Totocompany

Totocompany Travel Information & Service Provider
(2)

বচ্ছরকার দিনে খুশির খবর। ^_^ আবার শুরু হচ্ছে টোটোগল্প কনটেস্ট। মে মাস থেকে। কিছু অদলবদল আনা হল। এবারে সাপ্তাহিক না, প্রত...
23/04/2022

বচ্ছরকার দিনে খুশির খবর। ^_^ আবার শুরু হচ্ছে টোটোগল্প কনটেস্ট। মে মাস থেকে। কিছু অদলবদল আনা হল। এবারে সাপ্তাহিক না, প্রত্যেক মাসে একবারই হবে এই কনটেস্ট। সেরা আটটি ভ্রমণ বিষয়ক লেখা বেছে নেওয়া হবে, যা প্রত্যেক মাসের শনি-রবিবার Totocompany-র অফিসিয়াল পেজ-এ প্রকাশিত হবে। আর, বছরের শেষে বেছে নেব আমরা এই সিরিজের সেরা দশজন টোটোগল্প-রচয়িতাকে। যাদের জন্য থাকবে, টোটোকোম্পানির তরফ থেকে বিশেষ উপহার। ^_^
তাহলে পাঠিয়ে দিন লেখা। শব্দসংখ্যা ৫০০ থেকে ৮০০-র মধ্যে। সঙ্গে ৪-৫টি ছবি, নাম-ঠিকানা, পেশা আর ফোন নম্বর।
লেখা পাঠানোর E-mail ID : [email protected]

আরও বিশদে জানতে নীচের লিংকে ক্লিক করুন :
https://www.facebook.com/2534447933252813/posts/5240881595942753/

15/04/2022

বচ্ছরকার দিনে খুশির খবর। ^_^ আবার শুরু হচ্ছে টোটোগল্প কনটেস্ট। মে মাস থেকে। কিছু অদলবদল আনা হল। এবারে সাপ্তাহিক না, প্রত্যেক মাসে একবারই হবে এই কনটেস্ট। সেরা আটটি ভ্রমণ বিষয়ক লেখা বেছে নেওয়া হবে, যা প্রত্যেক মাসের শনি-রবিবার Totocompany-র অফিসিয়াল পেজ-এ প্রকাশিত হবে। আর, বছরের শেষে বেছে নেব আমরা এই সিরিজের সেরা দশজন টোটোগল্প-রচয়িতাকে। যাদের জন্য থাকবে, টোটোকোম্পানির তরফ থেকে বিশেষ উপহার। ^_^
তাহলে পাঠিয়ে দিন লেখা। শব্দসংখ্যা ৫০০ থেকে ৮০০-র মধ্যে। সঙ্গে ৪-৫টি ছবি, নাম-ঠিকানা, পেশা আর ফোন নম্বর।
লেখা পাঠানোর E-mail ID : [email protected]

https://www.facebook.com/2534447933252813/posts/5240881595942753/

সবাইকে নতুন বছরের প্রীতি ও শুভেচ্ছা ♥♥   #শুভনববর্ষ
15/04/2022

সবাইকে নতুন বছরের প্রীতি ও শুভেচ্ছা ♥♥

#শুভনববর্ষ

টোটোগল্প কনটেস্ট ১পঞ্চম স্থানাধিকারী : স্বাগতা কোনার______________________________জল জঙ্গলের দেশেস্বাগতা কোনার  শৈশবে বি...
08/02/2022

টোটোগল্প কনটেস্ট ১

পঞ্চম স্থানাধিকারী : স্বাগতা কোনার
______________________________

জল জঙ্গলের দেশে
স্বাগতা কোনার

শৈশবে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'আরণ্যক' পড়ার পর থেকেই জঙ্গলের প্রতি জন্মেছিল এক অদম্য ভালোবাসা ও টান। তখন থেকেই মনে মনে একটা সুপ্ত ইচ্ছের জন্ম হয়েছিল, যে সুযোগ পেলে ভারতের সমস্ত অরণ্য ঘুরে দেখার। সেই স্বপ্নপূরণ এখনও বেশিরভাগই অধরা। তবুও চেষ্টা করি সময় পেলেই গহীন, সবুজ, আদিম ও রহস্যময় অরণ্যের কোলে ছুটে যেতে। অরণ্যের এক আলাদা গন্ধ আছে, নিজস্ব ভাষা আছে। যারা একবার সেটা অনুভব করতে পারে তারা বারেবারে ফিরে যায় বনানীর মাঝে। সবুজের আঘ্রাণ, গাছের পাতার শব্দ, পাখি ও পতঙ্গের কলতান সবমিলিয়ে এক অমোঘ আকর্ষণ। এই টানেই ছুটে যাওয়া বিভিন্ন জঙ্গলে। কখনও ডুয়ার্স, কখনও সারান্ডা, কখনও বা সিমলিপাল। তারই মধ্যে ভারতের সবচেয়ে ব্যতিক্রম একটি জঙ্গল হল পশ্চিমবঙ্গের এক এবং অন্যতম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট। 'জলে কুমীর, ডাঙ্গায় বাঘ'- এই প্রবাদটি শুনলেই একটি জায়গার নাম প্রথম মনে আসে। তা হল আমাদের সুন্দরী ম্যানগ্রোভ অরণ্য - সুন্দরবন। জল জঙ্গলে অপরূপা এই বন। বন্যপ্রাণ ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদে ভরা।

তিনবছর আগে বড়দিনের ছুটিতে ২০ জনের একটি দল রওনা হয়ে গেছিলাম সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে। সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার ক্যানিংয়ের দূরত্ব কলকাতা থেকে মাত্র ৪০ কিমি। সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভের দিকে যেতে হলে শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে ক্যানিং পৌঁছে বা কলকাতার বাবুঘাট থেকে বাসে বাসন্তী-সোনাখালি পৌঁছে, সেখান থেকে লঞ্চে উঠতে হবে। গাড়িতে গেলে গোসাবার উল্টো দিকে গদখালি পর্যন্ত চলে যাওয়া যায়।আমরা সরাসরি বর্ধমান থেকে বাসে করে গেছিলাম। ক্যানিং পৌঁছাতে সময় লেগেছিল প্রায় ৭ ঘন্টা। সেখান থেকে সোনাখালি পৌঁছে, আগে থেকে ঠিক করে রাখা লঞ্চে করে আমাদের জল-জঙ্গলের দেশের সফর শুরু হল। মনে ছিল এক চাপা উত্তেজনা ও আনন্দ। যাকে শুধু ছবিতে দেখেছি তাকে চাক্ষুষ দেখার আনন্দ।

সুন্দরবন হল পৃথিবীর সবথেকে বড় লবণাক্ত বনাঞ্চল। ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার জুড়ে সুবিস্তৃত এই অরণ্য ভারত এবং বাংলাদেশ এই দুই দেশের মধ্যে ছড়িয়ে রয়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা, এবং বাংলাদেশ খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার অংশ নিয়ে গঠিত এই সুন্দরবন। ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছিল। সুন্দরবনের ১৮৭৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে অপূর্ব মনোরম নদী-নালা তথা জনাকীর্ণ অঞ্চল। তাছাড়া প্রায় সমগ্র সুন্দরবনই ঘন বনাঞ্চল দ্বারা আবৃত। এখানকার মাটি স্বভাবগতভাবেই লবণাক্ত এবং খানিকটা দক্ষিনে অগ্রসর হলেই মিলবে বঙ্গোপসাগরের সীমানা। ভূ-প্রকৃতিগত এমন অবস্থানের কারণেই সুন্দরবন অঞ্চল বিভিন্ন স্থলচর ও জলচর পশুপাখির স্বর্গ বলে বিবেচিত হয়। প্রাথমিক পর্বেই যা চোখে পড়ে তাহলে অরণ্যের বিপুল বাহার। সুন্দরবনের প্রায় ৩৫০ প্রজাতির উদ্ভিদ পাওয়া যায়। তার মধ্যে বেশকিছু আবার দুষ্প্রাপ্য। মাটিতে লবণের ভাগ বেশি থাকার কারণে এখানকার উদ্ভিদের সিংহভাগই ম্যানগ্রোভ প্রজাতির। তবে যে গাছটি এখানে সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে তা হল সুন্দরী গাছ।এই গাছের থেকেই এই স্থানের নাম হয় সুন্দরবন।

সুন্দরবন বেড়ানোকে দুভাগে ভাগ করা যায় – এক দিকে সুন্দরবন বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের ভগবতপুর, লোথিয়ান দ্বীপ, বনি ক্যাম্প, কলস ক্যাম্প। অন্য দিকে সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভের সজনেখালি, সুধন্যখালি, পাখিরালয়, দোবাঁকি থেকে একেবারে বুড়ির ডাবরি পর্যন্ত। আমরা যে যে জায়গাগুলো গেছিলাম, সেগুলি হল - সুধন্যখালি, সজনেখালি ও পাখিরালয় ইত্যাদি।পাখিরালয়ে এক সময় বহু পরিযায়ী পাখির আনাগোনা ছিল। বর্তমানে যা অনেকটা কমে গেছে। সজনেখালি ওয়াচ টাওয়ার থেকে প্রাকৃতিক দৃশ্য অত্যন্ত মনোরম। নদীর তীরে রোদ পোহানো কুমির, চিতল হরিণ দেখার সুযোগ হয়েছিল। খুব ভাগ্য না থাকলে সুন্দরবনের রাজার দর্শন পাওয়া যায়না। যদিও আগের তুলনায় এখন বাঘের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। আমাদের বেড়ানোর সবচেয়ে রোমাঞ্চকর অংশ ছিল লঞ্চে রাত্রিবাস। সে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। তবে সজনেখালিতে থাকার নানান ব্যবস্থাও আছে। জেটি ঘাটের কাছেই পশ্চিমবঙ্গ পর্যটনের সজনেখালি ট্যুরিস্ট লজ ও আরও অনেক হোটেল আছে। এখানকার বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ বিখ্যাত।আমরাও চিংড়ি, ইলিশ ও সুন্দরবনের বিখ্যাত কাঁকড়ার রসাস্বাদন করেছিলাম।

এই স্থানে ভ্রমণ থেকে আমাদের সেখানকার স্থানীয় মানুষদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে অনেক কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছিল। এটি একটি এমন জায়গা যা আমাদের ভাবতে বাধ্য করে যে সংঘর্ষময় জীবন আসলে কী। সেই জায়গার দিন আনা, দিন খাওয়া মানুষগুলোর কাছে শেখার আছে বহু কিছু। তাদের কাছেই শুনেছিলাম প্রতিদিনের পেটের ভাতের জন্য তাদের দীর্ঘ সংঘর্ষের কথা। এমনকী ছোট বিচ্ছিন্ন দ্বীপগুলিতে খাবার জলের আকাল। কখনও আবার বালি সরিয়ে জল নিতে হয়। নদীর জল যে সব নোনা। মাছ ধরতে গিয়ে বাঘের হাতে যায় প্রাণ। কাঠ, মধু, মোম সংগ্ৰহ করতে গিয়েও থাকে পদে পদে বিপদ। জলে আছে কুমীর ও কামটের ভয়, গাছে বিষাক্ত সাপ। কিন্তু প্রাণ হাতে করে নিয়েই ওদের চলা। ঘরের সবার জন্য একমুঠো খাবার তো চাই। বনবিবির থানে পুজো দিয়ে ওরা নৌকা নিয়ে ভেসে পরে। দূর থেকে দক্ষিণরায়ের গর্জন ভেসে আসে। এই ভাবেই অতিক্রান্ত হয় দিন। এছাড়াও বছর বছর ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত তো আছেই। এই বারংবার ঝড়ের আঘাত ম্যানগ্রোভকে ধীরে ধীরে অবলুপ্তির পথে নিয়ে যাচ্ছে। তাই সুন্দরবনের সংরক্ষণ অবিলম্বে জরুরি।চাষবাস ওখানে প্রায় হয়না বললেই চলে। পর্যটন হচ্ছে ওদের জীবিকা অর্জনের মূল পথ। তাই সবকিছুর মাঝে পর্যটকদের আনাগোনা ওদের কাছে একঝলক দক্ষিণা বাতাস। হাসিমুখে ওই অভাবী মানুষগুলো বলে, আসবেন আপনারা এই সুন্দরবনে আবার। আপনাদের জন্য এই বাদাবনের মানুষগুলো পথ চেয়ে থাকে।

টোটোগল্প কনটেস্ট ১চতুর্থ স্থানাধিকারী : স্নেহাশিস চৌধুরী ________________________________বাল্মীকির  আশ্রম - তপোবন স্নেহা...
07/02/2022

টোটোগল্প কনটেস্ট ১

চতুর্থ স্থানাধিকারী : স্নেহাশিস চৌধুরী
________________________________

বাল্মীকির আশ্রম - তপোবন
স্নেহাশিস চৌধুরী

যে বনে মুনিঋষিরা তপস্যার জন্য বসবাস করতেন, সে বনই হল তপোবন। অর্থাৎ তপস্যাসাধনের বনই হল তপোবন। এখানে যে তপোবনের কথা বলছি, এ তপোবন রত্নাকর দস্যুর তপোবন। ভয় পাবার কিছু নেই। কেননা আজ কোনো দস্যুও নেই, আর সেজন্য নেই লুটপাট হবার ভয়। তবে বনের মধ্যে, আপনার ভাগ্য যদি সুপ্রসন্ন থাকে, তবে হাতির পালের দেখা মিলতেও পারে। এ দেখে আপনি মজা পাবেন না ভয় পাবেন, সেটা আপনার নিজস্ব ব্যাপার।

ঝাড়গ্রাম থেকে ৬৫ কিমি দূরে দেউলবাড় গ্রাম। সেখান থেকে ৭ কিমি দক্ষিণে গভীর জঙ্গলের ভেতর বাল্মীকির তপোবন। হাত বাড়ালেই সুবর্ণরেখা নদী। আর জঙ্গলের রূপকে এককথায় অপরূপ বলা যায়। খড়্গপুর, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম বা বেলদা থেকে কালো পিচের রাস্তা আর সবুজ শালগাছের জঙ্গলের ভিতর দিয়ে কিংবা সবুজ জঙ্গল আর রঙিন মোরামের রাস্তা ধরে চলতে চলতে আপনি কখন যে পৌঁছে যাবেন নিজেও বুঝতে পারবেন না। সড়কপথে চড়াই উৎরাই হলেও এ পথের শোভা আর তাজা অক্সিজেন পাওয়ার আনন্দ, আমার মনে হয়, আপনার চিরকাল মনে থাকবে।

রামচন্দ্রের বনবাসকালে পথে তপোবনে কিছুটা সময় বিশ্রাম নেওয়া বা পরে পঞ্চবটি বনে কুটির নির্মাণ করে বসবাস বা তার পরবর্তী ঘটনা সবই আমাদের জানা আছে। এই তপোবনে ঢোকার মুখে দেখতে পাবেন সীতানালা যা তপোবনকে তিনদিক থেকে ঘিরে রেখেছে। সীতানালা একটি অরণ্য ঝর্না। কথিত আছে বনবাসে থাকার সময় সীতাদেবী এই নদীতে স্নান করতেন বলে এর নাম সীতানালা। এর উপরে এখন কংক্রিটের সেতু যা আগে কাঠের ছিল। সেতু পেরিয়ে এগোলেই বাল্মীকির সমাধি। সমাধির নীচ থেকে মাকড়া পাথর সাজিয়ে উড়িষ্যার রেখ দেউল রীতিতে একটি মন্দিরচূড়া তৈরি করা হয়েছে। সমাধির উপরে একটি লম্বালম্বি চেরা শালগাছ রামধনুর মতো দুপাশে মটি স্পর্শ করে আছে। এই শালগাছটির নাম হল সীতা দাঁতন। সীতা নাকি শাল দাঁতনে দাঁত মাজার পরে, দাঁতন চিরে জিভ ছুলে ফেলে দিলে, এই গাছের জন্ম হয়। সমাধির পাশেই একটা বেদির উপরে একটা হোমকুণ্ড আছে যার আগুন রাতদিন জ্বলতে থাকে। কেউ বলেন বাল্মীকির হোমকুণ্ড। আবার কেউ একে সীতাধুনি বলে সম্বোধন করেন। সীতার গর্ভে লব-কুশ জন্মানোর পর আঁতুড়ের পাশে সীতাদেবী শিশুদের উষ্ণতা প্রদানের জন্য এই ধুনি জ্বেলেছিলেন, তাই এটি সীতাধুনি নামে পরিচিত। নিয়ম হচ্ছে, এখানে যেই আসুক না কেন বন থেকে একখণ্ড কাঠ এনে এই ধুনিতে দিয়ে যেতে হয়।

সীতানালা আর দক্ষিণে সীতাকুণ্ড থেকে নির্গত হলুদ জলের ঝর্না তপোবনকে বেষ্টন করে একসঙ্গে মিলিত হয়ে চলে গেছে সুবর্ণরেখার দিকে। জনশ্রুতি, সীতা এখানে তেল-হলুদ মাখিয়ে লব-কুশকে নিয়মিত স্নান করাতেন বলে জলের রং হলদে হয়ে গিয়েছে। বাল্মীকির সমাধির পাশেই রয়েছে একটা ছোট্ট মন্দির যেখানে বাল্মীকি, রাম, লক্ষণ, সীতা, লব ও কুশের মূর্তি রয়েছে। একে সকলে বাল্মীকি মন্দির বলে। যেখানে লব-কুশ অশ্বমেধের ঘোড়া ধরেছিল তা এই আশ্রম থেকে প্রায় ৫ কিমি দুরে গভীর অরণ্যের মধ্যে অবস্থিত। আশ্রমের একটু দূরেই সীতানালা, পাশেই রয়েছে তিলক মাটির পাহাড়। সেখানে থেকে আপনি ইচ্ছামতন তিলক মাটি সংগ্রহ করতে পারেন। বাল্মীকি মন্দিরের কাছেই রয়েছে একটি মহাদেব মন্দির। আবার একটি বীর হনুমানের মন্দিরেরও নির্মাণের কাজ চলছে। বাল্মীকি মন্দিরে রোজদিন অন্নভোগ হয়। মন্দির খোলা থাকে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

শ্রদ্ধা, ভক্তি ও বিশ্বাস দিয়েই মানুষ পৃথিবীতে তীর্থ রচনা করে। রামায়ণ বর্ণিত বাল্মীকির তপোবনের সঙ্গে এই তপোবনের কোনো সম্পর্ক আছে কি নেই, তপোবন দর্শনের জন্য সেই বিতর্কে না যাওয়াই ভালো। কিন্ত এই স্থানের প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশ যথার্থভাবেই প্রাচীন তপোবনের উপযুক্ত, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহই নেই।

টোটোগল্প কনটেস্ট ১তৃতীয় স্থানাধিকারী : ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য____________________________মন-পাহাড়ি ডুয়ার্সইন্দ্রাণী ভট্ট...
06/02/2022

টোটোগল্প কনটেস্ট ১

তৃতীয় স্থানাধিকারী : ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য
____________________________

মন-পাহাড়ি ডুয়ার্স
ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য

আস্তে আস্তে জোনাকি গাঁথা আরও একটা সন্ধে নামছে পাহাড়ের কোল ঘেঁষে। মিশে যাচ্ছে মূর্তি নদীর জলে। দূরে কোথা থেকে ভেসে আসা ট্রানজিস্টরের শব্দ ছাপিয়ে স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হয়ে উঠছে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক আর বহতা নদীর শব্দ। সব রঙ মুছে চরাচর জুড়ে ফুটে উঠছে শুধু একটাই রং, নীল। ঘন নীল। চারিদিকে শুধু নীল নদী, নীল পাহাড়, নীল জঙ্গল, নীল আঁধার। আর সেই নীল আঁধারের বুক চিরে উল্কার গতিতে ছুটে চলেছে বেরসিক হেডলাইটের আলো। একের পর এক। তেমনি এক গাড়ির সওয়ারি আমরা কজন তখন দুপাশে ঘিরে ধরা গহীন অরণ্যে খুঁজে বেড়াচ্ছি শ্বাপদের চিহ্ন। লোভীর মতো, স্বার্থপরের মতো। এটাও একটা চিড়িয়াখানা বটে । তবে এখানে শুধু অবস্থানটা বদলে গেছে বিলকুল। এটা ওদেরই জায়গা। এখানে আমাদের ওরা দেখছে। ইচ্ছে হলে সামনে এসে দেখবে, চার চাকায় বন্দী মানুষগুলোকে। আমরা বারেবারে ভুলে যাই সেকথা। মানুষ কিনা! বড় লোভ, বড় অহংকার। বাঘ দেখব, হাতি দেখব, গণ্ডার দেখব, পয়সা ছুঁড়ে আদিবাসীদের নাচ দেখব আর আমাদের দেখা দিয়ে বুঝি তেনারা ধন্য হবেন! লোকে শুনলেই বলবে, লাটাগুড়ির জঙ্গলে কটা হাতি দেখলি, রাইনো দেখলি? আর লেপার্ড দেখিসনি? যাঃ, তাহলে আর কী ঘুরলি!
যাক গিয়ে। এইসব বাজে হিসেব খরচের খাতায় তুলে রেখে একদিন তবে বেরিয়ে পড়া যাক। সেদিন দু চোখ ভরে মেখে নেব বন্য সবুজ। উপভোগ করব জঙ্গলের প্রতিটা মুহূর্ত। চলার পথে চুপ করে শুনতে থাকব অরণ্যের আদিম কোলাহল।
তারপর? তারপর আর কী।
লাটাগুড়ি, গরুমারার জঙ্গল ছাড়িয়ে ছুটবে গাড়ি ঝালং, বিন্দুর উদ্দেশ্যে। পথে পড়বে পোস্টকার্ডের ছবির মতো ভুটান সীমান্তঘেঁষা কমলালেবুর গন্ধমাখা ছোট ছোট পাহাড়ি গ্রাম, আঁকাবাঁকা সর্পিল পথ আর অসংখ্য পাহাড়ি ঝর্না যাদের স্থানীয় ভাষায় বলে ঝোড়া। দস্যি মেয়ের মতো তারা মাঝেমাঝেই পথ আগলে দাঁড়াবে, পেরোতে গিয়ে ভিজিয়ে দেবে গাড়ির কাচ। পথে যেখানে খেতে নামব, সেই ছোট্ট সরাইয়ের একদম গা ঘেঁষে দুদ্দাড়িয়ে বয়ে যাবে খামখেয়ালি এক ঝর্না। আমরা হামলে পড়ে ফটো তুলব সেই কন্যের। নাম কি শুধোব? তাকে শুধোলে সে যে শুধুই খিলখিলিয়ে হেসে উঠবে! কী জানি কী তার নাম। কেউ যে পারবে না বলতে। অগত্যা আমিই ভেবেচিন্তে একখানা নাম রাখব সেই উড়নচণ্ডীর, 'খেয়ালি' (নীচে রইল তার ছবি)। ভালো না? পথে দেখা হবে আরও অনেক এমন নাম না জানা সুন্দরী ঝর্নার সাথে। দুচোখ ভরে দেখব জলঢাকার মত্ত প্রবাহ। পরে রকি আইল্যান্ডে এমনভাবেই মূর্ত হবেন আরেক তরুণী নদী, মূর্তি, তার বাঁধনছাড়া পাগলপারা রূপ নিয়ে। সেই জায়গায় পৌঁছনোর আগে পথের দুধারে আমাদের জন্য অপেক্ষা করবে চা বাগানের সবুজ গালিচা বিছানো উপত্যকা। আর মাঝেমাঝেই মাথা উঁচু করে সদলবলে দাঁড়িয়ে থাকবে যত আদিম মহাদ্রুম।মোহময়ী এই পাহাড়তলির গল্প শোনানোর সময় তিস্তা ব্যারেজ আর গাজলডোবার কথাই বা ভুলি কী করে! সেখানে পৌঁছনোর পর চোখে পড়বে দূরে তিস্তার পাড় জুড়ে কুয়াশায় জড়ানো পাহাড়ের সারি আর মাঝে মাঝে উড়াল দিয়ে চলে যাওয়া রূপসী সব পাখপাখালির দল। গোটা দৃশ্যকল্প যেন কোন মেঘে ঢাকা মনখারাপের গল্প বলবে। শুনতে শুনতে আমরা হারিয়ে যাব, ভুলেই যাব সব জাগতিক চাওয়াপাওয়া। একসময় হয়তো সম্বিত ফিরবে ড্রাইভার সাহেবের হাঁকডাকে। তারপর দুপুরে বরোলি মাছের ঝাল দিয়ে নুনিয়া চালের ভাত মেখে তৃপ্তি করে খাব। মূর্তি ট্যুরিস্ট লজে ফিরে আসার পথে জঙ্গলের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া রেললাইনের নির্জন ট্র্যাক, শস্যক্ষেতে ময়ূর-ময়ূরীর উজ্জ্বল উপস্থিতি, হাতির ডাক আর বাদল বাতাস সঙ্গী হবে আমাদের।

(ছবি : চিরঞ্জীব মজুমদার)

টোটোগল্প কনটেস্ট ১দ্বিতীয় স্থানাধিকারী : পারমিতা চৌধুরী_______________________________"রাতের নক্ষত্র, তুমি বলো দেখি কোন ...
03/02/2022

টোটোগল্প কনটেস্ট ১

দ্বিতীয় স্থানাধিকারী : পারমিতা চৌধুরী
_______________________________

"রাতের নক্ষত্র, তুমি বলো দেখি কোন পথে যাব?"
পারমিতা চৌধুরী

অবশেষে পথ বেছে নিলাম। আশৈশব লালিত যে পথ আমার ভেতরে 'ইচ্ছে' হয়ে ঘুমিয়ে থাকত, ঝাঁ চকচকে একটা কেরিয়ার, স্বস্তির চাকরিজীবন, সমাজের নির্ণয় করে দেওয়া নিরাপদ জীবন ছেড়ে আমি পাহাড়ের পথ বেছে নিলাম। বিগত তিনমাসের পাহাড় যাপন 'সমতলের আমি'কে অনেক কিছু শিখিয়েছে। আপাতত একটি অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস কোম্পানিতে ট্রেক লিডার হিসেবে কাজ করছি আমি। বিচিত্র সব মানুষ, বিচিত্র সব অভিজ্ঞতায় জীবনের ঝুলি পূর্ণ হচ্ছে আমার।
শুনতে যতটা রোমান্টিক লাগছে বাস্তবটা তার থেকেও বেশি চ্যালেঞ্জিং এবং মজাদার।
আমার এই ট্রেক লিডিং শুরু করার প্রথমদিকে আমাকে পাঠানো হয়েছিল হামতা পাসে। অপূর্ব সুন্দর ল্যান্ডস্কেপ আর তেমনই সুন্দর ট্রেকিং ট্রেইল। হামতা পাস ট্রেকটির মজাই হল, ধীরে ধীরে এই ট্রেকটি কঠিন হয় এবং এর ফলে সুবিধা হল, ট্রেকার্সরাও নিজেদের অ্যাক্লেমাটাইজ করে নেবার জন্য যথেষ্ট সময় পান।

প্রথমদিন :
মানালি থেকে ড্রাইভ করে জোবরি গ্রামে পৌঁছে সেখান থেকে ২-৩ ঘন্টা হেঁটে চিকায় পৌঁছানো এবং সেই রাতে সেখানেই থাকা। ট্রেক রুট একদম সহজ এখানে।

দ্বিতীয় দিন :
চিকা থেকে সকাল সকাল বেরিয়ে পরের গন্তব্য বালু কা ঘেরা, সময় ৫-৬ ঘন্টা। রাস্তার দূরত্বের সাথে সাথে ট্রেইলও খানিক কঠিন হয়ে যায় এবারে। নাম পড়েই বোঝা যাচ্ছে এখানে মাটির ধরন অন্যরকম। এই বালু কা ঘেরা যাবার পথে জোয়ারা বলে একটা পাহাড়ি খরস্রোতা পড়ে। এই নদী এবং সেই সংলগ্ন অঞ্চলে জুড়ে বহু মানুষের নানা রকম অলৌকিক অভিজ্ঞতার গল্প শোনা যায়।

তৃতীয় দিন :
বালু কা ঘেরা থেকে হামতা টপ সামিটের জন্য বেরিয়ে আবার ওইদিন বালু কা ঘেরাতেই ফেরত আসা নিয়ে সবমিলিয়ে মোট ৭-৮ ঘন্টা হাঁটতে হবে টানা। পায়ে চলা পথ নেই বললেই চলে এখানে। গ্লেসিয়ারের চারদিকে বড়ো বড়ো বোল্ডার এবং গ্রেডিয়েন্ট প্রায় ৭০-৭৫ ডিগ্রি। অক্টোবরের শুরুর থেকেই স্পিতি ভ্যালির দিকটা বরফপাতের ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এবার তাই আমাদের সিয়াগোরুতে না নেমে ওইদিন সামিট করে বালু কা ঘেরাতেই আসা হয়।

চতুর্থ দিন :
বালু কা ঘেরা থেকে এইদিন একবারে নেমে আসা হয় জোবরি গ্রামে। সময় - ৫-৬ ঘন্টা। হামতা টপ থেকে ইন্দ্রাসান আর হনুমান টিব্বা এই দুটো পিক অপূর্ব সুন্দর দেখা যায়। আগের দিনে যখন কুল্লু অঞ্চলের মানুষেরা স্পিতির দিকে যেতেন তখন এই রুটটাকেই ব্যবহার করতেন তাড়াতাড়ি পৌঁছানোর জন্য। তবে স্থানীয়দের মতে পান্ডবরা এদিক দিয়েই নাকি স্বর্গে ইন্দ্রের কাছে গেছিলেন এবং তাছাড়াও যেসমস্ত মানুষ মৃত্যু পথযাত্রী তাঁদের আত্মাও নাকি এই পথেই স্বর্গে দেবরাজ ইন্দ্রের কাছে যাত্রা করে।

অক্টোবরের শেষের দিকে আমি একটি ৮ জনের দল নিয়ে এই হামতা টপ করতে গেছিলাম। কিন্তু লাগাতার দুদিন বরফপাত হবার ফলে আমরা দ্বিতীয় দিন সামিটের জন্যে বেরিয়েও অসফল হয়ে ফিরে এসেছিলাম। স্নোফল এতোটাই বেড়ে গেছিল যে বরফের চাপে টেন্ট ভেঙে পড়তে শুরু করে। বেলা চারটের সময় আমরা ডিসিশন নিই যে সমস্ত কিছু নিয়ে আমরা বালু কা ঘেরা থেকে চিকায় নেমে যাব। সেইমতোই ট্রেকারদের সাথে নিয়ে আমরা সেই লাগাতার বরফপাতের মধ্যেই হাঁটা শুরু করি। গ্রুপে সবার আগে ছিলেন লোকাল গাইড যিনি বরফ কেটে রাস্তা বানাচ্ছিলেন এবং সবার পেছনে ছিলাম আমি। আমার ডিউটি ছিল সবথেকে শেষে যারা থাকবেন তাদের সুরক্ষিত অবস্থায় নীচে নামানো। ঘুরঘুট্টি অন্ধকারে সন্ধে ৭টা নাগাদ আমরা জোয়ারা নদীটি পার করি। আলোর উৎস বলতে আমার হাতের টর্চ এবং পিছিয়ে পড়া মোট তিনজন ট্রেকারদের নিয়ে আমি চলছি। হঠাৎই নদী পেরোনোর কিছুক্ষণ পরেই আমার মনে হয় আমার কাঁধের ওপর কারওর ক্লান্তির গরম নিশ্বাস পড়ছে। মাথা ঘুরিয়ে পেছনে তাকাতেই দেখি কেউ নেই। এদিকে তুষারপাত তখনও হয়েই চলছে। সবাইকে তাড়াতাড়ি পা চালাতে বলে যখন চিকায় পৌঁছলাম তখন রাত ৮:৩০টা। চিকায় পৌঁছনোর ঠিক আগেই হঠাৎ কানে এলো পুরুষ কন্ঠে কারওর গগনবিদারী চিৎকার। আমার সাথে যে ছিলেন তাকে আমি জিজ্ঞেস করলাম "আপকো কোই চিখ শুনাই দিয়া?" উনি বললেন "নেহি তো"। এই কথা শেষ হতে না হতেই আবার সেই একই রকম চিৎকার। আমি সাথে সাথে ছুটে গেছিলাম আমাদের যে লোকাল গাইড ছিলেন তার কাছে। সেইদিন রাতে উনি বলেছিলেন "ইধার অ্যাইসা বহত কুছ আপকো সুনাই দেগা, মেহসুস হোগা। লেকিন অগর আপ ডর জায়োগে তো আপকো ও সব চিজ খিঁচ লেগা আপনে পাস ইয়া ফির আপ পাগল হো যাওগে। ইসলিয়ে পাহাড়োঁ মে ডরনা নেহি কভি ভি। চাহে জো ভি হো যায়ে। হামেশা ডট কে সামনা কারনা। কোই কুছ নেহি কর পায়েগা আপকো।"

আমরা সমতলের শহুরে মানুষেরা পাহাড় বেড়াতে যাই, আনন্দ করি দুদিন, তারপর ফেরত চলে আসি নিজের ক্ষেত্রে। কিন্তু এখানে থাকতে থাকতে বুঝতে পেরেছি পাহাড়ি হতে গেলে কেবলমাত্র মানসিক শক্তির জোর আসলে কতটা দরকারি। পাহাড় আমাকে আরও সাহসী করেছে, শিখিয়েছে কোনোভাবেই লড়াকু মানসিকতা পরিত্যাগ করা যাবে না। প্রকৃতির খুঁটিনাটি সবকিছুর প্রতি আরও শ্রদ্ধাশীল হতে শিখেছি আমি। দেখেছি জীবনের সৌন্দর্য্য। অনুভব করেছি জীবনকে কেবল যাপন নয়, উদযাপন করা উচিত প্রতিক্ষণে।

টোটোগল্প কনটেস্ট ১ প্রথম স্থানাধিকারী : কস্তূরী চট্টোপাধ্যায় _________________________________একটি ভ্রমণের গল্পকথাকস্তূর...
02/02/2022

টোটোগল্প কনটেস্ট ১

প্রথম স্থানাধিকারী : কস্তূরী চট্টোপাধ্যায়
_________________________________

একটি ভ্রমণের গল্পকথা
কস্তূরী চট্টোপাধ্যায়

আমরা তখন নিউইয়র্কে। ১৯৯৫ সালের অক্টোবর হবে। প্রণবদা ( প্রণব মুখোপাধ্যায়) তখন পি ভি নরসিমা রাও-এর ক্যাবিনেটে বিদেশ মন্ত্রী হিসেবে গিয়েছিলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের পঞ্চাশতম অধিবেশনে। সেখানে সেবার পোপ দ্বিতীয় জন পল এসেছিলেন। প্রণবদার সঙ্গে আনন্দবাজারের হয়ে আমার সাংবাদিক স্বামী গিয়েছিলেন। সঙ্গে সেবার আমিও গিয়েছিলাম।

রাষ্ট্রপুঞ্জের মূল কার্যালয়টি ছিল হোটেললাগোয়া। যেদিন পোপ দ্বিতীয় জন পল এসেছিলেন সেদিন হোটেলের ঘরের পঁয়তাল্লিশ তলার জানলা থেকে পোপকে দেখেছিলাম। নিরাপত্তার বলয়ের ভিতর দিয়ে পোপ হাঁটছেন। শ্বেতশুভ্র পোশাক, মাথায় টুপি, হাতে ফেরুলা। দু পাশে লাইন। মৃদুস্বরে কিছু বাজছিল। তার মধ্যে দিয়ে পোপ হেঁটে চলেছেন। পবিত্র শান্তির দূত।

সারাদিন কাজের পর আমরা দুজন বিকেলের দিকে রোজই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন টাওয়ারের একটার একশ সাত তলায় যেতাম। কারণ তখন দাবার দুই কিংবদন্তী কাসপারভ আর বিশ্বনাথন আনন্দের ফাইনাল টুর্নামেন্ট চলছিল। একশ সাত তলার ওপর প্রচুর মানুষ জড়ো হতো সেই টুর্নামেন্ট দেখতে। একটা কাচের ঘরে একটা ছোট টেবিলে মুখোমুখি বসে আনন্দ আর কাসপারভ। টেবিলে দাবার বোর্ড সাজানো। বাইরে বিশাল জায়েন্ট স্ক্রিনে সেই ম্যাচ দেখানো হত। কী অসীম উৎসাহের সঙ্গে আমেরিকার মানুষ দেখত সেই খেলা।

ওপর থেকে গোটা নিউইয়র্ক শহরটাকে ছবির মতো দেখা যেত কাচের ভিতর দিয়ে। বড় সুন্দর লাগত। ২০০১-এর ১১ই সেপ্টেম্বর সেই অভিশপ্ত দিনে যখন সারা পৃথিবী টিভির পর্দায় রুদ্ধশ্বাসে দেখছে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন টাওয়ার টেররিস্ট অ্যাটাকে ভেঙে গুঁড়িয়ে যাবার খবর, দেখছে সেই মর্মান্তিক হৃদয়বিদারক ছবি, যেদিন প্রায় তিন হাজার মানুষ নিমেষে মৃত্যুমুখে ঢলে পড়েন, বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম কিছুক্ষণ। আমার শুধু মনে পড়ছিল সেই একশ সাত তলায় কাটানো বেশ কিছুটা অমূল্য, অসামান্য সময়। কত স্মৃতির পরত জড়িয়ে ছিল টুইন টাওয়ারের সঙ্গে।পড়ন্ত বিকেলে পরপর সাতদিন আমরা সেই একশ সাত তলায় বেশ কয়েক ঘন্টা দিন সাতেক রোজ কাটাতাম। ছবির মত সব মনে পড়ে।

২০০১-এ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন টাওয়ার ধূলিসাৎ হবার পর ২০০৩-এ আরেকবার নিউইয়র্ক গিয়েছিলাম। ঘুরতে ঘুরতে সেবার সেই টুইন টাওয়ারে গেলাম। অভিশপ্ত জায়গাটাকে আরেকবার কাছ থেকে দেখে চোখ ভিজে আসছিল। বিশাল দুটো আকাশছোঁয়া ইমারত কেমন এক পলকে মাটিতে মিশে গিয়েছিল সেইদিন। সেই স্মৃতিবিজরিত জায়গাটাকে এখন গ্রাউন্ড জিরো বলে। এখন আরেকটা স্থপতি করা হয়েছে বোধহয় সেইখানে। চারিদিকে রেলিং দেওয়া।অনেক ফুল, ফুলের গোছা আর আধজ্বলন্ত মোমবাতি পড়ে আছে সেখানে। যাঁদের প্রিয়জনেরা সেদিন চলে গেছেন তাঁরা কেউ কেউ রোজ ফুল দিয়ে যান সেখানে। মেঘাচ্ছন্ন মনে দাঁড়িয়ে ওখানে নানাজনের নানা স্মৃতিচারণ পড়ছি, হঠাৎ দেখা হয়ে গেল সিপিএমের বিমান বসুর সঙ্গে। উনিও গ্রাউন্ড জিরো দেখতে এসেছেন। একাই চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলেন। এগিয়ে গিয়ে কথা বললাম। কিছুক্ষণ গল্প হল বিদেশের মাটিতে হঠাৎ দেখা হয়ে যাওয়া স্বদেশের মানুষের সঙ্গে।

এক একটি ভ্রমণের সঙ্গে কত স্মরণকথা যে জড়িয়ে থাকে। আমরা নিউইয়র্কে শুনেই আমাদের মানুদা (সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়) ডেকে নিলেন। সিদ্ধার্থশঙ্কর তখন আমেরিকায় ভারতের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কর্মরত। ওয়াশিংটনে বিশাল প্রাসাদতুল্য অ্যাম্বাসেডরের বাংলো মানুদার। মানুদা আর মায়া বৌদির আতিথেয়তায় দুদিন ছিলাম সেখানে। এত বড় বাড়ি জীবনে দেখিনি। আমি তো প্রায়ই হারিয়ে যাচ্ছিলাম সে বাড়িতে প্রতিমুহূর্তে। ডাইনিং টেবিলে খাওয়া শেষে ঘরে যাব, আমার স্বামী হয়তো গল্প করছে বসে ওনাদের সঙ্গে, একা একা ফিরতে গিয়ে অগুন্তি অলিগলি পেরিয়ে আমাদের ঘর আর পাইনা খুঁজে। পুরো গোলকধাঁধা। মাথা কুটে মরি আর কী। বাঙালের মরণদশা। এদিক ওদিক ঘুরতে গিয়ে আরও হারিয়ে যাচ্ছিলাম। ভাগ্যিস জীবনে আর কোনো অ্যাম্বাসেডরের বাড়ি থাকতে যেতে হয়নি।

আজ এই দুজন প্রাণের মানুষ আর নেই। আমাদের আত্মীয়সম। পারিবারিক অভিভাবক। আমার স্বামীকে পুত্রবৎ স্নেহ করতেন। ওঁরা নেই, স্মৃতিটুকু পড়ে আছে আমাদের জন্য শূন্য অতীত নিয়ে।

এই সপ্তাহের টোটোগল্প কনটেস্টের প্রথম পাঁচ বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হল। আগামী পাঁচদিন প্রত্যেকের গল্প ছবিসমেত আমাদের পেজ-এ আপ...
01/02/2022

এই সপ্তাহের টোটোগল্প কনটেস্টের প্রথম পাঁচ বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হল। আগামী পাঁচদিন প্রত্যেকের গল্প ছবিসমেত আমাদের পেজ-এ আপলোড করা হবে।

প্রজাতন্ত্র দিবস সেই দিন, যেদিন আমরা প্রকৃত অর্থে স্বাধীনতা পেয়েছি। এই দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে মনে রাখা এবং এর গু...
26/01/2022

প্রজাতন্ত্র দিবস সেই দিন, যেদিন আমরা প্রকৃত অর্থে স্বাধীনতা পেয়েছি। এই দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে মনে রাখা এবং এর গুরুত্ব পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।

শুভ প্রজাতন্ত্র দিবস ২০২২

#প্রজাতন্ত্রদিবস

Every year National Tourism Day is celebrated across the country on January 25 to recognise India’s magnificence and spr...
25/01/2022

Every year National Tourism Day is celebrated across the country on January 25 to recognise India’s magnificence and spread awareness about the significance of tourism and its impact on the economy. This year the theme for National Tourism Day is ‘Rural and Community Centric Tourism’.

বাংলা তথা ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রাণপুরুষ, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম আবির্ভাব দিবসে, 'টোটোকোম্পানি'-র পক্ষ...
23/01/2022

বাংলা তথা ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রাণপুরুষ, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম আবির্ভাব দিবসে, 'টোটোকোম্পানি'-র পক্ষ থেকে সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই।

দুর্ঘটনাগ্রস্ত 15633 গুয়াহাটি-বিকানের এক্সপ্রেসের হেল্পলাইন নম্বর : 8134054999এমার্জেন্সি নম্বর : 9002041951/55        ...
14/01/2022

দুর্ঘটনাগ্রস্ত 15633 গুয়াহাটি-বিকানের এক্সপ্রেসের হেল্পলাইন নম্বর : 8134054999
এমার্জেন্সি নম্বর : 9002041951/55

আজ স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৯তম জন্মবার্ষিকী এবং বিশ্ব যুব দিবস। টোটোকোম্পানি-র পক্ষ থেকে আমরা তাঁকে প্রণাম জানাই। 🙏
12/01/2022

আজ স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৯তম জন্মবার্ষিকী এবং বিশ্ব যুব দিবস। টোটোকোম্পানি-র পক্ষ থেকে আমরা তাঁকে প্রণাম জানাই। 🙏



12/01/2022
12/01/2022
এই প্রথম!! 🤩🤩🤩🤩বাংলাভাষায় লেখা ভ্রমণকাহিনির অনলাইন প্রতিযোগিতা!! 🤩🤩🤩🤩টোটোগল্প কনটেস্ট ✍️____________________বেড়াতে তো যা...
11/01/2022

এই প্রথম!! 🤩🤩🤩🤩
বাংলাভাষায় লেখা ভ্রমণকাহিনির অনলাইন প্রতিযোগিতা!! 🤩🤩🤩🤩

টোটোগল্প কনটেস্ট ✍️
____________________

বেড়াতে তো যান। শুধু তাই না, বেড়ানোই আপনার জীবনের ধ্যানজ্ঞান। একটু ছুটি পেলেই ফুড়ুৎ। পাহাড়, সমুদ্দুর, জঙ্গল, মরুভূমি, দু'হাত বাড়িয়ে ডাকে আপনাকে। আর অমনি আপনি তল্পিতল্পা নিয়ে, অথবা না নিয়ে, দলবলের সঙ্গে, অথবা একদম একা, জাস্ট বেরিয়ে পড়েন। কেউ বছরের এগারো মাস প্ল্যান করেন, কোথায় যাবেন। তিনমাস আগে টিকিট কেটে, গাইডবুক ঘেঁটে, রিভিউ মেপে হোটেল বুক করে, তবে নিশ্চিন্তি। আবার কেউ হুট বলতে ছুট। পায়ের তলায় সর্ষে।
কিন্তু বাকি গল্প? গন্তব্যে পৌঁছোনোর পর? সেটা লিখতে হবে না বুঝি?
আর সেজন্য, বছরের গোড়াতেই Totocompany নিয়ে আসছে, ছোটগল্প না, টোটোগল্পের এক অভূতপূর্ব প্রতিযোগিতা। ৫০০ শব্দের মধ্যে লিখে ফেলুন আপনার ভ্রমণকাহিনি। তার সঙ্গে আপনার ক্যামেরায় তোলা, অনধিক পাঁচটি ছবি পাঠিয়ে দিন আমাদের ই-মেইল অ্যাড্রেস-এ। সঙ্গে অতি অবশ্যই, আপনার নাম, ঠিকানা, পেশা আর ফোন নম্বরও পাঠাবেন। প্রত্যেক সপ্তাহের সেরা পাঁচটি লেখা Totocompany-র ফেসবুক পেজ আর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে-এ আপলোড করা হবে। এছাড়াও রয়েছে প্রত্যেক বিজয়ীর জন্য আকর্ষণীয় পুরস্কার।
তাহলে, শুরু করে দিন। সেই টোটোগল্প, আপনার স্মৃতির সিন্দুকে যা এতদিন মণিমুক্তোর মতোই যত্নে জমানো ছিল।

লেখা আর ছবি পাঠান এই ই-মেইল আইডি-তে : [email protected]
____________________________________

টোটোগল্প কনটেস্ট ✍️____________________বেড়াতে তো যান। শুধু তাই না, বেড়ানোই আপনার জীবনের ধ্যানজ্ঞান। একটু ছুটি পেলেই ফুড়ু...
06/01/2022

টোটোগল্প কনটেস্ট ✍️
____________________

বেড়াতে তো যান। শুধু তাই না, বেড়ানোই আপনার জীবনের ধ্যানজ্ঞান। একটু ছুটি পেলেই ফুড়ুৎ। পাহাড়, সমুদ্দুর, জঙ্গল, মরুভূমি, দু'হাত বাড়িয়ে ডাকে আপনাকে। আর অমনি আপনি তল্পিতল্পা নিয়ে, অথবা না নিয়ে, দলবলের সঙ্গে, অথবা একদম একা, জাস্ট বেরিয়ে পড়েন। কেউ বছরের এগারো মাস প্ল্যান করেন, কোথায় যাবেন। তিনমাস আগে টিকিট কেটে, গাইডবুক ঘেঁটে, রিভিউ মেপে হোটেল বুক করে, তবে নিশ্চিন্তি। আবার কেউ হুট বলতে ছুট। পায়ের তলায় সর্ষে।
কিন্তু বাকি গল্প? গন্তব্যে পৌঁছোনোর পর? সেটা লিখতে হবে না বুঝি?
আর সেজন্য, বছরের গোড়াতেই Totocompany নিয়ে আসছে, ছোটগল্প না, টোটোগল্পের এক অভূতপূর্ব প্রতিযোগিতা। ৫০০ শব্দের মধ্যে লিখে ফেলুন আপনার ভ্রমণকাহিনি। তার সঙ্গে আপনার ক্যামেরায় তোলা, অনধিক পাঁচটি ছবি পাঠিয়ে দিন আমাদের ই-মেইল অ্যাড্রেস-এ। সঙ্গে অতি অবশ্যই, আপনার নাম, ঠিকানা, পেশা আর ফোন নম্বরও পাঠাবেন। প্রত্যেক সপ্তাহের সেরা পাঁচটি লেখা Totocompany-র ফেসবুক পেজ আর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে-এ আপলোড করা হবে। এছাড়াও রয়েছে প্রত্যেক বিজয়ীর জন্য আকর্ষণীয় পুরস্কার।
তাহলে, শুরু করে দিন। সেই টোটোগল্প, আপনার স্মৃতির সিন্দুকে যা এতদিন মণিমুক্তোর মতোই যত্নে জমানো ছিল।

লেখা আর ছবি পাঠান এই ই-মেইল আইডি-তে : [email protected]
____________________________________

📌অফ বিট ডেস্টিনেসন পার্বত্য ত্রিপুরার জমপুই হিল। যাবেন নাকি একবার?==============================🔴টোটো কোম্পানি ডেস্কঃ 👉 ...
20/08/2021

📌অফ বিট ডেস্টিনেসন পার্বত্য ত্রিপুরার জমপুই হিল।
যাবেন নাকি একবার?
==============================
🔴টোটো কোম্পানি ডেস্কঃ
👉 ত্রিপুরা উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি ক্ষুদ্র পার্বত্য রাজ্য। এই রাজ্যের আয়তন ১০,৪৯১.৬৯ বর্গকিলোমিটার। পার্বত্য রাজ্য হলেও বেশিরভাগ মানুষই সমতলে বসবাস করে।
পাহাড় হোক বা সমুদ্র, জঙ্গল হোক বা মরুভূমি ছোটবেলা থেকে যেকোনো জায়গায় বেড়ানো টাই সবার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেক জায়গার এক আলাদা মাধুর্য আছে। দৈনন্দিন দূষণ ভরা জীবন থেকে অনেকটা দূরে প্রকৃতির কাছাকাছি কিছুদিন কাটানো টাই সবার একমাত্র উদ্দেশ্য। জীবনটাকে আরও বেশি করে উপভোগ করতে অফ বিট ডেস্টিনেসন নিশ্চয়ই আপনারও প্রিয়!
সেরকম ই একটা অফ বিট ডেস্টিনেসন হলো পার্বত্য ত্রিপুরার উত্তর প্রান্তে অবস্থিত জমপুই হিল।
অনেকেই জমপুই পাহাড় সম্বন্ধে কিছু হলেও জানেন, হয়তো বেড়ানোর প্ল্যানও করেছেন কিন্তু দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য অনেকের যাওয়া হয়ে ওঠে না। আপনি যদি ভ্রমণ পাগল মানুষ হন, তাহলে পাড়ি জমান ত্রিপুরার সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গের উদ্দেশ্যে।
কোথায় এটি জেনে নিন তা।
আগরতলা থেকে প্রায় ২০০কিমি দূরে জমপুই এর অবস্থান। থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা বলতে একমাত্র গভর্নমেন্ট টুরিস্ট লজ ইডেন আছে। ডবল বেডরুম ভাড়া ৯০০ টাকা।
লজের ছাদ থেকেই আপনি দেখতে পাবেন সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য। বেশ উপভোগ করা যায় তা চারদিকে পাহাড়ের মেলা। পাশেই আছে পরিস্কার গ্রাম ভাঙমুন। অনেকে একে 'ত্রিপুরার কার্শিয়াং' বলে থাকেন। যদিও কার্শিয়াংয়ের মতো হাড়কাঁপানো ঠান্ডা পড়ে না এই জম্পুইয়ে। এখানকার ঠান্ডা বেশ আরামদায়ক ও বেশ উপভোগ্য। ভালো লাগবে আপনার জম্পুইয়ের লুসাই উপজাতির অতিথিপরায়ণতা। শীতকালে জমপুই তো স্বর্গপুরী থেকে কোনো অংশেই কম নয়, আর বর্ষায় গেলে দেখবেন, মেঘ হয়তো আপনাকে ছুঁয়ে চলে যাচ্ছে। বৃষ্টিস্নাত জমপুই দেখতে আপনার ভালো লাগবেই!
পাহাড়ে মেঘ আর রোদের বিচিত্র খেলা স্বর্গীয় অনুভূতি জাগিয়ে তুলবে আপনার।
যদি মন চায় ঘুরে আসুন না এই মনোরম ভ্রমণের জায়গাটি থেকে। দেখলে আবার আপনার মন চাইবে সেখানে যেতে।

📌দেবী চৌধুরানীর শ্মশান কালী মন্দিরে যে কারণে ভক্তদের ঢল নামে- ============================_🔴টোটো কোম্পানি ডেস্কঃ 👉জলপাই...
19/08/2021

📌দেবী চৌধুরানীর শ্মশান কালী মন্দিরে যে কারণে ভক্তদের ঢল নামে-
============================_
🔴টোটো কোম্পানি ডেস্কঃ
👉জলপাইগুড়ির শিকারপুর গ্রামে চা বাগান ঘেরা এক মন্দিরকে ঘিরে ছড়িয়ে আছে নানা কথা। শিকারপুর চা বাগানের মধ্যেই সেই মন্দির। গেট দিয়ে ঢুকলেই চোখে পড়বে পাশাপাশি দু’টি মন্দির। তার মধ্যে একটি মা কালীর। এখানে বছরে দু’বার কালীপুজো হয়। একবার আষাঢ় মাসে, আর একবার এই কার্তিক মাসে। খুব বড় করে না হলেও নিয়মনিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এই পুজো সম্পন্ন হয়।
সারা বছর পুজোর জন্য একজন রাজবংশী পুরোহিত থাকলেও আষাঢ় ও কার্তিক মাসের পুজো করেন এক ব্রাহ্মণ পুরোহিত। প্রাচীন রীতি অনুযায়ী এখানে এখনও ছাগল ও পায়রা বলির প্রচলন আছে। চা বাগানের শ্রমিকরা নিজেরাই চাঁদা তুলে পুজোর আয়োজন করেন। দীপাবলির রাতের পুজোয় শুধু গ্রামবাসী নয়, ভিড় জমান অনেক দূরের গ্রাম থেকে আসা মানুষও। রাতভর চলে পুজো। এলাকায় জমজমাট মেলা বসে। পুজো শেষে ভোরবেলায় মায়ের ভোগ নিয়ে সকলে ফিরে যান।
কালীমন্দিরের পাশেই রয়েছে একটি প্যাগোডা ধাঁচে তৈরী আরেকটি মন্দির। সারা বছর পুজো হয় এই মন্দিরেও।
এই দেবী চৌধুরানী সম্পর্কে কিছু কথা জেনে নিন।
কালীপূজায় মুসলমানদের অংশ নেওয়ার অনেক নজির আছে। এখানে এমন দুটি কালীপূজার কথা আপনাদের বলি, যা অন্যদের থেকে একেবারেই আলাদা। একটি জলপাইগুড়িতে।
জলপাইগুড়ি জাতীয় সড়কের গোশালা মোড় লাগোয়া শ্মশানের কালী মন্দিরটি অন্তত ৩৫০ বছরের প্রচীন। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ব্রিটিশ-বিরোধী সংগ্রামের ইতিহাস। পলাশীর পর সিরাজের সন্তান তথা নিজের ভাগ্নেকে বাঁচাতে মোহনলাল পালিয়ে যান। ইতিহাস বলছে, তিনিই ‘ভবানী পাঠক’ নাম নিয়ে দেবী চৌধুরানীর সঙ্গে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহের অন্যতম সংগঠক।
এই মন্দিরের নাম দেবী চৌধুরানীর শ্মশানকালী মন্দির। ভবানী পাঠক ও বিপ্লবীরা এখানে আত্মগোপন করতেন। মন্দিরের পুরোহিত সুভাষ চৌধুরী জানান, মন্দিরের সব কাজের ভার স্থানীয় মমতাজের উপর। পুজোর ফুল, বেলপাতা জোগাড় থেকে পুজোর বাসন মাজা, মন্দির সাফাইয়ের কাজ সবই ওই মমতাজ করেন।
বছর পঞ্চাশের শক্তপোক্ত মমতাজ মহম্মদ একাই পূজার মাটির বাসন, ভোগের চাল, সবজি জোগাড় ও আমিষ রান্নার ব্যবস্থা করেন। মমতাজ বলেন, “আল্লা আর ভগবানের ফারাক দেখি নাই। মন্দিরের কাজ সেরে আমি আমার নামাজও পড়ি।”
এই মন্দিরে বলি হয়। আগে নরবলি হতো, এখন হয় পাঠাবলি। মায়ের নামে আমিষ রান্না হয়। আর দশকের পর দশক মন্দিরের সার্বিক কাজের ভার আছে এই মমতাজের মতো মানুষদের কাঁধে। পুরোহিত সুভাষ চৌধুরী জানান, এই মন্দিরের এটাই প্রথা। এর আগেও একজন মুসলিম ব্যক্তি পুজোর যোগাড়ের কাজ করতেন।
জলপাইগুড়ির এই শ্মশান কালী মন্দির থেকে একবার ঘুরে আসবেন। আপনার ভক্তিতে মন ভরে যাবে!

📌পর্যটকদের জন্য সুখবর! দূর পাল্লার ট্রেনে অভাবনীয় চমক আসছে!============================🔴টোটো কোম্পানি ডেস্কঃ 👉দূরে ভ্রমণ...
18/08/2021

📌পর্যটকদের জন্য সুখবর!
দূর পাল্লার ট্রেনে অভাবনীয় চমক আসছে!
============================
🔴টোটো কোম্পানি ডেস্কঃ
👉দূরে ভ্রমণের পর্যটকরা যাতে খুব তাড়াতাড়ি নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছুতে পারেন, তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করতে যাছে ভারতীয় রেল। জেনে নিন কি ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল-
ধরুন রাত ৮টায় হাওড়া স্টেশনে এসে ট্রেনে চড়লেন। পরের দিন সকাল ৮টায় দিল্লি পৌঁছে গেলেন। আবার সেদিনই দিল্লি থেকে ট্রেন ধরে পরের দিন ১২ ঘণ্টার মধ্যে ফিরে এলেন। ভাবতে পারছেন বন্ধুরা?
হ্যাঁ, এরকমই দ্রুত গতিতে ট্রেন পরিষেবা দেবে ভারতীয় রেল। দিল্লি-মুম্বই এবং দিল্লি-হাওড়া রুটের ট্রেনে ১২ ঘণ্টার মধ্যে জার্নি টাইম রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আগামী ২০২৪ সালের মধ্যেই তা বাস্তবায়িত হবে বলে জানা গিয়েছে।
এই মুহূর্তে হাওড়া থেকে মুম্বই যেতে ১৫ ঘণ্টা সময় লাগে। অন্যদিকে হাওড়া থেকে দিল্লি যেতে ১৭ ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে যে দিন যাওয়া হয়, সেইদিনটার অর্ধেকই প্রায় নষ্ট হয়ে যায়। তাছাড়া ট্রেন যাত্রার ধকলও রয়েছে। তাই সময়টা কমিয়ে আনার বিষয়ে পরিকল্পনা তৈরি করেছে রেল। ইতিমধ্যেই এই প্ল্যান উপরমহলের সবুজ সংকেত পেয়ে গিয়েছে।
শীঘ্রই এ বিষয়ে কাজ শুরু হবে। দুটি রুটেই ট্রেনের গতি বাড়িয়ে ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা করতে চাইছে রেল। বর্তমানে দিল্লি-হাওড়া রুটে ট্রেন ৮৫ কিমি এবং দিল্লি-মুম্বই রুটে ১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে চলে।
তবে, এর জন্য রেললাইন এবং তার আশেপাশে কিছু পরিবর্তন করতে হবে।
রেলের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সুত্রে জানা যায়, 'এত দ্রুতগতির ট্রেনের ক্ষেত্রে সেই ধরণের লাইন প্রয়োজন। যেখানে দরকার, সেখানে রেললাইনে পরিবর্তন আনা হবে। এছাড়া ট্রেনের উপরে থাকা বৈদ্যুতিক তারগুলিও পাল্টানো হবে। '
সুত্র আরো জানায়, এমনিতেই রেল লাইন পারাপার করতে গিয়ে দুর্ঘটনার সংখ্যা কম নয়। তাই এত দ্রুত ট্রেনের ক্ষেত্রে সেই আশঙ্কা আরও বেশি। এজন্য রুটের নির্দিষ্ট স্থানে লাইনের দুই পাশে দেওয়াল করে দেওয়া হবে। তাছাড়া থাকবে কড়া নজরদারি। বাড়ানো হবে লেভেল ক্রসিংয়ের সংখ্যা।
যাত্রীদের নিরাপত্তাকেও অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ট্রেনের নিরাপত্তার জন্য অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি থাকবে। ট্র্যাক পরিদর্শন ও মেরামতের জন্য অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় মেশিন এবং ক্যামেরাও ব্যবহার করা হবে।
প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী প্রায় ৫,৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে ভারতীয় রেল। সিগন্যালিং এবং টেলিকমের কাজের জন্য প্রায় ২,০০০ কোটি টাকা খরচ করা হবে বলে সেই সুত্রের খবরে প্রকাশ।

Address


Opening Hours

Monday 11:00 - 19:00
Tuesday 11:00 - 19:00
Wednesday 11:00 - 19:00
Thursday 11:00 - 19:00
Friday 11:00 - 19:00
Saturday 11:00 - 19:00

Telephone

+917439323920

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Totocompany posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Totocompany:

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Opening Hours
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Travel Agency?

Share