05/06/2023
সদস্যরা,গত পরশু 03/06/2023 দুপুর থেকে 05/06/23 ভোর 5টা পর্যন্ত,দু রাতের জন্য বুকিং করেছিলাম এই হোটেল টি।
এসি 2 room×2night @ 11000/- ট্যাক্স আলাদা।
বাড়িতে আমি নন এসি থাকি কারন প্রচুর ট্রাভেল করতে হয়।
প্রথম দিন প্রচন্ড গরম থাকার কারনে ও কাজ শেষ এ ক্লান্ত থাকার কারনে কোন সমস্যার সম্মুখীন হই নি।জানিনা হলেও অত গুরুত্ব দেই নি,হোটেল এর রুম গুলো বাইরে থেকে দেখে ভালই লাগল, তাই আর বিশেষ কথা বাড়াইনি।হোটেল এ লাগেজ রেখে চলে আসি ওদের রেস্টুরেন্টে এ লাঞ্চ এর জন্য। থালি সিস্টেম নেই তাই আলাদা করে ভাত ডাল আলুপোস্ত কাতলা মাছ দিয়ে লাঞ্চ শেষ করি,কিন্তু সেদিন আলুপোস্ত টাও ভাল ছিল না।আলুপোস্ত তে পচা দাগি আলুর গন্ধ আর পোস্ত টাও টক মনে হল।সার্ভিস বয় কে বলার পর সে আবার নতুন করে এনে দিল,কিন্ত সেটাও একই রকম। ফলে কিছুটা অফেনডেড হয়ে আমরা রিপোর্ট করে,চলে আসি সি বিচ এ,আমি কখনোই বড় ইস্যু না হলে কথা বাড়াই না।ঝগড়া করা আমার ঠিক ভাল লাগে না আর এক দিনের ছুটি কাটানোর জন্য কিই বা খুতখুত করব।
রাতের খাবার ও এক প্রকার আলস্য বশত ঐ হোটেল এই দি,চিকেন ভর্তা আর রুটি।
চিকেন ভর্তা তে চিকেন আজ পর্যন্ত ( যদিও কমই খাই) কিউবিক সেপ্ এ আমি প্রথম দেখলাম। মানে বানানো চিকেন যদি ছুরি দিয়ে টুকরো করি তাহলে যা হবে।
যাই হোক সিদ্ধান্ত নিই যে পর দিন এই হোটেল এ খাবার খাবার না।
সেই মত রাতের খাবার শেষ ও আড্ডার গল্প করতে করতে রাত হয়ে যাওয়ার জন্য ঘুম টাও এসির( অল টাইম নট অপারেটেড বাই রিমোট)জন্য (17৹c)বেশ ভালোই হল, দুএকবার ঘুম ভেঙ্গে ছিল আজানা কিছু পোকার কামড় এ ,মনে হচ্ছিল পিপড়া হয়ত,বা মশা।কিন্ত ঘুম এত গভীর ছিল যে ও সব বুঝতে পারি নি।
পর দিন সকাল থেকে চা ছাড়া আর কিছুই হোটেল থেকে না নিয়ে সমুদ্র সৈকত উপভোগ করতে চলে যাই,লাঞ্চ বাইরেই করি।রুমে ফিরে স্নান সেরে একটু বিশ্রাম নিয়ে বেরিয়ে পরি টেউসাগর দেখার জন্য। রাতের খাবার ও বাইরেই করি এবং হোটেল এ ফিরে এসে,ওদের বাকি পেমেন্ট করে দিই,কারন ভোর 5 টায় রওনা দেব কলকাতার জন্য।
গোলমাল হল রাত 2:30 র পর থেকে।আজ রাতে এসি টা একটু বেশি temperature এ সেটা করি,26৹c,কারন বেশি সুখি হলে কলকাতার গরমে ট্রাভেল করা কষ্ট হবে।কিছুটা চোখ লাগতেই পোকার কামড়।মোবাইল এর টর্চ জালিয়ে দেখি ছারপোকা,বিছানা বালিশ এ কম্বলে।তরি ঘরি রুম সার্ভিস এ কল করি,কিন্ত ফোন ডেড।নিচে এসে দেখি রিসেপসন ফাকা।একমাত্র সিকিউরিটি ভরসা,তাই ওনাকে বললাম,লোক পাঠানোর জন্য, 20 মিনিট কেটে গেল কেউ নেই। এদিকে আমি রুম এ তখন লাগেজ ঝারছি,গাড়ি বয়ে ছারপোকা বাড়ি নিয়ে যেতে পারব না।
আমার সহদর কে রীতি মত কামড় দিয়ে রক্ত খেয়েছে।একটা দুটো মারলাম ও।
এদিকে কোনো লোকজন এর দেখা নেই।আবার এলাম নিচে,দুচার কথা বলতেই বলল,এখন আমাদের করার কিছুই নেই, সকালে 8:30 পর ম্যানেজার আসবে ওনাকে বলবেন।
মানেটা কি!
পয়সা দিয়ে আডভান্স পেমেন্ট করে ঘর নিয়েছি,5:30 তে বেরব।এখন ঘুম টাও নষ্ট করে উপর নিচ করছি,আপনাদের এ কেমন পরিষেবা, ম্যানেজার এর নাম্বার দিন আমি কথা বলব।
বলায় বলল আপনার বিল এ নাম্বার আছে,আমাদের কাছে নেই,আপনি কল করুন,বুঝলাম ওরা দেবেনা,তাও নাম্বার টা বিল থেকে নিয়ে কল করলাম।ফোন রিসেপসন এ রিং হচ্ছে।
এবার একটু করা করে বলায় ওদের একজন বেরিয়ে এল।কারন জানতে চাইল,ওদের লোকাল ভাষায় যা বুঝলাম হোটেল এ ঘর নেই,যদিও আমার ফ্লোর এ 3 টে ঘর খালি। আর হোটেল এর বেশ কয়েক দিন ধরেই ছারপোকা রয়েছে শুধুমাত্র পরিষ্কার হচ্ছে না সিজন বলে।
যাই হোক সিদ্ধান্ত নেন আমি এখন কি করব?আমি তো সাফার করছি।2ঘন্টা হল এ সব নাটক চলছে।
ওদের একজন হিট স্প্রে আর নেপথলিন নিয়ে আমায় বলল চলুন,রুমে যাই।
আমি ও গেলাম ওদের সাথে ,মাথা আধা ঘুম এর জন্য ধরাস ধরাস করছে,ইচ্ছা করছে খুব চেঁচামেচি করে বাকি সবার ঘুম এর 12 টা বাজিয়ে দেখাই হোটেল এর পরিষেবা,কিন্ত করে উঠতে পারছি না।
যাই হোক একটা লাইভ ভিডিও করলাম।যেতে আমার চেনা পরিচিত রা দেখতে পায়।
ওরা রুম এ এসে লাগেজ বেড এ সব জায়গাতেই স্প্রে করল।জোর করে বলাতে নতুন চাদর বালিশের কভার বদলে দিল।
কিন্ত ঘুম টা এল না,অগত্যা 5 টা নাগাদ হোটেল ছেরে বেরিয়ে এলাম একটা বাজে আভিজ্ঞতা নিয়ে।আর কোন দিন আশা হোটেল এ উঠবো না।
সবার জন্য কিছু ছবি ভিডিও দিলাম।
কেউ যদি আমার মত এই হোটেল বুক করেন তাহলে একটু দেখেশুনে নেবেন।