Bharat Darshan with Biplab

Bharat Darshan with Biplab As a Indian Railway Fan I have travelled many parts of India and in continuos effort to explore more

❄️সারপাস ট্রেক❄️♥️♥️ভারতের অ্যাডভেঞ্চারাস স্নোট্রেকগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হিমাচল প্রদেশের কাসোল পার্বতী ভ্যালির সরপাস ...
04/07/2024

❄️সারপাস ট্রেক❄️♥️♥️
ভারতের অ্যাডভেঞ্চারাস স্নোট্রেকগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হিমাচল প্রদেশের কাসোল পার্বতী ভ্যালির সরপাস ট্রেক। YHAI প্রতি বছর মে মাস জুড়ে এই ট্রেকিং প্রোগ্রামের পরিচালনা করে থাকে।এছাড়া অনেক প্রাইভেট অর্গানাইজেশন ও এই ট্রেক করিয়ে থাকে। মে মাস হচ্ছে এই ট্রেকের সবচেয়ে আদর্শ সময়।প্রত্যেক ট্রেকের একটি difficulty লেভেল থাকে।সেই অনুযায়ী এটা মধ্যম থেকে কঠিন মানের ট্রেক।
এই বছর মে মাসে আমার সৌভাগ্য হয়েছিল YHAI পরিচালিত এই সারপাস ট্রেকে যোগদান করার।সেই অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে share করছি।।ভালো লাগলে লাইক share এবং পেজ টাকে লাইক করার অনুরোধ রইলো।
YHAI পরিচালিত এই ট্রেক শুরু হয় হিমাচল প্রদেশের কুলু ডিস্ট্রিক্ট এর কাসোল থেকে যা সাম্প্রতিককালে ইসরায়েলি পর্যটকদের ভিড়ের জন্য ভারতে খুবই ফেমাস হয়েছে। তো সর্বপ্রথম কাসোল যেতে গেলে আপনাদের প্রথম যেতে হবে চন্ডিগড়। হাওড়া থেকে চন্ডিগড় যাওয়ার ডাইরেক্ট ট্রেন হচ্ছে নেতাজি এক্সপ্রেস যা পূর্বে কালকা মেল বলে পরিচিত ছিলো। এছাড়া আপনারা রাজধানী এক্সপ্রেস এ করে গেলে দিল্লী পৌঁছে সেখান থেকে চন্ডিগড় এর জন্য অনেক ট্রেন পেয়ে যাবেন। চন্ডিগড় পৌঁছানোর পর সরকারি বাসস্ট্যান্ডে যাবেন এবং সেখান থেকে বাস পেয়ে যাবেন কুলু মানালির জন্য। এই কুলু মানালি গামী বাসে ভুনতার পৌঁছে আপনাদের কাসোল যাবার বাস ধরতে হবে। কাসোলের একদম কাছে মণিকরণ বলে একটি gurudwara আছে যেখানে একটি প্রাচীন শিবমন্দির আছে এবং একটি উষ্ণ পস্রবন আছে। সেখানে ইউথ হোস্টেলের ক্যাম্প করা হয়েছিল এবারে। এখানে আপনাদের প্রথম দিন রিপোর্ট করতে হবে।
ইয়ুথ হোস্টেলের অন্যান্য প্রোগ্রামের মত এখানেও প্রথমদিন এক্লেমাটাইজেশন প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। আমরা যখন সমতল থেকে অতিরিক্ত উচ্চতায় যাই তো হঠাৎ করে অনেকটা হাইট গেইন করলে আমাদের অনেক ধরনের শরীর সমস্যা দেখা যায়। এইগুলোকে এড়ানোর জন্য কিছুক্ষণ রেস্ট করতে করতে যাওয়া হয়। এই প্রসেসকে বলে এক্লেমাটাইজেশন।তো ট্রেকিং এর দ্বিতীয় দিনে কিছু এক্সারসাইজ এবং এক্লেমাটাইজেশন ওয়াক করানো হয় এবং এই দিন আপনারা কাসোলের আশপাশ ঘুরে দেখতে পারেন। মানিকরণের উচ্চতা সমুদ্রতল থেকে 5500 ফুটের মতো।
দিন 3: কাসোল থেকে 9 কিলোমিটার মতো ট্রেক করে পৌঁছাতে হবে গ্রহন গ্রাম। উচ্চতা সমুদ্রতল থেকে 7700 ফুটের মতো।সময় লাগবে প্রায় 5-6 ঘণ্টা।কানাভর অভয়ারণ্যের মধ্য দিয়ে ট্রেক করে পৌঁছাবেন গ্রহণ গ্রামে যা ছবির মত সুন্দর এবং এতটাই শান্ত এবং স্নিগ্ধ যে আপনি এই জায়গার প্রেমে পড়তে বাধ্য। রাস্তায় রডোডেনড্রন ফুল ফুটে থাকতে দেখবেন।
দিন 4: ট্রেকিং এর পরবর্তী দিনে গ্রহন গ্রাম থেকে ট্রেক করে পরবর্তী ক্যাম্প মিনথাচ পৌঁছাতে হবে যা 11500 ফুট উচ্চতায় অবস্থিত।এই পথে দেখতে পাবেন উঁচু উঁচু বরফে ঢাকা শৃঙ্গ এবং জঙ্গল।
দিন 5: ট্রেকিং এর এই দিনে মিনথাচ থেকে ট্রেক করে পরবর্তী বেস ক্যাম্প নাগারু যেতে হবে যা 12500 ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। লিংখাট ক্যাম শেষ করার পরই মোটামুটি গাছপালা শেষ হয়ে যাবে এবং বরফ শুরু হয়ে যাবে। তো বরফের উপর দিয়ে কিছু জায়গা দড়ি ধরে হেঁটে আপনাদের পৌঁছুতে হবে নাগারুতে। যেহেতু নাগারু ১২ হাজার ৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এবং এখানে ওয়েদার খুবই বাজে থাকে। চারিদিকে দেখবেন শুধু বরফ এবং অনেক সময় তুষারপাত হয়। ওয়েদার খুবই খারাপ থাকে তো এখানে ক্যাম্পিং একটু কষ্টকর। তবে চারিদিকে সাদা বরফের চাদরে ঢাকা উপত্যকা দেখতে আপনাদের খুবই ভালো লাগবে।
দিন 6: এই দিনটি ট্রেকিং এর সবচেয়ে কঠিন দিন। ভোরবেলা অন্ধকার থাকতে থাকতে হেডটর্চ জ্বালিয়ে বরফের উপর ট্রেক করে নাগারু থেকে সারপাস টপে পৌঁছাবেন এবং দেখবেন অপূর্ব সূর্যোদয়।। সারপাসের অর্থ হচ্ছে জমাট বাধা হ্রদ।এর উচ্চতা 13500 ফুট মতো। এখান থেকে বরফে স্লাইডিং করে নামতে হবে এবং আবার ট্রেক করে উঠতে হবে বিস্কেরি টপে যার উচ্চতা 13800 ফুটের মতো।। সেখান থেকে বরফে স্লাইডিং করে এবং তারপর আবার ট্রেক করে পৌঁছাবে বিস্কেরি ক্যাম্প যা 11000 ফুটের মতো উচ্চতায়।এখানে ক্যাম্প সাইট ছবির মত সুন্দর। ঝর্ণা বরফের পাহাড় সব দেখতে পাবেন।
দিন 7: ট্রেকের অন্তিম দিনে বিস্কেরি ক্যাম্প থেকে বর্শেনি গ্রাম হয়ে কাসোল ফেরত আসতে হবে। যেমনি আপনারা ক্যাম্প থেকে নামা শুরু করবেন দেখবেন জঙ্গল শুরু হয়ে যাবে এবং জঙ্গলের রাস্তা ধরে সুন্দর দৃশ্য দেখতে দেখতে বার্শেনি গ্রাম হয়ে ফিরে আসবেন কাসোল।
তো যারা অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় এবং প্রথম বরফের ট্রেক করতে চান তারা অবশ্যই সরপাস ট্রেকিং যাবেন। তবে এই ট্রেকিংয়ে যাওয়ার জন্য কিছু সাবধানতা অবলম্বন করবেন যেমন প্রচুর ঠান্ডা থাকে তাই উপযুক্ত গরম কাপড় নিয়ে যাবেন এবং বরফের স্লাইডিং করার সময় বা বরফে হাঁটার সময় খুব সাবধানে হাঁটবেন এবং বরফ থেকে অনেক সময় কোল্ডবার্ন হয় সেখান থেকে বাঁচবেন। প্রচুর আলোর রিফ্লেকশন হয় তাই চোখ বাঁচাতে সানগ্লাস ব্যবহার করবেন এবং এখানে uv ইনডেক্স খুব হাই সেই জন্য ত্বক বাঁচাতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন।

পঞ্চম কেদারের অন্তিম কেদার হলো দেবভূমি উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় অবস্থিত শ্রী কল্পেশ্বর ধাম। এখানে মহাদেবের জটার পূজা ক...
24/06/2024

পঞ্চম কেদারের অন্তিম কেদার হলো দেবভূমি উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় অবস্থিত শ্রী কল্পেশ্বর ধাম। এখানে মহাদেবের জটার পূজা করা হয়।
কথিত আছে মহাভারতের যুদ্ধের সময় গোত্র হত্যা ও ব্রাহ্মণ হত্যার পাপ লাগে পঞ্চপান্ডবদের উপর।এই পাপ খন্ডন করতে তারা কাশী বিশ্বনাথ ধামে আসে মহাদেবের পূজা করতে। মহাদেব তাদের দেখা দেবেন না বলে একটি ষন্ডের রূপ ধারণ করে লুকিয়ে যান।মহাদেবকে খুঁজতে এরপর পঞ্চপাণ্ডব উত্তরাখণ্ডের দিকে এগোতে থাকে। গুপ্তকাশীর কাছে ভীম ষন্ডরুপী মহাদেবকে চিনতে পেরে যান এবং তার লেজ ধরে ফেলেন।তখন মহাদেব আবির্ভূত হন।।তার শরীরের বিভিন্ন অংশ বর্তমান পঞ্চকেদারের জায়গা গুলোয় প্রকট হয় এবং পঞ্চপাণ্ডব সেখানে সেখানে পাঁচটি মন্দির স্থাপনা করেন। প্রথম কেদার শ্রী কেদারনাথ ধামে ষন্ডরুপী মহাদেবের পিঠ, দ্বিতীয় কেদার শ্রী মদমহেশ্বর ধামে পেট, তৃতীয় কেদার তুঙ্গনাথ ধামে বাহু, চতুর্থ কেদার রুদ্রনাথ ধামে মুখ এবং পঞ্চম কেদার কল্পেশ্বর ধামে জটার পুজো করা হয়।
পঞ্চকেদারের বাকি কেদার মন্দিরগুলো যেমন শীতের সময় বন্ধ থাকে তুষারপাতের জন্য কিন্তু কল্পেশ্বর মহাদেবের মন্দির সারা বছর খোলা থাকে তাই বছরে যে কোন সময় আপনারা যেতে পারেন| যাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাদের পৌঁছাতে হবে জোশিমঠ বা হেলং গ্রাম যা বদ্রিনাথ যাওয়ার রাস্তায় পড়ে| বদ্রিনাথ যাওয়ার রাস্তায় জোশিমঠ যাওয়ার আগে হেলাং বলে একটি জায়গা আছে যেখান থেকে রাস্তা কেটে যাচ্ছে এবং কল্পেশ্বর চলে যাচ্ছে উর্গম ভ্যালী হয়ে।
হরিদ্বার থেকে জোশিমঠের দূরত্ব হচ্ছে প্রায় ২৭৫ কিলোমিটার এবং এই দূরত্ব যেতে বাসগুলোর টাইম লাগে মোটামুটি কম করে হলেও বারো ঘন্টা। বাসস্ট্যান্ড থেকে সকালবেলা একটিমাত্র সরকারী বাস বদ্রিনাথের জন্য যায় সকাল 5.30 টা নাগাদ ছাড়ে বাকি প্রচুর প্রাইভেট বাস প্রাইভেট ট্যাক্সি যায়। সরকারি বাসে যেতে গেলে আপনাদের সকাল চারটের মধ্যে হরিদ্দার বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে যেতে হবে যাতে করে আপনারা ভালো সিট পাবেন আর যদি বেসরকারি বাসে যেতে চান তাহলে আগের দিন বুক করে রাখতে পারেন আর প্রাইভেট গাড়িতে করে যেতে গেলে সেটা তো আপনাদের নিজেদেরকে ব্যবস্থা করতে হবে। এই তিন ভাবেই আপনারা জোশিমঠ পৌঁছাতে পারেন। তো একদম সকালে জার্নি শুরু করে দেবেন। পথে পড়বে ঋষিকেশ, দেবপ্রয়াগ(ভাগীরথীর সঙ্গে অলকানন্দা নদীর সঙ্গমস্থল), শ্রীনগর, রুদ্রপ্রয়াগ(অলকানন্দা আর মন্দাকিনীর সঙ্গমস্থল) এবং সবশেষে জোশিমঠ। কল্পেশ্বর যাওয়ার জন্য হেলাঙ্গ বলে একটি জায়গায় আপনাদের নামতে হবে যেটা জোশিমঠ যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে পরে এবং এটি একটি ছোট্ট জনপদ। এখানে হোটেল সংখ্যা খুবই কম এবং এখান থেকে কল্পেশ্বর যাওয়ার জন্য যে শেয়ারিং গাড়ি পাওয়া যায় সেগুলো সংখ্যায় খুবই কম এবং যদি আপনারা একক ভাবে যান তাহলে আপনাদের জন্য খুবই অসুবিধা হবে তাই আপনারা যদি জোশিমঠ চলে যান সেখান থেকে অনেক গাড়ি পেয়ে যাবেন পরদিন সকালে যেগুলো কল্পেশ্বর পৌঁছে দেবে। হেলঙ্গ থেকে কল্পেশ্বরের দূরত্ব মোটামুটি পনের কিলোমিটার এবং সেটা খুবই সুন্দর ছবির মত উর্গম ভ্যালির মধ্যে দিয়ে যায়। এমনিতে পাহাড়ি রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ কিন্তু উর্গম ভ্যালি হচ্ছে একদম ছবির মত সুন্দর। এইরকম দৃশ্য দেখতে দেখতে আপনারা পৌঁছে যাবেন কল্পেশ্বর মন্দিরের একদম ৫০০ মিটার দূরে। পথে পড়বে ছবির মত সুন্দর দেবগ্রাম। কলপেশ্বর মন্দিরের পাশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে কল্প গঙ্গা এবং সেই গল্প গঙ্গাতে আপনারা স্নান করে মন্দির দর্শন করতে পারেন এখানে মন্দিরে ভিড় খুবই কম থাকে এবং খুব সুন্দর দর্শন হবে আপনাদের। মন্দিরের সামনে পুজোর থালি পাওয়া যায় সেগুলো আপনারা কিনে নিয়ে গিয়ে দর্শন করতে পারেন এবং দর্শন করে তারপর আবার একইভাবে আপনারা ফিরে আসতে পারেন জোশিমঠ। এর আশেপাশে ঘোরার জায়গা রয়েছে আউলী যেটা ভারতের সুইজারল্যান্ড নামেও পরিচিত সেখানে আপনারা যেতে পারেন এবং অবশ্যই চারধাম এর অন্যতম ধাম বদ্রীনাথ ধামে যেতে পারেন। আমার ভ্রমণ কাহিনীটা ভালো লাগলে আমার পেজটাকে লাইক করে শেয়ার ফলো করার অনুরোধ রইলো।

Please watch like subscribe
23/06/2024

Please watch like subscribe

In this video you can find complete journey guide to the Fifth Kedar Shri Kalpeswar DhamThe hair of the bull (Lord Shiva) appeared in this region around whic...

Beautiful Sunrise captured
19/06/2024

Beautiful Sunrise captured

04/06/2024

On a lazy Sunday you can invest some of your energy to make some food to gain energy
02/06/2024

On a lazy Sunday you can invest some of your energy to make some food to gain energy

02/06/2024
25/05/2024

First Indian Village in Indo-Tibet Border, Mana,Badrinathইন্দো-তিব্বত সীমান্তে প্রথম ভারতীয় গ্রাম, মানা, বদ্রিনাথ

Sar Pass Trek,YHAI May 2024
11/05/2024

Sar Pass Trek,YHAI May 2024

Refreshing আম পোড়ার শরবত
28/04/2024

Refreshing আম পোড়ার শরবত

Refreshing Dahi Vada/ দই বড়া গরমে প্রাণ জুড়িয়ে দেয়
28/04/2024

Refreshing Dahi Vada/ দই বড়া গরমে প্রাণ জুড়িয়ে দেয়

Nothing more refreshing than this simple mint lemon sharbat
28/04/2024

Nothing more refreshing than this simple mint lemon sharbat

I've received 200 reactions to my posts in the past 30 days. Thanks for your support. 🙏🤗🎉
27/04/2024

I've received 200 reactions to my posts in the past 30 days. Thanks for your support. 🙏🤗🎉

24/04/2024

Haridwar to Badrinath Dham Bus Journey by Uttarakhand State Service Bus and Bandrinath Mandir Darshanহরিদ্বার থেকে বদ্রীনাথ ধাম উত্তরাখণ্ড রাজ্য পরিষেবা বাস ...

চতুর্থ এবং অন্তিম দিনমানেভঞ্জনে আমরা ছিলাম আপা গেস্টহাউস নামের একটি হোটেলে।মার্কেটের মধ্যে লোকেশন এবং সকালে হোটেল রুম থে...
15/04/2024

চতুর্থ এবং অন্তিম দিন
মানেভঞ্জনে আমরা ছিলাম আপা গেস্টহাউস নামের একটি হোটেলে।মার্কেটের মধ্যে লোকেশন এবং সকালে হোটেল রুম থেকে সূর্যোদয় দেখা যায়।সন্দাকাফু থেকে ফিরে মানেভঞ্জনে সেদিন রেস্ট করলাম আমরা। মানেভঞ্জন এর পাশেই নেপাল।চাইলে ঘুরে আসতে পারেন।নেপাল থেকেও সন্দাকাফুর একটা ট্রেকিং রুট দেখলাম।যাইহোক ওখান থেকে আমাদের পরবর্তী গন্তব্য ছিল লামাহাট্টা এবং সেখান থেকে দার্জিলিং। মানেভঞ্জন থেকে সুখিয়াপোখরি এবং লেপচা জগত হয়ে ঘুম হয়ে লামহাট্টা পৌঁছানো যায়।সবমিলিয়ে দূরত্ব 36 কিমি মতো।পথে পড়বে সুন্দর পাইন এর ঘন জঙ্গল। লামহাটটা তে একটা পার্ক আছে।এন্ট্রি ফি 20 টাকা পার্কের উপর 1 কিলোমিটার মতো ট্রেকিং করে গেলে একটা পোখরি অর্থাৎ পবিত্র সরোবর আছে।পাইন বনের অপরূপ শোভা এখানে দেখতে পাবেন।ওখান থেকে আমরা ফিরলাম ঘুমে। টয় ট্রেনের জয় রাইড আপনারা নিতে পারেন।ঘুমে একটা পুরোনো মনাস্ট্রি আছে।এছাড়া ঘুমের টয় ট্রেন স্টেশন টি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট।ওখানে একটা রেল মিউজিয়াম আছে।।20 টাকা টিকিট কেটে টয় ট্রেনের ইতিহাসের কাহিনী দেখতে পারেন।ঘুমে ঘুরে পৌঁছালাম দার্জিলিং।পথে পড়লো বাতাসিয়া লুপ।দার্জিলিং এ প্রচুর বাজেট হোটেল আছে।আপনারা আপনাদের পছন্দমতো নিয়ে নিতে পারবেন। ম্যাল রোডে ঘুরে কেনাকাটি করে মোমো খেয়ে রসনাতৃপ্ত করতে পারবেন।
এভাবে আমার বন্ধুদের সঙ্গে দার্জিলিং মিরিকের চারটি স্পট ঘুরে দেখবার কাহিনী আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম।ভালো লাগলে আমার পেজ টাকে একটা লাইক দেবার এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইলো ।কোনো প্রশ্ন থাকলে ইনবক্স এ মেসেজ করতে পারেন নির্দ্বিধায়।।

দার্জিলিং মিরিক ভ্রমণ পর্বতৃতীয় দিনতাবাকোশী থেকে দার্জিলিং যাবার প্রাথমিক প্ল্যান ছিল আমাদের।সেখান থেকে প্ল্যান পরিবর্ত...
13/04/2024

দার্জিলিং মিরিক ভ্রমণ পর্ব
তৃতীয় দিন
তাবাকোশী থেকে দার্জিলিং যাবার প্রাথমিক প্ল্যান ছিল আমাদের।সেখান থেকে প্ল্যান পরিবর্তন করে পৌঁছে গেলাম চিত্রে।চিত্রে থাকাকালীন প্রথম প্ল্যান হলো টুঙ্গলুং অবধি ট্রেক করে যাবো আবার ফিরে আসবো চিত্রে তে।আমাদের গ্রুপ এর অনির্বাণ প্রথম বললো সান্দাকফু গেলে কেমন হয়।।সর্বসম্মতিক্রমে সেই পরিকল্পনা তেই শিলমোহর পড়লো।যেমন ভাবা তেমন কাজ।।মোবাইল এ চেইন রিয়াকশন এর মতো ফোন কলে সব বুক হয়ে গেলো।। মানেভঞ্জন থেকে সিন্ডিকেটের গাড়ি আসবে সকালে যা আমাদের সন্দাকফু নিয়ে যাবে এবং ফেরার সময় মানেভঞ্জন ফেরত আনবে।এই গাড়ির দুটো অপশন।ল্যান্ড রোভার না হয় বোলেরো। ভাড়া 5500 গাড়ি প্রতি এবং সর্বোচ্চ 6 জন একটি গাড়ি তে যেতে পারে।সকাল সকাল চিত্রের হোমস্টের আন্টির হাতের বানানো নরম রুটি, তরকারি এবং ডিমসেদ্ধ দিয়ে জমিয়ে প্রাতরাশ গলাধঃকরণ করে বেরিয়ে পড়লাম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ সান্দাকফুর(উচ্চতা 3636 মিটার অর্থাৎ 11,930 ফুট) উদ্দেশ্যে।পথ 32 কিলোমিটার মতো।।যাত্রা শুরু হতেই নেপাল এর চেকপোস্ট।একজনের আধার কার্ড দেখাতে হবে এবং মোবাইল নম্বর দিতে হবে।সেই আচরণবিধি সমাপ্ত করে গাড়ি কিছুদূর এগোতে শুরু হলো রডোডেনড্রন এর অপূর্ব বাহার।একদিকে গভীর খাত এবং অন্যদিকে পাহাড়ি রাস্তা জুড়ে অপূর্ব রডোডেনড্রন তার বাহারি শোভা বিস্তার করেছে।।দেখতে দেখতে টুঙ্গলু ভিউ পয়েন্ট, টুঙ্গলুঙ্গ,শৃঙ্গলিলা জাতীয় উদ্যান গেট( এন্ট্রি ফি 200 জনপ্রতি এবং গাড়ির 480 অতিরিক্ত)এবং কালাপোখরি হয়ে পৌঁছালাম সন্দাক্ফু তে বেলা 1 টা নাগাদ। আবহাওয়া খারাপ থাকায় কাঞ্চনজঙ্ঘার সেরকম ভিউ পেলাম না।।তবে উড়ে যাওয়া মেঘ ও সর্বোচ্চ পয়েন্টে অনেকক্ষণ কাটিয়ে এবার নামার পালা।।ততক্ষণে পুরো ভ্যালী মেঘ ও কুয়াশা তে ভরে গিয়েছে।।।মেঘে ঢাকা ভয়ংকর গভীর পাহাড়ি খাত যুক্ত রাস্তা পেরিয়ে আমরা ফিরে এলাম মানেভঞ্জন এ।

Address

Kolkata
711227

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bharat Darshan with Biplab posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Bharat Darshan with Biplab:

Videos

Share