21/09/2022
আমাদের স্কুলে মেয়েদের দৌড়, লং জাম্প, নাচ-গান সহ অনেক ধরনের প্রতিযোগিতা হত। এলাকার সবাই স্কুলের মাঠের চারপাশে জড়ো হয়ে সেসব দেখত।
কোনদিন কাউকে বলতে শুনিনাই, কেন মেয়েরা লাফ ঝাপ দিবে, কেন তারা হাজারো মানুষের সামনে নাচবে যদিও অনুষ্ঠানগুলোতে অনেক দাড়ি টুপিওয়ালা মানুষও অতিথি হিসেবে থাকতেন। আমাদের দুজন ধর্মীয় শিক্ষক, যারা কিনা স্কুলের বিরতিতে নামাজ না পড়লে পিটিয়ে ছেলেদের ছাল তুলে ফেলতেন, তারাও থাকতেন। এলাকায় দাড়ি-টুপিওয়ালা মানুষের অভাব নাই। তারপরও এসবে কেউ কোনদিন বাধা দেয়নি, কেউ না।
অনেক ছেলেপেলে তখন অনুষ্টান গুলোতে আগ্রহ নিয়ে যেত যৌন কামনা নিয়েই। সদ্য কিশোরী, ষোড়শী মেয়েগুলা দৌড়াচ্ছে, শাড়ি পড়ে নাচছে এসব তাদের আনন্দ দিত। এখানে শুধু মুসলমানদের ছেলে যে ছিল তা না কিন্তু, অন্য ধর্মের ছেলেও বহু ছিল। এখন কোন দাড়ি টুপি ওয়ালা মুরুব্বি কিংবা কোন হিন্দু মুরুব্বিদের যদি এসব দৃষ্টিকটু লাগে, সে বলতেই পারে এসবের দরকার নাই।
এইযে আমাদের মেয়েরা সাফ চ্যাম্পিয়ন হল, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। এ উপলক্ষে পুরো দেশ যখন আনন্দে মত্ত, সেকুলাংগাররা এটাকে দেখানো শুরু করল ইসলামের বিপক্ষে বিজয় হিসেবে। সাধারন মানুষের আনন্দের একটা দিনকে এরা মোড় দিল সেন্সিটিভ একটা ইস্যুতে। যদিও মেয়েগুলোর মধ্যে অনেকে মুসলমানও আছে, যারা মোটেও সেদিন ধর্মের বিরুদ্ধে খেলছে বলে মনে করার প্রশ্নই আসেনা। অন্য ধর্মের মেয়েরাও এটা ভাবেনি।
হুজুররা খারাপ , তারা তাদের মতাদর্শ অন্যের উপর চাপিয়ে দিতে চায় বলে ঠিক কোনদিক থেকে নিজের মতাদর্শ এরা নিজেদের মধ্যে রাখছে তা তো স্পষ্টই বুঝা যায়।