Vromi

Vromi Experience the joy and adventure of traveling with Vromi.
(7)

ভ্রমির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০১৮ সালের ১৪ এপ্রিল। সত্যিকার অর্থে ভ্রমির শুরুটা যে ঠিক কবে আর কোথা থেকে, জানার উপায় নাই। আমরা ঘুরতে পছন্দ করি, সময় পেলেই পিঠে ব্যাকপ্যাক নিয়ে বের হয়ে যাই। আমরা কজন, পাগল ছেলেমেয়ে। ঘোরার নেশায় পাগল, অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় পাগল, নতুন সব জায়গা দুচোখ ভরে দেখার নেশায় পাগল।

অচেনা সব জায়গায় গিয়ে সেখানকার বন-পাহাড়-নদী-ঝর্ণা প্রাণভরে দেখা, মানুষের সঙ্গে আড্ডা দিতে দিতে এক

েকটা জায়গার নিজস্ব সব গল্প জানা, রাতে হাজার তারার মেলার নিচে খোলা মাঠে শুয়ে শুয়ে কালপুরুষ, অভিজিৎ, দেনেব, সুরাইয়া আর সপ্তর্ষিকে দেখা, আগুন জ্বালিয়ে চারপাশে গোল হয়ে বসে গিটার, উকুলেলে, কাহন আর মন্দিরা বাজিয়ে গান গাওয়া—এসবের স্বাদ যে পেয়েছে, তাকে কে বেঁধে রাখবে! এসব একা তো আর করা যায় না, সঙ্গীসাথী লাগে। সেজন্যে আমরা যখন অনেকে একসঙ্গে কোথাও যাই, আনন্দের কমতি হয় না। কোন বাধানিষেধ নেই, প্রাণভরে প্রকৃতি দেখা যায়, গল্প করা যায়, তর্ক এবং বিতর্ক হয়, সবচেয়ে বড় কথা, অনেকে নিজেকে আলাদা করে আবিষ্কার করেন কোন জায়গায় ঘুরতে গিয়ে। নিজের ভেতরে যে এতো চমৎকার একটা সত্তা ছিল, অনেকে সেটা প্রথমবার টের পান।

এইসব ঘোরাঘুরি, অ্যাডভেঞ্চার, পাগলামি করতে গিয়ে আমাদের কাছে মনে হয়েছে, কাজগুলো হয়তো একটু গুছিয়ে করতে পারলে ভালো হয়। উদ্দেশ্য, একটা সাসটেইনেবল সিস্টেম দাঁড়া করানো, যাতে এটা দীর্ঘদিন টিকে থাকে। ভ্রমণের বাঁধনবিহীন আনন্দটা যেমন থাকবে, তেমন আনুষঙ্গিক সব কাজও আগের চেয়ে ভালোভাবে করা যাবে। এইসব চিন্তা থেকেই ভ্রমির যাত্রা শুরু।

ভ্রমির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর আগে আমরা অনেক জায়গাতেই ঘুরতে গিয়েছি। গাজীপুরের বেলাই বিল কিংবা হবিগঞ্জের রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর কিংবা নেত্রকোনার সোমেশ্বরী নদী—যেখানেই গিয়েছি, বাংলাদেশ যে অসম্ভব সুন্দর, সেটা প্রকৃতি বারবার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছে। বাংলাদেশে অনেক পর্যটন কেন্দ্র আছে, যেসব জায়গায় মানুষ প্রায়শই ঘুরতে যান। এর বাইরেও যে এদেশে আরো হাজারটা জায়গা আছে, যেসব জায়গা হয়তো প্রকৃতি দুহাত ভরে সাজিয়ে দিয়েছে, সেসব জায়গা আমাদের দেখা হয় না। আমাদের ইচ্ছা, আমরা সেসব জায়গায় যাবো। অচেনা কোন জায়গা হতে পারে, দুর্গম কোন জায়গা হতে পারে সেসব, কিন্তু এসব কিছুকে উপেক্ষা করেই আমরা সেসব জায়গায় যাবো, দেখবো, থাকবো। এই ফাঁকে যে নতুন কোন ঝর্ণা, কোন ট্রেইল কিংবা কোন স্বর্গের দেখা মিলবে না, সেটা কে বলতে পারে!

ভ্রমির এই যে যাত্রা শুরু হলো, নতুন হাজারটা অ্যাডভেঞ্চার অপেক্ষা করছে আমাদের সামনে। দুচোখ মেলে প্রকৃতিকে দেখবার এই আয়োজনে আপনাকে আমন্ত্রণ!

Address


Telephone

+8801309007274

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Vromi posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Vromi:

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Travel Agency?

Share

ভ্রমির গল্প

ভ্রমির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০১৮ সালের ১৪ এপ্রিল। সত্যিকার অর্থে ভ্রমির শুরুটা যে ঠিক কবে আর কোথা থেকে, জানার উপায় নাই। আমরা ঘুরতে পছন্দ করি, সময় পেলেই পিঠে ব্যাকপ্যাক নিয়ে বের হয়ে যাই। আমরা কজন, পাগল ছেলেমেয়ে। ঘোরার নেশায় পাগল, অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় পাগল, নতুন সব জায়গা দুচোখ ভরে দেখার নেশায় পাগল।

অচেনা সব জায়গায় গিয়ে সেখানকার বন-পাহাড়-নদী-ঝর্ণা প্রাণভরে দেখা, মানুষের সঙ্গে আড্ডা দিতে দিতে একেকটা জায়গার নিজস্ব সব গল্প জানা, রাতে হাজার তারার মেলার নিচে খোলা মাঠে শুয়ে শুয়ে কালপুরুষ, অভিজিৎ, দেনেব, সুরাইয়া আর সপ্তর্ষিকে দেখা, আগুন জ্বালিয়ে চারপাশে গোল হয়ে বসে গিটার, উকুলেলে, কাহন আর মন্দিরা বাজিয়ে গান গাওয়া—এসবের স্বাদ যে পেয়েছে, তাকে কে বেঁধে রাখবে! এসব একা তো আর করা যায় না, সঙ্গীসাথী লাগে। সেজন্যে আমরা যখন অনেকে একসঙ্গে কোথাও যাই, আনন্দের কমতি হয় না। কোন বাধানিষেধ নেই, প্রাণভরে প্রকৃতি দেখা যায়, গল্প করা যায়, তর্ক এবং বিতর্ক হয়, সবচেয়ে বড় কথা, অনেকে নিজেকে আলাদা করে আবিষ্কার করেন কোন জায়গায় ঘুরতে গিয়ে। নিজের ভেতরে যে এতো চমৎকার একটা সত্তা ছিল, অনেকে সেটা প্রথমবার টের পান।

এইসব ঘোরাঘুরি, অ্যাডভেঞ্চার, পাগলামি করতে গিয়ে আমাদের কাছে মনে হয়েছে, কাজগুলো হয়তো একটু গুছিয়ে করতে পারলে ভালো হয়। উদ্দেশ্য, একটা সাসটেইনেবল সিস্টেম দাঁড়া করানো, যাতে এটা দীর্ঘদিন টিকে থাকে। ভ্রমণের বাঁধনবিহীন আনন্দটা যেমন থাকবে, তেমন আনুষঙ্গিক সব কাজও আগের চেয়ে ভালোভাবে করা যাবে। এইসব চিন্তা থেকেই ভ্রমির যাত্রা শুরু।

ভ্রমির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর আগে আমরা অনেক জায়গাতেই ঘুরতে গিয়েছি। গাজীপুরের বেলাই বিল কিংবা হবিগঞ্জের রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর কিংবা নেত্রকোনার সোমেশ্বরী নদী—যেখানেই গিয়েছি, বাংলাদেশ যে অসম্ভব সুন্দর, সেটা প্রকৃতি বারবার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছে। বাংলাদেশে অনেক পর্যটন কেন্দ্র আছে, যেসব জায়গায় মানুষ প্রায়শই ঘুরতে যান। এর বাইরেও যে এদেশে আরো হাজারটা জায়গা আছে, যেসব জায়গা হয়তো প্রকৃতি দুহাত ভরে সাজিয়ে দিয়েছে, সেসব জায়গা আমাদের দেখা হয় না। আমাদের ইচ্ছা, আমরা সেসব জায়গায় যাবো। অচেনা কোন জায়গা হতে পারে, দুর্গম কোন জায়গা হতে পারে সেসব, কিন্তু এসব কিছুকে উপেক্ষা করেই আমরা সেসব জায়গায় যাবো, দেখবো, থাকবো। এই ফাঁকে যে নতুন কোন ঝর্ণা, কোন ট্রেইল কিংবা কোন স্বর্গের দেখা মিলবে না, সেটা কে বলতে পারে!