18/12/2021
♦বাংলাদেশীদের ভারত ঘুরতে যাওয়ার কারণ বাংলাদেশীরাই
সামনের দিনগুলোতে ভারতে যাওয়ার জন্য যাতে ভিসা না লাগে সে ব্যপারে ভারত এবং বাংলাদেশ উভয়ই যৌথভাবে কাজ করছে।বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রায় ১৩-১৫ লক্ষ লোক ট্যুরিস্ট সেবা,চিকিৎসা সেবা এবং বিজনেস এর জন্য ভারত গিয়ে থাকেন
তবে সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশীদের ভারত যাওয়া আরো বাড়বে।যার মুল কারণ হলো বাংলাদেশ পর্যটন বান্ধব নয়,একই সাথে পর্যটন স্পট গুলোর স্থানীয়দের অতিরিক্ত ব্যবসা বান্ধব চিন্তাভাবনা
মহান বিজয় দিবস,শুক্রবার সহ কয়েকদিনের সরকারি ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে,একই সাথে ভিড় বেড়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম,রাংগামাটি,খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবানেও।
অথচ,এসব স্থানেই ডাল ভাত ৩০০ টাকা এবং কোরাল মাছের দু'পিস এবং ভাতের দাম রাখা হচ্ছে ৭০০ টাকা।১০০০ টাকার হোটেল ভাড়া ৪০০০-৫০০০ টাকা,ইজিবাইকে ১০ টাকার পথ ট্যুরিস্ট দের জন্য ২৫০ টাকা।
এতেই শেষ নয়,সাজেক যাওয়ার খরচ,থাকার খরচ লাফিয়ে বেড়েছে।সপ্তাহের পর সপ্তাহ কিংবা মাসের পর মাস কষ্ট করে একমাত্র কোটিপতি হওয়া ছাড়া এসব স্থান নিম্নবিত্ত কিংবা মধ্যবিত্তের পক্ষে এফোর্ড করাই অসম্ভব।
এর চাইতে পাসপোর্ট এবং ভিসা করেই সড়কপথে ভারত হয়ে দার্জিলিং ৮০০০-১০০০০ টাকায় ঘুরে আসা সম্ভব।
করোনা মহামারীকালীন সময়ে এসব হোটেল মালিক,ঈজিবাইক চালক এবং ব্যবসায়ীরাই হাতজোড় করে ট্যুরিস্ট দের আসতে বলেছিলেন।নয়ত তাদের জীবিকা চলবেনা।দেশের টুরিজম প্রচারে নেই পর্যটন কর্পোরেশনের প্রচারণা,ট্যুরিস্টদের অভিযোগ চালাতে নেই কোন পুলিশী অভিযান।কক্সবাজার,রাংগামাটির হোটেল কতগুলো যে অভিযোগের পরেও তার সুরাহা হয়না।কেন হোটেল মালিক সমিতি,আল্লাহর নামে টাকা দিয়ে দিতে বলবে?!তারা কি ভিক্ষুক মনে করে নিজেকে?তো ভিক্ষার থালা নিয়ে রাস্তায় নামুক।ভিক্ষা নিক।অন্যের নায্য টাকা জোর করে নেবে কেন?
৯০% মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এর দেশে আল্লাহর দোহাই দেয়া ইনারাই এখন অতিরিক্ত টাকা তুলছেন।মধ্যবিক্ত শ্রেণীর ঘামের টাকাকে এটিএম বুথের টাকার মত খরচ করাচ্ছেন।সামান্য ডাল ভাত ৩০০ টাকা রাখছেন।মনে রাখবেন দেশের মানুষ হয়ত পাসপোর্ট নিয়ে এখনো সচেতন না,ভিসা সুবিধা পেলে আপনাদের সামনের দিনগুলো আরো কঠিন হতে পারে।৩০০ টাকার শীতের শাল ৪০০০ টাকা চাওয়ার শাস্তি আজ কিংবা কাল আপনাকে ভোগ করতেই হবে।কারন আপনারাই মা #$ফি%&য়া
ট্যুরিস্ট রা আপনাদের ব্যবসায়ীদের জীবিকার উৎস,তাদের সম্মান দিতে শিখুন।ছাড় দিতে শিখুন।আপনার কাছে কেউ ফ্রি সার্ভিস চায়নি।ইজিবাইক চালকেরা আপনাদের করোনায় আমরা সাধারন শিক্ষার্থী এবং বাংলাদেশীরা ত্রাণ দিয়েছি।তা এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলেন?
চাইনিজ যেসব জিনিস কক্সবাজারে বার্মিজ বলে বেচেন,যে কাদামাটিকে মুলতানি মাটি বলেন,যে শুটকি ২ গুন বেশী দামে বিক্রি করেন তার সম্পদ আপনার কবর অবধি যাবেনা।ব্যবসায় সৎ থাকার কথা শিখিয়েছে ইসলাম।আর আপনারাই শরীয়াহ শাসন চান।শরীয়াহ আইনে আপনার গর্দান থাকত না তা অন্তত বুঝতে শিখুন।নয়ত ব্যবসা নিয়ে দিনশেষে আস্তাকুড়ে নিক্ষেপিত হবেন।
তাই সচেতন নাগরিকদের আমরা ভারত কিংবা নেপাল ভ্রমণের পরামর্শ দেই।নিজের টাকায় কেনই বা জিম্মি হবেন কিংবা হয়রানির শিকার হবেন।১০০০০ টাকায় বাজেটেই ভারত কিংবা নেপাল ঘুরে আসুন।বাংলাদেশের ই উৎপাদিত জামা ভারতের কোলকাতা কিংবা দিল্লী তে কমে পাবেন,কমে মাঝে মুসলিম কিংবা হিন্দু হোটেলে খাবার পাবেন,চোখ কান খোলা রেখে সাবধানে থাকলে নিরাপদে থাকবেন
টাউট,বাটপার সবখানেই আছে,তবে আর যাই হউক ভারত কিংবা নেপাল-ভুটানে আপনাকে ৩০০ রুপিতে ডাল ভাত খাওয়াবেনা।
সংগৃহীত