16/11/2018
জঙ্গলকন্যা, জঙ্গলপরির গ্রাম নয়াগ্রাম
প্রথম দিন - সকাল ৮.৩০ - এ খড়্গপুরে পিক আপ (হাওড়া থেকে ইস্পাত বা জনশতাব্দী বেস্ট ট্রেন, একটু আগে বেরলে লোকাল ট্রেনেও আসা যায়, তার আগে খড়্গপুরের বিখ্যাত ইডলি সহযোগে প্রাতরাশ। প্রথম পর্যটন স্থল ১০ কিমি দূরে, সালুয়া বৌদ্ধ মন্দির। এরপর কুড়ুমবেড়া দুর্গের উদ্দেশে রওনা। পথে যেতে যেতে গাড়ি থেকেই আইআইটি খড়্গপুর এবং সালুয়া এয়ার ফোর্স বেস দেখা যাবে। প্রায় ৩৫ কিমি রাস্তা। কুড়ুমবেড়া থেকে ২০ কিমি দূরে জঙ্গলকন্যা, সেখানে ছোট্ট একটা সেলফি ব্রেক সঙ্গে কুলতলার মাশির দোকানে খাঁটি দুধের চা। এরপর আরও ২০ কিমি কিমি গিয়ে অতিথি নিবাসে মধ্যাহ্ণ ভোজের বিরতি। লাঞ্চে থাকবে মৌপালের ফুলকপির তরকারি, আলু-ভাজা ডাল এবং মাছ (সুবর্ণরেখার মাছ যেটা যখন পাওয়া যাবে, চুনো মাছও মিলতে পারে। বিকেলে তপোবন ভ্রমণ, ফেরার সময় নিগুইতে রাজার দোকানে চা আর এখানকার সুবিখ্যাত মালপোয়া। রাতে সুবর্ণরেখার পাড়ে নৈসর্গিক পরিবেশে বন ফায়ার এবং দেশী সাঁড়া বা রেড ফাউল সহযোগে নৈশভোজ।
দ্বিতীয় দিন - সকাল ৭.৩০ - এ বেলপাহাড়ি রওনা। যাওয়ার পথে সকাল ৮টায় গোপীবল্লভপুরের বারিক মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের কচুরি দিয়ে ব্রেক ফাস্ট। এদিন সব মিলিয়ে ৪০০ কিমি ভ্রমণ হবে। যথাক্রমে গোপীবল্লভপুরের গুপ্ত বৃন্দাবন, সিধু কানহু বীরসা সেতু, কুঠি ঘাট কালী মন্দির, চিল্কিগড় কণক দুর্গা মন্দির, চিল্কিগড় রাজ প্রাসাদ, ঘাগরা, গড়রাসিনি, কেতকী ঝর্ণা, ময়ুর ঝর্ণা, কাঁকড়াঝোড়, নটাচুঁয়া, খাঁদারাণি হ্রদ, লালজল পাহাড়, লালজল গুহা এবং ভুলাভেদা এই স্পটগুলো ভ্রমণ হবে। দুপুরে বেলপাহাড়িতে লাঞ্চ ললিত দার হোটেলের ঘরোয়া রান্না সহযোগে। রাতে অতিথি নিবাসেই ডিনার। মেনুতে থাকবে বিখ্যাত ব্ল্যাক বেঙ্গল খাসির মাংশ।
তৃতীয় দিন - সকাল ৬.৩০ এ যাত্রা সিমলিপাল। খড়িকা মাথানী ধুসার দোকানের লুচি এবং নিরামিষ তরকারি দিয়ে জলখাবার। খুঁটাতে লুলু বাবুর ধাবায় ওডিশি লাঞ্চ। এদিনের স্পটগুলি হল - বারিপদা, সীতাকুণ্ড, দেবকুণ্ড, নিলগিরি মন্দির, কুলডিহা অভয়ারণ্য, ক্ষীরচোরা গোপীনাথ মন্দির, বালেশ্বরে ইমানি নব পুরি মন্দির। রাতে গেস্ট হাউসে ডিনার, জংলীজটা চালের ভাত, ডাল তরকারি এবং চিকেন। এদিন মোট ভ্রমণ ৪৫০ কিমি।
খরচ জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা খাওয়া দাওয়া থাকা এবং গাড়ি নিয়ে। খড়্গপুর থেকে খড়্গপুর।
যোগাযোগ - 7719190069