17/01/2024
শরীর একটু অসুস্থ থাকায় আমাদের ভ্রমনের ছবি গুলো সবার সাথে ভাগ করতে একটু দেরি হয়ে গেল...
এখন আপাতত আমাদের 14th Jan যে প্রোগ্রাম হলো তার বিবরনী দিচ্ছি।
14th জানুয়ারী আমাদের বছর শুরুর প্রথম একদিনের ভ্রমনে আমরা বিভিন্ন স্থান থেকে আমাদের ভ্রমন পিপাসু দিদিদের নিয়ে যাত্রার সূচনা করি।
প্রথমেই যাত্রাপথে প্রাতরাশ দিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু হলেও অনেকেই সেটি রেখে দিই পরে খাবো বলে কারণ একটাই মা বিপদত্তারিনি চন্ডী মায়ের পূজা দিতে হবে,তাই যেমন ভাবা তেমনই কাজ।আমরা যে যার নিজের পছন্দ মত ডালা সাজিয়ে পুরোহিতের তত্ত্বাবধানে মন্ত্র উচ্চারণ সাহায্যে মার পূজা দিলাম।
স্পর্শ দর্শন ও করলাম মনটা সবার বেশ ভালো হয়ে গেলো।
এর পর খানিকটা দূরে আরো এক মন্দির পরিদর্শন করলাম নাম লক্ষীজনার্ধন মন্দির।
অপরূপ সুন্দর কারুকার্য দেখে মন ভরে যাবে।
এখান এ বেশী সময় না দিয়ে আমাদের পরবর্তী গন্তব্য হলো মা ত্রিপুর সুন্দরী মন্দির।
দেবী এখানে ষোড়শী রূপে পূজিতা হন এইটি দেবী দূর্গার এক রূপ। আমাদের পৌঁছাতে একটু দেরী হয়েছিল বটে তবুও মা এর আশীর্বাদ এ আমরা মার গর্ভগৃহে বসে পূজা দেখি ও কিছু জন ত রীতিমত সংকল্প করে পূজো দেই।
এখানে বলে রাখি এই মন্দিরে আমাদের ভোগ প্রসাদের ব্যবস্থা ছিল ।তাই মা কে ভোগ নিবেদনের জন্য যখন মন্দির দ্বার বন্ধ হয়ে যায় তখন আমরা ঘুরে দেখি মায়ের দীঘি,মা মনসা মন্দির..
এরপর আসি ভোগ পর্বে,সত্যি বলতে কি এত সুন্দর ভোগ আমি অন্য কোথাও খাইনি দারুণ সে রান্না কি ছিলনা এই ভোগ প্রসাদে.. ভাত, ডাল, শুক্ত,বেগুনি, পানীর, ফুলকপি তরকারি,চাটনি,পাপর, পায়েস সব কটা রান্নাই অসাধারণ।
মা এর আশীর্বাদ না থাকলে আমাদের এই প্রসাদ গ্রহণ করা সম্ভব হতোনা।
প্রসাদ গ্রহণ করে যৎসামান্য বিশ্রাম নিয়ে আমরা এগিয়ে চললাম আমাদের পরবর্তী গন্তব্য উদ্দেশ্যে..
এবার আমরা এলাম সম্পূর্ন নতুন করে গড়ে ওঠা স্পেস মিউজিয়াম।
অনেক কিছু দেখলাম, শিখলাম,অজানা কে জানলাম।
সব শেষে এতকিছু স্মৃতি মনের গভীরে সঞ্চয় করে রওনা দিলাম নিজ নিজ বাড়ীর উদ্দেশে।