13/01/2024
গতকাল ছিল আমাদের টাউনহল মিটিং। দেড় যুগ ধরে কাজ করে চলেছে Synesis IT। এবারের আলোচনার একটি বড় প্রতিপাদ্য ছিল এই সুদীর্ঘ আঠারো বছরে আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন কী? কেনই বা সিনেসিস সবার চেয়ে আলাদা?
আমরা এমডিজি গোল অর্জনে, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে গেছি। আমরা ২০০ এরও অধিক জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজে সরাসরি অবদান রাখতে পেরেছি। আমরা WSIS, WITSA, APICTA, ASOCIO, ITU, Daily Star ICT, BASIS, Digital Bangladesh ইত্যাদি নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছি।
না, এগুলোর কোনটাই আমাদের আসল অর্জন নয়। তাহলে আসল অর্জন কোথায়? আর কীভাবেই বা আমরা সকলের চেয়ে আলাদা, সবার সেরা? আজকে সেই গল্পই শুনাবো সবাইকে।
আমরা কাজ করি দেশ ও দশের জন্য। আমরা কাজ করি গণ মানুষের জন্য। আজ আমরা গর্ব করেই বলি বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক কোন না কোন ভাবে আমাদের কোন না কোন সেবার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত আছে। আমরা কাজ করে যাচ্ছি নিরবে নিভৃতে। আমরা দিবারাতি মানুষের দ্বারে দ্বারে সেবা পৌঁছে দিচ্ছি ঘটনার অন্তরালে থেকে। আমরা কোথায় নেই আজ? বাংলার সকল মোবাইল ব্যবহারকারি কিংবা স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণকারি থেকে শুরু করে ছাত্র, শিক্ষক, ক্ষুদে ব্যবসায়ী থেকে বড় ব্যবসায়ী, ক্রয়কারী কিংবা ঠিকাদারী, করদাতা, প্রবাসী, নগরবাসী, রেল বা মেট্রোর যাত্রী, বীমাকারি, চাকরী প্রার্থী, কৃষক, জেলে কিংবা তাঁতি, সকল বেসামরিক, সকল সামরিক কর্মকর্তা কর্মচারী, বাংলার সকল মা এবং নবজাতক, এমনি কারাবাসী- কেঊ বাকি নেই আমাদের সেবার আওতার বাইরে। আমাদের সেবা পৌঁছে দিয়েছি বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে, প্রতিটি পরতে পরতে। আমাদের কর্মকাণ্ড সরাসরি কেউ দেখে না। ওইভাবে কেউ জানে না। নিরলসভাবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি সবার অলক্ষ্যে। সবার অগোচরে। আমাদের আসল অর্জনের কথা গতকালের আমাদের টাউন হল মিনিং এ সবিস্তারে আলোচলা করেছি। তুলে ধরেছি আমাদের এই নিরব বিপ্লবের কথা। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পিছনে আমাদের নেপথ্যের কাহিনী আর আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে আমাদের দৃঢ় প্রত্যয়। আমরা আমারদের জনবান্ধব নির্ভর এই নিরব বিপ্লবের বলা আর না বলা কথাগুলো, আমাদের সত্যিকারের অর্জনগুলো আজ সবার সাথে শেয়ার করবো। এই সকল পরিষেবার পেছনে যে সকল নেপথ্যের নায়করা কাজ করে চলেছে তারা আর কেহ নয়। তারা সবাই এই সোনার বাংলার সোনার ছেলে-মেয়েরাই। আর তাই আজকে একটু স্পর্ধা করেই বলতে চাই, আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এই সোনার ছেলেরাই যথেষ্ট। বাইরের কারও কোন সহায়তা আমাদের অতীতেও লাগেনি আর সামনের দিনগুলোতেও লাগবে না- এটা আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। আজকে শুনাবো কীভাবে সিনেসিস তার পরিষেবার মধ্য দিয়ে দেশ ও দশকে স্পর্শ করেছে এক নিবিড় বন্ধনে।
# # # ১২ কোটি মানুষ আজ ১৮ কোটি মোবাইল সিম ব্যবহার করে। মোবাইলের ভেতর লুকিয়ে থাকে সিম কার্ড। আর সিম কার্ড নিবন্ধনের পিছনে সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে যে সিস্টেমটি সবার অলক্ষ্যে দিবা রাতি ২৪ ঘণ্টা কাজ করে চলেছে সেখানেই সিনেসিসের সহাবস্থান। আজকে মোবাইল কেন্দ্রিক যে অপরাধ প্রায় শুন্যের কোঠায় নেমে এসেছে এর পিছনে কাজ করে যাচ্ছে এই সিস্টেমটি।
# # # গত এক যুগ ধরে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে আমরা স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দিয়ে আসছি। এখন পর্যন্ত চার কোটিরও অধিক জনগণকে আমরা সেবা দিতে পেরেছি। বিশেষ করে করোনাকালীন মহামারিতে আমরা জাতীয় টেলিহেলত সেন্টার স্বাস্থ্য বাতায়ন-১৬২৬৩ (16263.dghs.gov.bd) এর মাধ্যমে সেবা দিতে সক্ষম হয়েছি দেড় কোটি মানুষকে। কোভিটকালীন দিনগুলোতে এ সেবার হাত আমরা উন্মুক্ত করেছিলাম মধ্যপ্রাচ্যে বসবাসরত বাংলাদেশীদের জন্য (প্রবাস বন্ধু কল সেন্টার)। এছাড়া এখনও প্রতিদিন স্বাস্থ্য বাতায়নের মাধ্যমে হাজারেরও অধিক ইলেকট্রনিক প্রেস্ক্রিপশান (ePrescription) তৈরি হচ্ছে আর মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে চলে যাচ্ছে বংলার মানুষের দোরগোড়ায়।
# # # প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আজ অনলাইনে তাদের বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানির বিল কিংবা টেলিফোন বিল থেকে শুরু করে পাসপোর্ট ফি, পরীক্ষার ফি, ভুমিকর এরকম শত শত বিল বা ফিস পরিশোধ করে আসছে সিনেসিস নির্মিত অনলাইন এবং অ্যাাপস ভিত্তিক “একপে” পোর্টাল দিয়ে (ekpay.gov.bd)। যেখানে এখন পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে এবং প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ সিটিজেন কোটি কোটি টাকা অনলাইনে সরকারি কোষাগারে প্রেরণ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সকল ব্যাংক, সকল এমএফএস, সকল ফাইনান্সিয়াল ইন্সট্রুম্যান্ট এর সাথে সংযুক্ত।
# # # বাংলাদেশের সকল করদাতা (ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান, ৮০ লক্ষেরও অধিক) এখন টিন সার্টিফিকেট তুলা থেকে শুরু করে ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিচ্ছে সিনেসিস কতৃক বাস্তবায়িত এবং পরিচালিত ই-টিন (incometax.gov.bd) এবং ই-রিটার্ন (etaxnbr.gov.bd) সিস্টেমের মাধ্যমে। যেটা SAP করে দেখাতে পারেনি সেটা করে দেখিয়েছে সিনেসিস। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
# # # আজকাল এদেশের সকল আমদানিকারক কিংবা রপ্তানিকারক তাদের সকল প্রকার নিবন্ধন কিংবা পণ্য আমদানি বা রপ্তানির পারমিট বা সনদ অফিসে না এসে অনলাইন থেকেই নিতে পারছেন সিনেসিস পরিচালিত ম্যানেজড সার্ভিসের মাধ্যমে। প্রতিদিন হাজার হাজার ব্যবসায়ীরা এই অনলাইন প্ল্যাটফর্ম দিয়েই নিমিষে তাদের সকল আমদানি বা রপ্তানি বিষয়ক কার্যাদি সম্পাদন করছেন। গড়ে প্রতি বছরে ১২/১৩ লক্ষ পারমিট ইস্যু হয় CCIE (olm.ccie.gov.bd) এবং DAE (pqw.dae.gov.bd) এর এই অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে।
# # # প্রতিদিন হাজার হাজার (কখনও লক্ষাধিক) যাত্রী রেল (eticket.railway.gov.bd) কিংবা মেট্রোতে (rapidpass.com.bd) টিকেট কাটছেন, রেপিড পাশ নিচ্ছেন আর ট্রাভেল করছেন কোন বিড়ম্বনা ছাড়াই। এর পিছনেও আমরা আছি। কাজ করে যাচ্ছি দিনরাত ২৪ ঘণ্টা। বিরতিহীনভাবে।
# # # প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ দুঃস্থ এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করছে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট। এর ডিজিটাল নিবন্ধন আর অনলাইনে বা মোবাইলে বৃত্তি বিতরণের পিছনেও আমরা আছি।
# # # মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ কল সেন্টারের (১৬৩৫৮) মাধ্যমে আমরা প্রতিনিয়ত সেবা দিয়ে যাচ্ছি বাংলার কৃষক, ভেটেনারি, জেলে কিংবা মৎস্য উৎপাদনকারী মানুষগুলোর জন্য।
# # # এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য আমরা বানিয়েছি অনলাইন রেজাল্ট পাব্লিশিং প্ল্যাটফর্ম। এর সাথে আছে রেজাল্ট যাচাই বাছাই এর ভেরিফিকেশান সিস্টেম।
# # # সকল বহির্গমনকারীদের জন্য আমরা নিয়ে এসছি পাসপোর্ট বাতায়ন (১৬৪৪৫)। দেশ এবং দেশের বাইরে থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এখানে কল করছে এবং সেবা নিচ্ছে। শুধু তাই নয় মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে প্রতিদিন আমরা ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষকে তাদের ই-পাসপোর্ট সঙ্ক্রান্ত আবেদনের স্টেটাস জানাচ্ছি এবং ই-ভিসার আপডেট দিচ্ছি।
# # # বালাদেশের সকল মৌজা ম্যাপ এখন ডিজিটাইজ হচ্ছে। আমরা আছি এই প্রকল্পের সাথে যুক্ত। শুধু যুক্তই নই, নাগরিকদেরকে ভুমি নকসার সকল তথ্য অনলাইনে বিতরণ করার জন্য স্মার্ট ভুমি নকসার যে পোর্টাল (map.land.gov.bd) এবং অ্যাাপস বানানো হয়েছে তার সাথে আমরা সরাসরি জড়িত আছি।
# # # যাকাত গ্রহণ এবং যাকাত প্রদানের জন্য বানানো হয়েছে ই-যাকাত (ezakat.gov.bd) প্ল্যাটফর্ম। এই মানবিক প্রকল্পটি করার সুযোগ হয়েছে আমাদের। শুধু তাই নয় বিভিন্ন প্রকার অনুদান গ্রহণ এবং প্রদানের জন্য তৈরি করা হয়েছে ক্রাউড ফান্ডিং পোর্টাল যার নাম একদেশ (ekdesh.gov.bd)। এটিও আমাদের করা।
# # # গত এক দশক ধরে সমগ্র ঢাকাবাসীদের পানি ব্যবস্থাপনা এবং পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য আমরা বানিয়েছি WASALink (১৬১৬২) কল সেন্টার যেখান থেকে নগরবাসীরা কল করে তাদের অনুযোগ-অভিযোগ দাখিল করেন এবং তার সমাধান নিয়ে থাকেন। প্রতিদিন হাজার হাজার ঢাকাবাসী এখানে কল করে সেবা নিচ্ছেন।
# # # বাংলার সকল তাঁতিদের অনলাইন ভিত্তিক ঋণ প্রদানের লক্ষ্যে আমরা চালু করেছি ই-লোন সিস্টেম যা এখন বহুলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি অবহেলিত তাঁতিদের জীবনে এক নতুন আশার আলোর সঞ্চার করেছে।
# # # বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে ১৪ হাজারেরও অধিক নৌ (যাত্রীবাহী এবং মালবাহী লঞ্চ, স্টিমার, জাহাজ ইত্যাদি) চলাচল করে। এ সকল নৌযানগুলোকে প্রতিবছর সরকারকে কঞ্জারভেন্সি ট্যাক্স দিতে হয়। এই ট্যাক্স কালেকশান এখন অনলাইনের আওয়তায় আনা হচ্ছে। সেই সাথে নৌযাত্রীরা যাতে অনলাইনে লঞ্চ বা স্টিমারের টিকিট কাটতে পারেন সেই ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের নাম e-Inland Water। এই কাজটিও সিনেসিস করছে। শুধু তাই নয় নৌযাত্রীদের সেবায় BIWTA যে কল সেন্টারটি (১৬১১৩) লঞ্চ করেছে সেটিও পরিচালনা করছে সিনেসিস।
# # # বাংলাদেশের সকল ভোক্তাদের জন্য আমরা তৈরি করেছিলাম “ভোক্তা বাতায়ন” (১৬১২১) নামের একটি কল সেন্টার। যেখান থেকে পণ্য বা সেবা ক্রয় সঙ্ক্রান্ত সকল বিষয়ে অনুযোগ অভিযোগ গ্রহণ করা হয় এবং তার সমাধানও দেওয়া হয়।
# # # স্থানীয় সরকারের আওতায় সকল ইউনিয়নবাসী এবং ইউনিয়ন সংশ্লিষ্ট সকল ফাংশনারিসদের জন্য (চ্যায়ারম্যান, মেম্বার, সাধারণ মানুষ) আমরা প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম “ইউপি হেল্পলাইন” (১৬২৫৬) নামের একটি কল সেন্টার। যা আমরা এক দশকেরও অধিক সময় ধরে সফলতার সাথে পরিচালনা করেছি।
# # # বাংলাদেশ আর্মি, বাংলাদেশ নেভি এবং বিজিবির জন্য সিনেসিস তৈরি করেছে রেকর্ড এবং পে মেনেজম্যান্ট সিস্টেম যার সাথে যুক্ত আছে সকল সামরিক কর্মকর্তা এবং কর্মচারী (আর্মি/নেভি অফিসার, সকল সৈনিক, নাবিক এবং জোওয়ানরা)। তাছাড়াও সিনেসিস সিএমএইচে প্রতিষ্ঠিত করেছে সেন স্বাস্থ্যসেবা নামের একটি হেলতলাইন যেখানে একটি হট লাইনের মাধ্যমে সিনেসিসের ডাক্তাররা সকল সামরিক কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং তাদের পরিবার পরিজনদের চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
# # # উত্তরবঙ্গবাসীদের জন্য বিদ্যুৎ সঙ্ক্রান্ত তথ্য ও সেবা প্রদানের জন্য আমরা চালু করেছি “নেসকো কল সেন্টার”। গত পাঁচ বছরেরও অধিক সময় ধরে আমরা এই সেবা দিয়ে আসছি।
# # # বাংলাদেশের সকল ব্যাঙ্ক এবং ইনস্যুরেন্স সেক্টরের জন্য সিনেসি নিয়ে এসেছে “ফিনটেল”- একটি ব্যাঙ্কাসুরেন্স সলিয়্যুশান (FinTale.com.bd)। যা অচিরেই বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক কতৃক সদ্য অনুমোদিত ব্যাঙ্কাসুরেন্স সেক্টরে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসবে। এর বাইরে সিনেসিস দীর্ঘদিন ধরে তৈরি করেছে অনলাইন ভিত্তির জীবন বীমা সিস্টেম যা জীবন বীমা কর্পোরেশনের সকল গ্রাহকরা ব্যবহার করছে।
# # # আমারদের পরিষেবার ব্যপ্তি ঘরে, বাইরে কিংবা অফিস আদালতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। চেলে গেছে কারাগারে অন্তরীণ সকল জেল হাজতবাসীদের জন্যও। আমরা গড়ে তুলেছি “স্বজন” নামে একটি ফোন কল সেবা। এর মাধ্যমে হাজতবাসীরা তাদের পরিবার পরিজনদের সাথে ১০ মিনিট করে মাসে দুইবার কথা বলার সুযোগ পেয়ে থাকেন। প্রযুক্তি নির্ভর এই মানবিক সেবাটি সিনেসিসকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
# # # জাতীয় স্কিল পোর্টাল এবং জাতীয় জব পোর্টাল নামে দুটি মহতী উদ্যোগের সাথে আমরা সরাসরি যুক্ত আছি। আগামীতে বাংলাদেশের সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানের সকল প্রকার নিয়োগ সুসম্পন্ন হবে এই জব পোর্টালের মধ্যমে। আর দক্ষ কারিগর তৈরিতে কাজ করে যাবে জাতীয় স্কিল পোর্টালটি।
# # # আজ থেকে এক যুগ আগে আমরা তৈরি করেছিলাম একটি এডুকেশন পোর্টাল (emis.gov.bd) যেখানে রয়েছে বাংলাদেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের সকল স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসার ছাত্র এবং শিক্ষকের সকল প্রকার তথ্য। এই প্রকল্পের এম্পিও (MPO) মডিয়্যুল থেকে মাসে গড়ে ৬ থেকে ৭ লক্ষ বেসরকারি শিক্ষকদেরকে দেওয়া হতো বিশেষ মাসিক ভাতা যার পরিমাণ ১২’শ কোটি টাকা। এছাড়া MPO নিবন্ধনের কাজগুলোও সুচারুরূপে নিষ্পন্ন হতো এই পোর্টাল থেকে।
# # # সরকারি বিভিন্ন পরিষেবা সম্পর্কে জানতে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ কল করছে “৩৩৩” এই নাম্বারে। দিন রাত ২৪ ঘণ্টা নিরলসভাবে তথ্য ও সেবা প্রদান করে যাচ্ছে সিনেসিস বাস্তবায়িত এবং পরিচালিত এই কল সেন্টার থেকে। গত এক বছরে প্রায় ১৬ লক্ষ মানুষকে আমরা সেবা দিতে সক্ষম হয়েছি এবং এখনও সফলতার সাথে চালিয়ে যাচ্ছি।
# # # আমদানিকৃত কোটি কোটি মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের প্ল্যাটফর্মটি (neir.btrc.gov.bd) সুচারুরূপে শেষ করেছে সিনেসিস। হাজার হাজার কোটি টাকার হ্যান্ডসেট ট্যাক্স ফাঁকি বন্ধ হবে এই সিস্টেম বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে। শুধু তাই নয়, সেট চুরি এবং সেই সাথে হ্যান্ডসেট ভিত্তিক ক্রাইমও বন্ধ হবে এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে।
# # # গত এক যুগ ধরে টেন্ডারবাজার পোর্টালের (TenderBazar.com) মধ্য দিয়ে সিনেসিস বাংলাদেশের সকল সরকারি এবং বেসরকারী টেন্ডার সংরক্ষণ করে আসছে যার সংখ্যা ১৫ লাখেরও অধিক। প্রতিদিন এই পোর্টালে ভিড় করছে হাজার হাজার পণ্য ও সেবাদানকারী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এবং পেয়ে যাচ্ছেন তাদের কাঙ্খিত সকল টেন্ডার। বাংলাদেশ সরকারের সকল ক্রয়কারী সংস্থাগুলোও এই পোর্টালটি ব্যবহার করে থাকে।
এখানেই সব শেষ নয়। সিনেসিসের সেবার ফিরিস্তি দিয়ে শেষ করা যাবে না। শেষ করা যাবেনা সিনেসিসের সাফল্যগাঁথা। সিনেসিস কাজ করে দেশের জন্য। সিনেসিস কাজ করে দশের জন্য। সিনেসিস কাজ করে গণ মানুষের জন্য। আজ সিনেসিস তার শত শত পরিষেবা দেশের প্রতিটি নাগরিকের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে। দেশ ও দশের জীবনের মান উন্নয়নে কিঞ্চিত হলেও অবদান রাখতে পেরেছে। এর চেয়ে বড় অর্জন এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি সিনেসিসের জন্য আর কী হতে পারে। এর এই অর্জনের পিছনে দিনরাত এক করে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সিনেসিস পরিবারের সকল সদস্যরা। এর নেপথ্যের নিরব নায়করা। এই মহানায়করা আর কেহ নয়। আমাদের সোনার বাংলার সোনার ছেলে-মেয়েরা। জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কোন স্বীকৃতি নয়। কোন ক্রেস্ট বা কোন ট্রফি নয়। গণ মানুষের ভালবাসাই আমারদের সবচেয়ে বড় অর্জন। সবচেয়ে বড় পুরস্কার। সবচেয়ে বড় স্বীকৃতি। সবচেয়ে বড় শিরোপা।