19/06/2021
াকায়_পূর্ণিমা_রাতে_টাঙ্গুয়ার_হাওরে- বঙ্গঘুরি
সবার মাস্ক ও হ্যান্ডস্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক।
আমরা যাচ্ছি সুনামগঞ্জের টাংগুয়ার হাওড়, সীমান্ত ঘেসে বেড়ে উঠা বাংলার কাশ্মীর (বলা চলে) টেকেরঘাট। গরমে প্রশান্তি আনতে চলেন ঘুরে আসি থৈ থৈ পানির এলাকায় চলেন দেখি কি কি করতে পারি আপনাদের জন্য।
টাঙ্গুয়া হাওরের কিছু তথ্য:
টাঙ্গুয়ার হাওর সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা ও তাহিরপুর উপজেলার মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। মেঘালয় পাহাড় থেকে ৩০টিরও বেশি ঝরা (ঝরনা) এসে মিশেছে এই হাওরে। দুই উপজেলার ১৮টি মৌজায় ৫১টি হাওরের সমন্বয়ে ৯,৭২৭ হেক্টর এলাকা নিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওর জেলার সবচেয়ে বড় জলাভূমি। পানিবহুল মূল হাওর ২৮ বর্গকিলোমিটার এবং বাকি অংশ বসতি ও কৃষিজমি। একসময় গাছ-মাছ-পাখি আর প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্যের আধার ছিল এই হাওর।
শহীদ সিরাজ হ্রদ বা শহীদ সিরাজ লেক ("নীলাদ্রি হ্রদ" বা "নীলাদ্রি লেক" নামেও পরিচিত) ভারতের মেঘালয় সীমান্তঘেঁষা বাংলাদেশের উপজেলা তাহিরপুরে অবস্থিত একটি হ্রদ।
সীমান্তবর্তী ট্যাকেরঘাট চুনাপাথর খনিজ প্রকল্পের পরিত্যক্ত এই খোয়ারীটি ১৯৪০ সালে চুনাপাথর সংগ্রহ শুরু করে। এখানে চুনাপাথর সংগ্রহ করে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় নির্মিত আসাম বাংলা সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় চাহিদা মিটানো হত। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর বিভিন্ন সমস্যা ও ব্যয় বৃদ্ধি দেখিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় এর সকল কার্যক্রম।
★ স্পেশাল অফার ★
১। কাপল ও ফিমেইল গেস্টদের চাহিদানুযায়ী হোটেল (হোম স্টে) রুমের ব্যবস্থা করা হবে। (ভাড়া নিজের)
যা যা কাভার করা হবেঃ
১: টাংগুয়ার হাওড়
#ওয়াচ_টাওয়ার
#ট্রলার থামিয়ে গোসল করা
#দিগন্ত জুড়ে জেগে উঠা পাহাড়
২: টেকেরঘাট
#শিমুলবাগান (যদি বৃষ্টি বাধা না দেয়)
#বারিক্কাটিলা
#জাদুকাটা_নদী
#লাকমাছড়া (গোসল করলে ইচ্ছা)
#নীলাদ্রি লেক/ শহীদ সিরাজ লেক
টোটাল খরচঃ ২৯৫০/- টাকা।
**বুকিং মানি জমা দেয়ার পদ্ধতিঃ
সরাসরি অফিসে এসে বুকিং মানি জমা দেয়া যাবে।
রিসোর্সফুল পল্টন সিটি, ৫১/৫১-এ, ২য় তলা, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
টাকা পাঠানোর সিস্টেমঃ
১০২০/- টাকা bKash/Nagad করবেন।
বাকী টাকা বাস/ট্রেনে উঠার আগে আগেই দিবেন অবশ্যই।
#ট্যুর কনফার্ম করতে যোগাযোগ করুন:
01886-226646 (রিকু)।
:
01886-226646 (Personal)
:
01850-540751 (Personal)
বুকিং এর টাকা অফেরতযোগ্য ।
*** প্যাকেজ অন্তর্ভুক্ত:
যাওয়া-আসা রিজার্ভ বাস।
২ দিনের রিজার্ভ নৌকা।
সকল প্রকার এন্ট্রি টিকেট।
সার্বক্ষণিক অভিজ্ঞ গাইড।
মানসম্মত মোট ৬ বেলা খাবার।
সকাল: ভুনা খিচুড়ি, ডিম, পানি, চা/পরোটা, ডাল-ভাজি, ডিম, পানি, চা।
দুপুর: ভাত, ভর্তা, সবজি, মাছ/হাঁস/মুরগি, ডাল।
রাত: ভাত, ভর্তা, সবজি, মাছ/হাঁস/মুরগি, ডাল।
(হাওরে পানির অভাব নেই কিন্তু খাবার পানির অভাব আছে। তাই প্রতিবেলায় বিশুদ্ধ পানি দেওয়া হবে।)
*** প্যাকেজ অন্তর্ভুক্ত নয়:
# লাইফজ্যাকেট ভাড়া (সাঁতার জানলে লাগবে না)।
# কোনো ব্যক্তিগত খরচ।
❑ ট্যুর প্ল্যানঃ
আমরা রাত ১১ টায় জিপিও মোড়/মহাখালী থেকে রিজার্ভ বাসে রওনা হয়ে ভোরে পৌঁছে যাবো মোহনগঞ্জের মধ্যনগর ঘাটে। মধ্যনগর ঘাটে সকালে নাস্তা খেয়ে ৫ বেলা খাবারের জন্য তাজা মাছ, হাস, মুরগি ও অন্যান্য বাজার করে নিবো। চাইলে কেউ সহযোগিতা করতে পারবেন। প্রথমে যাবো ওয়াচ টাওয়ার। ওখানে যখন আমরা গোসল করবো ততক্ষণে দুপুরের রান্না চলতে থাকবে। ট্রলারেই রান্না শেষে আমরা পেট পুরে আহার করে নিবো। তারপর বাংলার কাশ্মীর টেকেরঘাট চলে যাবো। বিকালটা নীলাদ্রি লেকে ঘুরে রাতে খেয়ে ট্রলারে ঘুমাবো (কাপল ও ফিমেইল গেস্টদের চাহিদা সাপেক্ষে হোটেল ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। ভাড়া নিজেদের বহন করতে হবে।)।
রাতে ট্রলারে চলবে নিজেদের পূর্ণিমার আলোয় গান-বাজনা ও ভরপুর আড্ডা।
পরদিন ভোরে পায়ে হেটে চলে যাব লাকমাছড়া, যার সৌন্দর্য জাফলং বা বিছানাকান্দির চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। চাইলে যেকেউ এখানে গোসল করতে পারবেন। লাকমাছড়া থেকে এসে ট্রলারে সকালের নাস্তা করতে করতে যাব শিমুল বাগান, বারিক্কাটিলা ও জাদুকাটা নদী। কোনভাবেই জাদুকাটায় গোসল করা যাবে না (প্রচুর স্রোত থাকে এই নদীতে)। এরপর এইসব স্পটে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হবে। জাদুকাটায় দুপুরের খাবার খেয়ে নেব।
এবার ফেরার পালা!
ফেরার পথে ইচ্ছে করলে সময় সাপেক্ষে (সবার সম্মতিতে) আবারও ওয়াচ টাওয়ারে গোসল করব।
সন্ধ্যায় পৌঁছে যাবো মধ্যনগর ঘাটে।
রাত ১১ টায় বাসে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবো।
কারা কারা যেতে পারবেনঃ
১: অবশ্যই মিলেমিশে সেক্রিফাইস করে থাকার সু-অভ্যাস থাকতে হবে।
২: ফিমেইল গেস্টদের ক্ষেত্রে হাজবেন্ড এবং কাছের আত্মীয় এলাউড।
৩: কোনভাবেই নেশাজাতীয় জিনিস এলাউড না (কোন প্রকার কমপ্লেইন আসলে ইভেন্টের কেউ তার দ্বায়ভার নিবে না)।
যা যা নিবেন মাস্টঃ
১: ছাতা
২: অডোমাস ক্রিম (মশা থেকে বাচতে কাজে দিবে)
৩: পাওয়ার ব্যাংক
৪: গোসল করার সামগ্রী (লুংগী, হাফ প্যান্ট, গেঞ্জি, এইসব)
৫: প্রয়োজনীয় ঔষধ পত্র
৬: রেইন কোর্ট নিতে পারেন
৭: ব্রাশ, টুথপেস্ট
৮: সানগ্লাস ইত্যাদি
৯: বালিশ কাঁথা নিয়ে এলার্জি থাকলে তা নিয়ে আসবেন।
যে কোন প্রয়োজনেঃ
@বঙ্গঘুরি-BongoGhuri এর পেইজে ইনবক্স
অথবা মোবাইলে যোগাযোগ: 01886-226646
** মানুষ মাত্রই ভুল, ভুল হলে শুধ্রাই দিবেন আশাকরি।
যেকোনো ফ্যামিলী, কর্পেোরেট, স্টুডেন্ট ও কাস্টমাইজ প্যাকেজ এর জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
01886226646
আমাদের গ্রুপ এর ঠিকনাঃ
https://www.facebook.com/groups/BongoGhuri
আমাদের আরো ইভেন্ট দেখুনঃ
https://www.facebook.com/BongoGhuri/events