বইয়ের রাজ্য

  • Home
  • বইয়ের রাজ্য

বইয়ের রাজ্য Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from বইয়ের রাজ্য, Tour Agency, .
(1)

🤎 মাওলানা তারিক জামিলের শ্রেষ্ঠ বই 🤎♦ বইটি  কেন পড়বেন❓মৃত্যু অবধারিত, মৃত্যুকে বেশি বেশি স্বরণ করলে মানুষ দুনিয়ামুখী হওয়...
04/10/2023

🤎 মাওলানা তারিক জামিলের শ্রেষ্ঠ বই 🤎

♦ বইটি কেন পড়বেন❓

মৃত্যু অবধারিত, মৃত্যুকে বেশি বেশি স্বরণ করলে মানুষ দুনিয়ামুখী হওয়া থেকে দূরে থাকে। আর মানুষ যাতে নিশ্চিত বিষয়টির প্রস্তুতি নিতে পারে। সেই লক্ষ্য -উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই আকাবিরগণের অনবদ্য কয়েকটি গ্রন্থকে সংগ্রহ করে এ কিতাবটি অনুবাদ করা হয়েছে।

✅কুরআন ও হাদিসের আলোকে “চোখে দেখা কবরের আযাব” বইটি পড়লে বিশেষ করে কবরের আযাবের বর্ণনা শুনলে মানুষ হিদায়াতের পথে আসবে ইনশাআল্লাহ ।

📑বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৩২০
⚔️মুদ্রিত মূল্যঃ ৪০০ টাকা
✅বিক্রয় মূল্যঃ ২৫০ টাকা
🌎সারাদেশে 🏡হোম ডেলিভারি সুবিধা !

বইটি অর্ডার করতে ইনবক্সে আপনার নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার দিন।
যোগাযোগ: 01815653564

" ফ্রী ডেলিভারি সুবিধা"বেস্টসেলার ৩ টা বই একত্রে অফার মূল্য : - ৮৯০৳ রাসুলুল্লাহ ﷺ এর পূর্ণাঙ্গ শ্রেষ্ঠ জীবনীগ্রন্থ (হার...
04/10/2023

" ফ্রী ডেলিভারি সুবিধা"
বেস্টসেলার ৩ টা বই একত্রে অফার মূল্য : - ৮৯০৳
রাসুলুল্লাহ ﷺ এর পূর্ণাঙ্গ শ্রেষ্ঠ জীবনীগ্রন্থ (হার্ডকভার, উন্নত মানের কাগজ, ক্রিম কালার অফসেট পেপার)
আর রাহীকুল মাখতুম আর্ন্তজাতিক সীরাত প্রতিযোগিতায় ১১৮২ টি সীরাতগ্রন্থের মাঝে প্রথমস্থান অধিকারকারী।

ার
বইটি জন্ম থেকে মৃত্যু মানব জীবনের প্রতিটি ধাপে রাসূল (সা:) বর্ণিত দুয়া, যিকির, সুন্নত ও আমলসমূহ সহজ সরলভাবে সাজানো হয়েছে, মুমিন কিভাবে তার পুরোটা সময় সঠিকভাবে সুন্নাহ মাফিক কাটাবে এটাই এই বইয়ের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়

১. আল আযকার
মূল: ইমাম মুহিউদ্দীন ইয়াহইয়া আন-নববী রাহিমাহুল্লাহ ( মৃত্যু ৬৩১- ৬৭৬ )
মুদ্রিত মূল্য :১৩৯০/-
অফার মূল্য : - ৩৯০৳

২. আর রাহীকুল মাখতুম
মূল : আল্লামা সফিউর রহমান মোবারকপুরী রহ.
মুদ্রিত মূল্য : ৮০০৳
অফার মূল্য : - ৩৪০৳

৩. তাসাউফ ও আত্মশুদ্ধি
মূল : জাস্টিজ আল্লামা তাকি উসমানি হাফি.
মুদ্রিত মূল্য :৫২০/-
অফার মূল্য : - ২৭০৳
✅ ৩টা বই একত্রে - ২৬৭০৳
✅ অফার মূল্য : - ৮৯০৳
বই ৩টি একসাথে অথবা আলাদা আলাদা নিতে পারেন।

অর্ডার করতে :
আপনার নাম, ঠিকানা এবং মোবাইল নাম্বার লিখে আমাদের মেসেজ করুন।
অথবা কল করুন: 01815653564
(বই হাতে পেয়ে মূল্য পরিশোধ করা যাবে)

♣বইটি কেন পড়বেন?“বাইবেল কোরআন ও বিজ্ঞান” পৃথিবী বিখ্যাত একটি গ্রন্থ। গ্রন্থটি রচনা করেছেন ফ্রান্সের প্রখ্যাত সার্জন, বৈজ...
04/10/2023

♣বইটি কেন পড়বেন?

“বাইবেল কোরআন ও বিজ্ঞান” পৃথিবী বিখ্যাত একটি গ্রন্থ। গ্রন্থটি রচনা করেছেন ফ্রান্সের প্রখ্যাত সার্জন, বৈজ্ঞানিক ও গবেষক ডাঃ মরিস বুকাইলি। এই বইয়ে তিনি আধুনিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা থেকে পাওয়া জ্ঞানের সঙ্গে বাইবেলের বর্ণনার অসঙ্গতি এবং কুরআনের বর্ণনার সঙ্গতি সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। বিজ্ঞানের এ চরম উৎকর্ষতার যুগে প্রকৃত সত্যকে যারা আবিষ্কার করতে চান এ বইটি তাদের প্রভূত উপকারে আসছে বিধায় দুনিয়া জুড়ে বইটি ব্যাপকভাবে আলোচিত ও প্রশংসিত হচ্ছে।বইটি পড়ে পাঠকের নতুন চিন্তার দুয়ার খুলবে, ইনশা’আল্লাহ

🌠 বাইবেল কুরআন ও বিজ্ঞান
লোকমান প্রকাশনী
লেখক ড.মরিস বুকাইলি
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ২৮৮
হার্ডকভার
মুদ্রিত মূল্যঃ ৪৫০৳
বিক্রয় মূল্যঃ ২৫০৳

🌀ডেলিভারি চার্জ ঢাকার ভিতরে ৫০৳
🌀ডেলিভারি চার্জ ঢাকার বাহিরে ৭০৳
🌀অর্ডার করতে ইনবক্সে আপনার নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার দিন
01815653564

বগালেক ও কেওক্রাডং ভ্রমণ বৃত্তান্ত! আমাদের যাত্রাপথ ছিল ব্রাক্ষণবাড়িয়া থেকে ট্রেনে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবান।  ঢাকা থেকে স...
10/09/2020

বগালেক ও কেওক্রাডং ভ্রমণ বৃত্তান্ত!


আমাদের যাত্রাপথ ছিল ব্রাক্ষণবাড়িয়া থেকে ট্রেনে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবান।
ঢাকা থেকে সরাসরি বান্দরবান কিংবা চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবান গিয়ে বগালেকে যাওয়া যায়।

বান্দরবান থেকে সরাসরি চান্দের গাড়ি অথবা ল্যান্ড ক্রুজার রিজার্ভ করে সরাসরি বগালেক পর্যন্ত যাওয়া যায়।

অথবা বান্দরবান থেকে বাসে ৪৮ কিলোমিটার পারি দিয়ে রুমা বাজার গিয়ে সেখান থেকে চান্দের গাড়ি রিজার্ভ করে বগা লেক যাওয়া যায়।

আমরা যাওয়ার পথে বাসে রুমা বাজার পর্যন্ত যাই।

রুমা বাজার থেকে আগে থেকে ঠিক করা গাইড নিয়ে আর্মি ক্যম্পে নাম এন্ট্রি করে সেখান থেকে চান্দের গাড়ি রিজার্ভ করে বগা লেকের উদ্যেশ্যে যাত্রা শুরু করি।

মাঝপথে গাড়ি থেকে নেমে রুমা থানায় আবার সবার নাম এন্ট্রি করতে হয়।

বগালেকে নেমে আবার আর্মি ক্যাম্পে নাম এন্ট্রি করে আমাদের আগে থেকে বুক করা সিয়াম দিদির লেক পারের কটেজে উঠি।
কটেজে ব্যাগপত্র রেখে, বগালেকের হিম শীতল পানিতে গোসল করে ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে সামান্য বিশ্রাম নিয়ে বগালেকের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য বেরিয়ে পরি।

🚣 বগালেকঃ
===========
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২০০ ফিট উপরে আনুমানিক ২০০০ বছর পুর্বে সৃষ্টি হয়েছিল এই লেক। ভূতত্ত্ববিদদের মতে মৃত কোন আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ বা উল্কাপিন্ডের পতনের কারনে এই লেক সৃষ্টি হয়েছে।

বগালেক ১১৫ ফিট গভীর এবং পানি অনেক শীতল।
বগালেকে গোসল করার অনুমতি থাকলেও সাতার কাটার অনুমতি নেই।
বগালেকের শীতল পানিতে গোসল করলে সারাদিনের ভ্রমনক্লান্তি নিমিষেই দুর হয়ে যায়।

সন্ধ্যার পর ছিল বার্বিকিউ আয়োজন।
কেউ বার্বিকিউ করছে কেউ গিটারে গান ধরেছে।
আর আমরা সাথে সুর মেলাচ্ছি।

পাহাড়ের পাদদেশে লেকের পারে চাঁদের আলোয় বার্বিকিউর উঠা ধুয়া আর গিটারে বাজানো গানের সুরে যেন এক অপার্থিব পরিবেশ তৈরি হয়েছিল।

🏔 কেওক্রাডংঃ
=============
বগালেক থেকে ভোরে উঠে সকালে লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করে নাস্তা সেরে কেওক্রাডংয়ের উদ্যেশ্যে যাত্রা শুরু করি।
কেওক্রাডং যাওয়ার ১৪ কিলোমিটার পথ পুরোটাই ট্র‍্যাকিং করে(পায়ে হেঁটে) যেতে হয়।
পাহাড়ি উঁচুনিচু রাস্তা হওয়ায় এই পথটা অনেক দুর্গম এবং কষ্টসাধ্য।
কম বয়সি বাচ্চা কিংবা বেশি বয়স্কদের এই পথে না যাওয়াই ভাল।

কেওক্রাডং যেতে মাঝখানে পরে চিংড়ি ঝর্না, সেখানে চাইলে গোসল করে করে ফ্রেশ হয়ে আবার হাঁটা শুরু করতে পারেন।
আমরা ঝর্নায় জলকেলি করে বোতলে ঝর্নার স্বচ্ছ জল নিয়ে আমাদের গন্তব্য কেউক্রাডংয়ের পথে হাঁটা শুরু করি।
ঝর্নায় যাওয়ার পথটি অনেক পিচ্ছিল এবং রিস্কি তাই ঝর্নায় যাওয়ার পথে অবশ্যই অতিরিক্ত সাবধনতা অবলম্বন করবেন নয়তো সাথে নেয়া ফার্স্ট এইড বক্সের জিনিস পত্র ব্যাবহার করা লাগতে পারে 😉

যেতেযেতে পথে পুর্নিমা রাতে sorry 😁, যেতেযেতে পথে পরবে "তমেং ভিউ পয়েন্ট" সেখানে একটু জিড়িয়ে নিয়ে আবার হাঁটা শুরু করবেন।
পথে পরবে জুম চাষিদের চাষবাস। পাহাড়ের ঢালে ধান, হলুদ, মরিচ, আদা চাষ দেখে চোখ জুড়িয়ে যাবে।

কেওক্রাডং এর কাছাকাছি যেতেই পরবে দার্জিলিং পাড়া। সেখান থেকে কেওক্রাডং এর চূড়া দেখা যায় এবং ভাল ভিউ পাওয়া যায়।
শেষ মুহুর্তের চা নাস্তা শেষ করে আমরা আবার হাঁটা শুরু করলাম এবং এক সময় চূড়ায় পৌছাতে সক্ষম হলাম।
কেওক্রাডং পৌছে আবার আর্মি ক্যাম্পে এন্ট্রি সাইন করতে হয়ে।
আমরা যেদিন গিয়েছিলাম সেদিন গাইড এবং টুরিস্ট মিলিয়ে কেওক্রাডংয়ে প্রায় ২২০+ মানুষ অবস্থান করছিলাম।

চূড়ায় পৌছে আশেপাশের ভিউ দেখলে আপনার ভ্রমণ ক্লান্তি দুর হয়ে যাবে আশা করি!
যদিও রাতে ঘুমানোর আগে ব্যাথার ট্যাবলেট খেয়ে ঘুমানো লাগতে পারে। 😁

বগালেকের মত এখানেও আপনাকে থাকা ও খাওয়ার জন্য আদিবাসী কটেজের উপরই নির্ভর করতে হবে। আগে থেকে বলে রাখলে গাইড সব ব্যাবস্থা করে রাখবে।
আমরা আলু ভর্তা ডাল আর খাসির মাংস দিয়ে দুপুরের খাবার খাই।

কেওক্রাডংয়ে পানির অনেক সংকট। হাত মুখ ধুয়ার পানি ফ্রিতে পেলেও গোসল করার জন্য আপনাকে ৫০ টাকা প্রতি বালতি পানি কিনে ব্যাবহার করতে হবে।
৫০ টাকায় এক বালতি পানি কিনে গোসল করার পর অনেক ফ্রেশ লাগছিল, আর মনে মনে ভাবছিলাম আল্লাহর নিয়ামত পানি আমরা কতভাবেই না অপচয় করে চলছি।

কেওক্রাডংয়ের চুড়ায় বসে মেঘের আনাগোনা দেখা, সুর্যাস্ত দেখা, রাতে চাঁদের আলোয় পাহাড় দেখা এবং সকালে পাহাড়ের চূড়ায় সুর্য উদয় দেখা ছিল আমাদের জীবনের সেরা কিছু মুহুর্ত।

সকালে ডিম মুগডাল আর পরটা দিয়ে নাস্তা সেরে আমরা আবার বগালেকের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি।

বগালেকে এসে লেকের পানিতে গোসল সেরে দুপুরের খাবার বগালেকে খেয়ে চান্দের গাড়িতে সরাসরি বান্দরবানের উদ্যেশ্যে যাত্রা শুরু করি।

যেখানে যেখানে আর্মি ক্যাম্পে এন্ট্রি সাইন করেছিলাম সব যায়গায় আবার এক্সিট সাইন করে সন্ধ্যার মধ্যে বান্দরবান ফিরে আসি।
রাতে বাসে চট্টগ্রাম হয়ে সেখান থেকে ট্রেনে নিরাপদে বাসায় ফিরে আসি।

🤷‍♀ প্রস্তুতিঃ
==========
দুর্গম পাহাড়ি পরিবেশ হওয়ার কারনে আপনি যখন তখন যা চাইবেন তা পাবেন না। তাই দরকারী জিনিসপত্র আগে থেকেই হাতের কাছে রাখতে হবে।
থাকা খাওয়া, আসা যাওয়া, গাইড নেয়ার ব্যাপারগুলো আগে থেকেই ঠিক করে রাখতে হবে।

পাওয়ার ব্যাংক, দরকারী ঔষধপত্র, স্যালাইন, শুকনো খাবার(পথে খেতে চাইলে) সাথে নিয়ে যাবেন।

এই পথে অনেক বেশি আর্মি ক্যাম্প। প্রতি ক্যাম্পেই আপনাকে নাম ঠিকানা লিখে সাইন করতে হবে। নিজেদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এই ব্যাপারগুলো ধৈর্য্য ধারণ করে পালন করুন।

কেওক্রাডংয়ের হ্যালিপ্যডে প্রচুর জোকের উপদ্রব আছে। ঘাসের উপর না হেঁটে মাটি কিংবা পাঁকা মেঝেতে হাটার চেষ্টা করবেন।

🚙 যাতায়াত খরচঃ
===============
ঢাকা থেকে বান্দারবান এর এসি নন এসি বাস চলাচল করে।
ভাড়া জনপ্রতি ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা।

বান্দারবান থেকে লোকাল বাসে রুমা ভাড়া ১২০/১৫০ টাকা মাথাপিছু।

রুমা থেকে বগালেক চান্দের গাড়ি ২০০০ থেকে ৩০০০ এর মধ্যে। ধারণ ক্ষমতা ১৪ জন।

তাছাড়া বান্দরবান থেকে চান্দের গাড়িতে সরাসরি বগালেক যাওয়া আসা(একদিন মধ্য বিরতি) ১২০০০ থেকে ১৪০০০ টাকা।
স্বাস্থবিধি মানার জন্য আমাদেরকে প্রতি জিপে ৭ জন করে যেতে হয়েছিল। তাই যাওয়ার আগে আপডেট নিউজ জেনে যাবেন।

🍳 থাকা খাওয়াঃ
==============
আদিবাসী কটেজে থাকা মাথাপিছু ১৫০ টাকা ভাড়া। এক রুমে ১০জন করে থাকা যায়।
১০০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে প্রতিবেলার খাবার পাওয়া যায়। তবে খাবারের জন্য আগে থেকে বলে রাখতে হয়।

পাহাড়ি আইটেম হিসেবে চাইলে ব্যাম্বু চিকেন, বাঁশ কোড়ল এর স্বাদ নিতে পারেন।

🚶 গাইডঃ
=========
রুমা বাজার থেকে গাইড নেয়া বাধ্যতামূলক। গাইড খরচ ১২০০ থেকে ২০০০ এর মধ্যে নিবে।

গাইড পবন দাস 01855533844

গাইড উজ্জ্বল 01887669841

নোটঃ
=====
প্রতিটি ভাড়া, থাকা, খাওয়ার খরচ সময় এবং চাহিদার উপর ভিত্তি করে কম বেশি হতে পারে। যাওয়ার আগে কয়েকজন গাইডের সাথে কথা বলে যাচাই করে যাবেন তাহলে হালনাগাদ দর দাম সম্পর্কে ধারণা পাবেন।

🙏 অবশ্যই পালনীয়ঃ
================
প্রাকৃতিক পরিবেশে পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলে নির্দৃষ্ট যায়গায় ময়লা ফেলুন। ময়লা ফেলার যায়গা না পেলে নিজের কাছে সংরক্ষণ করুন। পরবর্তীতে ময়লা ফেলার ডাস্টবিনে ময়লা ফেলুন।

ভাল থাকুন, নিরাপদে থাকুন।
হ্যাপি ট্রাভেলিং

#বান্দরবান #বগালেক #কেওক্রাডং


©

একটি জোঁক ২ থেকে ১৫ মিলিলিটার রক্ত শুষতে পারে। সেই সঙ্গে মুখ থেকে এক ধরনের লালা মিশিয়ে দেয় রক্তে। যাতে হিরুডিন, ক্যালিক...
06/09/2020

একটি জোঁক ২ থেকে ১৫ মিলিলিটার রক্ত শুষতে পারে। সেই সঙ্গে মুখ থেকে এক ধরনের লালা মিশিয়ে দেয় রক্তে। যাতে হিরুডিন, ক্যালিক্রেইন, ক্যালিনের মতো কিছু উৎসেচক থাকে। যা রক্তের দুষ্টি দূর করতে সাহায্য করে।
জোঁক শরীরের পচনশীল অংশের দূষিত রক্ত দ্রুত শুষে নিয়ে নতুন রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে৷ এমনকি, রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। জোঁকের শরীর থেকে ডেস্টাবিলেস নামে এক ধরণের প্রোটিন প্রবেশ করে মানুষের দেহে। যা বহু জেদি জীবাণুকে মেরে ফেলে।
জয়েন্ট পেইনেও দারুণ কাজ করে জোঁক থেরাপি। ব্যথার জায়গায় কিছুক্ষণ জোঁক রাখলে রক্ত সরবরাহের উন্নতি হয়!

আল্লাহ তায়ালা দুনিয়ায় যা কিছু সৃষ্টি করেছেন,সব কিছুর মধ্যেই কোন না কোন গুণ দিয়েই সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু আমরা বুঝতে পারি না।

আল্লাহ সকলকে বুঝার তৌফিক দান করুক❤❤❤

নিঝুম দ্বীপ, হাতিয়া, নোয়াখালী।আসলেই নিঝুম। আমি বাজি ধরে বলতে পারি, আপনার অশান্ত মনকে শান্ত করে দিবে এ দ্বীপ। হাতিয়া থ...
20/07/2020

নিঝুম দ্বীপ, হাতিয়া, নোয়াখালী।

আসলেই নিঝুম। আমি বাজি ধরে বলতে পারি, আপনার অশান্ত মনকে শান্ত করে দিবে এ দ্বীপ। হাতিয়া থেকে যাওয়ার রাস্তাটা যদিও কিছুটা ক্লান্তি কর তবুও সকল ক্লান্তি হার মেনে যায় এ দ্বীপে পৌছানোর পরে। গত ২০ ই নভেম্বর ২০১৮ সন্ধ্যা ৫ টা ৩০ এর দিকে সদরঘাট থেকে ফারহান ৪ এ উঠে পড়লাম হাতিয়া যাওয়ায় উদ্দেশ্যে। গন্তব্য নিঝুম দ্বীপ। আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে সকাল সাড়ে সাতটায় আমরা হাতিয়া পৌঁছালাম। সকালের নাস্তা সেরে দুপুর ১২ টার মধ্যেই আমরা নিঝুম দ্বীপ চলে আসলাম। আমি যেভাবে গিয়েছিলাম তার বিস্তারিত নিচে দিয়ে দিলাম:

বিকেল ৪:৩০ এর মধ্যে আমরা সদরঘাট চলে যাই। ঢাকা থেকে হাতিয়ার উদ্দেশে দুটি লঞ্চ ছেড়ে যায় ফারহান ৩ আথবা ৪ ও তাসরিফ ১ অথবা ২। সদরঘাট থেকে ঠিক সন্ধা ৫:৩০ ছেড়ে যায় ফারহান ও ৬ টায় ছেড়ে যায় তাসরিফ। সিঙ্গেল কেবিন ৯০০ ডাবল কেবিন ১৮০০ আর ডেকে ৩৫০ টাকা ভাড়া। ফারহান লঞ্চের বুকিং নাম্বার হলো ০১৭৮৫৬৩০৩৬৫ , ০১৭৮৫৬৩০৩৭০, ০১৭৮৫৬৩০৩৬৬ ও তাসরিফ লঞ্চের বুকিং নাম্বার হলো ০১৭৩০৪৭৬৮২২, ০১৭৬৮৯৬২১০৮, ০১৭৩০৪৭৬৮২৪। পরেরদিন সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে আপনাকে হাতিয়ার তমরুদ্দিন ঘাটে নামিয়ে দিবে। ওখানে নাস্তা সেরে আপনি মোটরসাইকেল নিয়ে চলে যাবেন মুক্তারিয়া ঘাটে। তমরুদ্দিন ঘাঁটেই আপনি মোটরসাইকেল পাবেন, অবশ্যই দামাদামি করে নিবেন জনপ্রতি ২০০ টাকা নিবে, ওরা ভাড়া বেশি চায়। মুক্তারিয়া ঘাট থেকে স্পিডবোটে অথবা নৌকায় নিঝুমদ্বীপ। স্পিডবোটে ভাড়া জনপ্রতি ৬০৳, সময় লাগবে ৫ মিনিট আর নৌকায় ভাড়া ২০৳ , সময় লাগবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট। ঘাটে নেমে আপনাকে যেতে হবে নামার বাজার, মোটর সাইকেলে ভাড়া নিবে জনপ্রতি ৫০৳ টাকা করে। তবে ওরা কিন্তু আপনাকে বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে যাওয়ার কথা বলবে, আপনি তা না করে নামার বাজার নেমে আপনার পছন্দমত হোটেলে উঠবেন। আমি উঠেছিলাম নামার বাজার শাহিন হোটেলে, রুম মোটামুটি ভালো এক রুম ভাড়া পড়বে ১০০০৳ হাজার টাকা। চারজন থাকতে পারবেন। নামার বাজার ভাই ভাই হোটেলের পাশেই একটি খাবার হোটেল রয়েছে, ওখানে খাবারের মান ভালো এবং দাম মোটামুটি সস্তা। ওই হোটেলে আপনি অবশ্যই কাকড়া খাবেন ওরা কাকড়ার একটি অসাধারণ রান্না করে থাকে। অবশ্যই বেশি বেশি করে মহিষের খাঁটি দুধের দই খাবেন। ওখানে তাজা মাছ পাওয়া যায় অর্ডার দিলে ওরা রান্না করে রাখবে। নিঝুম দ্বীপ এর আশেপাশে বেশ কিছু বন রয়েছে ও চর রয়েছে, যেখানে গেলে আপনি হরিণ দেখতে পাবেন। তবে হরিণ দেখতে আপনাকে খুব কষ্ট করতে হবে। হয় খুব ভোরে বের হয়ে যেতে হবে না হয় সন্ধ্যার আগে আগে বের হয়ে যেতে হবে। ওখানকার ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা গাইড হিসেবে কাজ করবে, আপনি যদি ওদেরকে ২০ থেকে ৩০ টাকা বা সর্বোচ্চ ১০০ টাকা দিয়ে দেন তাহলে ওর আপনাকে হরিণ দেখিয়ে নিয়ে আসবে। তবে ওখানকার ঘন জঙ্গলে কোন ভয় নেই, আমি ভোর ৫ টায় জঙ্গলের ভিতরে একজন ছোট গাইড কে নিয়ে হরিণ দেখার উদ্দেশ্যে ঢুকেছিলাম অবশেষে ২ ঘন্টা হাঁটার পর হরিণের দেখা পাই। নিঝুম দ্বীপের দমার চরে অনেক পাখির দেখা পাবেন। নিঝুম দ্বীপের বিচে আপনি অনেক লাল কাকড়া দেখতে পাবেন।

বিঃদ্রঃ দয়া করে কেউ বন্যপ্রাণীদের ভয় দেখাবেন না এবং দ্বীপের পরিবেশ নষ্ট হয় এ ধরনের কোনো কাজ করবেন না!

#নেয়াখালীভ্রমণ

- একদম কম খরচে চারদিনের নিঝুম দ্বীপ -...অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্যি, তিনজনে প্রায় চার হাজার টাকা বাজেট ধরে নিঝুম দ্বী...
22/11/2019

- একদম কম খরচে চারদিনের নিঝুম দ্বীপ -
...অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্যি, তিনজনে প্রায় চার হাজার টাকা বাজেট ধরে নিঝুম দ্বীপ থেকে ফেরার পর দেখি জনপ্রতি আড়াই হাজার খরচ।

#কেনো_যাবেন_নিঝুম_দ্বীপঃ নিঝুম দ্বীপ গেলে আপনি একসাথে - সমুদ্র সৈকত, দ্বীপের অন্য এক পাশে সেন্টমারটিনের ফিল, সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট, নিঝুম দ্বীপের জাতীয় উদ্যান, হরিণের পালের দেখা, আর সেই সাথে ভরপুর প্রাকৃতিক দৃশ্য তো আছেই।

- #যাওয়াঃ ঢাকার সদরঘাট ঠিক একদম ৫ঃ৩০টায় এমভি ফারহান৩/ফারহান৪ লঞ্চে (১৫০টাকা ডেক ভাড়া) সকাল ৬টায় হাতিয়া। সেখান থেকে মাছ ধরা লঞ্চে সোজা নিঝুম দ্বীপ অথবা বাইকে (৩০০/৪০০টাকা) করে চলে যান ঘাটপার, সেখান থেকে নৌকায়(৪০টাকা) করে নিঝুম দ্বীপ। নিঝুম দ্বীপ তো আসলেন এইবার মূল বাজারে যাবার পালা তাই আবার বাইকে(১০০টাকা) করে চলে যান একদম আসল নিঝুম দ্বীপের নামারবাজার।

- #থাকাঃ থাকার জন্য নিঝুম দ্বীপে বর্তমানে হোটেল ভালো মানের হোটেল আছে। আমরা ছিলাম হোটেল দিপান্তরে, ডাবল বেড পার ডে ৯০০টাকা ভাড়া (চার/ছয় জন সহজেই থাকা যাবে)।

- #খাওয়াঃ হোটেলের কাছেই অনেক খাবার দোকান পাবেন, দামও খুব বেশি না একটা। সকালে পাবেন পরোটা/রুটি, দুপুরে ভাত আর টাটকা মাছ, মুরগী, সবজি, ডাল। সন্ধায় লুচি, আর রাতে দুপুরের মতই। (এখানে টাকার কথা বলব না, কারন খাওয়ার খরচ আপনার নিজের উপর, আমরা অনেক সাশ্রয়ী করে খাওয়ার খরছ করেছিলাম)
এছাড়া রাতে বারবিকিউ করতে পারেন সমুদ্রের পাড়ে, হোটেল সি-বার্ডের এক পিচ্চি ছেলের সাহায্য নিয়ে আমরা করেছিলাম। এছাড়া ওখানে সকালে/সন্ধায় ফ্রেশ খেজুরের রস খেতেও পারবেন, দাম গ্লাস প্রতি ১৫/২০টাকা।

- #প্ল্যানঃ ৩তারিখ রওনা দিয়ে ৪তারিখ সকাল ১০টায় নিঝুম দ্বীপ, হোটেল বুকিং করে ফ্রেশ হয়ে পাশেই ২/৩ মিনিটের পথ নিঝুম দ্বীপ জাতীয় উদ্যান, এরপর সূর্যাস্তের আগেই চলে আসুন সি-বিচে, সন্ধায় দিকে নামারবাজারে লুচি নাস্তা। এরপর বাজার ঘুরে রাতের খাবার খেয়ে ঘুম, সকালে নাস্তা করে ট্রলারে ৫০০/১০০০ টাকা দিয়ে চৌধুরী খাল, কামলার চর ঘুরে আসতে পারেন। দুপুরে এসে বাইক দিয়ে অন্য জায়গা ঘুরে আসুন। সন্ধায় নামারবাজার ফিরে এসে বারবিকিউ করে ফেলুন। এছাড়া আপনি রাতে নিঝুম দ্বীপে ক্যাম্পিং করেও থাকতে পারেন নির্ভয়ে।

- #আসার_খরচঃ কপাল কিংবা ভাগ্য ভালো থাকলে মাছ ধরার ট্রলার পেয়ে যেতে পারেন, আমরা পেয়ে গেছিলাম। মাত্র ২০০ টাকা দিয়ে নিঝুম দ্বীপ থেকে হাতিয়া চলে এসেছিলাম, নতুবা আগের মত প্রায় ৫/৬'শ খরচ করে ফিরতে হবে সড়কপথে। কিন্তু মাছ ধরা ট্রলার বেস্ট। কারন খুব উপভোগ করতে পারবেন চারিপাশ। এ এক নতুন অভিজ্ঞতা হবে। দুপুর সাড়ে ১২টায় হাতিয়া থেকে ঢাকার পথে লঞ্চ ছাড়ে। পরদিন ভোর ৫/৬টায় ঢাকার সদরঘাট।

- #জানা_প্রয়োজনঃ ১। দ্বীপে কারেন্ট থাকে না, রাত ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত, তাই পাওয়ার ব্যাংক নিয়ে যান। চার্জ করতে হলে বাজারে ভাড়ায় চার্জ কড়া যায়।
২। পিচ্চি-বাচ্চা কাচ্চা হতে দূরে থাকবেন ততই মঙ্গল, সি বিচ চিনতে হলে বাজারের মানুষদের জিজ্ঞেস করুন। পারলে গুগুল ম্যাপের সাহায্য নিন, যার কেউ নাই তার গুগল ম্যাপ আছে ;)
৩। রবি/এয়রাটেল/গ্রামীনের নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় চলার মত।

সবশেষে, দ্বীপের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করুন, যেখানে সেখানে খাবারের প্যাকেট ফেলা থেকে বিরত থাকুন আর দ্বীপের মানুষরা অনেক ভালো তাই তাদের প্রতি আন্তরিক থাকবেন এবং সামাজিকতা রক্ষা করে চলুন।। হ্যাপি জার্নি -


#নিঝুমদ্বীপ

একদিনের ভ্রমণে চাঁদপুর আসুন....!!!অল্প সময়ে এবং সল্প খরচে সুন্দর একটি ট্রিপ দিতে পারেন ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরে। লঞ্চ ভ্রমণ,...
20/09/2019

একদিনের ভ্রমণে চাঁদপুর আসুন....!!!
অল্প সময়ে এবং সল্প খরচে সুন্দর একটি ট্রিপ দিতে পারেন ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরে। লঞ্চ ভ্রমণ, মেঘনা নদীর মনোমুগ্ধকর দৃশ্য, খোলা বাতাস গায়ে লাগিয়ে চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছেন আর দেখছেন জেলেদের রুপালি ইলিশ ধরার দৃশ্য আর মনে মনে ভাবতে লাগলেন ইস! এখন যদি সরষে ইলিশ মাছের একটা তরকারি দিয়ে গরম গরম ভাত খেতে পারতাম। চিন্তার কোন কারন নেই? চাঁদপুর লঞ্চ থেকে নেমে যে কোনো হোটেলে গেলে ইচ্ছা মত পেট ভরে সরষে ইলিশ দিয়ে ভাত আর ইলিশ মাছের ডিমের ভুনা খেতে পারবেন। তারপর আছে তিন নদীর মোহনা,মিনি কক্সবাজার, ফরিদগঞ্জের রুপসা জমিদার বাড়ি ও বিখ্যাত আউয়ালের মিষ্টি এবং মতলবের ক্ষীর ও অনিন্দ্য সুন্দর মতলব বেড়িবাধ। বাজ পাখির চোখে দেখলে মনে হবে কোন দুর্ভেদ্য কেল্লা। সব মিলিয়ে খুব ভালো একটা রিফ্রেশমেন্ট ট্যুর হবে আশা করি।
ভ্রমণ নিয়ে আমার এক ধরনের ফ্যাসিনেশন বা মোহ কাজ করে।যখনই একটু সময় পাই তখনই ঘুরাঘুরি করতে বেড়িয়ে পরি। অনেক জায়গায় ঘুরা হলেও কখনো সে ভ্রমণের রিভিউ গুলো লেখা হয়ে ওঠে নাই। আর লিখার অভ্যাস ততটা নেই তারপরও ভ্রমন পিপাসুদের উপকারার্থে একটু না লিখলেই নয়। প্রথমেই আমার সুইট হোম প্রিয় জন্মস্থান চাঁদপুর ভ্রমণ রিভিউ নিয়ে আগে লিখতেছি আস্তে আস্তে বাকি ভ্রমণ গুলোর রিভিউ সময় পেলে লিখবো।
ঢাকা থেকে যেভাবে আসবেন:
সদরঘাট থেকে সকাল ০৭ টা থেকে ১ অথবা আধা ঘন্টা পরপরই লঞ্চ ছাড়ে৷ চাঁদপুর ঘাটে পৌঁছাতে সময় লাগে ৩ ঘন্টা থেকে ৩ ঘন্টা ৩০ মিনিট।
ভাড়াঃ
ডেক- ১০০ টাকা
চেয়ার- ১৫০ টাকা
কেবিন সিঙেল নন এসি- ৫০০ টাকা
ডাবল নন এসি- ৮০০ টাকা
এসি সিঙেল- ১০০০ টাকা
এসি ডাবল- ১৫০০ টাকা করি নিতে পারে।
চাঁদপুর লঞ্চঘাট নেমেই খিদা লাগলে খেয়ে নিতে পারেন খাবার হোটেল আছে কয়েকটা। ভাত,ডাল আনুষঙ্গিক নরমাল দাম আর ইলিশ প্রতি পিস ১২০-১৫০ টাকার ভিতরে নিবে।

ঘোরাঘুরির জন্য বেস্ট জায়গা:
১. বড় স্টেশন বা তিন নদীর মোহনা:
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে অটোতে করে চলে যান বড় স্টেশন জনপ্রতি ১০-১৫ টাকায়। বড় স্টেশনে নেমে খুব কাছ থেকে দেখতে পারেন তিন নদীর মোহনা। পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া এই তিন নদী মোহনা এখানে এসে এক হয়েছে। দর্শনার্থীদের জন্য বেস্ট একটি জায়গা। বড় স্টেশন পার্কে বসার জন্য জায়গা আছে। খেতে পারেন ফুচকা ও চটপটি। বিভিন্ন রাইড আছে ইচ্ছে করলে উপভোগ করতে পারবেন।
২. মিনি কক্সবাজার :
তারপর ভালো হয় ট্রলারে উঠে ঘুরতে চলে যান মিনি কক্সবাজার। খরা মৌসুমে পানি শুকিয়ে এলে এখানে বিশাল বড় চর জেগে ওঠে। কক্সবাজার এর মত দেখতে বলে মানুষ এর নাম দিয়েছেন মিনি কক্সবাজার। বড় স্টেশনের কাছেই ট্রলার থাকে। জনপ্রতি ৭০-১০০ টাকা করে। যাওয়া আসার ফি একবারই দিতে হয়। যাওয়ার পর যতক্ষণ ইচ্ছে সময় কাটিয়ে বিকেল ০৫:৩০ এর মধ্যে যেকোনো ট্রলারে ফেরা যায়। খুবই সুন্দর এবং উপভোগ্য ওখানে গিয়ে কেউ হতাশ হবেন না। সাথে ফুটবল আর গ্রুপ ট্যুর হলে তো কথাই নেই। চরে নেমে ইচ্ছে মতো খেলাধুলা করে নিলেন। নদীর পানিতে ঝাপাঝাপি করে গোসল সেরে ট্রলারে করে ফিরে আসুন বড় স্টেশনে।
৩. রুপসা জমিদার বাড়ি ও আউয়ালের মিষ্টি:
তারপর অটোতে চড়ে চলে আসুন চাদঁপুর বাস স্ট্যান্ডে। উঠে পড়ুন ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসে বা সিএনজি তে। ফরিদগঞ্জ বাজার এসে রোডের বাঁ পাশে রূপসা বাজারের লোকাল সিএনজি পাবেন। সিএনজি রুপসা জমিদার বাড়ির গেইটের পাশেই নামিয়ে দিবে। জমিদার বাড়িতে ঘোরাঘুরি শেষ করে সেখান থেকে ফিরে আসুন ফরিদগঞ্জ বাজারে। টমটমে উঠে আউয়ালের মিষ্টির দোকানে এসে নামাতে বলুন। দোকানের নাম আউয়াল সুইটস। এমন মিষ্টি কখনো খেয়েছেন কিনা তা মুখে নিলেই বুঝতে পারবেন। এক মিষ্টি খেয়ে চোখ বন্ধ করে বলবেন দেন, আর বিল দেয়ার সময় খেয়াল করবেন, কোন ফাঁকে খেয়ে ফেলেছেন আট-দশটা। প্রথম সাক্ষাতে আমি যে কয়টা খাইছিলাম তার কোন হিসাব নেই। ফরিদগঞ্জ গিয়ে আউয়ালের মিষ্টি না খাওয়া মানে অনেক কিছু মিস করা।
৪. মতলবের খীর ও অনিন্দ্য সুন্দর মতলব বেড়িবাধ:
ইনজয় করে এবার আসুন মতলবের ঐতিহ্যবাহী ক্ষীর খাইতে ও বেড়িবাধ ঘুরতে। ফরিদগঞ্জ থেকে সিএনজি করে চলে আসুন বাবুরহাটে সেখান থেকে মতলব বাজারের সিএনজি পাওয়া যায় ৪০ টাকা ভাড়া লাগবে আসতে। মতলব বাজার নেমে ঘোস কেবিন বা লক্ষ্মী নারায়ণ মিষ্টান্ন ভান্ডার বললেই মানুষ চিনিয়ে দেবে। এই দুই দোকানে মতলবের বিখ্যাত ভাল ক্ষীর পাওয়া যায়। ছোট খোরা বা পাতিল দেড়শ থেকে দুইশ টাকা খরচ নেবে আর কেজি পরবে ৩৫০-৪০০ টাকা এর মধ্যে। খেলেই বুঝবেন কি সুস্বাদু? আর কি মিষ্টি? কি মজা?
বাড়ি এসেও হাতে এই ক্ষীরের ঘ্রাণ পাবেন।
পরন্ত বিকেলে কিছু ভালো সময় যদি কাটাতে চান তাহলে চলে যান মতলব বেড়িবাধের উপর ঘুরতে। সাথে দেখা হয়ে গেল বাংলাদেশের ২য় বৃহওম সেঁচ প্রকল্প। সাথে দেখলেন বাঁধের ভিতরে গ্রামের অপরুপ সৌন্দর্য। মতলব বাজার থেকে একটু সামনে হাঁটলেই মতলব ফেরিঘাট। ফেরিঘাট থেকে নৌকা দিয়ে নদী পার হয়ে উঠে পড়ুন মতলব বেড়িবাধে। বাঁধের এক পাশ জুড়ে মেঘনা নদীর অববাহিকা আর অপর পাশ জুড়ে ধনাগোদা নদীর অববাহিকা। বেড়ি বাঁধের উপর বসে মেঘনা নদীর গর্জন শুনতে পারবেন। মেঘনা নদীর কূলে বসে ঠান্ডা বাতাস খেতে পারবেন। নদীর মৃদূ বাতাস আপনাকে একদম হিমশীতল করে দেবে। সারাদিনের ক্লান্তি আপনার নিমিষেই দূর হয়ে যাবে।
ফেরাঃ
ইচ্ছে করলে মতলব হয় ঢাকা যেতে পারেন আবার আপনি চাঁদপুর যেয়ে ঢাকা যেতে পারেন।
রুট-১: সিএনজি করে মতলব টু চাঁদপুর ভাড়া ৬০ টাকা নেবে। বিকাল ৪/৫/৬/৭ থেকে রাত ১২ আরো সময়ে লঞ্চ ছাড়ে।৩ ঘন্টায় চলে আসুন ঢাকার সদরঘাটে।
রুট-২: মতলব থেকে সিএনজি করে চলে আসুন সোজা দাউদকান্দি ব্রিজ ভাড়া ১৩০-১৫০ টাকা নিবে। দাউদকান্দি ব্রিজ থেকে বিআরটিসি বাসে করে গুলিস্তান আসা যায় সময় লাগে দুই ঘন্টা ভাড়া নিবে ১১০ টাকা।
একদিনের জন্য আশারাখি ভালো একটা ট্যুর হবে।
যাওয়ার সময় বাসার জন্য চাঁদপুরের তাজা ইলিশ, মতলবের খীর আর আউয়ালের মিষ্টি নিয়ে যেতে পারেন।
চাঁদপুর নিয়ে অতিরিক্ত জানার কিছু থাকলে প্রশ্ন কইরেন।উত্তর দিতে চেষ্টা করবো.....
চাঁদপুরের কিছু ফটো দিয়ে দিলাম,,,,
যেখানেই ভ্রমণ করুন ভালো কথা ময়লা ফেলবেন না। যেখানেই যাবেন ময়লা নির্দিষ্ট স্থানে পেলুন🙌
groups/150459332009708/permalink/1114349938953971/

 # # # # মহেরা জমিদার বাড়ি # # # #বিখ্যাত দার্শনিক সেনেকা বলেছেন, ভ্রমণ ও স্থান পরিবর্তন মনের মধ্যে নতুন  প্রানশক্তি তৈর...
05/09/2019

# # # # মহেরা জমিদার বাড়ি # # # #

বিখ্যাত দার্শনিক সেনেকা বলেছেন, ভ্রমণ ও স্থান পরিবর্তন মনের মধ্যে নতুন প্রানশক্তি তৈরি করে!

ব্যস্ত সময়ের ফাঁকে নিজেকে একটু এনার্জেটিক আর মনে প্রানশক্তি ফিরে পেতে ভ্রমণ পিপাসু এই আমি ঘুরে এলাম ঢাকার কাছের একটি জেলা টাঙ্গাইল এর মহেরা জমিদার বাড়ি থেকে...!!!

১৯৫০ সালের রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের মাধ্যমে জমিদারি প্রথা পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়।জমিদারদের বাড়ির মধ্যে টাঙ্গাইলের মহেরা জমিদার বাড়ি যে কারোরি মন ছুয়ে যাবে।১৮৯০ দশকের পূর্বে স্পেনের করডোভা নগরীর আদলে জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে জমিদার বাড়িটিতে পুলিশ ট্রেনিং স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করলে পরে ১৯৯০ সালে তা পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে উন্নীত হয়।

ভ্রমনের বিবরন: নির্দিষ্ট দিন আমরা ঢাকার মহাখালী বাসস্ট্যান্ড হতে নিরালা বাসে করে টাঙ্গাইলের উদ্দেশ্য রওনা হই।ভাড়া জনপ্রতি ১৬০ টাকা।এছারা বিনিময়, ধলেশ্বরী, ঝটিকা নামক লোকাল বাসে জনপ্রতি ১২০-১৬০ টাকা করে টাঙ্গাইল যেতে পারবেন।বাস সকাল ৮.৩০ এ ছেড়ে প্রায় ১১ টার মধ্যে টাঙ্গাইলের ডুবাইলে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার যাবার স্টেশন এ গিয়ে পৌছায়।সেখান থেকে ১৫ টাকা জনপ্রতি সিএনজি ভাড়া নিয়ে পৌছে যাই বহুল প্রত্যাশীত জমিদার বাড়িতে। চমকে গিয়েছি,,হ্যা চমকে গিয়েছিলাম বিশাখা দীঘির দর্শনে।এক কথায় ওয়াওওও...!!!সুবিশাল দীঘি জানান দিচ্ছিল জমিদার বাড়ির বিশালতা।যাই হোক জনপ্রতি ৮০ টাকার টিকিট কেটে বিশাল এক সুরম্য গেট দিয়ে প্রবেশ করি।ও মাই গড...!!! 😮 এ কোথায় এলাম,,এ যেন কল্পনাকেও হার মানাচ্ছে।সুবিশাল সব ভবন গুলো দাড়িয়ে যেন আমায় অভ্যর্থনা জানাচ্ছে,বলে দিচ্ছে জমিদার বাড়ির মাহাত্ম্য। চৌধুরী লজ,মহারাজ লজ,আনন্দ লজ,কালীচরন লজ সবগুলোই এককথায় মাইন্ড ব্লোইং।
পাসরাপুকুর,রানীপুকুর,,পার্ক,,চিড়িয়াখানা,,লেক, জাদুঘর কি নেই এখানে।রয়েছে সুন্দর বসার ব্যবস্থা,, আর্টিফিশিয়াল ফাউনটেইন,,আর পুলিশী নিরাপত্তা। ছিমছাম, পরিপাটি বাগান আর সবুজের সমারোহ মনে করিয়ে দেবে -আর কি চাই "আহা " কি চমৎকার...!!!

সবকিছু দেখা হলে মনটা বরাবরের মতই খারাপ হতে থাকে,কেননা এবার তো যেতে হবে।তখন মনে পরে যায় যেই বিখ্যাত গানটি

"না না না ছেড়ে দিব না
তোকে হৃদ মাঝারে রাখব ছেড়ে দিব না"
😔😔😔

বিকেলে ঢাকাগামী বাসে করে ফিরে আসি।জমিদার বাড়ি বেধে রেখেছে আমায় কোন এক অদৃশ্য শেকলে তাইতো যখন লিখছি এই কথাগুলি, নিজেকে আবিষ্কার করেছি সেথায়, হ্যা সেই "মহেরা জমিদার বাড়ি"...!!!

পরিশেষে বলব যেখানেই যাই কিনা,,পরিবেশটা ভাল রাখি,,ময়লা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলি।
নিজে ভাল থাকুন,অন্যকেও ভাল রাখুন...!!!

লিখেছেন: প্রান্ত মহশির

সবচেয়ে উঁচু পাথরের পাহাড় কেওক্রাডং। আমি আমার ভ্রমন কাহিনি লিখছি :D২০১৭'র কোন একরাতে ৯টা ৪৫মিনিটের শ্যামলী বাসে করে আমর...
04/09/2019

সবচেয়ে উঁচু পাথরের পাহাড় কেওক্রাডং। আমি আমার ভ্রমন কাহিনি লিখছি :D
২০১৭'র কোন একরাতে ৯টা ৪৫মিনিটের শ্যামলী বাসে করে আমরা ৫ জন বান্দরবান এর উদ্দেশে রওয়ানা হই। ভাড়া ৬২০ করে জন প্রতি।

ডে ১
৭.৩০ এ বান্দরবান পৌঁছাই আমরা। খাওয়া দাওয়া সেরে সকাল ৯.৩০ এ স্থানীয় বাস এ করে রুমা বাজার এর উদ্দেশে রওয়ানা হই।। জন প্রতি বাস ভাড়া ১২০ টাকা ।
যেহেতু আমরা সংখ্যায় কম ছিলাম তাই জিপ রিসার্ভ করিনি । সকাল থেকে এ গুরি গুরি বৃষ্টি হচ্ছিল বাস এ ওঠার পর বৃষ্টির পরিমান বাড়তে শুরু করল :( তবুও দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে রুমার পথে যাত্রা চলছিল । ১২ টার মধ্যে রুমা বাজার পৌঁছালাম । আহা সে কি বৃষ্টি :( । গাইড আগে থেকে এ ঠিক
করা ছিল আমাদের। তিনি বললেন বৃষ্টির কারনে রুমা থেকে বগালেক এর উদ্ধেশে যাওয়া সব জাতায়াত বন্ধ । একটা ই ওয়ে আছে , হেঁটে বগালেক যেতে হবে (১৭কি মি) :( ফার্স্ট টাইম তাই ভয় পাচ্ছিলাম । এবং সবাই আমার জন্য ই যেতে চাচ্ছিলনা । বলে রাখি , আমাদের গ্রুপ এ আমি একা
মেয়ে ছিলাম । তহ আমরা ভাবলাম এক দিন রুমা থাকি , কারন বৃষ্টি দুপুরের পরে অফফ হয়ে গিয়েছিল । আপনারা এমন পরিস্থিতি তে পড়লে রুমা থেকে সাঙ্গু নদী দিয়ে নৌকা করে রিঝুক চলে যেতে পারেন , এবং রাতে রুমা থাকতে পারেন ।

ডে ২;
পরের দিন সকাল এ আবার বৃষ্টি শুরু :( সবাই প্লান করছিল যে ১৭কি মি মেয়ে নিয়া ক্যামনে জামু, এক জন বলে cox's bazzar যাবে, এক জন বলে সিলেট যাবে >:( , আমি পাশের রুম থেকে শুনছিলাম >:( ফাইনালি husbend কে ডেকে বললাম " আসছি যখন তাহলে
যেমনে ই হোক বগালেক যাব ই, ৭ কি মি হোক র ১৭ কি মি হোক । তা না হলে বাসায় যাব ' এতক্ষণ এ আমাদের গাইড একটু সাহস পেল :D সো রওয়ানা শুরু করার আগে আর্মি ক্যাম্প এর কাজ সেরে দুপুর ১২ টার দিকে রওয়ানা হলাম বগালেক এর উদ্দেশে । হেঁটে ই পৌঁছালাম বগালেক। :D
রাস্তায় ২ বার নাস্তা বিরতি নিয়েছিলাম সবাই । মোটামুটি ভাল ই কষ্ট হয়েছিল আমার । কিন্তু বগালেক এর সৌন্দর্য দেখে সব কষ্ট কোথায় চলে গেল বুঝলাম ই না । আবার আর্মি ক্যাম্প এর কাজ সেরে লেক এ মগ কেটে গোসল টা সবাই ভাল ই উপভোগ করেছিলাম। ( লেকে কিছু accident
হওার কারনে লেকের ঘাঁট থেকে নিচে নামা নিষেধ, সো হাঁটু পানি তে ডুব দাও নয়তো মগ দিয়ে গোসল করো ) কটেজ আগে থেকে বুক করা ছিল । জন প্রতি ভাড়া ১৫০ । অতঃপর খাওয়া দাওয়া সেরে হালকা বিশ্রাম নিয়ে কেওক্রাডং এর প্লান বানালাম সবাই । আড্ডা তহ আছে ই । খাবার এ সবজি
তে জন প্রতি ১০০-১২০ এবং বন মুরগি তে ১৫০

ডে ৩;
সকাল সকাল হালকা নাস্তা করে আর্মি ক্যাম্প এর কাজ সেরে রওয়ানা হলাম স্বপ্নের কেওক্রাডং এর উদ্ধেশে । রাস্তায় পরবে বেশ কিছু ছোট বড় ঝর্না । লতা ঝর্না, চিংড়ি ঝর্না আর ও আছে নাম না জানা ঝর্না । গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির কারনে রাস্তায় অনেক জোঁক ছিল । রাস্তা পিচ্ছিল ও ছিল
অনেক । আনুমানিক ৬ ঘণ্টা হাঁটার পর পৌঁছালাম সেই স্বপ্নের কেওক্রাডং এ । রাস্তায় ১ বার নাস্তা করেছিলাম । সেদিন রাতে মেঘের সাথে থাকার প্লান করলাম সবাই :D কিন্তু ফ্রী তে র ও অনেক কিছুর সাথে থাকার ভাগ্য হয়ে গেল :D তারা হল সাপ এবং জোঁক । মোম জালিয়ে রাত পার করতে
হবে সেখানে। একটু কষ্ট হবে কিন্তু যা যা দেখতে পারবেন টা আপনার ট্যুর আজীবন স্মরণীয় রাখতে বাধ্য । খাবার সবজি তে ১৩০ এবং বন মুরগি তে ২০০ জন প্রতি । কটেজ এ ২০০ জন প্রতি ।

ডে ৪;
সকালের নাস্তা সেরে আর্মি ক্যাম্প এর কাজ সেরে রওয়ানা বগালেক এর দিকে । এবার কষ্ট কিছুটা কম , কারন এখন আপনাকে আপনার নিজের পায়ে ব্রেক লাগাতে হবে শুধু :D মানে হল, এখন শুধু পাহাড় থেকে নামার পালা। ৩ ঘণ্টায় বগালেক এসে পড়ি । রাতে সেদিন BBQ
করি । আড্ডা, গান, নাচ এবং আমাদের গাইড এর বানানো খাবার :D আহা...
ডে ৫; সকাল সকাল রওয়ানা হই জিপ এ করে যাত্রা শুরু করি রুমা পর্যন্ত । আর্মি ক্যাম্প এর কাজ সেরে খাওয়া শেষ করে বান্দরবন এর উদ্দেশে রওয়ানা হলাম ১.৩০ এ । বিকালে পৌঁছেগেলাম বান্দরবন । যেহেতু রাত ৯ টায় বাস তাই বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত বান্দরবন শহর ঘুরলাম এবং
বিভন্ন খাবার টেস্ট করলাম। অতঃপর রাত ৯ টার হানিফ বাস এ করে ঢাকা ব্যাক :)
খরচঃ ৬০০০ জনপ্রতি খরচ হয়েছিল ।

লক্ষণীয় বিশয়ঃ খুব বেশি জামাকাপড় নেবেন না। পাওয়ার ব্যাংক, ক্যাপ , মুজা , পানির বোতল , দরকারি মেডিসিন , তুলা সাথে রাখবেন। ট্র্যাকিংয়ের সময় কলা খাবেন অনেক , কলা আপনার পেশিকে কর্মক্ষম রাখবে । জোঁক এর জন্য লবন নিবেন সাথে । কোথাও কোন কিছু লিখে জায়গা
নষ্ট করবেননা। পাহাড়ি রা এগুলো পছন্দ করেনা । :)

#সাতক্ষীরা #ভ্রমন
লিখেছেন: জান্নাতুল ফেরদোউস

সাগরকন্যা কুয়াকাটা ট্যুর.🏝🏝এক বন্ধুর সাথে হঠাৎ কথোপকথন এ প্লান হয়ে করে ফেলি এবং ঐদিনই কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে রওনা দি. । ঢাক...
03/09/2019

সাগরকন্যা কুয়াকাটা ট্যুর.🏝🏝

এক বন্ধুর সাথে হঠাৎ কথোপকথন এ প্লান হয়ে করে ফেলি এবং ঐদিনই কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে রওনা দি. ।
ঢাকা টু বরিশাল এর লঞ্চে. 🛳
★★
লঞ্চ গুলো অনেক সুন্দর,
আপনার খারাপ লাগবে না এটা সিওর.
ডেকে ঢাকা টু বরিশাল (১৫০/২০০) ডেকে,
গ্রুপ করে গেলে ডেকে আড্ডা দিতে দিতে যাওয়া যায় আর টাকাও কম লাগে,
অন্যদিকে কেবিন -১০০০/
→ চাইলে আপনি স্টিমারে করেও আসতে পারেন, ( বাংলার ঐতিহ্য ) প্রায় দেড়শো বছর ধরে এগুলো বাংলার নদীতে চলছে।

বরিশাল লঞ্চঘাট থেকে রুপাতলী জনপ্রতি ১০ টাকা সেখান থেকে কুয়াকাটার বাস যায় ( জন প্রতি ২৪০/)
তা ছাড়া স্টিমারঘাটের ওখানেই ৭ টার দিকে বি আর টি সি বাস কাউন্টার থেকে কুয়াকাটায় বাস যায় (২৫০/) করে.

★★★ বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর সী-বিচ হচ্ছে কুয়াকাটা যা "সাগরকণ্যা নামে পরিচিত আর দেশের একমাত্র স্থান যেখান থেকে একই সাথে সূর্যউদয় এবং সূর্যাস্ত দেখা যায়.
বাস আমাদের কুয়াকাটা চৌ-মাথা নামিয়ে দেয়. সেখান থেকে আমরা কুয়াকাটা গেস্ট হাউসে যাই, আরো অনেক হোটেল আছে,
পাঁচ তারার হোটেল আছে.কিন্তু আপনি এখানে ৩০০/৫০০ তে খুব ভালো থাকার মত হোটেল পেয়ে যাবেন.
আমরা দুজন হোটেল এ যেয়ে ব্যাগ রেখে ফ্রেশ হয়েই বের হয়ে পড়ি সমু্দ্র দেখতে..সমুদ্রের গর্জন আর মিষ্টি অনর্গল বাতাস মন ভালো করতে বাধ্য.
( কেউ যদি কুয়াকাটা আর কক্সবাজার এর ভিতর তুলনা করেন তাহলে একটাই কথা তাদের জন্য - কক্সবাজার আর কুয়াকাটা তাদের নিজের বৈশিষ্ট্য এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নিজ নিজ থেকে সেরা)

★এরপর আমরা আশপাশ ঘুরি সমুদ্রের পাড় ধরে, কিছুক্ষণ হাঁটার পর আমরা একটা ভ্যানে চলে যাই রাখাইন পল্লী তে -
রাখাইনদেরজীবন যাত্রার মান তাদের দোকান তাদের হাতে বানানো পুলি পিঠা৷ আমরা দুটো পিঠা খাই ২০ টাকা ।
এরপর চৌমাথা আসি, চৌমাথার ডান পাশে একটু হেঁটেই পাবেন
★সোনার নৌকা, ৭২ ফুট লম্বা ২০০ বছর আগের নৌকা.
রাতে বীচের পাশেই আছে অনেক দোকান.
সেখান থেকে আমরা ২কেজির একটা টুনা মাছ ফ্রাই এবং বারবিকিউ করতে বলি ( দোকানদার ইউসুফ ভাই )
সাথে কাঁকড়া ফ্রাই ছিলো..( বড় ১০০ আর ছোট ৫০)
টুনা কেজি প্রতি ২৫০ টাকা( বারবিকিউ এবং ফ্রাই ওরাই করে দিবে) ,
অনেক দাম চাইবে একটু দরদাম করে কিনতে হবে..
সাথে আপনি রুটি নিতে পারেন ৫ টাকা করে প্রতি পিচ.→(ইউসুফ ভাইয়ের কাছে গিয়ে আমার আইডি দেখালেই ১০% ডিসকাউন্ট 😎)
রাত ১০ টা পর্যন্ত ছিলাম এরপর হোটেল এ এসে ঘুম দিলাম.
সকাল →
সকাল ৮ টা নাগাত বের হয়ে ইউসুফ ভাইকে ফোন দি তার বাইকে ঘুরবো বলে.
★★★
কুয়াকাটা তে টোটাল বিশটা স্পট আছে। সব মিলিয়ে ৮০০ টাকায় হয়ে যাবে. ১২টি প্যাকেজ এর জন্য ৪০০/৫০০ এবং বাকি ৮টি প্যাকেজের জন্য ৩০০। ( ওখানকার বাইক-য়ালারা একটু বেশিই চাবে, আপনার একটু দরদাম করে নিতে হবে)
বাইক নিয়ে সকাল ৮ টায় রওনা দিলাম সমুদ্রের তীর ধরে.. ।
নোট : অবশ্যই ঝিনুক টোকাতে গেলে পলিথিন নেওয়া বাধ্যতামূলক..। যেতে যেতেই প্রথমে আসে ঝাউবন.

★ঝাউবন
- যা আলাদা আকর্ষণ আনে.
এখান থেকে সূর্য উদয় খুব ভালো ভাবে দেখা যায়
কিছু দূর যাওয়ার পর আসে ঝিনুক বিচ.

★ঝিনুক বিচ
-আসলেই অনেক ছোট বড় ঝিনুক.🐚🐚
(মেইন বিচে ঝিনুক নেই বললেই চলে - এটা ঝিনুকের মৌসুম না )
এরপর আসে কাউয়ার চর. 😶

★কাউয়ার চর
ঝাউবন আর সমুদ্র সমুদ্র থেকে আসা কিছু সামুদ্রিক নৌকা তীরে উঠানো.

এরপর আসে গঙ্গামতি.. 😋
কাউয়ার চর আর মাঝ খানে একটা ক্যানেল আছে। বাইক প্রতি ৪০ টাকা।

★গঙ্গামতির চর🏝

ম্যানগ্রোব বনভূমি কিছুটা. ☺
আর সব থেকে বড় আর্কষণ নদী আর সাগরের মিলনকেন্দ্র । যেটা ভালো লাগতে বাধ্য.. 😘
বৃষ্টি ছিলো তাই আলাদা একটা সৌন্দর্য যোগ হয়েছিলো ♥

এর পর
★ লাল - কাঁকড়ার চর ( ক্র্যাব আইল্যান্ড)
দ্বীপে গেলে মনে হবে দূরদেশের কোন এক দ্বীপে চলে এসেছেন। অসাধারণ একটি সমুদ্র সৈকত আর তাতে অসংখ্য লাল কাঁকড়া । অনেক চেষ্টা করেও একটাও ধরতে পারি নি, ধরার আগেই গর্তে ঢুকে যায়.. চ্যালেন্জ হিসেবে নিতে পারেন 😎

এরপর আসি
★কুয়াকাটার কুয়া:
কুয়াকাটা নামকরণের পেছনে যে ইতিহাস আছে সেই ইতিহাসের সাক্ষী কুয়াটি এখনও আছে। এই কুয়াটি দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে রাখাইনদের বাসস্থল কেরাণিপাড়ায়। এপাড়ায় প্রবেশ করতেই প্রাচীন এ কুয়া দেখতে পাবেন।

কথিত আছে ১৭৮৪ সালে মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত হয়ে রাখাইনরা বঙ্গোপসাগরের তীরে রাঙ্গাবালি দ্বীপে এসে আশ্রয় নেয়। সাগরের লোনা জল ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় তারা এখানে মিষ্টি পানির জন্য কূপ খনন করে সে ঠেকে জায়গাটি ধীরে ধীরে কুয়াকাটা নামে পরিচিত হয়ে উঠে।

★সীমা বৌদ্ধ মন্দিরঃ
কুয়াকাটার প্রাচীন কুয়ার একটু সামনেই সীমা বৌদ্ধ মন্দিরের অবস্থান। কয়েক বছর আগে কাঠের তৈরি এই মন্দির ভেঙে দালান তৈরি করা হয়েছে। এই মন্দিরের মধ্যে রয়েছে প্রায় ৩৭ মন ওজনের অষ্টধাতুর তৈরি একটি প্রাচীন বৌদ্ধ মূর্তি।

★কেরানিপাড়া:
সীমা বৌদ্ধ মন্দিরের রাস্তা ধরে একটু এগিয়ে গেলেই রাখাইনদের আবাসস্থল কেরানিপাড়া। রাখাইন নারীরা কাপড় বুণনে বেশ দক্ষ এবং তাদের তৈরি শীতের চাদর অনেক আকর্ষণীয়।

★মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দিরঃ
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে রাখাইনদের আরেকটি গ্রাম মিশ্রিপাড়ায় বড় একটি বৌদ্ধ মন্দির আছে। জনশ্রুতি আছে এ মন্দিরের ভেতরে উপমাহাদেশের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ মূর্তি রয়েছে।
১০ টাকা করে নেয়. এই টাকাটা দিয়ে তারা সব ধর্মের বাচ্চাদের ফ্রিতে পাঠদান দিয়ে থাকে. ।
এর পর কুয়াকাটা মেইন বিচে এসে পড়ি.
বৃষ্টি হচ্ছিলো তাই শুটকি পল্লী এখন নেই, তাও একটু বলে রাখি

★শুঁটকি পল্লীঃ
জেলে পল্লীর অবস্থান কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পশ্চিম প্রান্তে। এখানে মূলত নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত শুঁটকি তৈরির মৌসুম চলে। সমুদ্র থেকে মাছ ধরে সৈকতের পাশেই শুকিয়ে শুঁটকি তৈরি করা হয়। চাইলে জেলেদের এই কর্মব্যস্ততা দেখে সময় কাটাতে পারেন।

আর কম দামে কিনে নিতে পারেন বিভিন্ন ধরণের পছন্দের শুঁটকি।
সবগুলো স্পট ভালো ভাবে ঘুরতে ৪-৬ ঘন্টা লেগে যাবে। আর একটি জায়গা আছে কিন্তু যাওয়া হয় নি সেটি হলো ফাতরার বন। কারন সময় কম ছিলো আমাদের

★ফাতরার বন:.
সমুদ্র সৈকতের পশ্চিম দিকে অবস্থিত নদীর অন্য পাড় থেকে ফাতরার বন শুরু। এ বনের রয়েছে সুন্দরবনের প্রায় সকল বৈশিষ্ট। এখানে বন মোরগ, বানর, বুনো শুকর ও নানান পাখি পাওয়া যায়। কুয়াকাটা থেকে ফাতরার বনে যেতে হলে আপনাকে ইঞ্জিন নৌকা ভাড়া করতে হবে।
এরপর বিচে আসলাম দুপুরে সমুদ্র স্নান করলাম, ওয়াটার বাইক রাইট, বিচ বাইকিং, বিচ মোটর বাইকিং করলাম..
ওটা একটু বেশি চায় কিন্তু ( ওয়াটার বাই ২জন -৩০০) বিচ বাইকিং এক কিলো (২০-৬০টাকা)
বিচ মোটর বাইকিং এক কিলো ১০০ টাকা..
সব মিলিয়ে দুজনার পাঁচ হাজার টাকার ভিতর কম্পিলিট হয়ে গেছে।
এগুলো করে আমরা রওনা দিলাম বিকেল পাঁচটার বাসে চিরচেনা ধূলাবালি যানজটের শহরে :)
বিদ্র : [প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আমরাই খুন করছি, তাই সচেতনতা তৈরি করতে হবে,যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলি।

লিখেছেন:আজিজুল হাকিম ইমন

#কুয়াকাটা #ভ্রমন
#বরিশাল

Address


Telephone

+8801815653564

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when বইয়ের রাজ্য posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Travel Agency?

Share