BhramanBihari

  • Home
  • BhramanBihari

BhramanBihari মনে আছে ঘোরার ইচ্ছে, সাথে আছে ভ্রমণ বি?
(2)

রাহুল - কিরে এই কয়দিন কোথায় ছিলিস ??আদি - এইতো একটা জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলাম lরাহুল - ও তাই নাকি কোথায় ??আদি - সিটং ...
24/03/2022

রাহুল - কিরে এই কয়দিন কোথায় ছিলিস ??

আদি - এইতো একটা জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলাম l

রাহুল - ও তাই নাকি কোথায় ??

আদি - সিটং নামে একটা জায়গায় জায়গাটা খুব ভালো জানিস l

রাহুল - সিটং!! ওখানে এরকম কি কি দেখার আছে ??

আদি - আরো অনেক কিছু দেখার আছে, আর তার চেয়ে বড় কথা জায়গাটা এত সুন্দর তুই গেলে তুইও বলবি ওখানে যাওয়ার জন্য l

রাহুল - ও এই ব্যাপার, তাহলে কি করে যাবো একটু বলতে পারবি ??

আর ওখানে কীকী দেখার রয়েছে, BEST HOTEL বা HOMESTAY আছে নাকি??

আশেপাশে কোথায় কোথায় ঘুরতে যেতে পারবো বা কয় দিনের ট্যুর PLANE করে গেলে কিরকম বাজেট পড়বে সব কিছু ঠিক করে বল??

আদি - দাঁড়া দাঁড়া শান্ত হো,

আমি সব তোকে খুলে বলছি, তুই নোট করে নিস, প্ল্যান মত যাবি দেখবি অনেক কম বাজেটে অনেক ভালভাবে ঘুরে আসতে পেরেছিস, আর ওখানে ঘুরতে গেল বাজেট টাও খুব কম l

দেখ পৃথিবী যেখান থেকে আসিস না কেন তোকে সবার সবার প্রথম আসতে হবে শিলিগুড়ি, সে তুই BY AIR, BY TRINE BA BAS যেভাবে আসিস না কেন তোকে আসতে হবে শিলিগুড়িতে এখান থেকে চলে যেতে পারিস SITONG.

👉👉IMPORTANT 👈👈

শোন সিটং যাওয়ার আগে কিছু কথা বলি মিরিক আমাদের কমলা লেবুর জন্য বিখ্যাত আমরা সবাই জানি, সেরকম কিন্তু SITONG এ প্রচুর কমলালেবু চাষ হয়, মিরিক এর পর সবচেয়ে বেশি কমলা লেবু সিটং এই পাওয়া যায়, শুধু যে SITONG কমলালেবু পাবি তা কিন্তু নয় তার সাথে কাঞ্চনজঙ্ঘা অপরূপ দৃশ্য ও পাহাড়ি রাস্তা বেয়ে চা বাগান আর পাহাড় পাহাড় সবকিছু মিলিয়ে সিটং একটি অপূর্ব জায়গা l

রাহুল - ও তাই নাকি আমি তো এত কিছু জানতামই না তো যেতে কত টাকা লাগবে আমাদের??

আদি - দেখ তুই SITONG দুইভাবে যেতে পারবি FIRST গাড়ি ভাড়া করে দ্বিতীয় গাড়ির শেয়ার করে

সবার আগে বলে রাখি গাড়ির শেয়ার করে যেতে গেলে তোকে একটু অসুবিধায় পড়তে হবে - কি রকম অসুবিধা শিলিগুড়ি থেকে তোকে যেতে হবে (বিরিক ধারা) অবধি সেখানে নেমে বাঁদিকের রাস্তা ধরে চলে চলে যেতে পারবি সিটং কিন্তু বিরিক ধারা নামার পর SITONG এর গাড়ি সব সময় পাওয়া যায় না, যদি তোরা HOMESTAY তে আগে থেকে বলে রাখিস বা বুক করে রাখিস তবে গাড়ি বিরিক ধারা তে এসে তোদের নিয়ে যাবে সেই ক্ষেত্রে তাদের কিছুটা পয়সা বা টাকা বাঁচবে, আর যদি গাড়ি রিজার্ভ করে তোরা সিটং যেতে চাস গাড়ি ভাড়া পড়বে ৩০০০-৪০০০ টাকা,

রাহুল - ও তাহলে তোর মোট কিরকম খরচা পড়েছিল আর কয়জন মিলে গিয়েছিলিস??

আদি - দাঁড়া দাঁড়া সব বলবো আমি তোকে লাস্টে পুরো বাজেট এবং কম খরচায় কত টাকায় তুই গিয়ে ঘুরে আসতে পারবি, সেই হিসাবে দিয়ে দিব, তার আগে ওখানে গিয়ে থাকবি,কোথায় কি দেখবি,এগুলো তো শুনে নে ?

রাহুল - হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিক আছে বল সব কিছু বলl

আদি - সিটং যাওয়ার সময় তুই রাস্তা পাস পাশ দিয়ে পাহাড় ও নদী দেখতে দেখতে LOWER SITONG হয়ে পৌঁছে যাবি UPPER SITONG ,

আমি তোদের SUGGEST করব তোরা যাতে UPPER SITONG এই থাকিস ওখানে প্রচুর হোমস্টে রয়েছে আমি নাম্বার এবং ছবি দুটোই দিব l

রাহুল - তাই নাকি তো কোন হোমস্টে তো ছিলি তোরা নাম কি হোমস্টেটার???

আদি - আরে হোমস্টে টার নাম হল

PANCH POKHRI HOME STAY.

এই হোমস্টে এর মালিক একজন আর্মি অফিসার l

রাহুল - বাহ বাহ সেই ব্যাপার তো কি রকম ছিল হোম স্টে টা ??

আদি - HOME STAY ভালোই ছিল, চল বলি তোকে হোমস্টে খরচা কতো পড়বে , পার হেড 1500 টাকা করে,

সকালে ব্রেকফাস্ট - দুপুরের লাঞ্চ - রাতের ডিনার, বিকেলের টিফিন ও সকালের চা সবকিছু মিলিয়ে 1500 টাকা.

আর হোমস্টে ভিতরে হিটার সহকারে বাথরুম ও খাটের পরিসেবা ভাল ছিল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন

1 টা রুমে 4 জন থাকা যায়,

আমি রুমের কিছু ছবি ও তার সাথে খাবারের কিছু ছবি ছবি দিয়ে দিচ্ছি l

আর তার চেয়ে বড় তোকে একটা কথা বলি সেটি হল রুমের BELCONY থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা (KUNCHANJUNGHA) এত অপূর্ব রূপ দেখা যায় তোকে কি বলবো, কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়া পরিষ্কারভাবে দেখতে পারবি,

আমি তারও কিছু ছবি দেখিয়ে দিচ্ছি আশা করি সেটা দেখার পর তুই বলবিই বলবি আমি এখানে যাব 2-30রাত্রী থেকে আসব l

রাহুল - বাহ সবি তো শুনলাম আর আমার যাওয়ার ইচ্ছাটা অনেকটাই জেগে গেছে, ওখানে তো আমাকে একবার যেতেই হবে

এবার তুই আমাকে একটা ছোট্ট করে 2 রাত্রী 3দিন 3রাত 4 দিনের একটি ছোট বাজেট করে একটা প্ল্যান করে দে তো দেখি কত টাকা খরচা পড়বে l

আদি - হ্যাঁ একদম তুই এটা কারো সাথে শেয়ার করতে পারিস -

PER HEAD ( SHARE CAR SLG TO BIRIK DHARA - 250) + BIRIK DHARA TO UPPER SITONG - 1000 )

RESERVE CAR - (SLG TO UPPER SITONG + SIGHTSEEN + DROP SLG ) VARA - 8000- 9000

THAKA O KAWA - (1500 - 1700) per head এর মধ্যেই ঘোরাঘুরি করে l

BUDGET PLANE - (250+250+350+350)+ (1400×3 = 4200) = ONLY 5500 (4 DAYS 3 NIGHT) PER HEAD .

22/12/2021

18/11/2021

❤️❤️❤️❤️❤️

19/10/2021

দাঁড়াও তুমি

দাঁড়াও দাঁড়াও দাঁড়াও,
যেভাবে খুশি
দাঁড়াও ।
ঘুরে, উঠে অথবা গাছের মতো দাঁড়াও,
বিন্দুর মতো
দাঁড়াও
যাতে কেউ দেখতে না পায় তোমায়
তখন
ঈশ্বর হবে রাজা,
তুমি হবে প্রজা ।
শুনেছি তুমি নাকি একজন
মানুষ,
তুমি নাকি
ইশারায় সাড়া দাও
শুনতে পারো
দেখতে পারো
বলতে পারো
তাহলে কি শুনতে পাওনা ,
তাদের ডাক ??
দেখতে পাও না ,
তাদের অবস্থা
একবারও বলতে পারোনা
আমি আছি পাশে
যদি থেকে থাকো ,
তাহলে
কেন ওরা রাস্তায়;
রেলস্টেশনে।
কেউ চেনেনা তাদের ----
দাঁড়াও দাঁড়াও দাঁড়াও ,
যেভাবে খুশি
দাঁড়াও।
যেও না দেশ ছেড়ে,
পড়াশোনার অজুহাতে ,
সমাজ বদলানোর
অজুহাতে ।
বিদেশি শিক্ষায় পারবে না তুমি
---- এ সমাজ বদলাতে।
বদলাও আগে নিজেকে,
তারপর পারি দিও
সমাজে ;
দাঁড়াও দাঁড়াও দাঁড়াও ,
যেভাবে খুশি
দাঁড়াও।

কলমে ----
Priti Dey
Class - 9
Place - Falakata

07/09/2021

এই বর্ষায় তোমায় ছাড়া আর কি চাই ----❤️❤️❤️❤️❤️

 শেষমেষ বছরখানিক বাদে পাহাড়মুখী যাত্রা। যাত্রায় দুই সঙ্গী আমার পথপ্রদর্শক হিসেবে স্থান নিয়েছিল, শুধু ফাঁকি দিয়েছিল "...
12/02/2021



শেষমেষ বছরখানিক বাদে পাহাড়মুখী যাত্রা। যাত্রায় দুই সঙ্গী আমার পথপ্রদর্শক হিসেবে স্থান নিয়েছিল, শুধু ফাঁকি দিয়েছিল "Bhowal Da" ।

কাছে পিঠে পাহাড় মানেই আমার মাথায় ঘুরপাক খায় Kurseong। অনেকদিন বাদে গেছি বলেই মনটা বেশ উপরের সারিতে দিক নিয়েছিল। বিশুদ্ধ অক্সিজেন, শান্ত পরিবেশ সব মিলিয়ে এক জমজমাট ব্যাপার হয়ে উঠেছিল। সর্বোপরি 'মোমোর' স্বাদ ...... আহা !!! সারাদিনের ক্লান্তি কে যেন কাছে ঘেঁষতে দিল না।

We have reached 500 likes through our page. Thank you to all of our followers for you support...Thank you every...
23/07/2020

We have reached 500 likes through our page. Thank you to all of our followers for you support...Thank you everyone..!! Please share this with your friends !! Lets get up to 1000 !!!! I hope you are all enjoying this page

গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা নদী যেখানে একত্রে যেখানে বঙ্গপসাগরে মিলিত হয়েছে সেখানেই গড়ে উঠেছে ম্যানগ্ৰোভ অরণ্যে ঘেরা সুন...
04/07/2020

গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা নদী যেখানে একত্রে যেখানে বঙ্গপসাগরে মিলিত হয়েছে সেখানেই গড়ে উঠেছে ম্যানগ্ৰোভ অরণ্যে ঘেরা সুন্দরবন (SUNDARBAN) ব-দ্বীপ। এই সুন্দরবন পশ্চিমবঙ্গের হুগলি নদী থেকে শুরু করে বাংলাদেশের বালেশ্বর নদী পর্যন্ত বিস্তৃত। সুন্দরবন (SUNDARBAN) ব-দ্বীপ -এর কিছুটা অংশ ভারতে ও বাকি অংশ বাংলাদেশের মধ্যে অবস্থিত। অনুর্বর, কাটা, নিষ্পলা ম্যানগ্ৰোভ অরণ্যে ঘেরা ও পরিপূর্ণ এই সুন্দরবনের ভূমি। আন্ত জোয়ারে এই ভূমি।

সুন্দরবনের 4টি সংরক্ষিত এলাকা গুলি হল – UNESCO world Heritage Sites, viz Sundarbans Nation Park, Sundarbans West, Sundarban South & Sundarban East Wildlife Sanctuaries। সুন্দরবন ম্যানগ্ৰোভ অঞ্চলের সর্বমোট বিস্তার 3,900sq mi পর্যন্ত। তার মধ্যে বাংলাদেশের খুলনায় জেলায় রয়েছে 2,323sq mi এবং পশ্চিমবঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণ 24 পরগণা মিলে রয়েছে 1,640sq mi পর্যন্ত।

কীভাবে যাবেন?:-

সুন্দরবন যেতে হলে প্রথমে আপনাকে ট্রেনে করে নামতে হবে শিয়ালদহ। তারপর সেখান থেকে নেমে আবার লোকাল ট্রেনে করে ক্যানিং। তারপর সেখান থেকে বাস বা অটো করে গদখালি যা হল সুন্দরবন যাওয়ার প্রবেশপথ। এবং সেখান থেকে স্টিমার করে যাত্রার শুরু করতে হবে। কলকাতা থেকে সুন্দরবনের দুরত্ব আনুমানিক 110km।

এছাড়া আপনি ফ্লাইটে এলে আপনাকে নামতে হবে দমদম বিমানবন্দরে সেখান থেকে ভাড়া গাড়ি করে আপনি সোজা যেতে পারেন গদখালি। নতুবি আপনার যদি রেল যাত্রার মনোভাব থাকে তাহলে আপনি দমদম বিমানবন্দর থেকে যেতে পারেন শিয়ালদহ সেখান থেকে লোকাল ট্রেনে করে ক্যানিং তারপর সেখান থেকে বাস বা অটো করে গদখালি।

স্টিমার করে যাত্রার 15 মিনিটের মধ্যে আপনি দেখতে পাবেন আপনার গন্তব্য স্থানকে অর্থাৎ সুন্দরবনকে। এরপর আপনি সুন্দরবনকে দেখলে নিজেই বুঝতে পারবেন যে কেন সুন্দরবনকে ম্যানগ্রোভ অরণ্যে ঘেরা ব-দ্বীপ বলা হয়ে থাকে। আপনি আপনার যাত্রার পথে স্টিমারে করে দুপাশের জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যাত্রার সময় অনুভব করতে পারবেন সুন্দরবনের সৌন্দর্যকে।

18/06/2020

এই সময় কোনো ভাবেই ঘুরতে যাওয়া সম্ভবপর নয়, সেই কারণেই 'ভ্রমণ বিহারীর' তরফ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে এক সুন্দর ভিডিও। আশা রাখছি, ভালো লাগবে। দেখুন তো আপনার চেনা জায়গা কি না ???

ভ্রমণ বিহারীর তরফ থেকে আমরা প্রত্যেকবারই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তথা প্রকৃতিকে আপনাদের সামনে  তুলে ধরার চেষ্টা করি। যদি আপনাদ...
01/06/2020

ভ্রমণ বিহারীর তরফ থেকে আমরা প্রত্যেকবারই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তথা প্রকৃতিকে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করি। যদি আপনাদের কাছেও এইরূপ ভ্রমণের কোনো স্মৃতি বর্তমান থাকে তা আমাদের সাথে Share করতে পারেন।

'ভ্রমণ বিহারীর' এক - একনিষ্ঠ বন্ধু তার সরলতম মনে যে মায়াবী প্রকৃতির রূপ নিয়ে আলোকপাত করেছিল তারই প্রতিচ্ছবি নিম্নাংশে বর্ণিত রইল।

আর আপনাদের কাছে বিনম্র নিবেদন, এই ছোট্ট লেখাটিকে Like, Comments and Share এর মধ্য দিয়ে ভরিয়ে তুলুন যা'তে করে 'বন্ধুর' মুখে হাসি সবসময় বজায় থাকে।



প্রকৃতি

প্রকৃতি,
তুমি হলে রূপসাগরের রূপের রাণী, অন্তরের উন্মোদন,

কীভাবে তোমার এই রূপের মহিমা করিব আলোপন।

তবুও বলিতে চাই যে, তোমার সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ সবাই-

তাই ভেবে উঠি কীভাবে সেই সৌন্দর্য্যে নিজের জীবন হারাই ?

গ্রীষ্ম,বর্ষা,শরৎ,শীত,হেমন্ত, বসন্ত এই ছয় ঋতু নিয়ে,
আলোকময় তুমি-

এই কালের এক অপরূপ ঋতুচক্রে আবদ্ধ আমি।

মাঝে মাঝে মনে হয় নিজের অন্তরের সমস্ত প্রকাশ মেলে
ধরি তোমায়,

তাই বার বার ভ্রমণের মাধ্যমে খুঁজে বেড়াই তোমায়।

তোমার এই অপরূপ সৌন্দর্য্য সত্যিই ভরিয়াছে মোর প্রাণ

জীবনপথে সচক্ষে তোমার রূপজগতের প্রতি এত টান।

প্রতিবার ফিরে যেতে চাই প্রকৃতির সেই সৌন্দর্য্যের টানে।

সবার ভ্রমণের আশা ফুটে ওঠে মনে প্রাণে।

সত্যিই প্রকৃতি তুমি আজ রূপসাগরের রাণী, সপ্তনদীর জলাবেশ,
ঋতুচক্র ও সবুজের সন্নিবেশ

তোমার এই প্রাকৃতিক মহিমায় করিতে চাই জীবন শেষ।

প্রকৃতি তুমি রূপের রাণী, অন্তরের উন্মোদন,

তাই তোমার কাছেই করিলাম মোর হৃদয়ের
সমস্ত বিনোদন।।

-প্রিয়া ধর

বক্সা-(BUXA)ডুয়ার্সের মনমুগ্ধ সৌন্দর্যের আবরণে ঘেরা এক অতুলনীয় স্থান। যেখানে পৌঁছতে হলে আপনাকে সঙ্গি করতে হবে ট্রাকিং -এ...
16/05/2020

বক্সা-(BUXA)ডুয়ার্সের মনমুগ্ধ সৌন্দর্যের আবরণে ঘেরা এক অতুলনীয় স্থান। যেখানে পৌঁছতে হলে আপনাকে সঙ্গি করতে হবে ট্রাকিং -এর পথকে। এবং চলার পথে পায়ে পা মিলিয়ে পারি দিতে হবে অদ্ভুত দুর্গম পাহাড়কে।

পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলা আলিপুরদুয়ার থেকে 36km দূরে অবস্থান করে এই বক্সা নামক জায়গাটি। এখানে রয়েছে পাহাড়ের উপর বক্সা দুর্গ।আলিপুরদুয়ারথেকে যার উচ্চতা 2884 ft.।গভীর অরণ্যের মধ্যে খাদের গা ঘেঁষা রাস্তা। যা আপনাকে আর আপনার পরিবারকে নিয়ে যাবে রোমাঞ্চকর পরিবেশের সঙ্গী করতে।

উপরিউক্ত আলোচনা ( JAYANTI POST ) অনুসারে যাত্রাপথের সূচনা করে রাজাভাতখাওয়ার মধ্যে দিয়ে 15km পেড়িয়ে সন্তরাবাড়ি। সেখানে পৌঁছে চাইলে আপনি গাইড নিয়ে আপনার মনোরম যাত্রা শুরু করতে পারেন। তারপর 2.5km পেড়িয়ে আপনার দেখা মিলবে ফুট হিল। সেখান থেকে ট্রাকিং করে পায়ে হেঁটে চলা শুরু করুন গন্তব্যের দিকে।যেখান থেকে আরোও 2.5km পেড়োলে দেখা মিলবে বক্সা ফোর্টের। ফুট হিল থেকে বক্সা ফোর্টের রাস্তা ভর্তি রয়েছে অদ্ভুত সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ। একপাশে রয়েছে গভীর ভয়াবহ খাদ এবং অপর পাশে ঘন অভয়ারন্য ভঙ্গুর পাথরে পরিপূর্ণ ও এব্রখেব্র রাস্তা। আর সাথে রয়েছে ঝি ঝি পোকা ও বহু নাম না জানা পাখিদের কুহু ধ্বনি। ট্রাকিং -এর পথে আপনি সঙ্গী হবেন অদ্ভুত প্রাকৃতিক দৃশ্যের যা আপনার মনে ছবির মতো রয়ে যাবে। যাবার পথে একটি ছোট্ট গ্ৰাম সেখান থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল নিয়ে রাস্তা অতিক্রম করবেন। শোনা যায় এখানকার লোকেরা নাকি শহর থেকে নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বয়ে নিয়ে যান। কথিত আছে ভুটান ও কোচ রাজারা নিজেদের সুবিধার্থে এই বাঁশের দূর্গ ব্যবহার করতেন। ভুটানের রাজারা বিখ্যআত সিল্ক রুট রক্ষার্থে এই দূর্গ ব্যবহার করতেন। পরবর্তীতে ব্রিটিশরা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আটক করে বন্ধি করে রাখতে এই বাশের দূর্গকে পাকা বানিয়ে জেলখানায় পরিনত করেছিলেন। জানা যায় স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুকে এখানে আটক করে রাখা হয়েছিল যাতে তিনি পালাতে না পারেন। একদা এই স্থানে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করেছিল বন্ধিরা। সেই সময়কালে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন দার্জিলিং পাহাড়ে এবং তিনি একথা জানতে পেরে এই দুর্গের সামনে একটিফলক নির্মাণ করেন। এই দুর্গে রয়েছিল তিনটি ছোটো ছোটো চিলেকোঠার মতো ঘর যার রয়েছে এখন কেবল পরিতক্ত ভগ্নাবশেষ। বক্সাতে থাকতে হলে আপনাকে থাকতে হবে সেই ছোট গ্ৰামের হোম স্টে -তে যার ভাড়া আনুমানিক Rs- টাকা। এছাড়াও এই পাহাড়ের কোলে রয়েছে টেন্ট এর ব্যবস্থা সাথে বন ফায়ার যার মূল্য আনুমানিক Rs- টাকা।

এই মনমুগ্ধ সৌন্দর্য রাত কাটিয়ে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে গড়ে তুলুন জীবনে প্রকৃতির এক নতুন ছবি।আর সঙ্গী হয়ে যান এই অপরুপ সৌন্দর্যের। আর আমাদের পাশে চলতে চলতে আনন্দ উপভোগ করুন প্রকৃতির সৌন্দর্যের।

TRAVEL POSITIVE QUOTES
13/05/2020

TRAVEL POSITIVE QUOTES

জীবনের পথ খুব একটা সহজ নয়, রয়েছে চড়াই-উৎরাই। তাই ভ্রমণ বিহারী (Bhramanbihari.in), জীবনের রসদ আপনার দোড়-গোড়ায়  পৌঁছ...
11/05/2020

জীবনের পথ খুব একটা সহজ নয়, রয়েছে চড়াই-উৎরাই। তাই ভ্রমণ বিহারী (Bhramanbihari.in), জীবনের রসদ আপনার দোড়-গোড়ায় পৌঁছে দেবার জন্য কিছু Travel কোটস (QUOTES) উপহার হিসাবে আপনাদের সামনে এই প্রথমবার তুলে ধরার চেষ্টা করছে। আশা করবো Travel Quote গুলো জনজীবনে জোয়ার তুলে দেবে।

জয়েন্তী (JAYANTI)- অপরুপ সৌন্দর্যে আবৃত,পাহাড়ের কোলে, নদীর বুকে গড়ে ওঠা এক পর্যটন কেন্দ্র। মূলত জয়েন্তী নদীর ওপর গড়ে ওঠা...
05/05/2020

জয়েন্তী (JAYANTI)- অপরুপ সৌন্দর্যে আবৃত,পাহাড়ের কোলে, নদীর বুকে গড়ে ওঠা এক পর্যটন কেন্দ্র। মূলত জয়েন্তী নদীর ওপর গড়ে ওঠায় এর এইরূপ নামকরণ। এবং তার সাথে রয়েছে নদীর মিষ্টি মধুর বয়ে যাওয়া সুর ও পাখিদের সুমধুর ধ্বনি।

পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলা আলিপুরদুয়ার থেকে 30km দূরে অবস্থান করে এই জয়েন্তী নামক জায়গাটি। ভুটান (BHUTAN) পাহাড় দিয়ে এর প্রাকৃতিক শেষ সীমানা গঠিত এবং দক্ষিণ সীমান্তে একটি ছোট্ট গ্রাম রয়েছে। এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দরুন একে ‌‌‌‌‌"ডুয়ার্স রানী" বলা হয়।

শুরুতে আপনি অন্য শহর থেকে প্লেনে করে এলে আপনাকে নামতে হবে বাগডোগরা এয়ারপোর্টে (BAGDOGRA AIRPORT) সেখান থেকে 140km অতিক্রম করে আসতে হবে আলিপুরদুয়ার (ALIPURDUAR)। সেখানে পৌঁছে আপনি 1দিন ঘুরেই ফেলুন এই নতুন জেলাটির চারিপাশ এবং উপভোগ করুন ডুয়ার্সের সৌন্দর্যকে। আলিপুরদুয়ারের আশেপাশে রয়েছে জলদাপাড়া ন্যাশনাল পার্ক (JALDAPARA NATIONAL PARK), সিকিয়াঝোরা(SIKIAJHORA), চিলাপাতা ফরেস্ট, পুকুরি, রসিকবিল (RASIKBIL) যা অতি কম শুল্কে আপনি ঘুরে নিতে পারেন পরিবার সঙ্গে আর কাটিয়ে নিতে পারেন ছুটি।এছাড়া আলিপুরদুয়ারে রয়েছে অতি উন্নত মানের এবং সুলভ হোটেল (HOTEL) যেমন - হোটেল ডুয়ার্স মাউন্টেন (HOTEL DOOARS MOUNTAIN) আনুমানিক Rs- 1000/3000 টাকা, হোটেল বঙ্গভূমি (HOTEL BANGAVUMI) আনুমানিক Rs-1000/2000টাকা, হোটেল এলিট(HOTEL ELITE) আনুমানিক Rs- 1000/3000টাকা, হোটেল সিঞ্চুলা (HOTEL SINCHULA) আনুমানিক Rs- 500/3000 টাকা,মা গ্রীনরি ভিউ(MA GREENRE VIEW) আনুমানিক Rs- 1000/5000 টাকা যেখানে আপনি খুব কম খরচে পরিবারের সঙ্গে নিশ্চিন্তে ও নির্দিধায় থাকতে পারবেন।এর পর আলিপুরদুয়ার (ALIPURDUAR)থেকে গাড়ি করে পারি দিয়ে দিন আপনার গন্তব্য স্থলে।অথবা রেলে আসলে কাঞ্চনকন্যা অথবা অন্য কোনো রেলে এলে নামতে হবে আলিপুরদুয়ার রেল জংশন সেখান থেকে ভাড়া গাড়ি করে 30km পাড়ি দিলেই জয়েন্তী(JAYANTI)

যাত্রাপথের শুরুতেই আপনি যেতে পারেন সরকারি বাসে করে যার সুলভ ব্যবস্থা রয়েছে আলিপুরদুয়ার থেকে যা আপনকে নিয়ে যাবে রাজাভাতখাওয়ার (RAJABHATKHWA)মধ্যে দিয়ে বক্সা (BUXA)হয়ে জয়েন্তীর পথে এবং সৌভাগ্যবশত যাত্রাপথেই দেখা মিলতেই পারে গজরাজ হাতি অথবা বানরের।অথবা চাইলে আপনি যেতে পারেন অটো, ছোটো ম্যক্সি ভ্যান (MAXI VAN) করে। নতুবা গাড়ি ভাড়া করে। জনপ্রতি যাত্রাপথে বাস ভাড়া আনুমানিক Rs- 20/30 টাকা , অটো /ছোটো ম্যক্সি ভাড়া আনুমানিক Rs- 40/50 PER HEAD টাকা যা অতি কম খরচে পৌছে দেবে আপনাকে আপনার গন্তব্যে।

এছাড়া লোকসংখ্যা অনুসারে গাড়ি ভাড়া করে চলতে শুরু করুন রাজাভাতখাওয়া (RAJABHATKHWA) পেরিয়ে জয়ন্তীর (JAYANTI) পথে। প্রথমে রাজাভাতখাওয়ায় দেখা মিলবে ঘন জঙ্গলের প্রকৃতির সৌন্দর্যের মাঝে রাস্তার পাশে থাকা আর্মি ক্যম্পের (ARMY CAMP) যেখানে আমাদের দেশের সৈন্যরা তাদের কর্তব্যে বিভর দন্ডায়মান। তারপর কিছুটা চলার পর রয়েছে "বক্সা টাইগার রিজার্ভ" (BUXA TIGER RESERVE)
সেখানে রাস্তা বা সেতু ব্যবহারের টোলে আপনাকে লোকসংখ্যা অনুসারে আনুমানিক একজনের আনুমানিক Rs- 100 টাকা এবং গাড়ি ভাড়া আনুমানিক Rs- 250 /300 টাকা নির্ধারিত শুল্ক দিয়ে বাকি যাত্রাপথ অতিক্রম করতে হবে।সেখানে কিছুটা সময় দাঁড়িয়ে নিয়ে করতে পারেন চা ও জলখাবার এবং উপভোগ করতে পারেন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে প্রবল বেগে ছুটে যাওয়া রেল গাড়ির আওয়াজ এবং বিভিন্ন পাখির কলরবের মুখরিত ধ্বনি।এবার চলতে শুরু করুন আপনার নির্ধারিত গন্তব্য স্থানের দিকে। সুদুর বিস্তৃত অভয়ারন্য, দুপাশে ঘন জঙ্গলের তার মধ্যে দিয়ে পাকা রাস্তা আর অজস্র পাখির ডাক। ভাগ্য ভালো থাকলে দেখা মিলবে ময়ূর আর গজরাজ হাতির।

গন্তব্য পৌছে দেখতে পাবেন নুড়ি কাকড়ে মুরে রাখা কিছুটা স্থান যা পায়ে হেঁটে পার করলেই দেখা মিলবে জয়ন্তী নদীর। নদীর জল এতোটাই স্বচ্ছ যে চাইলে আপনি পান করতে পারবেন। নদীর জল কম থাকলে চাইলে আপনি নদী পার ও হতে পারবেন এবং পার হলেই দেখা মিলবে ভুটান পাহাড়ের। চাইলে আপনি পায়ে হেঁটে জয়ন্তী মহাকাল ধামেও জেতে পারেন। নদী পার হওয়ার সময় দেখা মিলবে জয়ন্তী ব্রিজের যা ব্রিটিশ আমলে তৈরি হয়েছিল কিন্তু তার এখন পরে রয়েছে কেবল ধংসাবশেষ। জয়েন্তী নদীর পারে রয়েছে রাতের পাহাড় ও জঙ্গলের প্রাচুর্যতা ও নদীর মিষ্টি সুরের উপভোগ করার জন্যে একটি বেসরকারী রেসর্টের ব্যবস্থা যা চাইলেই আপনি উপভোগ করতে পারবেন। এখানে থাকতে হলে আপনাকে সবার প্রথম বুকিং করাতে হবে আর যার ভাড়া পরবে আনুমানিক Rs- 2000/3000 টাকা।এছাড়া আপনি চাইলে কেবলমাত্র একদিনেই আপনি ঘুরে আসতে পারবেন জয়ন্তী (JAYANTI)।

দুরাগামী যারা রাতের জঙ্গল সাফারী করতে ভালোবাসেন তাদের জন্যে রয়েছে জয়েন্তী থেকে সামান্য দূরে 28মাইল নামে একটি ছোট্ট গ্রামে হোম স্টে-র ব্যবস্থা। সেখানে চাইলেই আপনি রাত কাটিয়ে রাতের ডুয়ার্সের সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে পারেন। এছাড়া আপনি টুরিস্ট গাইড ও জীপ ব্যবস্থার উপভোগ করে পুরো পরিবারের সাথে জয়ন্তী ও তার আশেপাশের পরিবেশ ও

প্রকৃতির অপূর্ব সৌন্দর্যে সঙ্গে পারস্পরিক মেলবন্ধন ঘটিয়ে কাটিয়ে নিতে পারে ছুটির দিনগুলো আর সঙ্গী হয়ে নিজের সঙ্গ করে নিয়ে যেতে পারেন এই সৌন্দর্যের অসমাপ্ত অংশকে। এবং ছবি করে রেখে দিত পারেন জীবনের অসমাপ্ত অ্যালবামে।

জয়ন্তী থেকে 7km উপরে রয়েছে বক্সা পাহাড়। সেখানে গেলে নিশ্চিত দেখা মিলবে বাঘের। আজ না হয় থাক অন্য একদিন করা হবে বক্সা (BUXA) নিয়ে আলোচনা।বক্সার মনোরম সৌন্দর্যের মুখোমুখি হওয়ার জন্যে না হয় অপেক্ষা করুন আর অল্প। আর সঙ্গে থাকুন আমাদের সঙ্গী হয়ে।

পাহাড়, নদী, বন-জঙ্গল নিয়েই যেন মেতে থাকে এই বিশ্ব-পৃথিবী। তাহার রুপের বৈচিত্রের বর্ননা দিতে থাকলে তা কখনোই পরিসমাপ্তি ...
26/04/2020

পাহাড়, নদী, বন-জঙ্গল নিয়েই যেন মেতে থাকে এই বিশ্ব-পৃথিবী। তাহার রুপের বৈচিত্রের বর্ননা দিতে থাকলে তা কখনোই পরিসমাপ্তি তে এসে পৌঁছানো সম্ভবপর হয়ে উঠবে না। তবে সে তার নিজের রূপের খেয়াল রাখতে বদ্ধ পরিকর। মানবরূপী দস্যু যখন তার আপন প্রকৃতির উপর তান্ডব চালায় তখন সেও সময়ের অপেক্ষার দিন গুনতে থাকে। আজ তারই প্রচ্ছন্ন ছবি প্রকট হয়েছে বিশ্ববাসীর কাছে। আমরা আশাবাদী, আমরা বিশ্বাস করি সে নিশ্চয়ই শান্ত হবে, আমাদের উপর রাগ করে বেশিদিন থাকতে পারবে না, আমরা যে তারই অংশ। তবে সে যতই রূষ্ট হোক আমাদের উপর আমরা তার অপার সৌন্দর্য কে কখনোই ভুলতে পারবো না। এইরকম এক অনবদ্য সৃষ্টি দেখতে পাওয়া যায় তে।

25/04/2020
23/04/2020

ভ্রমণ বিহারী তে এই প্রথমবার দার্জিলিং (DARJEELING) এর সূর্যদয় Tiger Hill থেকে..

 যার শুরু আছে তার শেষও আছে। মাঝে শুধু থেকে যায় কিছু স্মৃতি। আগের দুটি পোস্টে  NAINITAL  সম্পর্কে আলোচনা করা হয়, তার প্...
15/04/2020



যার শুরু আছে তার শেষও আছে। মাঝে শুধু থেকে যায় কিছু স্মৃতি। আগের দুটি পোস্টে NAINITAL সম্পর্কে আলোচনা করা হয়, তার প্রথমটিকে সূর্যোদয় এর সাথে তুলনা করলে দ্বিতীয় টি কে মাঝ আকাশের সূর্যের সাথে তুলনা করা চলে। সঙ্গে ছিল কিছু স্মৃতি যা সারা জীবনের সঙ্গী।



চতুর্থ দিনটিতে মূলত নৈনিতাল শহর থেকে দূরে কোথাও যাওয়া যেতে পারে। চতুর্থ দিনের প্রথম গন্তব্য হতেই পারে Almora. মূল শহর থেকে মোটামুটি 64 কিমি দূরে অবস্থিত শৈল শহর যেখানে যেতে পারসনাল কার এ সময় লাগে 2/2.5 ঘণ্টা।


কি কি দেখতে পারবেন?

1. Deer Park
Almora City Centre to Zero Point 3 km

কি কি দেখতে পারবেন :-
কেদারনাথ, নন্দাদেবি, ত্রিশূল পর্বতের দর্শন, ট্রেকিং, Binsar Wild Life Sanctuary । এখানে হরিণ, কালো ভাল্লুক, লেপার্ড দেখা যায়। এখানে প্রবেশ এর জন্য 24 ঘণ্টাই খোলা থাকে এবং কোনো এন্ট্রি ফি নেই।

2. Gobind Ballabh Pant Museum :-
মূল শহর এর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত।

কি কি দেখতে পারবেন :-

কুমায়ুনী শিল্পকলা নিয়ে তৈরি Museum রয়েছে। সকাল 10:30 থেকে বিকাল 4:30 পর্যন্ত খোলা থাকে । তবে কোনো এন্ট্রি ফি নেই।

3. Jageswar Temple :- Almora থেকে 30 কিমি দূরে অবস্থিত এই মন্দির। কথিত আছে যে 7ম শতাব্দীতে তৈরি প্রায় 200 টি মন্দিরের সমাবেশে এই মন্দির 12 টি জতিরলিংয়ের একটি। সকাল 6 টা থেকে রাত 7 টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এক্ষেত্রেও কোনো এন্ট্রি ফি নেই।

4. Ramkrishna Kuthir Bright End Corner :-

কথিত আছে যে এখানে স্বামীজি কিছুদিন বিশ্রাম করার জন্য ছিলেন এবং সেই থেকেই এই স্থানে কিছু মেডিটেশন সেন্টার চালু রয়েছে, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়।

এছাড়াও এখানে Kashara Devi Temple, Katarmal Sun Temple, Chitai Temple ইত্যাদি দর্শনীয় স্থান রয়েছে।

2. চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় গন্তব্য হতেই পারে রানীক্ষেত। আলমোরা থেকে Personal Car এ করে চলেই যেতে পারেন রানীক্ষেত। এখান থেকে দূরত্ব মাত্র 46 কিমি, যেতে সময় লাগবে 1.5/2 ঘণ্টা।

কেনো যাবেন?

যদি এই প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খায় তবে উত্তর গুলো নিচে দেওয়া হলো।

1. Golf Ground Of Ranikhet :- রানিক্ষেত থেকে 5 কিমি দূরে অবস্থিত এই স্থান। ভারতীয় সৈন্য দ্বারা পরিচালিত এশিয়ার উচু গল্ফ কোর্ট গুলির একটি। যদি আপনি গল্ফ এর সৌখিন হন তবে এখানে ঘণ্টা প্রতি 150 টাকার বিনিময়ে খেলতে পারেন। সকাল 7 টা থেকে সন্ধ্যা 6:30 অব্দি খোলা থাকে। আপনি এখানে মোটামুটি 1:30 ঘণ্টা সময় কাটাতে পারেন।

2. Jhoola Devi Temple :- রানিক্ষেত এর দর্শনীয় স্থানের একটি হলো ঝুলা দেবী মন্দির। এই মন্দির মূল শহর থেকে 7 কিমি দূরে অবস্থিত।

কথিত আছে যে এখানকার বন্য প্রাণী ও পশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ঝুলা দেবী এর পূজা করা হয়। সকাল 6 টা থেকে সন্ধ্যা 7 টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

3. Tarikhet Village :- এটি একটি শৈল শহর। মূল শহর থেকে 8 কিমি দূরে অবস্থিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য এই শহর টি প্রশংসনীয়।

4. রাম মন্দির :- মূল শহর থেকে 7 কিমি দূরে অবস্থিত। যাদের কাছে বেদ, পুরান বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে তারা এখানে অবশ্যই যেতে পারেন। এখানে একটি আশ্রম চালানো হয় যেখানে বেদ এর রীতি নীতি নিয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়। সকাল 6 টা থেকে সন্ধ্যা 7 টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

এছাড়াও Majkhali, Bhalu Dam, Binsar Mahadev Temple Sunset Point এ চাইলেও ঘুরে আসতে পারেন।



এরপর পঞ্চম দিনের আকর্ষণ হলো ভারতের ইতিহাসে স্থাপিত National Park গুলোর অন্যতম একটি Jim Corbett National Park । 1936 সালে এটি স্থাপিত হয়। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল হারিয়ে যেতে বসা রয়েল বেঙ্গল টাইগার ( Royal Bengal Tiger ) কে সংরক্ষণ করা।

কী কী করতে পারেন?

1. জঙ্গল সাফারি :- জঙ্গল সাফারি এর জন্য এখানে 5 টি জোন রয়েছে। এগুলি সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।

সকাল 10 টা থেকে দুপুর 1 টা পর্যন্ত আবার দুপুর 1:30 টা থেকে বিকাল 5:30 টা পর্যন্ত এই সাফারির সুবিধা রয়েছে। এখানে ঢুকতে গেলে আপনাকে খরচ করতে হবে 3600 টাকা জন প্রতি। আর বিদেশি পর্যটকদের কাছে 7000 টাকা।

i) বিজরানি জোন :- বিজরানি অঞ্চলটি রামনগরের সবচেয়ে কাছাকাছি এবং সাফারি পর্যটকদের কাছে জাতীয় উদ্যানের সর্বাধিক প্রসিদ্ধ। এখানকার ঘন বন, উন্মুক্ত তৃণভূমি এবং নদীর সমতট ভূমি পর্যটকদের মূল আকর্ষণ। এই জোন এ জিপ সাফারি পাওয়া যায়। এটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার এর আবাসস্থল।

ii) ধিকালা জোন :- ধিকালা জাতীয় উদ্যানের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ। এটি ভ্রমণকারীদের জন্য সুন্দর দৃশ্য সহ বেশ কয়েকটি আরামদায়ক লজ অফার করে। ধিকালাকে বাঘ দেখার জন্য সেরা অঞ্চল হিসাবে দেখা হয়, কেননা নদীর তীরে হরিণকে তাড়া করতে করতে এই স্থান পর্যন্ত চলে আসে।

iii) দুর্গাদেবী জোন :- দুর্গাদেবী অঞ্চলটি ঘন বন দ্বারা আবদ্ধ। এটি পাখি পর্যবেক্ষকদের জন্য উপযুক্ত। এখানে বিপন্ন মাছের প্রজাতির সংরক্ষণ করা ও প্রজননের জন্য নদীতে আসে। পর্যটকরা এই জোনে জিপ সাফারির সুবিধা পেতে পারেন।

iv) ঝির্না জোন :- অঞ্চলটি পর্যটকদের জন্য সারা বছর খোলা থাকে। আপনি যদি কোনও Adventure পছন্দ লোক হন তবে Corbett এর আরও একটি উত্তেজনাপূর্ণ অঞ্চল আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। আপনি এখানে কোসি নদীতে রিভার রাফটিং উপভোগ করতে পারবেন। এটি এখানকার একটি মরসুমী খেলা। July থেকে September পর্যন্ত প্রায়শই বর্ষাকালে অনুষ্ঠিত হয়। কখনো কখনো ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে রাফটিং ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে।

রাফটিং এর সেরা সময় :- July - September
ব্যয় :- জনপ্রতি 850 টাকা


2. ক্যাম্পিং :- ক্যাম্পিং জিম Corbett ন্যাশনাল পার্ক এর একটি বিশেষ আকর্ষণ। আকাশের নীচে অরণ্য ও প্রকৃতির কোলে নিজেকে সপে দেবার ক্ষেত্রে ক্যাম্পিং এর কোনো বিকল্প হয় না। সুতরাং, ক্যাম্পিংয়ের অভিজ্ঞতা অর্জনের এটি দুর্দান্ত সুযোগ। এখানে স্থায়ী এবং অস্থায়ী ক্যাম্পিং উভয় এরই ব্যবস্থা রয়েছে। স্থায়ী ক্যাম্প গুলি অনেকটাই হাট বা কুটির এর মতো।

ক্যাম্পিং এর সেরা সময় :- September - March
ক্যাম্পিং এর ব্যয় :- এটি নির্দিষ্ট নয়।

3. বার্ড ওয়াচিংগেট :- পাখি পর্যবেক্ষকদের একটি স্বর্গসম স্থান এটি। কর্বেটে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি সহ 50 টিরও বেশি প্রজাতির পাখি রয়েছে যা সাইবেরিয়া পর্যন্ত এখানে উড়ে বেড়ায়। এই পাখিগুলি এখানে November এবং December মাসে দেখা যায়। এখানে দেখা যায় এমন কিছু বিদেশী বা বিরল প্রজাতি হল -
cinnamon Bittern, black-headed night heron, white pelican।

সেরা সময় :- November - March
ব্যয় : পরিবর্তনশীল


4. ট্রেকিং :- যদি ট্রেকিং আপনার পছন্দের বিষয় হয় ; তবে জিম Corbett আপনার জন্য একটি দুর্দান্ত স্থান হতে পারে। ট্রেকিংয়ের পাশাপাশি, আপনি এখানে র‌্যাপেলিং উপভোগ করতে পারেন। এখানে ট্রেকিংয়ের জন্য সেরা অংশটি হ'ল সিতাবাণী রিজার্ভ। ট্রেকের জন্য আরামদায়ক জুতো পরুন, এবং পানীয় জল নিয়ে যান।

সেরা সময় :- November এর মাঝামাঝি থেকে March এর মাঝামাঝি।

আপনি যদি Corbett এ রাত্রি যাপন করতে চান তবে এখানে কিছু হোটেল এর লিস্ট দেওয়া হলো -

1. Dhikala Foresr Rest House,
Phone No : 08006669218

2. V Resort Upvan Corbett,
Phone No : 01206666900
বাঙালি আরাম ও আড্ডা প্রিয় জাতি। চায়ের কাপে, পাড়ার মোড়ে আড্ডায় ঝড় তোলা জাতি। হয়তো এর আগে অনেক জায়গায় অনেক ভাবে নৈনিতাল এর বর্ণনা পেয়েছেন। আরো পাবেন, তবে আমাদের এই ছোট্ট প্রচেষ্টা যদি আপনাদের ভালো লাগে বা আপনাদের আড্ডায়, চায়ের আলোচনায় যদি জায়গা করে নেয় তাতেই আমাদের সার্থকতা। আশা করি আপনাদের উপস্থাপনা ভালো লাগবে , আরো এমন পোস্ট পেতে পাশে থাকুন সঙ্গে থাকুন।

করোনা মহামারীর এই আবহে ভ্রমণ বিহারী আশা রাখে যে অতি শীঘ্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। ততো দিন ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন, আমাদের পোস্ট ভালো লাগলে লাইক, কমেন্ট, শেয়ারে থাকুন, ধন্যবাদ।

               #মানুষ_সৌন্দর্যের_পূজারী। পূজার মূল বক্তব্য বাহ্যিক আরম্ভরে নয় বরং আভ্যন্তরীন ও মানসিক প্রশান্তি লাভে।  ...
10/04/2020



#মানুষ_সৌন্দর্যের_পূজারী।

পূজার মূল বক্তব্য বাহ্যিক আরম্ভরে নয় বরং আভ্যন্তরীন ও মানসিক প্রশান্তি লাভে। প্রকৃতির নিজের হাতের তৈরী বিষয়বস্তু যতটা না প্রশান্তি দিতে সক্ষম পক্ষান্তরে এই ভোগ সর্বস্ব সমাজের কোনো বস্তুই তার একছটাক দিতে পারে বলে আমার সন্দেহাতীত।

ঠিক সেই কারনেই, মানসিক শান্তি লাভের খোঁজে মানুষ বার বার ছুঁটে গিয়েছে প্রকৃতির কোলে। আর একই রকম ভাবে প্রকৃতিও মানুষকে আপন করে নিয়েছে, নিজের অনাবিল সৌন্দর্যে মোহিত করেছে এবং দিয়েছে মানসিক প্রশান্তি।

পূর্ববর্তী Post -এ এই রকম একটি মানসিক প্রশান্তি লাভের স্থান হিসাবে এর চয়ন করা হয়েছিল। আজ তারই বিস্তারিত আলোচনা নীচে তুলে ধরা হলো।



Trip এর প্রথম দিন সকাল সকাল পৌঁছে গিয়ে হোটেলে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে নিয়ে একটু খাওয়া-দাওয়া করে বেরিয়ে পড়া যায় নিম্নোক্ত জায়গা গুলিতে।

1. Naini Lake : প্রথম গন্তব্য অবশ্যই হবে এই লেকে, যাকে ঘিরে পুরো নৈনিতাল শহরের বিস্তার। লেকের দুপাশে সারিবদ্ধভাবে দাড়িয়ে রয়েছে হিমালয়। এই লেক শহরটিকে দুটি ফালি তে ভাগ করেছে, উত্তরে মল্লিতাল ও দক্ষিণে তল্লি তাল। পুরোটা নিয়েই আমাদের এই Nainital । এখানে রয়েছে Boating এর ব্যবস্থা, রাইড ও সময়ের উপর ভিত্তি করে ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা মাথা পিছু প্রতি ঘন্টা।

2. Mall Road : হ্রদের পাশেই রয়েছে ম্যাল রোড। টিবেট মার্কেট, বড়ো বড়ো ম্যাল, উল পশমের দোকান, সুগন্ধি মোমবাতির পসরা, পাইন ফলের কারুকার্যের সমাহার। সঙ্গে রয়েছে রসনা তৃপ্তির জন্য চা, কফি, ভুট্টা সেকা। রয়েছে একটি বিশাল খেলার মাঠ, মন্দির ও একটি মসজিদ।

3. Snow View Ward : Lake এর ঠিক ধারেই রয়েছে সারি দিয়ে বেঞ্চ, বসবার জায়গা। যেখানে সন্ধ্যে হতেই পর্যটকদের ভিড় জমে। দেখা যায় কি করে এই শহরটি ধীরে ধীরে কৃত্রিম আলোয় সেজে ওঠে। কিভাবে এর চারদিক লাল, নীল , সবুজ, হলুদের সমারোহে ভরে ওঠে। এখানে দাড়িয়ে থাকলে সোনা যায় পর্যটকদের বাংলা, ইংলিশ, হিন্দি মেশানো কলতান ও তাদের সামাল দেবার জন্য Uttarakhand প্রশাসনের অতন্দ্র প্রহরীদের বিনীত আবেদন।

4. Boro Bazar : কম দামে জিনিস কেনা, দামাদামি করা...... বাঙালিদের মজ্জাগত। আপনিও যদি তার ব্যতিক্রম না হন তবে বড়ো বাজার আপনার পছন্দ হবেই হবে। ম্যাল রোডের সাথে এর সম্পর্ক হলো BIGBAZAR আর পাড়ার মুদির দোকানের মতো।

5. Rajbhavan : ব্রিটিশ ভারতে ব্রিটিশ গভর্নরদের অনেকেই গ্রীষ্মকালীন সময়ে এই স্থানে বসবাস করে শাসন কাজ পরিচালনা করতেন। দোতলা এই ভবনে 113 টি ঘর রয়েছে, যা কিনা আর্কিটেকচার F.W Stevens ও Engineer F.O Oretel & H.S Wideeblood এর পর্যবেক্ষণে 1897-1900 সালের মাঝে তৈরি হয়।

i) পরিদর্শনের সময় ও বিভিন্ন তথ্য : সকাল 8 টা থেকে বিকাল 5 টা পর্যন্ত এটি খোলা থাকে। রবিবার ও সরকারি ছুটির দিন গুলোতে এর মুখ্যদুয়ার বন্ধ রাখা হয়। এখানে ঢুকতে গেলে আপনাকে 50 টাকার যৎসামান্য একটি ফি দিতে হবে এবং আপনি যদি গলফ এর সৌখিন হন তবে 450 টাকা খরচ করলে তার সুবিধাও নিতে পারেন।

ii) কেমন করে যাবেন : Mall Road থেকে 3.5 কিমি দূরত্ব আপনি পায়ে হেঁটেই পারি দিতে পারেন অথবা তল্লিতাল থেকে অটো ধরেও যেতে পারেন।

6. Uttarakhand High Court : নৈনিতাল গিয়ে প্রথম দিনের ঘোরাঘুরির তালিকায় আপনি অনায়াসেই রাখতে পারেন এই High Court দর্শন। নৈনি লেক থেকে 2 কিমি দূরত্ব টা খুব একটা বেশি না। পাহাড়ি পথের আঁকা-বাঁকা পথ ও সাইড ওয়াল এর ধার বরাবর চললেই পৌঁছে যেতে পারেন তার সামনে।



7. Rope Way of Snow View : দ্বিতীয় দিনের সূচনা করা যেতে পারে 'স্নো ভিউ এর রোপ ওয়ে' ভ্রমণ দিয়ে। হিমালয়ের মনোমুগ্ধকর পরিবেশ নৈনিতালকে সাজিয়ে তুলেছে অপরূপ ভাবে। তার অন্যতম একটি স্থান হলো এই Snow View Point । মোটামুটি 2270 মিটার উচ্চতায় মেঘের চাদরে মোড়া, সূর্যের রেখাচিত্রের মাঝে , রামধনুর উঁকিঝুঁকি আপনার মনকে শান্ত করার জন্য যথেষ্ট। এখানে থেকে পুরো শহরকে আপনি এক ঝলকে দেখতে পারবেন।

i) কেমন করে যাবেন : Rope Way দিয়ে Aerial Cable এর মাধ্যমে খুব সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায় গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। এর জন্য আপনাকে খরচ করতে হবে আপ ডাউন মিলে 150 টাকা ও বাচ্চা দের জন্য 80 টাকা মাত্র। একমুখী টিকিট কাটলে খরচ টাও এর অর্ধেক। এটি সকাল 10 টা থেকে বিকাল 4 টা পর্যন্ত খোলা থাকে। তবে March এর মাঝামাঝি থেকে September এর মধ্যে গেলে নীল আকাশের সাথে নিজেকে নীল রঙে রাঙিয়ে নিতে পারবেন তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

8. Tiffin Top : দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় গন্তব্য হতেই পারে এই টিফিন টপ। এটি নৈনিতাল এর একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। যাবার পথে যদি নামটি শোনেন অবাক হবেন না। কেননা এই দুটো নাম একে অপরের সমার্থক। যেহেতু পুরো শহরটি এখানে থেকে ক্যামেরার একটি ফ্রেমে বন্ধি করা যায় তাই এটি Photographer দের কাছে সর্গসম।

i) কেনো যাবেন এখানে : রক ক্লাইম্বিং এর সৌখিন লোকেরা এখানে নিজেদের তাবু খাটিয়ে মনের সখ মেটাতে পারেন। সঙ্গে মিলেবে রাপেলিং এর সুবিধা।

ii) কি করে যাবেন : নৈনী লেক থেকে মাত্র 4 কিমি দূরে অবস্থিত স্থানটি পায়ে হেঁটে বা ঘোড়ার পিঠে চেপে পারি দেওয়া যেতে পারে। ম্যাল রোড থেকেই পেয়ে যাবেন সুবিধা। এই জন্য আপনাদের খরচ করতে হবে মাত্র 500-700 টাকা রাউন্ড ট্রিপ এর জন্য। সকাল 8 টা থেকে সন্ধে 6 টা পর্যন্ত এটি খোলা থাকে।

9. NAINA DEVI TEMPLE : মানুষিক শান্তি হলো সবথেকে বড়ো প্রাপ্তি। এই শান্তির খোঁজেই আমরা দূর দূরান্ত, পাহাড়, নদী, সমুদ্র, বন, জঙ্গল চষে বেড়াছি। হিন্দুধর্মের 'পুরান' অনু্যায়ী 51 শক্তি পিঠের অন্যতম একটি হলো এই নয়ানা দেবী মন্দির। কথিত আছে যে দেবী সতীর নয়ন বা চোখ এখানে পড়েছিল বলে এই মন্দির এখানে গড়ে ওঠে।

i) কেনো যাবেন : মন্দির এর ভেতর পিপল গাছ গুলো পূর্ণাথিদের পাহাড়ি রাস্তার ক্লান্তি মেটানোর জন্য অনন্ত প্রসারিত ডাল পালার চাঁদোয়া তৈরি করে রেখেছে। মূল মন্দিরের ভেতরে একদম মাঝে রয়েছে দুটি নেত্র যা নয়না দেবী হিসাবে পূজিত হয় ও তার দুপাশে মা কালী ও গণেশ এর মূর্তি যথাক্রমে ডানে ও বায়ে বসানো রয়েছে ।

i) মন্দিরের মূল আকর্ষণ : July এর শেষ সপ্তাহে বা August এর প্রথম সপ্তাহে এখানে নায়না অষ্টমী উপলক্ষ্যে সাপ্তাহিক মেলা বসে। আপনারা চাইলে দেখেই আসতে পারেন।

ii) কেমন করে যাবেন : ম্যাল রোড থেকে 2.5 কিমি দূরত্ব টা খুব একটা বেশি নয়। তল্লিতাল বাস স্ট্যান্ড থেকে অটো বা Personal Car এ করেও যাওয়া যেতে পারে। প্রবেশদ্বার সবার জন্য খোলা। তবে ভেতরে আপনি 30 মিনিট এর বেশি সময় কাটাতে পারবেন না। তবে সকাল 6 টা থেকে রাত 10 টা পর্যন্ত এই প্রবেশদ্বার খোলা রাখা হয়।

10. ECO CAVE PARK : নৈনিতালে গিয়ে 'ইকো কেভ পার্ক' না দেখলে হয়তো অনেক কিছুই বাদ পড়ে যাবে। মল্লিতাল ও সুখাতাল অঞ্চলে অবস্থিত এই জায়গাটি প্রকৃতি ও মানুষের মিলিত প্রচেষ্টায় এক অপরূপ সুন্দর স্থান হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছে।

i) কেনো যাবেন : এখানে কৃত্রিম ভাবে পাহাড় কেটে

,

,

,

সহ আরো বিভিন্ন প্রাণীর প্রাকৃতিক আবাসস্থল গড়ে তোলা হয়েছে। গুহার ভেতর পরিবেশ জমকালো, আলো আঁধারিতে ভরা। যারা Adventure প্রিয় ও শারীরিক ভাবে সক্ষম তারা অবশ্যই এই গুহা গুলোতে ঢুকে আসতে পারেন। এর জন্য হতে 4/5 ঘণ্টা সময় প্রয়োজন। এছাড়াও রয়েছে MUSICAL FOUNTAIN ।

ii) সময় ও টিকিট : সকাল 9:30 টা থেকে বিকাল 5:30 পর্যন্ত এই কেভ আপনাদের জন্য খোলা। এখানে ঢুকতে গেলে আপনাকে খরচ করতে হবে মাত্র 20 টাকা ও বাচ্চা দের জন্য 10 টাকা। মিউজিক্যাল ফাউন্টেন এর জন্য মাত্র 20 টাকা।

iii) কিভাবে যাবেন : এই কেভ ম্যাল রোড থেকে মাত্র 3.4 কিমি দূরে। তল্লিতাল থেকে বাস, অটো, প্রাইভেট কার, বা হাটা পথেও পারি জমানো যায়।



Nainital হলো তালের বা হ্রদের শহর যা কিনা এখানকার মূল আকর্ষণ। তাই তিন নম্বর দিনটি তাল ভ্রমণের জন্য রাখা যেতেই পারে। তবে তার আগে নিকটস্থ নৈনিতাল High Altitude Zoo দেখে আসাই যায়।

11. :
এই চিড়িয়াখানাটি তৈরি হয়েছে ভারতরত্ন পণ্ডিত গোবিন্দ বল্লোভ প্যাটেল এর নামে 1984 সালে যা পরে 1995 সালে সর্বসাধারণের জন্যে খুলে দেওয়া হয়।


i) কেনো যাবেন বা কি কি দেখতে পারবেন :

1. Himalayan Black Bear,

2. Himalayan Martin,

3. Himalayan Civet,

4. Steppe Eagle,

5. Hill Partridge,

6. Tibetan Wolf,

7. Japanese Macaque

8. Sambar, Barking Dear,

9. Goral,

10. Lady Amherst Pheasant,

11. Silver Pheasant,

12. Khalij Pheasant,

13. Silver Golden Pheasant,

14. Cheer Pheasant,

15. Bornean Fireback Pheasant,

16. Linneated Kalii,

17. Leopard,

18. Royal Bengal Tiger,

19. Rose Ringed Parakeet,

20. Blossom Headed Parakeet

ii) কিভাবে যাবেন : তল্লিতাল থেকে যদিও বা মাত্র 2 কিমি দূরত্বে অবস্থিত তবুও এখানে কোনো পার্সোনাল কার নিয়ে প্রবেশ নিষেধ। তাই আপনাকে জু তে ঢোকার জন্য জীপ ভারা করতে হবে যা কিনা মলিতাল থেকে পাওয়া যায়। ভারা মাত্র 30 টাকা জন প্রতি।

iii) সময় ও টিকিট : সকাল 9:30 থেকে বিকাল 4:30 টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এখানে ঢোকার জন্যে আপনাকে মাত্র 50 টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হবে। 5-12 বছর বয়সিদের জন্য টিকিট মূল্য মাত্র 20 টাকা ধার্য্য করা হয়েছে। ক্যামেরা নিয়ে গিয়ে নিজের ফটোগ্রাফি এর দক্ষতা দেখতে চাইলে দিতে হবে আরো 25 টাকা ও যদি ভাবেন স্থিরচিত্র থেকে চলমান ছবি নোওয়াটাই অনেক বেশি প্রাণমুগ্ধকর তবে মাত্র 200 টাকা বেশি দিয়ে অনুমতি পত্র নিতে হবে।

12. SARIATAL : নৈনিতাল জু থেকে বেরিয়ে Personal Car এ করে চলে যেতে পারেন 11 কিমি দূরের সারিয়তাল। যেতে সময় নেবে মাত্র 30 মিনিট।

i) এখন প্রশ্ন ওঠে কেনোই বা যাবেন ? কি তাই তো ?
উত্তরটা হলো এখানে পাবেন, এই লেক এর থেকে অনতিদূরে

1.

2.

3.

4.

5.

6. এর সাক্ষাৎ। মাত্র ২০টা টাকা খরচ এর ব্যাপার মাত্র।

12. Khurpatal : এর পরের জায়গাটি হল খুরপাতাল। সারিয়াতাল থেকে মাত্র 2 কিমি দূরে অবস্থিত। ব্রিটিশ ভারতের অন্যতম পর্যটন ও বিশ্রাম স্থল ছিল এটি। মূল শহর থেকে 12 কিমি দূরত্ব। তবে আপনি সরিয়াতাল থেকে মাত্র 5 মিনিটেই এখানে পৌঁছতে পারবেন।

i) কেনো যাবেন এখানে ? আপনি কি মাছ ধরার সৌখিন ?? বা আপনি কি বোটিং করতে পছন্দ করেন ?? আপনি কি চান প্রকৃতির বুকে সবুজ ঘাসের গালিচায় হেঁটে নিজেকে প্রকৃতির সাথে সংযোগ স্থাপন করতে ?

যদি উত্তর হ্যা হয় তবে আপনাকে এখানে আসতেই হবে। আসার বা যাবার কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। তাই যখন খুশি তখন আসতেই পারেন একবার।

13. Sattal : তালের শহর এর আর এক নামকরা তাল হলো সাত্তাল। সাতটি ছোট ছোট তাল এর মিলনে গঠিত বলে এর নাম সাত্তাল। খুরপাটাল থেকে 34 কিমি দুরত্ব টা একটু বেশিই মনে হতে পারে তবে মূল শহর থেকে অবশ্য 26 কিমি দূরত্ব।

i) ঘুরতে যাবার কারণ : Trakking, Rappelling, Boating, Rock Climbing, Camping ..... এইসব বিষয়ে যদি বিশেষ আকর্ষণ থাকে তবে জায়গাটি আপনার জন্যই।

এখানে দু ধরনের বোটিং হয় : 1. শিকারা রাইড যার জন্য প্রতি 30 মিনিট এর জন্য মাথাপিছু খরচ আসবে 220 টাকা।

2. প্যাডেল বোটিং এর খরচ মাথাপিছু খরচ আসবে 220 টাকা প্রতি ঘন্টা।

এছাড়াও পাবেন ফ্লোরা, ফনা, ফাঙ্গী, অর্কিড, প্রজাপতি, মাছরাঙ্গা, কালো ঈগল, Parakeets, Babblers ইত্যাদি। এখানে 525 ধরনের প্রজাপতি ও 11,000 এর উপর মথ এর একটি বিশাল সংগ্রহশালা রয়েছে।

14. BHIMTAL : লেক শহরের অন্যতম দর্শনীয় স্থানের গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিমতাল। মূল শহর থেকে 25 কিমি ও সাত্তাল থেকে 14 কিমি দূরে অবস্থিত।

এখানেও বোটিং, Rappelling এর মত অ্যাডভেঞ্চার গেম গুলো করার সুবন্দোবস্ত রয়েছে।

OYO HOTELS, KMVN TOURIST HOUSE, VAN VILASH RESORT এর মত অনেক ছোট বড়ো হোটেল বা RESORT এ রাত্রি যাপন করতে পারেন।

15. NAUKHUCHIATAL : এই হ্রদের 9 টি কোন বা কর্নের সমাহারে গঠিত তাই এর নাম নৌখুচিয়া তাল। মূল শহর থেকে দূরত্ব 24 কিমি হলেও ভিম তাল থেকে মাত্র 9 কিমি। এখানেও সেই Boating, Paragliding, Water Balloon Ride এর ব্যবস্থা রয়েছে। Paragliding এর জন্য আপনাকে 1600-1800 টাকা জন প্রতি দিতে হবে।

VIVAH CINEMA অবশ্যই দেখেছেন। তাহলে আলমোরা ও রানীক্ষেত নাম দুটি অবশ্যই মনে আছে। আগামী POST এ জায়গা দুটির বিস্তৃত আলোচনা ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে আসা হবে ও সঙ্গে থাকছে ' জিম করবেট ন্যাশনাল পার্ক ' নিয়ে আলোচনা। সঙ্গে থাকবেন আশা করি ভালো লাগবে।

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when BhramanBihari posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to BhramanBihari:

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Travel Agency?

Share