20/07/2024
সমন্বয়কদের পাওয়া গেছে।
সারজিস সহ যে তিন জনকে মন্ত্রীদের সাথে আলোচনার ওখানে দেখা গেছে তারা আসিফ, নাহিদ বা অন্যান্য সমন্বয়কারীদের সাথে আলাপ করে যায় নাই।
আন্দোলনের সমন্বয়কেরা (আসিফ, নাহিদরা) দেখছে সারজিসের দাবীগুলো। আসিফ, নাহিদরা নিজেদের প্রকৃত ৯ দফা দাবী বিভিন্ন মিডিয়ায় পাঠিয়েছে। সেগুলো প্রিন্টিং মিডিয়ায় ছাপতে দিলে আজকে ডকুমেন্টেড আকারে পাওয়া যাবে।
তাদের দাবীগুলোর মধ্যে
-প্রথম দাবী শতাধিক হত্যার দায় স্বীকার করে শেখ হাসিনাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে
-দ্বিতীয় দাবী ওবায়দুল কাদের আর আসাদুজ্জামান খানকে পদত্যাগ করতে হবে
-তৃতীয় দাবী ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেজুড় বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে ছাত্র সংসদ চালু করতে হবে -চতুর্থ দাবী যে সকল এলাকায় শিক্ষার্থীদেরকে মেরে ফেলা হয়েছে সে সকল ডি আই জি, এসপিদের চাকুরি থেকে বহিস্কার করতে হবে।
বাকি মাইনর দাবীগুলো শুধু সারজিস পেশ করেছে যে ভিসি, প্রক্টরকে অপসারণ, মামলা প্রত্যাহার, শহীদদের ক্ষতিপূরণ এগুলো।
আনুষ্ঠানিকভাবে আন্দোলনের সমন্বয়কেরা শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবী করতে পারবে না, এটা তাদের কাজও না। তারা যে পর্যন্ত নিয়ে আসছে বাকিটা ছাত্র জনতারই করতে হবে। তবে তাদের যে দাবীগুলো সেগুলোও যে শেখ হাসিনা পূরণ করবে না এটাও বুঝাই যাচ্ছে। তারাও দাবীগুলো সেভাবেই সেট করছে।
প্রবাসে এত আন্দোলন ও সংহতি হচ্ছে শুনে সমন্বয়কেরা ধন্যবাদ জানিয়েছে, চাপ অব্যহত রাখার অনুরোধ করেছে।
কারফিউ জারির পরেও অনেক যায়গাতে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। আজকে বুঝা যাবে আন্দোলন কেমন মাত্রা পায়। গতকাল পর্যন্ত ছাত্র জনতার আন্দোলন স্বতঃফূর্ত। ঢাকার বেশির ভাগ থানাতেই আগুন দিয়ে দিয়েছে, পালিয়ে গেছে পুলিশ এলাকা ছেড়ে। এজন্যই কার্ফিউ আর সেনাবাহিনী নামাতে হয়েছে সরকারকে।
গতকাল পুলিশ দেখলেই জনগণ নিজ থেকে একত্রিত হয়ে হামলা চালিয়েছে। মূল কথা কোটা সংস্কার আন্দোলন সরকার পতনের আন্দোলনে পরিণত হয়ে গেছে, গণযুদ্ধে রূপান্তরিত হয়ে গেছে এই আন্দোলন। এখন সমন্বয়কেরা কি দাবী জানালো তার একটা নৈতিক ভিত্তি হয়তো আছে, কিন্তু বাস্তবে জনগণ তার পনেরো বছরের ঘৃণা প্রশাসনের উপরে পুরোপুরি ঢেলে দিচ্ছে। হাসিনার পতন দিয়েই শেষ হতে হবে এই যুদ্ধ।