07/10/2023
আপনি কি ভ্রমণ পছন্দ করেন?
প্রকৃতি আপনাকে কতটা টানে?
আমার কি এই ইট পাথরের কুঠুরিতে আটকে থাকার কথা! রুটিন করে সকাল সন্ধ্যা অফিস, বন্ধের দিনে বাজার করা আর ঘুমিয়ে কাটানো!
নাকি আমি প্রকৃতির সন্তান,আর দশটা জীবন যে ভাবে প্রকৃতির কোলে বেড়ে ওঠে গন্ত্যবে পৌঁছে আমি চাইলে কি, তা সম্ভব?
এই অধুনা মানসিকতা, এই সমাজ, জন্মের পর থেকে অভ্যস্ত হয়ে ওঠা নাগরিক জীবন ব্যবস্থা।
আমি কি এ বন্ধন ছিন্ন করে চাইলে ই প্রকৃতির সন্তান হয়ে উঠতে পারবো?
না।
কেন?
কারণ আমি জন্মের পর, প্রকৃতির সান্নিধ্যে যেতে পারিনি, আমি প্রকৃতি কে জানতে পারিনি চিনতে পারিনি।
তবে আমি কি না জেনেই, ধীরে ধীরে
অসীমের পথে হারিয়ে যাব।
যদি বলি না!
আশ্চর্য না হলে, আপনাকে আমরা বলতে চাই প্রকৃতিকে জানতে ও বুঝতে চাইলে আমাদের প্রতিষ্ঠান আপনার ইচ্ছে পূরণ করতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে।
সবুজ বৃক্ষ,
সবুজ পত্ররাজি,
উঁচু পাহাড়,
মেঘের কোলাকুলি,
আর নাম না জানা পাহাড়ী পোকা
ও বাহাড়ী পাখির গান,
সাগর পাড়ের রূপসী কন্যা,
আমার প্রিয় বান্দরবান।
মৌরইতং ইকো রিসোর্ট আপনার ভ্রমণ পিপাসা ও প্রকৃতির সুধা আহরণের পূর্ণতা দিতে প্রস্তুত।
আমরা আপনাকে নিয়ে যাবো প্রকৃতির কোলে, যেখানে আসন পেতে মায়ের মত বসে আছে পাহাড় নদী ও ঝর্ণা।
যেখানে পরম যতনে প্রকৃতি সুদীর্ঘ কাল থেকে ছায়া জল বায়ু দিয়ে লালন করছে তার সন্তানদের।
পাহাড়ের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে, জীবন বৈচিত্র্যে ভরপুর পাহাড়ী আদিবাসী গ্ৰাম।
বান্দরবান এ প্রায় এগারো টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী জাতী ভাষা ও সংস্কৃতির বিশাল ঐতিহ্য ও বৈচিত্র্যময় ধারা বয়ে নিয়ে মিশে আছে প্রকৃতির সাথে।
আমরা আমাদের এ বারের আয়োজন পরিচয় করিয়ে দিব প্রায় পাঁচশ বছর ধরে পার্বত্য চট্টগ্রাম এ বসবাস করছে এমন একটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের সাথে,ম্রো বা মুরং।
ধর্মীয় বিশ্বাস এ এরা অধিকাংশ বৌদ্ধ বা খ্রিষ্টান হলেও অনেক এ তাদের পুরনো ধর্ম বিশ্বাস ক্রামা ধর্ম পালন করে। তবে এর বাইরে ও তারা নিজেদের কে প্রকৃতির সন্তান হিসেবে পরিচিত করাতে সম্মানীত বোধ করেন।
আমাদের এ বারের আয়োজন এ আমরা ছয়জনের একটি দল নিয়ে বান্দরবান হতে মৌরইতং ইকো রিসোর্ট এর উদ্দেশ্য যাত্রা করবো এ মাসের ছাব্বিশ তারিখ সকাল দশটায়, দুপুর বারোটা নাগাদ আমাদের এ দল বান্দরবান থানচি সড়কে অবস্থিত (নীলগিরির পাঁচ কিলোমিটার আগে) মৌরইতং ইকো রিসোর্ট পৌঁছে যাবে।
সেখানে বিশ্রাম ও দুপুরের খাবার শেষে, এ অভিযাত্রী দল কে আমরা উপহার দেবো ঐতিহ্যবাহি ম্রো সম্প্রদায়ের পোশাক,দলে যারা আগ্ৰহী সদস্য চাইলে এ পোশাক পরিধান করে
আমাদের গাইডের সাথে যাত্রা করবেন
আমাদের ইকো ভিলেজ গ্যালিঙ্গায়।
সন্ধ্যার পূর্বে পৌঁছে যাবেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য্যে ভরপুর এই উপত্যকায়।
প্রয়োজনীয় বিশ্রাম ও সাঙ্গু নদীর পাড়ে বেড়ানো শেষে রাতের খাবারের আয়োজন।
এ আয়োজনে আপনি স্বাদ নিতে পারবেন ঐতিহ্যবাহি পাহাড়ী খাবার বাশঁপরুল এর সবজি, বেম্বো চিকেন,
দেশীয় ডাল ও জুমের চালের ভাত।
রাতে গল্প আড্ডা ও ঘুম তাঁবুতে বা মাচাং ঘরে।
সকালে থাকবে তোকমার শরবত, পাহাড়ী বিন্নি চালের খিচুড়ি ডিম ভাজি ও তেঁতুলের আচার।
সকাল দশটায় নৌকা ভ্রমণ ও রিজুক ঝর্ণায় বেড়ানো।
দুপুর এ ইকো ভিলেজ এ ফিরে এসে,
দুপুরে খাবার এ থাকবে,
পাহাড়ী ভ্যাট বেগুন ও কলার মোচার ভর্তা, চিকেন ঝাল ফ্রাই ও মুশুর ডালের চরচটি আর সাদা ভাত।
দুপুরে ইকো ভিলেজ প্রাঙ্গনে ম্রো সম্প্রদায়ে আদিবাসীদের সাথে পরিচিতি সভা মতবিনিময়।
বিকেলে আদিবাসী গ্ৰামে ঘোরাঘুরি ও নাস্তা হিসেবে থাকবে পাহাড়িদের প্রিয় খাবার মুন্ডী এবং সন্ধ্যায় ম্রো সম্প্রদায়ে ঐতিহ্যবাহি বাঁশের বাঁশীর পরিবেশনা ও সঙ্গীতায়োজন।
রাতের খাবারে পরিবেশন করা হবে খাঁটি মধু,গরুর দুধ, পাকা সূর্যমুখি কলা,
পাহড়ে উৎপাদিত সবজি, কলার ভর্তা, সাঙ্গু নদীর মাছের চড়চড়ি, জুমের চালের ভাত, ডাল ।
পরদিন সকালে পেঁপের জুস,বিন্নি চালের খিচুড়ি ও মুরগীর মাংস ঝাল ফ্রাই।
সকালের নাস্তা শেষ করে নৌকা যোগে বলিপাড়া হয়ে বান্দরবান।
প্রাপ্ত বয়স্ক বাংলাদেশী নারী পুরুষ যে কেউ চাইলে আমাদের এ আয়োজন শামিল হতে পারেন।
আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে ছয় সদস্যের একটি দল।
আগ্ৰহি অভিযাত্রী গন ইনবক্সে যোগাযোগ করুন।
ধন্যবাদ।