13/04/2022
৬ মাসের মাল্টিপল ট্যুরিস্ট ভিসা পেলুম! [ IVAC, JFP ]
জমা : ০৬/০৪/২২ ➡️ ডেলিভারি : ১২/০৪/২২
২০১৪ তে আজমির গিয়েছিলাম শুধু । ২০১৫,২০১৬ তে আরো ২ বার ট্যুরিস্ট ভিসা পেয়েও খানিক অসুস্থতার কারনে যাওয়া হয়নি।। এবার তাই একটা Apology Letter জমা দিয়েছিলাম সাথে আমার অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে। যদিও এটা বাধ্যতামূলক কিনা জানা নেই, আমি সতর্কতা স্বরুপ দিয়েছি, ক্ষতি নেই দিলে।
🛂 কি কি জমা দিয়েছি (সিরিয়ালি সাজাবেন)
(১) ভিসা আবেদন পত্রের কপি (২*২ ছবি আঠা দিয়ে লাগিয়ে, সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড )
(২) NID ফটোকপি
(৩) তিতাস গ্যাস বিলের ফটোকপি (ঠিকানা হুবহু মিল আছে এমন), আমার বাসার কারেন্ট মিটার প্রি পেইড তাই গ্যাস বিল
(৪) ব্যাংক স্টেটমেন্ট-মূল কপি-৬ মাস (৪০ হাজার টাকা ছিলো আমার, ২০ হাজার থাকলেই হয়), ডলার ও এনডোর্স করা ছিলো ৩০০০ USD আগেই অন্য কারনে। খালি স্টেটমেন্ট থাকলেই চলে
(৫) আমার পেশাগত প্রমানপত্র :
আমি একজন চিকিৎসক তাই আমার যা লেগেছে ( NOC-যেখানে চেম্বার করি ওখান থেকে, BMDC Reg Certificate photocopy , Dhaka University MBBS Certificate photocopy, Prescription Pad, Visiting Card)
অন্যদের জন্য : চাকুরিজীবি (NOC), ব্যবসায়ী (Trade License)
(৬) পাসপোর্টের কপি ( ২য় & ৩য় পেইজ)
(৭) লাস্ট ভিসার কপি
🚫ভ্যাক্সিন সার্টিফিকেট কপি লাগেন
🚫 টাকা জমা দেয়ার রশিদ কপি লাগেনা
✅চেষ্টা করবেন ডকুমেন্টস পিন না মেরে পেপার ক্লিপ দিয়ে লাগাইতে। ছবি লাগাবেন আঠা দিয়ে
✅ আমি ফর্ম পুরন করছি আগেরদিন রাতে, এলাকার কম্পিউটার দোকান থেকে। নিজেই করতে পারবেন চাইলে বাসায় ivac app এ।
✅ আবেদনপত্রের ছবি তুলেছি আগেরদিন রাতে, রিসেন্ট ছবি না হলে ঝামেলা করে শুনেছি। ছবি আইকা দিয়ে লাগাবেন উপরে ডান পাশে। সবাই রিসেন্ট ছবি এ তুইলেন ২*২ সাইজ
✅আবেদন পত্রে দুইটা স্বাক্ষর লাগে, আশেপাশের অনেকেই ভুলে করেনাই দেখলাম। করে নিবেন সাইন , পাসপোর্ট এ যেভাবে আছে ওভাবে
✅ Visa Fee : ৮২৪ টাকা আগেরদিন রাতে ivac app এ ঢুকে নিজেই দিসি bKash থেকে। bKash/Nagad/Credit Card সব অপশন ই আছে। মানি রিসিপ্ট নেয়া লাগেনা, তাও প্রিন্ট করে সাথে রাখা ভালো। sms পাবেন টাকা জমার। আগে দিয়ে যাওয়াই ভালো আমি মনে করি। গিয়ে ওখানে ঝামেলার দরকার কি ? তবে ওখানেও বাইরে দেয়া যাবে jfp, কিন্তু ভীড় হবে
📗📗📗📗 জমা : ০৬/০৪/২২ ইং : IVAC, JFP
=======================
✅ সকাল ১০ টায় লাইনে দাড়ালাম, কিছু দালাল এসে ৫০০ টাকা দাবি করে লাইনের শুরুতে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলো, না করে দিলাম, ভিজিটিং কার্ড দিয়ে চলে গেলো। এরপর গেইট খোলার পর সবাই হুড়মুড় করে লাইন ভেংগে দৌড়। আবার শপিং মলের সাম্নে লাইন, এরপর ৯ টায় ivac খোলার পর আবার বেইজমেন্ট ফ্লোরে ivac এর সামনে লাইন, টোকেন নিয়ে ৯:২০ এ প্রবেশ ৩১৫ নং টোকেন, জমা দিলাম ১০ টায়, এরপর বায়োমেট্রিক এ ১০ আংগুলের ছাপ আর ছবি তুলে ১০:১৫ তে সকল কাজ সম্পন্ন, রিসিপ্ট নিয়ে চলে আসলাম
✅ ভেতরে ব্যাগ নিয়ে ঢোকা যাবেনা, পাশেই লকারে ৩০ টাকা করে রাখে ব্যাগ রাখতে
✅ivac এর ভেতরে ওয়াশরুম নেই, শপিং মলের ওয়াশরুম একটু গেটের পশেই, কিন্ত টোকেন নিয়ে ভেতরে ঢোকার পর আর বের হবার বেবস্থা নাই ivac থেকে। সো বুঝেন ই তো
✅ডিসপ্লে তে টোকেন নাম্বার আসলে নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দিবেন, জমার সময় মুখের মাস্ক নামাতে বলবে, ছবি তোলার সময় ও সেইম
✅ivac এর ভেতরে ফটোকপি করানো যায়, ৩ টাকা পিস সম্ভবত
✅ বসার যথেষ্ট যায়গা আছে
✅ ছোট একটা ক্যান্টিন আছে, স্ন্যাক্স পাওয়া যায়
✅ মহিলাদের লাইন ভিন্ন, ছোট অনেক
🛂🛂🛂🛂 ডেলিভারি : ১২/০৪/২২ ইং
=====================
✅ ২ টা থেকে ডেইভারি দেয়ার কথা ছিলো, আমি লাইনে দাড়িয়েছি ১:৩০ এ , গেইট খুলসে ৩:১৫ এ, হুট করে গেইট খোলায় সবাই হুড়মুড় করে ঢুকে পরে।
এরপর দুইটা ভুল লাইনে দাড়িয়ে লাস্ট এ আমার সঠিক কাউন্টার খুজে পাই। আপনার ডেলিভারি স্লিপ এ একটা নাম্বার দেয়া আছে B-165 এই টাইপ, এটার জন্য কোন কাউন্টারে যাওয়া লাগবে সেই লিস্ট আছে, দেখে তারপর সেই লাইনে দাড়াবেন। আন্দাজে দাড়াবেন না। আমি প্রথমে ১৬ ও ১৩ নং কাউন্টারে দারায়ে ভুল বুঝতে পারি, পরে লিস্ট দেখে বুঝি আমার কাউন্টার হচ্ছে ৫। মাঝে সময় অপচয় নিজের বোকামি তে। ৩:৫০ এ পাসপোর্ট হাতে পাই। একজন আরেকজনের টা জমা না দিতে পারলেও একজন আরেকজনেরটা নিতে দেখেছি।
✅ ভিসা ১ বছর, ৬ মাস, ৩ মাস দিচ্ছে। আমার আগেরজন ১ বছর পেয়েছেন, আমি ৬ মাস। আমি চেয়েছিলাম ই ৬ মাসের। কারন আমার পাসপোর্ট এর মেয়াদ ছিলো একটু কম ১১ মাস
✅ভয়াবহ রকমের বিশৃঙ্খলা লাইনে ঢোকার মুখে, একটু পর পর ই এ লাইন বলে ওই লাইন ভুয়া,তর্কাতর্কি, গালাগালি, হাতাহাতি, মারামারি। ওইটা মুলত ivac এ ঢোকার মুখের গেইট এ, একসাথে ৮-১০ টা লাইন। কেউ কাউকে মানেনা। একজন আরেকজন কে বাইরে বের হয়ে দেখে নেয়ার হুমকি ও দিচ্ছে। এ তার বড় ভাইকে ফোন দিচ্ছে তো আরেকজন তার বন্ধুদের। যুদ্ধের পরিবেশ গেইটের কাছে। লাইনের মাঝ থেকে পেছনের দিকে কোন গেঞ্জাম নেই। সিংগেল লাইন। মুল ঢোকার মুখেই গেঞ্জাম
✅ ৪ টায় বের হয়ে যাওয়ার পথে দেখি প্রায় আরো হাজারখানেক মানুষের লাইন, কয়েক পেচ দিয়ে একদম যমুনার বাহির পর্যন্ত
এটা সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরলাম, সবার এরকম নাও হতে পারে, ভূল ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর ভাবে দেখবেন।
বর্তমানে আজ থেকে শিডিউল খানিকটা চেইঞ্জ হয়েছে বলে শুনেছি, নিশ্চিত হয়ে নিবেন।
কোন জিজ্ঞাসা থাকলে করতে পারেন, স্বল্প জ্ঞানে নিজ অভিজ্ঞতা থেকে যদ্দুর পারি হেল্প করবো।
ধন্যবাদ