24/08/2019
সাজেকে বেড়াতে এলে কোথায় থাকবেন ?
পরিবার পরিজন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার আগে যে বিষয়টি খুব বেশী ভাবি বা চিন্তা করি তা হলো নিরাপত্তা। এছাড়াও হোটেল/ রির্সোট নির্বাচন করতে গিয়ে ভাবতে হয় হোটেল সেবার মান ও লোকেশন নিয়ে। আপনার এই সব চিন্তা, দুচিন্তা দূর করতে এবং সাজেক ভ্রমণকে নিরাপদ ও আনন্দময় করে আপনাকে বা আপনার টিমকে পুরোপুরি প্রফুল্ল রাখতে সাজেক, রুইলুই পর্যটন রির্সোট বিদ্যমান।
আমাদের রির্সোটের রুমগুলো পর্যটকদের চাহিদা এবং ভৌগলিক অবস্থানগত দিক বিবেচনা করে বানানো ও সাজানো হয়েছে।আমরা আপনার পরিবার-পরিজন ও বন্ধু বান্ধবদের মনোমুগ্ধকর ও নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সাজেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অনন্য লীলাভূমি। এর নৈসর্গিক সৌন্দর্য বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। দিগন্ত বিস্তৃত বিশাল সাজেক পাহাড়। এই সব দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড়ে মাঝে মাঝে মেঘের আনাগোনা যা আপনাকে মুগ্ধ করবেই। সুদূর পূর্বদিকে ভারতের মিজোরাম প্রদেশ যেখানে সারি সারি পাহাড়-পর্বত পরিবেষ্ঠিত দৃশ্য যা দেখে প্রতিটি মানুষকে আনন্দিত করে। রাতের বেলার দৃশ্য সে এক অনুভূতি! মিটিমিটি জ্বলছে যেন জোনাকি পোকার লুকোচুরি খেলা যা না দেখে ভাষায় বর্ণনা করা কঠিন। বর্ষাকালে দৃশ্য সে এক অভূতপূর্ব মনে হয় যেন মহাসাগরের কোন এক তীরবর্তী জায়গায় আমরা বসবাস করছি। মনে হয় যেন, মেঘের লুকোচুরির খেলায় বাংলাদেশ ও ভারত মিশ্রিত হয়ে গেছে।
রুইলুই পর্যটন এলাকা হতে কংলাক পাহাড় পর্যন্ত ভ্রমণ আপনাদের সুবিধার্থে আমরাই সহযোগিতা করতে পারি। যেখানে আপনি একসঙ্গে অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান দেখার সৌভাগ্য হবে। সাজেক ভ্রমণের উপযুক্ত সময় হচ্ছে বর্ষা এবং শীত মৌসুম। এই দুই ঋতুতে আপনার সাজেক ভ্রমণের স্বার্থকতা থাকবে। সাজেক ছাড়াও আপনারা খাগড়াছড়ি জেলায় লিখিত দশর্নীয় স্থানসমূহ পরিদর্শন করতে পারবেন।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ ঃ
১। খাগড়াছড়ি সদরে অবস্থিত জেলা পরিষদ হর্টিকালচার পার্ক ও ঝুলন্ত ব্রিজ।
২। খাগড়াছড়ি সদর থেকে ১০ কি.মি. দূরে আলুটিলা গুহা, পর্যটন কেন্দ্র ও রিসাং ঝর্ণা।
৩। খাগড়াছড়ি সদর থেকে রাঙামাটির পথে নুনছড়ি দেবতা পুকুর।
৪। খাগড়াছড়ি সদর থেকে দীঘিনালার পথে কৃষি গবেষণা কেন্দ্র।
৫। খাগড়াছড়ি সদর থেকে পানছড়ি ইউনিয়ন সদরে অবস্থিত শান্তিপুর অরণ্য কুটির।
৬। খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক, রুইলুই যাওয়ার পথে হাজাছড়া ঝর্ণা।
৭। খাগড়াছড়ি বাজারের পাশের অবস্থিত শত বছরের প্রাচীনতম য়ংড বৌদ্ধ বিহার।
রুম বুকিং এর নিয়মাবলী ঃ
1. কমপক্ষে ২ সপ্তাহ বা ১ মাস (বিশেষ করে পর্যটন মৌসুমে) আগে নির্দিষ্ট ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করে রুম বুকিং করতে হবে। রুম বুকিং এর জন্য যোগাযোগের নাম্বার- 01647421425
2. রুম কনফারমেশনের জন্য রুম ভাড়া বাবদ ৫০% পরিশোধ করতে হবে। অগ্রীম পরিশোধের জন্য বিকাশ নাম্বার- 01887982826(পাসোর্নাল)।
3. অগ্রিম পরিশোধ ছাড়া কোন রুম নিশ্চিত করা হয় না।
4. হরতাল বা বিশেষ কোন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বা ব্যক্তিগত বা পারিবারিক সমস্যাজনিত কারণে রুম বুকিং তারিখ পরির্বতনযোগ্য। অন্যথায় রুম বাতিল বলে গণ্য হবে না।
5. রুম বুকিং নিশ্চিত করার পর কোন ব্যক্তি বা দল অন্যত্র থাকতে চাইলে সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভাড়া দিতে হবে।
আমাদের হোটেল মৈত্রী রিসোর্ট এর নিয়মাবলী ঃ
1. কক্ষে প্রবেশের সাথে সাথে রেজিষ্টারে নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নং সহ যাবতীয় তথ্যাবলী লিপিবদ্ধ করতে হবে এবং রুম ভাড়া পরিশোধ করতে হবে।
2. কক্ষে রক্ষিত সকল প্রকার জিনিসপত্র যত্নসহকারে ব্যবহার করুন।
3. মূল্যবান মালামাল বা জিনিসপত্র নিজ দায়িত্বে রাখতে হবে, হারানো গেলে কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না;
4. কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ব্যতিত বহিরাগত কাউকে নিয়ে কক্ষে প্রবেশ করা যাবে না;
5. কক্ষ ত্যাগের পূর্বে ব্যবহার্য জিনিসপত্র দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কর্মীকে বুঝিয়ে দিতে বাধ্য থাকবেন;
6. পানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হউন;
7. রিসোর্ট এর সকল মালামাল, সম্পত্তি সংরক্ষনে সহযোগিতা করুন;
8. চেক ইন দুপুর 12 টা হতেই সন্ধ্যা ৭টা এবং চেক আউট সকাল 10টা;
9. আপনার সহযোগিতার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীর সাথে যোগাযোগ করুন।
দৃষ্টি আকর্ষণ:ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে বিশেয ছাড়। ইহা শুধুমাত্র রুম বুকিং এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
হোটেল মৈত্রী রিসোর্টের সেবাসমূহ;
1.যেহেতু সাজেক পর্যটন এলাকা এখনো পর্যন্ত ইলেকট্রিসিটির আওতাভূক্ত হয়নি সেহেতু অতিথিদেরকে সন্ধ্যা ৭ টা হতে রাত ১১টা পর্যন্ত জেনারেটর এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ এর সুবিধা দেয়া হয়। আলোচনার মাধ্যমে এই সময় বাড়ানো/কমানো যেতে পারে।
2. সোলার এর মাধ্যমে সার্বক্ষনিক লাইটিং এর ব্যবস্থা রয়েছে।
3জেনারেটর চলাকালীন মোবাইল, ক্যামেরা, ল্যাপটপসহ অন্যান্য ইলেকট্রিক সামগ্রীর চার্জের ব্যবস্থা।
4 পর্যটকদের চাহিদা মাফিক সকল সম্প্রদায়ের জন্য উন্নতমানের খাবার ব্যবস্থা।
আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতার ধন্যবাদ