TraveL ArT

TraveL ArT Your Ride - Our Plan
(7)

10/09/2023

Travel is a package of joy.

"দার্জিলিং, যেখানে প্রতিটি সূর্যোদয় একজন চিত্রশিল্পীর স্বপ্ন এবং প্রতিটি সূর্যাস্ত একজন কবির যাদুঘর।"
27/06/2023

"দার্জিলিং, যেখানে প্রতিটি সূর্যোদয় একজন চিত্রশিল্পীর স্বপ্ন এবং প্রতিটি সূর্যাস্ত একজন কবির যাদুঘর।"

29/05/2023

জীবন সংগ্রাম..

01/02/2023

Lusai Village 🌿

Sajek (31 - 01 - 23)

28/01/2023

ইটাখোলা মুড়া

কুমিল্লা সদর উপজেলার থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে কোটবাড়িতে অবস্থিত ইটাখোলা মুড়া (Itakhola Mura) সপ্তম বা অষ্টম শতকে নির্মিত একটি বৌদ্ধ বিহার। রূপবান মুড়ার বিপরীত পাশে সমতল ভূমি থেকে প্রায় ৪০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই প্রত্নস্থানে তিনটি স্তর পরিলক্ষিত হয়। প্রাচীনকাল থেকেই এখানে ইট পোড়ানো কারণে জায়গাটি ইটাখোলা মুড়া নামে পরিচিতি লাভ করে।

ইটাখোলা মুড়ায় বিভিন্ন সময় প্রত্নতাত্ত্বিক খননের ফলে একটি বৌদ্ধ মঠ ও বৌদ্ধস্তূপের সন্ধান পাওয়া যায়। প্রায় ৫টি সাংস্কৃতিক যুগ অতিক্রম করার ফলে এই স্থানের সকল প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশনগুলো উদ্ধার করা বেশ জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবিষ্কৃত স্থানের মধ্যে বিস্তীর্ণ স্তূপ কমপ্লেক্স ইটাখোলা মুড়ার মূল আকর্ষণ। প্রায় ১৩.১ বর্গমিটার ভিতের উপর অবস্থিত এই স্তূপের সম্মুখভাগের কেন্দ্রে ২.৪ মিটার দৈর্ঘ্য ও ২.১ মিটার প্রস্থ্যের একটি ক্ষুদ্র পীঠস্থান রয়েছে।

ইটাখোলা মুড়ার প্রবেশ পথ ধরে উপরে উঠলে আয়তাকার ক্ষেত্রের মাঝখানে এই বিহারে মূল মন্দিরটি দেখতে পাওয়া যায়। এই মন্দিরের প্রধান উপাস্য হলেন ধ্যানী বুদ্ধ অক্ষোভ্য। এখানে ৩য় নির্মাণ যুগে নির্মিত একটি মস্তকবিহীন বৌদ্ধ মূর্তি রয়েছে। ইটাখোলা মুড়া থেকে প্রাপ্ত নিদর্শনের মধ্যে প্রায় ১৮ তোলা ওজনের স্বর্ণ, মাটির পাতিলে রক্ষিত সোনার বল, রৌপ্য মুদ্রা, তাম্রশাসন, মাটির ফলকলিপি, ধ্যাণী বুদ্ধ মূর্তির আবক্ষ অংশ, ধাতব ধ্যানীবুদ্ধ অক্ষোভ্য, ধাতব ধ্যানীবুদ্ধ অমিতাভ, গণেশ মূর্তি, অলংকৃত পোড়া মাটির ফলক, মাটির পাত্র, তেলের প্রদীপ, ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

https://vromonguide.com/place/itakhola-mura-comilla

ঝর্ণাটি লোক চক্ষুর অন্তরালে ছিলো। ২০০০ সালের দিকে এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী গভীর অরণ্যে ধুপপানি ঝর্ণার নিচে ধ্যান শুরু করেন। পর...
25/10/2022

ঝর্ণাটি লোক চক্ষুর অন্তরালে ছিলো। ২০০০ সালের দিকে এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী গভীর অরণ্যে ধুপপানি ঝর্ণার নিচে ধ্যান শুরু করেন। পরে স্থানীয় লোকজন জেনে ঐ বৌদ্ধ ধ্যান সন্ন্যাসীকে দিনের নির্দিষ্ট কিছু সময় বা উপলক্ষ্যে সেবা করতে গেলে এই ঝরনাটি জন সম্মুখে পরিচিতি লাভ করে।

তঞ্চঙ্গ্যা ভাষায় ধুপ অর্থ সাদা পানিকে পানিই বলা হয় তঞ্চংগা ভাষায়। ধুপপানি অর্থ সাদা পানির ঝর্ণা। ঝর্ণার পানি স্বচ্ছ এবং যখন অনেক উচু থেকে তার জল আছড়ে পড়ে তখন তা শুধু সাদাই দেখা যায়। তাই একে ধুপ পানির ঝর্ণা বলা হয়।সমতল থেকে এর উচ্চতা প্রায় ১৫০ ফুট। ঝর্ণা থেকে পানি আছড়ে পড়ার শব্দ প্রায় ২ কিলোমিটার দুর থেকে শোনা যায়।

এই ঝর্ণায় একজন সাধু ধ্যান করেতেন। স্থানীয় ভাষায় এই ধর্মযাজক সাধুকে বলা হয় ‘ভান্তে’, এই ছয় দিনে ভান্তে কোনো চিৎকার-চেঁচামেচি পছন্দ করতেন না। তিনি সপ্তাহের ছয় দিন ধ্যান করে শুধু রোববারে খাবার খাওয়ার জন্য নিচে নামতেন। তাই শুধু রোববারেই ঝর্ণাটায় লোকজনের যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হতো।

তবে বর্তমানে এটি ভ্রমণ পিপাসুদের আগ্রহের স্থান হওয়ায় ঝর্ণার স্থানে অতিরিক্ত শব্দ না করার শর্তে স্থানটিতে সপ্তাহের অন্যান্য দিনও প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়।

"Life is short. Smile while you still have teeth." — Unknown
19/09/2022

"Life is short. Smile while you still have teeth." — Unknown

10/09/2022

হবে নাকি আবার??

টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন শিপ টিকেট আপনার বাসায় বসে বুকিং দেয়ার জন্য এখনই যোগাযোগ করুন... 📲01913844144
14/12/2021

টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন শিপ টিকেট আপনার বাসায় বসে বুকিং দেয়ার জন্য এখনই যোগাযোগ করুন...

📲01913844144

14/12/2021

১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের ছুটিতে সেন্টমার্টিন

নিচের প্যাকেজটি টেকনাফ-সেন্টমার্টিন- টেকনাফ

যেতে চাইলে এখনই যোগাযোগ করুন...
📲০১৯১৩-৮৪৪১৪৪

Your Ride - Our Plan

বিজয় দিবসের ছুটিতে... #সেন্টমার্টিন!!! সবচেয়ে কম খরচে? 🏘️ ➡️রুম বুকিং🍽️ ➡️খাবার🛳️ ➡️শিপ টিকেট (🚌🛳️🏘️🍽️) ➡️সম্পূর্ণ প্যাক...
05/12/2021

বিজয় দিবসের ছুটিতে...
#সেন্টমার্টিন!!!

সবচেয়ে কম খরচে?

🏘️ ➡️রুম বুকিং

🍽️ ➡️খাবার

🛳️ ➡️শিপ টিকেট

(🚌🛳️🏘️🍽️)
➡️সম্পূর্ণ প্যাকেজ

এবং আকর্ষণীয় ছাড় পেতে আজই যোগাযোগ করুন...

📲01913844144

সবচেয়ে কম খরচে  #সেন্টমার্টিন 🏘️ ➡️রুম বুকিং🍽️ ➡️খাবার🛳️ ➡️শিপ টিকেট (🚌🛳️🏘️🍽️) ➡️সম্পূর্ণ প্যাকেজ এবং আকর্ষণীয় ছাড় পেতে ...
02/12/2021

সবচেয়ে কম খরচে #সেন্টমার্টিন

🏘️ ➡️রুম বুকিং

🍽️ ➡️খাবার

🛳️ ➡️শিপ টিকেট

(🚌🛳️🏘️🍽️)
➡️সম্পূর্ণ প্যাকেজ

এবং আকর্ষণীয় ছাড় পেতে আজই যোগাযোগ করুন...

📲01913844144

১৬,১৭ ডিসেম্বর  #বিজয়_দিবসের ছুটিতে পরিবার/বন্ধুবান্ধব সহ ঘুরে আসুন সেন্টমার্টিন। সেন্টমার্টিনে সমুদ্রের কাছাকাছি রিসোর্...
30/11/2021

১৬,১৭ ডিসেম্বর #বিজয়_দিবসের ছুটিতে পরিবার/বন্ধুবান্ধব সহ ঘুরে আসুন সেন্টমার্টিন।

সেন্টমার্টিনে সমুদ্রের কাছাকাছি রিসোর্টে..

🏘️ ➡️রুম বুকিং

🍽️ ➡️খাবার এবং

🛳️ ➡️শিপ টিকেট

বা সম্পূর্ণ প্যাকেজের জন্য বুকিং দিতে আজই যোগাযোগ করুন...
📲 ০১৯১৩৮৪৪১৪৪

সেন্টমার্টিনে সমুদ্রের কাছাকাছি রিসোর্টে..🏘️ ➡️রুম বুকিং🍽️ ➡️খাবার এবং🛳️ ➡️শিপ টিকেট বা সম্পূর্ণ প্যাকেজের জন্য আজই যোগা...
30/11/2021

সেন্টমার্টিনে সমুদ্রের কাছাকাছি রিসোর্টে..

🏘️ ➡️রুম বুকিং

🍽️ ➡️খাবার এবং

🛳️ ➡️শিপ টিকেট

বা সম্পূর্ণ প্যাকেজের জন্য আজই যোগাযোগ করুন...

For details 📲01913844144
24/11/2021

For details
📲01913844144

18/11/2021

"Travel Art" সেন্টমার্টিনে আছে আপনাদের পাশে...
#রুম_বুকিং
#শিপ_টিকিট
#খাবার
যোগাযোগঃ
01913844144

The sun goes down and perspectives change.   .
13/11/2021

The sun goes down and perspectives change.


.

মেঘ ছুঁতে  দু'হাত মেলি,দেখি চলো সাজেক ভ্যালি!যোগাযোগঃ📞01617618815📞01712745768📞01913844144
03/11/2020

মেঘ ছুঁতে দু'হাত মেলি,
দেখি চলো সাজেক ভ্যালি!

যোগাযোগঃ
📞01617618815

📞01712745768

📞01913844144

18/10/2020

💠কমখরচে মেঘপাহাড়ের দেশ সাজেক যাত্রা।

➡️ যারা নিশ্চিত যাবেন কেবল তারাই গোয়িং দিয়ে বুকিং কনফার্ম করে ফেলবেন এবং যারা আগ্রহী যেতে ইচ্ছুক সময় সুযোগ হলে আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে যাবেন তারা ইন্টারেস্ট দিয়ে সাথে থাকুন ইভেন্ট আপডেট পেতে।

🚌 ২৭ অক্টোবর - কুমিল্লা থেকে রাতের বাসে যাত্রা শুরু।

🚙🍽️ ২৮অক্টোবর - খাগড়াছড়ি পৌছে সকালের নাস্তা সেরে চাঁদের গাড়িতে করে হাজাছড়া ঝর্ণায় (যদি খোলা থাকে) গিয়ে কিছুক্ষণ ঝাপাঝাপি করে ১০ টার সেনাবাহিনীর এস্কর্টে চাঁদের গাড়িতে সাজেকের উদ্দেশ্যে রওনা দিব।

🍽️ সাজেক পৌঁছে ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার খাব।

⛅ তারপর সূর্যাস্ত দেখবো কংলাক এর চূড়ায় বসে,এরপর ফিরে এসে আড্ডা। আড্ডার শেষে বার বি কিউ /ব্যাম্বো চিকেন দিয়ে রাতের খাবার সেরে নিবো।

☁️☁️ ২৯ - ভোর ৫টায় ঘুম থেকে উঠে যাবো হ্যালিপ্যাড, মেঘেরভেলায় দেখবো সূর্যোদয়।

🍽️ তারপর সকালের নাস্তা সেরে ১০ টার স্কটে গাড়িতে চলে যাবো খাগড়াছড়ি শহর।

🍽️ ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার শেষে আমরা চলে যাবো হটিকালচার পার্ক ঝুলন্ত ব্রীজ।
খুব দ্রুত চলে যাব আলুটিলা গুহা,তারেং নতুবা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
তারেং থেকে শহর দেখে সোজা কুমিল্লার উদ্দ্যেশে, মাঝপথে বারৈয়ারহাট নেমে রাতের খাবার খাব।
তারপর বাসে সোজা কুমিল্লা।
আশাকরি ১১.৩০-১২.০০টায় কুমিল্লা থাকবো।

💲 ভ্রমণ খরচঃ
২৮৫০ টাকা মাত্র।

✪ ১রুমে ডাবল বেডে ৫ জন শেয়ার করে থাকতে হবে।
কনফার্ম করার শেষ সময়:- ২২ অক্টোবর

যা যা পাচ্ছেনঃ
^^^^^^^^^^^^^
☞ কুমিল্লা থেকে খাগড়াছড়ি- নন এসি বাসের টিকিট।

☞ রিজার্ভ চাঁদের গাড়ি দিয়ে ঘুরাঘুরি।

☞ একরাত সাজেকে কটেজে থাকা।

২৭অক্টোবর- ২৯ ই অক্টোবর রাতের খাবার, মানে ২ দিনের ৬ বেলা খাবার।

✪ভ্রমণ স্থানঃ
````````````````
☞ সাজেক
☞ কংলাকপাড়া
☞ রুইলুই পাড়া
☞ আলুটিলা গুহা
☞ তারেং
☞ জেলা পরিষদ হটিকালচার পার্ক ও ঝুলন্ত ব্রীজ।

➡️ কনফার্ম করার জন্য ১৫০০ টাকা বিকাশ (অফেরত যোগ্য)।
বিকাশ করার পর আপনার নাম,মোবাইল নাম্বার, এবং যে নাম্বার থেকে টাকা পাঠিয়েছেন তার শেষ ৪ ডিজিট, আমাদের বিকাশ নাম্বারে ম্যাসেজ করবেন এবং ফোনে কনফার্ম করবেন।

বিকাশ নাম্বার :
01712-74 57 68
01617-61 88 15
যেকোন প্রয়োজনে উপরোক্ত নাম্বার দুটোতে যোগাযোগ করতে পারেন।

যে সকল বিষয় খেয়াল রাখতে হবেঃ
-------------------------------------------
➡️ সকলকেই ভ্রমণের মানসিকতা সম্পন্ন এবং সহনশীল হতে হবে।

➡️ ভ্রমণসংক্রান্ত যে কোন সমস্যায় নিজেরা বিস্তারিত আলোচনা করে সমাধান করবো।

➡️ নিজেদের মধ্যে শিষ্টাচার বজায় রেখে সর্বোচ্চ আনন্দ উপভোগ করবো।

➡️ নিজ দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিজেরাই রক্ষা করবো।

পর্ব-১."জেবি"র সাথে ডাক্তারদের সাজেক যাত্রা।সাজেকের যাত্রার জন্য সময় নির্ধারণ গুরুত্বপূর্ণ।ঠিক এগারটায় সবাইকে সময় দেয়া হ...
04/10/2020

পর্ব-১.
"জেবি"র সাথে ডাক্তারদের সাজেক যাত্রা।
সাজেকের যাত্রার জন্য সময় নির্ধারণ গুরুত্বপূর্ণ।
ঠিক এগারটায় সবাইকে সময় দেয়া হলো,আধাঘন্টা এগিয়েই দেয়া।
কিন্তু সবাই সময়ের ব্যাপারে সচেতন,সময়মতো হাজির।
শুরুতেই সময় সচেতনতা মুগ্ধ করলো,আরো মুগ্ধ হলাম মুনের পক্ষ থেকে দেয়া গেঞ্জি, আর হেলালের সীট প্ল্যান।
পপি আপা ও পরিবার সীট নাম্বার অমুক, রাব্বি ভাই সীট নাম্বার তমুক বলে বলে বসানো হলো,খুব সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা।
বাস মুন এর সামনে থেকে পুলিশলাইন হয়ে চকবাজার দিয়ে আপন গতিতে রাতের শহরকে পিছে ফেলে হাইওয়ের দিকে যাত্রা শুরু করলো।

ফুলেফুলে ভরে উঠা মহাসড়ক দিয়ে একঝাঁক ডাক্তারদের কলতানে মুখরিত বাস।
এনা শ্যামলী তাদের গতির বাহাদুরি দেখিয়ে যাচ্ছে,আমাদের সেদিকে অত খেয়াল নেই।চালক সুমন ভাইকে আগেই নির্দেশনা দেয়া খুব ধীরেসুস্থে আমরা খাগড়াছড়ি যাব,কোন তাড়াহুড়ো নেই।
সুমন ভাইও বেশ,প্রকৃতিকে দেখিয়ে দেখিয়ে নিয়ে চলছেন খাগড়াছড়ি।
করেরহাট পাড় হলেই পাহাড়ের সাথে মিতালী গড়ে উঠে আকাশ ও রাস্তার।
"আকাশে হেলান দিয়ে পাহাড় ঘুমায় ওই"নজরুলের বিখ্যাত গানটিই স্মরণ করিয়ে দেয়।
যখন পাহাড়ে গাড়ি তখন ঘড়িতে তিনটা বাজে,সবাই ঘুমে ঢুলোঢুলো।

ঠিক শেষ চার সীটে আমরা আয়োজকরা বসে যাই,সবার সেবাই আমাদের মূলমন্ত্র।
আগেও সাজেক যাওয়া হয়েছিল, তখন সামনের সাঁড়িতে ছিলাম আকাশ পাহাড় গাছগাছালি সাপের মতো আঁকাবাঁকা রাস্তা উপভোগ করা যায়নি,ঘুমের দেশে হারিয়ে ছিলাম।
এইবার আমাদের ঘুমানো মানা,পথ চিনে পথের সাথে মিতালী বাঁধতে হবে।
আমাদের আসন থেকে দেখা যাচ্ছে পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথে চালকের সুনিপুণা কারুকার্য।
দশবারো গজেই মোড় নেয়া,আবার সোজাপথে মিনিট দুয়েক চলেই আবার মোড় নেয়া,৪৫আসনের বাসটি একটা জাতিসাপ মনে হচ্ছে,শুধু ফণাটাই নেই।

ফণিহারা সাপের নাচনকোঁদন এ আমরা হেলেদুলে যাচ্ছি,নিজেদের খোশগল্প চলমান।
একজন দুজন একটু সজাগ হয় আবার ঘুমের দেশে হারায়।
মাটিরাঙায় আমাদের প্রবারণা পূর্ণিমা দেখা হলো,গাছের ফাঁক গলে কি আলোয় ঝলমল চাঁদ।
একটাই দোকান ইতিমধ্যে সব বাসের যাত্রীরা মিলে তার সব সাবাড় করে নিয়েছে,কলা কিংবা দেশীয় ফল আর নেই।
আছে শুধু রং চা,ভীড় ঠেলে পান না করাই শ্রেয়।
আবার বাস ছাড়লে নিজেও একটু ঘুমের দেশে চলে গেলাম।চোখ মেলে দেখি নতুন সূর্যের আভা,পাহাড়ের ভোররাতের অমলিণ সুন্দরতা।
পাহাড়ি আদিবাসীরা নিজেদের কাজে যাচ্ছে,কেউ কেউ ফজরের নামে ব্যস্ত।

বৃহস্পতি কিংবা শুক্রবার খাগড়াছড়ি সকাল হয় দ্রুত।
সকালে দেশীয় ফলের বাজার বসে,বাজারে এখন কলা, মাল্টা, জাম্বুরা, লেবু, কমলা,পেঁপে পাওয়া যায়।
চাষীরা সকালে বাজারে আসে পর্যটকরা কিংবা স্থানীয় লোকজন এর নিকট বিক্রি করে, কিংবা পাইকার কিনে নেয়।
চাষীদের থেকে হাত বদল হলেই কলার ছড়ি ১০০টাকা থেকে একলাফে অনেক বেড়ে যায়।বড় কলাটা দেখিয়ে ছোটক কলা বিক্রি হয়,বড়কলার দিকে নজর দিলেই হাজার টাকায় ঠেকে।
আজ শুক্রবার খাগড়াছড়িতে সকাল হলো তাড়াতাড়ি।
পান্ডব হোটেল ইউনিটির ব্যবস্থাপক,খুব ভোরেই আমাদের অপেক্ষায়।
বাস থেকে নেমেই সুন্দর পরিপাটি হোটেলে যে যার মতো করে দাঁতব্রাশ স্নান সেরে নিল।সারা রাতের ভ্রমণক্লান্তি নিমিষেই উবে গেল।
দীঘিনালায় খুব ভাল বসে খাবার রেস্তোরাঁ পাওয়া যায়না।
সবই জমজমাট হিজিবিজি,আমরা তবুও একটা সুন্দর স্থান বের করলাম।
সবাই মিলে আড্ডা গাল গল্পে প্রকৃতি দেখে দেখে সকালের খাবার খাওয়ার অনন্য পরিবেশ।
কাস্মিরী পরটা আর চাইনিজ সব্জি ডিমভাজি ওও কফিতে সকালের নাস্তা।

পর্ব-১.কাপ্তাই-বিলাইছড়ি-ণ'কাটা মুপ্পোছড়া.বাবা তোমার দরবারে সব পাগলের মেলা,হরেক রকম পাগল দিয়া মিলাইছে মেলা!বাদুরতলা আড্ডা...
01/10/2020

পর্ব-১.কাপ্তাই-বিলাইছড়ি-ণ'কাটা মুপ্পোছড়া.

বাবা তোমার দরবারে সব পাগলের মেলা,হরেক রকম পাগল দিয়া মিলাইছে মেলা!
বাদুরতলা আড্ডা খানা শেষ বড়ভ্রমণ দিয়েছিল ২০১৯ টাঙ্গুয়ার হাওর ও ২০২০এ বগালেক ক্রেউকারাডং।।
একবছরের মাঝে একবার কমলদহ যাওয়া হলো নতুবা বলা চলে ঘরে বসেই কাটিয়ে দেয়া হলো বছর।
যারা ঘর ছেড়েছে তাদের আবার আটকে রাখা দায়,আবার অনেকের ঘরে থেকে থেকে ঘরকেই ভালবেসেছে,বের করা দায়।
২০২২জনের বিরাট পাগলের লিস্ট ছিল ট্যুরের, পাগলের দল থেকে মাত্র ১০জন টিকলো।
বাকিরা দিব্যি সংসারে বন্দিত্ব বরণ করলো।
ধুপ্পানি ঝর্ণা তার ভিডিও দেখে দেখে আমরা ইতিমধ্যে প্রেমে নত,কি অসাধারণ ঝর্ণা।
ভ্রমণ সময় সাধারণত বৃ্হস্পতি থেকে শনি অব্দি হয়, আমরা এইবার একদিন আগেই শুরু করলাম।যাবতীয় হুড়োহুড়ি এড়িয়ে ঘুরতে গেলে প্রকৃতিকে সুন্দরভাবে, নিজের মতো করে উপভোগ করা যায়।
বাদুরতলা আড্ডাখানায় আড্ডা শেষে নুরজাহানে চড়ুইপাখীর সংসার দেখেই ভ্রমণ শুরু হয়।
রাতের বেলা লাখলাখ পাখির কিচিরমিচির মনকে শিহরিত করে,কি ভাল্লাগে পাখীদের ডাক।
শ্যামলী পরিবহন,আমাদের আসনগুলো সামনের সাড়িতেই পেলাম।
চালক টেম্পল রান খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন,সাপের ন্যায় একেঁবেঁকে সব ট্রাকবাস পেছনে ফেলে ভোর হবার আগেই রাঙামাটি জেলায়।
ভোরের অল্প আলোয় পাহাড়ের রুপসুধা অনন্য।
যখন কাপ্তাই নামি ঘড়িতে তখন ৫.৩০।
প্রাকৃতিক কর্ম সারার জন্যন্য পাবলিক টয়লেট খোঁজ করছি,পেয়েও লাভ হলনা ইহা তালাবদ্ধ।
নয়টায় খুলবে,অগত্যা হাতমুখ ধুয়ে নাস্তা সেরে নিলাম।
জেটিঘাট যখন যাই তখন ভোরের লাল সূর্য উঁকি দিল,চিকচিক করছে কাপ্তাইয়ের জলে সূর্য।
দূর পাহাড়ে সাদামেঘের ভেলা,মনে হল সাজেকের চূড়ায় আছি।
যাপিতজীবন ইতিমধ্যে শুরু,ডিঙি নৌকা বেয়ে এখান ওখান যাচ্ছে মানুষজন।
আমাদের অপেক্ষা করতে হলনা "আবু বকর সিদ্দিক"কে পেয়ে গেলাম।
দর কষাকষি করে ওকেই আমরা মাঝি হিসেবে পেলাম,দশম শ্রেণির ছাত্র আবু বকর।
সংসার চালায় নৌকা চালিয়ে, মাস ছয়েক আগে মাকে হারিয়েছে বাবা শয্যাশায়ী।
ছোটবোনকে দেখার দায়িত্ব সিদ্দিকে,আদরের বোনকে রেখেই আমাদের নিয়ে যাত্রা শুরু করলো।
সকালের সূর্য্যের তেজ তখনো দিতে শুরু করেনি,মৃদু বাতাসে ইঞ্জিনের শব্দে নৌকা চলমান।
শান্তির একটা বাতাস আর কাপ্তাইয়ের জল ও দুপাশে গাছগাছালি ঘেরা পাড়া ছেড়ে আমরা যাচ্ছি বিলাইছড়ির দিকে।
সূর্য্যের আলো যত কিরণ দিচ্ছে ততই কাপ্তাইয়ের জল সবুজের মাঝে নীল হচ্ছে।
কিছুদূর যেতেই আর্মি ক্যাম্প,সেখানে আইডি কার্ড দিয়ে সবাই মিলে গ্রুপ ছবি তোলে রাখে।
যেকোন বিপদ আপদে উদ্ধার পেতেই ইহা করা হয়।
আবার নৌকা চলছে হাসিতামাশাও চলমান।
চলমান বহমান জীবনজীবিকার উদ্দ্যেশ্যে বয়ে যাওয়া মাঝি, মাছ শিকারীর নৌকা।
কেউ কেউ বিলাইছড়ি থেকে কাপ্তাই যাচ্ছে,এইখানে তাদের ব্যবসাপাতি।

বিলাইছড়ি পৌছার ঠিক আগেও আরেকটা ক্যাম্প,সেখানেও নিয়মনীতি মানতে হলো।
দূর থেকে সাদা দালান দেখা যাচ্ছে,ইহাই বিলাইছড়ি হাসপাতাল।
আধুনিক হাসপাতাল বিলাইছড়ির মানুষজন এখন আর কিছু হলেই কাপ্তাই কিংবা রাঙামাটি যেতে হবেনা।
আমাদের থাকার জায়গা কোথায় আমরা জানিনা,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুনায়েত কাউসার ভাইকে ফোন করলাম।
জাহাংগিরের রেস্টুরেন্ট, কোথাও খোঁজে পেলাম না।
খোঁজে খোঁজে দিশেহারা,উপজেলা পরিষদ ঘুরা সারা।
যেখানে ঘাটে নৌকা বিঁধেছিল সেখানেই আবার আসলাম,সেখানেই আমাদের বাস হবে।
কাউসার ভাই প্রথম ভুল নাম বলেছিলেন,এখন ঠিকটা মনে করে বললেন।
বিলাইছড়ির ওসি ইতিমধ্যে নিজামের হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করেছেন,পুলিশ সুপারের অতিথি সবাই।
সেনাবাহিনী বন্দুক তাক করে দাঁড়িয়ে, আমাদের জন্য নয় রাঙামাটির সাংসদ দীপংকর তালুকদার ও সেখানকার সিও র নিমিত্তে।
খুব আহামরি ঘর নয় আবার সেখানকার জন্য আহামরি ঘর।
সারারাত আর সকালে ক্লান্তি দূর হলো সবার স্নান আর প্রাতঃকর্ম সম্পাদনের মধ্য দিয়ে।
সিদ্দিক বের হবার তাড়া দিল,তাড়াতাড়ি গেলেই আমরা তাড়াতাড়ি ফিরবো।
মুপ্পোছড়া আর ণ'কাটা আজ দেখবো।
আবার সেই কাপ্তাইয়ের জলে ভেসে সবুজ প্রকৃতি দেখে যাচ্ছি।
সকালের স্নিগ্ধ মৃদু বাতাস এখন আর নেই,এখন চৈত গরম।
কাঠফাঁটা রোদে অসহ্য হবার উপক্রম কিন্তু তা ভুলিয়ে দিচ্ছে শরতের অমায়িক সুন্দর নীলাকাশ।
ঘন্টাদেড়েক পরই বাঙাল্কাটা,এইখানেই নৌকা নোঙর হবে।
১৪-১৫বয়সী সাদা গেঞ্জি পরিহিত একটা ছেলে নৌকার আগে আগে দৌড়াচ্ছে,নৌকা থামতেই মিষ্টি হাসিতে স্বাগত জানাল।
সোলেমান চাকমা-আমাদের এই ঝর্ণাগুলো যাওয়ার সময় গাইড।
এইটা একটা পাড়া,নদীর এপাড় ওপাড় দুটোপাড়া।
পাড়ায় দোকানপাট বসে, আমাদের পাড়ে একটা দোকানে বসলাম।
পাহাড়ী কলা ঝুলছে,ছিঁড়ে মুখে দিতেই অমৃতের স্বাদ পেলাম।
সবাই ইচ্ছেমতো খেয়ে কলার বিল উঠলো ১৫৫টাকা,দশজন বিশালাকার ৩১টা কলা খেলাম।
ফরহাদ ভাই একাই ৮টা কলা সাবাড় করলেন,পাহাড়ি ফল সবজি উনার প্রিয়, এতে প্রচুর শক্তি হয়।
বিল পরিশোধ করে একটা গরুর দিকে নজর গেল।
গরুটার গলায় কাঠের একটা ঘন্টা ঝুলছে।
জিজ্ঞ্যেস করে জানা গেল এইটা হলো পালের গরু গুলো হারিয়ে গেলে খোঁজে পাওয়ার উপায়।
হিমেল রসিকতা করে বিশুদার জন্য একটা কিনতে চাইলো,অনেক খোঁজেও বিক্রেতা পেলনা।
পাহাড়ের ফাঁক গলে শরতের নীলাকাশ,অসম্ভব সুন্দর দেখাচ্ছে।
পাহাড়ি ধান ক্ষেতের আল ধরে হেঁটে যাচ্ছি।

সমান্তরালে মিনিট ত্রিশেক হেঁটে যাচ্ছি।
বুনোফুল গুলোর সুন্দর বিমোহিত করছে,আরো মনকাড়া নানা রঙবেরঙ এর প্রজাপতিগুলোর উড়ে বেড়ানো।একস্থানে বিশটার মতো প্রজাপতি একসাথে সভা করছিল,মানুষের পদচারণায় একসাথে উড়ে দিল ভোঁদৌড়।
এইবার ঝিরিপথ। অন্ধকার আর আলোর খেলা।
ছোটছোট ক্যাস্কেড থেকে ঝর্ণার প্রবাহিত জলের কলকল শব্দ।
যে গ্রুপটাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম তারা ঝর্ণা দেখে ফিরছে,খুব খুশি।
উঁচুনিচু পাহাড় বাইতে শুরু করলাম,ঝর্ণা খুব দূরে নয়।
মাঝেমাঝে পাহাড়ে বিশাল পাথরের ফাঁক গলে জলের আনাগোনা।
ইতিমধ্যে জোঁক আক্রমণ করে ফেলছে, সবার মধ্যেই কিছুটা আতংক।
কামরান জানালো জোঁক কামড়ালে কিছু হয়না,জোঁকের কামড় শরীরের ব্যাথাবেদনা দূর করে।
জোঁক ও ঝোপ বুজে কামরানকেই কোপ দিল।
কামরান জোঁকের ভয়েভীত,আমরা অট্রহাসিতে বলতে লাগলাম-জোঁক কামড়ালে শরীরের ব্যাথা বেদনা দূর হয়।
ওপাশে ণ'কাটা ঝর্ণার শব্দ শোনা যাচ্ছে,আমরা ণ'কাটায় মুপ্পোছড়া থেকে ফিরার পথে যাব।
সবচেয়ে উঁচুতে মুপ্পোছপড়া,সেখানেই আপাতত আমরা যাই।

আরো মিনিট বিশেক পাহাড় বাইতে পেয়ে গেলাম মুপ্পোছড়া।
সমস্ত ঝর্নায় জলাধিক্য কম,বেশি আছে শেওলাধিক্য।
ঝিরিঝিরি শব্দ কানে ভেসে আসে শুনতে মন্দ নয়,ঝর্ণার গান সবসময় মনোমুগ্ধকর।
প্রায় তিনশফুট উপর থেকে প্রবাহমান ঝর্ণার জল পায়ে এসে আছড়ে পড়ে,কি এক অন্যরকম ভাললাগা।
ঝর্ণার জল যেমনই থাকুক এইখানে শব্দটা চমতকার,আরো চমৎকার শিশিরের ন্যায় গায়ে এসে লাগা জলের ছিটা।
সবাই মিলে একদম সবুজের মাঝে এইঝর্ণা উপভোগ করলাম।
বৃষ্টি হানা দিবে তাছাড়া যতটা আশা ছিল,ততটা মন ভরাতে পারেনি এইঝর্ণা।
সবাই মিলে নীচে নামতে শুরু করলাম,বড়ছোট পাথর পাড়ি দিয়ে সাবধানে নামতে হয়।
তড়িঘড়ি করলে কেল্লাফতে যাবার সম্ভাবনা আছে।
মিনিট পনের নেমেই ণ'কাটা।
মুপ্পোছড়া আমাদের মফু বানালেও ণ'কাটা আমাদের নাক কাটেনি।
ণ'কাটার জল ও স্রোত বেশ।
ণ'কাটার প্রবাহমাণতা খুব বেশি,ভরপুর জল আছে।
পাহাড়ের গা ঘেঁষে দুধসাদা জল দেখে মুগ্ধ।
সবাই মিলে ঝর্ণার আশ্রয়ে গেলাম,ঝর্ণা আমাদের শান্ত করে দিল।
১৫০-২০০ফুট উঁচু থেকে প্রবাহমাত্রার ঝর্ণা।
সবাই এখন খুব আত্মতৃপ্তিতে আছি।
আধাঘন্টার মতো দাপাদাপি করলাম,কখন সময় গেল তার হদিস পেলাম না।
ঘড়িতে ইতিমধ্যে চারটা প্রায়,ফিরতে হবে।
যাবার পথে আবার ফেরা হলো।
দোকানে বসে চা, বিস্কুট কলা,জাম্বুরা খেয়ে দুপুরের পেটশান্তি করলাম।
আমরা সবাই নৌকায় চলে আসলাম,বাকিরা আসার নাম নেই।
কিছুক্ষণ পর হাতে বিশালাকার একটা মুরগি হাতে নিয়ে হাজির,রাতের আহার হবে তারই মাংসে।
সবাই খুব ঢেঁকুর তোলে যাত্রা করলো বিলাইছড়ি।

#জেবি_ট্যুরস_এন্ড_ট্রাভেলস।

চৈত্রসংক্রান্তির মাছ শিকার।২০১৪সালে সকাবেলা বাসা থেকে বের হতেই অততুলের ফোন পেয়ে কান্দিরপাড়।ইতিমধ্যে করিম তার বিএমডাব্লিউ...
14/04/2020

চৈত্রসংক্রান্তির মাছ শিকার।
২০১৪সালে সকাবেলা বাসা থেকে বের হতেই অততুলের ফোন পেয়ে কান্দিরপাড়।
ইতিমধ্যে করিম তার বিএমডাব্লিউউ নিয়ে হাজির,সাথে ছিল রিয়াজ।
করিম সকালসকাল অঘটন ঘটিয়ে সিদ্ধান্ত নিল আর টাকাপয়সা উপার্জন নয়।
আজ শুধু ঘুরাঘুরি, আমরাও রাজী।
মাইনুদ্দিন থেকে পেটিস আর ফ্যানটা নিয়ে চলা শুরু।
আদালত হয়ে কাপ্তানবাজার দিয়ে চানপুর ব্রীজ যেতেই অবাক করা দৃশ্য।
দুইশ থেকে আড়াইশ জনের একটা দল নদীতে, ভাবলাম মারামারি লাগলো নাকি?
না -আমাদের ভাবনা ভুল,জেলেপাড়ার সব ছেলেবুড়ো আজ গোমতীতে মাছ শিকার করবে,জাউল্লাপাড়া থেকে শুরু তাদের যাত্রা,ইহা দিনের শেষভাগ পর্যন্ত চলবে যেখানেই শেষ হোক।
মাছ ধরা হলে সবার মাছ একসাথে করে সমভাবে বন্টনের মধ্যেই তাদের রীতিনীতির সমাপ্তি হয়।
কী সুন্দর একটা ভাগবাটোয়ারা, আসুক বা না আসুক মাছ জেলেপাড়ার সবার মধ্যেই সমানভাগে বিলানো হবে।
এমন শুনতেও ভাল লাগে,আর ভাল লাগলো যখন দেখলাম কেউ কনুই জাল,কেই খেয়াজাল,কেউ উড়ানো জাল,লাঠি বল্লম আন্তা নিয়ে মাছ ধরতে ধরতে যায়।
আরো ভাল্লাগে গগনবিদারী চিৎকার করে উঠে যখন একজন একটা মাছ কেউ ধরলো,এইতো একের ফসল সবাই মিলে ভোগের আনন্দের ধ্বনি।
ব্রীজ থেকে দেখছিলাম ছেলেবুড়ো সবাই সানন্দ্যে মাছ শিকারে ব্যস্ত।কারো বয়স ৭০-৮০ছুঁই, তবুও তারা কি খুশিতে তাল মিলিয়ে যাচ্ছে।আমার কবির সুমনের গানটার কথা মনে পড়ে গেল-বয়স আমার মুখের রেখায় শেখায় আজো ত্রিকোণমিতি।
বয়স মুখের রেখায় থাকলেও মনের বয়স তাদের খুবই অল্প,তাইতো সবাই মিলে এককাতারে তালমিলিয়ে তালেতালে ছুটে চলছে মিনিটি বিশেকের মধ্যে চোখের আড়ালে চলে গেল মাছ শিকারীর দল।
আমরা আবার বিএমডাব্লিউতে চড়ে বসলাম।
গোমতীর প্রাকৃতিক সুন্দর,পথেঘাটে সিনেমার পোস্টার, চায়ের দোকানে আড্ডা দিয়ে পালপাড়া ব্রীজ।
সেখানে অনেক তালগাছে দেখা,তর্কবিতর্ক না করে বিশ্বের সমস্ত তালগাছের মালিক অতুলকে দিয়ে দিলাম,অতুলও খুশি তাল গাছ হেতার।
বাবুবাজার গিয়ে একটা মালাই চা খেয়ে শরীরে একটা ভাব আসলো,চাড্ডি পড়েই গোমতীর জলে সাঁতার শুরু করলাম। ঘন্টাখানেক গোমতীর জল আমাদের তনুমন তৃপ্ত করল,বাল্যখেলায় মত্ত হলাম।
গোমতীর বালিতে ঘর বাঁধলাম,আবার ঢেউ দিয়ে গুঁড়িয়ে দিলাম।
পানিপথের যুদ্ধ করলাম,একজন আরেকজনকে ডুবিয়ে জল খাওয়ানো হল।
তালগাছ পেয়ে খুশি অতুল ছবি তুলে দিল।
অতুল আরও খুশি হয় স্ন্যাকস এর পর কিছু ভারী খাবার হলে।
আমরা সারাটা জীবন অতুলের তরে কাটিয়ে দিয়েছি,অতুল করিমের তরে।
বাবু আবার আমাদের সবার তরে,বাবুর আতিথেয়তায় ভর্তা ভাজি আরর হাঁসের মাংস দিয়ে খাওয়া হলো।
খেয়ে ভাবলাম মা বাবাকেও দেখে আসি, একটা বড় কাতলা মাছ ও একটা তরমুজ যা মায়ের খুব প্রিয়, কিনে বেকার আমি গর্বে বুক ফুলিয়ে বাড়িতে গেলাম।
বাবা সুযোগ বুজে সবার সামনে আমাকে শুনিয়ে দিলেন-মানুষ হ,পাগলেও নিজের বুজ বুজে,তুই কবে বুজবি।
করিম অতুল রিয়াজ আমার বাবার কথা শুনে খুশিমনে ফিরে আসলো,অসাধারণ একটা দিন ছিল।
প্রেমিকার গুষ্টি কিলাই-করিম ভাইয়ের অমর বাণী এখনো মনে পড়ে।
এইবার খুব ইচ্ছে আবার একটি দিন কাটাবো, নিজেরাও জেলেদের সাথে নেমে পড়বো,সারাদিন মাছ ধরে দিনান্তে ঘরে ফিরবো।
করোনা সবাইকে ঘরবন্দি করে রাখলো,প্রশাসনও কঠোর তাই স্মৃতি আওড়িয়েই খুশি।

08/03/2020

কসবা সূর্যমুখী বাগান,অসাধারণ যার রুপ।

কলকাতা মেমোরিয়াল দার্জিলিং কাঞ্চনজঙ্ঘা ও ক্যাবল কার থেকে সারা শহরের প্রকৃতি ও পাহাড়ের দোলাচাল দেখা এক অন্যরকম ভাললাগা।২০...
29/01/2020

কলকাতা মেমোরিয়াল দার্জিলিং কাঞ্চনজঙ্ঘা ও ক্যাবল কার থেকে সারা শহরের প্রকৃতি ও পাহাড়ের দোলাচাল দেখা এক অন্যরকম ভাললাগা।

২০১৬ সালের ভ্রমনের স্থিরচিত্র।
ট্রাভেল আর্ট হোক আপনার ভ্রমণের আস্থা ও নির্ভরযোগ্যতা।

"ট্রাভেল আর্ট" অতীতে যেমন সেবা দিয়ে আসছে ভবিষ্যতে আরো বেশি পরিপূর্ণ সেবা দিতে বদ্ধ পরিকর।সবাইকে ট্রাভেল আর্ট এর পক্ষ থেক...
31/12/2019

"ট্রাভেল আর্ট" অতীতে যেমন সেবা দিয়ে আসছে ভবিষ্যতে আরো বেশি পরিপূর্ণ সেবা দিতে বদ্ধ পরিকর।
সবাইকে ট্রাভেল আর্ট এর পক্ষ থেকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা।

Address


Telephone

+8801913844144

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when TraveL ArT posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to TraveL ArT:

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Travel Agency?

Share