House of Perfumes

  • Home
  • House of Perfumes

House of Perfumes আপনার উমরাহ পালনের সহযোগী হতে আমরা আগ?

عَنْ أبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهُ: أنَّ رَسُولَ الله صلى الله عليه وسلم قَالَ: «العُمْرَةُ إِلَى العُمْرَةِ كَفَّا...
09/08/2021

عَنْ أبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهُ: أنَّ رَسُولَ الله صلى الله عليه وسلم قَالَ: «العُمْرَةُ إِلَى العُمْرَةِ كَفَّارَةٌ لِمَا بَيْنَهُمَا، وَالحَجُّ المَبْرُورُ لَيْسَ لَهُ جَزَاءٌ إِلا الجَنَّةُ». متفق عليه.

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,এক উমরাহ অন্য উমরাহ পর্যন্ত মধ্যবর্তী সবকিছুর কাফফারা। আর মাবরুর হজের একমাত্র প্রতিদান হলো জান্নাত। ( বুখারী ও মুসলিম )

عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُما قَالَ: قَالَ رَسُولُ الله صلى الله عليه وسلم: «تَابعُوا بَيْنَ الحَـجِّ وَالعُمْرَةِ فَإِنَّـهُـمَا يَــنْــفــِيَــانِ الــفَــقْــرَ وَالــذنــُوبَ كَمَا يــَنْــفِــي الــكِــيــرُ خــَبــَث الــحَــدِيــدِ». أخرجه النسائي.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেনঃ তোমরা বার বার হজ্জ ও উমরাহ আদায় কর, কেননা এ দুটো দরিদ্রতা ও গুনাহকে সে ভাবে মুছে ফেলে, যে ভাবে কর্মকারের হাওয়া দেয়ার যন্ত্র লোহার ময়লাকে দূর করে থাকে। (নাসায়ী- হাদীস সহীহ)

আলহামদুলিল্লাহ !!
08/08/2021

আলহামদুলিল্লাহ !!

ঢাকা: করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের জন্য সোমবার থেকে ওমরাহ ভিসা পুনরায় চা...

07/08/2021

সৌদি আরবে ওমরাহ পালনে বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশকে যেসব শর্ত মানতে হবে
২৬ জুলাই ২০২১
BBC

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিদেশিদের জন্য সৌদি আরবে গিয়ে হজ ও ওমরাহ পালন দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলেও এবারে বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের জন্য ওমরাহ পালনের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়েছে।

আগামী ১০ই আগস্ট থেকে বিদেশি মুসল্লিদের সৌদি আরবে গিয়ে ওমরাহ করার অনুমতি দেবে দেশটির সরকার।

আরবি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী তারিখটি পহেলা মোহররম ১৪৪৩।

সৌদির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক হারামাইন শারিফাইন নামক অফিসিয়াল পেইজে এমন তথ্য দেয়া হয়েছে।

তবে এবারে বিদেশ থেকে ওমরাহ পালনে আসতে ইচ্ছুক মুসুল্লিদের ওপর কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। সেগুলো হলো:

ওমরাহ করতে ইচ্ছুক মুসল্লিরা কেবল ৯টি দেশ ছাড়া বিশ্বের সব দেশ থেকে সরাসরি ফ্লাইটে সৌদি আরবে প্রবেশ করতে পারবে।
ওই ৯টি দেশ হচ্ছে- ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মিসর, তুরস্ক, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও লেবানন।
আরও পড়তে পারেন:
হজ কোটা বিভিন্ন দেশের জন্য যেভাবে নির্ধারিত হয়

হজের বিষয়ে আর্থিক লেনদেন না করার অনুরোধ সরকারের

তবে এই দেশগুলো থেকে কোনও মুসল্লি সৌদি আরবে প্রবেশ করতে চাইলে তাদেরকে ওই ৯টি দেশ বাদে তৃতীয় আরেকটি দেশে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে তবেই সৌদি আরবে যেতে হবে।
এছাড়া ওমরাহ পালনে ইচ্ছুক সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে করোনাভাইরাসের সম্পূর্ণ ডোজ টিকা নিতে হবে।
এবং সেই টিকা হবে ফাইজার, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা অথবা জনসন অ্যান্ড জনসনের। এসব টিকার দুটি ডোজ গ্রহণ করা ছাড়া সৌদি আরবে প্রবেশ করা যাবে না।
কেউ যদি চীনের তৈরি সিনোফার্মের টিকার দুটি ডোজ টিকা নিয়ে থাকেন, তাহলে তাদেরকে তাদেরকে ফাইজার, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা অথবা জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার বাড়তি বুস্টার ডোজ গ্রহণ করতে হবে।
ওমরাহ পালনের জন্য ১৮ বছর বা বেশি বয়সীদেরই অনুমোদন দেয়া হবে।

এছাড়া সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে স্বীকৃত ওমরাহ এজেন্সির মাধ্যমেই কেবল সৌদি আরবে আসতে পারবেন মুসল্লিরা।

ওমরাহ পালনে কিছু শর্ত বেধে দেয়া হয়েছে।

ওমরাহ পালনে বিদেশ থেকে আসা প্রত্যেক মুসল্লিকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা - যেমন মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা - এবং সেইসঙ্গে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে বলে জানানো হয়।

করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সব ধরনের সাবধানতা এবং নিয়ম-কানুন কঠোরভাবে মেনেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে।

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সম্প্রতি বিশেষ শর্ত মেনে সীমিত পরিসরে হজ আয়োজন করে সৌদি সরকার।

বাইরের দেশ থেকে কাউকে অনুমোদন দেয়া না হলেও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেখানে ৬০ হাজার মুসল্লি অংশ নিয়েছিলেন।

এরমধ্যে সৌদি নাগরিকদের পাশাপাশি দেশটিতে থাকা ১৫০টি দেশের নাগরিকও ছিলেন।

এর আগে গত বছরের পহেলা নভেম্বর থেকে সৌদি আরবের বাইরে বিভিন্ন দেশ থেকেও সীমিত সংখ্যক মুসল্লিদের মসজিদুল হারামে প্রবেশের সুযোগ দেয়া হয়েছিল।

তার আগের মাসে অক্টোবরে সৌদি নাগরিক ও বাসিন্দাদের ওমরাহ পালনের অনুমতি পেয়েছিলেন।

কিন্তু বিশ্বের কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ায় সংক্রমণ এড়াতে তা স্থগিত হয়ে যায়।

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের আগে হজ এবং ওমরাহ পালনের জন্য প্রতি বছর সারা বিশ্ব থেকে লাখ লাখ মুসল্লি সৌদি আরব ভ্রমণ করতেন।

অন্যান্য বছরগুলোয় সারা বিশ্ব থেকে ২০ লাখের বেশি মানুষ হজ পালন করতে সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় গিয়ে নির্দিষ্ট কিছু ধর্মীয় আচার পালন করতেন।

এছাড়া, সারা বছরই ওমরাহ হজ পালন করতে বিশ্বের আরও লাখ লাখ মুসলমান সৌদি আরবে ভ্রমণ করতেন।

২০১৯ সালে এক কোটি ৯০ লাখ মানুষ ওমরাহ পালন করেছিলেন।

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বিদেশিদের জন্য হজ পালন বন্ধ রয়েছে।

কিন্তু করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে এখন পুরো পরিস্থিতি ওলট পালট হয়ে গেছে।

আলহামদুলিল্লাহ
03/08/2021

আলহামদুলিল্লাহ

প্রায় দেড় বছর পরে বাংলাদেশিরা ওমরাহ পালনের সুযোগ পাচ্ছে। দুই ডোজ টিকা নেওয়ার শর্তে ১০ আগস্ট থেকে ওমরাহ পালনের সু.....

  has been acknowledged by the World Health Organization ( ) as among the world’s healthiest cities.
26/01/2021

has been acknowledged by the World Health Organization ( ) as among the world’s healthiest cities.

The beautiful tunnnels of  .
23/01/2021

The beautiful tunnnels of .

The Blade Rock - one of the famous geological wonders in South Tayma, of Saudi Arabia.
20/01/2021

The Blade Rock - one of the famous geological wonders in South Tayma, of Saudi Arabia.

16/01/2021

A Kuwaiti National, Zaid Al Khabbar along with his family came to Saudi Arabia to perform Umrah. They arrived at Madina and were all set to reach Makkah to perform an Umrah. But, Al Khabbar lost his wallet, clothes and an envelope containing SR 16,000. How did he lose money? Al Khabbar revealed that...

15/01/2021
15/01/2021
মুজদালিফামুজদালিফায় অবস্থান করা হাজির জন্য ওয়াজিব। ৯ জিলহজ রাতে আরাফা ময়দান থেকে ফিরে মুজদালিফায় অবস্থান করা আবশ্যক। এখা...
20/11/2020

মুজদালিফা
মুজদালিফায় অবস্থান করা হাজির জন্য ওয়াজিব। ৯ জিলহজ রাতে আরাফা ময়দান থেকে ফিরে মুজদালিফায় অবস্থান করা আবশ্যক। এখানে রয়েছে ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যময় মসজিদ। যার নাম মসজিদে মাশআরে হারাম। হজের সফরে ৯ জিলহজ রাতে এ মসজিদ প্রান্তরে নবীজি (সা.) অবস্থান করেছেন এবং খানিকটা বিশ্রাম করেছেন বলে হাদিসে পাওয়া যায়।

পবিত্র কোরআনের মসজিদে মাশআরে হারামের কথা বর্ণিত হয়েছে। আরাফার ময়দানে ইবাদত সম্পাদনের পর এখানে আল্লাহর জন্য ইবাদতের বিশেষ নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এখানেই সম্মানিত হাজীগণ এক আজান ও দুই ইকামতে সেদিনের মাগরিব ও ইশার নামাজ আদায় করেন। এখান থেকেই কুড়িয়ে নেন মিনার জামারাতে নিক্ষেপের জন্য প্রায় ৭০টি কঙ্কর। ১০ জিলহজ সকালে চারদিক ফর্সা হওয়ার পর হাজীগণ মুজদালিফা থেকে মিনার উদ্দেশে রওনা হন।

হাজরে আসওয়াদকাবার কোণে লাগানো জান্নাতি পাথরের নাম ‘আল হাজরুল আসওয়াদ’। বাংলায় বলা হয় কালো পাথর। তাওয়াফ করার সময় এই পাথরকে...
20/11/2020

হাজরে আসওয়াদ
কাবার কোণে লাগানো জান্নাতি পাথরের নাম ‘আল হাজরুল আসওয়াদ’। বাংলায় বলা হয় কালো পাথর। তাওয়াফ করার সময় এই পাথরকে স্পর্শ করা ও চুমো দেওয়ার প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে হাদিসে। নবী কারিম (সা.) নিজেও এই পাথরকে স্পর্শ করেছেন এবং চুমো দিয়েছেন। হজরত ওমর ফারুক (রা.) একদা হাজরে আসওয়াদে চুম্বন করেন এবং বলেন, ‘আমি জানি তুমি কেবল একটি পাথর মাত্র। তোমার লাভ-লোকসানের কোনো ক্ষমতা নেই। আমি যদি নবীজিকে (সা.) তোমায় চুম্বন করতে না দেখতাম তাহলে আমি তোমাকে কখনও চুম্বন করতাম না।’ (বুখারি : ১৫৯৭)

এই পাথরটি জান্নাত থেকে নেমে আসে। তখন এটি সাদা পাথর ছিল। পরবর্তীতে রঙ বদলে কালো হয়ে যায়। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুলে আকরাম (সা.) এরশাদ করেন, ‘হাজরে আসওয়াদ যখন জান্নাত থেকে নেমে আসে তখন এটি দুধের চেয়েও সাদা ছিল কিন্তু আদম সন্তানের পাপ তাকে কালো করে দেয়।’ (তিরমিজি : ৮৭৭)। হাজরে আসওয়াদ কেয়ামতের দিন কথা বলবে। যারা তাকে চুম্বন করেছে তাদের ব্যাপারে আল্লাহ পাকের দরবারে সুপারিশ করবে। এ বিষয়ে হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘রাসুলে কারিম (সা.) এরশাদ করেছেন, আল্লাহর কসম, তিনি কেয়ামতের দিন হাজরে আসওয়াদকে দুটি চোখ ও একটি জিহবা সম্পন্ন অবস্থায় হাজির করবেন। চোখ দুটি দ্বারা দর্শন ও জিহবা দ্বারা সে কথা বলতে সক্ষম হবে। যে ব্যক্তি দুনিয়াতে তাকে ঈমানের হালাতে চুম্বন করেছে সেই ব্যক্তির জন্য সে আল্লাহ পাকের দরবারে সুপারিশ করবে।’ (তিরমিজি : ৬৭১)

হাতিমে কাবাকাবা ঘরের পাশে ধনুকের মতো যে জায়গাটি রয়েছে তার নাম হাতিমে কাবা। একে হিজরও বলা হয়ে থাকে। এ জায়গাটুকু কাবা ঘরের...
20/11/2020

হাতিমে কাবা
কাবা ঘরের পাশে ধনুকের মতো যে জায়গাটি রয়েছে তার নাম হাতিমে কাবা। একে হিজরও বলা হয়ে থাকে। এ জায়গাটুকু কাবা ঘরের অংশ ছিল। কুরাইশরা যখন কাবা ঘর পুুনঃনির্মাণ করছিল তখন অর্থ সংকটের কারণে তারা এ জায়গাটুকু বাদ দিয়ে কাবা ঘর পুনঃনির্মাণ করল। এ অংশটুকু বাদ পড়ায় নাম হলো হিজর বা হাতিমে কাবা। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে সম্বোধন করে বললেন, ‘নিশ্চয় তোমার বংশধররা কাবা ঘর পুনঃনির্মাণের সময় ছোট করে ফেলেছে। যদি এরা সদ্য শিরক পরিত্যাগকারী না হতো তাহলে তারা যা বাদ দিয়েছে তা আমি পুনঃনির্মাণ করতাম। আমার পরে যদি তা নির্মাণ করতে চায়, তাহলে এস তোমাকে দেখিয়ে দেই, তারা কোনটুকু বাদ দিয়েছে। তখন তিনি সাত হাত জায়গা দেখিয়ে দিলেন। (বোখারি : ১৫৮৪; মুসলিম : ৪০১)
এ বিষয়ে সবাই একমত যে ব্যক্তি হাতিমে প্রবেশ করল সে যেন কাবা ঘরে প্রবেশ করল। আম্মাজান আয়েশাকে (রা.) নবীজি (সা.) বলেন, ‘তুমি হিজরে (হাতিমে কাবা) প্রবেশ কর, নিশ্চয়ই সেটি বাইতুল্লাহর অন্তর্ভুক্ত।’ (আবু দাউদ : ২০২৮: নাসায়ি : ২৯১২)

আরাফাত ময়দানআরাফাতের ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় হজের মূল কার্যক্রম। মক্কা শরিফ থেকে দক্ষিণ-পূর্বদিকে অবস্থিত আরাফাতের বিস্তীর্ণ ...
20/11/2020

আরাফাত ময়দান
আরাফাতের ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় হজের মূল কার্যক্রম। মক্কা শরিফ থেকে দক্ষিণ-পূর্বদিকে অবস্থিত আরাফাতের বিস্তীর্ণ ময়দান। নবীজি (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘আরাফাই হলো হজ’। আরাফাহ আরবি শব্দ। অর্থ হলো পরিচয়। পৃথিবীর প্রথম মানব হজরত আদম (আ.) ও হজরত হাওয়া (আ.)-এর পুনঃমিলনের স্থান এটি। এ বিষয়ে তফসিরে আলজামি লিআহকামিল কোরআন নামক গ্রন্থে এসেছে জান্নাত হতে জমিনের ওপর, হজরত আদমকে (আ.) হিন্দুস্তানে এবং হজরত হাওয়াকে (আ.) জিদ্দায় অবতরণ করানো হলো। দীর্ঘদিন বিচ্ছেদের পর পরস্পর তাদের মোলাকাত আরাফার দিন মাকামে আরাফাতে হয় এবং তারা একে অপরকে চিনতে পারেন। সুতরাং সেই দিনকে ‘আরাফা’ এবং সেই স্থানকে ‘আরাফাত’ নামকরণ করা হলো। পৃথিবীর সব নবী-রাসুল ও তাদের অনুসারীরা হজের সময় এ ময়দানে এসে আল্লাহর নিকট ফরিয়াদ করেছেন। সে ধারাবাহিকতা আজও অব্যাহত রয়েছে এবং কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে। আরাফার উত্তর দিকে সারি সারি পাহাড়। এ ময়দানের সীমানা পূর্ব-পশ্চিমে প্রস্থে ৪ মাইল এবং দৈর্ঘ্যে ৭-৮ মাইল। হজ উপলক্ষে অস্থায়ী তাঁবুর শহরে পরিণত হয় পবিত্র বায়তুল্লাহ থেকে ১৮ কিমি. দক্ষিণ পূর্ব কোণে অবস্থিত এই ময়দান।

মাকামে ইবরাহিমহজরত ইবরাহীম (আ.) ও তার পুত্র ইসমাইল (আ.) আল্লাহর নির্দেশে কাবা ঘর নির্মাণ শুরু করেন। স্বাভাবিকভাবে মাটিতে...
20/11/2020

মাকামে ইবরাহিম
হজরত ইবরাহীম (আ.) ও তার পুত্র ইসমাইল (আ.) আল্লাহর নির্দেশে কাবা ঘর নির্মাণ শুরু করেন। স্বাভাবিকভাবে মাটিতে দাঁড়িয়ে কাবার দেওয়াল যে পর্যন্ত নির্মাণ করা যাচ্ছিল ইবরাহিম (আ.) তা করলেন। এবার দরকার হলো উঁচুতে দাঁড়াবার। তখন ইসমাইল (আ.) একটি পাথর নিয়ে এলেনÑ যেটি ছিল আশ্চর্য এক পাথর। এ পাথরটিতে দাঁড়িয়ে ইবরাহিম (আ.) কাবা ঘরের উঁচু দেওয়ালগুলো নির্মাণ করতে লাগলেন। আল্লাহর কুদরতে এ পাথরটিতে দাঁড়ানোর পর কাজের সুবিধা মতো এটি উঁচু-নিচু হতে থাকল।

অনেকটা বর্তমান যুগের লিফটের মতো। দীর্ঘ সময় কাজ করায় ইবরাহিম (আ.)-এর পায়ের দাগ পড়ে যায় এতে। কাবা নির্মাণের এই খেদমত আল্লাহ পাক এতটাই পছন্দ করেন যে ইবরাহিম (আ.)-এর পায়ের ছাপ সংবলিত সেই পাথর খন্ড কেয়ামত পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য রেখে দিয়েছেন। লোকজন বেশি হাত দেয় বলে বর্তমানে কাঁচ দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে এটি। এ পাথরের পাশে নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ তায়ালা।

২.সাফা মারওয়া পাহাড়মক্কা পাহাড়ের শহর। মক্কার উঁচু পাহাড় জাবালে নূরে উঠলে দেখা যায় পাহাড় আর পাহাড়। কাবা ঘরের তিন দিকেই পা...
20/11/2020

২.সাফা মারওয়া পাহাড়
মক্কা পাহাড়ের শহর। মক্কার উঁচু পাহাড় জাবালে নূরে উঠলে দেখা যায় পাহাড় আর পাহাড়। কাবা ঘরের তিন দিকেই পাহাড়। কাবা ঘর থেকে পূর্ব দিকে দুটি উঁচু পাহাড় পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে। পূর্বদিকে দাঁড়িয়ে কাবার দিকে তাকালে বামের পাহাড়টি সাফা পাহাড় আর ডানের পাহাড়টি মারওয়া পাহাড়। হজরত হাজেরা (আ.) তার পুত্র ইসমাঈলকে (আ.) রেখে পানির সন্ধানে সাফা ও মারওয়া পাহাড়দ্বয়ে দৌড়াদৌড়ি করেছিলেন। সাফা থেকে একবার গিয়েছেন মারওয়ায়, আবার মারওয়া থেকে সাফায়। এভাবে সাতবার দৌড়েছেন। এ দৌড়ানো আল্লাহর খুব পছন্দ হয়েছে। তাই আল্লাহর মেহমানদের জন্য দুই পাহাড়ের মাঝে হাঁটা ও দৌড়ানো ওয়াজিব করে দিয়েছেন।
বর্তমানে সাফা ও মারওয়া পাহাড় কেটে হাজীদের চলাচলের পথ সহজ করে দেওয়া হয়েছে। তিন তলা পথ করে দেওয়া হয়েছে ভিড় কমানোর জন্য। সাফা-মারওয়া পাহাড়ের সামান্য চিহ্ন এখন দেখা যায়। সাফা পাহাড়কে কাচ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। সাফা ও মারওয়া উভয় পাহাড়ের ওপর থেকে কাবা দেখা যায়। এ দুই পাহাড়ের ওপর দোয়া করলে দোয়া কবুল হয়।

মক্কা শরীফের ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান:(মাওলানা গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী)সৌদি আরবের মক্কা নগরী। যেখানে নির্মিত হয়েছে আল্লাহর...
20/11/2020

মক্কা শরীফের ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান:
(মাওলানা গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী)
সৌদি আরবের মক্কা নগরী। যেখানে নির্মিত হয়েছে আল্লাহর ঘর ‘পবিত্র কাবা’। যেখান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে হেদায়াতের আলো। বরকতের অনন্ত ধারা। যেখানে প্রথম উচ্চারিত হয়েছিল ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক।’ যেখানে নবী ইসমাইলের জমজম কূপ। নবী ইবরাহিমের মাকাম। মা হাজেরার স্মৃতিবহ সাফা-মারওয়া। নবী আদম ও মা হাওয়ার আরাফা। যেখানে নবী মোহাম্মদের (সা.) গারে হেরা। গারে সাওর। ঐতিহাসিক মিনা-মুজদালিফা। আরও কত স্মৃতি। প্রতিবছর সারা বিশ্বথেকে লাব্বাইক বলে শুভ্র কাফেলা রওনা হয় কাবার পানে। মক্কা মোকাররমার পথে। হজ আদায়ের পাশাপাশি বরকত গ্রহণ করে সেখানকার ঐতিহাসিক বিভিন্ন নিদর্শন থেকে।
১.কাবা শরিফ
ইসলাম ধর্মের পবিত্র নগরী মক্কা। এই মক্কা সম্মানিত হওয়ার একমাত্র কারণ এখানে আল্লাহ পাক তার ঘর কাবা শরিফ নির্মাণ করেছেন। এ ঘরের সম্মানেই পৃথিবীর সূচনা লগ্ন থেকে মক্কাকে অতি সম্মানিত শহর হিসেবে অভিষিক্ত করেছেন। কাবা শরিফের আরেকটি নাম বায়তুল আতিক। বাইতুন মানে ঘর। আর আতিক মানে প্রাচীন। যেহেতু এটিই পৃথিবীর প্রথম ঘর তাই একে কোরআনে এ নামেও অভিহিত করা হয়েছে। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনে কাবাকে বাক্কা, আল বালার, আল কারিয়াহ ও উম্মুল কুরা বলেও সম্বোধন করা হয়েছে।

হজের মূল আকর্ষণ বায়তুল্লাহ বা কাবা ঘর। এ কাবা ঘর সর্বপ্রথম ফেরেশতারা নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে আদম (আ.) আবার নির্র্মাণ করেন। নূহ (আ.)-এর বন্যার সময় তা ধ্বংস হয়ে গেলে আল্লাহর নির্দেশে হজরত ইবরাহিম (আ.) তার পুত্র হজরত ইসমাঈলকে সঙ্গে নিয়ে তা পুনঃনির্মাণ করেন। ইসলাম আবির্ভাবের কিছু পূর্বে এটি আরেকবার কুরাইশদের মাধ্যমে পুনঃনির্মাণ করা হয়। সে সময় নবী করিম (সা.)ও এতে অংশ নিয়ে ছিলেন। তখন তার বয়স ছিল ২৫ বছর। সর্বশেষ কাবা ঘর নির্মাণ পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে আম্মাজান আয়েশা সিদ্দিকা (রা.)-এর ভাগিনা হজরত আবদুল্লাহ ইবনে যোবায়ের (রা.)-এর শাসনামলে। এরপর থেকে এ পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন না হলেও ছোটখাট নানা সংস্কারের কাজ হয়েছে।

মক্কা-মদিনায় প্রিয় নবী সা.-এর স্মৃতিময় কিছু স্থান:মাহফুজ আবেদ,banglanews24মসজিদে হারামের আনুমানিক ৫০ মিটার দূরে ‘সুক-আল-...
20/11/2020

মক্কা-মদিনায় প্রিয় নবী সা.-এর স্মৃতিময় কিছু স্থান:

মাহফুজ আবেদ,banglanews24

মসজিদে হারামের আনুমানিক ৫০ মিটার দূরে ‘সুক-আল-লাইল্’ মহল্লার ‘আবদুল মুত্তালিবে’র বাড়ি। যেখানে দু’জাহানের বাদশাহ জন্মগ্রহণ করেছিলেন- তা একটি দর্শনীয় স্থান।


নবীর দুধ মাতা হজরত হালিমা সাদিয়ার (রা.) বাড়ি। ‘বনু সাআদ’ গোত্রের একটি সাধারণ বাড়ি ও এর কাছের একটি কূপ প্রিয় নবী (সা.)-এর স্মৃতিধন্য।হালিমা সাদিয়া (রা.)-এর সৌভাগ্য যে, তিনি নবী করমি (সা.) কে দুধপান করিয়েছিলেন। আর রাহমাতুল লিল আলামিনের শুভাগমনে ধূসর ও মৃতপ্রায় খেজুর বাগানে জেগেছিল সবুজের সমারোহ।

মক্কার কাবা ঘরের অদূরে অবস্থিত ‘জাবালে নুর’ যা হেরা পর্বত হিসেবে খ্যাত- এখানেই পবিত্র কোরআন নাজিলের শুভ সূচনা হয়। সর্বপ্রথম সূরা আলাকের প্রথম পাঁচটি আয়াত নাজিল হয় এখানেই- ‘পাঠ কর, তোমার প্রভুর নামে...।


পবিত্র মক্কার ৯৫ কি.মি. উত্তর-পূর্বে অবস্থিত ‘তায়েফ প্রান্তর। ’ নবুওয়তের দশম বর্ষে প্রিয়নবী (সা.) এখানে ইসলাম প্রচারের জন্য এসে লাঞ্ছিত ও রক্তাক্ত অবস্থায়, ওত্বা ইবনু রাবিয়াহর আঙ্গুর বাগানে আশ্রয় গ্রহণ করেছিলেন।
‘জাবালে সওর’ প্রিয় নবী (সা.)-এর হিজরতের স্মৃতি বিজড়িত স্থান। হিজরতের সময় প্রিয় নবী (সা.) ও হজরত আবু বকর সিদ্দীক (রা.) তিন দিন তিন রাত অবস্থান করেছিলেন। এখানেই হজরত আবু বকর (রা.) প্রিয় নবী (সা.)-এর নিরাপত্তার জন্য সাপের গর্তের মুখে নিজের পা চেপে ধরেছিলেন এবং সাপের দংশনেও অস্থির হননি বরং শত্রুর পদধ্বনি শুনে অস্থির হয়েছিলেন। তখন প্রিয় নবী (সা.) বলেছিলেন, পবিত্র কোরআনের ভাষায়- ‘তিনি আপন সঙ্গীকে বললেন, বিষন্ন হয়ো না, আল্লাহ আমাদের সঙ্গেই আছেন...। ’ –সূরা তওবা: ৪০
প্রিয় নবী (সা.)-এর স্মৃতিবিজড়িত মসজিদে জ্বীন
মক্কা-মদিনায় প্রিয় নবী (সা.)-এর স্মৃতিবিজড়িত অনেক মসজিদ রয়েছে- মসজিদে কুবা, মসজিদে নব্বী, মসজিদে কিবলাতাইন, মসজিদে জুময়া ও মসজিদে জ্বীন ইত্যাদি।

মদিনা থেকে তিন মাইল দূরের আলিয়া বা কোবায় প্রিয় নবী (সা.) কে স্বাগত জানান আমর ইবনু আউফ গোত্রের প্রধান কুলসুম ইবনু হাদাম (রা.)। মদিনায় প্রবেশের আগে প্রিয় নবী (সা.) এখানে চৌদ্দ দিন অবস্থান করেছিলেন। এখানে প্রিয় নবী (সা.) একটি মসজিদ নির্মাণ শুরু করেন। এই ‘মসজিদে কুবা’ হলো প্রিয় নবী (সা.)-এর তৈরি প্রথম মসজিদ। এই মসজিদের প্রশংসায় মহান আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘যে মসজিদের ভিত্তি রাখা হয়েছে তাকওয়ার (ধর্মভীরুতা) ওপর...। ’ –সূরা তওবা: ১০৮

মসজিদে জুময়া কুবায় দু’সপ্তাহ অবস্থানের পর প্রিয় নবী (‍সা.) মদিনার উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথিমধ্যে তার উট বনি সালাম গোত্রের এলাকায় থামলো- সেখানে প্রিয় নবী (সা.)-এর খুতবা ও ইমামতিতে সর্বপ্রথম জুমার নামাজ আদায় করা হয়। প্রিয় নবী (সা.)-এর স্মৃতিচিহ্ন এ স্থানেই নির্মিত হয় মসজিদে জুময়া।

‘মসজিদে নব্বী’ যে মসজিদকে প্রিয় নবী (সা.) সব সময় বলতেনড়- আমার মসজিদ। হিজরতের পর টানা ১০ বছরের অধিকাংশ সময় প্রিয় নবী (সা.) এখানেই অবস্থান করেছিলেন।
প্রিয় নবী (সা.)-এর স্মৃতিবিজড়িত মসজিদে কিবলাতাইন
হজরত আবু আইয়ুব আনসারী (রা.)-এর বাড়ি সংলগ্ন একটি পড়ো জমির মালিক সহল ও সুহাইল বালকদ্বয়। এখানেই নির্মিত হয়- ‘মসজিদে নব্বী। ’ এ মসজিদটি ছিল- নবী করিম (সা.)-এর আবাসস্থল, প্রশাসনিক কেন্দ্র ও জীবনের সর্বশেষ বিশ্রামস্থল। যার সৌন্দর্য ছিল ঈমান, ইনসাফ ও আধ্যাত্মিকতা।

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে নবী! আপনি নিজের মুখ মসজিদে হারামের (কাবা) দিকে ফেরান...। ’ –সূরা বাকারা: ৪৯

কেননা, নবী করিম (‍সা.) ২য় হিজরি সালের শাবান মাস পর্যন্ত বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরে নামাজ আদায় করতেন। একদিন বনী সালমায় প্রিয় নবী (সা.) ইমামতিতে নামাজরত অবস্থায় কেবলা পরিবর্তনের নির্দেশ নাজিল হয়।

একারণে একই নামাজে প্রিয় নবী (সা.) ও সাহাবিরা প্রথম দু’রাকাত বায়তুল মুকাদ্দাস ও শেষ দু’রাকাত কাবার দিকে ফিরে আদায় করেছিলেন।

প্রিয় নবী (সা.)-এর স্মৃতিধন্য এ মসজিদকে দু’কিবলা বিশিষ্ট মসজিদ বা মসজিদে কিবলাতাইন বলে।

‘মসজিদে জ্বীন’ এখানে জ্বীনরা প্রিয় নবী (সা.)-এর কণ্ঠে পবিত্র কোরআন শুনে, ঈমান আনে।

মদিনায় বৃষ্টির জন্য ‘ইসতেসকা নামাজ’ (বৃষ্টির নামাজ) আদায় করার কারণে প্রিয় নবী (সা.)-এর স্মৃতিধন্য ঐতিহাসিক মসজিদের নাম- ‘মসজিদে গামামাহ। ’

প্রিয় নবী (সা.)-এর শ্রেষ্ঠতম স্মৃতিচিহ্ন তার ‘রওজাতুল আতহার’ বা ‘পবিত্র সমাধি। ’
প্রিয় নবী (সা.)-এর শ্রেষ্ঠতম স্মৃতিচিহ্ন- রওজাতুল আতহার
উম্মতে মুহাম্মদির সর্বকালীন সর্বাত্মক ঐক্যমত হলো- ‘বায়তুল্লাহর পর দুনিয়ার বুকে সর্বোৎকৃষ্ট ও সর্বাপেক্ষা মর্যাদাপূর্ণ স্থান হলো- রওজাতুল আতহার বা পবিত্র সমাধি।

ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আকাঙ্ক্ষায় থাকেন, জীবনে একটিবারের জন্য হলেও যেন রওজা শরিফ জিয়ারতে যেয়ে বলতে পারেন; ‘আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসূলুল্লাহ। ’

কারণ, প্রিয় নবী (সা.) নিজে বলেছেন, ‘যে আমার কবর জিয়ারত করবে, তার জন্য শাফায়াত করা আমার কর্তব্য হয়ে যায়।

24x7 Bangla and English Online news portal from Bangladesh, covering all latest / current BD News and international news. Top and instant 24/7 Live News provider in BD.

19/11/2020
হজ্ব ও উমরাকারীগণ আল্লাহর প্রতিনিধি দল। তারা দুআ করলে তাদের দুআ কবুল করা হয় এবং তারা কিছু চাইলে তাদেরকে তা দেওয়া হয়।-...
19/11/2020

হজ্ব ও উমরাকারীগণ আল্লাহর প্রতিনিধি দল। তারা দুআ করলে তাদের দুআ কবুল করা হয় এবং তারা কিছু চাইলে তাদেরকে তা দেওয়া হয়।-মুসনদে বাযযার, হাদীস : ১১৫৩; মাজমাউয যাওয়াইদ, হাদীস : ৫২৮৮; তবারানী, হাদীস : ১৭২১

19/11/2020

গ্রন্থঃ মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
অধ্যায়ঃ পর্ব-১১ঃ হজ্জ (كتاب المناسك)
হাদিস নম্বরঃ ২৫০৮

২৫০৮-[৪] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এক ‘উমরা হতে অপর ‘উমরা পর্যন্ত সময়ের জন্য (গুনাহের) কাফফারাহ স্বরূপ আর কবূলযোগ্য হজের প্রতিদান জান্নাত ব্যতীত আর কিছু নয়। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

[1] সহীহ : বুখারী ১৭৭৩, মুসলিম ১৩৪৯, নাসায়ী ২৬২৯, তিরমিযী ৯৩৩, ইবনু মাজাহ ২৮৮৮, মুয়াত্ত্বা মালিক ১২৫৭, ইবনু আবী শায়বাহ্ ১২৬৩৯, আহমাদ ৯৯৪৮, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ২৫১৩, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮৭২৪, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩৬৯৬, সহীহ আল জামি‘ ৪১৩৬।

19/11/2020

গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ২৫/ হাজ্জ (كتاب الحج)
হাদিস নম্বরঃ ১৫৩৬


২৫/১৭. (ইহরামের) কাপড়ে খালুক বা সুগন্ধি লেগে থাকলে তিনবার ধৌত করা।

১৫৩৬. সাফ্ওয়ান ইবনু ই‘য়ালা (রহ.) হতে বর্ণিত যে, ই‘য়ালা (রাঃ) ‘উমার (রাঃ)-কে বললেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর ওয়াহী অবতরণ মুহূর্তটি আমাকে দেখাবেন। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘জি’রানা’ নামক স্থানে অবস্থান করছিলেন, তাঁর সঙ্গে কিছু সংখ্যক সাহাবী ছিলেন। এমন সময় এক ব্যক্তি এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! কোন ব্যক্তি সুগন্ধিযুক্ত পোশাক পরে ‘উমরাহ’র ইহরাম বাঁধলে তার সম্পর্কে আপনার অভিমত কী? নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছুক্ষণ নীরব রইলেন। এরপর তাঁর নিকট ওহী আসল। ‘উমার (রাঃ) ই‘য়ালা (রাঃ)-কে ইঙ্গিত করায় তিনি সেখানে উপস্থিত হলেন। তখন একখন্ড কাপড় দিয়ে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’র উপর ছায়া করা হয়েছিল, ই‘য়ালা (রাঃ) মাথা প্রবেশ করিয়ে দেখতে পেলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মুখমন্ডল লাল বর্ণ, তিনি সজোরে শ্বাস গ্রহণ করছেন। এরপর সে অবস্থা দূর হলো। তিনি বললেনঃ ‘উমরাহ সম্পর্কে প্রশ্নকারী কোথায়? প্রশ্নকারীকে উপস্থিত করা হলে তিনি বললেনঃ তোমার শরীরের সুগন্ধি তিনবার ধুয়ে ফেল ও জুববাটি খুলে ফেল এবং হাজ্জে যা করে থাক ‘উমরাহতেও তাই কর। (রাবী ইবনু জুরাইজ বলেন) আমি ‘আত্বা (রহ.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, তিনবার ধোয়ার নির্দেশ দিয়ে তিনি কি উত্তমরূপে পরিষ্কার করা বুঝিয়েছেন? তিনি বললেন, হাঁ, তাই। (১৭৮৯, ১৮৪৭, ৪৩২৯, ৪৯৮৫, মুসলিম ১৫/১, হাঃ ১১৮০, আহমাদ ১৭৯৮৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৪৩৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৪৪২)

19/11/2020

কুরআন ও হাদীসের আলোকে
উমরা করার নিয়ম

গ্রন্থনা : ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

১. যখন মীকাতে পৌঁছবে তখন উমরা কারীর জন্য মুস্তাহাব হলো গোসল করা এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হওয়া, অনুরূপভাবে উমরা আদায়কারী মহিলাও গোসল করবে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হবে, যদিও এ সময় তার হায়েয বা নেফাস থাকে। হায়েয বা নেফাস ওয়ালা মহিলা ইহরাম বাঁধতে পারবে তবে সে তার হায়েয বা নেফাস থেকে পবিত্র হওয়া ও গোসল না করা পর্যন্ত বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করবে না। উমরা কারী পুরুষ গায়ে সুগন্ধি লাগাবে, তবে তার ইহরামের কাপড়ে নয়। যদি মীক্কাতে পৌছার পর গোসল করা সম্ভব না হয় তবে তাতে দোষের কিছু নেই। অনুরূপভাবে যদি সম্ভব হয় মক্কায় পৌছার পর তাওয়াফ শুরু করার পূর্বে আবার গোছল করে নেয়া মুস্তাহাব ।
২. পুরুষ যাবতীয় সিলাইযুক্ত কাপড় (যেমন জামা, পাজামা, গেন্জী ইত্যাদী যা পোষাকের আকারে তৈরী তা) পরা থেকে বিরত থাকবে। একটি লুঙ্গি ও চাদর পরিধান করবে, তার মাথা খোলা রাখবে। তবে ইহরামের কাপড় দুটি সাদা ও পরিষ্কার হওয়া মুস্তাহাব।
তবে মহিলা তার সাধারণ পোষাকেই ইহরাম বাঁধবে, লক্ষ্য রাখবে যাতে কোনো প্রকার চাকচিক্য ও প্রসিদ্ধি লাভ করে এ রকম পোষাক না হয়।
৩. তারপর উমরার কাজে ঢুকার জন্য মনে মনে নিয়্যত (দৃঢ় সংকল্প) করবেন, আর মুখে উচ্চারণ করে বলবেনঃ
لَبَّيْكَ عُمْرَةً
‘‘লাব্বাইকা ‘উমরাতান’’।
অর্থাৎঃ আমি উমরাহ আদায়ের জন্য তোমার দরবারে উপস্থিত হলাম।
অথবা বলবেঃ
اَللَّهُمَّ لَبَّيْكَ عُمْرَةً
‘‘আল্লাহুম্মা লাববাইকা উমরাতান’’।
অর্থাৎঃ হে আল্লাহ আমি উমরাহ আদায়ের জন্য তোমার দরবারে উপস্থিত হলাম।
অন্য কারো জন্য উমরা করতে চাইলে (যদি আপনি পূর্বে আপনার উমরা আদায় করে থাকেন তবে) উচ্চারণ করবেন:
اَللَّهُمَّ لَبَّيْكَ عُمْرَةً مِنْ فُلانٍ
‘‘আল্লাহুম্মা লাববাইকা উমরাতান মিন পুলান’’
অর্থাৎঃ ‘‘হে আল্লাহ আমি অমুকের (তার নাম ধরে) পক্ষ হতে উমরাহ পালনের জন্য হাজির’’ ।
যদি মুহরিম ভয় করে যে সে রুগ্ন, অথবা শত্রুর ভয়ের কারণে উমরাহ করতে সামর্থ হবেনা তবে তার জন্য ইহরামের সময় শর্ত করে নেয়া জায়েয। সে বলতে পারবেঃ
«فِإِنْ حَبَسَنِيْ حَابِسٌ فَمَحَلِّيْ حَيْثُ حَبَسْتَنِيْ»
“ফায়িন হাবাসানি হাবিসুন ফামাহাল্লি হাইছু হাবাস্তানী’’
অর্থাৎঃ “যদি কোন বাধাদানকারী আমাকে বাধা দেয়, তাহলে যেখানে আমি বাধাগ্রস্থ হবো সেখানেই আমি হালাল হয়ে যাবো।”
মহিলা সাহাবী দুবায়া বিনতে যুবাইর (রাদিয়াল্লাহু আনহা) তিনি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বললেনঃ আমি হজ্ব করতে চাই তবে রোগাক্রান্ত হয়ে যাওয়ার ভয় করছি, তখন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ
«حجي واشترطي أن محلي حيث حبستني»
‘‘হজ্জ করতে শুরু কর এবং শর্ত করে নাও, এবং বলোঃ যদি কোন বাধাদানকারী আমাকে বাধা দেয়, তাহলে যেখানে আমি বাধাগ্রস্থ হবো সেখানেই আমি হালাল হয়ে যাবো’’। বুখারী, মুসলিম।
তারপর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর তালবিয়া পাঠ করবেন আর তা হলোঃ
«لَبَّيْكَ اللّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ»
(লাববাইকা আল্লাহুম্মা লাববাইক, লাববাইকা লা শারীকা লাকা লাববাইক, ইন্নাল হামদা ওয়াননি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারীকা লাক।)
অর্থাৎ “উমরাহের জন্য আমি তোমার দরবারে হাজির। হে আল্লাহ্ ! আমি তোমার দরবারে হাজির, আমি তোমার দ্বারে উপস্থিত, তোমার কোন অংশীদার নেই, তোমার দরবারে উপস্থিত হয়েছি। সর্বপ্রকার প্রশংসা ও নেয়ামতের সামগ্রী সবই তোমার, তোমারই রাজত্ব, তোমার কোন অংশীদার নেই।”
উল্লিখিত দো‘আ পুরুষ লোকেরা মুখে জোরে উচ্চারণ করবে, আর স্ত্রীলোকেরা চুপে চুপে বলবে। অতঃপর অধিক মাত্রায় তালবিয়া পড়বেন এবং দো‘আ, যিকর- ইস্তেগফার করবেন।
পবিত্র মক্কায় পৌঁছার পর সম্ভব হলে গোসল করবেন, তারপর মসজিদে হারামে ঢুকার সময়ে ডান পা দিয়ে ঢুকবেন এবং মসজিদে ঢুকার দো‘আ পড়বেন, তা হলোঃ-
«بِسْمِ اللهِ وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلى رَسُوْلِ اللهِ، أَعُوذُ بِاللَّهِ الْعَظِيمِ وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيمِ وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيمِ مِنْ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ، اللَّهُمَّ افْتَحْ لِيْ أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ»
(বিসমিল্লাহ ওয়াস্‌সালাতু ওয়াস্‌সালামু ‘আলা রাসূলিল্লাহ, আউযুবিল্লাহিল আযীম ওয়া বিওয়াজহিহিল কারীম ওয়া সুলতানিহিল কাদীম মিনাশ শায়তানির রাজীম। আল্লাহুম্মাফতাহ্ লি আবওয়াবা রাহমাতিক।)
অর্থাৎঃ ‘‘আল্লাহর নামে, আর তার রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপর দুরুদ পাঠ করছি, আমি বিতাড়িত শয়তান হতে মহান আল্লাহর কাছে তার সম্মানিত চেহারার, এবং তাঁর অনাদি ক্ষমতার ওসীলায় আশ্রয় প্রার্থনা করছি, আল্লাহ তুমি আমার জন্য তোমার রহমতের দ্বারগুলো উম্মুক্ত করে দাও’’।
৪. তারপর যখন কা’বার কাছে পৌঁছবেন তখনি তালবিয়া পাঠ বন্ধ করে দিবেন। হাজরে আসওয়াদের কাছে যাওয়ার পর তার দিকে ফিরবেন, সম্ভব হলে ডান হাত দিয়ে তা স্পর্শ করবেন, এবং চুমু খাবেন, ভীড় করে মানুষকে কষ্ট দিবেন না। হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ করার সময়ে বলবেনঃ
بِسْمِ اللهِ، وَاللهُ أَكْبَرُ
(বিসমিল্লাহে ওয়াল্লাহু আকবার)
অথবা বলবেনঃ
اللهُ أَكْبَرُ
(আল্লাহু আকবার)
যদি হাজরে আসওয়াদ চুমু দেয়া কষ্টকর হয় তা হলে হাত অথবা লাঠি দিয়ে স্পর্শ করার পর যে বস্তু দিয়ে স্পর্শ করেছেন তাতে চুমু খাবেন, আর যদি স্পর্শ করাও কষ্টকর হয় তবে হাজারে আসওয়াদের দিকে ইশারা করবেন এবং বলবেনঃ
اللهُ أَكْبَرُ
(আল্লাহু আকবার)
তবে এ অবস্থায় হাত বা যা দ্বারা ইঙ্গিত করেছেন তাতে চুমু খাবেন না।
মনে রাখবেন, তাওয়াফ শুদ্ধ হবার জন্য শর্ত হলোঃ ছোট বড় সর্ব প্রকার নাপাকী হতে পবিত্র অবস্থায় থাকা, কেননা তাওয়াফ নামাজের মত, শুধুমাত্র তাওয়াফের সময় কথা বলার অনুমতি আছে।
৫. তাওয়াফ করার সময় আল্লাহর ঘর কাবাকে বাম পার্শ্বে রাখবেন, এবং সাতচক্কর কা’বার চারদিকে তাওয়াফ করবেন। যখন রুকনে ইয়ামানীর কাছে আসবেন তখন যদি সম্ভব হয় তা ডান হাতে স্পর্শ করবেন। কিন্তু রুকনে ইয়ামানীকে চুমু খাবেন না। যদি রুকনে ইয়ামানী স্পর্শ করা সম্ভব না হয় তবে ছেড়ে সামনে চলে যাবেন এবং তাওয়াফ করতে থাকবেন, কোন প্রকার ইশারা বা তাকবীর দিবেন না। কেননা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে তা বর্ণিত হয়নি। কিন্তু হাজারে আসওয়াদের নিকট যখনই পৌঁছবেন তখনি তা স্পর্শ করবেন এবং চুমু খাবেন, এবং তাকবির বলবেন, (যেমনটি পূর্বে বর্ণিত হয়েছে), দি স্পর্শ করা সম্ভব না হয় তবে সে দিকে ইশারা করবেন এবং তাকবীর বলবেন।
এ তাওয়াফের মধ্যে পুরুষদের জন্য সুন্নাত হলো এদতেবা‘ করা অর্থাৎ গায়ের চাদরের মধ্যভাগকে ডান বোগলের নীচে দিয়ে দু’পার্শ্বকে বাম কাঁধের উপর রাখা। তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করে রমল করাও পুরুষদের জন্য সুন্নাত। রমল হলো ছোট ছোট পদক্ষেপে দ্রুত হাঁটা।
তাওয়াফ কালীন সময়ে সুনির্দিষ্ট কোন দো‘আ বা জিকির নেই, প্রত্যেক চক্করেই ইচ্ছামত শরীয়তসম্মত যিকর ও দো‘আ পাঠ করা মুস্তাহাব। তবে তাওয়াফের প্রত্যেক চক্করের মধ্যে রুকনে ইয়ামানী ও হাজারে আসওয়াদের মধ্যবর্তীস্থানে নিম্নলিখিত দো‘আ পড়া সুন্নাত:
﴿رَبَّنَآ ءَاتِنَا فِي ٱلدُّنۡيَا حَسَنَةٗ وَفِي ٱلۡأٓخِرَةِ حَسَنَةٗ وَقِنَا عَذَابَ ٱلنَّارِ ٢٠١﴾ [البقرة:201]
(রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাঁও ওয়াফিল আখিরাতে হাসানাতাঁও ওয়া ক্বিনা ‘আযাবান-নার)।
অর্থাৎ হে আমাদের প্রভু! আমাদেরকে দুনিয়ায় কল্যাণ দান করুন এবং আখিরাতেও কল্যাণ দান করুন। আর দোযখের অগ্নি থেকে আমাদের বাঁচান। [সূরা আল-বাক্বারাহ্: ২০১]
সম্ভব হলে তাকবীর সহ হাজারে আসওয়াদকে স্পর্শ করা ও চুমু দেয়ার মাধ্যমে সপ্তম চক্কর শেষ করবেন, কিন্তু সম্ভব না হলে পূর্বের মত শুধু ইশারা এবং তাকবীর পড়লেই যথেষ্ট।
তাওয়াফ শেষ করার পর গায়ের চাদর ভাল করে পরে নিবেন, অর্থাৎ কাঁধে এবং বুকে কাপড় দিয়ে নিবেন। ইদতেবা অবস্থায় থাকবেন না। তারপর সম্ভব হলে মাকামে ইবরাহীমের পেছনে কিছুটা দূরে হলেও দু’ রাকাত নামায পড়বেন। আর যদি তা সম্ভব না হয়, তবে মসজিদের যে জায়গায় সম্ভব সেখানেই সামায পড়বেন। প্রথম রাকাতে সুরা ফাতেহার পরে قل يا أيها الكافرون (সুরা কাফেরুন) এবং দ্বিতীয় রাকাতে قل هو الله أحد (সুরা ইখলাস) পড়া উত্তম। যদি অন্য কোন সূরা পড়ে তবে কোন দোষ নেই। এ দু’রাকাত নামাজের পর যদি হাজরে আসওয়াদ চুমু দেয়া সম্ভব হয় তবে তা করবেন।
৭. তারপর সাফা পাহাড়ের কাছে যাবেন এবং এর উপর আরোহণ করবেন অথবা এর নিচে দাঁড়াবেন, তবে যদি সম্ভব হয় পাহাড়ের কিয়দংশে উঠা উত্তম। আর প্রথম চক্করের শুরুতে আল্লাহ্‌র এ বাণী পাঠ করুন:
﴿۞إِنَّ ٱلصَّفَا وَٱلۡمَرۡوَةَ مِن شَعَآئِرِ ٱللَّهِۖ﴾ [البقرة:158]
(ইন্নাচ্ছাফা ওয়াল মারওয়াতা মিন শা‘আ-ইরিল্লাহ)।
অর্থাৎ নিশ্চয়ই সাফা এবং মারওয়া আল্লাহ্‌র নিদর্শনসমূহের অন্তর্গত। [সূরা আল-বাক্বারাহ: ১৫৮]
এরপর কা’বা শরীফকে সামনে রেখে প্রার্থনাকারীর ন্যায় দু’ হাত উর্ধে তুলে আল্লাহ্ তা‘আলার প্রশংসা করে তিনবার তাকবীর পড়ুন (আল্লাহু আকবার বলুন)। তিনবার করে দো‘আ করা হচ্ছে সুন্নাত। অতঃপর তিনবার নিম্নোক্ত দো‘আ পড়ুন :
«لاَ إِلهَ إِلا اللهَ وَحْدَه لا شَرِيْكَ لَه لَهُ الْمُلْكُ وَلَه الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْر لا إِلهَ إِلا الله وَحْدَه أَنْجَزَ وَعْدَه وَنَصَر عَبْدَه وَهَزَمَ الأَحْزَابَ وَحْدَه»
(লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু, আনজাযা ওয়া’দাহু, ওয়া নাছারা আবদাহু, ওয়া হাযামাল আহজাবা ওয়াহদাহু।)
অর্থাৎ একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া প্রকৃত কোন মাবুদ নেই। তাঁর কোন শরীক নেই। সমস্ত রাজত্ব ও প্রশংসা তাঁরই। তিনি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান। একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া প্রকৃত কোন উপাস্য নেই। তিনি তাঁর ওয়াদা পূর্ণ করেছেন, তাঁর বান্দাকে বিজয় দিয়েছেন এবং তিনি একাই শত্রুকে পরাজিত করেছেন।
এই দো‘আর কিয়দংশ পড়লেও কোন দোষ নেই। তবে যেহেতু শরীয়তে এখানে বেশী বেশী করে দো‘আ করার কথা বলা হয়েছে সেহেতু যাবতীয় দো‘আই এখানে করতে পারেন।
অতঃপর সাফা হতে নেমে মারওয়ার দিকে যাবেন । সায়ীকালীন সময়ে পুরুষগণ দু’সবুজ আলোর মধ্যবর্তী স্থানে দ্রুত চলবেন এবং এর আগে ও পরে স্বাভাবিকভাবে চলবেন। মহিলাগণ কোথাও দ্রুত চলবেননা, কারণ মহিলাগণ পর্দা করবেন, দ্রুত হাঁটা মহিলাদের পর্দার বিপরীত।
এরপর যখন মারওয়ার কাছে যাবেন, তখন তার উপর আরোহণ করবেন অথবা নিচে দাঁড়াবেন এবং আল্লাহ্‌র প্রশংসা জ্ঞাপন করবেন এবং সাফায় যেমনটি করেছেন এখানেও তেমনটি করবেন। অর্থাৎঃ মারওয়ার উপরে উঠার পরে কা’বা শরীফকে সামনে রেখে প্রার্থনাকারীর ন্যায় দু’ হাত উর্ধে তুলে আল্লাহ্ তা‘আলা তা‘আলার প্রশংসা করে তিনবার (আল্লাহু আকবার) তাকবীর উচ্ছারণ করবেন। অতঃপর তিনবার নিম্নোক্ত দো‘আ পড়বেন :
«لاَ إِلهَ إِلا اللهَ وَحْدَه لا شَرِيْكَ لَه لَهُ الْمُلْكُ وَلَه الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْر لا إِلهَ إِلا الله وَحْدَه أَنْجَزَ وَعْدَه وَنَصَر عَبْدَه وَهَزَمَ الأَحْزَابَ وَحْدَه»
(লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু, আনজাযা ওয়া’দাহু, ওয়া নাছারা আবদাহু, ওয়া হাযামাল আহজাবা ওয়াহদাহু।)
অর্থাৎ একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া প্রকৃত কোন মাবুদ নেই। তাঁর কোন শরীক নেই। সমস্ত রাজত্ব ও প্রশংসা তাঁরই। তিনি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান। একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া প্রকৃত কোন উপাস্য নেই। তিনি তাঁর ওয়াদা পূর্ণ করেছেন, তাঁর বান্দাকে বিজয় দিয়েছেন এবং তিনি একাই শত্রুকে পরাজিত করেছেন।
সাফার মত মারওয়া ও বেশী বেশী করে দো‘আ করার স্থান। যাবতীয় দো‘আই এখানে করতে পারেন।
তবে এখানে প্রথমে বর্ণিত কুরআনের আয়াতটুকু পাঠ করবেন না, কেননা কোরআনের আয়াতটুকু রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে অনুসরণ করে শুধুমাত্র সাফা পাহাড়ে উঠার সময়ে পড়তে হয়।
তারপর মারওয়া থেকে নামবেন, এবং যেখানে স্বাভাবিক ভাবে হাঁটার সেখানে স্বাভাবিকভাবে হাঁটবেন, আর যেখানে দ্রুত চলার সেখানে দ্রুত চলবেন। এভাবে সাফা পাহাড়ে পৌঁছবেন। এভাবে সাতবার সায়ী করবেন। সাফা থেকে মারওয়া যাওয়া এক চক্কর, আবার মারওয়া থেকে সাফা পাহাড়ে আসা আরেক চক্কর, তাওয়াফের মত যদি কেউ কোন কিছুর উপর উঠে সায়ী করে তবে তাতেও দোষ নেই, বিশেষ করে যখন তার প্রয়োজন হবে।
তাওয়াফের মত সায়ীর জন্যও কোন নির্দিষ্ট ওয়াজিব যিক্র নেই। বরং যে কোন যিক্র, দো‘আ ও কুরআন তেলাওয়াতের যা তার জন্য সহজসাধ্য হবে, তা-ই পাঠ করতে পারবেন। তবে এ ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম থেকে যেসব যিক্র ও দো‘আ সাব্যস্ত রয়েছে, তার প্রতি লক্ষ্য রাখা মুস্তাহাব। অনুরূপভাবে যাবতীয় নাপাকী হতে পবিত্র হওয়াও মুস্তাহাব। তবে যদি কেউ অপবিত্র অবস্থায়ও সায়ী করে তার সায়ী শুদ্ধ হবে, কোন অসুবিধা নেই।
৮. সাঈ পূর্ণ করে মাথার চুল হলক করবেন (কামাবেন) অথবা ছোট করে ছেঁটে নেবেন । তবে কামানো উত্তম। যদি হজ্বের আগে আপনি মক্কা এসে থাকেন এবং হজ্বের বেশী দিন বাকী না থাকে তবে উত্তম হল উমরাহের পর চুল ছোট করে ছাঁটা যাতে হজ্জের ইহরাম থেকে হালাল হওয়ার সময় হলক করতে পারেন।
খেয়াল রাখবেন আপনার চুল কাটা বা ছাঁটা যা-ই- করেননা কেন সম্পূর্ণ মাথা থেকে হতে হবে। সামান্য কিছু কাটলে বা ছাঁটলে হবেনা। এটা পুরুষের ক্ষেত্রে ।
মহিলাগণ তাদের চুল একত্র করে চুলের অগ্রভাগ থেকে এক আঙুলের অগ্রভাগ পরিমাণ কাটবেন। এভাবে আপনার উমরাহ্ পূর্ণ হয়ে যাবে এবং ইহরামের কারণে ইতিপূর্বে যা হারাম ছিল, এক্ষণে তা হালাল হয়ে যাবে।
আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর প্রদর্শিত নিয়মমত ইবাদাত করার তৌফিক দিন।

(আমাকে আপনাদের দো‘আয় ভুলবেন না)।

Address


Telephone

+8801519112112

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when House of Perfumes posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to House of Perfumes:

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Travel Agency?

Share