11/02/2024
সাহাবীদের যুগে তো ‘Google Maps’ ছিলো না। মরুভূমিতে পথ হারিয়ে ফেললে কীভাবে লোকজন গন্তব্যে পৌঁছতো?
এখন তো অপরিচিত জায়গায় ঘুরতে গেলে থাকা-খাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হয় না। পকেটে টাকা থাকলে থাকা-খাওয়ার জন্য হোটেল-রেস্টুরেন্ট আছে।
সেই যুগে এক দেশ থেকে আরেক দেশে মানুষজন সফর করতো। ১ মাস, ২ মাস, ৩ মাসের পথ। দীর্ঘ সময়ের জন্য কতো খাবারই বা নেয়া যাবে? ওয়াশরুমে যেতে চাইলে কীভাবে কী করতে হবে? মরুভূমিতে খাবার পানি ফুরিয়ে গেলে তো পানি পাওয়ার কোনো উপায় নেই।
সেই যুগে যোগাযোগব্যবস্থা এবং একজন মুসাফিরের যতো ধরনের সমস্যা হতে পারে, প্রায় সব সমস্যার সমাধান করেন খুলাফায়ে রাশেদা।
মক্কা থেকে মদীনার যাত্রাপথে বিভিন্ন স্থানে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু কিছু লোক নিয়োগ দেন। লোকদের কাজ ছিলো পথভোলা মানুষকে, পথভোলা কাফেলাকে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া। সেই যুগে ‘গুগল ম্যাপস’ না থাকলেও সমস্যার সমাধান ঠিকই দেয়া হয়েছিলো।
মুসাফিররা জার্নি করে টায়ার্ড হবে। তাদের বিশ্রামের প্রয়োজন আছে, পানি পানের প্রয়োজন, ওয়াশরুমে যাবার প্রয়োজন। এই সমস্যার সমাধান করতে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু ‘হোটেল’ নির্মাণের অনুমতি দেন। এছাড়াও রাস্তার পাশে বিভিন্ন কূপ খনন করেন যাতে মুসাফিরদের সাথে থাকা পানি ফুরিয়ে গেলে কূপ থেকে পানি পান করতে পারে।
কুফা শহরে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু মেহমানখানা নির্মাণ করেন। শহরে আগত ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী চাইলে মেহমানখানায় গিয়ে বিশ্রাম নিতে পারতো, খাবার খেতে পারতো; যা ছিলো সম্পূর্ণ ফ্রি!
উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুর পর উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুও কুফায় আরেকটি মেহমানখানা নির্মাণ করেন।
খুলাফায়ে রাশেদার যুগে সামাজিক সুযোগ-সুবিধা, জনকল্যাণের দিকে দৃষ্টি দিলে দেখা যায় কেনো মানুষজন এই ধরনের নেতৃত্ব ভালোবাসতো। ‘ইসলামি শাসন’ স্রেফ চোরের হাত কাটা, আর যিনার শাস্তি পাথর নিক্ষেপ এমনটা ছিলো না। ইসলামি শাসনের সৌন্দর্য দেখতে চাইলে খুলাফায়ে রাশেদার শাসনকে ৩৬০ ডিগ্রি এঙ্গেল থেকে দেখতে হবে।
তথ্যসূত্র:
সিয়ারুস সাহাবা: ১০/১০০-১০১।