04/12/2023
:::::::::::::::::উমরাহ’র ইহরাম::::::::::::::::::::::
🕋🕋🕋🕋🕋🕋🕋🕋🕋🕋🕋🕋🕋🕋🕋
১. যখন মীকাতে পৌঁছবে তখন উমরা কারীর জন্য মুস্তাহাব হলো গোসল করা এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হওয়া, অনুরূপভাবে উমরা আদায়কারী মহিলাও গোসল করবে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হবে, যদিও এ সময় তার হায়েয বা নেফাস থাকে। হায়েয বা নেফাস ওয়ালা মহিলা ইহরাম বাঁধতে পারবে তবে সে তার হায়েয বা নেফাস থেকে পবিত্র হওয়া ও গোসল না করা পর্যন্ত বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করবে না। উমরা কারী পুরুষ গায়ে সুগন্ধি লাগাবে, তবে তার ইহরামের কাপড়ে নয়। যদি মীক্কাতে পৌছার পর গোসল করা সম্ভব না হয় তবে তাতে দোষের কিছু নেই। অনুরূপভাবে যদি সম্ভব হয় মক্কায় পৌছার পর তাওয়াফ শুরু করার পূর্বে আবার গোছল করে নেয়া মুস্তাহাব।
২. পুরুষ যাবতীয় সিলাইযুক্ত কাপড় (যেমন জামা, পাজামা, গেন্জী ইত্যাদী যা পোষাকের আকারে তৈরী তা) পরা থেকে বিরত থাকবে। একটি লুঙ্গি ও চাদর পরিধান করবে, তার মাথা খোলা রাখবে। তবে ইহরামের কাপড় দুটি সাদা ও পরিষ্কার হওয়া মুস্তাহাব। তবে মহিলা তার সাধারণ পোষাকেই ইহরাম বাঁধবে, লক্ষ্য রাখবে যাতে কোনো প্রকার চাকচিক্য ও প্রসিদ্ধি লাভ করে এ রকম পোষাক না হয়।
৩. তারপর উমরার কাজে ঢুকার জন্য মনে মনে নিয়্যত (দৃঢ় সংকল্প) করবেন, আর মুখে উচ্চারণ করে বলবেনঃ
لَبَّيْكَ عُمْرَةً
‘‘লাব্বাইকা ‘উমরাতান’’।
অর্থাৎঃ আমি উমরাহ আদায়ের জন্য তোমার দরবারে উপস্থিত হলাম।
অথবা বলবেঃ
اَللَّهُمَّ لَبَّيْكَ عُمْرَةً
‘‘আল্লাহুম্মা লাববাইকা উমরাতান’’।
অর্থাৎঃ হে আল্লাহ আমি উমরাহ আদায়ের জন্য তোমার দরবারে উপস্থিত হলাম।
অন্য কারো জন্য উমরা করতে চাইলে (যদি আপনি পূর্বে আপনার উমরা আদায় করে থাকেন তবে) উচ্চারণ করবেন:
اَللَّهُمَّ لَبَّيْكَ عُمْرَةً مِنْ فُلانٍ
‘‘আল্লাহুম্মা লাববাইকা উমরাতান মিন পুলান’’
অর্থাৎঃ ‘‘হে আল্লাহ আমি অমুকের (তার নাম ধরে) পক্ষ হতে উমরাহ পালনের জন্য হাজির’’।
যদি মুহরিম ভয় করে যে সে রুগ্ন, অথবা শত্রুর ভয়ের কারণে উমরাহ করতে সামর্থ হবেনা তবে তার জন্য ইহরামের সময় শর্ত করে নেয়া জায়েয। সে বলতে পারবেঃ
«فِإِنْ حَبَسَنِيْ حَابِسٌ فَمَحَلِّيْ حَيْثُ حَبَسْتَنِيْ»
“ফায়িন হাবাসানি হাবিসুন ফামাহাল্লি হাইছু হাবাস্তানী’’
অর্থাৎঃ “যদি কোন বাধাদানকারী আমাকে বাধা দেয়, তাহলে যেখানে আমি বাধাগ্রস্থ হবো সেখানেই আমি হালাল হয়ে যাবো।”
মহিলা সাহাবী দুবায়া বিনতে যুবাইর (রাদিয়াল্লাহু আনহা) তিনি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বললেনঃ আমি হজ্ব করতে চাই তবে রোগাক্রান্ত হয়ে যাওয়ার ভয় করছি, তখন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ
«حجي واشترطي أن محلي حيث حبستني»
‘‘হজ্জ করতে শুরু কর এবং শর্ত করে নাও, এবং বলোঃ যদি কোন বাধাদানকারী আমাকে বাধা দেয়, তাহলে যেখানে আমি বাধাগ্রস্থ হবো সেখানেই আমি হালাল হয়ে যাবো’’। বুখারী, মুসলিম।
তারপর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর তালবিয়া পাঠ করবেন আর তা হলোঃ
«لَبَّيْكَ اللّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ»
(লাববাইকা আল্লাহুম্মা লাববাইক, লাববাইকা লা শারীকা লাকা লাববাইক, ইন্নাল হামদা ওয়াননি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারীকা লাক।)
অর্থাৎ “উমরাহের জন্য আমি তোমার দরবারে হাজির। হে আল্লাহ্ ! আমি তোমার দরবারে হাজির, আমি তোমার দ্বারে উপস্থিত, তোমার কোন অংশীদার নেই, তোমার দরবারে উপস্থিত হয়েছি। সর্বপ্রকার প্রশংসা ও নেয়ামতের সামগ্রী সবই তোমার, তোমারই রাজত্ব, তোমার কোন অংশীদার নেই।”
উল্লিখিত দো‘আ পুরুষ লোকেরা মুখে জোরে উচ্চারণ করবে, আর স্ত্রীলোকেরা চুপে চুপে বলবে। অতঃপর অধিক মাত্রায় তালবিয়া পড়বেন এবং দো‘আ, যিকর- ইস্তেগফার করবেন।