Ashik Ahamed

Ashik Ahamed Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Ashik Ahamed, Travel Service, .

14/09/2023

#আপডেট কানিভাল ক্রুজ ভাড়ার তালিকা👇

🏍️মটর সাইকেল-১০০০.০০৳
🚗 প্রাইভেট কার-৫০০০.০০৳
🛻 পিক-আপ লাক্সারি কার-৭.৫০০.০০৳
🚍মাইক্রোবাস/হায়ের/ লোহা/ অনন্য ৮.৫০০.০০৳
🚌মিনি বাস-১০.০০০.০০৳
🚎বড় বাস-১৫.০০০.০০৳

এবার আসুন কেবিন ও ডেক শ্রেণির ভাড়া চেয়ার কোস👇👇

ভিআইপি কেবিন👉৫০০০.০০৳
সাধারণ কেবিন👉৩০০০.০০৳
চেয়ার কোস👉৫০০.০০
ডেক শ্রেণি👉৪০০

নৃত্য নতুন আপডেট পেতে আমাদের পেইজে ফলো করতে পারেন।

মৃত্যু নিয়ে এতো সুন্দর লেখা আগে পড়িনিএকটু পড়েই দেখুন না🙏 জাযাকাল্লাহ।❤️পরলোকগত কুয়েতি লেখক আব্দুল্লাহ যারাল্লাহ তার ...
04/09/2023

মৃত্যু নিয়ে এতো সুন্দর লেখা আগে পড়িনি
একটু পড়েই দেখুন না🙏 জাযাকাল্লাহ।❤️

পরলোকগত কুয়েতি লেখক আব্দুল্লাহ যারাল্লাহ তার মৃত্যুর আগে লিখে যাওয়া কিছু অনুভূতি -

"মৃত্যু নিয়ে আমি কোনো দুশ্চিন্তা করবো না, আমার মৃতদেহের কি হবে সেটা নিয়ে কোন অযথা আগ্রহ দেখাবো না। আমি জানি আমার মুসলিম ভাইয়েরা করণীয় সবকিছুই যথাযথভাবে করবে।"

يُجَرِّدُونَنِي مِنْ مَلَابِسِي

তারা প্রথমে আমার পরনের পোশাক খুলে আমাকে বিবস্ত্র করবে,

يَغْسِلُونَني

আমাকে গোসল করাবে,

يَكْفِنُونَنِي

(তারপর) আমাকে কাফন পড়াবে,

يُخْرِجُونَنِي مِنْ بَيْتِي

আমাকে আমার বাসগৃহ থেকে বের করবে,

يَذهَبُونَ بِي لِمَسَكِنِي الجَدِيدِ (القَبْرُ)

আমাকে নিয়ে তারা আমার নতুন বাসগৃহের (কবর) দিকে রওনা হবে,

وَسَيَأتِي كَثِيرُونَ لِتَشْيِيْعِ الجَنَازَتِي

আমাকে বিদায় জানাতে বহু মানুষের সমাগম হবে,

بَلْ سَيَلْغِي الكَثِيرُ مِنهُم أَعْمَالَهُ وَمَوَاعِيدَهُ لِأَجْلِي دَفْنِي

অনেক মানুষ আমাকে দাফন দেবার জন্য তাদের প্রাত্যহিক কাজকর্ম কিংবা সভার সময়সূচী বাতিল করবে,

وَقَدْ يَكُونُ الكَثِيرُ مِنهُم لَمْ يَفَكِّرْ في نَصِيحَتِي يَوماً مِنْ الأيّامِ

কিন্তু দুঃখজনকভাবে অধিকাংশ মানুষ এর পরের দিনগুলোতে আমার এই উপদেশগুলো নিয়ে গভীর ভাবে চিন্তা করবে না,

أَشْيَائِي سَيَتِمُّ التَّخَلُّصُ مِنهَا

আমার (ব্যক্তিগত) জিনিষের উপর আমি অধিকার হারাবো,

مَفَاتِيحِي

আমার চাবির গোছাগূলো,

كِتَابِي

আমার বইপত্র,

حَقِيبَتِي

আমার ব্যাগ,

أَحْذِيَتِي

আমার ‍জুতোগুলো,

وإنْ كانَ أَهْلِي مُوَفِّقِينَ فَسَوفَ يَتَصَدِّقُونَ بِها لِتَنْفَعَنِي

হয়তো আমার পরিবারের লোকেরা আমাকে উপকৃত করার জন্য আমার ব্যবহারের জিনিসপত্র দান করে দেবার বিষয়ে একমত হবে,

تَأَكِّدُوا بِأَنَّ الدُّنيا لَنْ تَحْزَنْ عَلَيَّ

এ বিষয়ে তোমরা নিশ্চিত থেকো যে, এই দুনিয়া তোমার জন্য দু:খিত হবে না অপেক্ষাও করবে না,

وَلَنْ تَتَوَقَّفْ حَرَكَةُ العَالَمِ

এই দুনিয়ার ছুটে চলা এক মুহূর্তের জন্যও থেমে যাবে না,

وَالاِقْتِصَادُ سَيَسْتَمِرُ

অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কিংবা ব্যবসাবাণিজ্য সবকিছু চলতে থাকবে,

وَوَظِيْفَتِي سَيَأتِي غَيرِي لِيَقُومَ بَها

আমার দায়িত্ব (কাজ) অন্য কেউ সম্পাদন করা শুরু করবে,

وَأَمْوَالِي سِيَذْهَبُ حَلَالاً لِلوَرَثِةِ

আমার ধনসম্পদ বিধিসম্মত ভাবে আমার ওয়ারিসদের হাতে চলে যাবে,

بَينَمَا أنا سَأُحَاسِبُ عَليها

অথচ এর মাঝে এই সম্পদের জন্য আমার হিসাব-নিকাশ আরম্ভ হয়ে যাবে,

القَلِيلُ والكَثِيرُ.....النَقِيرُ والقَطمِيرُ......

ছোট এবং বড়….অনুপরিমাণ এবং কিয়দংশ পরিমান, (সবকিছুর হিসাব)

وَإن أَوَّلَ ما مَوتِي هو اِسمِي !!!!

আমার মৃত্যুর পর সর্বপ্রথম যা (হারাতে) হবে, তা আমার নাম!!!

لِذَلكَ عِنْذَما يَمُوتُ سَيَقُولُونَ عَنِّي أَينَ "الجُنَّةُت"...؟

কেননা, যখন আমি মৃত্যুবরণ করবো, তারা আমাকে উদ্দেশ্য করে বলবে, কোথায় “লাশ”?

وَلَن يَنَادُونِي بَاِسمِي....

কেউ আমাকে আমার নাম ধরে সম্বোধন করবে না,

وَعِندَما يُرِيدُونَ الصَّلاةَ عَلَيَّ سِيَقُلُونَ اُحْضُرُوا "الجَنَازَةَ" !!!

যখন তারা আমার জন্য (জানাযার) নামাজ আদায় করবে, বলবে, “জানাযাহ” নিয়ে আসো,

وَلَن يُنَادُونِي يِاسْمِي ....!

তারা আমাকে নাম ধরে সম্বোধন করবে না….!

وَعِندَما يَشْرَعُونَ بِدَفنِي سَيَقُولُونَ قَرِّبُوا المَوتَ وَلَنْ يَذكُرُوا اِسمِي ....!

আর, যখন তারা দাফন শুরু করবে বলবে, মৃতদেহকে কাছে আনো, তারা আমার নাম ধরে ডাকবে না…!

لِذَلِكَ لَن يَغُرَّنِي نَسبِي وَلا قَبِيلَتِي وَلَن يَغُرَّنِي مَنْصَبِي وَلا شَهرَتِي ....

এজন্যই দুনিয়ায় আমার বংশপরিচয়, আমার গোত্র পরিচয়, আমার পদমযার্দা, এবং আমার খ্যাতি কোনকিছুই আমাকে যেন ধোঁকায় না ফেলে,

فَمَا أَتْفَهُ هَذِهِ الدُّنْيَا وَمَا أَعْظَمَ مُقَلِّبُونَ عَليهِ .....

এই দুনিয়ার জীবন কতই না তুচ্ছ, আর, যা কিছু সামনে আসছে তা কতই না গুরুতর বিষয়…

فَيا أَيُّهَا الحَيُّ الآنَ ..... اِعْلَمْ أَنَّ الحُزْنَ عَليكَ سَيَكُونُ على ثَلَاثَةٍ أَنْواعٍ:

অতএব, (শোন) তোমরা যারা এখনো জীবিত আছো,….জেনে রাখো, তোমার (মৃত্যুর পর) তোমার জন্য তিনভাবে দু:খ করা হবে,

1ــ النَّاسُ الَّذِينَ يَعْرِفُونَكَ سَطْحَيّاً سَيَقُولُونَ مِسْكِينٌ

১. যারা তোমাকে বাহ্যিক ভাবে চিনতো, তারা তোমাকে বলবে হতভাগা,

2ــ أَصْدِقَاؤُكَ سَيَحْزُنُونَ سَاعَات أَو أَيَّامَاً ثُمَّ يَعُودُونَ إِلَى حَدِيثِهِم بَلْ وَضَحِكَهُم.....

২. তোমার বন্ধুরা বড়জোর তোমার জন্য কয়েক ঘন্টা বা কয়েক দিন দু:খ করবে, তারপর, তারা আবার গল্পগুজব বা হাসিঠাট্টাতে মত্ত হয়ে যাবে,

3ــ الحُزْنُ العَمِيقُ فِي البَيْتِ سَيَحْزُنُ أَهْلِكَ أُسْبُوعاً.... أُيسْبُوعَينِ شَهراً ....شَهرَينِ أَو حَتَّى سَنَةً وَبَعْدَهَا سَيَضْعُونَكَ فِي أَرْشِيفِ الذَّكَرِيّاتِ !!!

৩. যারা খুব গভীর ভাবে দু:খিত হবে, তারা তোমার পরিবারের মানুষ, তারা এক সপ্তাহ, দুই সপ্তাহ, একমাস, দুইমাস কিংবা বড় জোর একবছর দু:খ করবে। এরপর, তারা তোমাকে স্মৃতির মণিকোঠায় যত্ন করে রেখে দেবে!!!

اِنْتَهَتْ قِصَّتُكَ بَينَ النَّاسِ وَبَدَأَتْ قِصَّتُكَ الحَقِيْقِيّةِ وَهِيَ الآخِرةُ ....

মানুষদের মাঝে তোমাকে নিয়ে গল্প শেষ হয়ে যাবে, অত:পর, তোমার জীবনের নতুন গল্প শুরু হবে, আর, তা হবে পরকালের জীবনের বাস্তবতা,

لَقدْ زَالَ عِندَكَ:

তোমার নিকট থেকে নি:শেষ হবে (তোমার):

1ــ الجَمَالُ

১. সৌন্দর্য্য

2ــ والمَالُ

২. ধনসম্পদ

3ــ والصَحَّةُ

৩. সুস্বাস্থ্য

4ــ والوَلَدُ

৪. সন্তান-সন্তদি

5ــ فَارقَت الدَّور

৫. বসতবাড়ি

6ــ القُصُورُ

৬. প্রাসাদসমূহ

7ــ الزَوجُ

৭. জীবনসঙ্গী

وَلَمْ يَبْقِ إِلَّا عَمَلُكَ

তোমার নিকট তোমার ভালো অথবা মন্দ আমল ব্যতীত আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না,

وَبَدَأَتِ الحَيَاةُ الحَقِيقَيَّةُ

শুরু হবে তোমার নতুন জীবনের বাস্তবতা,

وَالسُّؤَالُ هُنا : ماذا أَعْدَدْتَ لِلقُبَرِكَ وَآخِرَةَكَ مِنَ الآنَ ؟؟؟

আর, সে জীবনের প্রশ্ন হবে: তুমি কবর আর পরকালের জীবনের জন্য এখন কি প্রস্তুত করে এনেছো?

هَذِهِ حَقِيقَةٌ تَحْتَاجُ إلى تَأمَّلٍ

*ব্স্তুত: এই জীবনের বাস্তবতা সম্পর্কে তোমাকে গভীর ভাবে মনোনিবেশ করা প্রয়োজন,*

لِذَلِكَ أحرصُ عَلى :

এজন্য ‍তুমি যত্নবান হও,

1ــ الفَرَائِضِ

১. ফরজ ইবাদতগুলোর প্রতি

2ــ النَّوَافِلِ

২. নফল ইবাদতগুলোর প্রতি

3ــ صَدَقَةُ السِّرِّ

৩. গোপন সাদাকাহ’র প্রতি

4ــ عَمَلُ الصَّلِحِ

৪. ভালো কাজের প্রতি

5ــ صَلاةُ اللَّيلِ

৫. রাতের নামাজের প্রতি

لَعَلَّكَ تَنْجُو....

যেন তুমি নিজেকে রক্ষা করতে পারো….

إِنْ سَاعَدْتَ عَلى تَذْكِيرِ النَّاسِ بِهَذِهِ المُقَالَةِ وَأنتَ حَيُّ الآنَ سَتَجِدُ أَثَرَ تَذكِيرِكَ في مِيزَانِكَ يَومَ القِيامَةِ بِإِذْنِ اللهِ .....

এই লিখাটির মাধ্যমে তুমি মানুষকে উপদেশ দিতে পারো, কারণ তুমি এখনো জীবিত আছো, এর ফলাফল আল্লাহ’র ইচ্ছায় তুমি কিয়ামত দিবসে মিজানের পাল্লায় দেখতে পাবে,

قال الله تَعالى : ((فَذَكِّرْ فَإِنَّ الذِّكْرَ تَنْفَعُ المُؤمِنِينَ))

আল্লাহ বলেন: ((আর স্মরণ করিয়ে দাও, নিশ্চয়ই এই স্মরণ মুমিনদের জন্য উপকারী))

لِمَاذَا يَخْتَارُ المَيِّتِ "الصَّدَقَةَ لو رَجَعَ للدُّنيا....

তুমি কি জানো কেন মৃতব্যক্তিরা সাদাকাহ প্রদানের আকাঙ্খা করবে, যদি আর একবার দুনিয়ার জীবনে ফিরতে পারতো?

كَمَا قَالَ تَعَالى: ((رَبِّ لَو لا أَخَّرْتَنِي إلى أَجَلٍ قَرِيبٍ فَأَصَّدَّقَ....))

আল্লাহ বলেন: ((হে আমার রব! যদি তুমি আমাকে আর একটু সুযোগ দিতে দুনিয়ার জীবনে ফিরে যাবার, তাহলে আমি অবশ্যই সাদাকাহ প্রদান করতাম….))

ولَمْ يَقُلْ :

তারা বলবে না,

لِأعتَمَرَ

উমরাহ পালন করতাম,

أو لِأُصَلَّي

অথবা, সালাত আদায় করতাম,

أو لِأصُومُ

অথবা, রোজা রাখতাম,

قالَ العُلَماءُ : ما ذَكَرَ المَيِّتُ الصَّدَقَةَ إلا لِعَظِيمِ مَا رَأى مِن أَثَرِها بَعدَ مَوتِهِ

আলেমগণ বলেন: মৃতব্যক্তিরা সাদাকাহ’র কথা বলবে, কারণ তারা সাদাকাহ প্রদানের ফলাফল তাদের মৃত্যুর পর দেখতে পাবে,

فَأَكْثِرُوا مِنَ الصَّدَقَةِ وَمِن أَفضَلِ ما تَتَصَدَّقُ بِهِ الآنَ 10 ثَوَان مِنْ وَقْتِكَ لِنشَرِ هذا الكَلامَ بِنِيَّةِ النَّصْحِ فَالكَلمَةُ الطَّيِّبَةُ صَدَقَةٌ.

আর, গুরুত্ববহ এই সাদাকাহ’র কাজটি তুমি এই কথাগুলো ছড়িয়ে দিয়ে মাত্র ১০ সেকেন্ড সময় ব্যয় করে করতে পারো, যদি তোমার উদ্দেশ্য হয় এর মাধ্যমে মানুষকে উপদেশ প্রদান করা। কারণ, উত্তম কথা হল এক ধরণের সাদাকাহ।।।! বি:দ্রো কপি পোস্ট

04/09/2023
30/08/2023

borishal ar uddese chere gelo sundorbon 16

30/08/2023
30/08/2023

- যে সত্যি ভালোবাসে better কাউকে কখনো খোঁজে না, Better বানিয়ে নিতে পছন্দ করে!) 🖤☺️✨️

মায়ামিতে অভিষেকের ১০ ম্যাচ পর মেজর লীগ সকারে মাঠে নামলেন লিওনেল মেসি।৮৯ মিনিটে গোল করে দলের ২-০ তে জেতা ম্যাচে রাঙিয়ে গে...
27/08/2023

মায়ামিতে অভিষেকের ১০ ম্যাচ পর মেজর লীগ সকারে মাঠে নামলেন লিওনেল মেসি।

৮৯ মিনিটে গোল করে দলের ২-০ তে জেতা ম্যাচে রাঙিয়ে গেলেন নিজের অভিষেকটাও!

28/07/2023

গল্পটা লিখতে চোখে পানি চলে আসছে...😢

রাত্রি -:ভাইয়া, ও সোনা ভাইয়া।
রানা-:(ঘুম জড়িত কন্ঠে) কিরে কি হইছে?
রাত্রি-: ও ভাইয়া কলেজে যাবেনা? আম্মু বকতেছে।
রানা-:হ্যা রে যাবো।
রাত্রি-:তাহলে ওঠোনা কেন? মহিষের মতো পরে পরে ঘুমালে হবে? ওঠো।

রানা-:ওরে আমার পিচ্চি বুড়ি এত শাসন?
রাত্রি-: হুম, এই বাদড় তোকে উঠতে বলছিনা।
রানা-:উঠতেছি পিচ্চি বুড়ি,উম্মম্মাহহ।
"""""""""""
খুব দ্রত উঠে রানা ফ্রেশ হতে চলে গেল।
রানা বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে আর রাত্রি হল তার একমাত্র আদরের ছোট বোন।
সারাদিন দুষ্টুমিষ্টি ভালবাসায় কাটে এদের দিন।
রানা ফ্রেস হয়ে নাস্তার টেবিলে বসলো।
রানা-:মা রাত্রি কি নাস্তা করেছে?
মা-:না, তোর পাগলি বোন কি তোকে ছাড়া খায়?
রানা-: হুম।রাত্রিকে ডাকো।
"""""""""""""
রাত্রি-: ও ভাইয়া আমাকে ডেকেছো?
রানা-:হুম, এই পিচ্চি বুড়ি তুই খাসনি কেন?
রাত্রি-:গাধা টা আমি কি তোকে ছাড়া কখনো একা খাই?
রানা-:বুঝেছি পাকা বুড়ি, এখন বস নাস্তা করবি।
রাত্রি-:ঠিক আছে।
""""""""""
রানা-:কিরে কিছুই তো খাচ্ছিসনা।
রাত্রি-:খাবো কিভাবে?
রানা-:কেন তোর হাত আছেনা?
রাত্রি-: আছে, কিন্তু,,,,।
রানা-:কিন্তু কি? বল।
রাত্রি-:আমার হাত তো......।
রানা-:দেখি কি হয়েছে তোর হাতে।
রাত্রি-:কই কিছুনাতো।
রানা-:আল্লাহরে, এটা কিভাবে হলো? তোর হাত এতখানি পুড়লো কিভাবে?
রাত্রি-:ধুর গাধা এইটুকু কিচ্ছু হবেনা।
রানা-:আজকে আর কলেজে যাবোনা। মা, ওমা এদিকে আসো তাড়াতাড়ি।
মা-:কি হয়েছে?
রানা-:রাত্রির হাত পুড়ে গেল কিভাবে?
মা-:এইতো আমাকে বললো, মা আমি আজকে ভাইয়ার জন্য রুটি বানাবো।আমি বললাম তুই পারবিনা কিন্তু জানিস তো তোর বোন কত জেদী মেয়ে কিচ্ছু শোনেনা।তারপর আমি ওকে রান্না ঘড়ে রেখে রুমে এসেছিলাম।তারপর ও গ্যাস চালু করে কিভাবে যেন পুড়ে ফেলে।
রানা-:এই পাগলি তুই রুটি বানাতে গেছিলি কেন?
রাত্রি-:বা রে আমার ভাইটার জন্য বুঝি আমি রুটি বানাতে পারবোনা।
রানা-:হুম শিখেছিস তো বড় বড় কথা তাহলে হাত পুড়ে গেল কেন।
রাত্রি-:ধুরর এইটুকু কিচ্ছু হবেনা।
""""""""""
রাত্রিকে এসব বলছিলো আর রাকিবের দুচোখ বেয়ে পানি পরতেছিল।
আর ভাবছিল এত ভালবাসে তাকে এই পিচ্চি বুড়িটা, এইটুকু বয়সে সে এতকিছু করতে চায় তার জন্য।
"""""""
রাত্রি-:ও ভাইয়া তুমি কাদো কেন?
রানা-:তুই জানিস না তুই আমার কলিজা।তোর কিছু হলে আমি বাচবো কি করে।
অনেকটা পুড়ে গেছে রাত্রির হাত তবু যেন সেদিকে তার খেয়াল নেই।
ভাইয়ের কথা শুনে খুশি হয়ে সে তার মাকে বলে,,
রাত্রি-:ও মা তুমি তো বলছিলা ভাইয়াটা পচা। তুমি পচা,, দেখো ভাইয়া কত ভাল,,ভাইয়া বলেছে আমি তার কলিজা।
রানা-: আর কোনদিন রুটি বানাতে যাবিনা।
রাত্রি-:আচ্ছা। আমার লক্ষী
ভাইয়া আর কাদবেনা।
রানা-:আর মা তুমি আমাকে বললেনা কেন একথা।
মা-:তোকে বলিনি কারন,তুই আবার চিল্লাচিল্লি, কান্না শুরু করে দিবি।
রানা-:এই বুড়ি চল ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো তোকে।
রাত্রি-:এই গাধা আমি বুড়ি না।তুই বুড়া।
"""""""""
তারপর রানা রাত্রিকে নিয়ে
ডাক্তারের কাছে যায়।
রানা অনেক ভালবাসতো তার এই ছোট বোনকে।রাত্রির সামান্য কিছু হলেই রানা কাদতো।
এভাবে চলতো তাদের ভাইবোনের পবিত্র ভালবাসা।
"""""""""
একদিন কিছু একটা নিয়ে মা বাবার সাথে ঝগড়া হয় রানার।
সেদিন রানা সারাদিন বাসায় ফেরেনি। বাসায় না ফেরার কারনে রাত্রিকে অনেক চেষ্টা করেও একটিবারেও খাওয়াতে পারেনি কেউ। আরা প্রচন্ড কান্না করতেছিল সে।
রাত্রি-: তোমরা সবাই পচা, তোমাদের জন্য আমার সোনা ভাইয়াটা চলে গেছে, তোমরা যাও আমার কাছ থেকে কেউ আসবা না।
"""""""
তারপর অনেকটা রাত হয়ে সবাই ঘুমিয়ে পরে শুধু এই পাগলিটা ছাড়া।
সবাই ঘুমিয়ে পড়লেও ভাইয়ের আশায় জেগে থাকে ছোট্ট মেয়েটি।
অনেক রাতে রানা বাসায় ফিরে আসলো আর না খেয়েই রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লো।
রানা যে এসেছে এটা রাত্রি ঠিক বুঝতে পারলো কারন সে তখনো জেগে ছিল আর কাদছিল।
রাত্রি তখন দ্রুত টেবিল থেকে এক প্লেট ভাত নিয়ে রানার রুমে গেল।
রাত্রি-:ভাইয়া, ও সোনা ভাইয়া।
রানা-:(ঘুম জড়িত কন্ঠে) কিরে বুড়ি কিছু বলবি।
রাত্রি-:(কাদে আর বলে) ও ভাইয়া তুমি কোথায় ছিলে সারাদিন?
রাত্রির কান্নার শব্দ শুনেই বিছানা থেকে লাফ দিয়ে উঠে যায় রানা।
রানা-:এই পাগলি তুই কাদছিস কেন আর তোর হাতে ভাতের প্লেট কেন?
রাত্রি-:আমি ভেবেছিলাম তুমি চলে গেছো। আর সারাদিন তো মনে হয় কিছু খাওনি কারন তুমি তো আমাকে না খাইয়ে দিয়ে আগে কিছু খাওনা।
"""""""""
এরপর রানা রাত্রির হাত থেকে ভাতের প্লেট নিয়ে টেবিলে রেখেই রাত্রিকে জড়িয়ে ধরে কাদতে থাকে আর সাথে রাত্রিও।
রানা-: আমি এই পিচ্চি বুড়িটাকে রেখে কোথাও যাবোনা।আমি জানি তুইও সারাদিন না খেয়ে আছিস কারন তুইও তো আমাকে ছাড়া খাসনা।
"""""""""
এরপর রানা নিজের হাতে রাত্রিকে খাইয়ে দেয় আর নিজেও খায়।
সকালে মা রাত্রিকে বিছানায় না পেয়ে খুজতে খুজতে রানার রুমে চলে যায়।
তিনি দেখতে পান পিচ্চি বুড়িটা তার ভাইয়ের বুকের উপর ঘুমিয়ে আছে আর পাশের টেবিলে প্লেট।
এটে দেখে তিনি সব বুঝতে পারলেন।নিজের চোখের পানিকে আর আটকাতে পারলেন না, কেদে ফেললেন পাগল পাগলির ভালবাসা দেখে।
"""""""""""
কে জানতো এমন একটা ভালবাসার মধ্যেও কালবৈশাখী ঝড় প্রবেশ করে ভাইবোনের এই পবিত্র ভালবাসার ইতি টানবে।
"""""
কিছুদিন পর রানার বাবা মা তাদের গ্রামের বাড়িতে যেতে চাইলো রাত্রিকে নিয়ে।কিন্তু রাত্রি রানাকে ছেড়ে যেতে চাইল না, আর রানাও যেতে দিতে চাইল না।
বাবা মা অনেক বুঝিয়ে রানা আর রাত্রিকে রাজি করালো।
এরপর তারা রাত্রিকে নিয়ে গ্রামে চলে গেল আর রানা একা থেকে গেল বাসায় কারন তার কলেজ ছিল তাই সে যায়নি।
""""""""
এরপর প্রতিদিন বারবার ছোট্ট বুড়িটা ফোন দিয়ে রানার খোজ নিত,,,,খেয়েছে কিনা, তার জন্য যেন না কাদে আরো অনেক কিছু।
এরপর ঘটলো এক ভয়ানক দূর্ঘটনা যা সব শেষ করে দিল।
রাত্রিকে সহ তার বাবা মা শহরের উদ্দেশ্য রওনা দিলো।
অনেকটা পথ এসেই ঘটলো দূর্ঘটনা। তাদের সেই বাসটা নিয়ন্ত্রন হারিয়ে পরে যায় বিশাল একটা খাদে।তারপর সব শেষ।
তার বাবা মা যখন জ্ঞান ফিরে পেল তখন তারা রাত্রিকে খুজতে লাগল সেই হাসপাতালে।
ডাক্তাররা জানায় বাসের সবাইকে এই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
তারা খুজকে খুজতে মর্গে চলে গেল যেখানে লাশ রাখা ছিল।
একটা একটা করে লাশ দেখতে হঠাৎ চিৎকার করে উঠলেন রানার মা। বুঝতে আর বাকি রইলনা যে, পৃথিবী ত্যাগ করে না ফেরার দেশে চলে গেছে পিচ্চি বুড়ি রাত্রি।
রাত্রির বডিটা একদম বিভৎস্য হয়ে গেছে, মনে হয় উল্টে যাওয়া বাসের নিচে পরে গেছিল।
এটা সহ্য করতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে যায় তার মা।
রানাকে ফোন করলো তার বাবা।
রানা পাগলের মতো ছুটে এলো হাসপাতালে।এরমধ্যে তার মায়ের জ্ঞান ফিরেছে।
রানা এসেই চিৎকার করতে থাকে,কোথায় রাত্রি।
এরপর রাত্রির লাশের কাছে তাকে নিয়ে যাওয়া হল।
রাত্রিকে দেখেই হতভম্ব হয়ে যায় রানা।অনেকক্ষন কোন কথা বলেনা রানা। সবাই ভাবলো এ আবার পাগল হল নাকি।
হঠাৎ চিৎকার শুরু করে দিল রানা আর তার বাবা মাকে বলতে লাগল,,,
রানা-:(চিৎকার করে) তোমরা খুনি,তোমরাই মেরে ফেলেছো আমার পিচ্চি বুড়িটাকে, তোমাদের
কতো করে বললাম ওকে নিয়ে যেওনা, পাগলীটা থাকতে পারবেনা আমাকে ছাড়া তবুও তোমরা নিয়ে গেলে আর মেরে ফেললে, ফিরিয়ে দাও আমার পিচ্চি বুড়িকে।
"""""""
রানার চিৎকার শুনে হতভম্ব হয়ে যায় পুরো হাসপাতাল।
রানা-:(কেদে কেদে) কিরে পাগলী তুই নাকি আমাকে ছাড়া থাকতে পারিসনা,তুই তো আমাকে না দেখলে কেদে ফেলিস তাহলে এখন ঘুমিয়ে আছিস কেন? কেন একা রেখে গেলি আমাকে সার্থপরের মতো? ওঠনা পাগলি আর কখনো তোকে ছেড়ে কোথাও যাবোনা, ও বাবা ও মা আমার পিচ্চি বুড়িটা কথা বলেনা কেন, ও কি আর ঘুম থেকে উঠবেনা?
এসব বলে আর চিৎকার করে কাদে রানা।
ওর কান্না দেখে সবাই কেদে ফেলে।
""""""""""""
তারপর সেই ছোট্ট পরীটাকে ছোট্ট সাদা কাপড়ে মুড়িয়ে রাখা হলো অন্ধকার কবরে।
এরপর প্রতিরাতেই রানাকে চিৎকার করে কাদতে শোনা যায়।বেশিরভাগ সে যখন খেতে বসতো আর পিচ্চি বুড়িটাকে দেখতো পেতোনা খাবার টেবিলে তখন।
মাঝে মাঝে রানাকে কবরের পাশে দেখা যেত।সে বলতো, কিরে বুড়ি কিভাবে আছিস আমাকে ছেড়ে এই ছোট্ট মাটির ঘরে।তোর কি ভয় করেনা??
""""""""""
আদরের বোনকে হারিয়ে এভাবেই কাটছে রানার দিন।

""সমাপ্ত ""
""""""

গল্প: ভাই বোনের পবিত্র ভালো বাসা
লেখক: আশিক

সে ঘুমাচ্ছে না তার চোখ বন্ধ কিন্তু সে ঘুমন্ত নয়। বেবিকে খাওয়াচ্ছেন। তার হাত ভুল অবস্থানে আছে, এটি ব্যাথা করে, কিন্তু তি...
28/06/2023

সে ঘুমাচ্ছে না
তার চোখ বন্ধ কিন্তু সে ঘুমন্ত নয়। বেবিকে খাওয়াচ্ছেন। তার হাত ভুল অবস্থানে আছে, এটি ব্যাথা করে, কিন্তু তিনি এটি নড়াচড়া করে না, কারণ শিশুটি আরাম পাচ্ছে। মনে হচ্ছে সে ঘুমাচ্ছে, কিন্তু আসলে সে ঘুমাচ্ছে না। সে ক্লান্ত, সে তার চোখ বন্ধ করে আছে ঠিকই কিন্তু সে তার শিশুর প্রতিটি নিঃশ্বাসের শব্দ শুনতে পাচ্ছে। আজ রাতটাও সে এভাবেই কাটাবে, সেই একই অবস্থায়, কারণ বেবিকে না জাগানোর জন্য সে নড়াচড়া করে না। সে ঘুমিয়ে পড়তে চায় কিন্তু সে ঘুমায় না। সতর্ক থাকে যেন বেবি আঘাত না পায়। মায়েদের রাত হল দিনের বাকি অর্ধেক।
সকল মাকে সালাম ও শ্রদ্ধা জানায় ❤️

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ashik Ahamed posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Travel Agency?

Share