12/11/2020
সাজেক ভ্যালী ও খাগড়াছড়ি ভ্রমণ।
(৩ রাত ২ দিন)
ভ্রমণের সময় সূচীঃ
১৯-২১ & ২৬-২৮ নভেম্বর , ২০২০
যোগাযোগ : 01715313070 & 01720070708
ভ্রমণের খড়চ:-
জন প্রতি @ ৫০০০/ নন এসি বাস এবং ৪ জনের রুম শেয়ার।
জন প্রতি @ ৫৪০০/- নন এসি বাস ৩ জনের রুম।
জন প্রতি@৫৭০০/- নন এসি বাস এবং কাপল রুম।
এসি বাসের জন্য জন প্রতি ১০০০/- যোগ হবে।
☛যাত্রার তারি ১৯ নভেম্বর রাত ১০৪৫ টায়
☜ফেরার তারিখ ২১ নভেম্বর রাত ০৯০০ টায়
================================
১৯ নভেম্বর , ২০২০ ইং তারিখ রাত ১০৪৫ ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে।
প্রথম দিনঃ ২০ নভেম্বর,২০২০ ইং তারিখ
ভোর ৬ টায় আমরা খাগড়াছড়ি পৌছে ব্রেকফাস্ট করে নিব। তারপর সাজেকের উদ্দ্যেশ্যে রওনা দিব সকাল ০৯০০টায়। খাগড়াছড়ি থেকে সাজেকের দূরত্ব কমবেশি ৭৫ কিমি, সময় লাগে মোটামুটি ৩ ঘন্টা। পথি মধ্যে বাঘাইহাট নামক স্থানে সেনাবাহিনীর স্কটের জন্য অপেক্ষা করব সকাল ১০৩০ টার সময় স্কট স্টার্ট করবে সাজেকের উদ্দ্যেশ্যে। রাস্তার দুই পাশে উচু নিচু পাহার আর সবুজের বুক চীড়ে এগিয়ে যেতে থাকবে গাড়ি। ও হা! একটা তথ্য জানানো প্রয়োজন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জেলা রাঙ্গামাটি, আর রাঙ্গামাটি জেলার একটি উপজেলা হলো বাঘাইছড়ী, যা আয়তনে মেহেরপুর জেলার সমান। আর সাজেক এই বাঘাইছাড়ী উপজেলার একটি ইউনিয়ন, যা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন। গাড়ি যতই সামনের দিকে এগুতে থাকবে ততি পাহাড়ের উচ্চতা বাড়তে থাকবে। এর আগে আমরা মাসালং ব্রীজ ক্রস করব, এখানে দুইটি নদী একত্রে মিলিত হয়েছে, কথিত আছে এই দুই নদী দুই ভাই বোন একটির নাম গঙ্গারাম আর একটি মাসালং যা একত্রে মাসালং নদী হয়ে কাপ্তাই লেকে গিয়ে মিশেছে। পথের দুই ধারে পাহাড়ি শিশুরা হাত নেড়ে আপনাকে অভ্যর্থনা যানাবে যা আপনার মনকে ছুঁয়ে যাবে। শেষের ৬ কিমি গাড়ি শুধু উপরের দিকে উঠতেই থাকবে এভাবে একসময় আপনি এসে পৌঁছবেন মেঘের দেশ সাজেকে। আসলে একটু ভাল করে অনুভব করলে দেখবেন হয়তো আপনার ভ্রমণের পুরো আনন্দটাই পেয়েযেতে পারেন এই যাত্রা পথেই। সাজেকে পৌঁছে কটেজে চেকিন করব। তারপর ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার খাব। বিকেলে চলে যাব সাজেকের সবচেয়ে ঊচু পাড়া কংলাক পাড়ায়। রাত ০৮৩০ টায় সবার অংশ গ্রহনে B-B-Q ডিনার করে ঘুমিয়ে পরব।
দ্বিতীয় দিনঃ ২১ নভেম্বর, ২০২০ ইং তারিখ
খুব ভোরে উঠে সাজেকে সূর্যউদয় উপভোগ করে সকালের নাস্তা করে আবার ১০৩০ টার স্কটে খাগড়াছড়ির উদ্দ্যেশ্যে রওনা দিব। খাগড়াছড়ি এসে দুপুরের খাবার খেয়ে, বিভিন্ন টুয়রিস্ট স্পট দেখতে বেড়িয়ে পরব।
১. রিসাং ঝর্না।
২. আলুটিলা রহস্যময় গুহা।
৩. জেলা পরিষদ ঝুলন্ত ব্রীজ, ইত্যাদি দেখে শহরে ফিরে, শপিং পর্ব সেরে ডিনার করে রাতের বাসে ঢাকার উদ্দ্যেশ্যে রোনা দিব। পরদিন ভোর ৫ টার মধ্যে ঢাকায় থাকব ইনশাআল্লাহ্।
*********************************************
□যা যা থাকছে ভ্রমণ খড়চের মধ্যেঃ
১. ঢাকা-খাগড়াছড়ি-ঢাকা নন এসি/ এসি বাসের আপডাউন টিকেট।
২. চান্দের গারি ২ দিন রিসার্ভের খড়চ।
৩. ১ রাত কাঠের কটেজে থাকার খড়চ ও প্রতিদিন ৩ বেলা খাবার।
৪. চান্দের গারির ড্রাইভার ও হেল্পারের থাকা ও খাবারের খড়চ।
৫. সাজেকে প্রবেশ ফী।
৬. আলুটিলা প্রবেশ ফী।
৭. জেলা পরিশধ ঝুলন্ত ব্রীজে প্রবেশ ফী।
কটেজ: হিলভিউ, দারজিলং, গ্রান্ড সাজেক, এভারেস্ট, রিল্যাক্স সাজেক অথবা সমমানের কটেজ।
□বুকিং এর নিয়মঃ
বুকিং চার্জ জন প্রতি ২৫৫০/- টাকা প্রাদান করে আপনার আপডাওন বাসের টিকেট বুঝে নিন।
□শিশু পলেসিঃ ৩ বছর পরযন্ত সম্পূর্ণ ফ্রী, ৩-৬ বছর ৭৫% দিতে হবে সেক্ষেত্রে বাসে সিট পাবে কিন্তু কটেজে বাবা মার সথে থাকতে হবে। আলাদা বেড নিলে ১০০% প্যাকেজ প্রাইস দিতে হবে।
----------------------------------------------------------------------
সরাসরি অফিসে এসে বুকিং দিতে পারেন।
অফিস ঠিকানাঃ
Mobile No: 01715313070, 01720070708
□তথ্য সমুহঃ
১. প্রতি জীপে ১২ জন।
খাবারের মেন্যুঃ
★ প্রথমদিনঃ-
সকালের নাস্তাঃ ডিম, সব্জি, পরটা, চা।
দুপুরের খাবারঃ বেম্ভু চিকেন, পাহাড়ি মিক্সড শব্জি, ডাল, সাদা ভাত।
রাতের খাবারঃ মুরগির B-B-Q, পরটা, সস সালাদ কোলড্রিংকস।
★ দ্বিতীয় দিনঃ-
সকালের নাস্তাঃ ভুনা খিচুড়ি, ডিম ভুনা, সালাদ।
দুপুরের খাবারঃ টাকি মাছের ভর্তা, লাও চিংড়ি, হাঁসের/দেশি মুরগির মাংশ/ গরুর মাংশ ডাল, ভাত ও মিনারেল পানি।
রাতের খাবারঃ টাকি মাছের ভর্তা, লাও চিংড়ি, হাঁসের/দেশি মুরগির মাংশ/ গরুর মাংশ ডাল, ভাত ও মিনারেল পানি।
□যাযা ভ্রমণ খড়চের মধ্যে থাকবেনাঃ
১. বাসের যাত্রা বিরতির খাবার।
২. উল্লিখিত ভ্রমণ পথের তুলনায় অতিরিক্ত ঘুরে বেরানোর খড়চ।
৩. প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভুমিধস, রাস্তা অবরোধ, এর কারনে উদ্ভুত কোন খড়চ ক্রেতা বা ভোক্তাকে ঘটনা স্থলেই বহন করতে হবে
দ্রষ্টব্যঃ
১. বুকিং এর টাকা অফেরত যোগ্য।
২. যাত্রার ৪ দিন আগে অবশ্যই পুরো টাকা পরিশোধ করতে হবে।
৩. ভ্রমণ কালে মালা মাল নিজ দায়িত্বে রাখবেন, মালা মাল বা ব্যাগ, ক্যমেরা, মোবাইল ফোন ইত্যাদি হারালে বা খোয়া গলে এর দায় ভার Fast Trade and Travels নিবেনা।
৪. বাস এবং বাসের সিট নিয়ে কোন প্রকার কমপ্লেইন গ্রহন যোগ্য নয়। এ ক্ষেত্রে আগে বুকিং দিলে আগে পাবেন ভিত্তিতে বাসের সিট বন্টন হবে এবং অবশ্যই সিনিয়র সিটিজেন অগ্রাধিকার পাবে।
৫. ভ্রমণ কালে যে কোন ধরনের সমস্যা হতে পারে, এগুলো ধৈর্য্য সহকারে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। বাস দেরিতে আসার দায় কোনভাবেই Fast Trade and Travels নিবেনা।
৬. খিটখিটে স্বভাবের লোক এই ধরনের গ্রুপ ভ্রমণে না যাওয়াই উত্তম।
৭. ভ্রমণে যাওয়া আসার বাস পরিবর্তন হতে পারে।
Fast Trade and Travels: উদ্ভুত যে কোন কারনে ট্যুর প্ল্যান পরিবর্তন ও ট্যুর বাতিল করতে পারে।
উপরিউক্ত সকল বিষয় বিবেচনা করেই আপনার বুকিং নিশ্চিত করবেন।
□নোটঃ প্রতি মাসেই সাজেক এ আমরা ট্যুর প্রিচালনা করি।