চড়ুকে পিঠ

  • Home
  • চড়ুকে পিঠ

চড়ুকে পিঠ পথ ও পরিব্রাজকের গোপন কথার খসড়া-খাতা।

একটা স্বপ্ন পাহাড়ঘেরা, নীলচে-সবুজ রঙের দেশে,তোমায় দেখেই হাঁটা থামাই,পাকদন্ডী পথের শেষে— এখানেই তো, ঠিক এখানেইসেবারে শেষ ...
28/05/2024

একটা স্বপ্ন পাহাড়ঘেরা,
নীলচে-সবুজ রঙের দেশে,
তোমায় দেখেই হাঁটা থামাই,
পাকদন্ডী পথের শেষে—
এখানেই তো, ঠিক এখানেই
সেবারে শেষ দেখা হল,
সেবার বড্ড তাড়ায় ছিলাম,
এবার, আমায় নিয়ে চল—
সেই যেখানে যাওয়ার ছিল,
অ-সময়ে, অ-পথ দিয়ে,
বলেছিলে যাবে, আমায়—
শুধু আমায় সঙ্গে নিয়ে।
নাম না জানা গাছের মাথায়,
নাম না জানা যে ফুল ফোটে—
তোমার ঘরে; যে ঘর বাঁধা
অন্ধকারের খাস বুনোটে।
ভরদুপুরেও তোমার সে ঘর
আবছায়াতে মাখামাখি
এবার বল, পিছুটানের
বোঝা আমার কোথায় রাখি!
যদি না চাও রাখতে এ ভার,
দিতেই পারি এসব ফেলে
বুনো গন্ধে, আদিম হতেও
রাজি আমি, তোমায় পেলে।
আজীবনের জমিয়ে তোলা
মন্দ-ভালোর স্মৃতির ভার এ,
না হয় এবার জীর্ণ হবে,
চড়াই পথের খাদের ধারে।
ফেলা-ছড়ার যত বোঝা
বুকে আরও উঠবে ভরে,
তোমার আড়াল, মেঘের আড়াল,
রাখবে সেসব আড়াল করে।
পাহাড় দিয়ে স্বপ্ন ঘেরা,
পাহাড় ঘিরি স্বপ্ন দিয়ে,
তোমার কাছেই ফিরব আবার—
নীলচে-সবুজ পথ পেরিয়ে
তোমায় লেখা খোলা চিঠি,
বাকি কথা, বন্ধ খামে
তোমায় পাঠাই নিরুদ্দেশে—
ঠিকানা তার, তোমার নামে।

(কাশ্যেম-কে ভালোবেসে)

ট্র‍্যাভেলগ শুধু একটা জায়গা, তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বা সেখানকার অধিবাসীদের সাংস্কৃতিক পরিচিতির জয়ঢাক নয়। লেখকের ব্যক্তিস...
23/06/2023

ট্র‍্যাভেলগ শুধু একটা জায়গা, তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বা সেখানকার অধিবাসীদের সাংস্কৃতিক পরিচিতির জয়ঢাক নয়। লেখকের ব্যক্তিসত্তার ছাপ তাতে মিশে থাকে সামগ্রিকভাবে। তার চেতনার রঙেই পান্না সবুজ হয়, চুনি রাঙা হয়ে ওঠে। ভ্রামণিকের কথনই ভ্রমণকাহিনী, তাতে ভ্রামণিকের সক্রিয় উপস্থিতিই কাম্য, বিচ্ছিন্ন অবস্থান সেই কাহিনীর সজীবতার পক্ষে প্রতিকূল।

ত্রিপুর রাজার দেশের গন্ধ মেশা এই লেখায়, ত্রিপুরার জল মাটি হাওয়া কিংবা কোথায় বেড়াবেন ইত্যাদির সপ্নাদ্য সুলুকসন্ধান নেই, নেই লেখকের বিচ্ছিন্ন, পরোক্ষ অবস্থান, যা আছে, তা আমার কথা, ত্রিপুরার জন্য, ত্রিপুরা-কে নিয়ে। এই ভ্রমণকাহিনীর ক্রিয়া ভ্রমণ, জায়গার সঙ্গে তার সম্পর্ক অধিকরণ কারকের, আর ভ্রামণিকের সঙ্গে কর্তৃকারকের। এই অবধিই আমার কৈফিয়ত, বাকিটা পাঠকের বিচার্য। অলমিতি।

দমদম বিমানবন্দর। জাতিগত ঐতিহ্য ধূলিসাৎ করে নির্ধারিত সময়ের অনেকটা আগে, মায় যার জোরে আমি উড়ব (না, সে আমার রাজনৈতিক .....

এবারে ছুট মন্দারমণি। না। দু-বার 'ম' শুনে তিন নম্বরটা ভেবে ফেলবেন না এখনি। বরং একবার পড়ে ফেলুন লেখাটা। তারপর নয় খুলির মাপ...
27/04/2022

এবারে ছুট মন্দারমণি। না। দু-বার 'ম' শুনে তিন নম্বরটা ভেবে ফেলবেন না এখনি। বরং একবার পড়ে ফেলুন লেখাটা। তারপর নয় খুলির মাপ বুঝে বুলি আওড়াবেন।

http://amitayuchakraborty1998.blogspot.com/2022/04/blog-post.html

মন্দার এবং মণি-র মণিকাঞ্চন যোগ ঘটলেই আরামপ্রিয় বাঙালির ফুর্তির প্রাণ ব্রিগেডের ময়দান হয়ে যায়। 'উতলা পরাণে বোতল ম.....

পথের সৃষ্টি মানুষের নয়, সে শুধু সে রাস্তাকে প্রশস্ত করেছে, মোলায়েম করেছে নিজের সুবিধেমত। তেমনই এক প্রশস্ত রাস্তা ধরে শহর...
30/01/2022

পথের সৃষ্টি মানুষের নয়, সে শুধু সে রাস্তাকে প্রশস্ত করেছে, মোলায়েম করেছে নিজের সুবিধেমত। তেমনই এক প্রশস্ত রাস্তা ধরে শহরের গন্ডি ছাড়িয়ে বেরিয়ে পড়া অমানুষী অবসরের খোঁজে। গন্তব্য বিভূতিভূষণ (পারমাদন) ফরেস্ট রেসকিউ সেন্টার। ১২ নং জাতীয় সড়কের বিজাতীয় খানাখন্দ বাঁচিয়ে আর ধুলো-ধোঁয়া-গাড়ির ভিড় পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত পৌঁছনো গেল আরণ্যকে মায় বিভূতিভূষণের নামের আশ্রয়ে রক্ষা পাওয়া একটুকরো প্রকৃতির কাছে। পথের শেষটুকু দুভাগে ভাগ হয়ে গেছে। দুটি পথেই এক গন্তব্যে পৌছনো যায়। একটি শানবাঁধানো পাকা রাস্তায়, অন্যটা নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে। আপনার আবেগ ও হাঁটুর জোরে যেটা কুলোবে, সেটাই বেছে নিন।

মূলত চোরাচালানকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হরিণ ও নানা প্রজাতির পাখিদের অস্থায়ী বাসা এটি। সভ্যতার সিংহভাগের মালিক মানুষের কাছে যদিও তা একটি খাঁচামাত্র, তবু সে খাঁচায় দেখা মেলে একটুকরো জঙ্গলের। তারের জাল দিয়ে ঘেরা সবটুকু জঙ্গল। তাকে ঘিরে রয়েছে একটি অপ্রশস্ত পায়ে চলা পথ। সেই পথে হেঁটে হেঁটে ঘুরে দেখা যায় ভেতরের জীবন। জেলার আর কয়েদীর তফাতটা এই পথে হাঁটলে গুলিয়ে যাওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। আসলে পাগলা গারদের দু-পাশের লোকই প্রতিপক্ষকে পাগল বলে মনে করে। এখানেও ব্যাপারটা খানিক সেরকম। তবে যেহেতু মানুষ চালিত সার্কাসের চাবুক নেই এখানে, তাই হরিণের দেখা পাওয়াটা দর্শনার্থীর ভাগ্যনির্ভর। তবে পাখিদের স্বাধীনতা ততখানি নয়, কাজেই তাদের দেখা তুলনামূলকভাবে সহজলভ্য। পাখিদের বরাদ্দ খাবারে হাতসাফাই করা কাঠবেড়ালি ও খাবারের প্রকৃত মালিকদের হাতে তার হেনস্থা বেশ উপভোগ্য। একদিনের ঝটিকা সফর অসম্ভব না হলেও ক্লান্তিকর বটেই। তবে, আনন্দের ক্ষেত্রে আপ্তবাক্য "অধিকন্তু ন দোষায়" ভীষণরকম প্রযোজ্য। তাই চাইলে একদিন থেকে আসতেই পারেন। বনবিভাগের অফিস থেকে ভাড়া নিতে পারেন সরকারি ডাকবাংলো আর তাতে জায়গা না মিললে রয়েছে বেসরকারি আরণ্যক লজ।

পৃথিবীর সব রঙ নিভে গেলে যখন শহর উজ্জ্বলতর হয়ে ওঠে, তখন এই চেনা পৃথিবীতেই যে কোথাও কোথাও খাঁটি অন্ধকার আজও জমে ওঠে, তা দেখতে পাবেন রাত্রিবাসের কমপ্লিমেন্টারি উপহার হিসেবে। নির্ঝরের নৈঋত কোণে সেখানে আজও অপেক্ষায় আছে কোন অসূর্যম্পশ্যা বনলতা সেন, হয়ত আপনারই জন্য।

কাজের কথা:-
আরণ্যক লজের দ্বিশয্যা ঘরের ভাড়া রাত প্রতি ৭০০ টাকা।
বুকিং-এর জন্যে যোগাযোগ 9433018641 (নান্টু দা)
জঙ্গলের প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ৬০ টাকা।

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when চড়ুকে পিঠ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Travel Agency?

Share