্যা জানেন। আর যে আমল তিনি করছিলেন আমরা তা হুবহু আমল করছিলাম।
সাহাবাগণের মধ্যে যারা হাদী সঙ্গে নিয়ে আসেন নি, সেই সব সাহাবিগণ উমরাহ করে হালাল হয়ে গিয়েছিলেন, যাতে তাদের হজ মুশরিকদের বিপরীত হয়। কেননা, মুশরিকরা মনে করতো হজের মাসসমূহে ওমরা পালন জঘন্যতম অপরাধ।
যাদের সাথে হাদী ছিল তাঁরা হলেন, রাসূল সা., তালহা রা., আবু বকর রা., উমর রা., যুল ইয়াসারা রা. ও যুবাইর রা.। সুতরাং তাঁরা কিরান হজ করেছেন। এরা ছাড়া সবাই তামাত্তু হজ করেছেন।
(রাসুলুল্লাহ ﷺ ও তাঁর সাথে সাহাবায়ে কিরাম যেভাবে হজ-উমরা করেছেন, সে বিষয়ে জানতে হলে মুসলিমে বর্ণিত জাবের রা. এর হাদিস যেটা হাদিসে জাবের নামে পরিচিত)
সূত্র: হাদিস জাবির রা.