24/01/2022
(গত 13 জানু উড়ছেঘুড়ির আমিয়াখুম-নাফাখুম ইভেন্টের গল্প, আবারও যাচ্ছি 27 জানুয়ারি)
📍১০ মিনিট বলে নেটওয়ার্কের বাইরে ৩ দিন!
বান্দরবন! বাংলাদেশের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র!
বান্দরবনেই দেখা মিলে পাথর আর সবুজে ঘেরা পাহাড়ের মধ্য দিয়ে প্রবল বেগে নেমে আসা জলধারা। দুধসাদা রঙের ফেনা ছড়িয়ে তা বয়ে চলেছে পাথরের গা বেয়ে।
সঙ্গে অবিরাম চলছে জলধারার পতন আর প্রবাহের শব্দতরঙ্গ। প্রকৃতিরই এমন অপার সৌন্দর্যের ডালা সাজিয়ে বসে আছে আমাদের এই সবুজ শ্যামল বাংলায়—বান্দরবানে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের পাশে বান্দরবনের ‘আমিয়াখুম জলপ্রপাত’কে বলা হয় বাংলার ভূস্বর্গ হিসেবে। কারো কারো মতে এটা বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর জলপ্রপাত। এর অবস্থান বান্দরবানের থানচি উপজেলার দুর্গম নাক্ষিয়ং নামক স্থানে।
গল্পটা আমাদের আমিয়াখুম জয় করা নিয়ে ...
১৩ জানুয়ারি ২০২২, অবশেষে আসলো উড়ছেঘুড়ি ট্রাভেল গ্রুপের কাঙ্খিত রাত, এবং আমি মাহির সামী গ্রুপের হোস্ট হিসেবে ঘুড়িকে নিয়ে আরেকবার উড়ার সময় ৷
সকালেই বরিশাল থেকে ঢাকায় পৌছে বাসায় ঢুকে আবার ক্যান্টনমেন্টের উদ্দেশ্যে বের হয়ে গিয়ে নিজেকে সেনা সদস্যের সন্তান হিসেবে পরিচয় দিতে পেরে গর্বিত হয়ে যখন বাসায় ফিরি তখন ছোট ভাগ্নির মুখে শুনি মামা এবার তুমি বেশিদিন থাকবে তো?
কিন্তু বেশিদিন নয় তাদের ভালবাসা তাদের মায়া আমাকে বেশিক্ষণও আটকে রাখতে পারেনি, সন্ধা 7 টার আগেই বের হয়ে গেলাম প্রকৃতির টানে ...
(বুঝানো উদ্দেশ্য সবকিছুর চেয়ে পাহাড় আমাকে বেশি টানে, আর বাবার কর্মজীবন অনেকটাই পাহাড়ে কেটেছে, আমিও পাহাড়ে যাচ্ছি)
৯ টায় পৌছাবো সেই ইচ্ছায় ৭ টায় বের হলেও উত্তরা থেকে সায়েদাবাদ আসতে আসতে ঘড়ির কাটা তখন ঠিক দশ টা! এবং এই ১০ শব্দটা পুরো ট্রিপে আমাকে তাড়িয়ে বেড়িয়েছে, সেই গল্পটা ট্রিপের মধ্যেই শুনা যাক, আপাতত সায়েদাবাদ হুজুরবাড়ি শ্যামলী কাউন্টারে ফিরি ৷
এসে দেখি নওরিন আপু ও আনোয়ার ভাই কাউন্টারে আমার অপেক্ষামান, দেখতে দেখতে সিয়াম, জাওয়াদরাও চলে এলো, এরপর কফি খেয়ে বাসে উঠার পালা, আরিফ ভাই, সাজ্জাদ ভাইসহ বাকিদের শাহাদাত ভাই অন্য বাসে ফকিরাপুল থেকে নিয়ে যাবে, তথ্য প্রযুক্তি এত উন্নত হয়ে লাভ কি? যদি মোবাইলে সব কাজ সারা না যায়, বাকিদের মোবাইলে মোবাইলেই সব ঠিক করে বাসে উঠিয়ে দিলাম, এবার দুই বাসে দুই গ্রুপের সর্বমোট 24 জনের বান্দবন যাওয়ার পালা!
চলছে গাড়ি, পাহাড়ের বাড়ি.....
সকালে আমাদের বাস পৌছালো আগে, বাস থেকে নেমে হিল ভিউ রেস্টুরেন্ট+রিসোর্টে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে চলে গেলাম চান্দের গাড়ি ঠিক করতে, এখন চান্দের গাড়ি ঠিক করতে গেলে বাশ খেতে হয়!
এই বাশে বিরিয়ানি বা সকালের চা থাকে না, থাকে আইক্কা! কারণ, আগে আপডাউন রিজার্ভ করতাম 8000 টাকায়, এখন শুধু যেতেই 6500 টাকা!
একই মধ্যে ঐ বাসও চলে এলো, সবাইকে এক করে রেস্টুরেন্টে নাস্তা খাইয়ে চাদের গাড়িতে চল্লাম পাহাড়ের বাকে বাকে ...
ও মাই গড!! পাহাড় এত সুন্দর কেন?
আসলেই যে পাহাড়ের প্রেমে একবার পড়ে, সে বারবার এই পাহাড়ে ছুটে আসবে, পাহাড় মানেই তো নেশা, আমার কি দোষ, আমি অন্যকিছুর নেশা না করে পাহাড়ের নেশায় পড়েছি, পাহাড়ের প্রেমে পড়েছি, মানুষ তো কতকিছুরই প্রেমে পড়ে?
তিন ঘন্টা পাহাড়ের কোলে চান্দের গাড়ির ভ্রমণে যেন স্বর্গের সামান্য ছোঁয়া পেলাম, চোখ দুটি জুড়িয়ে গেলো!
মাঝে বিজিপি ক্যাম্পে সবার নাম এন্ট্রি করলাম,
সবার নাম ঠিকানা লিখতে লিখতে আমি শেষ!
ব্যাপার না, শেষ থেকেই তো শুরু ...
বিকালে থানচি পৌছে আবারও পুলিশ এন্ট্রি করিয়ে খাবার পার্সেলে নিয়ে সাঙ্গু নদীতে নেমে পড়লাম বোটে পাচজন করে!
বান্দরবন সম্পর্কে প্রবাদ আছে, মানুষ যেই নদীই দেখে চিল্লাইয়া বলে আরে এ তো সাঙ্গু!
পাহাড়ের মাঝ দিয়ে পাথরের উপর দিয়ে বয়ে চলা সাঙ্গু নদীর উত্তাল বুক চিড়ে ইঞ্জিন চালিত নৌকা ভ্রমণ যা দেহমন চোখের তৃপ্তি দিবে, তাতে মনে হবে আর কিছু না দেখলেও পুরো পয়সা উসূল ...
এরপর কেমাক্রী নেমে শুরু আমাদের পাহাড়কে আপন করে নেয়া, পাহাড়ে আসক্তি পাহাড়েই প্রশান্তি!
পাহাড়ি রাস্তা, জিরি ধরে আমাদের ট্রেকিং শুরু,
বিকালে ট্রেকিং শুরু করে সন্ধা নেমে এলো, সময় যাচ্ছে, ঘড়ির কাটা লাফিয়ে লাফিয়ে এগিয়ে চলছে, আমরাও হাটছি, কিন্তু এই পথ যেনো শেষ হবার নয়!
প্রতিটা দশ মিনিট যেন এক ঘন্টার সমান, একটু পর পরই গেস্টদের প্রশ্ন আরো কতক্ষণ!
তাদর কিভাবে বলি দশ ভাগের এক ভাগও এখনো আসতে পারিনি, কিন্তু সবাইকে বলতে লাগলাম, আরে মাত্র 10 মিনিট বাকি আছে ☺
শুনেছিলাম, প্রত্যেক মানুষের সফলতা তার গন্তব্যে পৌছার পিছনে নাকি কারো না কারো কোনো মোটিভেশনাল কথা লুকিয়ে আছে, আমিও চেয়েছি নিকটে চলে এসেছি ভেবে তারা ফুরফুরা মেজাজে দৌড়াক,
কিন্তু দশ মিনিট যে শেষ হবার নয়, মুনা'রা বলতে লাগলো এই যে দশ মিনিট ভাই আপনার দশ মিনিট কি শেষ হয় না?
বললাম, আমার ঘড়ির চার্জ তো সকালেই শেষ!
থুইসা পাড়া পৌছাতে পৌছাতে ঘড়ির কাটা তখন 10 টা পাড়, এখানেও দশ আমার পিছু ছাড়েনি, অথবা আমরা দশের পিছু ছাড়িনি, ওহ না, আমি দশটায় পৌছাবো এর জায়গায় দশ মিনিট লাগবে বলেছিলাম.... ☺
এরপর থুইসা পাড়া অংদার ঘরে উঠলাম, সব মিলিয়ে কিছুটা মুড অফ হলেও, ব্যাপার না, প্যারা নাই চিল বলে উড়িয়ে দিলাম!
ফ্রেশ হয়ে যখন মুরগী মাংশ দিয়ে জুম ভাত মুখে দিলাম, তখন মনে হলো অমৃত খাচ্ছি, আসলে সারাদিন ট্রেক করার পর মুখে ভাতের দানা নিলে খাবার যে স্রষ্টার নেয়ামত তা বুঝা যায় ৷
খেয়ে দেয়ে আগুন জ্বালিয়ে গল্প করে হারিয়ে গেলাম ঘুমের রাজ্যে .....
হ্যালো দশ মিনিট ভাই, হ্যাঁ ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ নিয়ে যখন টাট্টিখানায় যাবো, ঠিক সেই মূহুর্তে মুনাদের থেকে এই কথা শুনতে হলো!
ট্রিপটা পুরা দশ মিনিটে আটকে গেলো,
ফ্রেশ হয়ে এসে চা খেলাম, চায়ের দোকানে!
মোটামুটি ঠান্ডার ভিতর একটি জার্সি ও হাফ প্যান্ট পড়া আমি চায়ের গরমে নিজেকে গরম করে নিচ্ছি, ব্যাপারটা জোশ না? চা খেতে বসে দেখা হয়ে গেলো পরিচিত অনেকের সাথেই, থুইসা পাড়ায় আরো দুটি গ্রুপ এসেছে, গাইড হোস্ট থেকে শুরু করে অনেককেই চিনি!
এরপর খিচুড়ি দিয়ে ডিম খেয়ে গ্রুপ নিয়ে চল্লাম দেবতা পাহাড়ের উদ্দেশ্যে, দেবতা পাহাড় ডেঙ্গিয়েই তো দেখবো অপার্থিব আমিয়াখুম....
দেবতা পাহাড়টা একটু ভয়ংকর, বিশেষ করে বিগেনারদের জন্য উচু পাহাড় উঠা নামা অনেক কষ্টকর!
অনেকে সফল হয়, কিছু মানুষ হয় না, আমাদের গ্রুপের পাচজনই যেতে পারলো না, বাকি 20 জন চড়াই উৎড়াই পাড় করে যখন আমিয়াখুমের দর্শন করলাম, তখন মনে হলো, এটা বাংলার নায়াগ্রা...
এরপর ফটোশ্যুট, মেয়েরা শাড়ি পড়ে ফটো, আমিও কম যাই নাকি হালকা লাল কালার পাঞ্চাবী সাদা পায়জামা পড়ে রোমান্টিকতা নিয়ে এলাম,♥ এরপর ভেলায় চড়ে ভেলাখুম ভ্রমণ,
এবং খুমের রাজ্যে বড় বড় পাথরের উপর চোখ বন্ধ করে জলপ্রপাতের পানির কলকলিয়ে পড়া শব্দ শুনে প্রকৃতি নিরবে উপভোগ করতে পারলে বুঝা যায় জীবনটা আসলেই এখানে সুন্দর ...
এবং সবার যার যার মত করে সাতভাইখুম ভ্রমণ, সর্বশেষে যখন আমি আরিফ ভাই ও জাওয়াদকে নিয়ে সাতভাইখুম যাচ্ছিলাম, তখনি জাওয়াদকে ক্যাক্টাস হুল ফুটিয়ে দেয়, জাওয়াত গাছটা ছেড়ে দিতেই এসে পড়ে আমার গায়ে, আমার কিছু না হলেও জাওয়াদের এলার্জিতে সমস্যা দেখা দেয়, তাই আমরা ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই, সবাই যেতে পারলেও আমরা তিনজন যাইনি, তাতে সমস্যা নেই (এটা আগে অনেকবারই দেখেছি)
জীবনে একটা জিনিসই শিখেছি, যতই চেষ্টা করো না কেন? লাইফে কিছু না কিছু ছুটে যাবেই ...
বিকালে গাইডের সাথে মেম্বারদের থুইসা পাড়ার উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দিয়ে আমি এবং সাজ্জাদ ভাই চললাম নিকোলাস পাড়ায়, নিকোলাস যাবো নেটের জন্য, কিন্তু আমার কাছে বরাবরই নিকোলাস পাড়া সেই লাগে, তাই প্রতিবার ঢু মারি!
পাড়ায় উঠে আমি তো অবাক পাহাড় থেকে এত সুন্দর ভিউ পুরো ট্রিপেই পাইনি, অসাধারণ সানসেট! এমন সানসেট প্রিয়জনকে নিয়ে উপভোগ করলে মন্দ হতো না, (পাঠকরা মাথায় রাখবেন)
সেখানে আমার হোয়াটসএপে একটি মেসেজ পাঠানোর মত নেট না পেলেও এমন সানসেট দেখতে পেরে দিল খুশ হয়ে গেলো, নেট পাইনি, তাতে কি, এসেছিই তো নেটওয়ার্কের বাইরে ...
সন্ধায় থুইসা পাড়া এসে আস্ত মুরগী দিয়ে ভাত ম্রে সন্ধার পর আড্ডা ঘুম, এরপর দশটার পর মুরগীর পিচ দিয়ে পেট পূজা করে আগুন জালিয়ে আড্ডা..
সকালে খুম থেকে উঠে খিচুরী খেয়ে একটা কথা লেখা হয়নি, পুরো ট্রিপে থুইসা পাড়ায় অংদা ভিবিন্ন পদের ভর্তাও খাইয়েছিলো, যার স্বাধ অতুলণীয়! খুব ট্যাস, সক্কাল খুব ট্যাস করে ভাত খেকে বিদায় জানালাম, দুই রাত যাপন করা অনেক স্মৃতি জড়ানো থুইসা পাড়াকে ...
হাটি হাটি পায়ে চলতে লাগলাম, নাফাখুমের দিকে,
আসার সময় সেইম রাস্তায় এলেও রাতের অন্ধকারে এই রুপকথার দেশের মত পাহাড় ঝিরি পাথুরে এত সুন্দর পথ দেখতে পারিনি, বাট এখন দিনের আলোতে যেন পথ চলতে কষ্ট হচ্ছে, যেন এই সৌন্দর্য রেখে সামনে এগুতে মন চায় না, একটু পর পর সবার মনে হয়, একটু বসে দেখি প্রকৃতি, এই প্রকৃতির সাথে নিজেকে ফ্রেমে আটকে রাখি!
পাক্কা আড়াই ঘন্টা ট্রেক শেষে নাফাখুম এসে পৌছালাম, সেখানে ঘন্টা খানিক আমিয়াখুমের ছোট ভাইয়ের সাথে কাটালাম, বান্দরবনে আসলে বারবার মনে হয়, বান্দরবনের রূপ দেখেছি আমি, আমি কি অন্য রূপের প্রেমে পড়তে পারি...?
এরপর ট্রেক আবার শুরু, সব সময় মেয়েরা বলে এত ট্রেক করতে পারবো কিনা? কিন্তু এই ট্রেকিংয়ে দেখলাম, মেয়েরাই ফাস্ট, আসার সময় যাদের সাহায্য করে এনেছি, তারা সবাই আগে, সবই দশ মিনিটের খেল! দশ মিনিট নিয়ে অনেক কিছু হয়েছে, আর সামনে না বাড়াই এবার রেমাক্রীর দিকে হাটি! দুপুরের পর পরই রেমাক্রী পৌছালাম, রেমাক্রী পৌছে বোটে করে সাঙ্গু নদী পাড় হতে লাগলাম, আমি বারবার বলবো অন্য কিছু লাগবে না, এই বোট ভ্রমণেই আমাদের পয়সা উসূল!
ভয়ঙ্কর সুন্দর এই সাঙ্গু নদী, এই সৌন্দর্য কেবল উপলব্ধি করার বিষয় ...
বিকালে থানচি পৌছে লাঞ্চ ডিনার একসাথে করে চান্দের গাড়ি চেপে বসলাম, পথেই বিজিপি ক্যাম্পে আর্মি সাহেব বাধা দিলেন 6 টা পাড় হবার পর চেকপোস্ট পাড় হতে দিবে না, আমি জানতাম, বাধা দিবে, এটাও জানতাম ছেড়েও দিবে, ফাও তাদের মাথা না ধরিয়ে আপসে ছাড় পেলেই হয়, আমিও আর্মি ঘরের সন্তান, আর্মির মেজাজ ভালো জানা,
কথা বলে অল্পতে ছাড় পেয়ে গেলাম, এবার দুটো গাড়ি চলছে বান্দরবন শহরের দিকে, সেখানে 9 টার সৌদিয়া বাস অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য,
চান্দের গাড়িতে আমি ছিলাম, হাফ প্যান্ট জার্সি পড়া, সবাই বলল, শীতের পোষাক বড়, আশ্চর্য শীতের পোষাক পড়ে আমি শীতে একেবারে কাচুমাচু হয়ে গেলাম, চাদর মুড়ো দিয়ে কাপতে লাগলাম, আর মনে পড়লো সেই ঘটনা, কোনো এক বরফের দেশে এক বড় লোক দেখলো এক গরীব প্রচন্ড শীতে খালি গায়ে, গরীব বলল, শীতের পোষাক নেই, ধনী বলল, ওয়েট করো এনে দিচ্ছি!
কিন্তু ধনী বেচারা ভুলে গেলো, সকালে এসে দেখে গরীব মরে গেছে, মানে হলো মনের শক্তি বড় শক্তি!
যাইহোক চান্দের গাড়ি লাস্ট ভ্রমণটা ছিলো ভরা চাদের সাথে, আমরা চান্দের গাড়িতে, মাথার উপর ইয়া বড় চাঁদ....
আসলে আমরা ট্রাভেলাররা হয়ত অনেক টাকার মালিক হবো না, বুড়ো বয়সে ব্যাংক ব্যালেন্স না থাকলেও অনেক স্মৃতি থাকবে, গল্পের ব্যালেন্স থাকবে,
প্রকৃতি মূলত সৌন্দর্যের ব্যাংক, প্রতিটি মানুষকে কখনো না কখনো তার কাছে গিয়ে একটা একাউন্ট খুলে আসতে হয়,
সবাই বান্দরবনের কাছে ব্যাংক খুলে যার যার মত করে বাসের সীটে উঠে বসলাম, এবার ঢাকা যাওয়ার পালা...
পরেরদিন ভোরে ঢাকায় নিজ গন্তব্য আসায় তাড়াহুড়োয় কেউ বা না বলেই নেমে যায়, কেউবা নামার আগে হাত নেড়ে কোকিল কণ্ঠে ট্রিপের সমস্ত প্যারা ভুলিয়ে দেয়ার জন্য বলে আল্লাহ হাফেজ ♥