Nomadic

Nomadic Dedicated to Travel..sharing experiences of various destinations popular and offbeat, articles sharing in travel blogs like TripAdvisor, tour planner ..

happy to share your experiences spreading across the bigger audiences.

29/09/2022

Asadharon

01/01/2022
Merry Christmas!
24/12/2021

Merry Christmas!

15/12/2021

বাবার জন্য দুপুরের খাবার নিয়ে এসেছিলো ছেলেমেয়ে, দিনের শেষে সন্তান দুটোকে নিয়ে বাবার বাড়ী ফেরা।☺☺

Barcelona city view from Passion tower;Photo taken by me few years ago...
11/11/2021

Barcelona city view from Passion tower;
Photo taken by me few years ago...

Sky!
07/11/2021

Sky!

Very nice Initiative!Diali Sadhukhan
22/10/2021

Very nice Initiative!
Diali Sadhukhan

Aroma Diffuser made at high heat for long life. Use it with aroma oil as per your choice. Need candle or diya as heat source separately.

20/10/2021

কোজাগরী পূর্ণিমার তিথি শুরু হবে--মঙ্গলবার, সন্ধ্যা--৬-৪৫ মিনিট থেকে।
কোজাগরী পূর্ণিমা তিথি সমাপ্ত হবে-- বুধবার, সন্ধ্যা--৭-৩৮ মিনিটে।
কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো করার বেশী ভালো সময়👇
বুধবার বিকেল ৫-০৫ মিনিট থেকে ৬-৪১ মিনিটের মধ্যে শ্রী শ্রী লক্ষ্মীপূজা আরম্ভ করার শুভ সময়।

কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। বাঙালির ঘরে ঘরে এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়। লক্ষ্মী পুজোর কিছু বিধিনিষেধ।
-----------------------------------------------------------------------
১) লক্ষ্মীপূজায় লোহা বা স্টিলের বাসনকোসন ব্যবহার করবেন না। লোহা দিয়ে অলক্ষ্মী পূজা হয়। তাই লোহা দেখলে লক্ষ্মী ত্যাগ করে যান। লক্ষ্মীপূজায় ঘণ্টা বাজাতে নেই। লক্ষ্মীকে তুলসীপাতা দিতে নেই। কিন্তু লক্ষ্মীপূজার পর একটি ফুল ও দুটি‌ তুলসীপাতা দিয়ে নারায়ণকে পূজা করতে হয়। লক্ষ্মীপূজা সাধারণত সন্ধ্যাবেলা করে, তবে অনেকে সকালেও করে থাকেন। সকালে করলে সকাল ন-টার মধ্যে করে নেওয়াই ভাল। পূজার পর ব্রতকথা পাঠ করতে হয়।
২) লক্ষ্মীপূজো প্রতিমা, সরা বা লক্ষ্মীর ঝাঁপিতে
হয়ে থাকে। পূর্ববঙ্গীয়রা সাধারণত সরা বা প্রতিমায় লক্ষ্মীপূজা করেন,পশ্চিমবঙ্গীরা লক্ষ্মীর ধানপাত্রে বা ঘটে পূজা করেন। কারো কারো বিশেষ পারিবারিক লক্ষ্মীপ্রতীক রয়েছে। যাঁর যা আছে, বা যাঁদের যা নিয়ম তাঁরা তাতেই লক্ষ্মীপূজা করবেন। পূজার পূর্বে পূজাস্থান পরিষ্কার করে নিয়ে ধূপ দীপ জ্বালিয়ে দেবেন। পূজাস্থানে লক্ষ্মীর পা-সহ আলপনা আঁকবেন। ঘটের পাশে একটি লক্ষ্মীর পা অবশ্যই আঁকবেন। পূজোর সময় মনকে লক্ষ্মীতে স্থির রাখবেন । মন্ত্রপাঠাদি করে লক্ষ্মীপূজা করাই শ্রেয়। কিন্তু একমনে আন্তরিকভাবে লক্ষ্মীপূজা করলে বিনামন্ত্রেই পূজা সিদ্ধ হয়। অবশ্য দীক্ষিত হলে গুরুমন্ত্রেও পূজা চলে।বিশেষভাবে মনে রাখবেন, মন্ত্রপাঠ ও পূজাক্রিয়াদিতে অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা
বিনা মন্ত্রে পূজা করবেন না।
৩) লক্ষ্মী মায়ের পুজা কি কি দিয়ে করবেন--------
সিঁন্দুর , ঘট ১টি, ধান সামান্য, মাটি সামান্য, আমপল্লব ১টি, ফুল ১টি, দুর্বা সামান্য, তুলসীপাতা ২টি, ফুল,কাঁঠালি কলা বা হরীতকী ১টি, চন্দন, ধূপ, দীপ, নৈবেদ্য, সামান্য আতপচাল ও জল। কোনো দ্রব্য সংগ্রহ করতে না পারলে, পূজার শেষে সেই দ্রব্যটির কথা মা লক্ষ্মীর কাছে উল্লেখ করে ক্ষমা চেয়ে নিলেই হবে।
সংগৃহীত তথ্য ।
Kolkata Kathokatha - কলকাতা কথকতা: Naratives of the City of Joy

শুভ বিজয়া।।🙏
16/10/2021

শুভ বিজয়া।।
🙏

Happy   Stay connected!
27/09/2021

Happy

Stay connected!

15/08/2021

হোটেলের নাম স্বাধীন ভারত হিন্দু হোটেল।

প্রেসিডেন্সি কলেজে ১৯১৩ সালে ভর্তি হলেন এক যুবা। দরাজ গলা, চোখমুখ উজ্জ্বল। মাঝেমধ্যেই সহপাঠীদের জড়ো করে ব্রিটিশ-বিরোধী বক্তৃতা দেন। খেতেও ভালবাসেন খুব, ক্লাস শেষে হেমন্ত সরকার ও আরও ক’জন বন্ধু জুটিয়ে পৌঁছে যান কলেজের পিছন দিকটায়। ৮/২ ভবানী দত্ত লেন-এ। হাঁক দেন হোটেল মালিককে, ‘‘কী মনগোবিন্দ, আজ হয়েছে নাকি তোমার পুঁইশাকের চচ্চড়ি? তাড়াতাড়ি খেতে দাও।’’ নিজের হাতে শতরঞ্চি পেতে বন্ধুদের নিয়ে গোল হয়ে বসে পড়তেন সুভাষচন্দ্র বসু।

সে দিনের কথা বলতে বলতে ৯৮ বছরের প্রহ্লাদচন্দ্র পন্ডার চোখ জ্বলজ্বল করে ওঠে। দাদা মনগোবিন্দ পন্ডার কাছে এই গল্প কত বার যে শুনেছেন! পরে নিজেও একাধিক বার দেখেছেন নেতাজিকে। এখন বয়সের ভারে ন্যুব্জ শরীর, ফ্যাকাসে মুখ, সেই সব স্মৃতি তবু অমলিন। চার-পাঁচ বছর বয়স তখন, দাদার হাত ধরে ওড়িশা থেকে এলেন কলকাতায়। দাদা তত দিনে খুলে বসেছেন ভাতের হোটেল। উদ্দেশ্য একটাই, নিরন্ন ভারতবাসীর মুখে যৎসামান্য অর্থে খাবার জোগানো। মাত্র এক আনায় দু’বেলা ভরপেট মাছ-ভাত। কোনও দিন সঙ্গে মাছের মাথা দিয়ে পুঁইশাকের চচ্চড়ি। ট্যাঁকে পয়সা না থাকলেও কেউ ফিরে যেত না। ‘‘দাদা বলতেন, হোটেল খুলেছি ব্যবসা করতে নয়, লোকের সেবা করতে। ভুখা মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার যে কী আনন্দ, তা কেবল আমরাই জানি।’’

মনগোবিন্দ নাম রাখলেন ‘হিন্দু হোটেল’। জায়গা দিলেন এক মুসলিম পরিবার। শুরুর দিন থেকে আজ পর্যন্ত যে কোনও বিপদে কলাবাগানের মুসলিম ভায়েরা‌ই ছুটে এসেছেন সবার আগে। আগলে রেখেছেন তাঁদের সাধের ‘হিন্দু হোটেল’কে। খদ্দের হোক বা কর্মচারী, হোটেলে সবার অবাধ যাতায়াত। প্রহ্লাদবাবুর কথায়, ‘‘একসঙ্গে দেশ স্বাধীন করেছি। আমাদের কোনও ভেদ নেই। সবাই ভাই ভাই।’’

১৯১০ সালে শুরু। হোটেল-অন্তপ্রাণ মনগোবিন্দ ও ভাই প্রহ্লাদচন্দ্রের যোগ্য সঙ্গতে অল্প সময়েই আড়ে-বহরে বেড়ে উঠল হোটেল। চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ল সুনাম। মাছের হালকা ঝোল-ভাত খেতে অনেকেই হাজির হত। যদিও তত দিনে সেটা আর শুধু ভাতের হোটেল নেই। হয়ে উঠেছে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের গোপন আখড়া। ধুতি-পাঞ্জাবি পরা, ঝকঝকে তরুণরা দল বেঁধে খেতে আসত। খেতে খেতেই চলত তাদের বৈঠক। ঠিক হত আগামী দিনের কার্যপ্রণালী। ‘‘সে বার হোটেলে এক ঝাঁক স্বাধীনতা সংগ্রামী। হানা দিল ইংরেজের পুলিশ। দরজা আগলে দাঁড়ালেন দাদা। মার খেলেন, তবু এক চুল সরলেন না। দাদার প্রতিরোধে পিছু হটতে বাধ্য হল পুলিশ। তরুণরা সবাই জড়িয়ে ধরল মনগোবিন্দকে। তখন তাঁর কানের পাশ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে চাপচাপ রক্ত। কিন্তু চোখেমুখে শিশুর মতো হাসি,’’ বলতে গিয়ে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে প্রহ্লাদচন্দ্রের।

কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে সুভাষচন্দ্র তখন পুরোদস্তুর রাজনীতিতে। ফের তাঁর পায়ের ধুলো পড়ল হিন্দু হোটেলে। এ বার সঙ্গে তাঁর রাজনীতির গুরু। তত দিনে হিন্দু হোটেল আরও জনপ্রিয়, মনগোবিন্দের নতুন নাম হয়েছে ঠাকুরমশাই। দোকানে ঢুকেই সুভাষচন্দ্র বললেন, ‘‘দেখো ঠাকুরমশাই, কাকে নিয়ে এসেছি। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। তোমার হোটেলের তো খুব নামডাক হয়েছে দেখছি। ভালমন্দ খাওয়াও দেখি! দুজনে কবজি ডুবিয়ে খাই।’’ ভরপেট খেলেন দু’জনে। যাওয়ার সময় চিত্তরঞ্জন দাশ মনগোবিন্দকে বললেন, ‘‘এই ছেলেটাকে ভাল করে খাওয়াবে। ও দেশের ভবিষ্যৎ।’’

তবে সে বারও নেতাজিকে সাক্ষাৎ দর্শনের সৌভাগ্য হয়নি প্রহ্লাদচন্দ্রের। শিকে ছিঁড়ল আরও কয়েক বছর বাদে। ১৯৩০। সুভাষচন্দ্র তখন কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র। নীরেন্দ্র চন্দ্র রায়, অমূল্য চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, যতীশ জোয়ারদার সহ একাধিক অনুগামীকে নিয়ে হাজির হলেন হিন্দু হোটেলে। প্রহ্লাদবাবুর সেই প্রথম নেতাজিকে দেখা। আগামী দিনের কর্মপন্থা নিয়ে অনুগামীদের বেশ কিছু নির্দেশ দিলেন। খেতে খেতেই উঠল স্লোগান ‘জয় হিন্দ, বন্দে মাতরম্‌’। নেতাজির সুরে সুর মেলালেন মনগোবিন্দ ও প্রহ্লাদচন্দ্র।

’৪৩-এর মন্বন্তর। বাংলায় উপস্থিত এক ভয়াবহ সংকট। চোখের সামনে খেতে না পেয়ে মারা যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। সঙ্গে কলেরা, ম্যালেরিয়া, বসন্তের মতো মারণব্যাধি। কলকাতার ফুটপাত ভরে উঠছে কঙ্কালসার মানুষে। স্থির থাকতে পারলেন না মনগোবিন্দ। ‘‘আমর হোটেল থাকতে কেউ না খেয়ে মরবে না।’’ দাদার সঙ্গে কোমর বাঁধলেন প্রহ্লাদচন্দ্র। চালেডালে মিশিয়ে খিচুড়ি চড়ানো হল হাঁড়িতে। শয়ে শয়ে মানুষ সার দিয়ে খেতে বসল। বহু দিন পর ভরপেট খেতে পেয়ে ধন্য ধন্য করল সবাই। ‘‘ওঁদের আশীর্বাদেই আজও টিকে আছে আমাদের হোটেল,’’ চোখ চিকচিক করে ওঠে প্রহ্লাদবাবুর।

কয়েক বছরের মধ্যেই এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। যার জন্য এত লড়াই, আন্দোলন, এত রক্তক্ষয়, সেই মুহূর্ত। ১৯৪৭। ১৪ অগস্টের রাতে কলেজ স্ট্রিট আলোয় আলো। বাড়ি বাড়ি থেকে ভেসে আসছে রেডিয়োর আওয়াজ। রাত একটা। ভারতবর্ষ স্বাধীন! উল্লাসে ফেটে পড়লেন শহরবাসী। লোকে লোকারণ্য রাস্তা। মুহুর্মুহু উঠছে ‘বন্দে মাতরম্‌’ ধ্বনি। পর দিন সকালে দল বেঁধে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী বেরল পদযাত্রায়। পরনে পাটভাঙা ধুতি-পাঞ্জাবি, মাথায় গাঁধী টুপি। হোটেলের সামনেই পতাকা তুললেন দুই ভাই। কিছু ক্ষণের মধ্যেই এক দল স্বেচ্ছাসেবক এসে হাজির। শোভাযাত্রা শেষে খাওয়াদাওয়া সারতে এসেছে। তাঁরা প্রস্তাব দিলেন, ‘‘আর হিন্দু হোটেল নয়। ভারত এখন স্বাধীন। আজ থেকে নাম হোক ‘স্বাধীন ভারত হিন্দু হোটেল’।’’

সে দিনের স্মৃতিচারণায় আজও চোখ ছলছল করে প্রহ্লাদবাবুর। দাদা নেই। ছেলে আর নাতিদের নিয়ে এখনও বজায় রেখেছেন সে দিনের ঐতিহ্য। এই বয়সেও ঘণ্টাখানেকের জন্য হলেও রোজ দোকানে বসেন। মাঝে মাঝে বেরিয়ে পড়েন বাজার করতে। হোটেলে মার্বেল বাঁধানো পুরনো কাঠের টেবিল। মাটির ভাঁড়ে জল। কলাপাতায় খাবার। দেওয়াল জুড়ে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ছবি।

এখনও প্রতি বছর স্বাধীনতার দিন নতুন করে সেজে ওঠে স্বাধীন ভারত হিন্দু হোটেল। দেওয়ালে পড়ে রঙের পোঁচ। ১৪ অগস্ট রাতে নতুন করে লেখা হয় হোটেলের নাম। তাতে তুলির প্রথম আঁচড়টি কাটেন প্রহ্লাদচন্দ্র নিজে। ১৫ অগস্ট সকালে পরিবারের সব সদস্য হাজির হন হোটেলে। পতাকা তোলেন প্রহ্লাদবাবু। ছোট্ট বক্তৃতায় মনে করিয়ে দেন সেই সব দিনের কথা। স্বাধীনতার দিনে হোটেলে রান্না হয় ‘ইনডিপেনডেন্স ডে স্পেশাল’ পদ। সেই খাবার পরিবেশন করতে করতে হোটেলের কর্মী অনাদি বলেন, ‘‘আজ ৫০ বছর এই হোটেলে কাজ করছি। ছেড়ে যাব কোথায়? ‘স্বাধীন ভারত’-ই আমাদের ঘরবাড়ি।। হোটেলটি বর্তমানে ভেঙে নতুনরূপে তৈরি করা হয়েছে। (আনন্দবাজার আর্কাইভ)

Morning walk
09/07/2021

Morning walk

From Kolkata Kathokatha নজরুল জয়ন্তীতে কবিতীর্থ চুরুলিয়াবাঙালি ভ্রমনিক জাতি হিসাবে গর্ব করে, জোড়াসাঁকো, শান্তিনিকেতন,...
23/05/2021

From Kolkata Kathokatha

নজরুল জয়ন্তীতে কবিতীর্থ চুরুলিয়া
বাঙালি ভ্রমনিক জাতি হিসাবে গর্ব করে, জোড়াসাঁকো, শান্তিনিকেতন, দীঘা, পুরি হুট হাট করে চলে যায়, কিন্তু সেই বাঙালি , কবি নজরুল কে ভালােবেসে কবিতীর্থ চুরুলিয়া আসেন না কেন? অথচ আসানসোল থেকে মাইথন, পুরুলিয়া ঘুরতে যাচ্ছে। যতজন পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি চুরুলিয়া তে আসেন , তার থেকে ঢের বেশি সংখ্যায় আসেন বাংলাদেশের বাঙালিরা। তাই আজ বাংলা সাহিত্য - জগতের অন্যতম প্রতিভা বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে লিখছি। বাংলা সাহিত্যের এই দিকপাল, যাঁর গান ও কবিতা যুগে যুগে বাঙালির জীবন সংগ্রাম ও স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রেরণার উৎস হয়ে কাজ করেছে। তিনি জন্মেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলের খুব কাছে চুরুলিয়া গ্রামে, এক দরিদ্র পরিবারে দুখু মিঞা হয়ে। তাই অবহেলিত ঐতিহাসিক স্থান চুরুলিয়া। আর মৃত্যুকালে তিনি ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় কবি। মাঝে ৭৭ বছর জুড়ে ছিল সৃষ্টি ও সৃজনশীলতার এক বিপুল ইতিহাস।

এখনে আসলে দেখবেন একটি দোতলা হলুদ রঙের বাড়ি এবং বাঁদিকে উঁচু পাঁচিল ঘেরা একটি জায়গা। পাঁচিলের গায়ে একটি বাংলার খড়ের চালা আঁকা, এবং লেখা রয়েছে কাজী নজরুল ইসলাম জন্মভিটা, জন্ম -১১ ই জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৬ সাল। আদতে এই পাঁচিল ঘেরা জায়গাটি ছিল সেযুগের আঁতুর ঘর। এক প্রচণ্ড ঝড় জলের রাতে, শেষ প্রহরে কবির জন্ম হয়। এখানে দেখতে পাবেন কবির বসার চেয়ার, খাট, তানপুরা, গ্রামােফোন, কবি পত্নী প্রমীলা দেবীর খাট, নজরুলের ধুতি, পাঞ্জাবি, উত্তরীয় ইত্যাদি। বিভিন্ন লেখার পাণ্ডুলিপি, চিঠি পত্র, মানপত্র দিয়ে সাজানাে এই প্রদর্শনীশালা। নজরুলকে জানতে হলে এখানে আসতেই হবে।
এখানে আরও দেখতে পাবেন একটি প্রাথমিক স্কুল। সেটি একসময় ছিল একটি কাঁচামাটির স্কুল। এটিতেই বাল্যবয়সে পিতৃহীন দুখু মিয়া পড়াশুনার প্রথম পাঠ নেন। পরে এর নাম বদলে রাখা হয় মুসলিম অবৈতনিক বিদ্যালয় এখন এটি পাকা দ্বিতল প্রাথমিক বিদ্যালয়- নাম ' চুরুলিয়া নজরুল বিদ্যাপীঠ।

আমি চাইবো যদি কখনও কোনও কাজে আসানসোল জাওয়া হয় অবশ্যই কবিতীর্থ চুরুলিয়া ঘুরে আসবেন, আর যদি সেটাও না পারেন তবে এই পোস্টটিকে শেয়ার করবেন যাতে অন্তত এই স্থান সম্পর্কে সবাই জানতে পারে। কাজী নজরুল ইসলামের বেশ কিছু দুষ্প্রাপ্য ভিডিও দিলাম অবশ্যই দেখবেন আশা করছি আপনাদের ভালোলাগবে।🙏

https://youtu.be/pQTCvO4t3mc
কবি নজরুল ইসলামকে আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম।

Churulia is a suburb of Asansol of the Paschim Bardhaman district in the state of West Bengal, India. It is the birthplace of Bengali poet Kazi Nazrul Islam,...

Sokole bhalo thakben!
15/04/2021

Sokole bhalo thakben!

03/04/2021

সর্দার শংকর রোড, লেক মার্কেট,কালীঘাটে থাকেন শ্রদ্ধেয় সিদ্ধেশ্বর বোস। নিশ্চয়ই আলাপ আছে‌ আপনাদের অনেকের।‌ আমরা তো 'সিধু জ্যাঠা' বলেই ডাকি তাঁকে। সিধু জ্যাঠার খুব বই কেনার বাতিক,আর সেই সব বইয়ের খুব যত্ন৷ তবে সত্যজিৎ রায় আর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে ছাড়া সবাইকে তিনি বই ধার দেন না। ফটোগ্রাফিক মেমোরি সিধু জ্যাঠার। পেপার কাটিংয়ের সাহায্যে নানা পুরোনো খবরের সগ্ৰহ তাঁর। সত্যজিৎ রায় তাঁর কাছে নানা সমস্যা নিয়ে জানতে যেতেন । সত্যজিৎ রায়ের বিভিন্ন বই যেমন,'সোনার কেল্লা', 'কৈলাসের কেলেঙ্কারি', 'গোরস্থানে সাবধান'-এ তাঁর কথা রয়েছে।

'সিধু জ্যাঠা' বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। ভারতীয় কবি, অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ আরও নানাবিধ পরিচয় তাঁর। মানিকে মানিক চেনে। তাঁর অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে, শ্রদ্ধেয় সত্যজিৎ রায় তাঁকে 'সোনার কেল্লা' 'সীমাবদ্ধ' 'গুপী গাইন বাঘা বাইন' চলচিত্রে অভিনয় করিয়েছেন। সোনার কেল্লায় তিনি 'জীবন্ত এনসাইক্লোপিডিয়া' 'সিধু জ্যাঠা', 'গুপী গাইন বাঘা বাইন' ছবিতে তাঁর ভূমিকা ম্যাজিসিয়ান 'বরফি' আর 'সীমাবদ্ধ' সিনেমায় তাঁর ভূমিকা স্যর বরেন রয় ! চিত্রপরিচালক হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের সাথেও ঘনিষ্ঠতা ছিল তাঁর এবং হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের বহু ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। তাঁর অভিনীত হিন্দি ছবিগুলি হলো আশীর্বাদ, সাহেব বিবি অউর গুলাম, রাত অউর দিন, তেরে ঘর কে সামনে, চল মুরারী হিরো বননে, বাবুর্চি, গৃহপ্রবেশ ইত্যাদি। আজাদ নামে একটি ছবির প্রযোজনাও করেন তিনি।

প্রারম্ভিক জীবনে,মাত্র ১০ বছর বয়েসে ক্ষুদিরামের ফাঁসির প্রেক্ষিতে ইংরেজি কবিতা 'ডাইং পেট্রিয়ট' রচনা করেন। উচ্চশিক্ষার জন্যে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যান, সেসময় কেম্ব্রিজে নিয়ম ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি না থাকলেও মেধা প্রমাণিত হলে ডক্টরেট ডিগ্রির গবেষণার অনুমতি দেওয়া হবে। তাঁর 'ফিস্ট অফ ইয়ুথ' কাব্যগ্রন্থের জন্যে গবেষণার সুযোগ পান।

গান্ধীজির অসহযোগ আন্দোলনের ডাকে দেশে প্রত্যাবর্তন করে তিনি হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় গীতিকার ও সংগীতশিল্পীর কাজ করেছেন। 'শুরু হুই জং হামার' গানটি গাইবার জন্যে ৬ মাস জেল হয়। গননাট্য ও প্রগতি লেখক সংঘের সাথে গভীর যোগাযোগ ছিল। পন্ডিত জওহরলাল নেহরু তাঁর প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা ছিল এবং তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত লোকসভা সদস্যও হয়েছিলেন। লোকসভায় তার অনাবিল হাস্য পরিহাস সকলকে মুগ্ধ করতো। তাঁর লেখা কবিতা পাঠ করে মুগ্ধ ‌হয়েছিলেন স্বয়ং কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। নিজেও তিনি সংগীতশিল্পী হিসেবে জনপ্রিয় ছিলেন।

এই 'সিধু জ্যাঠা'র কথা আমি বলতে শুরু করেছিলাম ১এপ্রিল। কিন্তু আজ তো ২ এপ্রিল। আর মজা করার উপায় নেই! সবাই বুঝেই গেছেন যে 'সিধু জ্যাঠার' আসল নাম হরীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বা হারীন চ্যাটার্জি। দেশনেত্রী সরোজিনী নাইডুর ভাই এবং সমাজসেবিকা কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়ের স্বামী।

গত শতাব্দীর সত্তরের দশকে,আমাদের স্কুল জীবনেই কলকাতায় ক্যুইজের চল হয়। ফলে,আমার স্কুল ও কলেজেরএকটা প্রধান আকর্ষণ ছিল ক্যুইজিং। পরবর্তী কালে, সেটা সঞ্চালিত হয় ছেলের মধ্যে। সেই ভালোবাসা মনের গভীরে রয়েছে এখনো। তাই, এই লেখাটি শুরু করেছিলাম ক্যুইজের মেজাজ নিয়ে। শ্রদ্ধেয় হরীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের আজ ১২৩তম জন্মদিন। এই গুগল সার্চ ইঞ্জিনের দিনেও বাঙ্গালীর কাছে অমর রয়েছেন 'সিধু জ্যাঠা'র রূপে এবং ক্যুইজপ্রেমী বাঙ্গালীর কাছে কখন যেন বই এর চরিত্র থেকে ক্যুইজের ঈশ্বর হয়ে উঠেছেন। আমাদের শ্রদ্ধা ও প্রণাম জানাই তাঁকে।

(Collected)

শহরের বুকে এক চিলতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
27/01/2021

শহরের বুকে এক চিলতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Nomadic posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Nomadic:

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Travel Agency?

Share