30/01/2023
কাপ্তাই হৃদের সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম জলাধার ও বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান মৎস্য উৎপাদন কেন্দ্র কাপ্তাই হ্রদ (কর্ণফুলী হ্রদ)। এ হদ্র বাংলাদেশের বদ্ধ জলাশয় সমূহের মধ্যে সর্ববৃহৎ এবং মিঠা পানির মাছের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত। এ হ্রদের আয়তন ৬৮৮০০ হেক্টর এবং এর জলায়তন ৫৮,০০০ হেক্টর যা আভ্যন্তরিণ জলাশয়ের প্রায় ১৯ শতাংশ।
পরিচিতি:
জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য এ লেকটি মূলত তৈরি হলেও মৎস্য উৎপাদন, কৃষিজ উৎপাদন, জলপথে যাতায়াত, ফলজ ও বনজ দ্রব্য দুর্গম পথে পরিবহন, জেলে, ব্যবসায়ী ও স্থানীয় জনসাধারণের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও জীবন-জীবিকা থেকে শুরু করে মৎস্য সেক্টরে কাপ্তাই লেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে।
এ হ্রদকে ঘিরেই পার্বত্য জেলা রাঙামাটির বেশিরভাগ মানুষের জীবিকা নির্বাহ হয়। রাঙামাটির অন্যতম ব্যবসা মাছ ও কাঠ ব্যবসা। যা কাপ্তাই হ্রদের উপর নির্ভরশীল। কাপ্তাই হ্রদের মাছ রাঙামাটির চাহিদা মিঠিয়ে জেলার বাইরে বিভিন্ন জেলার মানুষের চাহিদা মেটায়।
কাপ্তাই লেককে ঘিরেই মূলত রাঙামাটি জেলার পর্যটন শিল্প গড়ে উঠেছে। এই লেকের উপর রয়েছে বিখ্যাত ঝুলন্ত ব্রীজ। লেকের দুই ধারই পাহাড়-টিলা দিয়ে ঘেরা। ট্রলার ভাড়া করে লেকে ভ্রমণ করা যায়। ট্রলারে করে যাওয়া যায় শুভলং জলপ্রপাতে। লেকের পাড়ে রয়েছে নতুন চাকমা রাজবাড়ি ও বৌদ্ধ মন্দির। পুরাতন চাকমা রাজবাড়ি কাপ্তাই বাঁধ নির্মানের সময় লেকে তলিয়ে যায়। রাজবন বিহার বাংলাদেশে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বৃহত্তম বিহার রাঙামাটি শহরের অদূরেই অবস্থিত, যা পূণার্থী এবং দর্শনার্থীদের অন্যতম আর্কষনীয় স্থান।
আরো অনেক নতুন ঘুরে দেখার জন্য পর্যটন ও রিসোর্ট গড়ে উঠেছে।
কাপ্তাই লেক ও তার সংলগ্ন প্রকৃতিক সৈন্দর্যকে উপভোগ করতে আপনাকে/ আপনাদেরকে বোট বা ইন্জিন চালিক নৌকা যোগে ঘুরতে হবে।
ঘুরে দেখার জন্য বোট বা ইন্জিন চালিত নৌকাসহ স্থানীয় গাইডারের সুবিধা দেয়া হয়।
ইনবক্সের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারবেন।