12/12/2020
পদ্মা সেতুর নিচে রেকর্ড করা পাইলের গল্প
অনেকেই হয়তো পদ্মা সেতু কে দেখে এর পেছনের চ্যালেঞ্জ গুলো কে উপলব্ধি করতে পারেনি। হয়তো মনে হতে পারে এ আর এমন কি! বহু দেশে হরহামেশা হচ্ছে। কিন্তু না এটা হচ্ছে পদ্মা, পদ্মা নদীকে দেখে যেমন এর বিশালতা বোঝা যায় না, ঠিক তেমনি পদ্মা ব্রিজ কে দেখেও এর পেছনের চ্যালেঞ্জ গুলো কে উপলব্ধি করা যায়না। এজন্যে আপনাকে জানতে হবে এর পেছনের গল্প।
শুধুমাত্র পাইল সম্পর্কে জানলেই আপনি হয়তো আশ্চর্য হয়ে যাবেন।পদ্মা ব্রিজ এর শুধুমাত্র ৬.১৫ কিলোমিটার স্প্যান কে দেখা গেলেও, এই স্প্যান যার উপর দাড়িয়ে আছে সেই পাইল করেছে ওয়ার্ল্ড রেকর্ড।
আসুন দেখা যাক পদ্মা সেতুর পাইল এর বিশালতা , নির্মানশৈলি, এবং চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে।
#পদ্মা_নদীঃ
পদ্মা সেতু সম্পর্কে জানার আগে পদ্মা নদী নিয়ে জানা যাক।
পদ্মা নদীর পানির প্রায় চল্লিশ মিটার নিচে নদীর তলদেশ। চল্লিশ মিটার মানে ১৩১ ফিট প্রায়। দশ ফিট করে সাধারণত এক তালার হাইট। সেই হিসাবে, পদ্মা নদীর তলদেশ থেকে পানির পৃষ্ঠের হাইট হল ১৩ তলা বিল্ডিং এর সমান।
তাহলে ব্রিজের পিয়ার গুলো (সাধারণ ভাবে বললে কলাম যেগুলোকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ভাষায় পিয়ার বলে ) ১৩ তলা বিল্ডিং এর সমান হতে হবে।
কিন্তু কলাম যদি মাটিতে ধরে রাখা না যায়, পদ্মার যে স্রোত, কলাম তো ভেসে চলে যাবে। আর এই স্রোতের বিপরীতে পিয়ার গুলো কে টিকিয়ে রাখার জন্যে অর্থাৎ পিয়ার ধরে রাখার জন্যে নির্মান করতে হয়েছে পাইল। এই স্রোতের বিপরীতে টিকে থাকাটাই যেন বিশাল এক ইঞ্জিনিয়ারিং চ্যালেঞ্জ।
এছাড়া পদ্মার তলদেশের মাটি হল বালি টাইপের, নরম কাদা টাইপ। পাথরের মত শক্ত না। বেডরক প্রায় ৮কিমি নিচে বলে ধারনা করা হয়। ৮কিমি হল মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা! তো বেডরক পর্যন্ত যাওয়ার স্বপ্ন না দেখাই ভাল। অনেক দেশেই বেডরক অনেক অল্প নিচেই পাওয়া যায়। তাদের দেশে যে কোন স্ট্রাকচার বানানো অনেক কম খরচের ব্যাপার কারণ তাদের ফাউন্ডেশন বানানো অনেক সহজ, খরচও কম। আমাদের এদিক দিয়ে কপাল খারাপ।
তাহলে পদ্মা নদীর ব্রিজের পাইল কতটুকু দিতে হবে?
#পদ্মা_সেতুর_পাইলের_বিশালতা
বর্ষাকালে যখন অতিরিক্ত স্রোত থাকে, এই পদ্মার তলদেশের বালির মতন মাটি, ধুয়ে চলে যায়। এটাকে scour হওয়া বলে।পদ্মা নদীর scour হওয়ার সর্বোচ্চ রেকর্ড হল ৬০-৬৫ মিটার। মানে নদীর নিচ থেকে ৬৫ মিটার মাটি ধুয়ে চলে গেছে। মানে ২১৩ ফিট। অর্থাৎ ২১ তলা বিল্ডিং এর সম