09/04/2024
একটু কষ্ট করে পড়ার বিনীত এবং জোরালো অনুরোধ রইলো-
"ইগো, অহংকার, রাগ এসবের কারাগারে আমরা বন্দি। অথচ সবার ভেতরেই একটা শিশুসুলভ মন আছে। যে মিশতে চায়। মিলে মিশে থাকতে চায়। কম্প্রোমাইজ করতে চায়। সেক্রিফাইস করতে জানে। শিশুর মতোই একটু পরেই ভুলে যায় সবকিছু।
তারা ভরা রাতে ছাদে শুয়ে নিরিবিলি আকাশের দিকে তাকালে বুঝা যায় কত ছোট আমাদের পৃথিবী। তার মাঝে কত কত ক্ষুদ্র আমরা।
ওই দিন আমার এক ফ্রেন্ড খুব হাইথট একটা কথা বলল। ওর কথাটা আমাকে অনেকক্ষন ভাবিয়েছে।
বলল, তোর হাতের মোবাইলটার মালিক তুই, মানে এই মোবাইলটা তোর । মোবাইলটা কিন্তু তুই না। তেমনি এটা তোর হাত কিন্তু হাতটা তুই না। তোর হাতটা কেটে ফেলেও তুই বেঁচে থাকবি। এই পা, মাথা সব কিছুই তোর কিন্তু কোনটাই তুই না। তাহলে তুই কে? হু আর ইউ?
আমি কিছুক্ষণের জন্য থমকে গেলাম। আসলেইতো আমি কে? আমার পরিচয় কি? আমার দেহের ভেতর তন্ন তন্ন করে খুঁজে কোথাও আমি আমাকে পাইনি। তার মানে জ্বীন ভুত মানুষের উপর যেভাবে ভর করে আমরাও এই দেহটার মধ্যে ভর করে আছি। ব্রেইন আমাদের শরীরকে নিয়ন্ত্রন করে। আর ব্রেইনকে নিয়ন্ত্রণ করি আমরা। কিন্তু আমি কে? কোথায় আমি? আমার পরিচয় কি? আমার দেহের একটা নাম আছে। তাহলে আমার হৃদয় ও মনের নাম কি?
পৃথিবীর জন্ম থেকে শুরু করে মিলিয়ন মিলিয়ন বছর কেটে গেছে। সামনে আরো বহু বছর হয়তো টিকে থাকবে। তার মাঝে আমরা মাত্র কয়েকটা বছর থাকব। পৃথিবীর হিসেবে মাত্র কয়েক ন্যানোসেকেন্ড আমাদের স্থায়িত্ব।
তবুও কেন এতো মারামারি, এতো হানাহানি, এতো লোভ, এতো লালসা? এতো বিভেদ, এতো ভেদাভেদ, এতো দূরত্ব, এত একাকিত্ব?
নিজের পরিচয় জানিনা অথচ অন্যের জাত বংশ নিয়ে প্রশ্ন তুলি। হাস্যকর না?
মানুষের দেহের গতি খুব বেশি না। কিন্তু মানুষটার গতি বিদ্যুতের চাইতেও বেশি। মানুষ চাইলে মুহুর্তেই বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা চলে যেতে পারে ,সেখান থেকে আফ্রিকা।
মানুষ চাইলে পৃথিবীটাকে মুহুর্তেই ধ্বংস করে ফেলতে পারে আবার চাইলেই শান্তিতে ভরিয়ে দিতে পারে।
ভাল থাকুক মানুষ। ইগো, রাগ,লোভ, হিংসার হাজতে বন্দি না থেকে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ুক। একে অপরের সাথে আঠার মত লেগে থাকুক। জয় হোক মানবতার।
(সংগৃহীত ও পরিমার্জিত)
কৃতঞ্জতা: S.m. Talat Istiaque Sonny ভাইয়ের ফেসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া।