28/08/2023
মেহেরপুর জেলা। আমাদের দেশের সবচেয়ে ছোট এবং সুন্দর একটি জেলা। যেখানে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত অনেক স্থাপনা আর অনেক জায়গা। মেহেরপুর জেলা আগে কুষ্টিয়া জেলার অন্তর্গত মেহেরপুর মহকুমা নামে পরিচিত ছিল। ১৯৮৪ সালে কুষ্টিয়া জেলা থেকে আলাদা করে মেহেরপুর জেলাকে পূর্নাঙ্গ জেলাতে রূপান্তরিত করা হয়।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে ১৭ এপ্রিল অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ করে। এই জায়গা পরে মুজিবনগর নামে নামকরণ হয় আবার মুজিবনগর সরকারের রাজধানী হিসাবে ঘোষিত হয়। এই মুজিবনগরে রয়েছে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মানচিত্র।
আপনি খুব সহজেই মেহেরপুর জেলা থেকে ঘুড়ে আসতে পারবেন। বাসে করে আপনি ঢাকার কল্যাণপুর থেকে শ্যামলী, এসবি, সনি এই সব বাসে যেতে পারবেন। আর যদি ট্রেনে যেতে চান তাহলে কুষ্টিয়া / চুয়াডাঙ্গা নেমে যেতে হবে। বাসে মেহেরপুর সদরে নেমে সেখান থেকে ভ্যান অথবা অটোতে করে সহজেই মেহেরপুরের মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে যেতে পারবেন। যাওয়ার সময় চারপাশে সঙ্গ দিবে মনোমুগ্ধকর আমবাগান আর লিচু বাগান। আমরা অটো রিজার্ভ নিয়ে মুজিবনগর গিয়েছিলাম সদর থেকে। আবার সেখানে ভিতরে প্রবেশ করে ৩-৪ ঘন্টা ঘুড়ার জন্য ১০০ টাকা দিয়ে ভ্যান ভাড়া করেছিলাম। সেই ভ্যানে করে আবার আমরা সবাই বর্ডার দেখতে গিয়েছিলাম। মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ থেকে আসার সময় ভ্যানওয়ালাকে ভালো মানের খাবারের হোটেল দেখিয়ে দিতে বলাই ভ্যানওয়ালা আমাদেরকে একটা ঘরোয়া হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে আমরা ছোট মাছ, ভর্তা, ডিম, ডাল, গরুর মাংস দিয়ে ভাত খেয়েছিলাম। তবে খুব বেশি ভালো লাগছে সেখানের পানি। যা অনেক ঠান্ডা আর স্বাদ লেগেছে। চট্টগ্রাম থেকে গিয়েছি শুনে আতিথেয়তা পেয়েছি অনেক। দুপুরের খাবারের পর আমাদের বসতে দিল বড় একটি আম বাগানে। আম বাগানে বসে আমরা রং চা খেয়েছিলাম।
পুরো একটি গ্রাম্য শহর।
১ম পর্ব- মেহেরপুর