29/08/2022
🐆🐅🐅🐅০২,০৩,০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২🐯🐯🐯🐯 শুরু হতে যাচ্ছে আমাদের সিজনের প্রথম সুন্দরবন ট্যুর প্যাকেজ। আর মাত্র অল্প কিছু আসন রয়েছে।
প্রাকৃতিক রহস্যেঘেরা ভয়ংকর সুন্দর সুন্দরবন পৃথিবীর বৃহত্তম জোয়ারধৌত গরান বনভূমিটি ম্যানগ্রোভ বন নামে পরিচিত। স্থানীয়ভাবে অনেকের কাছে এটি পরিচিত শুলোবন হিসেবে।
সুন্দরবন কেন ভ্রমন করবেন?
কারন সুন্দরবন ভ্রমন করলে একসাথে আপনি চারটি সৌন্দর্য অবলোকন করতে পারবেন।
১) নৌ বিহার
২) প্রানীবৈচিত্র্য
৩) প্রকৃতি
৪) সাগর
সুন্দরবন ভ্রমনের জন্য সুলভ মূল্যে প্যাকেজ ও গ্রুপ ট্যুর করতে চাইলে ট্যুরলিংক বিডি সাথে যোগাযোগ করুন।
বুকিং হটলাইন: ০১৯১৫০০৭৭৬৯, ০১৫৭৫৩৭২৩৬৫।
⏰ প্যাকেজ ডিউরেশন : ৩ দিন ২ রাত (খুলনা-সুন্দরবন-খুলনা)
প্যাকেজের তারিখ : সেপ্টেম্বর থেকে পছন্দমতো নভেম্বর থেকে প্রতি শুক্রবার
💰প্যাকেজ প্রাইস : জন প্রতি ৮,৫০০/- নন এটাস্টবাথ
রেগুলার প্যাকেজ ৮,৫০০/- থেকে শুরু করে ১৮,৫০০/- পরজন্ত।
শিশু পলিসি : প্যাকেজ ট্যুরে ০-২ বছরের বাচ্চাদের জন্য চার্জ প্রযোজ্য নয়, ৩-৫ বছরের বাচ্চার জন্য ৫০% প্রযোজ্য (খাবার, পার্মিশন ও মা বাবার সাথে বেড শেয়ার করতে হবে)
❐ বিদেশী: ১২০০০/- টাকা অতিরিক্ত ট্যাক্স এবং ভ্যাট এড হবে
❐ ঢাকা থেকে খুলনা যেতে চাইলে নন এসি বাসে ৭৫০/-, এসি বাসে ১৪০০/-, এসি ট্রেনে ১০০০/- এবং নন এসি ট্রেনে ৫৫০/- অতিরিক্ত যোগ করতে হবে।
❐ বুকিং হটলাইন: ০১৯১৫০০৭৭৬৯, ০১৫৭৫৩৭২৩৬৫
[এছাড়া ১০/১৮/৩০/৪৫/৫০/৬০/৭০/৭৫ জনের কর্পোরেট গ্রুপ অনুযায়ী শীপ দেওয়া যাবে এবং গ্রুপ ট্যুরের জন্য বিশেষ ট্যারিফ দেয়া হবে]
⛱ ট্যুর স্পটঃ
- হাড়বাড়ীয়া ইকো ট্যুরিজম
- কটকা অফিসপাড়
- টাইগার পয়েন্ট
- জামতলা সী বীচ
- কচিখালী অভায়ারন্য
- ডিমের চর
- করমজল (মিনি জু ও কুমির প্রযনন কেন্দ্র)
====ট্যুর প্ল্যান (৩ দিন ২ রাত) ====
১ম দিন :
সকাল ৭:৩০ খুলনা জেলখানা ঘাট থকে আমাদের গাইড আপনাকে রিসিভ করে শীপে নিয়ে যাবে। রুপসা এবং পশুর নদী ধরে খুলনা শিপইয়ার্ড,রুপসা ব্রিজ,রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং মংলা বন্দর পাশে রেখে আমাদের শীপ চলবে হাড়বাড়িয়ার উদ্দেশ্যে।
দুপুরের খাবার খেয়ে নামবো "হাড়বাড়িয়া ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্রে । আগে পিছে গান ম্যান রেখে সারিবদ্ধ ভাবে যাবো নির্ধারিত ফুট ট্রেইল ধরে। মিষ্টি পানির পুকুর পার হয়ে ঢুকবো গভীর বনে ৷ দু,পাশে থাকবে ঘন শ্বাসমূল যুক্ত ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ। সুন্দরী, গোলপাতা,গেওয়া গাছ এই বনে বেশী। প্রচুর হরিণের পায়েরছাপ এবং নিশ্চুপ থাকলে হরিণের পাল দেখা যাবে। কাকড়ার পাল ছুটে লুকাবে আপনার চলার শব্দে।প্রায় ১ মাইল ট্রেইল ঘুরে পুকুরের উপর নির্মিত কাঠের রেষ্ট হাউজে বিশ্রাম নিয়ে শীপে ফিরে আসবো। শীপে ফিরে বিকালের নাস্তা খাবো। শীপ চলবে সাগরের মোহনায় অবস্থিত "কটকা অভয়ারণ্যে।
২য় দিন :
খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে দেশী নৌকায় ক্যানেল ক্রুজিং এবং চুপ থেকে বনের নিস্তব্ধতা উপভোগ করবো৷ সেখান থেকে টাইগার ট্রি'র ঝোপ,হরিণের বিচরণের মাঠ এবং গভীর বন পেরিয়ে আড়াই কিলো দূরের বাদামতলা সী বীচে যাবো। উপভোগ করবো বাংলাদেশর দুই গর্ব "সুন্দরবন" এবং 'বঙ্গপোসাগর " এর মিলন স্থান। এরপর শীপে ফিরে সকালের নাস্তা করে যাবো টাইগার টিলার উদ্দেশ্যে। কাঁদা,শ্বাস মূল আর ভয়ংকর গড়ান বন পেরিয়ে টাইগার টিলার অবস্থান। যাওয়ার পথে খুব কাছ থেকে হরিণের পাল দেখা যাবে। এরপর ফিরবো শীপে ৷ শীপ যাবে "কচিখালির" উদ্দেশ্যে।
"কচিখালিতে" গা,ছমছমে ঘন বনের ভিতর দিয়ে হাটবো। হরিণের পাল মাথা উচু করে আপনাকে দেখেই ছুটে পালাবে এবং আপনি বুঝবেন কেনো এখানকে বাঘের ডাইনিং বলা হয়। ছমছমে ভাব নিয়েই ফিরবো শীপে। শীপে করে যাবো ডিমের চরে এবং এই মনরম সুন্দর সী বীচে থাকবো সন্ধার পর পর্যন্ত। তারপর ফিরবো শীপে। শীপ চলবে করমজলের উদ্দেশ্যে।
৩য় দিন :
করমজলে নোনা পানির বাংলাদেশের একমাত্র কুমির প্রজনন কেন্দ্র। ছোট বড় কুমির,বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির কচ্ছপ,বানরের পালের বাদরামি এবং হরিণকে হাত থেকে ঘাস খাইয়ে শীপে ফিরে খুলনা/মংলার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবো। খুলনায় ফিরে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করব।
⛴ জাহাজের সুবিধা সমুহ :
✔ ট্যুর গ্রুপের চাহিদা অনুযায়ী নন এসি / র্শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ক্রুজ শীপ।
✔ গেষ্ট ধারন ক্ষমতা অনুযায়ী ১০/১৫/১৮/৪০/৫০/৬০/৭০/৭৫ জনের শীপের সুব্যবস্থা।
✔ ট্যুরিষ্ট শীপে কেবিনে সিংগেল/কাপল/টুইন/৩ বেড/৪ বেড শেয়ার বেসিস থাকা।
✔ ২৪ ঘন্টা রির্জাব ফ্রেশ খাবার পানির ব্যবস্থা।
✔ প্রতিবেলায় ডাবল মেনুসহ খাবারে থাকবে ভিন্নতার ছোঁয়া
✔ প্রতি দিন মেইন ডিস এর পাশাপাশি ২ বেলা স্নাক্স এবং সার্বক্ষনিক চা-কফির ব্যবস্থা।
✔ লাইভ বার-বি-কিউ ডিনার
✔ অভিজ্ঞ সেফ এবং দক্ষ ওয়েটার ।
✔ অভিজ্ঞ ট্যুর গাইড।
❐ যা যা সাথে নিতে পারেন/যা থাকবে না
🖛 ছোট সাইজের ট্রাভেল ব্যাগ
🖛 তোয়ালে বা গামছা
🖛 স্যান্ডেল, কেডস, মশার কয়েল
🖛 ক্যামেরা, মেমোরী কার্ড, ব্যাটারী ও চার্জার
🖛 টর্চ লাইট + অতিরিক্ত ব্যাটারী
🖛 ওডোমস ক্রিম
🖛 সানক্রিম ও লোশন
🖛 সানগ্লাস ও সানক্যাপ বা হ্যাট
🖛 টুথপেষ্ট+ ব্রাশ+ সাবান+শ্যাম্পু
🖛 ব্যক্তিগত ঔষধপত্র
🖛 টিস্যু
🖛 সফট বা হার্ড ড্রিংস্
🖛 ক্যামেরা বা ভিডিও ক্যামেরার এন্ট্রি ফি
নোট: সুন্দরবনে শুধু মাত্র টেলিটক নেটওয়ার্ক কাজ করে।
⚓ সুন্দরবন_ভ্রমণের_করনীয় :
✘ সুন্দরবন ট্যুরে বা জাহাজে অবস্থানকালে যেকোন প্রকার ড্রোন নিষিদ্ধ । সুতারং সুন্দরবন ট্যুরে কোন প্রকার ড্রোন নেওয়া যাবে না।
✘ উজ্জল রঙ্গের কাপড় ( যা অনেক দূর থেকে চোখে পড়ে ) পরিহার করা। হালকা রঙের এবং ঢিলে ঢালা ফুল স্লিব পোশাক পরা।
✘ কোন প্রকার সুগন্ধি ব্যবহার না করা।
✘ পিছনে বেল্ট আছে এবং পানিতে ভিজলে নষ্ট হবে না এমন সেন্ডেল / কেডস সাথে নিতে হবে। সু/ হাই হিল নিবেন না।
✘ এডভেঞ্চার ট্যুরে লাগেজের সাইজ ছোট হওয়াই ভালো।
✘ জঙ্গলে নামার পর কোন অবস্থাতে উচ্চ স্বরে কথা বলা যাবে না এবং খুব প্রয়োজন না হলে কথা না বলেই ট্রাকিং করতে হবে।
✘ যেহেতু সমস্ত প্রয়োজনীয় সব কিছু আমাদের খুলনা থেকে নিয়ে উঠতে হবে তাই পানি অপচয় না করা (নদীর পানি নোনা) এবং খাবার পানি অন্য কোন কাজে ব্যবহার না করা।
✘ জঙ্গলে নামার পর সু-শৃক্ষল ভাবে হাটতে হবে এবং কোন অবস্থাতে দল ছুট হওয়া যাবে না।
✘ গাছের ডাল, পাতা বা লতায় হাত দেওয়া বা ছেড়া যাবে না।
✘ পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ করা যাবে না। যেমন: পলিথিন বা প্যাকেজিং বস্তু যত্রতত্র ফেলা যাবে না।
✘ স্থানীয় এবং অন্য ভ্রমণকারী দলের সদস্যদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা।
✘ গাইড এবং নিরাপত্তা রক্ষীদের নির্দেশনা মেনে চলা।
✠ নিরাপত্তাঃ
গেষ্টের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা কখনও আপস করি না । আমাদের সর্বচ্চো অগ্রাধিকার থাকে গেষ্টের নিরাপত্তা নিয়ে। বনবিভাগ থেকে থাকবে সার্বক্ষনিক আর্মসসহ দুই জন নিরাপত্তা কর্মী । এবং থাকবে আমাদের নিজেস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আবহাওয়া এবং অন্য যে কোন প্রয়োজনে VHF এর মাধ্যমে ফরেস্ট, কোষ্ট গার্ড এবং নৌ-বাহিনীর সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ এবং প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন।
🖛বুকিং করার পদ্ধতি :
বুকিং এর ক্ষেত্রে অবশ্যই ৫০% এডভান্স পেমেন্ট এর মাধ্যমে ট্যুর বুকিং কনফার্ম করতে হবে। বাকী ৫০% টাকা শিপে এসে ট্যুর শুরু হবার পূর্বে পরিশোধ করতে হবে।
যোগাযোগের ঠিকানা :
ট্যুরলিংক বিডি লিঃ, রেবেকা ভিলা, বাড়ি নং ৬/১, পদ্মা রোড, কাশিপুর, খালিশপুর, খুলনা - ৯২০২
E-mail : [email protected]
Web: www.tourlinkbd.ottean.com
Mob: +8801915007769, +8801575372365
⭕️ কোভিড-১৯ ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে মুখে মাক্স ব্যবহার করতে হবে এবং সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।