বাংলার পথিক - 𝐁𝐞𝐧𝐠𝐚𝐥 𝐓𝐫𝐚𝐯𝐞𝐥𝐞𝐫

  • Home
  • Bangladesh
  • Wari
  • বাংলার পথিক - 𝐁𝐞𝐧𝐠𝐚𝐥 𝐓𝐫𝐚𝐯𝐞𝐥𝐞𝐫

বাংলার পথিক - 𝐁𝐞𝐧𝐠𝐚𝐥 𝐓𝐫𝐚𝐯𝐞𝐥𝐞𝐫 সর্বশক্তিমানের খোঁজে যাত্রা জারি

26/11/2024

বাংলাদেশ তো ইন্ডিয়া না, এখানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নিরন্তর বিদ্বেষ ছড়ানোর বিজেপি মার্কা রাজনীতি তো আগে ছিল না। যেহেতু ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগকে ভোট দেন বলে জনধারনা আছে, লীগ হারলে বিজয়ী পক্ষ দুর্বল সংখ্যালঘুদের পিটিয়ে, বাড়িঘর পুড়িয়ে আর পূর্ণিমা রাণীদেরকে ধর্ষন করে কয়েকদিন উল্লাস করে; এতটুকু মেনে নিয়ে আমাদের সুশীল মন বছরের বাকি সময় বেশ আরামেই কাটাতে পারে।

কিন্তু গত কয়েকমাস ধরে খুব জোরেশোরে সনাতন বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। ইন্ডিয়া প্রতিরোধের রাজনীতি হতেই পারে, ইন্ডিয়ার রাজনৈতিক-বানিজ্যিক-সাংস্কৃতিক আগ্রাসনকে রুখে দেয়ার জরুরত আছে, কিন্তু ঘুরিয়ে পেচিয়ে সেটাকে দেশের সনাতনীদের দিকে ঠেলে দেয়ার সুদূর প্রসারী চক্রান্ত কেন? এই যে গরু নিয়ে মিছিলের পর মিছিল হয়, বাইরের দেশের কেউ দেখলে ভাববে এই দেশে বোধহয় গরু খাওয়ায় কোনকালে নিষেধাজ্ঞা ছিল- এগুলো হচ্ছে এথনিক ক্লিনজিংয়ের ক্ষেত্র তৈরি করা। মাস মার্ডার করার জন্য মানসিকভাবে জাতিকে প্রস্তুত করা। এমন একটা উদ্ভট দেশে আমরা বাস করছি যে একজন হিন্দু ভট্টচার্য এই দেশে মুসলিমদের সুপ্রিম কমান্ডার!

ইসকন থেকে বহিস্কৃত একজন হিন্দু নেতা বিভিন্ন স্থানে সনাতনীদের নিয়ে মিটিং করছেন, সেগুলো শান্তিপূর্ণ সমাবেশ; কিন্তু শাবানা সরকার এখন এইটাকে বড় ইস্যু বানাতে চাচ্ছে। তারা গ্রেফতার করছে, জামিন দিবে না; এটা নিয়ে গন্ডগোল হবে সেই গন্ডগোলের সূত্র ধরে গুজব রটিয়ে হিন্দু নির্যাতন ও নির্মূলে নামবে একটা গোষ্ঠি।

যখন কোন সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়, তখন ডেসপারেট হয়ে এসব নোংরা কার্ড খেলে থাকে। নব্বইয়ের চূড়ান্ত বিজয়ের আগে এরশাদ এই দেশে রায়ট লাগিয়েছিল, এর আগেপরে কখনো দেশব্যাপী এরকম হিন্দুদের উপর আক্রমন আমার জীবদ্দশায় দেখিনি।

একটা চরম ব্যর্থ শাবানা সরকার দেশে সাম্প্রদায়িক অরাজকতা তৈরির ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করছে।

এই ফাঁদে দয়াকরে পা দিবেন না। হিন্দুরাও না, মুসলিমরাও না।

শাবানা সরকার বেশিদিন থাকবে না, কিন্তু নিজের ভাইকে নির্যাতন যদি করেন, সেই কলংক আপনার হাতে চিরদিন লেগে থাকবে।

- আরিফ জেবতিক

না’ বলতে শেখার ১০ কৌশল>>>>>>>>>>>>>>>>>শিক্ষাগত এবং পেশাগত জীবনে কখনো কখনো ‘না’ বলতে পারাও একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা। জীব...
20/11/2024

না’ বলতে শেখার ১০ কৌশল
>>>>>>>>>>>>>>>>>
শিক্ষাগত এবং পেশাগত জীবনে কখনো কখনো ‘না’ বলতে পারাও একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা। জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হই, যেখানে আমাদের ‘না’ বলা উচিত। কিন্তু এই ‘না’ বলাটা অনেক সময় আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যায়। চলুন বিশেষ মুহূর্তে ‘না’ বলতে পারার কিছু কৌশল শেখা যাক–

নিজের সীমাবদ্ধতা জানুন
শিক্ষাগত এবং পেশাগত জীবনে ‘না’ বলতে হলে প্রথমে নিজের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। আপনি কতটা কাজ করতে পারেন, আপনার সময় কীভাবে ব্যবহার করবেন এবং আপনার শারীরিক ও মানসিক শক্তি কতটা—এসব বিষয় স্পষ্ট হওয়া জরুরি। যখন জানবেন আপনার সীমাবদ্ধতা কোথায়, তখন ‘না’ বলা সহজ হবে। উদাহরণ: আপনি যদি জানেন যে আপনার অতিরিক্ত কাজের সক্ষমতা নেই, তাহলে সঠিক সময়ে সেটা অন্যকে জানিয়ে দিন।

স্পষ্ট ভাষা ব্যবহার করুন
‘না’ বলার সময় স্পষ্ট ভাষা ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরিষ্কারভাবে ‘না’ বলার ফলে অন্যরা আপনার অবস্থান সহজে বুঝতে পারবেন। উদাহরণ: ‘দুঃখিত, আমি এই মুহূর্তে সাহায্য করতে পারব না বা ‘আমি এই কাজটি করতে সক্ষম নই’—এমন সরাসরি ভাষা ব্যবহার করুন। এতে আপনি আপনার অবস্থানকে সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।

বিকল্প প্রস্তাব দিন
যদি আপনি কিছু করতে অস্বীকার করেন, তাহলে বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া একটি ভালো পন্থা। উদাহরণ: ‘আমি আজ সাহায্য করতে পারছি না, তবে আগামী সপ্তাহে পারব।’ এটি আপনার সদিচ্ছার প্রকাশ করে এবং অন্যকে বোঝানোর সুযোগ দেয় যে আপনি সহযোগিতায় আগ্রহী।

কারণ ব্যাখ্যা করুন
মাঝে মাঝে ‘না’ বলার কারণ ব্যাখ্যা করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার অবস্থানকে আরও গ্রহণযোগ্য করে তোলে। উদাহরণ: ‘আমার এই মুহূর্তে অন্য কাজ রয়েছে, তাই আমি সাহায্য করতে পারছি না।’ কারণ, উল্লেখ করলে অন্যরা আপনার পরিস্থিতি অনুধাবন করতে পারবেন।

আত্মবিশ্বাসী থাকুন
‘না’ বলার সময় আত্মবিশ্বাসী হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় আমরা অন্যদের কাছে ভালো থাকার জন্য বা তাদের মনোভাবের প্রতি দায়বদ্ধতার কারণে ‘না’ বলতে দ্বিধাবোধ করি। কিন্তু মনে রাখতে হবে, আপনার স্বার্থ এবং সীমাবদ্ধতা রক্ষা করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আত্মবিশ্বাসীভাবে ‘না’ বললে, অন্যরা আপনার সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করবে।

অনুশীলন করুন
না বলা একটি দক্ষতা, যা অনুশীলনের মাধ্যমে উন্নত করা যায়। আপনি যদি নিয়মিত না বলতে পারেন, তবে এটি আপনার জন্য কঠিন হতে পারে। আপনার বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করুন। প্রতিদিনের জীবনে ছোট ছোট বিষয়গুলোতে ‘না’ বলার অনুশীলন করুন। এটি আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং বাস্তব জীবনের পরিস্থিতিতে আরও সহজ করে দেবে।

পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রাখুন
যখন আপনি না বলবেন, তখন সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। কিন্তু আপনি যদি সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে না বলেন, তবে সম্পর্কগুলো ঠিকই বজায় থাকবে। আপনার সহকর্মী বা বন্ধুদের জানিয়ে দিন যে আপনি তাদের সহায়তা করতে চান, কিন্তু আপাতত সম্ভব নয়।
সুতরাং, একটি সৎ ও ইতিবাচক মনোভাব রাখলে সম্পর্ক রক্ষা করা সম্ভব।

দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল ভাবুন
‘না’ বলার সময় দীর্ঘমেয়াদি ফলাফলগুলো চিন্তা করা জরুরি। কোনো কাজ করতে না পারলে আপনার ক্যারিয়ার বা পড়াশোনায় এর কী প্রভাব পড়বে, তা মাথায় রাখুন। কখনো কখনো অস্বীকার করা আপনার জন্য দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল এনে দিতে পারে, যেমন অতিরিক্ত চাপ থেকে মুক্তি, মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখা এবং আপনার দক্ষতার প্রতি ফোকাস করা।

মো. আশিকুর রহমান
সোর্স আজকের পত্রিকা

সচিবালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ : গ্রেফতার ২৬ জন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত
24/10/2024

সচিবালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ : গ্রেফতার ২৬ জন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত

সাংসারেক মান্দিদের ওয়ানগালাঃ*****************************ওয়ানগালা মূলত সাংসারেক মান্দিদের সৃষ্টি কর্তা ও দেবতা মিসি-সালজ...
24/10/2024

সাংসারেক মান্দিদের ওয়ানগালাঃ
*****************************
ওয়ানগালা মূলত সাংসারেক মান্দিদের সৃষ্টি কর্তা ও দেবতা মিসি-সালজং এর প্রতি ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা ও অনুগত থাকার অনুষ্ঠান। যে অনুষ্ঠান প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে, সেই প্রাগৈতিহাসিক যুগে প্রচলন করেছিলো সাংসারেক মান্দিরা।

রংচুগালার চন্দ্র মাস (জা•সিয়া) শেষ হলে দিনক্ষণ দেখে গ্রামবাসীরা সবাই মিলে সাধারনত ওয়ান্না - ওয়ানগালার আয়োজনের দিন তারিখ নির্ধারণ করতো, গ্রাম প্রধানের (সং নকমা) বাড়িতে মূল ওয়ান্না- ওয়ানগালার আয়োজন হতো, যা ৩-৫-৭ দিন ধরে উৎযাপনে মেতে উঠতো গ্রামবাসীরা সামর্থ্য অনুযায়ী। এছাড়াও গ্রামের যে যে বাড়িতে রাং-সিল (বিশেষ এক খাসার তৈরি পাত্র) ছিলো সে বাড়ি গুলোতেও ওয়ানকেল থাপ্পা করতো সাংসারেক মান্দিরা, নিয়ম ছিলো ওয়ান্না- ওয়ানগালা ছাড়া এসব রাং-সিল গুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতেও হাত দেওয়া যাবেনা।

সাংসারেক মান্দিরা ওয়ান্না- ওয়ানগালা কেনো করতো, কি উদ্দেশ্যে করতো, কবে থেকে করতো, এর ইতিহাস সাংসারেক মান্দিদের জীবন ও জীবিকার ইতিহাসের সাথে জড়িত। সাংসারেক মা•আম্বির (অলিখিত ধর্মীয় গ্রন্থ) ওরাল হিস্ট্রি মতে সুপ্রাচীন কাল থেকেই সাংসারেক মান্দিরা কৃষিকাজ করে জীবন যাপন করতো। প্রাগৈতিহাসিক যুগের কোন এক সময় স্বয়ং দেবতা মিসি-সালজং রাই বিমা রান্দি মিচিক এর (বিধবা রাই বিমা) ঘরে উপস্থিত হোন এবং এক রাত আশ্রয় চান, রাই বিমা রান্দি মিচিক ছিলেন অত্যন্ত দরিদ্র তিনি নিজেই অতি খাদ্যকষ্টে দিনাতিপাত করতেন। রাই বিমা রান্দি মিচিক জানতেননা যে ইনি স্বয়ং দেবতা মিসি-সালজং, তাই তিনি তার বাড়িতে আশ্রয় চাওয়া লোককে বললেন আমিতো অত্যন্ত দরিদ্র তুমাকে আমার বাড়িতে থাকতে দেওয়ার মতো খেতে দেওয়ার মতো আমার কাছে কিছু নেই। তখন দেবতা মিসি-সালজং বললেন তুমার দক•মান্দার আচলে যেটা বেধে রেখেছ সেটা পুরিয়ে ধোয়া দিলেই হয়ে যাবে আমার, রাই বিমা রান্দি মিচিকও তাই করলেন। আথিতেয়তায় খুশি হয়ে দেবতা মিসি-সালজং রাই বিমা রান্দি মিচিক কে ধানের মা মি-মান্দি উপহার দেন, এবং প্রতি বছর তার স্মরণে ওয়ান্না-ওয়ানগালা আয়োজন করতে বলেন। সেই থেকেই সাংসারেক মান্দিরা যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যতা নিয়ে ওয়ান্না- ওয়ানগালা আয়োজন, উৎযাপন ও পালন করে আসছে। দেবতা মিসি-সালজং রাই বিমা রান্দি মিচিক এর ঘরে ধানের মা মি•মান্দিকে জন্ম দেবার আগে পৃথিবীতে কোন ধানজাত শষ্য ছিলোনা।

বিশেষ উল্লেখ্য যে, সাংসারেক মান্দিরা ওয়ান্না- ওয়ানগালার আগে কিছু নিয়ম ও বিধিনিষেধ মেনে জীবন ধারণ করতো, যা বিগত বছরের ওয়ান্না- ওয়ানগালার পর নতুন বছরের কৃষিকার্য থেকে শুরু হতো তাই সুনির্দিষ্ট বিধিনিষেধ আরোপিত কাজগুলো করা থেকে বিরত থাকত সাংসারেক মান্দিরা। ওয়ান্না- ওয়ানগালার আগে যেসব কার্যে বিধিনিষেধ ছিলো সেগুলোকে আসি-নামজা (Asi-Namja) বলতো, যেমন- মুখে শিষ দেয়া, তালি দেয়া, হাতের তালুতে গাছের পাতা রেখে বাড়ি দিয়ে পটকা ফুটানোর মতো আওয়াজ করা, আহা-হু-আ ( মুখে উচ্ছস্বরে আহ-হু-হু ধ্বনি করা।

এছাড়াও সাংসারেক মান্দিরা ওয়ান্না- ওয়ানগালার আগে উৎপাদিত নতুন শস্যাদির অনেক কিছুই খেতোনা। তারা বিশ্বাস করতো এবং মনে প্রানে ধারণ করতো যে, সৃষ্টি কর্তা - দেবতাকে উৎসর্গঃ না করে উৎপাদিত শস্যাদির কিছুই খেতে হয়না, এতে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ ও অমঙ্গল নেমে আসবে তাদের জীবনে। ওয়ান্না- ওয়ানগালার আগে জুমে ধান চাষের সাথে চাষকৃত ভুট্টাজাত শস্য (মিকপ/মিগারু) খেতে হা•বা চূড়া আমুয়া (কৃত্য) করতো। নতুন উৎপাদিত ধান, কচু, আদা, হলুদ, চাল কুমড়া, মিষ্টি কুমড়াসহ আরও বেশ কিছু খাদ্যজাত শস্য ওয়ান্না- ওয়ানগালা সম্পন্ন না করা পর্যন্ত সাংসারেক মান্দিরা খেতোনা। উল্লেখ্য যে উৎপাদিত নতুন ধানের চিড়া ও চাল ভেজে খাওয়া যেতো, ওয়ান্না- ওয়ানগালার না করা পর্যন্ত ভাত রেধে খেতোনা সাংসারেক মান্দিরা নতুন ধানের চাল দিয়ে। ওয়ান্না- ওয়ানগালার কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম ও ক্রমধারা আছে যেগুলো মেনেই হাজার বছর ধরে সাংসারেক মান্দিরা ওয়ান্না- ওয়ানগালা পালন করে আসছে।

ওয়ান্না- ওয়ানগালা সাংসারেক মান্দিদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার অনুষ্ঠান থেকে ধীরে ধীরে হয়ে উঠলো প্রানের উৎসব। এ অনুষ্ঠান কে ঘিরে সাংসারেক মান্দিরা প্রেম-প্রনয়, জীবন-জীবিকা, প্রকৃতির সাথে তাদের জীবনাচরণ নিয়ে বিভিন্ন লোকগান, পালাগান, লোকসাহিত্য, দল-নৃত্য, ইতিহাস, ঐতিহ্যের মিশেলে পরিনত হলো প্রধান ধর্মীয়, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক উৎসবে।

ওয়ান্না- ওয়ানগালার দিন যে সুনির্দিষ্ট নিয়ম ও ক্রমধারা অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ ও ধারাবাহিক আমুয়া-ক্রিতা সমূহ সম্পন্ন করা হয়-

১ম দিনের কার্য-

১। অনুষ্ঠানের শুরুতে খ্রাম/বলথং দু•'থাদা, নাগ্রা না চু রুদিতা। ("খ্রাম-বলথং" ঢোল বিশেষ বাদ্যযন্ত্রের জন্য ছোট মুরগির বাচ্ছা উৎসর্গ করা, "নাগ্রা" তবলার ন্যায় আকৃতির বিশেষ ঢোল এর জন্য চু উৎসর্গ করা, আর নতুন হলে দু•থাতা)

২। সূর্যাস্তের পরপরই রাকগাসি আমুয়া সাসাত সোয়া। ( "রাকগাসি" এক অদৃশ্য অপদেবতা যিনি মানুষের রক্ত ও আবাদি ফসলাদি শোষণ করেন, এতে করে মানুষের স্বাস্থ্য ও জমির ফসলে ভালো ফলন হয়না। অপদেবতা থেকে রক্ষা পেতে বাড়ি ভিটার বাহিরে জমির আইলে বিশেষ এক কৃত্য করা হয়, ধূপ পুরানো হয়)

৩। রংদিক-না দু•থাতদা ( চাউল রাখার হাড়ির জন্য মুরগী উৎসর্গ করা ও বিশেষ কৃত্য সম্পন্ন করা )।
থা•মা, থা•তুরাক, থারিং, হি'চিং, অলদি, আকখারু-বাঙগি রংদক, মিগারু ছন্দক-না, আত্তি, গিৎচি, রোয়া-না রুদিতা/রুগালা। আপফা মিসি, আচ্চু সালজং কে ওয়ান্না- ওয়ানগালায় আহবান করা।

৪। ওয়ানছি গা•দুবংআ/ ওয়ানছি থকগা- আতপ চালের গুড়ো চু (রাইশ ওয়াইন) দিয়ে মিক্স করে হাতের আঙুলের ছাপ দেওয়া। অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত বাদ্যযন্ত্র, আগত মানুষ ও বাড়ির বিভিন্ন জিনিসপত্র সহ ঘরের বিভিন্ন জাগায় ওয়ানছি থকগা করা হয়। বিঃদ্রঃ যে বাড়িতে অনুষ্ঠানটি আয়োজন হবে সে বাড়ির মানুষ ওয়ানচি তকগা করতে পারবেনা।)

৫। খামাল, মাদ্দক, চ্রা•দের গ্রিকগা। (পুরোহিত, পুরোহিতের সহকারী, উপস্থিত অনান্য বিজ্ঞজনদের যুদ্ধনৃত্য প্রদর্শন করা)

২য় দিন
৬। জলআন্না-দাম্বি ছিন্না। (আপফা মিসি — আচ্চু সালজংকে আমন্ত্রণ জানানো ও নতুন ফসল উৎসর্গ করা)

৭। দু•রাসং নিয়া। (মুরগির নাড়ি দেখা, সাংসারেক মান্দিদের বিশ্বাস দেবতার নামে উৎসর্গ কৃত মুরগির নাড়িতে যদি মল/রক্ত দেখা দেয় তাহলে অশুভ বা বছর ভালো যাবেনা)

৮। গ্রিকা, গুরি রু•আ, আজিয়া, সেরেজিং, ছাম্বেল মেসা•আ। ("GRIKGA" যুদ্ধনৃত্য, "GURI-RUA"দেবতার উদ্দেশ্যে বিশেষ নাচ প্রদর্শন, "AJIA" মান্দি জনগোষ্ঠীর বিশেষ লোকগীতি, "SEREJING" বিশেষ পালা গান, "CHAMBEL MESA•A" আনন্দ দেয়ার উদ্দেশ্যে বিশেষ বানর নাচ, এবং মান্দিদের নিজস্ব বিভিন্ন খেলাধূলা সমূহ প্রদর্শিত হয়)

৩য় থেকে ৭ম দিন / শেষ দিন
৯। বিসিরি ওয়াত্তা। (পৃথিবীর সকল প্রান- প্রকৃতির ও গ্রামবাসীর সবার মংগল কামনায় কৃত্য করা)
১০। কাত্থি মাংগল গাল্লা- সাল অল্লাখিয়া। (খ্রাম, দামা, রাং, আদুরি, আম্বেংগি বাজানোর জন্য সকল বাদ্যযন্ত্রের কাঠি গুলোকে আবার আগামী বছরের আমন্ত্রণ জানিয়ে বিদায় দেওয়া, এবং কামাল মাদ্দক এর বাড়ি ফিরার পূর্বে সূর্যের কাছে বিশেষ প্রার্থনা )

এভাবেই সাংসারেক মান্দিদের প্রধান ধর্মীয়, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক উৎসব ওয়ান্না- ওয়ানগালা অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

(সংগৃহিত)

হ আপা😁জ্বি আপা😁আচ্ছা আপা😁আপনি আপা😁কিন্তু আপা😁তারপর আপা😁সুতরাং আপা😁জানাবেন আপা😁কান্দিয়েন না আপা😁হাসিয়েন আপা😁ভাত খাইয়েন আপ...
24/10/2024

হ আপা😁
জ্বি আপা😁
আচ্ছা আপা😁
আপনি আপা😁
কিন্তু আপা😁
তারপর আপা😁
সুতরাং আপা😁
জানাবেন আপা😁
কান্দিয়েন না আপা😁
হাসিয়েন আপা😁
ভাত খাইয়েন আপা😁
তাকে বলে দিয়েন আপা😁
সেও অনেক এক্টিভ আপা😁
আপনি বললে আপা😁
চিন্তা করবেন না আপা😁
নিজের দিকে খেয়াল রাখবেন আপা😁
আমরা আছি আপা😁
আপা
আপা
আপা
আপা
আপা
আপা
আপা
আপা
আপা আপা
আপা
আপা
আপা
আপা
আপা
আপা
আপা
আপা
আপা
আপা
আপা
আপা
আপা
আপা
আপা
আপা
আপা
আপা
আপা
আল্লাহ হাফেজ আপা🤣🤣🤣

সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।সরকার 'সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯' এর ধারা ১৮ এর উপ-ধ...
24/10/2024

সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

সরকার 'সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯' এর ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন 'বাংলাদেশ ছাত্রলীগ'কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল এবং ওই আইনের তফসিল-২ এ 'বাংলাদেশ ছাত্রলীগ' নামীয় ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসেবে তালিকাভুক্ত করল বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

23/10/2024
brother & sister
18/10/2024

brother & sister

17/10/2024

ঈদুল ফিতরে ৫ দিন, ঈদুল আজহায় ৬ দিন, দুর্গাপূজায় ২ দিন ছুটি

Durga Puja Festival Happy Bijoya of Hajong Community in Bangladesh 2024
14/10/2024

Durga Puja Festival Happy Bijoya of Hajong Community in Bangladesh 2024

শারদীয় শুভেচ্ছা সহ নিরন্তর শুভকামনা
12/10/2024

শারদীয় শুভেচ্ছা সহ নিরন্তর শুভকামনা

আদিবাসী শব্দটি আপেক্ষিক। Indigenous শব্দের বাংলা পরিভাষা হলো আদিবাসী। আদিবাসী শব্দটি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে অনেক যুক্তি আছে।...
09/10/2024

আদিবাসী শব্দটি আপেক্ষিক। Indigenous শব্দের বাংলা পরিভাষা হলো আদিবাসী। আদিবাসী শব্দটি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে অনেক যুক্তি আছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের বসবাস্কৃত ভিন্ন সংস্কৃতির নৃ-গোষ্ঠী যারা রয়েছে তারা কেন নিজেদের আদিবাসী বলে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে এবং উপজাতি, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বললে কেন অপমানিত বোধ করে সে বিষয়ে জানা যাক। সবার আগে কথা বলতেই হয় পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাস নিয়ে।

ভারতের সেভেন সিস্টার রাজ্যগুলো যেমন কোনকালেই ভারতের অংশ ছিলো না, তেমনিভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামও বাংলার অংশ ছিল না। ব্রিটিশরা ক্ষমতায় এসে বার্মাসহ এই পাহাড়ি অঞ্চলগুলো ব্রিটিশ ভারতের করায়ত্বে আনে। পরে ভারত বিভাগ ও ভারত পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার সময় বার্মা ( বর্তমানে মিয়ানমার) পৃথক করলেও থেকে যায় এই পার্বত্য অঞ্চলগুলো।
উল্লেখ্য যে স্মরণাতীত কাল থেকে বর্তমান পার্বত্য চট্টগ্রাম ত্রিপুরা রাজ্যের তথা আধুনিক ধারণায় সেভেন সিস্টার এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। দূর্গম ও প্রান্তিক এলাকা হওয়ায় এ অঞ্চলে কোন বসতি ছিল না। চাকমা জনগোষ্ঠী এ অঞ্চলে বসবাস করার ফলে এটি Chacomas নামে পরিচিত হয় যা ষোড়শ শতাব্দীর(১৪৯৬-১৫৭০) একটি পর্তুগিজ মানচিত্রে উল্লেখ পাওয়া যায়।
৯৫৩ সালে আরাকানের এক রাজা বর্তমান পার্বত্য চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম দখল করেন। পরবর্তীতে ১২৪০ সালে ত্রিপুরার রাজা এই অঞ্চল আবারও দখল করেন। আরাকানের রাজা চট্টগ্রাম পুনরায় দখল করে নেন। মুঘলরা ১৬৬৬ থেকে ১৭৬০ সাল পর্যন্ত অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করে, এই সময়ে চট্টগ্রাম এলাকায় গৌড়বঙ্গ থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বাঙালির আগমন ঘটে, চট্টগ্রাম জেলার নামান্তর তাদেরই করা। চার্লস অ্যালেন, যিনি ১৯০০ সালে চিটাগং সার্ভে ও সেটেলমেন্ট রিপোর্ট তৈরি করেছেন, এই অঞ্চলের নামের উৎস খুঁজতে গিয়ে তিনি বেশ কয়েকটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। প্রথমে উদ্ধৃত করেছেন বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের ভাষ্য, চৈতকিয়াং কিংবা চৈতাগ্রাম, চৈতার অর্থ হলো বুদ্ধের স্মৃতিসৌধ, সেই থেকে এই অঞ্চলের নাম চট্টগ্রাম। মৌর্য সম্রাট অশোক (খ্রিস্টপূর্ব ২৭৩-২৩২) কর্তৃক স্থাপিত ৮৪ হাজার বৌদ্ধ ধাতু চৈত্যের মধ্যে রামুর চৈত্যটি অন্যতম, আরাকানি শাসনামলে এই চৈত অনুসারে চৈতকিয়াং বা চা-টি-কিয়াং থেকে মুঘল আমলে বাঙালিদের আগমনের পর এই নামটির চট্টগ্রাম নামান্তর হয়।

ইংরেজ শাসনামলে চট্টগ্রামকে চিটাগাং নামকরণ করে এবং চিটাগাং ও চাকোমাসকে পার্শ্ববর্তী কিছু অঞ্চলসহ চিটাগাং হিল ট্রাক্টস নামকরণ করে। অর্থাৎ ইংরেজদের আগমনের আগেও পার্বত্য চট্টগ্রাম চট্টগ্রামের অংশ ছিল না।

একটি রাজ্য ক্ষমতাবলে অধিকার করা এবং ঐ রাজ্যের আদি বাসিন্দাদের মাইনরিটি বা ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী ট্যাগ লাগিয়ে দিয়ে সংখ্যাগুরুরা ঐ অঞ্চলের আদিবাসী দাবি করা নেহাত ক্ষমতার অপপ্রয়োগ।

আদিবাসী যুক্তির বিপক্ষে অনেকেই বলে বাংলাদেশে কোন আদিবাসী নেয়।থাকলেও চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা প্রভৃতি ভিন্ন সংস্কৃতির জনগোষ্ঠী যারা পার্বত্য অঞ্চলে বসবাস করছে তারা এদেশের আদিবাসী না, বাঙালিরাই এদেশের আদিবাসী। এটার বিপক্ষে স্পষ্ট বিবৃতি হলো পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকৃত বিভিন্ন গোষ্ঠী যারা রয়েছে তারা পার্বত্য অঞ্চলেরই আদিবাসী। খুলনা, বরিশাল কিংবা ঢাকা প্রভৃতি অঞ্চলের আদিবাসী দাবি করছে না। এখন পার্বত্য অঞ্চল কি বাংলাদেশের ভৌগলিক সীমানার বাইরে? অবশ্যই নয়।

এখন প্রশ্ন হলো সরকার তাহলে কেন আদিবাসী স্বীকৃতি দিতে নারাজ?
-১৯৭২ সালে Indigenous and Tribal Population Convention 1957, Convention 107 of 1957 অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ সরকার। আশির দশকে জাতিসংঘে লিখিতভাবে বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে যে আদিবাসী রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রেক্ষিতেও এটি বলা হয়েছে। এমনি গত কয়েক সরকারের আমলে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসে প্রধানমন্ত্রীরা যে শুভেচ্ছাবাণী পাঠিয়েছেন সেখানেও আমাদের আদিবাসী বলে সম্বোধন করা হয়েছে।
তাহলে এখন সমস্যাটি কোন জায়গায়?
- সমস্যা দেখা দিয়েছে ২০১০ সালের পর। ২০০৭ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬১ তম অধিবেশনে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার নিয়ে একটি ঘোষণাপত্র অনুমোদিত হয়। সেখানে ১৪৪ টি দেশ এর পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশ সহ আরো ১৩ টি ভোটদান থেকে বিরত ছিল। কারণ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করা মানে এটি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রতি দেওয়ার একটি বাধ্যবাধকতা থেকে যায়। এছাড়া কানাডা, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এউই চারটি দেশ এর বিপক্ষে ভোট দিলেও পরবর্তীতে তারা এই ঘোষনাপত্রকে সমর্থন দেয়।
ঘোষণাপত্রে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পয়েন্ট হলো-
*ভূমি ও ভূ-খণ্ডের অধিকার।
*আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভূমি ও ভূ-খন্ডের উপর সামরিক কার্যক্রম বন্ধের অধিকার।
* আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সম্মতি ছাড়া যেসব ভূমি, সম্পদ ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে সেগুলী পুনরুদ্ধার ও ফেরত পাওয়ার অধিকার।

সরকার এসব বাস্তবায়নের ভয়ে স্বাক্ষর দেওয়া থেকে বিরত ছিল। আর আদিবাসী জনগোষ্ঠী যখন নিজেদের আত্নপরিচয়ের জন্য সাংবিধানিক স্বীকৃতি চাইল তখন সরকারও নড়ে চড়ে বসে। আর ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীতে আদিবাসীদের "ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী" বলে আখ্যায়িত করে আদিবাসীদের আত্মপরিচয়কে অস্বীকার করেছেন, বিকৃত করেছেন। অথচ সরকারই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি সংবিধানে আমাদের আদিবাসী বলে স্বীকৃতি দিবেন।

এবার আসি "ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী" বা "উপজাতি" শব্দটি নিয়ে। Tribe শব্দের বাংলা পরিভাষাকে উপজাতি বলা হয় যা যথার্থ নয় এবং একই সাথে একটি গোষ্ঠীর জন্য অপমাণজনক। উপজাতি শব্দটি অনেকটা Sub- Human এর মতো। বাংলা ব্যাকরণের ব্যাসবাক্যে "উপ" শব্দটিকে ন্যায় বা ক্ষুদ্র অংশে বোঝানো হয়। যেমন:
১.উপজেলা- জেলার ন্যায় বা জেলার ক্ষুদ্র
২.উপনদী - নদীর ক্ষুদ্র
একই ভাবে উপজাতি শব্দটি দাঁড়াবে জাতির ন্যায়। অর্থাৎ উপজাতি শব্দটি ব্যবহার করা মানে একটি জাতিকে পরিপূর্ণ জাতি হিসেবে স্বীকৃতি জানাতে সম্পূর্ণ অস্বীকার করার সামিল। যেখানে একটি জাতির নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি, বর্ণমালা, ঐতিহ্য রয়েছে ঐ জাতিকে আপনি কোন যুক্তিতে উপজাতি বলে অপমাণ করবেন?

আর Ethnic Minority 'র বাংলা পরিভাষা করা হয়েছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী। এবং এটিও যথার্থ না। যথার্থ বাংলায় এটি হবে জাতিগত সংখ্যালঘু। কিন্তু একটি জাতিকে আপনি পরিচয় করিয়ে দেওয়ার আগেই যদি ক্ষুদ্র শব্দটি ব্যবহার করেন তাহলে বিষয়টি উপজাতি বলার মতোই হলো।ঠিক একারণেই পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে আপনি উপজাতি বা ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী বলে সম্বোধন করলে তারা তা অপমানের দৃষ্টিতে দেখে।

অর্থাৎ Tribe, Ethnic Minority শব্দটি নিয়ে আমাদের অভিযোগ নেয়। অভিযোগ এর বিকৃত বাংলা পরিভাষা নিয়ে। আবার যারা আদিবাসী শব্দের বিরোধিতা করেন তারা এই ভেবেও খুশি হইয়েন না যে Tribe, Ethnic Minority মানেই আদিবাসী(Indigenous) না। জাতিসংঘের ILO(International Labour Organisation) এর মতে Indigenous People হচ্ছে-

"a) tribal peoples in independent countries whose social, cultural and economic conditions distinguish them from other sections of the national community and whose status is regulated wholly or partially by their own customs or traditions or by special laws or regulations;

b) peoples in independent countries who are regarded as indigenous on account of their descent from populations the which inhabited the country, or a geographical region to which the country belongs, at the time of conquest or colonization or the establishment of present state boundaries and who irrespective of their legal status, retain some or all of their own social, economic, cultural and political institutions." (ILO Convention No. 169)

ILO এর বিবৃতি থেকে আরও পরিষ্কার যে, Nearly all tribal people are Indigenous এবং Iindigenous People বলতে কেবল যে আদিকাল থেকে বসবাস করা লোকজনকে বুঝাবে আইএলও সেটা বলছে না। যাদের অর্থনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক ও বৈশিষ্ট্য দেশের অন্যদের থেকে আলাদা এবং ওদের নিজেদের প্রথা, বিশেষ আইন বা বিধি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, ওদেরকেও indigenous people বলতে হবে। ঐটাকেই আমাদের এখানে আদিবাসী হিসাবে অনুবাদ করা হয়েছে। অর্থাৎ চাকমা ছাড়াও মারমা, ত্রিপুরা,রাখাইন, তঞ্চঙ্গ্যা, খুমি, ম্রো প্রভৃতি সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীও আদিবাসী। এবং তাদেরও পার্বত্য চট্টগ্রামে ইতিহাস রয়েছে।

প্রতিবছর ৯ই আগস্ট আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালিত হয়। ঠিক এই সময়টা আসলেই একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর ব্যাপকভাবে চুলকানি উঠে। তাদের দাবী আদিবাসীরা দেশবিরোধী চক্রে লিপ্ত এবং আদিবাসী স্বীকৃতি দিলে পার্বত্য চট্টগ্রামকে একটি স্বাধীন দেশ ঘোষণা করব। আর যারা এই দাবী করে আমি মনে করি তাদের মাথায় গোবরের চেয়েও যদি কোন নিকৃষ্ট বস্তু থাকে সেটি রয়েছে। কারণ গোবরও সার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামকে যদি বাংলাদেশ থেকে আলাদা করারই উদ্দেশ্য থাকতো তাহলে দেশের সরকারের কাছে দাবি দাওয়ার কোন প্রশ্নই থাকতো না। যদিও সেই নির্দিষ্ট গোষ্ঠী ভালোমতোই অবগত যে তাদের অপপ্রচার সম্পুর্ণ ভিত্তিহীন। তারা জানে আদিবাসী স্বীকৃতি দেওয়া হলে সরকারের সহায়তায় জোড়পূর্বক আদিবাসীদের দখলকৃত জায়গা তাদের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর নিকট ফেরত দিতে হবে।যেটি তারা কখনোই চাইবে না।আর পারলে তো তারা নিজেরাই পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী দাবি করে।

Photo gratitude - ( tufan artbin)
Copy post

 #হাট    -   #যতীন্দ্রনাথ_সেনগুপ্ত দূরে দূরে গ্রাম দশ-বারোখানি, মাঝে একখানি হাট,সন্ধ্যায় সেথা জ্বলেনা প্রদীপ, প্রভাতে পড...
08/10/2024

#হাট
- #যতীন্দ্রনাথ_সেনগুপ্ত

দূরে দূরে গ্রাম দশ-বারোখানি, মাঝে একখানি হাট,
সন্ধ্যায় সেথা জ্বলেনা প্রদীপ, প্রভাতে পড়ে না ঝাঁট।
বেচা কেনা সেরে বিকেল বেলায়
যে যাহা সবে ঘরে ফিরে যায়;
বকের পাখায় আলোক লুকায় ছাড়িয়া পুবের মাঠ;
দূরে দূরে গ্রামে জ্বলে ওঠে দীপ-আঁধারেতে থাকে হাট।

নিশা নামে দূরে শ্রেণীহারা এক ক্লান্ত বকের পাখে;
মদীর বাতাস ছাড়ে প্রশ্বাস পার্শ্বে পাকুড়-শাখে।
হাটের দোচালা মুদিল নয়ান,
কারো তরে তার নাহি আহ্বান,
বাজে বায়ু আসি বিদ্রুপ-বাঁশি জীর্ণ বাঁশের ফাঁকে;
নির্জন হাটে রাত্রি নামিল একক কাকের ডাকে।

দিবসেতে সেথা কত কোলাহল চেনা-অচেনার ভীড়ে ;
কত না ছিন্ন চরণচিহ্ন ছড়ানো সে ঠাঁই ঘিরে।
মাল চেনাচিনি, দর জানাজানি,
কানাকড়ি নিয়ে কত টানাটানি;
হানাহানি ক’রে কেউ নিল ভ’রে, কেউ গেল খালি ফিরে।
দিবসে থাকে না কথার অন্ত চেনা-অচেনার ভিড়ে।

কত সে আসিল, কত বা আসিছে, কত না আসিবে হেথা
ওপারের লোক নামালে পসরা ছুটে এপারের ক্রেতা।
শিশির-বিমল প্রভাতের ফল,
শত হাতে সহি’ পরখের ফল-
বিকাল বেলায় বিকায় হেলায় সহিয়া নীরব ব্যথা।
হিসাব নাহি রে-এল আর গেল কত ক্রেতা-বিক্রেতা।

নূতন করিয়া বসা আর ভাঙা পুরানো হাটের মেলা;
দিবসরাত্রি নূতন যাত্রী, নিত্য নাটের খেলা
খোলা আছে হাট মুক্ত বাতাসে
বাধা নাই ওগো-যে যায় যে আসে,
কেহ কাঁদে, কেহ গাঁটে কড়ি বাঁধে ঘরে ফিরিবার বেলা।
উদার আকাশে মুক্ত বাতাসে চিরকাল একই খেলা

শারদীয় দুর্গোৎসব ২০২৪ এর ময়মনসিংহ শহরের আলোকসজ্জা
08/10/2024

শারদীয় দুর্গোৎসব ২০২৪ এর ময়মনসিংহ শহরের আলোকসজ্জা

Address

Shahbagh
Wari
1000

Telephone

+8801616165430

Website

http://www.facebook.com/groups/bengaltraveler

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when বাংলার পথিক - 𝐁𝐞𝐧𝐠𝐚𝐥 𝐓𝐫𝐚𝐯𝐞𝐥𝐞𝐫 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to বাংলার পথিক - 𝐁𝐞𝐧𝐠𝐚𝐥 𝐓𝐫𝐚𝐯𝐞𝐥𝐞𝐫:

Share

Category