Travel with Raktim

Travel with Raktim চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির,
জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর
------ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 #অন্তর্জাতিকমাতৃভাষাদিবস
21/02/2023

#অন্তর্জাতিকমাতৃভাষাদিবস

🖋️তৃতীয় পর্ব।আজকের গল্প জোড়বাংলা  কেষ্টরায়  মন্দির,  বিষ্ণুপুর,  বাঁকুড়া।🛕🛕📌শ্যামরায় মন্দির দেখার পর ৩ বন্ধু মিলে আবার...
17/02/2023

🖋️তৃতীয় পর্ব।

আজকের গল্প জোড়বাংলা কেষ্টরায় মন্দির, বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া।🛕🛕

📌শ্যামরায় মন্দির দেখার পর ৩ বন্ধু মিলে আবার বসে পড়লাম টোটো তে, লালমাটি পথ ধরে এগিয়ে চলাম আমাদের পরের গন্তব্য। এতোক্ষণে সূর্য্য আমাদের মাথাএ। মিনিট ৫এক মধ্যে আমরা এসেপড়লাম আরেক কারুকার্যে নিদর্শন সামনে। অপুরূপ এই কারুকার্য আপনার মন স্পর্শ করবেই। যদিও অধিকাংশ নিদর্শণ আজ সংরক্ষণ অভাবে নস্ট প্রায়। প্রসঙ্গত বলে রাখি এই মন্দির গুলো তে ভিডিওগ্রাফি করা নিষিদ্ধ। আমরা টোটো থেকে নেমে প্রবেশ করলাম মন্দির এ। প্রবেশ সময় আপনাকে টিকিট টা গার্ড শায়েব কে দেখাতে হবে, এই দখেছেন কী ভুলো মন আমার আপনাদের তো বলা হয় নি, রাসমন্দির প্রবেশ সময় আপনাদের একটা টিকিট করে নিতে হবে ২৫ টাকা মূল্যের বিনিময়ে, যা দিয়ে আপনারা ৩টি স্পট ঘুরতে পারবেন। ৩ বন্ধু মিলে ঘুরতে লাগলাম আর সাথে চলল আড্ডা, হাসি আর মজা। আসলেও কর্মসূত্রে আজকাল আর রোজ দেখা হয় না, অথচ বছর ৩ আগে এমন একটা দিন ছিলো না যেদিন আমরা দেখা করি নি, কিন্তু আজ হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপচ্যাট আর ভিডিও কল একমাত্র ভরসা। সমস্ত লোকেশন আপনরা গাইড পেয়ে যাবেন, স্বল্প মুল্য বিনিময় ওনারা আপনাদের ঐতিহাসিক ঘটনা তুলে ধরবেন।

📌গঠন বৈচিত্রে ও উৎকৃষ্ট পোড়ামাটির আলংকারিক কারুকার্যে বিষ্ণুপুরের কেষ্টরায় মন্দিরটি বিখ্যাত। উঁচু ভিত্তিবেদির উপর স্থাপিত, দক্ষিণ মুখী মন্দিরটি 'জোড়বাংলা' শৈলীর। দুটি 'দোচালা' বা 'এক বাংলা' পাশাপাশি জোড়া থাকলে বলা হয় জোড়বাংলা। এতে মন্দিরের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পায়। এই স্থায়িত্বকে আরও দৃঢ় করার জন্য আলোচ্য জোড়বাংলা মন্দিরের উপরে একটি চারচালা 'রত্ন' বসানো হয়েছে।

📌মন্দিরটি দৈর্ঘ্যে ১১.৮ মিটার, প্রস্থে ১১.৭ মিটার ও উচ্চতায় প্রায় ১০.৭ মিটার। বীর হাম্বীরের পুত্র রঘুনাথ সিংহ ৯৬১ মল্লাব্দে ( ১৬৫৫ খ্রীষ্টাব্দে ) এটির প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে উল্লেখ্য, বঙ্গাব্দের চেয়ে মল্লাব্দ ১০১ বছর কম।

📌পোড়ামাটির অলংকরণ বাইরের চারিদিকের দেওয়ালের সর্বত্র ও দালানের দেওয়াল এবং ছাদের নিম্নতলেও ব্যবহৃত হয়েছে। শুধু প্রাচুর্যই নয়, কারিগরি উৎকর্ষেও এ ভাস্কর্যগুলি খুবই উচ্চাঙ্গের। কৃষ্ণলীলা, রামায়ন-মহাভারতের কাহিনী, পৌরাণিক উপাখ্যান, হিন্দু দেবলোকের অজস্র চিত্র ছাড়াও বন্য প্রাণী, শিকার দৃশ্য এবং স্থল ও নৌযুদ্ধের ভাস্কর্যও এখানে ব্যবহৃত হয়েছে। মন্দিরের দক্ষিণ দিকে কৃষ্ণলীলা ও পশ্চিম দেওয়ালে আছে রামকথা। রামজন্ম থেকে আরাম্ভ করে তারাকাবধ এবং রামের বিবাহ। পশ্চিমের দেওয়ালে ভয়ঙ্কর দেবীযুদ্ধের নিচে আছে গনেশজননী। অষ্টমাতৃকা মূর্তিও চিত্রিত হয়েছে। পর্তুগিজ যুদ্ধও যেমন চিত্রিত হয়েছে , তেমনিই মোঘল-সামন্তদের আভিজাত্য ও বিলাস ব্যসনও চিত্রিত হয়েছে। মন্দিরে কোন বিগ্রহ নেই।

📌মন্দিরটি ঘোরার পর শুরু হোলো আমাদের ফটো সেশন।ক্যামেরা বন্দি করলাম বেশকিছু সুন্দর মুহূর্ত।

📌এই সুন্দর জায়গা গুলি রক্ষা করার দায়বদ্ধতা আমাদের সকলএর।

🖋️আজকের গল্প এই পর্য্যন্ত আবার দেখা হবে পরের পর্বে। ভালো লাগলে লাইক এন্ড শেয়ার করবেন। ভুল ত্রুটি
মার্জনীয়।

শুভরাত্রি। ❤️

…to be continued

Travel with Raktim


দ্বিতীয পর্ব ।📌 এবার আমরা যাচ্ছি আমাদের পরবর্তী গন্তব্য বহুদেবী ছিন্নমস্তা মায়ের মন্দির এ। হিন্দুদের সাথে মন্দিরএর যেন ...
11/02/2023

দ্বিতীয পর্ব ।

📌 এবার আমরা যাচ্ছি আমাদের পরবর্তী গন্তব্য বহুদেবী ছিন্নমস্তা মায়ের মন্দির এ। হিন্দুদের সাথে মন্দিরএর যেন এক আত্মিক যোগাযোগ, যেখানে বিশ্বাস যেন যুক্তি কে হার মানাএ। পথে যেতে যেতে শঙ্কর দা (টোটো চালক) আমাদের নানান গল্প বলতে লাগলেন বিষ্ণুপর সমন্ধে। কিছুটা পথ চলার পর টোটো এসে দাঁড়াল মন্দিরএর সামনে। আমরা প্রবেশ করলাম মন্দির ভেতর। ঘন্টার শব্দ আর পুরোহিত মন্ত্রচারণ আমাদের মনের ভেতর অদ্ভুদ অনুভুতি সঞ্চার করলো। যদিও আমরা আধুনিক প্রজন্ম জিন্স টিসার্ট মোবাইল ইন্টারনেট ডুবে থাকা জেনারেশন, তবুও যেন এক অদ্ভুদ শান্তি অনুভব করলাম। মন্দিরে ফটো ও ভিডিওগ্রাফি অনুমতি নেই। প্রসঙ্গত এখানে পুজো ও প্রসাদ নেবার ব্যবস্থা আছে। এই মন্দির মা ছিন্নমস্তা রূপে পূজিতা। মন্দির সাথে রোয়েছে সুন্দর বাগান। মনের বাসনা জানিয়ে আমরা চলাম আমাদের পরের গন্তব্য। কখন যে আঁধঘণ্টা কেটে গেছে টের পেলাম না। আমরা এসেছিলাম একদিন ছুটি কাটাতে, দিনের শেষে বাড়ি ফিরে যাব একরাশ অভিজ্ঞতা নিয়ে। এই অভিজ্ঞতা সঙ্গী থেকে যাবে আরও কিছুদিন।

📌 আবার আমরা টোটোতে চেপে বসলাম আমাদের পরের স্পট উদেশ্যে। মিনিটে ৫ এ মধ্যে এসে পৌঁছালাম লালবাঁধ ও সর্বমঙ্গলা মন্দির। যদিও এখানে বিশেষ কিছু ছিলো না, কিন্তু বাঙালি যেন সবকিছু মধ্য রসবোধ খুজে পায়। এখানে প্রকৃতির রুপ খুবই মনোরম। সুযোগ পেয়ে খুলে ফেলাম কিছু চিপস প্যাকেট আর তারসাথে শুরুহোলো ছোটবেলার স্কুল গল্প আর চলল DSLR ফটোশুট। হটাৎ শঙ্কর দার ডাক ভাইরা এবার আমাদের যেতে হবে, অনুভব করলাম আমাদের কাছে সময় যে বড় অল্প, একটা সময় সব ছেড়ে যেতে হবে আমাদের। আবার উঠেপড়লাম টোটোতে। অনেকদিন পর প্রকৃতি কাছে পেয়ে এক স্বর্গিক সুখ অনুভব করলাম। এই দেখেছেন আপনাদের গল্প বলতে বলতে ভুলে গেছি আমরা এসেগছি আমাদের পরের গন্তব্যে।

📌 আমাদের টোটো এসে দাঁড়াল শ্যামরাই মন্দির এ।

শ্যামরায় মন্দির বিষ্ণুপুরের প্রসিদ্ধ টেরাকোটা শৈলীতে নির্মিত একটি মন্দির। মন্দিরটি চৌকো, দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে ১১.৪ মিটার। মন্দিরের চারদিকের খিলানগুলি সুন্দর কারুকার্যময় স্তম্ভের ওপর নির্ভর করে নির্মিত হয়ে ফাঁকা দালানের মতো অংশের সৃষ্টি করেছে। এই দালানের ভেতরে মন্দিরের গর্ভগৃহটি অবস্থিত।

অপুরুপ ভাস্কর্য অব্যশই আপনাদের মন কারবে। সাথে এক্সট্রা পাওনা কিছু ক্যান্ডিড ফটো, যা আপনাদের মোবাইল গ্যালারি শোভা বারাবে।

আজকের গল্প এই পর্য্যন্ত আবার দেখা হবে পরের পর্বে। ভালো লাগলে লাইক এন্ড শেয়ার করবেন। ভুল ত্রুটি
মার্জনীয়।

শুভরাত্রি। ❤️

…to be continued

Travel with Raktim


প্রথম পর্ব। এই পর্বে থাকবে বিষ্ণুপুর ভ্রমন বেশকিছু ছবি আর আমার কিছু অভিজ্ঞতা ❤️আমরা যাত্রা শুরু করেছিলাম কোন্নগর থেকে ব...
10/02/2023

প্রথম পর্ব।

এই পর্বে থাকবে বিষ্ণুপুর ভ্রমন বেশকিছু ছবি আর আমার কিছু অভিজ্ঞতা ❤️

আমরা যাত্রা শুরু করেছিলাম কোন্নগর থেকে বিষ্ণুপুর উদ্দেশে। কোন্নগর থেকে 37313 আপ হাওড়া-তারকেশ্বর-গোঘাট লোকাল এ। আরামবাগ ষ্টেশন পৌছেছিলাম ৯.০৫ এ। সঙ্গী ছিলো চিপস, বিস্কুট, কেক আর গরম চা।

তারপর আরামবাগ স্স্টেশন থেকে টোটো চেপে আরামবাগ বাসস্টপ পৌঁছে বাস ধরা। গন্তব্য বিষ্ণুপুর Statue মোর। প্রায় ১.৩০ ঘণ্টা বাস এর ঝাঁকুনি সাথে সঙ্গী ছিলো spotify তে অরিজিৎ সিং এ গান আর বন্ধু দের নিয়ে আড্ডা আর গল্প। জয়পুর ফরেষ্ট পেরিয় আমরা পৌঁছে গেলাম আমাদের ডেসটিনেশন। বাসএর কন্ডাক্টর দাদা ডেকে বলল ভাই তোমাদের স্টপেজ এসেগেছে। তারপর বাস থেকে নেমে চলল টোটো সন্ধান।

তারপর ৩০০ টাকা দিয়ে একটা টোটো নিয়ে নিলাম বিষ্ণুপুর সাইট সিন জন্য যাতে ছিলো ১২ টি জায়গা যা ঘুরতে আমাদের প্রায় ৩ঘণ্টা লেগেছিল। এই পর্বে আমাদের সঙ্গী ছিলো শঙ্কর দাদার টোটো। আসতে আসতে চলতে শুরু করলো আমাদের টোটো তার প্রথম গন্তব্য দিকে। গ্রামের লালমাটি পথ ধরে চলতে থাকলাম আমরা। শহরএর কোলাহল থেকে তখন আমরা অনেকটাই দূরে। মাঝেমাঝে ক্যামেরা বার করে এইমুহূর্ত গুলো লেন্সবন্দি করছিলাম আর কোথাও যেন হারিয়ে গেলাম, না ছিলো bossএ ডাকাডাকি না ছিলো teams এ বেজে ওঠা call এর নোটিফিকেশন, তখন যেন আমি এক অন্য জগৎএ। হটাৎ বুজতে পারলাম পকেট ফোন টা যেন বেজে উঠেছ, ফোন বার করে দেখলাম মায়ের ফোন, হটাৎ মনে পড়ল একটা ভুল হইছে। স্টেশন নেমে বাড়িতে আর ফোন করা হয়নি। তারপর মা সাথে কথা হোলও আর একটা আপডেট দাওয়া হোল। ও হাঁ আপনাদের সাথে পরিচয় করানো হয়নি, ই short ট্যুর আমার সঙ্গী ছিলো আমার ষ্কুল জীবনের দুই বন্ধু অরিন্দম আর রাহুল। পরবর্তী পর্বে ওদের সর্ম্পকে আরও জানাব। হটাৎ টোটো টা এসে দারালো একটা মন্দিরএর সামনে, এখানে আমরা প্রতিজন ২৫ টাকা টিকিট কেটে প্রবেশ করলাম আমাদের প্রথম ডেস্টিনেশন বিখ্যাত রাসমঞ্চ।

📌 প্রথমে আমাদের গন্তব্য রাসমঞ্চ,

রাসমঞ্চ ভারতীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার অন্তঃপাতী বিষ্ণুপুর শহরের একটি পুরাতাত্ত্বিক স্থাপনা। মল্লরাজা বীর হাম্বীর আনুমানিক ১৬০০ খ্রিষ্টাব্দে এই মঞ্চটি নির্মাণ করেন।বৈষ্ণব রাস উৎসবের সময় বিষ্ণুপুর শহরের যাবতীয় রাধাকৃষ্ণ বিগ্রহ এখানে জনসাধারণের দর্শনের জন্য আনা হত।১৬০০ থেকে ১৯৩২ সাল পর্যন্ত এখানে রাস উৎসব আয়োজিত হয়েছে। বর্তমানে অবশ্য এখানে আর উৎসব হয় না।

অপূর্ব স্থাপত্য নিদর্শণ এই রাসমঞ্চ। এখানে ভিডিওগ্রাফি নিষিদ্ধ। এই নিদর্শণ দেখলে আমাদের ইতিহাস সর্ম্পকে একটা ধারণা পেতে পারি, যদিও সময় সাথেসাথে আজ অনেক কিছু ধংস। কিছু টাকার পরিবর্তে গাইড ভাড়া ব্যবস্থা আছে।

তারপর আবার বসে পড়লাম টোটোতে আমাদের পরের গন্তব্য দলমাদল কামান।

📌 দলমাদল কামান

বিষ্ণুপুরের পর্যটন আকর্ষণ পোড়ামাটির অসাধারণ কয়েকটি মন্দিরের পাশাপাশি একটি কামানও। দলমাদল কামান নামে পরিচিত এই কামানটি নাকি চালিয়েছিলেন স্বয়ং মদনমোহন। নিজের মন্দির থেকে বেরিয়ে বর্গী হামলা রুখতে এই কামান চালান তিনি।

পরের পর্বে থাকছে বিষ্ণুপুর আরও কিছু দর্শনীয় স্থান। ভালো লাগলে কমেন্ট করবেন আর শেয়ার করবেন।

শুভরাত্রি ❤️


Address

4 S P MUKHERJEE Road, SWAPNANEER-3, FLAT NO A3, GROUND FLOOR
Kolkata
712246

Telephone

+917980635937

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Travel with Raktim posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Travel with Raktim:

Share