07/12/2019
প্রাকৃতিক সবুজাভাব সৌন্দর্য
চলুন ঘুরে আসি সুন্দরবন সাউথ ভিউজ এর আয়োজনে ২রাত ৩ দিন।
সুন্দরবনে যেকোনো সময় প্যাকেজ ও ট্যুরের জন্য বুকিং করতে পারবেন।
ভ্রমনের তারিখঃ ডিসেম্বের ১৩, ১৪, ১৫ ও জানুয়ারি ৬, ৭, ৮
সময়: ২রাত ৩দিন খুলনা – সুন্দরবন – খুলনা ।
সুন্দরবনের দর্শনীয় স্থান সমূহ:
হাড়বাড়িয়া
দুবলার চর
কটকা অফিস
জামতলা ওয়াচ টাওয়ার
বাদাম তলা সী বীচ
হিরোন পয়েন্ট
করমজল
১ম দিন- আল্লাহর নাম নিয়ে সকাল ৮ টায় খুলনা ৪ নং লঞ্চ টার্মিনাল হতে জাহাজে যাত্রা শুরু করব সবুজ সুন্দরের লীলাভূমি সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে আকাবাকা নদীর পথ ধরে। জাহাজ থেকে এ সময় দেখা যাবে নদীর দু পারের সবুজ গ্রাম, নদী ও জঙ্গলকে ঘিরে বিভিন্ন পেশার জিবীকা, স্বনামধন্য রপ্তানিকারক মাছের ফ্যাক্টরি, খুলনা শিপইয়ার্ড, রূপসা সেতু, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মোংলা পোর্ট। এ সব দেখতে দেখতে আমরা রূপসা নদী থেকে খরস্রোতা ও সুগভীর পশুর নদীতে এসে পৌছাব, সেখান থেকে আমরা নদীর তালে চলতে চলতে হাড়বাড়ীয়া ইকো ট্যুরিজ্ম সেন্টারে। জঙ্গলের মধ্যে সুদীর্ঘ ২ কিঃমিঃ কাঠের জেটিতে হাটতে হাটতে পরিচয় হয়ে যাবে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের সাথে, সেখানে পাবেন জংলী বানরের দেখা। স্পট টি তে আরও রয়েছে কুমিরের প্রজনন কেন্দ্র, হরিন, বানরের চিড়িয়াখানা ও পুকুর পালন করা হিংস্র রোমিও ও জুলিয়েট (কুমিরের ছদ্মনাম) এ ছাড়া ও রয়েছে নানান রকমের আয়োজন।
দ্বিতীয় দিন সকাল বেলা কচিখালির সবুজ পানির খাল ভ্রমণ করে, বন বিভাগের অফিস পরিদর্শন করব এখানে কটকায় কাঠের তৈরি বিশাল ওয়াচ টাওয়ার উঠে পাখির চোখে জঙ্গলের রূপ দেখব এরপর গহীন জঙ্গলের ভেতর হেঁটে জামতলা সি বিচ পরিদর্শন করব আর বিকালে কটকায় মিলবে শত শত হরিণের দেখা.
তৃতীয় দিন সকালবেলা আবার কাল ভ্রমণ করব এবং নাস্তা শেষে করমজলের উদ্দেশ্যে রওনা দিব গহীন জঙ্গলে, খালের দুপাশের পারে দেখা মিলবে অসংখ্য বানর হরিণ কুমির, নানারকম বন্যপ্রাণী ও নাম না জানা হরেক রকম গাছ আর ভাগ্যে থেকে থাকলে দেখা ও হয়ে যেতে পারে বনের রাজা বাঘ মামার সাথে আর একটা জিনিস এক এক টা দৈত্যাকার শত শত কেজি মৌমাছির চাক. চাইলে আপনিও পারেন নিজ হাতে দেখেশুনে খাঁটি জঙ্গলের মধু ও শুটকি পল্লীর বিষমুক্ত প্রাকৃতিক উপায় শুকানো শুটকি মাছ. এতসব বিচিত্র ও রোমাঞ্চকর আয়োজন উপভোগ করার পর আমরা আবার শিল্পনগরী খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা দিব।
প্যকেজে মূল্যঃ
প্রতিজন মাত্রঃ ৭,৫০০ টাকা।
১-৩ বছরের বাচ্চাদের জন্য ফ্রী।
৪-৬ বছরের বাচ্চাদের ৫০% দিতে হবে,এডাল্ট প্রাইসের।
৭-১২ বছরের বাচ্চাদের ১০০% দিতে হবে, এডাল্ট প্রাইসের।
প্যকেজ অন্তর্ভূক্তঃ (জামাল-১) ৭৫ জন যাত্রী ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন উন্নত লঞ্চ দ্বারা খুলনা -সুন্দরবন-খুলনা ভ্রমন পরিচালিত।
২ রাত / ৩ দিন সু-সজ্জিত আরামদায়ক ভ্যাসেলের কেবিন।
বনের ভেতরে প্রবেশের ও ভ্রমণের জন্য ছোট নৌকা ।
৩টি ব্রেকফাস্ট + ৩টি লাঞ্চ + ৩টি ডিনার + ৬ টি নাস্তা।
ট্যুরের ২য় দিনে শীপে থাকবে বারবিকিউ ডিনার।
গোসল এবং খাবার পানির সু-বন্দোবস্ত।
বন বিভাগ থেকে সিকিউরিটি আমর্স সহ গার্ড ২ জন।
সুন্দরবনে প্রবেশের পাস, রেভিনিউ।
০২ জন অভিজ্ঞ ট্যুরিস্ট গাইড দ্বারা ভ্রমন পরিচালনা।
দক্ষ সার্ভিস বয়।
জেনারেটর ব্যাবস্থা ।
ঘরোয়া পরিবেশে সুস্বাদু, সুরুচি ও পরিচ্ছন্নভাবে সকাল,দুপুর ও রাতের খাবার পরিবেশন। এছাড়া প্রতিদিন দুই বার নাস্তার ব্যবস্থা।
চা,কফি,মিনারেল ওয়াটার ও ফল এর সু-ব্যবস্থা।
সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বিনোদনের উত্তম ব্যবস্থা।
যেতে আগ্রহীরা দ্রুত যোগাযোগ করুন....
মোবাইলঃ ০১৭১২-৭৬৩৬০৫
অফিস ঠিকানা : ৪ নং বি আই ডাব্লিউ টি এ লঞ্চ ঘাট,খুলনা।