18/08/2024
সিজনের উদ্বোধনী প্যাকেজে বিশেষ ছাড়, দীর্ঘ তিন মাস বন্ধ থাকার পরে আগামী ১ সেপ্টেম্বর পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে সুন্দরবন, আর আমরা উদ্বোধনী প্যাকেজে পর্যটকদের জন্য দিচ্ছি বিশেষ ছাড়।
আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে বুকিং চলছে, আসন সংখ্যা সীমিত।
01747-185605
বর্ষায় প্রকৃতি তার ফিরে পায় পূর্ন যৌবন, সেটা যদি রয়েলবেঙ্গল টাইগার এর আবাসস্থল সুন্দরবন। হ্যাঁ সম্মানিত ভ্রমন পিপাসু ভাই বোন বন্ধুগণ আপনাকেই বলছি, সুন্দরবন ভ্রমনের সবচেয়ে উত্তম সময় ঝিরি ঝিরি বর্ষায়, আর তেমনই সময় ট্রাভেলার্স লিংক বিডি, আমরা আয়োজন করছি আমাদের ৩ দিন ২ রাতের সুন্দরবন ভ্রমন প্যাকেজ।
বিলাস বহুল ট্যুরিষ্ট জাহাজে আমাদের এই ভ্রমন প্যাকেজে আপনি পাচ্ছেন শহরের কোলাহেল থেকে দুরে গিয়ে প্রকৃতিকে খুব কাছে থেকে উপভোগ করার এক অনবদ্য সুযোগ। তাইতো কবির ভাষায় বলতে হয়-
“চুলি চালা সবা হারিয়ে
পিঞ্জর হারা পাখি
বঙ্গকোনে সুন্দরবনে
কে আনিলরে ডাকি।”
অনেকেই মনে করতে পারেন বা বলতে পারেন বর্ষাকালে সুন্দরবন ভ্রমনে ঝুকি থাকে, আপনাদের অবগতির জন্য আমরা জানাচ্ছি যে, আল্লহর অসীম রহমতে বর্ষার সময় সুন্দরবন ভ্রমন আরও বেশি উপভোগ্য ও নিরাপদ। সুন্দরবন ভ্রমনে আপনি একসঙ্গে পেয়ে থাকেন প্রকৃতি, নদী, নৌ ভ্রমণ, বন্য জীবন সাথে বোনাস হিসাবে পেয়ে থাকেন সমুদ্র সৈকত।আর ঝিরি ঝিরি বৃষ্টিতে নির্জন প্রকৃতিতে কতটা উপভোগ্য হতে পারে আপনার জীবন আপনিই ভেবে দেখুন।
আমাদের এবারের আয়োজনটা একটু ভিন্ন মাত্রা যোগ করছে এজন্য যে দীর্ঘ ৩ মাস সুন্দরবন বন্ধ (সকল প্রকার মাছ ধরা ও পর্যটক যাতায়াত) থাকার পর যেদিন প্রথম প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে সেদিনই। সিজনের প্রথমদিনে সুন্দরবন ভ্রমনে অবশ্যই প্রকৃতি আরও বেশি প্রান চাঞ্চল্যে ভরপুর থাকবে।
👉কেন আমাদের সঙ্গে ভ্রমন করবেন?
খুলনা থেকে সরাসরি এবং সুন্দরবনের পার্শ্ববতী অধিবাসি দ্বারা পরিচালিত একমাত্র ট্যুর অপারেটর আমরাই। আপনি একমাত্র সুন্দরবন ভ্রমন করতে হলে অবশ্যই সুনদরবন সম্পর্ক সঠিক ধারনা থাকা একজন গাইড প্রয়োজন, যেটা একমাত্র আমরাই দিয়ে থাকি। এছাড়া আরও বিস্তারিত জানতে ও আমাদের সঙ্গে যারা ভ্রমন করেছেন তাদের অনুভুতি জানতে ভিজিট করুন-
https://sundarbantourism.bforest.gov.bd/en/operator/30
🇧🇩গ্রুপ সাইজ- ৯ থেকে ৪৫ জন।
👉ভ্রমণ তারিখ ৩১ ই আগষ্ট রাত থেকে ০১/০২/০৩ সেপ্টম্বর ২০২৪ বিকাল পর্যন্ত। ( ৩ দিন ৩ রাত)
👉প্যাকেজ মূল্যঃ নন এসি ৯,৫০০ টাকা জনপ্রতি, এসি ১৪,৫০০ টাকা জনপ্রতি
এছাড়া আমাদের অন্যান্য ভ্রমনের তারিখ সমূহ
#ভ্রমনের_তারিখ_সমূহ:
𝗦𝗘𝗣𝗧𝗘𝗠𝗕𝗘𝗥-𝟮𝟬𝟮𝟰
০৬ - ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ (শুক্র-রবি) প্যাকেজ
১৩ - ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ (শুক্র-রবি)
২০ - ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ (শুক্র-রবি)
২৭ - ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ (শুক্র-রবি)
𝗢𝗖𝗧𝗢𝗕𝗘𝗥-𝟮𝟬𝟮𝟰
০৪ - ০৬ অক্টোবর ২০২৪ (শুক্র-রবি)
১১ - ১৩ অক্টোবর ২০২৪ (শুক্র-রবি)
১৮ - ২০ অক্টোবর ২০২৪ (শুক্র-রবি)
২৫ - ২৭ অক্টোবর ২০২৪ (শুক্র-রবি)
✌️এছাড়া আপনারা আমাদের সেপ্টম্বর ২০২৪ থেকে মে ২০২৫ সারের যে কোন দিনের গ্রুপ ট্র্যুর বা ফ্রামিলি ট্যুর করতে পারেন। আমাদের সপ্তাহের প্রতি শুক্র, শনি, রবিবার প্যাকেজ ট্যুর থাকে।
👉আমাদের রয়েছে সর্বনিম্ন ৯ থেকে সবোচ্চ ৭৫ জনের ধারনক্ষমতা বিশিষ্ট এসি নন এসি টুরিস্ট জাহাজ।
👉আমাদের প্যাকেজে আপনারা পাবেনঃ
এসি/নন এসি ট্যুরিস্ট লঞ্চে করে সুন্দরবন ভ্রমনের সুযোগ
সুপ্রশস্থ কেবিন
৩ দিন ৩ রাত সুন্দরবন অবস্থান
প্রতিদিন ৫ বেলা মানসম্মত সুস্বাদু খাবার
নিরাপত্তার জন্য বন বিভাগ থেকে অস্ত্রধারী গার্ড
ক্যানেল ক্রজিং এর জন্য কান্ট্রি বোট(ট্রলার)
অভিজ্ঞতা সম্পন্ন গাইড
স্পেশাল বার-বি-কিউ নাইট
সুপেয় মিষ্টি পানি
রুফটপ ডাইনিং
জেনারেটর সুবিধা
প্রকৃতি
সমুদ্র
ওয়াইল্ড লাইফ
নৌ ভ্রমণ
জেলেদের জীবন ব্যাবস্থা
🎗️১ম রাত
আমাদের এই ভ্রমণ শুরু হবে খুলনা জেলখানা ঘাট থেকে রাত ১০/১১ টায়। তাই আমাদের ভ্রমণের নির্ধারিত দিনে রাত ৯:৩০ টার মধ্যে খুলনা জেলখানা ঘাটে উপস্থিত থাকতে হবে।
আমাদের ট্যুর গাইড আপনাকে রিসিভ করে ট্রলারে করে আমাদের জন্য অপেক্ষাকৃত টুরিস্ট জাহাজে আপনাদের জন্য নির্ধারিত রুমে পৌছে দিবে। জাহাজে পৌছে চেক ইন এর সাথে সাথে ওয়েলকাম ড্রিংকস এর সাথে রাতের খাবার গ্রহন করতে তরতে আমরা যাত্রা শুরু করবো সুন্দরবনের পথে।
রুপসা, পশুর নদী দিয়ে যেতে যেতে আমরা দেখতে পাবো, খুলনা শিপইয়ার্ড, খুলনা খাজাহান আলী সেতু, রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মোংলা সমুদ্র বন্দর। খুলনা থেকে নদী পথে মোংলার দুরত্ব ৪৫ কিঃমিঃ যা কিনা যেতে আমাদের সময় লেগে যায় ৩ থেকে ৪ ঘন্টা জোয়ার ভাটার কারনে। মূলত মোংলা পার হবার পর থেকেই আপনি সুন্দরবনের স্বাদ পেতে শুরু করবেন।
🎗️১ম দিন
আমরা আমাদের প্রথম স্পট হবে কটকা, পৌছানোর আগে চাদপাই থেকে বনবিভাগের কার্যক্রম শেষ করে দুপুরের আগে আগেই পোছে যাবো কটকা। সেখানে আমরা ক্যানেল ক্রজিং করবো এবং ফিরে এসে জাহাজে ফিরে এসে দুপুরের খাবার সম্পন্ন করবো। বিকাল ৩:৩০ মিনিটে আমরা যাবো টাইগার টিলার পথে সবচেয়ে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিতে। আর এরই মাধ্যমে আমরা বুঝে যাবো যে সুন্দরবনের সৌন্দর্য। টাইগার টিলা যেতে আমাদের পাড়ি দিতে হবে দুর্গম বনঞ্চাল পথ আর সেই সাথে খুজবো বাঘ মামার আরাম আয়েশের স্থান। সন্ধ্যা পর্যন্ত মামাকে খুজে যদি দেখা পেয়ে যাই তাহলে তো কপাল আর না পেলে সৌভাগ্য আমাদের। সন্ধ্যায় জাহাজে ফেরার আগে কিছু সময় ক্যানেল ক্রুজিং করে ফিরে আসবো।
🎗️২য় দিনঃ
খুব ভোরবেলা আমরা প্রথমে যাবো সুন্দরবনের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ক্যানেল ক্রুজিং এ। সেখান থেকে জামতলা সী বিচ এ। জামতলা সী বিচ যেতে আমাদের পাড়ি দিতে হবে ৩ কিঃমিঃ পথ বনের মধ্য দিয়ে বনের পশু পাখি দেখতে দেখতে। সী বিচ এ যেয়ে আমরা ২০ মিনিট কাটিয়ে আবার একই রাস্তা দিয়ে হেটে ফিরে আসবো।
৮:৩০ মিনিটের মধ্যে জাহাজে ফিরে আসবো আর আমাদের জাহাজ রওনা দিবো আকর্ষণীয় ছিটে কটকা খাল দিয়ে কচিখালির পথে। মূলত সুন্দরবনের আসল সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় এই রকম ছোট ছোট খাল নদী দিয়ে যাতায়াত করার সময়। কচিখালী পৌছাতে পৌছাতে দুপুরের খাবার খেয়ে আমরা নেমে যাবো সুন্দরবনের আরেক সুন্দর স্থান কচিখালী শন বনে। দেখবো বন্য জীবন, সেখান থেকে চলে যাবো ডিমের চরে। বাংলাদেশের সবচেয়ে দর্শনীয় সূর্যাস্ত দেখে আমরা ফিরে আসবো আমাদের ভাসমান বাড়ি আমাদের জাহাজে। রওনা দিব হারবাড়িয়া ও করমজলের পথে সময় লাগবে ৮ ঘন্টা। আসতে আসতে রাতে থাকবে স্পেশাল বার-বি-কিউ নাইট।
🎗️৩য় দিনঃ
সকালের খুব ভোর বেলা আমরা যাবো হাড়বাড়িয়া ঘুরতে। হাড়বাড়িয়া মূলত ইকো ট্যুরিজম সেন্টার এছাড়াও অনেক বন্য প্রানীর বসবাস । হাড়বাড়িয়া ফুট ট্রেইল ঘুরে আমরা আবার জাহাজে ফিরে আসবো এসে সকালে নাস্তা সেরে নিতে নিতে রওনা হবো করমজলের পথে। করমজল মূলত একটি মিনি চিড়িয়াখানা যেখানে আমরা পাবো চিত্রা হরিণ প্রজনন কেন্দ্র, কুমির প্রজনন কেন্দ্র, কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্র আর মানকি ফুট ট্রেইল। সাবধান এখানের বানরগূলো খুবই বান্দর। খাবারের জন্য এরা প্রায়ই মানুষের উপর আক্রমণ করে থাকে আর এর জন্য দায়ী আমরা পর্যটকরা। আমরা এদের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে ফেলেছি খাবার দিতে দিতে। তাই দয়ে করে কেউ কোন বন্যপ্রানীকে কোন প্রকার খাবার দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। করমজল ঘুরে আমরা রওনা দিব খুলনার পথে। ইন শা আল্লাহ বিকাল থেকে সন্ধ্যা নাগাদ আমরা পৌছে যাবো খুলনাতে।
👉বুকিং মানি জমা দেওয়ার পদ্ধতিঃ
১. সরাসরি অফিসে এসে জমা দেওয়া যাবে।
২. বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে।
৩. ব্যাংক ডিপোজিট করে বুকিং দেওয়া যাবে।
★★★ বুকিং এর শেষ তারিখ ২৫ ই আগষ্ট পর্যন্ত।
📣কনফার্ম করার পদ্ধতি:
ট্যুর কনফার্মেশন করার জন্য আপনাকে বুকিং_মানি ৭,০০০ টাকা জমা দিয়ে ট্যুর কনফার্ম করতে হবে (অফেরতযোগ্য), এক্ষেত্রে বিকাশ/ব্যাংক / দেখা করে সরাসরি জমা দিতে পারবেন ।
আমাদের ঠিকানা
ট্রাভেলার্স লিংক বিডি
৪নং বিআইডব্লিউটিএ লঞ্চঘাট, পুরাতন রেল স্টেশন গেট, খুলনা সদর, খুলনা।
+8801747185605
#করমজল