Kazi-The TravelleR

  • Home
  • Kazi-The TravelleR

Kazi-The TravelleR I'm a foodie traveler. I travel to the country and abroad and present it to you in a new way. So t

29/08/2024
27/08/2024
আন্দালিপাড়ার জুম ঘর. . . রিজার্ভ ফরেস্ট, আলীকদম, বান্দরবান
09/06/2024

আন্দালিপাড়ার জুম ঘর. . .
রিজার্ভ ফরেস্ট, আলীকদম, বান্দরবান

সাংঙ্গু_মাতা_মুহুরি_রিজার্ভ_ফরেষ্টযে পাড়ার মায়ায় না পরে পারলাম না। 🥰❤️📍মাছখুম পাড়া, মাতামুহুরি রিজার্ভ ফরেস্ট, কুরুকপাতা...
29/03/2024

সাংঙ্গু_মাতা_মুহুরি_রিজার্ভ_ফরেষ্ট

যে পাড়ার মায়ায় না পরে পারলাম না। 🥰❤️

📍মাছখুম পাড়া, মাতামুহুরি রিজার্ভ ফরেস্ট, কুরুকপাতা ইউনিয়ন, আলীকদম, বান্দরবান।

বান্দরবানের সীমান্তবর্তী কুরুকপাতা ইউনিয়নের দুর্গম এলাকা পোয়ামুহুরী। সেখান থেকে হেঁটে অথবা নৌকায় আলীকদম উপজেলা সদরে আসতে স্থানীয়দের সময় লাগত দুইদিন। মাঝখানে কোনো পাড়ায় উঠে রাতযাপন করতে হতো। সেই দুইদিন হয়েছে এখন দেড়ঘণ্টায়! আলীকদম থেকে পোয়ামুহুরী পর্যন্ত প্রায় ৪২ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি তাই বদলে দিচ্ছে দুর্গম কুরুকপাতা ইউনিয়নের মানুষের জীবনযাপন।

এই পর্বে আমাদের প্রথম দিনের রুট প্লেন ছিলো পোয়ামুহুরি থেকে সিন্ধু পাড়া হয়ে মাছখুম পাড়ায় রাত্রিযাপন করার। তাই আমাদের এই পর্বের গন্তব্য হয়ে গেলো পোয়ামুহুরি থেকে মাত্র ২-৩ ঘন্টায় মাতামুহুরি নদী এবং ঝিরিপথ ধরে হেটে মারান পাড়ায়। এই রুটে পর্যটকদের আনাগোনা খুবই কম। কিন্তু আকর্ষিক ভাবে বৃস্টি নামায় আমরা দড়ি মুখ থেকে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে পাহাড়ি শেল নৌকায় রওনা দেই মাছখুম পাড়ার দিকে৷ ক্ষনে ক্ষনে বৃষ্টিতে কাক ভেজা হয়ে যাই,একেবারে লাস্টের দিকে বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলাম এরই মাঝে মাছখুম পাড়ার কাছে চলে আসি, এবার পাহাড় টা উঠলেই চলে যাব পাড়ায় একে ত বৃষ্টি তার উপর ঠান্ডায় শরীর জমে আছে মনে হচ্ছে রাস্তায় কেউ সাবান পানি বিছিয়ে রেখেছে একেক বার মনে হচ্ছিল ছিটকে পরব পাহাড় থেকে সে রাতে অনেক কস্টে পাড়ায় পৌছি . . .
পাড়ায় পৌছালে মাছখুম পাড়ার কারবারি আমাদের হোস্ট Md Shakhawat Hossain কে এক গাল হাসি দিয়ে উস্ন অভর্থনা দিয়ে বলে দাদা খজন?
এবার রাতের খাবার যোগানের পালা, কারবারির সাহায্য নিয়ে একটা পাঠা ম্যানেজ করা হয়, পাঠার গোস্তে সে রাতে ভূরি ভোজ হয় আলহামদুলিল্লাহ৷ ঘুমাতে হবে সকালে অনেক দূরের পথ হাটতে হবে, তাই ঘুমিয়ে পড়লাম ৯ টায়। হঠাৎ রাতে ঘুম ভেঙে গেলো দেখি গায়ে একটি কাঁথা দেওয়া, দরজা জানালা সব খোলা, এখানে কোন কিছু হারানোর ভয় নেই স্বস্তি পেলাম। ফজরের নামাজ পড়তে হবে এলার্মের প্রয়োজন হলো না উঠে বসলাম। জানালা দিয়ে দেখলাম পাহাড়গুলো সব আলোকিত হয়ে আছে, পুরো পৃথিবী তখনো ঘুমিয়ে আছে। মোবাইল হাতে নিয়ে দেখলাম ২ টা বেজে ৫০ তাই আবারো ঘুমিয়ে পড়লাম। পাখির কিচিরমিচিরে আবারো ঘুম ভেঙে গেলো উঠে দেখি চুলায় আগুন ভাত রান্না হচ্ছে তখন আর বুঝতে বাকি নেই সকাল হয়ে গেসে। জায়নামাজ টা নিয়ে বাহিরে চলে এলাম প্রকৃতির সাথে ফজরের নামাজ আদায় করে নিলাম। এ এক অন্যরকম প্রশান্তি বলে বুঝানো যাবে না। বাড়ির কর্তা চংক্রাত ম্রো জুমে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে আর কর্ত্রীও রান্না শেষ করে সকলকে খাইয়ে প্রস্তুত হচ্ছে জুম চাষে যাওয়ার জন্য। তাই আমাদেরও এখান থেকে বিদায় নেওয়ার পালা বাচ্চাদের কে ১ টা করে চকলেট দিয়ে বিদায় নিলাম। কি যেনো এক অদ্ভুত মায়ায় আটকে গেলাম। পাড়াটা কে ছেড়ে আসতে মন চাচ্ছে না তবুও ছেড়ে আসতে হবে। যেতে হবে পরের গন্তব্যে . . .
(চলবে . . . )

“মানুষের হৃদয়ে স্মৃতি তৈরি করুন কারণ যখন আপনি চলে যাবেন তখন আপনার সমস্ত স্মৃতিই শুধু অবশিষ্ট থাকবে।”

16/11/2023

ঢাকা টু কক্সবাজার রেলপথ🥰 🚂
চলুন সরকার নির্ধারিত ভাড়া গুলো জেনে নি😎

এই লগ টা কেমন হবে
13/11/2023

এই লগ টা কেমন হবে

09/12/2022
21/11/2022

বাড়ী ফেরার পালা . . .

 #ভ্রমন_রুমা_টু_থানচি_ঝর্না_বিলাস🔰 জাদিপাই ঝর্না🔰জিংসিয়াম সাইতার ১,২,৩🔰ত্লাবং (ডাবল ফলস)🔰বাকত্লাইটুর প্লান বান্দরবান -> ...
22/10/2022

#ভ্রমন_রুমা_টু_থানচি_ঝর্না_বিলাস

🔰 জাদিপাই ঝর্না
🔰জিংসিয়াম সাইতার ১,২,৩
🔰ত্লাবং (ডাবল ফলস)
🔰বাকত্লাই

টুর প্লান
বান্দরবান -> থানচি -> বাকত্লাই -> জাদিপাই -> জিনসিয়ান সাইতার -> ত্লাবং -> বাকত্লাই

#১ম দিন - ১১.৮.২২ রাত ১১ঃ৩০ মিনিটে ডলফিন পরিবহনে বান্দরবান রওনা দেই। ১২.৮.২২ তারিখ খুব ভোরে বান্দরবান পৌছে যাই। পথি মধ্যে ৩ টি আর্মি ক্যাম্পে ভোটার আইডির কপি জমা দিয়ে চাঁন্দের গাড়ীতে আলিকদম হয়ে থানচি যাই। থানচি এসে খিচুরি দিয়ে নাস্তা সেরে নতুন রোডে যাত্রা শুরু করি। এই পথে আগেও একবার যাওয়ার চেস্টা করি কিন্তু আর্মি অফিসারের বাধার মুখে তমা তংঙ্গি থেকে ফেরত আসতে হয়। দুপুর আনুমানিক ১২ঃ০০ টায় বাকত্লাই পাড়ায় পৌছে যাই। গাড়িতেই বলে দেওয়া হয়েছিল বাকত্লাই পাড়ায় পৌছে গেলে শুধু হাটতে হবে কেউ কিছু জিগ্যাস করলেও কোন কথা বলা যাবে না। দ্রুত পাড়া পার হয়ে একটু জিরিয়ে নেই। আবার হাটতে থাকা, পাহাড়ের গা বেয়ে শুধুই হাটছি আর মহান আল্লার অপরুপ নিদর্শন দেখছি। হাটতে হাটতে ২টি যাত্রী ছাউনি পার হয়ে দানব আক্রিতির পাহাড় কপিতালের গা বেয়ে এসে ৩য় যাত্রী ছাউনিতে ভালকরে জিরিয়ে নেই। কারণ এই বার কপিতাল সামিটের পালা। এই রাস্তায় আর যাই হোক আপনাকে জোঁকের সম্মূখিন হতেই হবে। সামিট শেষে ফিরে এসে একে অপরের গা চেক করে জোক সরিয়ে নেই। আবারও ছুটে চলা এবারের গন্তব্য উদ্যমি জাদিপাই পাড়া। সন্ধা ৭ঃ৩০ মিনিটে পাড়ায় পৌঁছাই। কনকনে ঠান্ডা পানিতে গোসল সেরে নেই। পাহাড়ী আনারসে নাস্তা সারি। কারবারির ঘরে বসে চা খাচ্ছি বাহিরে ততক্ষনে মেঘে ঢেকে গেছে। আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালার কি অপরুপ সুন্দর্য। এই সুন্দর্যের কথা বলে বুঝানো যাবে না,কোন ক্যামারায় ধরন করাও যাবে না। শুধু আপনার চোখেই পারে এই সুন্দর্য উপভোগ করতে। মেঘের ভিতরেই হেঁটেছি পুরো পাড়াটা। কনকনে ঠান্ডা, ঠান্ডায় আমার কাপনি ধরে গেছে।
আপনি যদি কোন দিন মেঘ না দেখেন তা হলে আপনার মনে হতে পারে এটা ত কুয়াশা, এই গরমে কুয়াশা এল কোথা থেকে। সে রাতে আড্ডা আর গল্প শেষে সাদা পোলাও আর মুরগি খেয়ে ঘুমের রাজ্যে পারি দেই।

#২য় দিন- খুব ভোরে উঠে জাদিপাই ঝর্না দেখতে রওনা দেই, মেঘের ভিতর দিয়ে হেঁটে চলছি একবার পাহাড় বেয়ে নিচে নামা আবার পাহাড় বেয়ে উঠা। এর পর একটা সমতল পাবেন সেটা পার হলেই একটা যাত্রী ছাউনি দেখা মিলবে। সেখান থেকে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামলেই বাংলাদেশের ঝর্নার রানী ক্ষেত জাদিপাই এর দেখা মিলবে। এই সুন্দরীর এত রুপ আপনি শুধু অপলক দৃস্টিতে চেয়ে থাকবেন। যদিও ২০১৫ সালে এই সুন্দরীর ডান পাশ ধ্বসে গেছে। শুনলাম অচিরেই এটা দর্শনার্থিদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। তখন হয়ত আর এই যুদ্ধটা করা লাগবে না।
ঝর্না দেখে ফিরে এসে ভাত, আলু ভর্তা, ডালে সকালের নাস্তা সেরে নেই। আবার ছুটে চলা এবারের গন্তব্য জিনসিয়ান সাইতান . . .
পাড়া থেকে ব্যাগ গুছিয়ে সকাল ১০ঃ০০টায় রওনা দিলাম লুংথাউছি পাড়ার দিকে, পৌঁছাই দুপুর আনুমানিক ২ঃ০০টায়। ব্যাগ রেখে সোজা রওনা দেই জিনসিয়ান সাইতানের দিকে। পাড়া থেকে বাঁশ বাগানের ভিতর দিয়ে যাওয়া এরই মাঝে খাড়া নেমে যাওয়া। পাহাড়ে প্রতিটি কদমেই কস্ট, আপনি নামবেন মানেই উঠে আসার কথা চিন্তা করা। সে যাই হোক আমি কিন্তু নাছর বান্দা আমার অদম্য ইচ্ছা আমার গন্তব্য কে সহজ করে দেয়। নামতে নামতে একবার আপনি এই ঝর্নার এক পলক রুপ দেখতে পাবেন। তার পর ঝিরি পথে জিনসিয়ান সাইতানের ১ম ধাপের দেখা মিলবে। জিংসিয়াম সাইতারে
রুমানা পাড়ার এক মেয়ে জিংসিয়াম শামুক কুড়াত এসে এই ঝর্না থেকে পরে মারা য়ায় তার নামে নামকরন করা হয় এই ঝর্নার ।ঠিক ঝিরির পাশ দিয়ে এক ভয়ংকর পাহাড়ী রাস্তা দিয়ে আপনাকে এই ঝিরির ২য় ধাপ দেখতে উঠে আসতে হবে। প্রতিটি পা আপনার চিন্তা ভাবনা করে ফেলতে হবে। একটি কদম মিস হলে আপনি ছিটকে পরবেন ৫০০ ফিট নিচে। যেন নিজের আত্মাটা হাতে নিয়ে চলা . . .
২য় ধাপের গোড়ায় গিয়ে আবার উঠার ভয়ে আমি আর নিচে নামছিলাম না পরে আমাদের গ্রুপের হোস্ট Md Shakhawat Hossain ভাই আমাকে এক প্রকার জোর করেই আমাকে নিচে নামায়। নেমেই এর রুপ দেখে আমি মহান শ্রষ্ঠার শুকরিয়া করে বলে ছিলাম সোবহানাল্লাহ। ধন্যবাদ ও কৃতগ্নতা প্রকাশ করছি শাখওয়াত ভাই এর কাছে তুমি না থাকলে এই সুন্দরিটা আমার কাছে অচেনাই থাকত।
আবার ২য় ধাপ থেকে বেয়ে পাহাড়ের চুরায় ৩য় ধাপে উঠে আসি। এই ধাপটা আমার কাছে সবচেয়ে সুন্দর মনে হয়েছে, বার বার মনে হচ্ছিল এই খানে যদি ক্যাম্প করে রাত্রি যাপন করা যেত। ভাবতে ভাবতে সূর্য তখন অস্ত গেছে। পাহাড়ে অন্ধকারটা ভয়ংকর। অন্ধকারেই রওনা দেই পাড়ার দিকে। রাত আনুমানিক ৯ঃ০০ টায় পারায় ফিরে কনকনে ঠান্ডা পানিতে গোসল করে নামাজ পরতে বসি। নামাজের মধ্যেই অনুভব করি পায়ের আঙ্গুলের চিপায় কিছু একটা আছে। দ্রুত নামাজ শেষ করে দেখি যা ভেবেছি তাই জোঁকের আক্রমন।
এর পর একটু পাড়াটা দেখতে বের হই। ছোট কিন্তু সিমসাম সাজানো গোছানো পাড়া। সেদিন রাতেই এই টুরে একটু খানি চাঁদ মামার দেখা মিলেছিল। রাতের খাবার খেয়ে ঘুমের ঘরে চলে যাই।

#৩য় দিন - আজও খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে যাই। পাহাড়ে কেন যানি খুব সকালেই ঘুম ভাঙ্গে, আমি চিন্তা করি এত সকালে ত কখনও আমার ঘুম ভাঙ্গে না। সে যাই হোক দাঁত ব্রাশ করে দিনের আলোয় পাড়াটা দেখতে বের হলাম পাড়ার শেষ মাথায় ঝুম ঘরের দেখা মিলে, কিছুক্ষন লেটানি দিলাম ঝুম ঘরে। বসে বসে পাহাড়ে সূর্য উদয় দেখলাম। পাহাড়ে যতই সূর্যের আলো পরছে পাহাড় টা ততই সবুজ হয়ে যাচ্ছে অবাক দৃস্টিতে চেয়ে থাকা। মনে হচ্ছিল অনন্তকাল বসে থেকে সবুজের ঝলকানি উপভোগ করি। কিন্তু সময় যে লাগাম টেনে রেখেছে আমাকে ফিরতে হবে . . .
তাই কারবারির ঘরে নাস্তা সেরে রওনা দেওয়ার জন্য বের হলাম বের হয়ে দেখি প্রতিটি চার্যে প্রাথনা চলছে। হটাত তখন মনে হল আজ ত রবিবার। দুর থেকে তাদের প্রাথনা দেখলাম। কয়েক বার মনেহয় আমিন বলেছিল। প্রাথনা শেষে বাচ্চাদের তবারক হিসেবে মারফা দিচ্ছিল। এই পারাটা বেষ মনে ধরেছে একদিনেই কত আপন লাগছিল ছেড়ে আসতে ইচ্ছে হচ্ছিল না। এবার চলা শুরু গন্তব্য ত্লাবং(ডাবল ফলস) হয়ে থাইক্যাং পাড়া। ভরা পেটে পাহাড় ট্রেকিং ডিফিকাল তবুও চলতে হবে প্রায় তিন ঘন্টা ট্রেক শেষে একটা চমৎকার পারার দেখা পাই (নিরাপত্তা জনিত কারণে নাম বলা গেল না)। পারা বেয়ে নেমে যাওয়ার সময় বার বার ইচ্ছা হচ্ছি এই পারায় যদি একদিন থাকা যেত। পারা বেয়ে নেমে এক অপরুপ সুন্দর্য চোখে পরল, এই স্থানটা অনেকটা জোকভেলীর মত দেথতে। ঝুম ঘরে বসে জিরিয়ে নেওয়ার সাথে সাথে পাহাড়ের অপরুপ সুন্দর্য দেখতে পারলাম। মনে হচ্ছিল জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় উপভোগ করছি। আবার যাত্রা শুরু পাহাড় বেয়ে নেমে ঝিরি পথের দেখা সেটা ধরে সামনে কিছু দূর পরেই ত্লাবং এর চুরায় চলে আসি। বসে কিছুক্ষন রেস্ট নিয়ে একটা পাহাড় উঠে নিচে নেমেই ত্লাবং/ডাবল ফলস এর দেখা মিলে। ২টা ঝিরি বামে প্রাংশা ডানে পাংখিয়াং দুই দিক থেকে এই ত্লাবং ঝিরিতে পরে, তাই অনেকে এটাকে ডাবল ফলস ও বলে। এই ঝিরিই পরে ভেলা খুম, আমিয়া খুম, সাতভাই খুম, নাফাখুম হয়ে রেমাক্রি চলে গেছে। এই ঝিরি থেকেই রেমাক্রি খালের উৎপত্তি। ঝিরি দেখে প্রায় ২ ঘন্টা পাহাড়ী পথ বেয়ে থাইক্যাং পারায় পৌছি। এই পারাটা বেষ বড় এর আগে আমি পাহাড়ে এত বড় পারা দেখি নাই। বিকালে এই পারায় ঢুকি তাই বিকাল টা পারা বেরিয়ে কাটাই। কিছুক্ষন পর শাখওয়াত ভাই নুডুস রান্না করে ক্ষুধা পেটে নুডুস কে নতুন করে আবিষ্কার করি। আমাদের হোস্ট Md Masum কে অনেক পেরা দিয়ে পাহাড়ী মুরগীর ব্যাবস্থা করি। আজকের ম্যানু শাখওয়াত ভাই এর দূর্দান্ত খিচুরি ও পাহাড়ী মোরগ ভূনা, মারফার ভর্তা। আজকে রাতটাই এই টুরে পাহাড়ে কাটানো শেষ রাত তত দিনে টিম মেট দের সাথেও বেষ জমে গেছে সবাই আমাকে এক ভিন্ন কারণে দুলাভাই ডাকছে আমিও সবাইকে সালা সালি মনে করতেছি . . .
সে রাতে সবার সাথে অনেক মজা করেছি। অনেক দিন এই ভাবে হাসা হয় না। কর্ম জীবনে শুধু না পাওয়ার জন্য হতাশা কি করে এত হাসি হাসব। সবশেষ উদর পিন্ডি খেয়ে অস্থিরতা কাটাতে পারার আরেক অংশটা দেখতে বের হই। সে রাতে একটু দেরি করে ঘুমাতে যাই। রাতে তেমন ঘুমানো হয় নি ব্যাথায় কাতরাচ্ছিলাম . . .

#৪র্থ দিন - খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে পারার বাকি অংশটা দেখে নিলাম। যানি না আবার আসব কি না তাই একটু টাচ করলাম। তারপর প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিয়ে ফেরার পথে Omar Faruque ভাই গাছে কাঁঠাল দেখে সে নিজে কাঁঠাল পারল এবং সবাইকে খাওয়াল। রাতে থেকে যাওয়া খিচুরি আর ডিম ভুনায় সকালের নাস্তা সারলাম। এই বার গন্তব্য বাকত্লাই ঝর্না হয়ে বকত্লাই পাড়া। আজকে রাতে বাড়ী ফিরতে হবে এই ভেবে অচেনা মনখারাপ নিয়ে পারা থেকে বের হলাম। সোজা হেঁটে কপিতারের নিচে যাত্রী ছাউনিতে এসে বসলাম। আবার যে পথে এসেছি সে পথেই ফেরা। বাকত্লাই পারার একটু আগে ডানদিকে একটি সোজা রাস্তা নেমে গেছে নিচে সেটা ধরে এগিয়ে গেলেই বিভত্স রাস্তা দেখবেন এই রাস্তার শেষ মাথাই এই ঝর্না। রাস্তা টা এতটাই ভয়ংকর যে নিচে তাকালে আপনার গা সিম সিম না করে পারবে না। সে যাই হোক আমার নিজেকে প্রমান করতেই হবে তাই আস্তে আস্তে নেমে গেলাম। আর ভাবতে লাগলাম যদি না উঠতে পারি তা হলে বাংলাদেশ সেনা বাহিনী এসে আমাকে উঠাবে। এই সব ভাবতে ভাবতে নিচে নেমে আসি। নিচ থেকে উপরে তাকিয়ে মাথা ঘুরে এত উপর থেকে পানি পরছে যে অর্ধেক বাস্পিত হয়ে যাচ্ছে। উচ্চতার দিক দিয়ে আমাদের দেশে এই ঝিরি ২য় তম। ঝিরির নিচে দারিয়ে শতকস্ট নিমেষেই ভূলে যাবেন ইনশাআল্লাহ। আমি যখন ঝিরিতে পৌঁছাই তখন আমাদের টিম মেট গন আমাকে দুলাভাই দুলাভাই স্লোগানে স্বাগত জানালেন। এ এক অন্যরক ভাল লাগা। এবার উঠার পালা আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালাকে স্বরন করে রসূলের দুরুদ পাঠ করে উপরে উঠা শুরু করলাম আলহামদুলিল্লাহ খুব তাড়াতাড়ি উপরে উঠে আসি। মনে হচ্ছে নামার চেয়ে উঠা সহজ। হয়ত আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালা সহজ করে দিয়েছেন। এবার যাবার পালা বাকত্লাই পারা হয়ে সোজা নেমে গেলাম সেখানেই ঘটল বিপত্তি সেনা সদস্যের সামনে। যেখানে ভয় সেখানেই রাত হয়। সেনা সদস্যগন আমাদের নিয়ে গেল বাকত্লাই সেনা ক্যাম্পে সেখানে আমাদের সাথে খুব ভাল আচরণ করা হল, আমাদের কে বলা হল পাহাড়ী এই সুন্দরের ভাজে ভাজে লুকিয়ে আছে বিপদ। JSS, JPD, UPD সহ অনেক ভয়ংকর দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসী বাহিনী লুকুয়ে আছে এই পাহাড়ে বাংলাদেশ সেনা বাহিনী নিরলস ভাব কাজ করে যাচ্ছে তাদের দমনে . . .
পরবর্তিতে আমরা কয়েক জন নামাজ পরতে চাওয়ায় আমাদের উপরে সেনা ক্যাম্পের মসজিদে নিয়ে যাওয়া হল। সেখানে আসরের নামাজ আদাই করি। দূর থেকে দেখা এই ক্যাম্পকে একবার দেখে নিলাম। ক্যাম্প থেকে ঐ দূরের পাহাড় গুল ও দেখলাম যে গুলতে গত ৪ দিন কাটিয়ে আসলাম . . .
এবার যাবার পালা সেনা সদস্যগন আমাদের সিরিয়াল ভাবে বিদাই জানালেন, যে সদস্যটা আমাদের ধরে এনেছিলেন সে নিজে দারিয়ে থেকে যতদূর দেখা যায় ততদুর হাত নাড়িয়ে বিদায় জানালেন। আমার কাছে মনে হচ্ছিল এত মানুষ না হলে আমাদের খাবারের ও ব্যাবস্ত হয়ত করতেন।

গাড়িতে উঠে এবার সবাই প্রাপ্তিতে গলা ছেড়ে গান ধরলেন। গত কয়েকদিন খুব গান শুনতে ইচ্ছে হচ্ছিল এই ইচ্ছেটাও পূর্ন হল। পথি মধ্যে সেনা ক্যাম্পে সন্ধা ৬ঃ০০ টায় দুপুর ও রাতের খাবার খেয়ে নিলাম সাদা ভাত, সবজি, গরু, মুরগী ও ডাল দিয়ে উদর পিন্ডি করলাম। ফেরার পথে নিলগিরির পাহাড় থেকে শহর পর্যন্ত পুর রাস্তাটা মেঘে ঢাকা ছিল কিছু কিছু যায়গাতে ত কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। রাত ৯ঃ৩০ মিনিটে শ্যামলী পরিবহনে ঢাকা রওনা দেই গাড়িতে উঠে কারও কোন শব্দ শোনা যায় নি সবাই ঘুমের ঘরে চলে যায়। যাত্রা পথে হোটেল ব্রেকেও কেউ নামিনি সবাই ঘুমাচ্ছিল। সকাল ৬ঃ৩০ মিনিটে বাস থেকে নেমে এই ৪ দিনের হাড় ভাঙ্গা কস্টের সমাপ্তি ঘটে।

অনেকে আমাকে প্রশ্ন করে এত কস্ট করে এই বয়েসে পাহাড়ে কেন যাই, উত্তর একটাই আমি যে পাহাড়েই আসক্ত।

এই বার আমার মোবাইলের ক্যামারা নস্ট তাই ফটো ক্রেডিট
১. বন্ধু Omar Faruque
২. ফুপাত ভাই Musa Renu

বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা🥰 এই দিবসটি ২৭ সেপ্টেম্বর তারিখে আজ সারা বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে থাকে। জাত...
27/09/2022

বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা🥰 এই দিবসটি ২৭ সেপ্টেম্বর তারিখে আজ সারা বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে থাকে। জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার তত্ত্বাবধানে ১৯৮০ সাল থেকে সকল সদস্য দেশে বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত হয়ে আসছে🌻
#বান্দরবান

Address


Telephone

+8801711471772

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Kazi-The TravelleR posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Kazi-The TravelleR:

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Travel Agency?

Share