BDTour

BDTour দেশের ৬৪ জেলার দর্শনীয় ভ্রমণ স্থান, ট্
(1)

দেশের বাইরে নয়, দেশের মাঝেই আমি আমার দেশকে জানতে চাই। এই জানার জন্য প্রোয়জন ঘোরাঘুরি। আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা ঘোরাঘুরি করতে চান কিন্তু সঙ্গীর অভাবে তা হয়ে উঠেনা। সেই সকল ভ্রমণ পিপাসুদের নিয়ে আমাদের এই পেজ। দেশের ৬৪ জেলার দর্শনীয় ভ্রমণ স্থান - কিভাবে যাবেন, কি দেখবেন, কোথায় থাকবেন, খরচ, ট্যুর প্ল্যান ও টিপস এই সবকিছু পাবেন আমাদের এই পেজ এ। ভ্রমণ নিয়ে যে কোন জিজ্ঞাসা, অভিজ্ঞতা, ছবি/ভিডিও বা যে

কোন তথ্য সবার সাথে শেয়ার করার মাধ্যম হিসাবে আমাদের এই পেজ ব্যবহার করতে পারেন।আমাদের এই পেজটি সবার জন্য উন্মুক্ত।

স্বদেশ প্রেমের ভক্ত আমি
স্বদেশ আমার প্রাণ
স্বদেশ প্রেমই হচ্ছে যেন ইজ্জত সম্মান।

চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মন্দিরস্থান আইডিঃ ১৭সীতাকুণ্ড পাহাড় হিমালয় হতে বিচ্ছিন্ন হিমালয়ের পূর্বাঞ্চলীয় অংশ। এই পাহাড়টি হ...
27/08/2021

চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মন্দির
স্থান আইডিঃ ১৭

সীতাকুণ্ড পাহাড় হিমালয় হতে বিচ্ছিন্ন হিমালয়ের পূর্বাঞ্চলীয় অংশ। এই পাহাড়টি হিমালয়ের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক ঘুরে ভারতের আসাম এবং ত্রিপুরা রাজ্যের মধ্য দিয়ে ফেনী নদী পার হয়ে চট্টগ্রামের সঙ্গে মিশেছে। চট্টগ্রাম অংশে ফেনী নদী থেকে চট্টগ্রাম শহর পর্যন্ত এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৭০ কিলোমিটার। এই পাহাড়ের পাদদেশে নির্মিত হয়েছে সীতাকুণ্ড ইকো পার্ক।
সীতাকুণ্ড শহরের পূর্বে অবস্থিত চন্দ্রনাথ শৃঙ্গ প্রায় ১১৫২ফুট (প্রায়) উঁচু এবং চট্টগ্রাম জেলার সর্বোচ্চ স্থান। রাজবাড়ি টিলার উচ্চতা ৯০০ ফুট এবং সাজিঢালার উচ্চতা ৮০১ ফুট। চট্টগ্রাম শহরের কাছাকাছি এসে এই পাহাড়ের উচ্চতা অনেক কমে এসেছে। চট্টগ্রাম শহরের উপকন্ঠে বাটালি হিলের উচ্চতা ২৮০ ফুট এবং শহর থেকে সামান্য উত্তরে নঙ্গরখানা ২৯৮ ফুট উঁচু।
এখানে রয়েছে সহস্রধারা আর সুপ্তধারা নামের দুটি জলপ্রপাত। মীরসরাই অংশে রয়েছে খৈয়াছড়া, হরিণমারা, হাটুভাঙ্গা, নাপিত্তাছড়া, বাঘবিয়ানী, বোয়ালিয়া, অমরমানিক্যসহ আরো অনেক অনেক ঝর্ণা ও জলপ্রপাত। পূর্বদিকে এই পাহাড় থেকে উৎসারিত হয়ে কয়েকটি ঝর্ণা তথা খাল হালদা নদীতে গিয়ে মিলিত হয়েছে। এর মাঝে গজারিয়া, বারমাসিয়া, ফটিকছড়ি, হারুয়ালছড়ি এবং বোয়ালিয়া অন্যতম। পশ্চিম দিকে মহামায়া, মিঠাছড়া সহ আরো কয়েকটি ছড়া ও ঝর্ণা বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। বর্তমানে মহামায়া ছড়ার উপর একটি রাবার ড্যাম নির্মিত হয়েছে। এই লেক দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃত্রিম লেক, তাছাড়া নীলাম্বর হ্রদ নামে একটি মনোরম লেক এই পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত।
সীতাকুন্ডের নিকটে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের উপরে অবস্থিত চন্দ্রনাথ মন্দির অন্যতম বিখ্যাত শক্তিপীঠ। সীতাকুণ্ড অপরূপ প্রাকৃতিক সৌর্ন্দয্যের লীলাভূমি । এ এলাকাকে হিন্দুদের বড় তীর্থস্থান বলাই ভালো । এখানের সর্বোচ্চ পাহাড় চুড়ায় অবস্থিত চন্দ্রনাথ মন্দির । আর অন্যান্য আরো রয়েছে বড়বাজার পূজা মন্ডপ, ক্রমধেশ্বরী কালী মন্দির, ভোলানন্দ গিরি সেবাশ্রম, কাছারী বাড়ী, শনি ঠাকুর বাড়ী, প্রেমতলা, শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী সেবাশ্রম, শ্রী রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম, গিরিশ ধর্মশালা, দোল চত্বর, ননী গোপাল সাহা তীর্থযাত্রী নিবাস, তীর্থ গুরু মোহন্ত আস্তানা, বিবেকানন্দ স্মৃতি পঞ্চবটি, জগন্নাথ আশ্রম, শ্রীকৃষ্ণ মন্দির, মহাশ্মশানভবানী মন্দির, স্বয়ম্ভুনাথ মন্দির,গয়াক্ষেত্র, জগন্নাথ মন্দির, বিরুপাক্ষ মন্দির, পাতালপুরী, অন্নপূর্ণা মন্দির ইত্যাদি এখানে হিন্দু পবিত্র গ্রন্থসমূহ অনুসারে সতী দেবীর দক্ষিণ হস্তার্ধ পতিত হয়েছিল। সীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথ মন্দির তীর্থযাত্রীদের জন্য এক পবিত্র স্থান। এর পুরনো নাম ছিলো "সীতার কুন্ড মন্দির"।

কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে বাসে সীতাকুন্ড
ঢাকার সায়েদাবাদ, ফকিরাপুল, মহাখালি যে কোন বাস স্ট্যান্ড থেকে চট্রগ্রাম গামী যে কোন বাসে করেই যেতে পারবেন সীতাকুন্ড। এস আলম, শ্যামলি, সৌদিয়া, ইউনিক, হানিফ, ঈগল, এনা প্রভৃতি পরিবহনের নন এসি বাস ভাড়া ৪২০- ৪৮০ টাকা। এসি বাসের মধ্যে গ্রিনলাইন, সৌদিয়া, সোহাগ, টি আর এইসব বাস ভাড়া ৮০০-১১০০ টাকা। অবশ্যই নাইট কোচে রওনা দিয়ে সকালে গিয়ে সীতাকুণ্ড বাজারে নামবেন।

ঢাকা থেকে ট্রেনে সীতাকুন্ড
ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম গামী যে কোন আন্তঃনগর ট্রেনে এসে ফেনী স্টেশনে নামতে হবে। শ্রেনীভেদে ট্রেন ভাড়া জন প্রতি ২৬৫-৮০০ টাকা। ফেনী স্টেশন থেকে ১০-১৫ টাকা রিক্সা/অটো দিয়ে ফেনী মহিপাল বাস স্ট্যান্ড যেতে হবে। সেখান থেকে লোকাল বাসে ৫০-৮০ টাকা ভাড়ায় সীতাকুন্ড যেতে পারবেন। তবে রাতে রওনা দিয়ে সকালে গিয়ে নামলে ভালো হবে।

চট্রগ্রাম থেকে সীতাকুণ্ড
চট্টগ্রাম শহর থেকে যেতে চাইলে প্রথমে এ কে খান মোড়ে আসতে হবে। সেখান থেকে ঢাকাগামী অথবা সীতাকুণ্ডগামী বাসে করে সীতাকুণ্ড বাজারে নামতে হবে। যাবার পথে পাবেন এরকম ছোট ছোট অনেক মন্দির।হাইওয়ের পাশের সিঁড়িপথ দিয়ে নিচে নেমে সিএনজি নিয়ে চলে যেতে হবে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের গোড়ায়। সেখানে নেমে একটু হাঁটলে চোখে পড়বে “শ্রী শ্রী চন্দ্রনাথ” লেখা বেশ পুরনো একটি গেট। সেখান থেকে মিনিট দশেক হেঁটে পৌঁছে যাবেন চন্দ্রনাথ মন্দিরে যাবার মূল সিঁড়িপথে।এখানে বলে রাখি, সিএনজি থেকে নেমে সিঁড়িপথ পর্যন্ত যাবার পথে পাবেন অনেক পুরনো মন্দির। যেগুলোয় একবার করে হলেও ঢুঁ মেরে যাবেন। রাস্তা থেকে বাঁশের লাঠি নিতে ভুলবেন না যেন। যাওয়ার সময় আবার ফেরত দিয়ে যেতে হবে।

কি খাবেন
সীতাকুণ্ডে সাধারণ মানের হোটেলের মধ্যে সৌদিয়া রেস্টুরেন্ট, আপন রেস্টুরেন্ট এবং আল আমিন উল্লেখ্যযোগ্য। তবে ভাল খাবার পরিবেশনায় এখানে আল আমিনের বেশ সুনাম রয়েছে। ব্যাগে যথেষ্ট পরিমাণে পানি ও স্যালাইন রাখুন।কারণ মন্দিরে পানি পাওয়া কঠিন। আর পাওয়া গেলেও দাম প্রায় দ্বিগুণ। পথে খাওয়ার জন্য কলা রুটি সাথে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন কোনোমতেই কলার খোসা যেন সিঁড়িপথে না ফেলা হয়। কারণ আপনার একটি ভুলে অন্য কারো জীবনও হুমকির মুখে পড়ে যেতে পারে।

কোথায় থাকবেন
সীতাকুণ্ডে থাকার জন্য হোটেল সৌদিয়া, সাইমুন আবাসিক সহ সীতাকুণ্ড বাজারে কয়েকটি মাঝারি মানের আবাসিক হোটেল আছে। হোটেল সৌদিয়ায় বুকিং দিতে ফোন করতে পারেন। এছাড়া এখানে টেলি-কমিউনিকেশনের অধীনস্থ একটি ডাকবাংলো আছে। অনুমতি নিয়ে সেখানে থাকার চেষ্টা করতে পারেন। ভালো কোথাও থাকতে চাইলে চট্টগ্রাম অলংকার মোড়ে মোটামুটি মানের ৬০০-১৫০০ টাকায় হোটেলে রাত্রি যাপন করতে পারবেন। এছাড়া স্টেশন রোড, নিউমার্কেট, জিইসি মোড়ের আশেপাশে বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেলে রাত্রি যাপন করতে পারবেন। সীতাকুণ্ড বাজারে কিচু ভালোমানের আবাসিক হোটেল রয়েছে।

চন্দ্রনাথ পাহাড় ভ্রমণে যা দেখবেন
চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চূড়ায় উঠলেই আপনি মন্দিরের দেখা পাবেন। তবে এর জন্য আপনাকে পাড়ি দিতে হবে প্রায় ২২০০ এরও বেশি সিঁড়ি। কোনো কোনো স্থানের সিঁড়িগুলো এতোটাই পিচ্ছিল ও সংকীর্ণ যে ওঠা বিপজ্জনক হতে পারে।
১৫ মিনিট ওঠার পর একটি ছোট ঝর্ণা দেখতে পাবেন। যার দুই পাশে দুটি পথ যা উঠে গেছে একদম পাহাড়ের চূড়োয়। বাম পাশের পথ দিয়ে ওঠা সহজ। ডান পাশের পথ দিয়ে নামা সহজ। তাই বাম পাশের পথ ধরে উপরে উঠাই উওম।
এই রাস্তাটা সম্পূর্ণ পাহাড়ি পথ এবং এতে কিছু ভাঙা সিঁড়ি আছে। আর ডান পাশের পথটার প্রায় পুরোটাই সিঁড়িপথ যেটা দিয়ে ওঠা বেশ কঠিন। অনেকে এই পথ দিয়ে উপরে উঠতে গিয়ে অর্ধেক পথে ফিরে আসে।
তবে এত কঠিন পথ পাড়ি দিতে হলেও আশেপাশের সবুজে ঘেরা অকৃত্রিম মনোমুগ্ধকর দৃশ্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। পাহাড়ে ওঠার ফাঁকে ফাঁকে ছবি তুলে প্রকৃতির সঙ্গে নিজেকে ফ্রেমবন্দী করে রাখতে পারেন।
মাঝে মাঝে থেমে বিশ্রাম নিতে পারবেন চায়ের দোকানগুলোতে।গরম চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে পাহাড়ি সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। সেইসঙ্গে কোলাহলহীন পাহাড়ের কোলে বসে পাখির ডাক, বাতাসে গাছের পাতার শব্দ সব শুনতে পাবেন।
প্রায় দেড় ঘণ্টা আরোহণের পর চন্দ্রনাথ মন্দির পৌঁছানোর আগে বিরুপাক্ষ নামের আরেকটি মন্দির পড়বে। চাইলে সেখানে কিছু সময় বিশ্রাম নিয়ে নিতে পারেন৷ এখান থেকে সীতাকুণ্ড শহরের ও সমুদ্রের এক অদ্ভুত দৃশ্য আপনি দেখতে পাবেন।
তবে সব কষ্ট মুহূর্তেই ভুলে যাবেন চন্দ্রনাথ মন্দিরের উপরে উঠে আশেপাশের দৃশ্য দেখার পর। চারপাশ শুধু সবুজ আর সবুজ। যেন কোনো শিল্পী তার নিপুণ হাতে রংতুলিতে আঁকা। সীতাকুণ্ডের প্রায় পুরোটাই দেখতে পাবেন এখান থেকে। দূরে সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে এক ঐশ্বরিক অনুভূতিতে আপনার মন প্রাণ জুড়িয়ে যাবে মুহূর্তেই। মন্দিরটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান। মন্দিরের ভেতরে শিব লিঙ্গ রাখা আছে। এর আশেপাশে অনেক সাধু-সন্নাসীরা বসে ধ্যান করেন। কেউ কেউ পূজো করে থাকেন। তাই এখানে হইহুল্লোড় না করে নিরবতা বজায় রেখে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন। কারণ পরের পথটা আরও বেশি ভয়ানক, আরও বেশি রোমাঞ্চকর।

সীতাকুন্ডের নিকটতম কিছু ঐতিহ্যবাহী, দর্শনীয়
এবং ধর্মীয় স্থান

>বারৈয়াঢালা আশ্রম
>বাড়বকুণ্ড
>ব্যাসকুণ্ড
>অক্ষয়বট
>জগন্নাথ মন্দির
>কুমারীকুণ্ড
>লবণাক্ষ তীর্থ
>সহস্রধারা
>শংকর মঠ
>বারৈয়াঢালা আশ্রম
>রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম
>ভোলানন্দ গিরি আশ্রম
>কেন্দ্রীয় মহাশ্মশান
>কর্কর নদী
>দর্শনীয় স্থানসম্পাদনা
>উপকূলীয় বনাঞ্চল
>গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত
>বার আউলিয়া দরগাহ শরীফ (সোনাইছড়ি)
>বিস্তীর্ণ সমুদ্র সৈকত
>বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকো-পার্ক, সীতাকুণ্ড
>সুপ্তধারা ঝর্ণা
>হাম্মাদিয়ার মসজিদ
>খৈয়াছরা ঝর্ণা
>নাপিওাছরা ঝর্ণা

প্রয়োজনীয় তথ্য
>চন্দ্রনাথ পাহাড়ের উচ্চতা খুব বেশি না হলেও এর চূড়ায় ওঠার পথটি বেশ সরু এবং দুর্গম। কেউ তাড়াহুড়া করে পাহাড়ে ওঠার চেষ্টা করবেন না। তাতে যেকোনো বড় দুর্ঘটনা হতে পারে।
>পাহাড়ে উঠতে, নামতে নির্দিষ্ট পথ অনুসরণ করুন। উল্টো পথে কখনো উঠতে কিংবা নামতে চেষ্টা করবেন না।
>কোনো ধরনের পচলশীল ও অপচনশীল ময়লা আবর্জনা যেখানে সেখানে ফেলবেন না। ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান না পেলে ব্যাগে সংরক্ষণ করুন।
>পাহাড়ের উপর মন্দিরের পবিত্রতা রক্ষা করবেন >যতটা সম্ভব হালকা জামাকাপড় পরিধান করুন

ব্যস্ততম জীবনের ক্লান্তি দূর করতে প্রায় সারাবছরই ভ্রমণ পিপাসুরা ঘুরতে যায় চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মন্দির। আপনিও চাইলে সামনের কোনো ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মন্দির থেকে, কাটিয়ে আসতে পারেন জীবনের সেরা কিছু সময়। আবার চাইলে বিডিট্যুর এর সাথেও ঘুরে আসতে পারেন ।

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত স্থান আইডিঃ ১৬পতেঙ্গা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম শহরের একটি সমুদ্র সৈকত যা কর্ণফুলী নদীর মোহনায় অবস্থিত ব...
04/06/2021

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত
স্থান আইডিঃ ১৬

পতেঙ্গা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম শহরের একটি সমুদ্র সৈকত যা কর্ণফুলী নদীর মোহনায় অবস্থিত বন্দর নগরী চট্টগ্রাম থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। এটি চট্টগ্রাম শহরের একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। ভারতের মিজোরামের লুসাই পাহাড় থেকে উৎপন্ন হওয়া কর্ণফুলী নদী, রাঙামাটি এবং চট্টগ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সৈকতের কাছে বঙ্গোপসাগরের সাথে মিলিত হয়েছে। নগরবাসী তাদের একঘেয়ে জীবনে থেকে মুক্তি নিয়ে এখানে বঙ্গোপসাগরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে এ সৈকতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। বর্তমানে সমুদ্র সৈকতজুড়ে ভাঙ্গন ঠেকাতে কংক্রিটের দেয়াল এবং বড় বড় পাথরের খণ্ড রাখা হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড প্রকল্পের আওতায় পতেঙ্গা সৈকতে ওয়াকওয়ে, সুন্দর ও সুপরিসর আসন, খেলার মাঠ, সাগরে সাঁতারের পর গোসলের ব্যবস্থা, আধুনিক ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের ব্যবস্থা, কার পার্কিং এবং জাহাজে নিরাপদে ওঠানামার জন্য জেটি নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

পতেঙ্গা সৈকতে কী করবেনঃ
শীতকালে বেশিরভাগ মানুষ এখানে ভ্রমণের জন্য আসে। সপ্তাহের প্রতিদিন বিকেল বেলায় ও ছুটির দিনে পতেঙ্গা সৈকতে প্রচুর লোকের সমাগম হয়। সূর্যোদয় দেখার জন্য ভোরে ঘুম থেকে উঠেই সৈকতে চলে আসতে হবে। বিকেলের দিকে মন চাইলে পানিতে নেমে আনন্দের মাত্রা আরও বাড়ানো যায়। তবে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের প্রস্থ খুব বেশি নয় এবং এখানে সমুদ্রে সাঁতার কাটা ঝুঁকিপূর্ণ। স্পীড-বোটে চড়ে সমুদ্রে ভেসে বেড়ানোর সুযোগ রয়েছে। এছাড়া সমুদ্র তীরে ঘুরে বেড়ানোর জন্য সী-বাইক এবং ঘোড়া পাওয়া যায়। এজন্য অবশ্য ঘণ্টাপ্রতি নির্দিষ্ট হারে ভাড়া গুনতে হয়। সমুদ্রে জাহাজের চলাচল কিংবা মাথার উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া বিমানও দেখা যাবে। সাধারণত বিকেল গড়াতে থাকলে জোয়ার আসতে শুরু করে। জোয়ার শুরুর আগে বাঁধ অনেকটা তলিয়ে যায়। তীরে এসে পড়ে ঢেউ। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে সন্ধ্যার দিকে সূর্যাস্তের দৃশ্য খুবই মনোরম। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করায় পর্যটকেরা নিশ্চিন্তে সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকতে পারেন।সমুদ্র সৈকতের সাথেই ঝাউবনের ছায়াতলে গড়ে উঠেছে খাবারের দোকানসহ অনেক দোকান-পাট। ঝাউবন ঘেঁষে উত্তর দিক বরাবর হেঁটে গেলে বঙ্গোপসাগর ও কর্ণফুলি নদীর মোহনার দেখা পাওয়া যায়। খুব কম খরচে সুস্বাদু, জিভে জল আনা স্ট্রিট ফুডের জন্য পতেঙ্গা সবচেয়ে ভাল জায়গা। খাবারের দোকানের জনপ্রিয় খাবারের মধ্যে একটি হল মসলা দিয়ে ভাজা কাঁকড়া যা শসা ও পেঁয়াজ দিয়ে সাজানো এক প্লেট ছোলার সাথে পরিবেশিত হয়। সৈকতে একটি বার্মিজ মার্কেটও গড়ে উঠেছে। সেখানেও ঘুরে ফিরে পছন্দের কেনাকাটা সেরে নেয়া যায়।শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর ঘাটি বিএনএস ঈসা খান এবং চট্টগ্রাম বন্দরের অনেক জেটি পতেঙ্গার সন্নিকটে অবস্থিত। পতেঙ্গাতে বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিও অবস্থিত। শাহ আমানত বিমানবন্দরগামী রাস্তার মুখে একটি প্রজাপতি পার্ক রয়েছে। পার্কটিতে ৭০ প্রজাতির প্রায় ১০০০ এর বেশি প্রজাপতি রয়েছে। প্রজাপতি দেখতে চাইলে সকাল সকাল যাওয়াই ভাল হবে। কেননা বিকেলের পর থেকে এরা ঝোপের আড়ালে চলে যাবে। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসলে একইসাথে এসব স্পট ঘুরে দেখা সম্ভব।

পতেঙ্গা কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকা থেকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত যেতে হলে আগে আপনাকে চট্টগ্রাম যেতে হবে। কমলাপুর টার্মিনাল থেকে বিআরটিসি করে আর সায়দাবাদ বাস ষ্টেশন থেকে সৌদিয়া, গ্রীনলাইন, সিল্ক লাইন, সোহাগ, বাগদাদ এক্সপ্রেস, ইউনিক প্রভৃতি বাস করে আপনি চট্টগ্রাম যেতে পারেন। গ্রিনলাইন, সোহাগ, সৌদিয়া , টি আর, হানিফ ইত্যাদি পরিবহনের এসি বাস চট্টগ্রাম যায়। আর এস আলম, সৌদিয়া, ইউনিক, শ্যামলী, হানিফ, ঈগল প্রভৃতি পরিবহনের সাধারণ বাসে করে ও যাওয়া যায়।
সিলেট থেকে সড়ক ও রেলপথে চট্টগ্রাম আসা যায়। সড়কপথে গ্রিনলাইন পরিবহনের এসি, নন এসি বাস যায় চট্টগ্রাম। এছাড়া সিলেট রেলওয়ে স্টেশন থেকে সপ্তাহের শনিবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে আন্তনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস, সপ্তাহের রবিবার ছাড়া প্রতিদিন রাত ৯টা ২০ মিনিটে আন্তনগর উদয়ন এক্সপ্রেস এবং সপ্তাহের প্রতিদিন রাত ১০টা ৩০ মিনিটে মেইল ট্রেন জালালাবাদ এক্সপ্রেস ছেড়ে যায় চট্টগ্রামের উদ্দেশে।
ট্রেনে বা রেলপথে চট্টগ্রামঃ
ট্রেনে ঢাকা-চট্টগ্রামের রুটে মহানগর প্রভাতী ঢাকা ছাড়ে সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে, চট্টলা এক্সপ্রেস সকাল ৯টা ২০ মিনিটে, মহানগর গোধূলি ঢাকা ছাড়ে বিকেল ৩টায়, সুবর্ণ এক্সপ্রেস ঢাকা ছাড়ে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে, তূর্ণা ঢাকা ছাড়ে রাত ১১টায়।

চট্টগ্রাম থেকে পতেঙ্গাঃ
চট্টগ্রাম থেকে ১৪ কিলোমিটার দক্ষিনে। চট্টগ্রাম শহর থেকে অটো রিক্সায় করে যেতে সময় লাগে ঘণ্টা খানিক । আর বাসে যেতে চাইলে তো কথাই নাই , বহদ্দার হাট, লালখান বাজার মোড়, জিইসি মোড় , নিউ মার্কেট , চক বাজার মোড় থেকে সরাসরি বাস পাবেন। বাসের গায়ে লেখা দেখবেন ” সী বীচ” লেখা আছে।

কোথায় থাকবেনঃ
সৈকতের কাছেই থাকার জন্য মনোরম জায়গা বাটারফ্লাই পার্ক রেস্ট হাউস। চট্টগ্রামের কোনো হোটেল থেকেও আসা যায়। এছাড়া চট্টগ্রামে নানান মানের হোটেল আছে। এগুলোই সবই মান সম্পন্ন কিন্তু কম বাজেটের হোটেল।
১. হোটেল প‌্যারামাউন্ট, স্টেশন রোড, চট্টগ্রাম : নুতন ট্রেন স্টেশনের ঠিক বিপরীতে । আমাদের মতে বাজেটে সেরা হোটেল এটি। সুন্দর লোকেশন, প্রশস্ত করিডোর (এত বড় কড়িডোর ফাইভ স্টার হোটেলেও থাকেনা)। রুমগুলোও ভালো।
২. হোটেল এশিয়ান এসআর, স্টেশন রোড, চট্টগ্রাম : এটাও অনেক সুন্দর হোটেল। ছিমছাম, পরিছন্ন্ হোটেল।
৩. হোটেল সাফিনা, এনায়েত বাজার, চট্টড়্রাম : একটি পারিবারিক পরিবেশের মাঝারি মানের হোটেল। ছাদের ওপর একটি সুন্দর রেস্টুরেন্ট আছে। রাতের বেলা সেখানে বসলে আসতে ইচ্ছে করবেনা।
৪. হোটেল নাবা ইন, রোড ৫, প্লট-৬০, ও,আর নিজাম রোড, চট্টগ্রাম। একটু বেশী ভাড়ার হোটেল। তবে যারা নাসিরাবাদ/ও আর নিজাম রোড এলাকায় থাকতে চান তাদের জন্য আদর্শ। ভ
৫. হোটেল ল্যান্ডমার্ক, ৩০৭২ শেখ মুজিব রোড, আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম : আগ্রাবাদে থাকার জন্য ভালো হোটেল।

সতর্কতা
সৈকতে ঘুরতে গিয়ে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি এড়াতে দল বেধে যাওয়াই ভালো। কোনো বিপদ কিংবা অভিযোগ থাকলে সৈকতের ভ্রাম্যমাণ পুলিশ ফাঁড়িতে জানাতে পারেন।
তবে অধিক লোকের সমাগম আছে ওই দিকটায় থাকাই শ্রেয়। সৈকতে বেড়াতে গেলে নিজস্ব ক্যামেরা নিয়ে যেতে পারেন। কেননা একাকী ভ্রমণে গেলে সৈকতে থাকা ভ্রাম্যমাণ ফটোওয়ালাদের কাছে ছবি তুলতে না যাওয়াই ভালো। স্পিডবোড, নৌকা, ঘোড়া যেখানেই চড়ুন! আগে দেখে শুনে ভাড়া শুনে নিলে ভালো হয়।

ব্যস্ততম জীবনের ক্লান্তি দূর করতে প্রায় সারাবছরই ভ্রমণ পিপাসুরা ঘুরতে যায় পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকেতে। আপনিও চাইলে সামনের কোনো ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন, কাটিয়ে আসতে পারেন জীবনের সেরা কিছু সময়। আবার চাইলে বিডিট্যুর এর সাথেও ঘুরে আসতে পারেন।

নিঝুম দ্বীপস্থান আইডিঃ ১৫নিঝুম দ্বীপ বাংলাদেশের একটি ছোট্ট দ্বীপ। এটি নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার অন্তর্গত। প্রায় ১...
25/05/2021

নিঝুম দ্বীপ
স্থান আইডিঃ ১৫

নিঝুম দ্বীপ বাংলাদেশের একটি ছোট্ট দ্বীপ। এটি নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার অন্তর্গত। প্রায় ১৪,০৫০ একরের দ্বীপটি ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে জেগে ওঠে।নিঝুম দ্বীপের পূর্ব নাম ছিলো চর-ওসমান, আবার কেউ কেউ একে ইছামতীর চরও বলত। এ চরে প্রচুর ইছা মাছ (চিংড়ীর স্হানীয় নাম) পাওয়া যেত বলে একে ইছামতির চরও বলা হত।এই দ্বীপের মাটি চিকচিকে বালুকাময়, তাই জেলেরা নিজ থেকে নামকরণ করে বালুর চর। এই দ্বীপটিতে মাঝে মাঝে বালুর ঢিবি বা টিলার মতো ছিল বিধায় স্থানীয় লোকজন এই দ্বীপকে বাইল্যার ডেইল বা বাল্লারচর বলেও ডাকত। বর্তমানে নিঝুমদ্বীপ নাম হলেও স্থানীয় লোকেরা এখনো এই দ্বীপকে এসব নামে সম্বোধন করে থাকে।
প্রায় ৯১ বর্গ কিমি আয়তনের নিঝুম দ্বীপে ৯টি গুচ্ছ গ্রাম রয়েছে। এই গুচ্ছ গ্রাম ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ছোটখাটো ঝুপড়ি ঘর।নিঝুম দ্বীপে হরিণ এবং মহিষ ছাড়া অন্য কোনো হিংস্র প্রাণী নেই। হরিণের সংখ্যা প্রায় ২২,০০০। নিঝুম দ্বীপে রয়েছে প্রায় ৩৫ প্রজাতির পাখি। এছাড়াও শীতের মৌসুমে অজস্র প্রজাতির অতিথির পাখির অভয়ারণ্যে পরিণত হয় নিঝুম দ্বীপ। এখানে রয়েছে মারসৃপারি নামে একধরনের মাছ যাদেরকে উভচর প্রাণী বলা হয়। । বর্ষা মৌসুমে ইলিশের জন্য নিঝুম দ্বীপ বিখ্যাত। এছাড়া শীত কিংবা শীতের পরবর্তী মৌসুমে নিঝুম দ্বীপ চেঁউয়া মাছের জন্য বিখ্যাত। জেলেরা এই মাছ ধরে শুঁটকি তৈরি করেন। এই শুঁটকি মাছ ঢাকা, চট্টগ্রাম, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারদের কাছে বিক্রি হয়। নিঝুম দ্বীপে রয়েছে কেওড়া গাছ। ইদানীং বনবিভাগ কিছু নোনা ঝাউও রোপণ করছে। এছাড়াও রয়েছে প্রায় ৪৩ প্রজাতির লতাগুল্ম এবং ২১ প্রজাতির অন্যান্য গাছ।নিঝুম দ্বীপের এক দিকে মেঘনা নদী আর তিন দিকে বঙ্গোপসাগর ঘিরে রেখেছে। নিঝুমদ্বীপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো মাইলের পর মাইল জুড়ে কেওড়া বন আর সেই বনের পাতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা চিত্রা হরিণ।

নিঝুম দ্বীপ এর দর্শনীয় স্থানসমূহ

চৌধুরী খাল ও কবিরাজের চর
এখানে যেতে হবে বিকেল এ সন্ধ্যার আগে, চৌধুরীর খাল নেমে ঘন্টা খানেক হাঁটলেই বনের মধ্যে হরিন এর পালের দেখা পেতে পারেন। একটা ট্রলার রিজার্ভ নিন ১০-১৫ জনের গ্রুপ এর জন্য ১০০০-১২০০ টাকা ওরাই হরিন দেখিয়ে আনবে, সন্ধ্যার সময় কবিরাজের চর এ নেমে সূর্যাস্ত ও হাজার হাজার মহিষের পাল দেখতে ভুলবেন না।

কমলার দ্বীপ
সেখানের কমলার খালে অনেক ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। এছাড়াও আশেপাশের দ্বীপগুলো সুন্দর।

ম্যানগ্রোভ বন
এটি নিঝুম দ্বীপ বনায়ন প্রকল্প। নিঝুম দ্বীপ এ ছোট ছোট ছেলেরা গাইড এর কাজ করে, এদের সাথে নিয়ে সকাল বেলায় বনের ভেতর ঢুকে পড়ুন। হরিন দেখতে পাবেন।

নামা বাজার সি বীচ
নামার বাজার থেকে হেঁটে যেতে ১০ মিনিট লাগে। এখান থেকে সূর্য উদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে পাবেন, এখানে বারবিকিউ করে মজা পাবেন।

দমার চর ও ভার্জিন / কুমারী সি বীচ
দমার চরের দক্ষিন দিকে নতুন একটা সী বিচ আছে যাকে বলে ভার্জিন আইল্যান্ড। এখানে অনেক নাম না জানা পাখির দেখা পাবেন খুব সকালে যদি যান। অনেক টুরিস্টদের কাছে এখনও অজানা এই জায়গাটা। ট্রলার ভাড়া ৩০০০-৩৫০০ টাকা।

চোয়াখালি ও চোয়াখালি সী বিচ
চোয়াখালিতে গেলে খুব সকালে হরিন দেখা যায়। মটর সাইকেল ওয়ালাকে বলে রাখুন খুব সকালে আপনাকে হোটেল থেকে নিয়ে হরিন দেখিয়ে আনবে। ভাগ্য ভালো থাকলে সকাল ৫ টায় ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করতে করতে নিঝুম রিসোর্ট এর বারান্দা থেকেও হরিন দেখতে পারবেন ২/৪ পিস।

নিঝুম দ্বীপ যাওয়ার উপযুক্ত সময়
অক্টোবর থেকে এপ্রিল ১৫ তারিখ এখনকার আবহাওয়া অনুযায়ী নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণের জন্য ভালো। অন্য সময় বর্ষা থাকে ও ঝড়ের কারনে মেঘনা নদী ও সাগর উত্তাল থাকে।

বর্ষাকালে গেলে পুরা হাটু সমান কাদা থাকবে ও পুরা দ্বীপের এমাথা ও মাথা আপনাকে হেঁটে পার হতে হবে, কাঁদার কারণে রাস্তায় কিছু চলতে পারেনা। তবে মাছ খেতে পারবেন প্রচুর। শীত কালে গেলে রাস্তাঘাট সব ভালো পাওয়া যাবে, খালের মধ্যে পানি কম থাকবে, ফলে বনের মধ্যে যেকোনো জায়গায় যাওয়া যাবে, বিকেলে হরিণের পাল দেখা যাবে, সমুদ্র সৈকত শুকনো থাকবে। শরতকাল আর বসন্তকাল সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।

কিভাবে যাবেন
নিঝুমদীপে ২ ভাবে যাওয়া যায়। লঞ্চে করে এবং রেল বা বাসে নোয়াখালী হয়ে।

রেল বা বাসে করে
যেকোন পরিবহনের বাসে যেতে হবে নোয়াখালীর সোনাপুরে। প্রতিদিন সকাল দুপুর ও সন্ধ্যায় ঢাকার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে নোয়াখালীর সোনাপুর এর দিকে বাস ছেড়ে যায়। অথবা রেলে করে নোয়াখালীর মাইজদি পর্যন্ত যাওয়া যাবে। ঢাকা কমলাপুর থেকে মঙ্গলবার বাদে, প্রতিদিন বিকালে উপকূল এক্সপ্রেস নোয়াখালী এর দিকে ছেড়ে যায়,এবং মাইজদি পৌঁছে রাতে।
নোয়াখালীর সোনাপুর/মাইজদি থেকে স্থানীয় বাস বা সিএনজিতে করে নামতে হবে বয়ার চর - চেয়ারম্যান ঘাটে।
চেয়ারম্যান ঘাট থেকে সি-ট্রাক, ট্রলার ও স্পীড বোট ছাড়ে হাতিয়ার উদ্দেশ্যে। সি-ট্রাক ছাড়ে প্রতিদিন সকাল ৮ টায়। যাত্রীদেরকে নামাবে হাতিয়ার নলচিরা ঘাটে, নলচিরা থেকে বেবিটেক্সিতে করে যেতে হবে মোক্তারিয়া ঘাটে, সরাসরি নলচিরা ঘাট থেকে মোটর সাইকেল রিজার্ভ করে মোক্তারিয়া ঘাট এ যাওয়া যায়।সেখান থেকে ট্রলারে ১৫ মিনিট লাগবে নিঝুম দ্বীপের বন্দরটিলা ঘাটে যেতে।এরপর আপনি যদি নামার বাজার থাকেন তবে ভ্যান/রিক্সা/মোটর সাইকেল এ যেতে হবে। বন্দর টিলায় ও থাকতে পারেন। নলচিরা থেকে নোয়াখালী চেয়ারম্যান ঘাট যাওয়ার ফিরতি সী ট্রাক ছাড়ে সকাল ১১ টায়।

জল পথে
লঞ্চে করে ঢাকার সদরঘাট থেকে যেতে হবে। ঢাকা থেকে হাতিয়ায় যাওয়ার জন্য প্রতিদিন ২ টা লঞ্চ বরাদ্দ রয়েছে - মোট ৪ টা লঞ্চ ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে প্রতিদিন ২টি করে ছেড়ে যায়, । লঞ্চ গুলোর নাম এম.ভি ফারহান - ৩ ও ৪ এবং এম. ভি. তাসরিফ - ১ ও ২। এম. ভি. তাসরিফ লঞ্চগুলো সেপ্টেম্বর ২০১৭ থেকে এই পথে চলাচল করছে। এদের মধ্যে প্রতিদিন ২টা করে লঞ্চ হাতিয়ার উদ্দেশ্যে সদরঘাট থেকে বিকেলে ছেড়ে যায়। সেটি হাতিয়ার তমুরদ্দী ঘাটে পৌঁছবে পরদিন সকালে। আপনাকে নামতে হবে হাতিয়ার তমুরদ্দী ঘাটে।

কোন কারনে হাতিয়ার লঞ্চে উঠতে না পারলে বিকালে সম্পূর্ণ নতুন ভাবে চালু করা এম ভি টিপু-৫ অথবা এম ভি পানামা লঞ্চে করে তজুমুদ্দিন অথবা মনপুরা নেমে গিয়ে হাতিয়ার লঞ্চ ধরা যাবে অথবা মনপুরা থেকে ট্রলারে করে হাতিয়া যাওয়া যাবে। এই লঞ্চ দুটো রুটে চলে।

ঢাকা - চাঁদপুর - কালিগঞ্জ (মেহেন্দীগঞ্জ) - বিশ্বরোড (ভোলা) - দৌলত খাঁ (ভোলা) - মির্জাকালু - শরাশগঞ্জ - ভোলা তজুমুদ্দিন - মনপুরা (রামনেওয়াজ লঞ্চ ঘাট) ও মনপুরা হাজির হাট লঞ্চ ঘাট।

বিশেষ কারনে যদি এই দুটো অর্থাৎ টিপু -৫ বা পানামা লঞ্চ। এছাড়া বিকালে এম ভি ফারহান-৬ অথবা ফারহান-৭ লঞ্চ এ করে তজুমুদ্দিন গিয়ে হাতিয়ার লঞ্চ ধরতে পারবেন অথবা তজুমুদ্দিন থেকে ট্রলার এ হাতিয়া যেতে পারবেন।
এম ভি ফারহান - ৬ অথবা ফারহান - ৭ লঞ্চ দুটো এই রুটে চলে: ঢাকা-ফতুল্লা-কালিগঞ্জ(মেহেন্দীগঞ্জ)-বিশ্বরোড (ভোলা)-দৌলত খাঁ (ভোলা)-মির্জাকালু-শরাশগঞ্জ-ভোলা তজুমুদ্দিন-শরশী সী-ট্রাক ঘাট-মঙ্গল শিকদার- বেতুয়া (চরফ্যাশন)।

আপনাকে নামতে হবে তজুমুদ্দিন লঞ্চ ঘাটে।
তমুরদ্দী ঘাট থেকে বেবি টেক্সিতে সরাসরি মোক্তারিয়া ঘাট এ যাওয়া যায় অথবা সরাসরি মোটর সাইকেল রিজার্ভ করে মোক্তারিয়া ঘাট এ যাওয়া যায় । সেখান থেকে ট্রলারে ১০ মিনিট লাগবে নিঝুম দ্বীপের বন্দরটিলা ঘাটে ভাড়া জনপ্রতি - ১০ টাকা। এরপর আপনি যদি নামার বাজার থাকেন তবে ভ্যান/রিক্সা/মোটর সাইকেল এ যেতে হবে। বন্দর টিলায় ও থাকতে পারেন। প্রতিদিন সকালে তমুরদ্দি থেকে মাছ ধরার ট্রলার সরাসরি নিঝুম দ্বীপের নামার বাজার যায়। অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় হলে যেতে পারেন মেঘনা নদীর বুক চিরে ট্রলারে। এছাড়া আপনি ট্রলার রিজার্ভ করতে পারেন।

কোথায় থাকবেন
নিঝুম দ্বীপে বেশকয়েকটি হোটেল আছে।
নিঝুম রিসোর্ট (নামার বাজার) এটা অবকাশ পর্যটন লিমিটেডের একটা রিসোর্ট। নামার বাজার সমুদ্র সৈকতের কাছে অবস্থিত। নিঝুম রিসোর্ট নামে নিঝুম দ্বীপে থাকার জন্য একটি ভালো মানের রিসোর্ট। এছাড়া ও আছে আলহাজ সামসুদ্দিন ম্যানসন, হোটেল শাহিন, হোটেল সোহেল, মসজিদ বোর্ডিং, (এটা সবচেয়ে সস্তায় থাকার ব্যবস্থা)। নিঝুম ড্রিম ল্যান্ড রিসোর্ট,
হোটেল দ্বীপ সম্পদ, হোটেল শেরাটন,
জেলা প্রশাসন ডাক বাংলো।
এখানকার স্থানীয় বাজারে খুব সস্তায় অল্প দামে চার পাঁচটি আবাসিক বোডিং আছে। তাছাড়া বন বিভাগের একটি চমৎকার বাংলো আছে। পাশেই আছে জেলা প্রশাসকের ডাক বাংলো। এগুলোতে আগে ভাগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে থাকার ব্যবস্থা করা যায়। তাছাড়া রেড-ক্রিসেন্ট ইউনিট ও সাইক্লোন সেন্টারেও থাকার ব্যবস্থা করা যায়।

কি খাবেন
খাবার জন্য নিঝুম দ্বীপের নামার বাজারের কিছু হোটেল আছে। বিদ্যুৎ নেই বলে সব টাটকা খাবার পাওয়া যায়। দেশি মুরগি, মাছ, হাঁস, গরুর মাংস সব খড়ির চুলায় রান্না করা। যদি নিজের পছন্দের কিছু খেতে চান, তাহলে তাঁদের বলুন অথবা তাদেরকে কিনে দিলে তারা রান্না করে দিতে পারবে। আর প্রায় সব থাকার হোটেলে বারবিকিউর চুলা থাকে, হোটেলের বয়দের সহায়তায় অথবা আপনি নিজেই বানিয়ে নিতে পারেন বিভিন্ন মাছ বা মুরগির বারবিকিউ। মাছের জন্য হোটেল সোহেলের পাশে ২টি আড়ত আছে। তাছাড়া লোকাল কিছু খাবারের হোটেল আছে। যেমন- হোটেল সি-বার্ড, দ্বীপ হোটেল এবং ভাই-ভাই হোটেল। এখানে আপনি মাছ, মুরগি,হাস, কাকড়া, শুটকি খেতে পারবেন। তবে ভালো মিষ্টি জাতীয় খাবার পাবেন না।
এছাড়া নিজেরাও বাজার করে রান্না করে খেতে পারেন। নিঝুম দ্বীপ থেকে ফেরার পথে এখানকার বিখ্যাত শুঁটকি কিনে নিতে পারেন।

নিঝুম দ্বীপ এ ক্যাম্পিং সুবিধা
নিঝুম দ্বীপ এ ক্যাম্পিং (Camping) এর সুবিধা প্রচুর। পুরো দ্বীপে আপনার পছন্দের জায়গায় তাঁবু টানাতে পারবেন। জন্তু জানোয়ারের তেমন কোনো ভয় নাই, শুধু বুনো মহিষ থেকে সাবধান। ক্যাম্পিং এর জন্যে সবচেয়ে ভালো যায়গা হলো নামার বাজারে নিঝুম রিসোর্ট এর পাশের খাল পার হয়ে সাগর পাড়ের বিশাল (৫/৬ মাইল) খোলা মাঠটি। ক্যাম্পিং এর মোটামুটি সব কিছুই এখানে পাওয়া যাবে। তেমন কিছুই নেয়া লাগবে না। এরপরও যদি কিছু লাগে তাহলে জাহাজমারা বাজারে পাওয়া যাবে।
এছাড়াও নিঝুম দ্বীপ জাতীয় উদ্যান এলাকায় ক্যাম্পিং এর জন্যে তাবু ভাড়া পাওয়া যায়। এছাড়া ঘোরার জন্যে ফাইবার বোটও ভাড়া পাওয়া যায় যার ধারন ক্ষমতা ৪০ জন।

মোবাইল নেটওয়ার্ক
নিঝুম দ্বীপ এ শুধুমাত্র রবি এবং গ্রামীনফোন এর নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়।
যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখবেন
• নিঝুম দ্বীপের জঙ্গলকে সরকার সংরক্ষিত অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে। তা ছাড়া এই গোটা দ্বীপ বাংলাদেশের সম্পদ। কাজেই যত্রতত্র ময়লা ফেলবেন না।
• শিকারের বাতিক থাকলে সেটা ভুলে যাওয়াই ভালো। দ্বীপের প্রাণী ও পাখিদের রক্ষার জন্য সরকার ও বন বিভাগ তো বটেই, স্থানীয় মানুষও বেশ সচেতন।
• স্থানীয় মানুষ বেশ ভদ্র ও নিরীহ। অকারণে তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করলে তারা সহযোগিতা করতে চাইবে না, সে ক্ষেত্রে আপনার ভ্রমণ মোটেই সুখকর হবে না।
• আশপাশের চরে পাখি দেখতে চাইলে জোয়ার থাকা অবস্থাতেই পৌঁছানো ভালো, কারণ ভাটার টান শুরু হয়ে গেলে চরে নৌকা ভিড়তে পারবে না এবং প্রায় কোমর সমান কাদা পার হয়ে চরে পৌঁছাতে আপনার ওপর দিয়েও ধকল কম যাবে না।
• গরমের সময় সমুদ্র বেশ উত্তাল থাকে। এ সময় গেলে আবহাওয়া বিষয়ে খোঁজখবর করে যাওয়া ভালো।
• নিঝুম দ্বীপে যাওয়াটা বেশ সময় ও শ্রমসাপেক্ষ, তাই বয়স্ক অথবা কম বয়সীদের সেখানে না নিয়ে যাওয়াই ভালো।
• লঞ্চ সব সময় একদম ঠিক সময়ে ছাড়ে, কাজেই এ ব্যপারে সতর্ক থাকবেন।
• অকারণে জঙ্গলে গাছের পাতা ছিড়বেন না বা ডাল ভাঙবেন না, এগুলো হরিণের খাবার। পাখিদের উত্ত্যক্ত করবেন না।

ব্যস্ততম জীবনের ক্লান্তি দূর করতে প্রায় সারাবছরই ভ্রমণ পিপাসুরা ঘুরতে যায়
নিঝুম দ্বীপ। আপনিও চাইলে সামনের কোনো ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন, কাটিয়ে আসতে পারেন জীবনের সেরা কিছু সময়। আবার চাইলে বিডিট্যুর এর সাথেও ঘুরে আসতে পারেন

19/05/2021
আহসান মঞ্জিলস্থান আইডিঃ ১৪ পুরান ঢাকার ইসলামপুরের কুমারটুলী এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে আহসান মঞ্জিল অবস্থিত। পূর্বে এট...
15/05/2021

আহসান মঞ্জিল
স্থান আইডিঃ ১৪

পুরান ঢাকার ইসলামপুরের কুমারটুলী এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে আহসান মঞ্জিল অবস্থিত। পূর্বে এটি ঢাকার নবাবদের আবাসিক প্রাসাদ ও জমিদারীর সদর কাচারি ছিল । বর্তমানে জাদুঘর হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন নওয়াব আবদুল গনি । তিনি তার পুত্র খাজা আহসানুল্লাহ-র নামানুসারে এর নামকরণ করেন আহসান মঞ্জিল।১৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে আহসান মঞ্জিলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দে তা সমাপ্ত হয়। ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে এখানে এক অনুষ্ঠিত বৈঠকে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত হয়। আহসান মঞ্জিল কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে। সর্বশেষ সংস্কার করা হয়েছে অতি সম্প্রতি। এখন এটি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর কর্তৃক পরিচালিত একটি জাদুঘর।

ইতিহাস
অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে জামালপুর পরগনার জমিদার শেখ ইনায়েতউল্লাহ আহসান মঞ্জিলের বর্তমান স্থান রংমহল নামে একটি প্রমোদভবন তৈরি করেন। পরবর্তীতে তার পুত্র শেখ মতিউল্লাহ রংমহলটি ফরাসি বণিকদের কাছে বিক্রি করে দেন। বাণিজ্য কুঠি হিসাবে এটি দীর্ঘদিন পরিচিত ছিল। এরপরে ১৮৩০-এ বেগমবাজারে বসবাসকারী নওয়াব আবদুল গনির পিতা খাজা আলীমুল্লাহ এটি ক্রয় করে বসবাস শুরু করেন। এই বাসভবনকে কেন্দ্র করে খাজা আবদুল গনি মার্টিন অ্যান্ড কোম্পানী নামক একটি ইউরোপীয় নির্মাণ ও প্রকৌশল-প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরী করান, যার প্রধান ইমারত ছিল আহসান মঞ্জিল। ১৮৫৯ সালে নওয়াব আবদুল গনি প্রাসাদটি নির্মাণ শুরু করেন যা ১৮৭২ সালে সমাপ্ত হয়। তিনি তার প্রিয় পুত্র খাজা আহসানুল্লাহর নামানুসারে এর নামকরণ করেন ‘আহসান মঞ্জিল’। ওই যুগে নবনির্মিত প্রাসাদ ভবনটি রংমহল ও পুরাতন ভবনটি অন্দরমহল নামে পরিচিত ছিল।১৮৮৮ সালের ৭ এপ্রিল প্রবল ভূমিকম্পে পুরো আহসান মঞ্জিলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। ক্ষতিগ্রস্থ আহসান মঞ্জিল পুনর্নির্মাণের সময় বর্তমান উঁচু গম্বুজটি সংযোজন করা হয়। পুনর্নির্মাণ ও মেরামতের জন্য রাণীগঞ্জ থেকে উন্নতমানের ইট আনা হয়। মেরামতকর্ম পরিচালনা করেন প্রকৌশলী গোবিন্দ চন্দ্র রায়। সে আমলে ঢাকা শহরে আহসান মঞ্জিলের মতো এতো জাঁকালো ভবন আর ছিল না। এর প্রাসাদোপরি গম্বুজটি শহরের অন্যতম উঁচু চূড়া হওয়ায় তা বহুদূর থেকেও সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করত।১৮৯৭ সালে ১২ই জুন ঢাকায় ভূমিকম্প আঘাত হানলে আহসান মঞ্জিলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। আহসান মঞ্জিলের দক্ষিণের বারান্দাসহ ইসলামপুর রোড সংলগ্ন নহবত খানাটি সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়ে। পরবর্তীকালে নবাব আহসানুল্লাহ তা পুনঃনির্মাণ করেন। ১৯৫২ সালে জমিদারী উচ্ছেদ আইনের আওতায় ঢাকা নওয়াব এস্টেট সরকার অধিগ্রহণ করে। কিন্তু নওয়াবদের আবাসিক ভবন আহসান মঞ্জিল এবং বাগানবাড়িসমূহ অধিগ্রহণের বাইরে থাকে। কালক্রমে অর্থাভাব ও নওয়াব পরিবারের প্রভাব প্রতিপত্তি ক্ষয়িষ্ণু হওয়ার ফলে আহসান মঞ্জিলের রক্ষণাবেক্ষণ দুরূহ হয়ে পড়ে। ১৯৬০’র দশকে এখানে থাকা মূল্যবান দ্রব্যাদি নওয়াব পরিবারের সদস্যরা নিলামে কিনে নেয়।

পর্যটন
এই প্রাসাদের ছাদের উপর সুন্দর একটি গম্বুজ আছে। এক সময় এই গম্বুজের চূড়াটি ছিল ঢাকা শহরের সর্বোচ্চ। মূল ভবনের বাইরে ত্রি-তোরণবিশিষ্ট প্রবেশদ্বারও দেখতে সুন্দর। একইভাবে উপরে ওঠার সিঁড়িগুলোও সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে দু’টি মনোরম তোরণ আছে যা সবচেয়ে সুন্দর। আহসান মঞ্জিলের অভ্যন্তরে দু’টি অংশ আছে। বৈঠকখানা ও পাঠাগার আছে পূর্ব অংশে। পশ্চিম অংশে আছে নাচঘর ও অন্যান্য আবাসিক কক্ষ। নিচতলার দরবারগৃহ ও ভোজন কক্ষ রয়েছে।
বর্তমানে এটি জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আহসান মঞ্জিলের ২৩টি গ্যালারি রয়েছে যা আপনি ঘুরে দেখতে পারবেন। তাছাড়া এখানে আসলে আপনি আহসান মঞ্জিলের আশেপাশে চমৎকার পরিবেশে ছবি তুলতে পারেন। আহসান মঞ্জিল ঘুরে দেখা ছাড়াও এখান থেকে মাত্র কয়েক মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে আপনি নৌকা ভ্রমনও করতে পারবেন।

কিভাবে যাবেন
ঢাকার সদরঘাটগামী যে কোন বাসে উঠে পুরান ঢাকার সদরঘাট এলাকায় এসে পায়ে হেঁটে কিংবা ২০-৩০ টাকা রিকশা ভাড়ায় আহসান মঞ্জিল যেতে পারবেন। ঢাকার যে কোন জায়গা থেকে গুলিস্তান এসে রিকশা বা সিএনজিতে করে আহসান মঞ্জিল দেখতে যেতে পারেন। গুলিস্তানের নর্থ সাউথ রোড ধরে নয়াবাজার মোড় হয়ে বাবুবাজার ব্রিজ দিয়ে এগোলে ইসলামপুর পৌঁছে যাবেন। আর ইসলামপুর গেলে আহসান মঞ্জিল যাওয়ার রাস্তা যে কাউকে জিজ্ঞাসা করলেই জানতে পারবেন। তাছাড়া সায়েদাবাদ থেকে বেছে নিতে পারেন রিকশা বা উবার। ট্রেনে এলে কমলাপুর থেকে উবার বা রিকশা করে যাওয়া যায়। লঞ্চে এলে সদরঘাট টার্মিনাল থেকে ১০ মিনিটের হাঁটা দূরত্বে আহসান মঞ্জিল।

থাকা ও খাওয়া
ঢাকায় প্রচুর উন্নতমানের আবাসিক হোটে, মোটেল ও বাংলো আছে। এর পাশেই অনেক ভালো মানের রেস্তোরা আছে। এখানে সব ধরনের খাবারই পাওয়া যায়।

টিকেট মূল্য
প্রাপ্তবয়স্ক বাংলাদেশি দর্শকের জন্য প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা, বাংলাদেশি শিশু দর্শক পাঁচ টাকা আর বিদেশি দর্শকের জন্য ১০০ টাকা। প্রতিবন্ধীদের কোন টিকিট কিনতে হয় না। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আগে থেকে আবেদন করলে ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে জাদুঘর দেখতে দেওয়া হয়।

সময়সূচি
বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ছুটি ও অন্যান্য সরকারি ছুটির দিন জাদুঘর বন্ধ থাকে। গ্রীষ্মকালীন সময়সূচি হলো এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর শনি থেকে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা। শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা। শীতকালীন সময়সূচি অক্টোবর থেকে মার্চ শনি থেকে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা। শুক্রবার দুপুর আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা।

ব্যস্ততম জীবনের ক্লান্তি দূর করতে প্রায় সারাবছরই ভ্রমণ পিপাসুরা ঘুরতে যায় আহসান মঞ্জিল। আপনিও চাইলে সামনের কোনো ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন, কাটিয়ে আসতে পারেন জীবনের সেরা কিছু সময়। আবার চাইলে বিডিট্যুর এর সাথেও ঘুরে আসতে পারেন ।

শালবন বৌদ্ধ বিহারস্থান আইডিঃ ১৩শালবন বৌদ্ধ বিহার বাংলাদেশের প্রাচীন সভ্যতার অন্যতম নিদর্শনগুলোর মধ্যে একটি হলো কুমিল্লা ...
13/05/2021

শালবন বৌদ্ধ বিহার
স্থান আইডিঃ ১৩

শালবন বৌদ্ধ বিহার বাংলাদেশের প্রাচীন সভ্যতার অন্যতম নিদর্শনগুলোর মধ্যে একটি হলো কুমিল্লা জেলার শালবন বৌদ্ধ বিহার।কুমিল্লার ময়নামতিতে খননকৃত সব প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের মধ্যে এটি প্রধান। কুমিল্লা জেলার কোটবাড়িতে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর কাছে কাছে লালমাই পাহাড়ের মাঝামাঝি এলাকায় এ বিহারটির অবস্থান।বিহারটির আশপাশে এক সময় শাল-গজারির ঘন বন ছিল তাই এ বিহারটির নাম দেয়া হয়েছিল শালবন বিহার।এর সন্নিহিত গ্রামটির নাম শালবনপুর। ছোট একটি বনও আছে সেখানে।এ বিহারটি পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের মতো হলেও তুলনামূলকভাবে আকারে ছোট।
ধারণা করা হয়ে থাকে যে খৃস্টীয় সপ্তম শতাব্দীর শেষ থেকে অষ্টম শতাব্দীর প্রথম ভাগে দেববংশের চতুর্থ রাজা শ্রীভবদেব এ বৌদ্ধ বিহারটি নির্মাণ করেন।এটি চৌকো আকৃতির। এর প্রতিটি বাহু ১৬৭.৭ মিটার দীর্ঘ। বিহারের চার দিকের দেয়াল পাঁচ মিটার পুরু। কক্ষগুলো বিহারের চার দিকের বেষ্টনী দেয়াল পিঠ করে নির্মিত। বিহারে ঢোকা বা বের হওয়ার কেবলমাত্র একটাই পথ ছিল। এ পথ বা দরজাটি উত্তর ব্লকের ঠিক মাঝামাঝি স্থানে রয়েছে। প্রতিটি কক্ষের মাঝে ১.৫ মিটার চওড়া দেয়াল রয়েছে। বিহার অঙ্গনের ঠিক মাঝে ছিল কেন্দ্রীয় মন্দির।
বিহারে সর্বমোট ১৫৫টি কক্ষ আছে। কক্ষের সামনে ৮.৫ ফুট চওড়া টানা বারান্দা ও তার শেষ প্রান্তে অনুচ্চ দেয়াল। প্রতিটি কক্ষের দেয়ালে তিনটি করে কুলুঙ্গি রয়েছে। কুলুঙ্গিতে দেবদেবীর মূর্তি, তেলের প্রদীপ ইত্যাদি রাখা হতো। এই কক্ষগুলোতে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা থাকতেন। সেখানে বিদ্যাশিক্ষা ও ধর্মচর্চা করতেন বিহারের বাইরে প্রবেশদ্বারের পাশে দক্ষিণ-পূর্ব কোণে একটি হলঘর আছে। চার দিকের দেয়াল ও সামনে চারটি বিশাল গোলাকার স্তম্ভের ওপর নির্মিত সে হলঘরটি ভিক্ষুদের খাবার ঘর ছিল বলে ধারণা করা হয়। হলঘরের মাপ ১০ মিটার গুণন ২০ মিটার। হলঘরের চার দিকে ইটের চওড়া রাস্তা রয়েছে। প্রত্নতাত্ত্বিক খননের মাধ্যমে বিহারটির ধ্বংসাবশেষ থেকে আটটি তাম্রলিপি, প্রায় ৪০০টি স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা, অসংখ্য পোড়া মাটির ফলক বা টেরাকোটা, সিলমোহর, ব্রোঞ্জ ও মাটির মূর্তি পাওয়া গেছে। এগুলো বাংলাদেশের প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যের স্বাক্ষর বহন করছে।

কিভাবে যাবেন
বাংলাদেশের যেকোন জায়গা থেকে বাসে করে কুমিল্লায় যোগাযোগ আছে।শালবন বিহার কুমিল্লা শহর হতে ৮কি.মি দূরে কোট বাড়িতে অবস্থিত।

ঢাকা থেকে কুমিল্লা
ঢাকা হতে কুমিল্লার দূরত্ব ৯৭কি.মি। ট্রেনে যেতে প্রায় ১৯৭কি.মি পথ অতিক্রম করতে হয়। ট্রেনে করে আসলে কুমিল্লা স্টেশন আসতে পারবেন ঢাকা, সিলেট, চট্রগ্রাম, চাঁদপুর, নোয়াখালী ইত্যাদি স্থান থেকে, কুমিল্লা নেমে চলে আসবেন অটো-রিক্সা বা রিকশা করে কান্দিরপাড়, তার পর যাবেন নিচের বর্ণনা অনুসারে ভাড়া নিবে ১০ টাকা প্রতিজন। ট্রেন ভাড়া সম্পর্কে রেলওয়ে স্টেশনের নিজস্ব ওয়েব সাইট হতে জেনে নেবেন। ঢাকা থেকে সড়ক পথে কুমিল্লা মাত্র ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের মত সময় লাগে। ঢাকার বিভিন্ন স্থান হতে ঢাকা কুমিল্লা রুটে অসংখ্য বাস সার্ভিস আছে। সায়েদাবাদ থেকে তিশা অথবা এশিয়া লাইন নন এসি বাসে জনপ্রতি ১৫০-২০০ টাকা ভাড়ায় কুমিল্লা আসা যাবে। কমলাপুর থেকে রয়েল, উপকূল, স্টার লাইন অথবা বি আর টিসি (এসি/নন-এসি) বাসে জনপ্রতি ১৫০-৩৫০ টাকা ভাড়ায় কুমিল্লা যাওয়া যাবে।

চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা
চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে করে কুমিল্লা আসা যাবে। ধাকা থেকে চট্টগ্রামগামী (সুবর্ণা ও সোনার বাংলা বাদে) প্রায় সকল ট্রেনই কুমিল্লা স্টেশনে থামে। চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লায় প্রিন্স কিংবা সৌদিয়া বাস করে আসা যাবে বা যে কোন ঢাকাগামী বাসে করে এসে কুমিল্লায় নামতে হবে।

কুমিল্লা থেকে শালবন বিহার
কুমিল্লা আসার পর টমছম ব্রীজ বাস স্ট্যান্ডে আসতে হবে। টমছম ব্রীজ বাস স্ট্যান্ডের পাশেই কোটবাড়ি যাওয়ার সিএনজি স্ট্যান্ড রয়েছে। জনপ্রতি ১০ টাকা ভাড়ায় কোটবাড়ি যাওয়া যাবে। কোটবাড়ি আসার পর থেকে অটোরিকসা করে ৫ টাকা ভাড়ায় দিয়ে শালবন বিহারে পৌঁছানো যাবে। অথবা কোটবাড়ি বিশ্বরোড থেকে স্থানীয় সিএনজি করে শালবন বিহার আসা যাবে। কুমিল্লার যে কোন জায়গা থেকে সিএনজি/অটো রিক্সা করে আসা যাবে।

টিকেটের মুল্য
বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ময়নামতি জাদুঘর ও শালবন বিহারের পৃথক ২০টাকা করে টিকেট। ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত ছেলে-মেয়েদের জন্য পাঁচ টাকা করে টিকেট। সার্কভুক্ত দেশের নাগরিকদের জন্য ১০০টাকা করে টিকেট। অন্য বিদেশি নাগরিকদের জন্য ২০০টাকা করে টিকেট বিক্রি করা হয়।

কোথায় থাকবেন
কুমিল্লা শহরে কুমিল্লা ক্লাব, কুমিল্লা সিটি ক্লাবসহ বেশকিছু ভালো মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে। এসব হোটেলে ১০০০ থেকে ৩০০০ টাকায় থাকতে পারবেন। এছাড়া মাঝারি মানের হোটেলের মধ্যে হোটেল চন্দ্রিমা, হোটেল শালবন, হোটেল আবেদিন, হোটেল সোনালী, হোটেল নিদ্রাবাগ, আশীক রেস্ট হাউস, হোটেল নুরজাহান উল্লেখযোগ্য।শালবন বৌদ্ধ বিহার থেকে বার্ড খুব কাছে। বার্ডে যোগাযোগ করলে সেখানেও থাকতে পারেন।

কোথায় খাবেন
কোথায় খাবেন সেটা নির্ভর করছে আপনি লাঞ্চ টাইমে কোথায় অবস্থান করছেন তার ওপর। যদি কোটবাড়িতে থাকেন, তাহলে কোটবাড়ি বাজারে এসে ঝাল বাংলা রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ করতে পারেন। কুমিল্লা শহরে থাকলে বাংলা রেস্টুরেন্ট, ইউরো কিং রেস্টুরেন্টসহ বেশ কিছু বিলাসবহুল রেস্টুরেন্ট পাবেন। আপনার পছন্দমতো যে কোনো একটায় খেতে পারেন। আর যদি পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডে থাকেন, তাহলে লাঞ্চ করতে হবে হোটেল নূরজাহানে। এটি দেশের প্রথম থ্রি স্টার হোটেল।

সময়সূচী
শালবন বিহার ও ময়নামতি জাদুঘর সপ্তাহের প্রতি রবিবার ও সরকারি ছুটির দিনে বন্ধ থাকে এবং সোমবার অর্ধ দিবস বন্ধ থাকে। শীতকালীন সময়সূচী (অক্টোমর – মার্চ) মঙ্গলবার থেকে শনিবার সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা ( দুপুর ১ থেকে ১.৩০ বিরতি) শুক্রবার সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২.৩০ এবং দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত। সোমবার দুপুর ২.৩০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। গ্রীষ্মকালীন সময়সূচী (এপ্রিল -সেপ্টেম্বর ) মঙ্গলবার থেকে শনিবার সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৬ টা ( দুপুর ১ থেকে ১.৩০ বিরতি) ।
শুক্রবার সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২.৩০ এবং দুপুর ২.৩০টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত। সোমবার দুপুর ২.৩০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। নিরাপত্তাব্যবস্থা কুমিল্লার ট্যুরিস্ট স্পটগুলোতে নিরাপত্তাব্যবস্থা অনেক ভালো। আজ পর্যন্ত এখানে অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি। প্রতিদিনই হাজার হাজার পর্যটক আসছেন এখানে। তাই কুমিল্লা এসে নিরাপত্তা নিয়ে অতটা চিন্তা না করলেও হবে।

কাছাকাছি দর্শনীয় স্থান
শালবন বিহারের পাশেই রয়েছে ময়নামতি জাদুঘর ও নব শালবন বৌদ্ধ বিহার। কোটবাড়িতেই রয়েছে রূপবান মুড়া, ইটাখোলা মুড়া, আনন্দ বিহার। এছাড়া আরও যা দেখতে পারেন তার মধ্যে আছে বার্ড, ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক, ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি, লালমাই পাহাড়, ধর্ম সাগর দিঘীসহ আরও বেশ কিছু স্থান। আর সুযোগ হাতে থাকলে মনোহরপুরের মাতৃভান্ডারের বিখ্যাত রসমালাইয়ের স্বাদ নিবেন অবশ্যই। আসল মাতৃভান্ডার এর রসমালাই কুমিল্লার বিখ্যাত আসল মাতৃভাণ্ডারের রসমালাই খেতে চাইলে আপনাকে যেতে হবে মনোহরপুর কালী বাড়ি। কোটবাড়ি থেকে পাদুয়ার বাজার (ভাড়া জনপ্রতি ১৫ টাকা), সেখান থেকে কান্দিরপাড় হয়ে মনোহরপুর কালী বাড়ি (৩০ টাকা রিক্সা ভাড়া)। কালী বাড়ি মন্দিরের অন্য পাশেই একমাত্র আসল মাতৃভান্ডার এর দোকান পাবেন।

ব্যস্ততম জীবনের ক্লান্তি দূর করতে প্রায় সারাবছরই ভ্রমণ পিপাসুরা ঘুরতে যায় শালবন বৌদ্ধ বিহার। আপনিও চাইলে সামনের কোনো ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন, কাটিয়ে আসতে পারেন জীবনের সেরা কিছু সময়। আবার চাইলে বিডিট্যুর এর সাথেও ঘুরে আসতে পারেন ।

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when BDTour posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to BDTour:

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Travel Agency?

Share